এক
নুসরাত মধ্যপ্রাচ্যের একটা এয়ারলাইন্সে জয়েন করেছিলো দুইটা জিনিসের আকর্ষণে। ফ্রি টিকেটে বিদেশে ঘোরা আর বিদেশে ট্রেনিং। চাকরির চারমাসের মাথায় যখন বিদেশে ট্রেনিং এর ব্যাপারটা নিশ্চিত হলো, নুসরাত পুরোপুরি ঘাবড়ে গেলো। আড়াই বছরের বাবুইকে রেখে পনেরোদিন থাকতে হবে। বাবুই এর তেমন অসুবিধা হবেনা, সারাদিন তো এমনিই মাকে দেখেনা। মাঝে মাঝে খুঁজবে হয়তো,মাকে সে মা ডাকেনা, বলবে নুতলাত কই? কিন্তু নুসরাত নিজে মেয়েকে না দেখে থাকতে পারবে? তার ভয়াবহ মানসিক অবস্থা হয়, কতোক্ষণে বাসায় ফিরবে আর কতোক্ষনে রাহাতের সাথে কথা বলবে...
রাহাত অফিস থেকে ফিরলে নুসরাত বলে ‘এ্যাই আমাকে তো ট্রেনিং এ পাঠাচ্ছে’।
-আরে সত্যি? ইশ তোমার চাকরিটা আমি পেতাম! আমাদের কি ব্যাংকক ফ্যাংকক পাঠায়। এগুলো বেড়ানোর কোনো জায়গা? আমার খুব মিডলইস্ট যেতে ইচ্ছা করে। মরুভূমি দেখবো, শিশা খাবো । ওখানে আমার জন্য একটা চাকরি পাও কিনা দেখো। ইনকাম ট্যাক্স নেই আবার লিভিং কস্টও খুব একটা বেশি না। যা আয় প্রায় পুরোটাই সঞ্চয়।
- হুম তুমি আলখাল্লা পরলে তোমাকে জোশ দেখাবে। আচ্ছা ঐগুলো বাদ দাওতো, আসল কথা বলো, আমি গেলে বাবুইয়ের কি হবে?
- আমি দেখবো। আমরা বাপ বেটি অনেক মাস্তি করবো।
- তুমি দেখবে কি? তুমি কখন বাসায় ফিরো তার ঠিক আছে? ওর আয়াতো ছয়টায় চলে যাবে, তুমি ছয়টার ভিতর আসতে পারবে?
- সবদিনতো পারবোনা। এক কাজ করো,সাসুমাকে ফোন দিয়ে সোনার লোভ দেখাও। চলে আসবে।
-বেয়াদব তুই আমার মা’কে নিয়ে এরকম কথা বলবি না।
-আহা ঠাট্টাতো... তুমি ‘আম্মাজান’কে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাজি করাও। আমাকে পাহারা দিয়ে রাখার ও একটা ব্যাপার আছে তাইনা?
-‘মাকে নিয়ে ফাজলামি করবিনা’ বলে নুসরাত উঠে যায়। মা’কে ফোন করে অবশ্য রাহাতের কথাটাই বলে ‘মা আমাকে ট্রেনিং এ পাঠাচ্ছে, তুমি এসে বাবুইকে দেখতে হবে। তোমার জন্য সোনার চেইন নিয়ে আসবো!’
-সোনার লোভ দেখাচ্ছিস কেনোরে মা? তোর বুড়িটার সাথে থাকার লোভেই আসবো, তুই তোর বাপকে ম্যানেজ কর। লাভলির মা’র হাতের রান্না খেয়ে তোর বাপ থাকতে পারবে কিনা সেটা দেখ!
-বাবা রাজি হবে তুমি ব্যাগ গোছাও।
মা চলে আসায় নুসরাত নির্ভার হয়ে যায়। বিদেশে ট্রেনিং এর স্বপ্ন তাহলে সত্যি হলো! তাকে সী অফ করতে এসে বাবুই বলে ‘আমাকে এরকম সত্যিকারের একটা প্লেন কিনে দিও’।
বুকের ভিতর হুহু করে নুসরাতের, মেয়েটাকে কতোদিন দেখতে পাবেনা।
দুই
ছুটির দিনে তাকে নিতে কে আসবে ভেবে নুসরাত একটু চিন্তিত ছিলো। এয়ারপোর্টে নেমে দেখে ‘নুসরাত চৌধুরী’ লেখা কার্ড হাতে জোব্বা পরা একজন দাঁড়িয়ে আছে। নুসরাত এগিয়ে গিয়ে বলে ‘আমি নুসরাত’।
লোকটা হাত বাড়ায় ‘ওয়ালিদ’।
ওয়ালিদ নুসরাতকে জানায় ট্রেনিং করতে জর্ডানের একটা ছেলেও এসেছে। এই দুজনের দেখভালের দায়িত্ব তার। তাকে হোটেলে নামিয়ে দিয়ে বলে দুই ট্রেইনিকে নিতে সকালেই গাড়ি আসবে। ক্লাস শেষে ওরা যেনো ওয়ালিদের অফিসে চলে যায়, কাজ সেরে সে দুই বিদেশিকে তার দেশ দেখাবে।
পরের দুইদিনে নুসরাত বেশ কিছু জিনিস খেয়াল করে। এখানকার মেয়েরা কেউ তার সাথে একটুও মিশতে চায়না। সবাই একগাদা মেকাপ নিয়ে ক্লাসে আসে। নুসরাত যেচে আলাপ করতে গিয়ে তেমন রেসপন্স পায়না। আবার ছেলেগুলো একটু গায়ে পড়া টাইপ। জর্ডানের ছেলেটা অবশ্য চমৎকার। সে আগেই জনতো অন্য আরব দেশ থেকে জর্ডান আলাদা। নাসের ছেলেটা পরিপূর্ণ ভদ্রলোক। ওর সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
ট্রেনিং সেশন শেষে তারা ওয়ালিদের অফিসে যায়। অফিসভর্তি ইন্ডিয়ার, বিশেষ করে কেরালার লোকজন। কিন্তু স্থানীয়দের সাথে ওদের দূরত্ব চোখে পড়ার মতো। তার নিজেরা কেরালার ভাষায় কথা বলে, ডিব্বা খুলে লাঞ্চ করে আর আরবদের সমালোচনা করে। এরমধ্যেও সমীর নামে একটা লোকের সাথে নুসরাতদের আলাপ হয়। সমীর ছেলেটা অনেক ফ্রেন্ডলি। ওয়ালিদ প্রতিদিন কাজ সেরে বের হয়ে তাদের প্যালেস দেখায়, দারুণ সব রিসোর্ট আর রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়।
নুসরাত একদিন বলে ‘ওয়ালিদ এইসব প্যালেস আর রেস্টুরেন্ট আর ভাল লাগছেনা, তোমাদের এক্সক্লুসিভ কিছু দেখাও’।
-এই উইকএন্ডে তোমাদের ‘ডেজার্ট সাফারি’তে নিয়ে যাবো। ভয় পাবেনাতো আবার?
-আরে না...
কিন্তু মরুভূমিতে গিয়ে নুসরাত প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়। মরুভূমির বালুতে বিরাট সব গর্ত। সেইসব গর্ত বরাবর লোকজন গাড়ি নিয়ে নব্বই ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে খাড়া নেমে যাচ্ছে, দেখে পেটের ভিতর পাঁক দিয়ে উঠে। ভয়ংকর সুন্দর।
তারপর ওয়ালিদ নিয়ে যায় বুলফাইট দেখাতে। সে এক দেখার মতো জিনিস! বিরাট একটা মাঠ ঘিরে পৃথিবীর সব দামী দামী গাড়ি। মার্সিডিজ বেঞ্জ আর পোরশের লাইন। শতশত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে মাঠটা ঘিরে। তাদের হাতে হাতে দুনিয়ার সব দামী ফোন। অথচ মাঠের মাঝখানে ঘটছে এক মধ্যযুগীয় ব্যাপার। জোড়ায় জোড়ায় গরু অপেক্ষমান, একটা একটা জুটির লড়াই হচ্ছে। হাতে মাইক নিয়ে একটা বুড়ো লোক ধারাবিবরণী দিচ্ছে। ইয়া আলী, ইয়া মুহম্মদ বলে উঠছে। যার গরু জিতছে তার চৌদ্দপুরুষের নাম ধরে উচ্ছ্বাস প্রাকাশ করছে। অমুক বিন তমুক বিন তমুকের বলদ জিতেছে বলে হুঙ্কার দিচ্ছে!
এই জিনিস নুসরাত তেমন উপভোগ করতে পারেনা। তবু ভদ্রতা করে বলে ‘থ্যাঙ্কস ওয়ালিদ। তুমি অসাধারণ অভিজ্ঞতা উপহার দিলে’।
-আরে তোমাদের আসল জিনিস ই তো দেখাইনি। আমার উট হচ্ছে ‘মিস ক্যামেল’।
-এর মানে কী?
- আমাদের এখানে উটদের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা হয়। সেই প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরী হয়েছে আমার উট। এক ঘন্টার ড্রাইভে আমার ফার্মহাউস, সেখানে নিয়ে যাবো তোমাদের।
-ওয়াও, দারুণ হবে। তবে আমার একটা আবদার আছে। তোমার সুন্দরী উট দেখবো কিন্তু তোমার স্ত্রীর সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। এখানে আসলাম কিন্তু এখানকার কোনো মেয়ের সাথে ভালো করে আলাপ হলোনা। সবাই এতো গুটিয়ে থাকে।
- ইয়ে আমার কিন্তু দুই স্ত্রী।
নুসরাত এটা শুনেছিল সমীরের কাছে। সমীর বলেছিলো ওয়ালিদের দুই বউ এক বাড়িতেই থাকে, প্যালেসের মতো ওর বাড়ি। দুই বউয়ের আবার খুব নাকি ভাব, একসাথে শপিং এ যায়। আরো বলেছিলো ‘ওর দুই বউ কেনো জানো? একটা বউ নাকি ওকে, মানে ওকে নাকি হ্যাপী করতে পারেনা......’।
নুসরাত একটু হালকা গলায় বলে বাব্বাহ ওয়ালিদ, মানুষ একটা বউ সামলাতে পারেনা আর তোমার দুই বউ? ভারতীয় সমীর যেটা বলতে আমতা আমতা করেছিলো ওয়ালিদ সেটা বলে খোলাশা করে। বলে এক বউ তাকে সেক্সুয়ালি স্যাটিস্ফাই করতে পারেনা! শুনে নুসরাত ঢোঁক গিলে। কি বলবে বুঝে উঠতে পারেনা। কোনোমতে আবার বলে ‘তোমার স্ত্রীদের সাথে আমার আলাপ করিয়ে দাও প্লিজ। মিস ক্যামেল দেখতে নিয়ে যাবার সময় ওরাও আসুকনা আমাদের সাথে?’
ওয়ালিদ রাজি হয়।
ওয়ালিদের দুই স্ত্রী ই ভীষণ রুপবতী। কিন্তু এরা এ্যাতো মেকাপ নেয় কেনো কে জানে। মেয়ে দুজন ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজীতে নুসরাতকে জিজ্ঞেস করে তোমার হাজব্যন্ড কি করবে,কি করছে ইত্যাদি। নুসরাত আড়াই বছরের বাচ্চা রেখে গেছে, স্বাভাবিক ভাবে সবাই বাচ্চার কথা জানতে চায় কিন্তু এই দুজনের সব প্রশ্ন নুসরাতের হাজব্যান্ড নিয়ে! নুসরাত ওদের আশ্বস্ত করে ‘ আমার হাজব্যান্ড নিয়ে সমস্যা নাই, আমার মা আছে পাহারা দিয়ে রাখবে’।
নুসরাত ভাবে সে খুব একটা হাসির কথা বললো, মেয়ে দুজন হাসেনা। ওরা বোধহয় বিশ্বাস করতে পারেনা দুই সপ্তাহ ধরে একটা লোক বিছানায় কোনো মেয়ে না নিয়ে থাকতে পারবে!
মিস ক্যামেল দেখে নুসরাত হতাশ হয়। অন্য উট থেকে এ যে কোথায় আলাদা তা বুঝতে পারেনা। খামার বাড়ি ঘুরে দেখানো শেষে ওয়ালিদ বলে তোমরা তাহলে যাও,ড্রাইভার তোমাদের হোটেলে নামিয়ে দেবে।
-তুমি যাবেনা?
- আমি সপ্তাহে একদিন আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে থাকি।
ওয়ালিদ হাসতে হাসতে জানায় সে তার দুই স্ত্রীর সাথে সপ্তাহে তিনদিন তিনদিন করে থাকে আর একদিন থাকে তার খামার বাড়িতে,সুন্দরী উটের সাথে! নুসরাত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ওয়ালিদের স্ত্রীদের সাথে ছোট ছোট পা ফেলে খামারবাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। গেট থেকে দেখা যায় ওয়ালিদ উটের গলা জড়িয়ে ধরে মাঝে মাঝে ঠোঁটে চুমু দিচ্ছে। বড়বউটা দুঃখী এবং পরাজিত চেহারা করে চেয়ে থাকে! ছোটজন যার বয়স হয়তো বিশ,বাইশ বছর, তার চোখে আপমান আর ঈর্ষা!
মিস ক্যামেল তার লম্বা গলা আরো লম্বা করে গর্বিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে......।
মন্তব্য
অসাধারণ লেগেছে দিহান আপু। খুবই ভালো লেগেছে। নুসরাত যখন ওয়ালিদের প্যালেসে যাচ্ছিলো, একটু ভয় লাগছিলো, 'খারাপ কিছু ঘটবে কিনা' , দেখি, নাহঃ, ভালোয় ভালোয় সে ফিরে এসেছে। ধন্যবাদ আপু, সুন্দর গল্পটির জন্য। শেষের প্যারাটি দারুন।
অনেক ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
হা হা হা হা... =)
হাসি পেলো? কান্না পাবার কথা তো...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
বাকরহিত!!
হুম আরবদের কাজ কারবার দেখলে আমাদের বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
লিখা বেশ হয়েছে দিহান আপু, কিন্ত মাথাটা পুরাই চক্কর মারছে মিস ক্যামালের কথা শুনে।
ধন্যবাদ বন্দনা।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
বেশির ভাগ আরবদের জীবন তিনটি জিনিস ঘিরে আবর্তিত হয় "ইটিং, শিটিং, *কিং"
লেখা অসাধারণ প্রাঞ্জল
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ইয়াং জেনারেশনের আরবরা একটু আলাদা...পরিবর্তন আসছে ওখানেও...
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
চলুক।
facebook
ধন্যবাদ অণু।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
নুসরাতের খারাপ কিছু হয় নি দেখে ভালো লাগল
আরবদের অনেক কিছু খারাপ তবে একটা জিনিস আমি প্রশংসা করার মতো, ওরা জবরদস্তি করেনা! ওদের টাকাপয়সা দেখে যাদের মাথা ঘুরে যায় তারা স্বেচ্ছায় ধরা দেয়...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
কেউ কি জানে ইমোগুলোর কী হলো?
গল্পটা আপনার অভিজ্ঞতা মনে হল,ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ যুমার।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আরবীয় নোংরামীর মোটামুটি অস্পষ্ট একটা ছবি ফুটে উঠেছে এখানে, ভেতরে ভেতরে আরো অনেক খারাপ ঘটনা ঘটে বলে শুনেছি।
হুম...আমিও শুনেছি!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আরবদের সভ্য হতে দেরি আছে আরো।
নুসরাতের গল্প চলুক। আরবদের উট নিয়ে অনেক রসিকতা প্রচলিত, ওগুলোকে বলা হয় ক্যামেল জোকস। আমার এক সহকর্মী নিয়মিত বলতেন ওগুলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইয়াং জেনারেশন অনেক সভ্য হচ্ছে, বিশেষ করে যারা পশ্চিমা দেশে পড়ালেখা করতে যাচ্ছে তারা। তবে দেরি আছে...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ক্যামেল জোক্স্ তাহলে মিথ্যে নয়!! কামেল লোকেরা ক্যামেলও বাদ দেয়না তাহলে?
যা রটে তার কিছুটা তো বটে...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আরব মেয়েদের কি ছোট থেকেই এভাবে গড়ে তোলা হয়? মিস ক্যামেল অন্তত কিছু পছন্দ না হলে জোড়া paয়ে লাথি মারতে পারবে, এই মেয়েদের তো সেই স্বাধীনতাও নেই।
মেয়েরা এমনভাবে গড়ে উঠে যে একাধিক বউ থাকা বা ক্যামেল নিয়ে বাড়াবাড়ি ইত্যাদিকে তারা স্বাভাবিক মনে করে...ইদানীং অবশ্য মন মানসিকতা বদলাচ্ছে।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
চমৎকার। আচ্ছা দিহান আপু, একটা জিনিস খটকা লাগছে, এখানে মিস ক্যামেল কি শুধুই মিস ক্যামেল নাকি এর আড়ালে আরও কোন মিস আছে?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শুধুই মিস ক্যামেল...আরবদের অবাধ স্বাধীনতা, কিচ্ছুই তাদের আড়াল করতে হয়না! ওরা এমন অকপট যে অন্যরা লজ্জা পেয়ে যায়!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
মালির বন্ধু বিখায়ীও অকপটে একই কথা বলেছিলো, হাই লিবিডোর কারনে তাকে দুটো বিয়ে করতে হয়েছে। তবে বিখায়ীর অবশ্য কোনও উট, ঘোড়া, মেষ বা কুকুরাসক্তি ছিলোনা!
ভালো দারুন ভালো লেগেছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ইয়ে মানে... উনি কি উটের সঙ্গেও!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কী জানি বাপু...!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
দারুণ লাগলো।
ধন্যবাদ রু।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
একী শোনালেন!!!
মূর্তালা রামাত
আগে শুনেননি? একটুও বাড়িয়ে বলিনি কিন্তু...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
এরা কি পুরাই পারভারটেড?
সম্ভবত...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আগের লেখাটায় তো আপনি গল্প ট্যাগ দিয়েও পরে বলেছিলেন ওটা আপনার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা, এটাও কি তাই?
হুম। এটাও আমার অভিজ্ঞতারই গল্প। একটু এটা সেটা জুড়ে দিয়েছি, 'গল্প' বানানোর জন্য!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
হালারা আর কাম পায়না??? উট??!!! হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেলো।
আপনার লেখা ভালো লাগলো। আরো গল্প আসুক।
এটা কিন্তু মোটেই হাসির গল্প ছিলোনা...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আমি আসলে মন্তব্য গুলো পড়ার আগে দুইটি বউ ছাড়া ক্যামেল এর সাথে এর কি সম্পর্ক বুঝতে পারিনি। নিঃসন্দেহে আমার মতো আরও বোকা আছে। স্ত্রী'কে পড়ালাম সেও গভীরতা বুঝতে পারল না। লেখককে ধন্যবাদ নতুন ধরনের লেখা উপহার দেবার জন্য।
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আরবদের যৌনতাড়না একটু বেশি, পুরুষ ও মেয়ে উভয়ই। খুব অবাক হয়েছিলাম, কাতারে এই বছর একটা ট্রেড ফেয়ারে গিয়েছিলাম, একটা দোকান ছিল lingerie এর, ঠিক lingerie ও না। কিছু বিশেষ ধরনের স্বচ্ছ নাইটি টাইপ কাপড় (পর্ণ ছবিতে দেখা যায়) পাওয়া যাচ্ছিল, দোকানে আরব মহিলা ক্রেতা ছিলনা তাওনা। বিক্রি না থাকলে এত টাকা ভাড়া দিয়ে দোকান নেয়ার কথাও না।
লেখা ভাল লেগেছে।
বদ্ধ সমাজে এই জিনিসগুলো বেশি হয়। 'বনোদনের অভাবে অধিক জনসংখ্যা' পড়েননি ছোটবেলায়? ছেলেদের কাছে আকর্ষণীয় থাকতে মেয়েরা মেকাপ, দামী অন্তর্বাস এসবের দিকে ঝুঁকে থাকে...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপনার গল্প পড়ে আরব দেশের 'জিগজিগ টিকটিক' গল্প মনে পড়লো। একদিন সেটা লিখে ফেলতে হবে...
প্লিজ লিখুন, গল্পটা জানা নেই আমার।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
এইটা কি পড়লাম আপু!!!!!! শেষ পর্যন্ত উট!!!!!
আরব না? প্রথমতঃ উট এবং শেষ পর্যন্ত ও উট!!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ভাল্লাগসে আপু। তবে আপনার আগের লেখাগুলোর তুলনায় কম
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ রিশাদ। দেখি পরের লেখায় কোনো উন্নতি হয় কিনা! এখন আমার টার্গেট পাঠক হলেন আপনি, রিশাদকে খুশি করার মতো একটা লেখা লিখেই ফেলবো...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
যাব্বাবা !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
'যা দেখি তাই লিখি'...আমার কোনো দোষ নাই!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
গল্পটা মজার।
female, male, sometimes camel .... গল্পটার কথা মনে পড়ে গেল।
গল্পটা দুঃখের পদ্মজা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
এদের মেয়েরা এসব মেনেও নেয়! ঠিক একই দাবীতে দুই/তিনটা বিয়ে বা বয়ফ্রেন্ডের দাবী নিয়ে মেয়েরা এগিয়ে এলে এদের টনক নড়ত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ঠিক।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ভালো লাগল পড়ে।
নাউজুবিল্লা আস্তাকফিরুল্লা উটের লগে ফস্টি নস্টি ভগবান সইবে না!
নতুন মন্তব্য করুন