সমগ্র পৃথিবী আজ নীল রঙে রাঙানো! গাঢ়, ফিকে, ভেজা ভেজা কত ধরনের নীল দখল করে আছে দৃষ্টিসীমার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত। মাঝে মাঝেই ভ্রম হচ্ছে সামনের দিগন্তবিস্তৃত সমুদ্রখানা আসলে স্ফটিকস্বচ্ছ এক আয়নার তেপান্তর, তাতে প্রতিবিম্ব ফেলে দ্বিতীয় নীলাকাশ তৈরি করেছে ক্যারিবীয় অঞ্চলের মেঘমুক্ত ঝকঝকে আকাশ। এই স্বর্গনীলেও যারা সন্তুষ্ট নয়, তাদের ক্ষুদে এক দল চলেছে নৌকায় চেপে অথৈ নীল সাগর জলে অবগাহন করতে। স্থান কিউবার উপকূলবর্তী শহর ত্রিনিদাদের প্লায়া অ্যাংকন সৈকত।
খানিক আগেই জীবনে প্রথমবারের মত প্রবাল সাগরে ডুব দেবার জন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইন আর সরঞ্জাম নিয়ে বহুজাতিক এক দলের সদস্য হয়ে চলেছি গহন সমুদ্রে। তার আগে বেশ ক,বছরের সঙ্গী চশমা নামক অতি আবশ্যকীয় অত্যাচারটিকে স্থানীয়দের জিম্মায় রেখে, চুলগুলো লোনা জলে আচ্ছাসে ভিজিয়ে খুলির সাথে লেপ্টে নিয়ে, মারো জোয়ান হেঁইয়ো বলে এই সুদৃশ্য পলকা নৌকা ভাসিয়েছি সমুদ্রে।
ঘন নীল চিরে বেশ কিছুক্ষন এগোনোর পরে প্রবাল প্রাচীরের চিহ্ন (জেলেদের রেখে যাওয়া মার্কার) দেখার পরপরই নোঙর ফেলা হল, গাইড সিনর হুয়ান বারংবার জানিয়ে দিল এই সাগরে কি করে ডুব দিয়ে প্রবালের কোনরকম ক্ষতি না করে কেবল এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। আর এই যাত্রা ডুব খুব গভীরে দেওয়া যাবে না, কেবলমাত্র স্নরকেলিং করা যাবে, অর্থাৎ চোখে ডুবুরীর গগলস লাগিয়ে জলে উপুড় হয়ে ভাসতে ভাসতে নিচের দিকে তাকিয়ে সেই আলাদা জগৎকে দেখতে হবে এই উথালপাথাল ঢেউয়ের মাঝে। সেই সাথে পইপই করে বলে দিয়েছিলেন প্রবাল অতি ধারালো, কোন মতেই যেন আমরা তার সাথে ঘষা না লাগায়, আর তার অনুমতি ছাড়া যেন কোন কিছুই স্পর্শ না করি। মনে মনে ভাবছিলাম, এই পানির উপর দিয়ে তাকিয়ে কিই বা আর দেখতে পাব, তার জন্য এত আয়োজন! কি কুক্ষণে যে কৈশোরে তিন গোয়েন্দার অথৈ সাগর পড়েছিলাম, তখন থেকেই মুখিয়ে আছি প্রবাল সাগরে একবারের জন্য হলেও ডুব দেবার জন্য। সেই টানেই তো বঙ্গসন্তান আজ কোথাকার কোন হাঙর অধ্যুষিত সাগরে!
জলে ঝপাস করে নামার পরে খানিকটা সুস্থির হয়ে নিঃশ্বাস নেবার পাইপটা দাঁতে কামড়ে যেই সাগর পৃষ্ঠে চোখ রেখে নিচের দিকে তাকিয়েছি—কেবল একটা শব্দই মাথায় এল- জাদু! এ ভোজবাজীর জাদু ছাড়া আর কিছুই না, দেখছিলাম বিক্ষুদ্ধ সমুদ্র, তরঙ্গের পর তরঙ্গ আর মুহূর্তের ব্যবধানে দেখলাম যেন পরীর রাজ্য, বহুবর্ণ প্রবাল সম্ভার, তাতে রঙধনুর সাত রঙের আবীর যথেচ্ছ শরীরে মাখা মাছের ঝাক! মনে হল স্বপ্নের ঘোরে আছি, এ জিনিসতো এতদিন দেখেছি কেবল টেলিভিশনের পর্দায়, অদম্য খুশীতে চিৎকার করে উঠেছিলাম হয়ত, মুখ থেকে পাইপ সরে যাওয়ায় পাকস্থলীতে কয়েক পোয়া জল যাবার পরে মনে পড়ল সাগরের জল ভয়াবহ নোনা!
উপরে ভেসে আবার পাইপ পরিষ্কার করে নিয়ে খানিকক্ষণ ধীরে সুস্থে স্নরকেলিং করে আবার ডুব দিলাম অল্পক্ষনের জন্য, কি আশ্চর্য চোখের গগলসখানায় ১০- ২০ মিটার গভীরের বস্তু অনায়াসে দেখা যাচ্ছে কোনরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই, মনে হচ্ছে কোন ডকুমেন্টরীর সেটে চলে এসেছি ভুল করে। কত ধরনের মাছ, কত অপূর্ব প্রবাল, আর কতো নাম না জানা জীব।
এর মাঝে উৎপাত করে চলল মেডুসা নামের এক জেলিফিশ, যদিও সিনর হুয়ান বলেই দিয়েছিলেন আকারে খুব বড় না হলে মেডুসাকে পাত্তা দেবার কিছু নেই, আর বৃহদাকৃতির হলে স্রেফ এড়িয়ে যেতে হবে। সেই সাথে খুব করে সাবধান করে দিয়েছিলেন সমুদ্রের সজারু খ্যাত সী আর্চিন নামের বিদঘুটে প্রাণীটির ব্যপারে, সমুদ্রের তলদেশে দেখলাম এরা হাজারে হাজারে জাকিয়ে বসে আছে, তাতে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু গুটিকয়েক আবার আস্তানা গেড়েছে প্রবালের নানা গর্তে, তাই প্রবাল প্রাচীরের উপর দিয়ে যেতে যেন কোনভাবেই তাদের শরীরে পা না পড়ে! পড়লেই চিত্তির, সজারুর কাঁটার মত মানবদেহের গভীরে তা ঢুকে যাবে নিমিষে!
সেই স্বপ্নরাজ্যে ঘোরের মধ্যে আমাদের কেটে গেল ঘণ্টা দেড়েক চোখের নিমিষে, গাইডের সাথে সাথে প্রবাল উপত্যকায় নামলাম সবাই, দুপাশে কেবল প্রবাল স্তূপ, বিশ্বের যাবতীয় হীরা-চুনি-পান্নার চেয়ে অনেক অনেক মোহনীয়, কিন্তু ওপর পাশে দেখার উপায় নেই। থেকে থেকেই দেখা হল বিশালাকৃতির মাছের ঝাঁকের সাথে, কিছু কিছু জীব তাদের খোঁড়ল থেকে কেবল অস্তিত্ব জানান দিয়েই যেন সন্তুষ্ট করল আমাদের। নৌকায় ফেরার সংকেত পেয়ে রীতিমত বিরক্ত হয়েই পা চালালাম ( মানে পায়ে লাগানো ফিন),
কিন্তু মন তখন এমন অপূর্ব অনন্য অসাধারণ জগৎকে এত কাছ থেকে দেখার আনন্দে মাতোয়ারা, খুশীতে ২৮ খানা দাঁতের (৩২টাই ছিল, ৪ টা আক্কেল দাঁত ফেলে দেওয়ায় ২৮ টাই থাকার কথা, যদিও চরম উদাস দা ইদানিং মনে করছেন সেই সংখ্যা ৪২ হতে পারে) সবটাই বেরিয়ে পড়েছে।
নৌকায় তীরে ফেরার পথে হেঁড়ে গলায় মনের সুখে গান ধরলাম- ও রে নীল দরিয়া- য়া –য়া।
সেই সাথে সাথে তখনই প্রতিজ্ঞা করে ফেললাম কিউবা থাকা অবস্থায় একেবারে সমুদ্রের গভীরে একবার হলেও ডুব দিতে হবে, এভাবে উপরে ভেসে ভেসে স্নরকেলিং না, অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে প্রবাল সাগরের তলদেশে যেয়ে উপভোগ করতে হবে সেই অন্য পৃথিবীর রূপ, রস, গন্ধ।
কিউবার নানা জনপদ ভ্রমণের ফাঁকে ফাঁকে সুযোগ পাওয়া মাত্রই সাগরে ঝাপ দিয়ে মিতালি যেমন আরো গাঢ় হয়েছে তেমন প্রতিবারই অভিভূত হয়েছি স্নরকেলিং করে। কিন্তু সাগরের সেই বহুবর্না তলদেশ ডাকতে থাকে এক সম্মোহনী ভাষায়, সেখানে না গেলে যেন মোক্ষ লাভ হবে না এই ক্ষুদ্র নশ্বর জীবনের। বিশ্বের ২য় বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীরটা এই ক্যারিবীয় দ্বীপেই অবস্থিত ( বৃহত্তমটা গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ), মনের কোণে আশা ছিল সেখানেই এই অসামান্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার, কিন্তু তার বদলে এই অন্য বিশ্বের সাথে আমাদের পরিচয় ঘটল প্লায়া হিরণ নামের এক শহরের কাছে ( অনেক শতাব্দী আগের এক ত্রাস সৃষ্টিকারী ফরাসী জলদস্যু ছিল এই হিরণ) ইতিহাস বিখ্যাত বে অফ পিগস-এ।
(সেই বে অফ পিগস যেখান দিয়ে কেনেডির শাসনামলে ফিদেল কাস্ত্রোর নবগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ, একতরফা, সশস্ত্র আক্রমণ চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবং সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে কিউবার দ্রোহের মন্ত্রে উজ্জীবিত সৈন্যদের কাছে পরাজয় ঘটে সি আই এ পরিচালিত মার্কিন বাহিনীর)।
তবে জলের গভীরে এই যাত্রা বড়ই বন্ধুর, অধিকাংশ দেশেই ৩ থেকে ৪ দিন স্রেফ ট্রেনিং-এ কাটে, প্রথমে সুইমিং পুলে সিলিন্ডার নিয়ে কসরত, এর পরে হ্রদে, পর্যায়ক্রমে অগভীর সাগরে তারপর গভীর সমুদ্রে, কিন্তু হাতে সময় বড় কম বিধায় মাত্র ১ দিনের ডুবুরী হবার চেষ্টা চালালাম। হয়ত সে কারনেই গাইড হিসেবে পাওয়া গেল সিনর হুলিও সানচেজ রুইজ কে, যিনি কিউবার অন্যতম সেরা স্কুবা ডাইভার, আবার একই সাথে পুরস্কারজয়ী জলের নিচের আলোকচিত্রগ্রাহক। সেই সাথে ডুবুরী হিসেবে সঙ্গে থাকল ফিনল্যান্ডের তরুণী সারা এসকেলিনেন।
নির্দিষ্ট দিনে সকালে বেশ খানিকক্ষণ হাতে কলমে সব শিক্ষা দিলেন সিনর হুলিও, সেই সাথে পই পই করে বলে দিলেন জলের নিচে যে কোন জিনিস প্রায় ২৫ % বড় দেখায় আর প্রায় ৩০ % কাছে দেখায়, কাজেই কোন বড় জীবকে কাছাকাছি দেখলে এত ঘাবড়ানোর কিছু নেই, কারণ তার আসল আকৃতি এবং অবস্থানের দূরত্ব আসলেই অন্য রকমের। সেই সাথে জলের নিচে নিঃশ্বাস নেওয়া ও ছাড়া, মুখে পানি ঢুকে গেলে কি করনীয়, বিপদে পড়লে কি করতে হবে এমন হাজারো টুকিটাকি জিনিস জানতে হল সেই অল্প সময়েই।
এখন একটা অন্য প্রসঙ্গ বলি সংগত কারণেই, এখন পর্যন্ত মানুষের যতগুলো ভয়ের কারণে জানা গেছে তার সবগুলোই কোন না কোন ভাবে বংশানুক্রমে জিনবাহিত হয়ে ছড়িয়ে গেছে মানববিশ্বে, এই ভয়গুলোর কারণ প্রোথিত আছে অনেক অনেক গভীরে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যখন আমাদের পূর্বপুরুষরা আফ্রিকার সাভান্নাচারী ছিলেন। যেমন পড়ে যাবার ভয়, আঁধারকে ভয় ইত্যাদি। তেমন খুব প্রচলিত একটা ভীতি জলের ভীতি, অর্থাৎ জলের পৃষ্ঠের নিচের কোন কল্পিত অজানা কোন কিছুর ভয়। মায়ের কাছ থেকে আমরা দুই ভাই বেশ ভাল ভাবেই পেয়েছি সেটা, যদিও আমারটা ঠিক ভীতি নয় কারণ পানিতে থাকতে বেশ ভালবাসি বলতেই হবে। কিন্তু শৈশব জুড়ে যে জিনিসটা আমার স্বপ্নে মননে ছিল তা হল লক নেসের দানব! এই নিয়েই অজস্র বই, তথ্যচিত্র, ম্যাগাজিন, সাক্ষাৎকার কিছুই বাদ দিই না এখনো, জানি মানুষের কল্পনা আর মিথ্যা আছে এটা সহ অনেক ঘটনার পিছনে, তারপরও জলদানব সম্পর্কিত বই পেলে এখনো নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে সেই নিয়েই মেতে থাকি। কাজেই, আমি বা আমার মত মানুষেরা যে পানির নিচে এই কোন প্রাণীর অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তায় থাকব তা বলাই বাহুল্য( অবশ্য অনেকের কাছেই শুনেছি তারা ভয় করেন কুমিরের, বড় মাছের, অজানা সরীসৃপের)।
সিনর হুলিওকে এই কথা জানাতেই তিনি বললেন দেখ পানির নিচের জগৎ একেবারেই আলাদা, যেহেতু তোমার প্রথমবার কাজেই উৎকণ্ঠা থাকবেই! তোমার কাজ হবে এইসব চিন্তা যতদূর সম্ভব কম করে চারপাশের মাছ, প্রবালের শোভা উপভোগ করা। আর আজ কোন ভাবেই ১০ মিটারের বেশী গভীরে যাব না, এখানে হাঙরও বিরল, আশংকার কিছুই নেই। যদিও তার গড়গড়ে স্প্যানিশ বোঝার ক্ষমতা এখনো হয় নি, কিন্তু সারার সাহায্য নিয়ে মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া গেল।
প্রায় মধ্য দুপুরে আমাদের যাত্রা শুরু হল অন্যগ্রহের পানে! জলের নিচে যে আসলেই আমাদের চেনা-জানা বিশ্ব থেকে এতটাই আলাদা যে একই গ্রহের অংশ বলে মনে হয় না, বরং নিজেদের অন্য কোন পৃথিবীতে অনাহুত আগন্তক বলে মনে হতে থাকে সর্বদাই। প্রথমেই আমাদের আস্তে আস্তে এক মিটার এক মিটার করে জলের বিপুল চাপের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে এগোতে হল, বিশেষ করে খানিক পরপরই নাকে চাপে দিয়ে দুই কান দিয়ে বাতাস বাহির করে দুই কানের চাপ ঠিক রাখতে হচ্ছিল, এর অন্যথা ঘটলেই মহাবিপদ, খানিকপরেই শুরু হবে অসম্ভব কান ব্যথা, তখন তীরে ফেরা ছাড়া গতি থাকবে না!
এর মাঝেই সাগরতলে ছড়িয়ে গেছে আমাদের আগমন বার্তা, রঙের মিছিল করে কত শত ধরনের মাছেরা যে আমাদের দেখতে এল! কিছু কিছু রঙ তো মনে হল একেবারে কাঁচা গুলে দেওয়া। এর ফাঁকে তাদের জন্য আনা খাবার খাওয়াতে থাকলাম, সিনর হুলিও ফ্রেমবন্দী করতে থাকলেন সেই অসহ্য সুখের চকচকে মুহূর্তগুলোকে।
আসলে, আশেপাশের সবার অস্তিত্বই ভুলে গিয়েছিলাম বহুবর্ণা মাছেদের জলকেলীর সঙ্গী হিসেবে পেয়ে, এর মাঝে ডানপাশে বিশাল চলমান কিছুর অস্তিত্ব টের পেয়ে ভীষণ চমকে ঝট করে ঘুরে যেতেই দেখি আমাদের গাইড এর মাঝে ভিডিওর কাজও সেরে ফেলেছেন!
ক্রমশ আরও গভীরে চলেছি আমরা তিনজন, জলের চাপ বাড়ছে ক্রমশ, কানের ব্যথা টের পাচ্ছি থেকে থেকেই, সেই সাথে নজরে আসছে ভিন্ন ভিন্ন প্রবাল, সেখানে আশ্রয় নেওয়া ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাছ।
গভীরতা বাড়ার সাথে সাথে জীববৈচিত্রের জগতে আমদানি ঘটেছে নতুন নতুন বাসিন্দার। অপূর্ব সুন্দর সী স্ল্যাগের সাথে দেখা হল, আলগোছে যেন উড়ে চলেছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর দিয়ে। বিস্ময় ভরা চোখে দেখলাম ক্ষুদে লাল সী আর্চিনদের, শতদল মেলা পদ্মের মত কাঁটা উচিয়ে বসে আছে। প্রবালখণ্ডে বাস করা অজানা জীবগুলোকে, যাদের গোটা দুইকে গাইডের অনুমতিক্রমে স্পর্শ করা মাত্রই যেন উধাও হয়ে গেল চোখের নিমিষে প্রবাল পাথরের মাঝেই!
এমনি টুকরো টুকরো স্মৃতির মণিমাণিক্যে ভরে উঠতে থাকল আমাদের রত্নভাণ্ডার। কি বিপুল ঐশ্বর্য এক জগতে! আমাদের গ্রহের ৭০ ভাগই যেহেতু জলের নিচে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে কি আমরা কোন একদিন চিরস্থায়ী ভাবে বসবাস করতে আসবে এই পরীর রাজ্যে!
মনের আনন্দে নেমেই চলেছি এই খাড়ির মাঝে এই সময় উপরের দিকে চোখের দৃষ্টি গেল, গাইড বলেই দিয়েছিলেন উপরের দিকে পারতপক্ষে না তাকাতে, কেন এইবার বুঝলাম- মাথার উপরে প্রায় ৭ মিটার জলের স্তর, উপরে সূর্যের রাজত্বের প্রান্তসীমা বোঝা যাচ্ছে, এমতবস্থায় নবীন ডুবুরীরা ভয় পেয়ে বসতেই পারে- যদি এখন কিছু হয় কি করে যাবে এতটা পথ! বাতাস শেষ হয়ে তীরে পৌঁছাতে পারব কি! যাই হোক, ভালই ভালই সে যাত্রা সামলে এক বিশাল প্রবাল প্রাচীর টপকে যেতেই এক অদ্ভুত আবিস্কার করলাম! আমি একা! আমার সঙ্গীরা সাথে নেই, তার কি ২ মিটার দূরে প্রবাল প্রাচীরের অন্য পাশে নাকি দুই হাজার মাইল দূরে মহাসাগরের অন্যপ্রান্তে তা জানার কোন উপায় নেই, অ্যাড্রিনালিনের বন্যা ছুটছে শিরাউপশিরা বেয়ে, হৃৎপিণ্ড শব্দ করে চলেছে মস্কোর জার ঘণ্টার মত। এর মাঝেও মনে হল অজানা অনেক পথেই তো আমাদের একাই এগোতে হয় জীবনে, নতুন কিছুকে আবিস্কারের নেশায়, থেকেই দেখি না কিছুক্ষন এক এই ভিন্ন গ্রহে আর সবকিছুকে ভুলে, এই অপরূপ বিশ্বে মেতে থেকে।
খানিক পরেই ( হতে পারে সেটা ১০ সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট ) সারার দেখা মিলল, সংকেতে জানলাম আজকের সময় শেষ, ফিরে যেতে হবে ডাঙ্গায়, আমাদের প্রত্যহ জীবনে। কিন্তু সাথেই চলল এই অজানা অদেখা রাজ্যের প্রতি তীব্র বিস্ময় আর ফিরবার প্রবল আকাঙ্খা।
(বন্ধুরা এই পৌনে তিন মিনিটের ভিডিওটি আমাদের অজান্তেই করেছিলেন সিনর হুলিও, ভিডিওটি না দেখলে কিন্তু লেখার রস পুরোটা উপভোগ্য হবে না, সেই সাথে এই লেখায় জলের নিচের ছবিগুলো তার তোলা, সিনরের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই, আর এই লেখাটি বন্ধু কাম বন্ধুর ছোট ভাই রিজোয়ান রিয়েলের জন্য)
http://youtu.be/jW4PYu8aJH0
মন্তব্য
ইটা রাইক্ষালছি...
ও মানিকদা গেলেন কই? এদিকে মন্তব্য টন্তব্য করে তো সবাই পোস্ট আন্ধার করে ফেললো
হ ,আমিও ভাবি মানিকদা গেল কই! কোন আলাদা বাতি আনতে নাকি। কিন্তু মানিকদা আমার কুন দুষ নাই, কল্যাণ দা প্রথম প্রতি মন্তব্য করছে!
facebook
ইস্পিশাল এনার্জী বাত্তি হইব লিচ্চয়, তাই টাইম লাগতেছে। কিন্তু আমি কিছু একটা ভজঘট করে দিলাম নিকি? এদিকে মন্তব্য লেখা নিয়ে বড় ঝামেলায় আছি, কখনো পোস্ট হয়, কখনো হয় না, আবার কখনো ইমেজ ভেরিফিকেশন করতে কয়, এর মদ্ধ্যে দেখি একই মাল দু দু বার কইরা আইছে।
facebook
ও মানিকদা গেলেন কই? এদিকে মন্তব্য টন্তব্য করে তো সবাই পোস্ট আন্ধার করে ফেললো
এইটাই বাকি ছিলো!!
ঠাডা পড়বে, ঠাডা!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শুধু ঠাডা না, তার লগে কয়েকটা ধুমকেতু ভাইঙ্গা পরুক
আপনাদেরও যে বুদ্ধি ! ওইসব ঠাডা মাডায় কাম হইত না। এইটারে বিয়ে দিয়ে দেন। তখন দেখবেন ঘরের দরজা জানলা ছাড়া আর কিছু দেখতে পাবেনা। আর খুদা না খাস্তা, ঘরওয়ালি যদি দজ্জাল কিসিমের হয় তাহলে তো আর কথাই নাই। তখন টেরটি পাবে বাছাধন কত ভুট্টায় কত পপ কর্ন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
জলের নিচে ঠাডা আর কি করবে !
কিন্তু আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আশা লতাদির এমন গেরিলা আক্রমণের পরিকল্পনার প্রতিবাদে। সেই সাথে বিয়ে ও পরিবার থেকে এক চাঁদ দূরত্বে থাকার পরিকল্পনায় অটল থাকার খায়েশ পেশ করছি। কে আছেন আমার দলে?
facebook
লতাদি, এক চাঁদ দূরে ভাবীরে মানে অণু ভাইয়ের বউরে পাঠায় দেন...
অতীত
না মিয়া আন্নেরে বিয়াশাদি দেওনেরই কাম!!!
_____________________
Give Her Freedom!
Aim in life--- NOT ALL MEN ARE FOOL, SOME ARE BACHELORS !!!
facebook
আমি একমত হইতারতেছিনা আশাদিদি। অণুদাদার বক্তব্যেও না। অণুদাদার বৌ হবে অণুদাদার মতই আরেক নামকরা পর্যটক, আর দুইজনে মিলে বিশ্ব কাঁপানো সব ছবি, লেখালেখি দিয়ে বাংলাদেশের নামোজ্জ্বল করবে এইটা বরং শ্রেয়তর চাওয়া হবে। ঘরকুনো, দজ্জাল বৌদি চাই নাকো! বৌদিদি হলে সেই রকমই হওয়া উচিত যিনি দাদার মতই বা তার থেকেও বেশি ঘুরতে, পড়তে, জানতে পছন্দ করেন! আশাকরি শীঘ্রই সেই রকম কাউকে আমরা পাবো!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
খাইছে! ভাই, আমার একটা রিকোয়েস্ট। আগামী লেখায় আপনি কী কী করেননি তার একটা লিস্ট দিবেন। তাহলে একটু শান্তি পেতাম। আপনার লেখাগুলো পড়ে যে বুকের ভেতরটা জ্বলে যাচ্ছে দাদা!!
সে তালিকা বেশী বড়রে ভাই, হিমালয়ের চেয়েও উঁচু, তার চেয়ে সামনের দিনগুলোতে করা কাজগুলো নিয়ে একটু একটু করে বলতে থাকি!
facebook
এদ্দিন স্থলচর ছিলেন, এইবার জলচর হইয়া উভচর হওয়া শুরু করসেন...আগামীতে কি খেচর টাইপের কিছু দেখাইবেন???
আপনি একটা চিজ মানে বস্তু সেইটা আন্দাজ করি...কিন্তু বস্তুর কোন গতিবিদ্যা আপনার উপ্রে খাটে জানতে মঞ্চায়।
অতীত
খেচর-- ভাল বলছেন তো! দাঁড়ান দেখি, পাখিদের নিয়ে কাজ করার খুব ইচ্ছে, যদি ওদের মত হতে পারি খারাপ কি ! তবে তখন গতিবিদ্যার পড়ন্ত বস্তুর সুত্র কাজ করবে!
facebook
ভাই, আপনার আয়ত্তের বাইরে এহন খালি সৌরজগত আছে মনয়...আর অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আপনারে ক্ষেত্রে পড়ন্ত বইলা কিছু নাই...সবই চলন্ত বা ছুটন্ত
অতীত
ডুবন্ত !!
facebook
এক্কেবারে মনের কথা কইয়া ফালাইছেন ভাই। সৌরজগত এ যাওয়ার আগে আমাদের নিজেদের গ্রহের আনাচে-কানাচে দেখায়ে দিচ্ছে।
আব্দার !! তয় বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় যায়তে বড় মন চায়।
facebook
তারেক অণুরে ঝাকানাকায় ঢুকায় দিব ভাবতেছি। আপনারা কী বলেন?
হ বদরু খাঁ কিম্বা ঝাকানাকা যখন কোন গোপন আস্তানায় প্যাচ শিখতে যাবে, যেয়ে দেখবে তারেক অণু বৈসা আছে
অথবা ভুরুঙ্গুমারিতে তারেক অণু লেখা যেতে পারে
ঠিক ঠিক
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঢুকায় দ্যান তো!!!
_____________________
Give Her Freedom!
দারুন হবে। দ্যান ঢুকাইয়া।
সালাম আপনারে।
দোহাই লাগে হিমু ভাই , এই কথা চিন্তাই কইরেন না ! হায় হায়, আপনি এক পচা হাবুল আবুল মন্ত্রীর কাজে চেতে নিরীহ অসাধারণ জীব গণ্ডারের উপর যেই রকম সিরিজ লেখা শুরু করছেন ! এখন মানুষ গণ্ডার শুনলেই হাসে, আর আবুলের নামই ভুলে গেছে!
facebook
হ - হ - হ - খুব ভাল হইব হিম্ভাই। একটা গোপন খবর দিয়া যাই যদি ঝাকানাকায় লাগে, যদিও দেইখা মনে হয় তারেক অণুরে কেউ আটকাইতে পারব না কিন্তু একবার রাইত ১টায় আটকা পড়ছিল, কিঞ্চিৎ ভয়ও মনে হয় পাইছিল, সাক্ষীও নাকি আছে। বাবারে আমি কিছু কই নাই, আর কিছু কমু না, বুল্লে পরে বুল্বেহেনি বুলছিল, এইবার পলাই। (দন্ত বিকাশ এর সাথে মাথা চুল্কানো আর টাইন্যা দৌড়ের ইমো)
এইটা ঠিক হইল না দাদা! দাঁড়ান, এই ফাঁকে মোজাম্বিকের কাহিনী লিখে ফিলতে হবে, না হলে কানাঘুষো শুরু হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। কই ভাগছেন আগেই জানায়েন! দেশে গেলে কিলি আসবেন কি করে আবার !
facebook
ধারে কাছেই ভাগতেছি, হেহ হেহ।
অণু লেখায় গুঁড়, লাড্ডু, কালিয়া, কোরমা সেইসাথে কয়দিন আগে ধুগোদা ঘি দিয়ে বিরিয়ানি রানছিল সব দিলাম।
সিরিয়াস কথাঃ তোমার উছিলায় অনেক কিছু দেখা হচ্ছে, তোমার ভ্রমণ অব্যাহত থাকুক, কোন কিছু যেন তোমারে আটকাইতে না পারে। যা কিছু ঘুরাঘুরির স্বপ্ন দেখছিলাম সব মনে হচ্ছে পূরণ হয়ে যাচ্ছে। চালিয়ে যাও।
আপডেটঃ মোজা সংক্রান্ত ঝামেলা গেছে, নভেম্বরের শেষে কেটে পড়তেছি, একটু গুছাইয়া নিয়া কিলি পরিকল্পনা শুরুর ইচ্ছা।
অণু বলতে ভুলে গেছিলাম ভিডিওটা দুর্দান্ত।
মোজা! (গালে হাত দিয়ে ভাবার ইমো)
সে একটা সেইরাম রহস্যরে ভাই, একটা দেশের নামের পেত্থম অংশ (চোখ টিপি মারার ইমো)
আরে দাদা ভাগতেছেন কই! জো বার্গ নাকি !
facebook
হ হ, সেইরামই যে সব আউগায় দেখতেছি
সাথে 'সারা'কেও
হ হ দ্যান। কিংকু চৌধারী তাকে আচ্ছা করে পিটায়ে বেঁধে রেখে দেবে...
কসটভ অনেক বেটার চয়েস !!! দ্যান এরেই--
facebook
হ। এইটাই বাকি আছিল।
বেটা অনু তরে পাইলে খাইছি। আসাম যাবার লাইগা আইবানা, তখন দেখামু রঙ। খুডা দিয়া বইছি, একবার পাইলেই অইলো
আসছি, দাদা, কিন্তু কবে বলতি পারি না। কিন্তু আসব।
facebook
সারাদিন অফিস করে সন্ধ্যায় বাচ্চাকে পড়তে বসানো--- এ ছাড়া আর কোন দিকে নজর দেবার উপায় নাই। আর আপনে মিয়া সারাদুনিয়া ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। এতদিন তাও ডাঙায় ছিলেন, তাই লেখা পড়ে ও ছবি দেখে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেলেও কোনরকমে হজম করে যাচ্ছিলাম কিন্তু এবার বহুত বাইরা গেছেন, কথা নাই বার্তা নাই সোজা প্রবাল সাগরে ডুব মারছেন। আরতো সহ্য হয় না। কেউ কি নাই যে এরে ঘরের ভিতরে বাইন্দা রাখে ................
না না, যেই বাঁধতে চাই, সে ও বাহিরে চলে আসে।
facebook
ইয়া ক্ষোদা! আপনার সাথে যদি কোন দিন দেখা হয় তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করবো হে অনুবুড়ো। দেখা করার আগে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের শিশিতে করে এক শিশি ধুলা নিয়া আইসেন আমার জন্য।
যাব যাব, ঘোড়ায় লাগাম রাখেন।
facebook
এতদিন মাটি ছাইড়া উপরে উঠতেন, এখন নামতেছেন নিচে... এরেই বলে অধঃপতন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এখনো মহাশূন্যে যাওয়াটা কিন্তু বাকি আছে ভাই
ঠিকই বলছেন নজু ভাই, কিন্তু আপনের নিশ্চয়ই জানা আছে, আজ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এভারেস্টে উঠেছে কিন্তু পৃথিবীর গভীরতম জায়গা মারিয়ানা ট্রেঞ্চে গিয়েছে মাত্র ১ জন !! সেখানে যাওয়া আরও অনেক অনেক ব্যয়বহুল।
facebook
মারিয়ানা ট্রেঞ্চে যাওয়া তো সহজ... মারিজুয়ানা গিলে একটু ভাবলেই হয়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খিক্ক (চোখ টিপি)
যা বলেছেন!
facebook
মারিয়ানা ট্রেঞ্চে কি আসলেই যাওয়া সম্ভব। আমার জানা মতে প্রচুর চাপে তো মানুষের গুঁড়ো হয়ে যাবার কথা। সমুদ্রের একটা নির্দিষ্ট লেভেলের নীচে সম্ভবত আর কোনো মেরুদন্ডী প্রাণী বসবাস করে না, জলচাপের কারণে। সেখানে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ প্রায় ছত্রিশ হাজার ফিট গভীর।
খুব বিশেষ ভাবে নির্মিত সাবমেরিনে সম্ভব হয়েছিল। সেই, ১০,০০০ মিটারেরও বেশী গভীর!
facebook
অনু ভাই,২ জন কেবল সেখানে গিয়েছে এ পর্যন্ত। http://en.wikipedia.org/wiki/Bathyscaphe_Trieste
ধন্যবাদ। আমি বছর কয়েক আগে ১ম জনের সাক্ষাৎ পড়েছিলাম, ইস, কি অভিজ্ঞতা! পরের জনের কথা জানা ছিল না, আবারো ধন্যবাদ।
facebook
আশালতার একটা লেখা পড়লাম, `এইম ইন লাইফ' । তা আপনার এইম ইন লাইফ কি মঙ্গলগ্রহে ভ্রমন , নাকি সূর্য !
নীল জল আর নীলাকাশ প্রাণ জুড়িয়ে দিল। শারীরিক সব কষ্ট নিমেষে ভুলিয়ে দিল। ভিডিওটিও দেখলাম।
হ্যাটস অফ টু ইউ (যুতসই বাংলা মনে করতে পারলাম না )।
ভাল থাকবেন।
প্রৌঢ়ভাবনা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকাশ আর সাগর আসলেই আলাদা। এইম ইন লাইফ--- এর মানে যেন কি !
facebook
হ।
এই লোকটা পুরা অমানুষ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তোমরা যখন পড়তে বস মানুষ হবার জন্য,
আমি না হয় পাখিই হব, পাখির মত বন্য।।
facebook
অণুদা আপনি আসলেই কিংবদন্তি!!! এই রকম কোন বাংলাদেশি এই মর্ত্যে আছে আমার মালুম ছিল না!!!
_____________________
Give Her Freedom!
আছে আছে, অনেকেই আছে, হয়ত আমরা জানতে পারি না।
facebook
আফনে পছা, ঈর্ষা কইরাও কূল পাই না
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
খামোখা, ঈর্ষার আছে টা কি!
facebook
"অণুদা আপনি আসলেই কিংবদন্তি!!! এই রকম কোন বাংলাদেশি এই মর্ত্যে আছে আমার মালুম ছিল না!!!"-মৃত্যুময় ঈষৎ-এর সাথে ১০০০ ভাগ সহমত।
আপ্নে এদ্দিনে উভচর মানুষ হইলেন,খেচর হইবেন কবে?
অণুদা,আপনি আগামি সময়ের জন্য কী কী অভিযাত্রার পরিকল্পনা করেছেন?
এই বছরের শেষে মানে সামনে মাসে জীবনের সবচেয়ে অ্যাডভেঞ্চারাস ট্যুর দিতে জানাচ্ছি। পুরো মধ্য আর দক্ষিণ আমেরিকা। জানাবো আপনাদের। পরিকল্পনার অভাব নেই কিন্তু দিল্লী বহুত দূর।
facebook
ধন্যবাদ আপনাকে, সাগরতলে আমাদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসার জন্য। অসাধারণ সব ছবি, লেখা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যেন জিওগ্রাফি চ্যানেল দেখছি, আর আপনার সৌভাগ্যকে সবার মত ঈর্ষা করছি। ভবঘুরে শাস্ত্রের নিয়ম মেনে চলবেন আশাকরি, আশালতাদির কথা কানে নেবেন না, তাহলে আমরা পাব দুনিয়া দেখার পরোক্ষ আনন্দ। সুস্থ থাকুন।
এই তো, আপনেই বুঝলেন!!
facebook
আমার দড়ির সাপ্লাইটা এখনো আইতাছে না আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একটু লম্বা দেখেই আনিয়েন! কাজে দিবে আমার!
facebook
শোনেন মিয়া, বিবাহ কৈরেন না জীবন থাকতে। বিয়া হৈলো একটা ব্যাকগিয়ার। খালি পিছে টানবো। লম্বা দড়িতেও কাজ হবে না কৈলাম!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা, তথাস্ত !
facebook
হেলাফেলা কইরেন্না... এইটা কিন্তু ধূগোদার জীবন থেকে নেয়া অভিজ্ঞতার বয়ান
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মেনেই তো নিলাম ! অনেক আগে থেকেই মেনে নিয়েছি, গুরুজনদের দেওয়া শিক্ষা!
facebook
আপনেরে আর বদ্দোয়া দিমু না(বদ্দোয়ায় দেহি কাম অয়না)। বস, একখান রিকোয়েস্ট আছিল। দয়া কৈরা যদি একবার সূর্য থেকে ঘুরে আইসা একখান পোষ্ট দিতেন, বেপক খুশি হইতাম।
( এইবার মনে হয় কাম হইবো)
খামোখা সূর্যে যামু কেন, তার চেয়ে সাহারা ভাল !
facebook
ঠিকই তো!
মিশর থাকতে আমার একটা ইচ্ছা ছিল কায়রো থেকে রাবাত পর্যন্ত (বা পশ্চিম মুখে যদ্দুর সম্ভব আর যতক্ষন ভাল লাগে) অপ্রচলিত জনহীন রুটে সাহারার মধ্য দিয়ে যাওয়া। কিন্তু মধ্যবর্তী দেশগুলির রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি আর নিজের আর্থিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ইচ্ছাটা বাদ দিতে হয়েছিল। তবে আপনি কখনো সাহারায় এরকম লম্বা মরুভ্রমণে গেলে, তা নিয়ে আপনার ছবিসম্বলিত লেখা পড়ার ব্যাপক আগ্রহ রইল। এখনো না গিয়ে থাকলে, আশা করি অদূর ভবিষ্যতে যাবেন। আপনার সেই উদ্যম, সাহস আর রিসোর্স আছে।
দারুন লাগল লেখাটা!
****************************************
ইচ্ছে তো আছে ষোল আনা ! দেখা যাক, এর আগে বন্ধু মিশরের ভিসা পেলেও সমস্যার কারণে যেতে পারেনি। দেখা যাক--
facebook
তারেক অণুর জল-স্থল-অন্তরীক্ষ ভ্রমণকাহিনী পড়বার সময় বার বার মনে হয় কি নিরুত্তাপই না আমাদের এই খসখসে মার্কিন কাপড়ের ম্যাড়ম্যাড়ে জীবনযাপন। আর পড়বার পর মনে হয় ওঁর চোখে হলেও তো দেখা হলো এই আশ্চর্য সুন্দর পৃথিবীর রূপবিভা। জানা হলো, প্রতিটি মুহূর্তের সত্যিকারের বাঁচায় কত বিশাল প্রাপ্তি লুকিয়ে আছে।
পোষ্টের প্রথম ছবিটি দেখে ছেলেবেলায় দেখা 'ম্যান ফ্রম আটলান্টিস'-এর কথা মনে পড়ে গেল।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ম্যাড়ম্যাড়ে জীবনযাপন বলে কিছু নেই রোমেল ভাই, সবই ইউনিক। পদ্মাপারের একজন জেলের, আমাজনের এক বনরক্ষীর, প্রেইরির কাউবয়- এদের তুলনায় আমাদের জীবন !! সব দেখতে, ছুতে ইচ্ছে করে, কিন্তু সময় বড় কম!
facebook
ডুপ্লি ঘ্যাচাং।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অদ্ভুত সুন্দর।
"আপনাদেরও যে বুদ্ধি ! ওইসব ঠাডা মাডায় কাম হইত না। এইটারে বিয়ে দিয়ে দেন। তখন দেখবেন ঘরের দরজা জানলা ছাড়া আর কিছু দেখতে পাবেনা। "
আশা লতা দি, হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছি, ইমো নাই
আমিও
facebook
স্নোরকেলিং বেশ ভালু পাই, আমার পরবর্তী অসম্ভব টার্গেটগুলা হোল, স্কুবা ডাইভীং, প্যরাগ্লাইডিং আর বাঞ্জি জাম্পিং। আপনার স্কুবা ডাইভীং দেখার পর আমার এক্ষুনি করতে মন চাইতেছে। লিখা জটিল হয়ছে আর ছবি পুরাই লাজওয়াব অণুদা।
করে ফেলেন! দারুণ হবে। আমাদের এক বন্ধু তো রাতের বেলা করেছে ফিলিপাইন সাগরে--
facebook
বাঞ্জি জাম্পিং বাকি আছে... একটু ভ্য় পাই।
আরে না, খালি একটা চিক্কুর দিবেন কণ্ঠ ছেড়ে!
facebook
সব্বাইকে দেখলাম অণুদাদাকে বিয়ে দেবার জন্য, বান্ধার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নিচ্ছে। আমি কিন্তু ভাই আমার অণুদাদার দলে।
থাকনা এ বন্ধন ছাড়াই। আমরা সবাই তো গোয়ালের গরু হয়েই এক জীবন কাটিয়ে দিলাম। অণুদাদাই না হয় আমাদের পক্ষ হয়ে বল্গাহীন চরে বেড়াক। আর ও না বেড়ালে এত্তো কিছু কি দেখা হত আমাদের?!!
হ্যা গো দাদা... দুনিয়ার সব্বাইকেই যে বে থা করে থিতু হতি হবে এমন কথা বেদের কোথাও লিখা আছে নিকি?!
আপনি আপনার ঘোরাঘুরি-ডোবাডুবি বলবৎ রাখুন তো। দেখি কে আটকায় আপনাকে। তাকেই বেন্ধে রাখবো সস্তার নাইলন দঁড়ি দিয়ে হু...
কোটি ধন্যবাদ আপা, আপনে বুঝলেন দেখে খুব ভাল লাগল।
আরে আমি তো বলছি বাবা মাসুদ রানার দর্শন, টানে সবাইকে, বাঁধনে জড়াই না ! ঠিক কি না?
facebook
কিছু কমু না।খালি দেইখা গেলাম।
কইয়্যা ফালান! আমরা আমরাই তো
facebook
পাঁচ নং পিক-টা বড়ই 'ইয়ে' হয়েছে
বাকি পিক্সও eye-popping, jaw-dropping সুন্দর্য হয়েছে
আর ভিডিও ক্লিপ দেখে কান্না এসেছে...অসহ্য সুন্দর কিছু দেখলে আমার ব্যাপক কান্না পায়।
পোস্টে একশো তারা।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
যাহ্ তইলে খবর আছে, সামনে আসছে ব্যপক কান্নাকাটির দিন!
মজা করলাম===
facebook
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন !
কেন!
facebook
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন !
লগ ইন করলাম কেবল কিছু বলবো বলে! এখন আবিষ্কার করলাম আসলে বলার কিছু নাই!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আরে বলেন কিছু---
facebook
ফ্যালফ্যাল চোখে শুধু পড়েই গেলাম!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ফ্যালফ্যাল করে! চোখের পলক!
facebook
ভিডিওটা দেখতে পারছি না।
স্রেফ একটা ছোট কালো স্ক্রীন ছাড়া আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না - প্লে/স্টপ কোন বাটনই নাই!
****************************************
আজীব, এখন কাজ করছে !
facebook
আমাদের ঘুরিয়ে আনলেন এক অসম্ভব সুন্দর স্বপ্নময়্ স্থান থেকে!! আপনার লেখা অনুপ্রানিত করে পাঠককে, মুগ্দ্ধ বিস্ময়ে মানুষ রুদ্ধ্ স্বআষে আপনার লেখার সাথে সাথে ঘুরে আসে মেরুচুড়আয়, হিমালয়ে, অলিম্পিকের মাঠে, আফ্রিকায়, আর এখন আমরা ঘুরে এলাম সাগর তলের রুপকথাকে হার মানানো স্বপ্নময় জগত্ থেকে।
পাঠককে সঙ্গী করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ তারেক অনু!!
আপনের মন্তব্য সব সময় খুব উৎসাহ জাগানিয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
facebook
বাকি রইল ঊর্ধ্বলোক! মঙ্গলগ্রহের পোস্ট কবে আসছে?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
আসিতেছে! মানে টেলিস্কোপে মঙ্গল দেখার গল্প !
facebook
সাগরের নিচের ছবিগুলো অসাধারণ!! অণুদা আমার তো মনে হয় ভুল করে কোনদিন বিয়ে করে ফেললে, আপনাকে দেখে আপনার বউ ও আপনার মতো হয়ে যাবে।
কেন খামোখা আমার পাকা ধানে মই দিচ্ছেন।!!
facebook
এর পরে আপনার চন্দ্রলোকে অভিযানের ছবি দেখলেও বিস্মিত হব না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হে হে! ইস, আমেরিকা জানি কবে আবার মানুষ পাঠাবে!
facebook
ভাই গুয়ানতানামোতে যাবেন কবে?
প্রায় পাশে গিয়েছিলাম এই বছর। ঐ যে ত্রিনিদাদের ছবি দিলাম, ঐ একই সৈকত ধরে এগোলেই গুয়ানতানামা!
facebook
ভাই, গুয়ানতানামোতে যাচ্ছেন কবে?
আমার ছেলে বলে, "এই লোকটা ২৫ বছর বয়সে যত জায়গা ঘুরেছে সম্ভবত ২৫টা মানুষ সারা জীবনেও এত জায়গা ঘোরে নাই।"
হায় হায়, আমি লোক হলাম কবে থেকে ! আপনার ছেলেসহ পুরো পরিবারকে শুভেচ্ছা।
facebook
আপনার সব পোস্টই দারুণ! ঐ যে একটা কথা আছে না 'সবাই তাকায়, দেখে খুব কম লোকই'। তেমনি অনেকেই যায় নানা জায়গায়, কিন্তু তা লেখায় তুলে আনতে পারে কম লোকই। আপনি তেমনই একজন।
অনেক ধন্যবাদ তানভীর ভাই, কিন্তু সত্যি কথা এই জায়গাগুলোর বিলিয়ন ভাগের একভাগও যদি লেখার মাধ্যমে ফোটাতে পারতাম তাহলে আর কিছু চাইতাম না.
facebook
একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল। নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের গেলেন। গিয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। তিনিই প্রথম মানব যিনি চাঁদে পা রেখেছেন। হঠাৎ তিনি দেখেন, এক ব্যক্তি। নীল আর্মস্ট্রঙ্গের কপালে ভাঁজ পড়ে গেল। তাঁরও আগে তাহলে চাঁদে মানুষের পা পড়েছে! তিনিই তবে চাঁদে পা রাখা প্রথম মানব নন? তিনি দ্রুত গিয়ে ঐ ব্যক্তিকে পাকরাও করলেন, ''ভাই, ভা্ই, দাঁড়ান। আপনি কোথা থেকে এসেছেন? আপনি কোন দেশের?''
---বাংলাদেশ।
---আপনার নাম কী?
---তারেক অণু।
গল্পের বাকিটাঃ
নীল খুব বরক্ত হয়ে "এইখানে কি করেন?"
"ধূর মিয়া মেলা কথা বুলেন না বুলে দিছি, সচলের পোস্টের জন্যে মাল ম্যাটেরিয়াল রেডি করছিখো।"
নীল এবার তাজ্জব হয়ে গেলেন।
কইচ্চেন দেখি !
facebook
একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল। নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের গেলেন। গিয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। তিনিই প্রথম মানব যিনি চাঁদে পা রেখেছেন। হঠাৎ তিনি দেখেন, এক ব্যক্তি। নীল আর্মস্ট্রঙ্গের কপালে ভাঁজ পড়ে গেল। তাঁরও আগে তাহলে চাঁদে মানুষের পা পড়েছে! তিনিই তবে চাঁদে পা রাখা প্রথম মানব নন? তিনি দ্রুত গিয়ে ঐ ব্যক্তিকে পাকরাও করলেন, ''ভাই, ভা্ই, দাঁড়ান। আপনি কোথা থেকে এসেছেন? আপনি কোন দেশের?''
---বাংলাদেশ।
---আপনার নাম কী?
---তারেক অণু।
একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল। নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের গেলেন। গিয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। তিনিই প্রথম মানব যিনি চাঁদে পা রেখেছেন। হঠাৎ তিনি দেখেন, এক ব্যক্তি। নীল আর্মস্ট্রঙ্গের কপালে ভাঁজ পড়ে গেল। তাঁরও আগে তাহলে চাঁদে মানুষের পা পড়েছে! তিনিই তবে চাঁদে পা রাখা প্রথম মানব নন? তিনি দ্রুত গিয়ে ঐ ব্যক্তিকে পাকরাও করলেন, ''ভাই, ভা্ই, দাঁড়ান। আপনি কোথা থেকে এসেছেন? আপনি কোন দেশের?''
---বাংলাদেশ।
---আপনার নাম কী?
---তারেক অণু।
একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল। নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের গেলেন। গিয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। তিনিই প্রথম মানব যিনি চাঁদে পা রেখেছেন। হঠাৎ তিনি দেখেন, এক ব্যক্তি। নীল আর্মস্ট্রঙ্গের কপালে ভাঁজ পড়ে গেল। তাঁরও আগে তাহলে চাঁদে মানুষের পা পড়েছে! তিনিই তবে চাঁদে পা রাখা প্রথম মানব নন? তিনি দ্রুত গিয়ে ঐ ব্যক্তিকে পাকরাও করলেন, ''ভাই, ভা্ই, দাঁড়ান। আপনি কোথা থেকে এসেছেন? আপনি কোন দেশের?''
---বাংলাদেশ।
---আপনার নাম কী?
---তারেক অণু।
অসাধারণ লাগলো। ভালো থাকবেন।
অবশ্যই , আপনিও।
facebook
একটা গ্রেট হোয়াইট শার্ক যদি কামড়াইয়া আপনার গর্দান ছিঁড়া নিয়া যাইতো, ভালো হইতো। (কমেন্ট কটু হইয়া গেল, মাইন্ড খাইয়েন না।)
এ আর এমনি বা কি। আমি কিছুদিন আগে সার্ন ল্যাব সম্পাদিত এক টাইম ট্র্যাভেলিং মিশনে- ফোর্থ ডাইমেনশনে হাইপার ডাইভ দিয়ে প্রায় তিরিশ মিলিয়ন বছর পেছনে চলে গিয়েছিলাম। নিউক্লিয়ার ফুয়েলে ঘাটতি ছিল বলে লাস্ট মাস এক্সটিংশন টাইমলাইন অতিক্রম করতে পারিনি।
সে যাই হোক, ডাইভটা দিয়েছিলাম বর্তমান সাহারান অঞ্চলে। ওই সময় ঐ জায়গায় ছিল অথৈ সায়র। ওখানে জলের নিচে ডাইভ দিয়ে সর্বকালের অন্যতম হিংস্র জলজপ্রাণী মোসাসর এর সাথে কুঁদে-খেলে এসেছি। তাছাড়াও প্রাগৈতিহাসিক অতিহাঙর মেগালোডন এর সাথেও এক চোট হয়ে গেছে। ওসব কিছুকে ভালোমতো ঠেঙিয়েই,সহীহ সালামতে ফেরত এসেছি। কাহিনীটা সবিস্তারে লিখতে বসবো ভাবছি। তখনতো সবাই আমাকেই শাপশাপান্ত করবে।
লিখে ফেলেন, লিখে ফেলেন জলদি। একবার তো মহা আলোড়ন উঠল যে মেগালোডন হয়ত এখনো বেচে আছে, কারণ কিছু দাঁত পাওয়া গেছে মাত্র কয়েক হাজার বছরের পুরনো।
facebook
আপনারে দেখতে যামু, গিয়া আপনার ছবি সহ পোস্ট দিমু! পাক্কা!
খুব ভালো লাগলো দেখে! ব্যাগ গুছাইতেছি! থিসিসটা শেষ হইলেই আপনার ল্যাজ ধইরা চম্পট দিমু! (তয় আমি গরীব ছাত্র, আমার সব খরচ আপনে বহন করবেন!)
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দেহি কি করা যায়!
facebook
ছবি গুলো দেখে গেলাম...
পানরি তলায় নামলে অচনো এলাকায় খাবি খেতে হবে না...
না দাদা, খাবি খেতেই হবে! আমার পাকস্থলীর লোনা জল এখনও বাহির হয় নাই !
facebook
যারা আপনাকে ডুবে মর্ বলে অভিশাপ দিয়েছিল তারা নিশ্চয় রাগে হাত কামড়াচ্ছে!
লেখা-ছবি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কোথায় ছিলেন আপনি ! পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে লিখার চিন্তায় আছি, দেখি কবে হাত দিতে পারি।
facebook
ইয়ে মানে বলছিলাম কি, লাগে টাকা দেয় গৌরী সেন ,আপনার সেনবাবু টা কে জানতে মন চায়।
নিজের পকেট !!!
facebook
হ, স্নরকেলিং আম্মো করসি, তাই এটায় বেশি চটলুম না
বাইচ্যা গেলেন। ইমো কাজ করতেছে না দেইখ্যা।।
facebook
তারেক অনু ভাই, সারাজীবন বিয়ে না করে ভ্রমনের স্পিরিট শুনে ইনাম ভাইএর কথা মনে পড়ে গেল।
আমাদের ইনাম আল হক তো! আরে, উনার কাছেই তো জিনিসগুলো দেখলাম। আমার কিন্তু হিমালয়ে প্রথম যাত্রা একসাথেই, সেই সাথে উত্তর মেরু আছেই।
facebook
আপনার লেখা নিয়ে নতুন করে মন্তব্য করার কিছু নেই। সবগুলো একসঙ্গে একটা ই-বুক বের করেন। সম্ভব হলে বইমেলায় বই
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
বইয়ে সমস্যা হচ্ছে আমি প্রচুর ছবি দিতে চাই, প্রকাশক নারাজ। দেখা যাক===
facebook
সারা দুইন্যা উল্টা পুল্টা করে দেইখা দ্যাখাইয়া পুরা ত্যানা বানাইয়া দিলেন! কিছু তো বাদ দেন দাদা----
রেখেছি তো! সবই বাকী আসলে!!
facebook
কালকে রাতে একটা মন্তব্য করেছিলাম তো- কোথায় গেলো সেটা বুঝলাম না...
এককথায় বলি, টায়ার্ড হয়ে গেসি আপনের লেখা ভ্রমণবৃত্তান্ত পড়ে পড়ে। চুপে তারা দিয়া ভাগতেসি।
দাঁড়ান দেশে আসি, একসাথে বইপড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া যাবে কোথাও।
facebook
পানির নিচে আমিও গিয়েছিলাম একবার, সে এক অসাধারণ অনুভূতি! তবে যেখানে নেমেছিলাম, প্রবালের তেমন প্রাচুর্য ছিলনা, মাছ ছিল অনেক রকমের।
আরো বেশি বেশি ঘুরে বেড়ান।
সেটা নিয়ে লিখে ফেলেন না! কোন সাগরে ছিল!
facebook
সেটা ছিল থাইল্যান্ডে, পাতায়া থেকে বোটে করে গিয়েছিলাম বেশ অনেকদূর, সাগরের নাম কি আন্দামান হবে নাকি অণু ভাই? আমি শিওর না।
লিখে ফেললেই তো হলোনা, কোন আন্ডার ওয়াটার ছবি নাই। ছবি ছাড়া ভ্রমণ কাহিনী, তাতে তো আমি নিজেই যুৎ পাইনা!
আরে না না, কাহিনীই প্রধান, ছবি তো উছিলা মাত্র! আমাদের কলমের কাজ হবে সেই অদেখা ছবি পাঠকের মনে সৃষ্টি করা। শুরু করে ফেলেন---
facebook
ভাই আম্নে না একটা ইয়ে..................
বুঝিলাম না !কিয়ে----
facebook
হিংসা...শুধুই হিংসা...
অসাধারন লেগেছে ! আর ভিডিওর কথা নাহয় নাই বল্লাম। লেখায় কোটি কোটি তারা।
facebook
এতো সুন্দর... কেন যে সাঁতার পারি না!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ডুব দিতে চাইলে সাতার না কাটলেও হবে, আর স্নরকেলিং করতে সাতার জানা লাগে না ! লেগে পড়েন--
facebook
নতুন মন্তব্য করুন