কানাডায় আছি প্রায় এক বছর হয়ে গেল। থাকি আলবার্টা প্রদেশে। এখানকার শীতকাল মাঝে মাঝে বরফ যুগের কথা স্মরন করিয়ে দিলেও গ্রীস্মকালটা এখানে সত্যিই স্বর্গের মত সুন্দর!! তাই সবাই এখানে ক্ষনস্থায়ী গ্রীস্মকালের প্রতিটা মুহূর্ত প্রান দিয়ে উপভোগ করার চেষ্টা করে। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই।
গ্রীস্ম আসলেই ছুটির দিন গুলোতে বন্ধুদেরকে সাথে নিয়ে আশে পাশের সব দর্শনীয় স্থান চষে বেরাই। এই গ্রীস্মের শেষের দিকে গিয়েছিলাম জাসপার ন্যাশনাল পার্ক ভ্রমনে।
জাসপার ন্যাশনাল পার্ক কানাডিয়ান রকি পার্বত্য এলাকার সবচাইতে বৃহত্তম ন্যাশনাল পার্ক। জাসপার উদ্যানের বৈচিত্রময় ভূ-প্রকৃতি জুড়ে রয়েছে অসংখ্য অপরুপ ঝরনা, আছে গিরিখাত, হ্রদ, হট স্প্রিং, পাহাড়-পর্বত বিশাল প্রান্তর এবং হিমবাহ । আজকের লেখাটি জাসপার উদ্যানের কলম্বিয়া আইসফিল্ড হিমবাহ নিয়ে।
কলম্বিয়া আইসফিল্ড কানাডিয়ান রকি পার্বত্য এলাকার প্রায় ৩২৫ বর্গ কিলমিটার জুড়ে অবস্থিত সুবিশাল বরফ রাজ্য। এখানে বছরে ৭মিটার এর মত বরফ জমে এবং ১০০ থেকে ৩৬৫ মিটার গভীর। কলম্বিয়া আইসফিল্ড এলাকায় আটটি প্রধান হিমবাহ রয়েছে । আথাবাস্কা, ক্যাসল গার্ড, কলম্বিয়া, স্ট্যাটফিল্ড, ডোম এবং সাস্কাচুয়ান হিমবাহ।
আমরা গিয়েছিলাম আথাবাস্কা হিমবাহে। আইসফিল্ড সেন্টার থেকে প্রতি ১৫ মিনিটে পর পর আথাবাস্কা হিমবাহর উদ্দশ্যে বাস ছাড়ে।
বিশালআকৃতির ব্রিউস্টার আইস এক্সপ্লোরার বাস আপনাকে নিয়ে যাবে অপরুপ সুন্দর আথাবাস্কা হিমবাহের অতি নিকটে।
বাসের চাকা গুলো কতটা বিশাল আকৃতির নিচের ছবিটা দেখে অনুমান করতে পারবেন :P।
এই বাসগুলি দূর্গম বরফের রাজ্যে চলার জন্য বিশেষভাবে তৈরী করা হয়েছে। পথ কতটা দূর্গম নিচের ছবিটাই টার প্রমান :D।
বাসে করে আথাবাস্কা হিমবাহ যাওয়ার পথে আশে পাশের ভূ-প্রকৃতি বরফ যুগের কথা স্মরন করিয়ে দেয়। বাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১২ মাইল :P।
১৫ মিনিটের বাস যাত্রা শেষে আমরা বাস থেকে হিমবাহে নামলাম। প্রাগৈতিহাসিক হিমবাহের পৃষ্ঠে হাটাহাটি করলাম ১৫-২০ মিনিটের মত, অত্যন্ত কাছে থেকে উপভোগ করলাম আথাবাস্কা হিমবাহর অপূর্ব সৌন্দর্য। সে এক অসাধারন অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় :-)।
অতিথি লেখকঃ
জাবেদুল আকবর (হিমেল)
ক্যালগেরী, আলবার্টা, কানাডা।
বি: দ্র: আমি সচলে নতুন। আমার লেখালেখির অভ্যাস বা হাত নেই বললেই চলে । বানানে অনেক ভূল থাকা স্বাভাবিক। আপনাদের গঠনমূলক উপদেশ ভবিষ্যতে ভালো লিখতে প্রেরনা দিবে।
মন্তব্য
হিমেল, ছবিগুলো বেশ ভাল।
*লেখায় অতিরিক্ত ইমোর ব্যবহার লেখার গাম্ভীর্য নষ্ট করে কিন্তু দেখ
*তোমার বানান ভুলের [ভুল, কিন্তু ভূল নয়।] প্যাটার্নটা খেয়াল করলাম। বেশীরভাগই ণ-ত্ব আর ষ-ত্ব বিধাণের ঝামেলা। চোখে যেগুলো পড়ল লিস্ট করলাম।
স্মরন - স্মরণ
গ্রীস্মকাল - গ্রীষ্মকাল
ক্ষনস্থায়ী - ক্ষণস্থায়ী
প্রান - প্রাণ
ভ্রমনে - ভ্রমণে
ঝরনা - ঝর্ণা
টীকাঃ র এর পরে ণ হয়, যেমন, ঝর্ণা, প্রাণ, স্মরণ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। সব ভুলে গেছি, ব্যাকরণের বই গুলো রিভিশন দেয়া দরকার।
সচলের ইমো গুলি ৩-৪ দিন হলো কাজ করছে না
ব্যাপার না, একটু খেয়াল করলেই সব ঠিক হবে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সবই ঠিকাছে বস, তবে 'ঝরনা'র উপর ণত্ব বিধান খাটানো যাবে না। ঝর্ণা ভুল। শুদ্ধ হল 'ঝরনা'। জেনে হোক না জেনে হোক লেখক এই বানানটা ঠিক লিখেছেন (যদিও এই বানানটা সবাই ভুল লিখে)। অভিধানে অবশ্য দ্বিতীয়/তৃতীয় বানান হিসেবে 'ঝর্ণা' আছে। তবু শুদ্ধ বানান 'ঝরনা', যা প্রথমে আছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সচলের মাধ্যমে বাংলা ভাষার চর্চা করা হচ্ছে । অনেক কিছু জানতে পারলাম।
এটা জানতাম না, ধন্যবাদ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
১
পড়তে পড়তে প্রশ্ন উদয় হইছে মনেঃ ওই এলাকায় মানে হিম্বাহের ধারে কাছে কোন পশু পক্ষী বাস করে না? সারা বছরি কি এইরাম থাকে?
২
চামে চামে যে নিজের ছবিটা ছাপায়ালাইলেন শেষে তাই পেতিবাদ। তারসাথে বাস নিয়া তেল পুড়ায়া পরিবেশ দূষিত করছেন, হাইট্টা যাওন দরকার আছিল (দন্ত বিকাশ হাসির ইমো)
৩
আরো লেখা পড়তে চাই।
পশু পক্ষী চোখে পরে নি তেমন, মানুষ ব্যাতিত। শীতকালে অবস্থা আরও খারাপ থাকে। মে ১ থেকে অক্টোবর ১৫ আইসফিল্ড সেন্টার খোলা থাকে।
ছবি গুলো ভীষণ সুন্দর। আর বানানের ব্যাপারেতো ত্রিমাত্রিক কবি অনেক কিছু বললেন। ভাইরে ভুল বানানটাই 'ভূল' - 'ভুল' হয়ে গেল। হে হে হে বাট গুড লাক।
হে হে চিন্তা করতেছি, বাংলা ব্যাকরণের বই গুলো রিভিশন দেয়া দরকার। বাংলা না লিখতে লিখতে সব ভুলে গেছি।
ভুলে ভুলে ভুল-ভুলাইয়ায় ভুল আর ভুল থাকবেনা হি হি হি
সুন্দর বলেছেন তো !
ছবিগুলো খুব ভালো লাগল।
ধন্যবাদ ।
বাহ, ছবি এবং জায়গা দুটোই চমৎকার।
আপনাকে ধন্যবাদ । আলবার্টা প্রদেশটা আসলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যর লীলাভূমি !!
ঢাউশ চাক্কার ভিতর বসা ফটোতে আপনাকে কিউট দেখাচ্ছে
বাকি ফটোস্ও নাইস
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হে হে ... ধইন্য ধইন্য।
আমি আপনার লেখার একজন ভক্ত, অসাধারণ লিখেন আপনি !
হিমবাহগুলোর গতি প্রকৃতি নিয়ে কিছু বলেন পরের বার। লেখা চলুক--
facebook
গুরু
জাসপার নিয়ে আরেকটা পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছা, আছে হিমবাহগুলোর গতি প্রকৃতি নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।
আপনার লেখা থেকে অনেক অনুপ্রেরনা পাই। ইউরোপ ভ্রমনের ইচ্ছা আমার অনেক দিনের ।
হিমবাহগুলোর গতি প্রকৃতি নিয়ে কিছু বলেন পরের বার। লেখা চলুক--
facebook
মনে বড় আশা ছিল....। আপনারা অনেকেই ভ্রমণবিষয়ক পোস্ট দেওয়ায় সে অভাবটা অনেকটাই পূরণ হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ, চমৎকার। ওখানে তাপমাত্রা কেমন? হিমবাহ শুনলে যেরকম ঠাণ্ডা মনে হয় আপনাদের পোশাক দেখে সেরকম লাগলো না।
তাপমাত্রা -৩ এর মত ছিল। এখানে আবহাওয়া খুব শুকনো, তাই ১০-১৫ মিনিট বাইরে থাকলে খুব একটা সমস্যা হয় না
এই একটা জিনিস দেখার পর মনে হয়েছে জীবনে দেখার মতো কিছু দেখলাম। বরফ তো সারা শীতেই দেখা হয়, কিন্তু হিমবাহ দেখে মনে হয় সেই বরফ যুগে চলে গিয়েছি। আবার হিমবাহের খাঁজগুলো দেখে টাইটানিকের কথাও মনে পড়ে যায়, সাথে কেটের কথাও ঃ)
আপনার ছবিগুলোতে হিমবাহের শুরুটা নেই। গাড়ি দিয়ে গেলে আপনাকে হিমবাহের মাঝখানে নিয়ে যাবে। কিন্তু হিমবাহের শুরুর অংশটা দেখতে হলে আপনাকে হেটে উঠতে হবে পাহাড় ধরে। গিয়েছিলেন কি? না গেলে পরের বার যায়েন। ওইটার সৌন্দর্য ভিন্ন রকমের।
সচলে স্বাগতম। লিখতে থাকুন। বানান আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে, আর কিছু বানান কোন কালেই ঠিক হবে না ঃ(।
ভালা
ধন্যবাদ :)।
(ভালো লেগেছে ইমো)
চলুক ভাই, চলুক...
সচলে স্বাগতম।
লিখতে থাকুন 'হাত' খুলে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ জায়গা! দারুণ সব ছবি!
সচলে স্বাগতম। হাত-পা খুলে লিখতে থাকেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ছবি দেখে বিমুগ্ধ্...অনেক কিছুই দেখার বাকী আছে এখন ও।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নতুন মন্তব্য করুন