আমরা আর গাড়ি চালাবো না। ইলিয়াস কাঞ্চন, তারানা হালিম, আর যে শালারা অনশন করিছে, সবগুলোরে ধইরে স্টিয়ারিং-এ বসায়ে দিলি ঠিক হবেনে।
২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে বাড়িতে আসছিলাম। ভোর হতে হতে শুনলাম দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্যে পরিবহন ধর্মঘট। এটা ডেকেছে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বাধীন সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ফেডারেশন। তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনিরের মৃত্যু যে বাসের সাথে মাইক্রোবাসের দূর্ঘটনায় ঘটেছিলো, সেই বাসের চালক জমিরসহ সারাদেশে ৩০২ ধারায় আটক সকল চালকের মুক্তিপ্রদান সহ ১১ দফা দাবিতে। লিখিত স্মারকে জামিরের নাম না থাকলেও স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় নাম উল্লেখ করেই জামিরের মুক্তি চাওয়া হয়। স্মারকলিপি প্রদান করা হয় শাজাহান খানের নেতৃত্বে এবং উপস্থিতিতে। আমাদের বাস যখন খুলনা মানিকতলা সিএসডি গুদামের সামনে পৌঁছলো, আমাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ালো লাঠিসোটা হাতে কয়েকশত শ্রমিক। আমাদের বাসের সেই ড্রাইভার হাসিমুখে অবরোধকারীদেরকে অঙ্গীকার করলো যে খুলনা সোনাডাঙ্গা টার্মিনালে পৌঁছেই গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইন্টারেস্টিং একটা জিনিস দেখলাম সেখানে, উপস্থিত অবরোধকারীদের অনেকেরই হাতে গতসপ্তাহে নিহত বিএনপির শ্রমিকনেতা মোদাচ্ছেরের হত্যাকারীদের বিচারের দাবীসম্বলিত প্ল্যাকার্ড।
২০০১ সালে অফিস থেকে আমাকে মাদারীপুরে পাঠিয়েছিলো কিছুদিনের জন্যে আমাদের মাদারীপুর অফিসকে সহায়তা করতে। অফিসটা ছিলো তরমুগুরিয়ায় নদীর পাড়ে। তখনই চিনেছিলাম শাজাহান খানকে। নদীর পাড়ের ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত অফিসে বসে কেঁপে উঠেছিলাম গুলির শব্দে। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে মানুষ দেখেছিলো খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে নদীর এপার থেকে মজনু খান এবং বাহাউদ্দীন নাসিমের ভাইয়ের নেতৃত্বে গুলিবর্ষণ, খালেদা জিয়ার বহরে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের পলায়ন, এবং মুজিবর রহমান সরোয়ারের পাল্টা গুলিবর্ষণ। তখন জেনেছিলাম শাজাহান খান একজন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী রাজনীতিবিদ, দারুন জনপ্রিয়, এবং দরাজ গলার একজন মানুষ। এরপর তাকে জেনেছি একজন মন্ত্রী হিসেবে, শ্রমিকনেতা হিসেবে, এবং সাম্প্রতিককালে একজন পরিবহন দানব হিসেবে।
তার সরকারের বর্তমান আমলে আমরা তাকে বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ের অবতারণা করতে দেখলাম। প্রথম জানলাম শাজাহান সড়ক পথে চাঁদাবাজীর ‘রেট’ নির্ধারণের প্রস্তাব এনেছে। যদিও সে প্রস্তাব যে কোনও কারনে হোক তার বন্ধু সৈয়দ আবুল হোসেনকে মুগ্ধ করতে পারেনি। উপরন্তু আবুল বলেছিলো যে চাঁদাবাজীর মতো একটা অবৈধ বিষয়কে তার মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়ে হালাল করতে পারবে না। এরপর দেখলাম ২৮,০০০ ড্রাইভারের পরীক্ষাবিহীন লাইসেন্স প্রদানের মতো একটা ভয়ংকর দাবীতে তাকে সোচ্চার হতে। ফেডারেশনের মহাসচিব ওসমান আলী (সম্ভবত) স্বাক্ষরিত এবং শাজাহান খান প্রতিস্বাক্ষরিত সেই তালিকা অনুমোদনের অপেক্ষায়ও ছিলো। কিন্তু তখন কিছু মানুষ এর প্রকাশ্য বিরোধিতা করে গণসচেতনতা সৃষ্টি করায় বন্ধু আবুল সেদিনও তাকে ‘খাতির’ করতে পারেনি। আমাদের চলচ্চিত্র এবং সংবাদমাধ্যমের অন্যতম দুই কুশলীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর শাজাহান খান তার এই লাইসেন্স দাবী নিয়ে একটু মিনমিন করলেও সম্প্রতি তার সেই উন্মাদনা আবার চরম রূপধারণ করেছে, বিশেষত সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফেডারেশনের মহাসমাবেশের পর। উল্লেখ্য, এই মহাসমাবেশের শুরুতে ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিতে জুতার মালা পরানো হয়েছে এবং ছবিতে জুতাপেটা করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে দেখতে হবে শহীদ মিনার চত্ত্বরে অনশনকে কেন্দ্র করে অনেক লেখালিখি এবং তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এই কর্মসূচীতে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করা হয়েছে তাতে এটা পরিষ্কার যে আবুল হোসেন এবং শাজাহান খান যা’ই বলুন বা করুক না কেনো, সরকার তাতে নিঃশর্ত সমর্থন দেবে। যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নৌমন্ত্রীর কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ঈদের দিন শহীদ মিনারে ‘ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবী জনতা‘র ব্যানারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে শেখ হাসিনা বলেন,
যারা আজকে শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন উনারা তো নিজেরাই বাড়িতে যাননি। তাহলে তারা কিভাবে বুঝলেন সড়কের খারাপ অবস্থার জন্য বাড়িতে যাওয়া যায় না। তারা যদি আজকেও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন, আমার বিশ্বাস কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন। নিজেরা না গিয়ে এভাবে কথা বলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা সমীচীন নয়। তিনি বলেন, অন্যবারের চেয়ে এবার আরো ভালভাবে সকলে নিজ নিজ এলাকায় যেতে পেরেছেন। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে সড়কপথের পাশাপাশি রেল ও নৌপথেও বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করছে।
প্রধানমন্ত্রী যখন জনদাবীর প্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেন (বোল্ড অংশটুকু) তখন কিন্তু আবুল-শাজাহানকে আর কিছুই ভাবতে হয়না। এধরণের বক্তব্য যেনো তাদের যথেচ্ছাচারকেই পৃষ্ঠপোষকতা করে।
শাজাহানের ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ঘোষনা পরে আবার প্রত্যাহারও করে নেয়া হয়েছে আবুল হোসেনের অঙ্গীকারের প্রেক্ষিতে। আবুল অত্যন্ত সুকৌশলে জামিরের মুক্তির বিষয়ে একটা ধোঁয়াশাপূর্ণ মতামতকে দিয়েছে। যদি জামির মুক্তি পায় তবে তা হবে আদালত সিদ্ধান্ত; আর যদি মুক্তি না পায় তবে তা হবে জনদাবীর প্রতি সরকারের সহানুভূতি।
তবে অবরোধ প্রত্যাহারের খবরের পরও শুনলাম বেশ কিছু সহিংসতা হয়েছে। যশোরের খবর জানি, সেখানে ব্যাপক ভাংচুর হয়েছে। আমার চিকিৎসক বন্ধুকে তার ‘ক্রিসেন্ট’ সাইনের কারনে ভাংচুর থেকে ক্ষমা করা হয়েছে। কোলকাতাগামী শ্যামলী পরিবহনে হামলা করে ড্রাইভার এবং একজন আনসারকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। খুলনায় সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালেও গণ্ডগোল হয়েছে এবং কিছু ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সবই ঘটেছে প্রত্যাহারের ঘোষনার পর।
সরকারীদলের মানুষজনের হরতাল ডাকার কিছু নজীর আমাদের আছে তবে তা নিতান্তই স্থানীয় পর্যায়ের। অনেকদিন আগে বিএনপির আমলে খুলনা চানমারী এলাকার টাইগার মাহমুদ নিহত হলে যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম জহির চানমারী এলাকায় হরতাল ডেকেছিলো এবং তা কিছুক্ষণ পালিতও হয়েছিলো। কিন্তু এবারের এই আঞ্চলিক পর্যায়ের অবরোধটা ফেডারেশনের ব্যানারে ডাকা হলেও এই ফেডারেশনের হর্তাকর্তা মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি এই ফেডারেশনের কোনও নেপথ্য পৃষ্ঠপোষক নয়, কমিটিভূক্ত একজন। এছাড়া এই অবরোধ কর্মসূচীকে আঞ্চলিক বলা হলেও এই অবরোধের কিন্তু একটা জাতীয় পর্যায়ের প্রভাব ছিলো। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে সারা দেশের সাথে বিচ্ছিন্ন করে দিলে কিন্তু সেটা জাতীয় পর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আমরা গত কয়েকযুগের অভিজ্ঞতায় দেখেছি বিরোধী দলগুলোর আহুত হরতাল-অবরোধ কর্মসুচীগুলো দৈনন্দিন ও জাতীয় জীবনকে কিভাবে ব্যাহত করে। এখন যদি তার সাথে সরকারী দলের মন্ত্রীরা সম্পৃক্ত হয় তবে জনসাধারনের জীবনযাত্রায় তা আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। আশ্চর্য হলেও সত্যি যে সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এই অবরোধ কর্মসূচীর কোনও সমালোচনা করেনি। সেই বিবেচনায় বলা যায় যে সরকারও তাহলে এই অবরোধের পক্ষে ছিলো! এই অবরোধ কর্মসূচী যদি বিরোধীদল আহবান করতো তবে নিশ্চিত সরকারদলীয়দের সমালোচনার বানে তা বিদ্ধ হতো। সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে শাজাহান খানের সুযোগ ছিলো এই দাবীদাওয়াগুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে সংলাপ করার যেহেতু তাদের ১১ দফা দাবীর সাথে পরিবহন, স্বরাষ্ট্র, আইন ও বিচারসহ আরও কিছু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ঠতা আছে। কিন্তু তিনি তা না করে জনজীবনে দূর্ভোগ সৃষ্টিকারী এক অবরোধ কর্মসূচী দিয়ে বসলো।
নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা তার এই সিদ্ধান্ত হঠকারী সিদ্ধান্ত ছিলো নাকি অন্য কিছু। তবে এমন হতে পারে যে সে তার ফেডারেশনের সদস্যদের সামনে নিজের একটা আপোষহীন ইমেজ সৃষ্টির চেষ্টা চালালো এইভাবে যে একজন মন্ত্রী হওয়ার পরও সে ফেডারেশনের স্বার্থকে বড়ো করে দেখাতে গিয়ে অবরোধ কর্মসূচী ঘোষনা দিয়েছে। অথবা, নাকি সে সরকারকে তার ক্ষমতা দেখানোর জন্যে একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলো যে তার অঙ্গুলীহেলনে সারাদেশ স্থবির হয়ে যায়, সরকার পারলে তার অবরোধ কর্মসূচী ঠেকিয়ে দেখাক!
একদা বর্তমান সরকারপ্রধান ঘোষনা দিয়েছিলেন যে তার দল ক্ষমতায় গেলে আর হরতাল ডাকবে না। পরে কি হয়েছে তা সবারই জানা। তারই সরকার যেখানে বিরোধীদলের হরতাল, রোডমার্চ, এইসব কর্মসূচীতে সমালোচনায় মুখর, সেখানে শাজাহান খানের ডাকা অবরোধ কর্মসূচীর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের আশ্চর্যজনক নিরবতা দেখে মনে হচ্ছে সরকার আসলেই শাজাহান খানের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ নেয়নি। আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে তার পরবর্তী এ্যাকশান দেখার জন্যে। খুলনা বিভাগে ২০ নভেম্বরের পর থেকে ফেডারেশন আবার অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ঘোষনা করেছে। শাজাহান খানের এ্যাম্বিশন পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্যে আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে হচ্ছে।
এই ব্লগের ইংরেজি ভার্সনটি পাবেন এখানে।
মন্তব্য
হুম। আপনার কথা গুলোতে যৌক্তিকতা আছে। এই হরতালের কথা কিই আর বলি। একটা ঘটনার উল্লেখ দিয়ে যাই ঃ ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গে যখন বাম শাসিত ছিল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী। বামেদের হরতালপ্রীতি'র খবর সবার জানা !!!! কিন্তু পগতিশীল (প্র - নয়) মমতাও কম নন। নিজের দলের ডাকা হরতালে উনার মন্তব্য, রেল হল দেশের বুক। অতএব রেল নয় রাস্তা অবরোধ করুন !! রেল উনার মন্ত্রক, আর রাজ্যের সড়ক সরকারের - হা হা হা - এই হল রাজনীতির পাশাখেলা। তাই হিমু ভাই এর গল্পের ছাগলের মতো আমরাও ছাগলের ছাগল। না, শুধু ছাগল নয় রামছাগল ।
একমত।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভাল লিখেছেন রাতঃদা
মোজাম্বিকে এবার মনসুন ফ্লাডের খবর কি?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অবস্থা বিশেষ সুবিধার দেখি না, কয়দিন থেকে আকাশটা ফুল টাইম মেঘলা, রোজ শেষ রাতে বৃষ্টি হচ্ছে। এই মন্তব্য করতে করতে মেঘের ডাক শুনতে পাচ্ছি, শুরু হবে মনে হচ্ছে এখুনি আবার।
হেলাল ভাই আর সেলিম ভাইকে জিজ্ঞেশ করব, নিশ্চই তারা শাজাহান ভাইয়ের মোটিভের ব্যপারে জেনে থাকবেন।
ও আচ্ছা, থলের বিড়াল তাহলে বেরিয়ে পড়লো। উনারা আপনারও ভাই! তা বেশ, চালিয়ে যান।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ও আচ্ছা, তাহলে ঘটনা এই। আপনি তাহলে থলেতে বিড়াল নিয়েই আগেই ভাই ব্রাদার এসব ডেকেছিলেন, নাকি? আপনার কথা অনুযায়ী তো কথা তা-ই দাঁড়ায়। আমি অবশ্য ভাই ডেকেছি আপনাকে ডাকতে দেখে। আপনার ভাই হলে তো আমারও ভাই। এই সূত্রে আরকি... যেমন এই সুত্র ধরে আরো বলা যায় আপনার মত শামীম ভাই, তোফায়েল ভাই, সুরঞ্জিত ভাই ইত্যাদি।
রাজার পাশের বাসার যে মাঝি, তার আবার যে কাছি, তারও আবার যে গাছি...তার পাশে আমিও আছি... হে হে হে হে...
বেড়ে বলেছেন হে হে হে ............। ঠিক ধরেছেন, আমি সবসময়েই থলেতে একটা দুটো বিড়াল নিয়ে ঘুরি। ভাই প্রসঙ্গে কার যেনো ফেসবুকে একবার দেখেছিলাম কথাটা, বেশ ভালো লেগেছিলো,
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার কাছে হাসিনার আরো সমালোচনা আশা করছি। আশা করি পরের লেখায় তা করে আপাকে একেবারে "হ্যাঁ" করে দিতে পারবেন। পারবেন তো?
লিখেছেন ভালো।
অনেকদিন আপনার দেখা পাইনা ধৈবতদা। কেমন আছেন?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চলুক--
facebook
চালাতে তো চাচ্ছি কিন্তু কিন্তু কেউ কেউ আমার জন্যে মুজিব কোটের অর্ডার দিয়ে দিয়েছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অসুবিধা কি, মুজিব কোট পাঞ্জাবির সাথে পরলে ভালই দেখায়। আর শুধু পোশাক দিয়া যদি চরিত্র বদলান যাইত তাইলে তো হইছিলই।
১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে খুলনার এম. সাহেব আলী এণ্ড সন্স টেইলারিং শপে কয়েক হাজার মুজিব কোটের অর্ডার পড়েছিলো। কিন্তু নির্বাচনের পরে সেই অর্ডারের মধ্যে ৩,৬০০ কোট ডেলিভারী হয়েছিলো না। ওই ৩,৬০০ পাবলিক পরে মনে হয় উপলব্ধি করতে পেরেছিলো যে মুজিব কোটে আসলে 'সিরাম এ্যাট্টা ইসমাট দ্যাহায় না'।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হাহ হাহ...হাসমু না কানমু...কি অবস্থা, একটা কিছু পরলে তাই দিয়া চরিত্র ট্যাগ। তাইলে সাফারী পরলে তো আমারে এরশাদ কয়া লোকজন ধাওয়া দিতে পারে। বাপ্রে।
ইমো দিতে পারছি না। থামস আপ ইমো হবে।
মনের চোখে আপনার ইমো দেখতে পেলাম এবং সশ্রদ্ধচিত্তে গ্রহন করলাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
শাজাহান আর আবুলের খুঁটি এত শক্ত কিভাবে বুঝে পাইনা
টাকা এখানে একটা ফ্যাকটর হতে পারে। কমিশন এবং চাঁদার কাঁচা পয়সার অনেক ক্ষমতা। খুলনা থেকে ঢাকা রুটে প্রতিটা গাড়িকে মোট ১৩৮ স্পটে চাঁদা দিতে হয় দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে। এর মধ্যে বড়জোর ২৫ টা স্পট পুলিশের, বাকীগুলো ফেডারেশনের। আমার কিন্তু মনে হয়না যে শাজাহান একাই এই সমুদয় চাঁদার পয়সা খায়। ফেডারেশনের বাইরেও এর বড়সড় অংশের ভাগা যায় বলে আমার অনুমান।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
যেতে যেতে খুব বেশি কিন্তু আর বাকী নেই!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন