আজব সব জীবগুলি-৩

আমি কিন্তু ঘুমানোর সময় কিছু খাই না। আমিও আজব জীব!

চমৎকার হচ্ছে সিরিজটা, আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।

অনেক মজা

দারুণ ! জীবজগতের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বলতে যদি স্তন্যপায়ী গোত্রের অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে বিভার হওয়া উচিত।

বিশ্রী পোস্ট।

চলুক চলুক, বেশ হচ্ছে।

এ তো দেখি খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি! কয়দিনের দুনিয়ার জন্য কয় বছর কষ্ট!

এই পোকার যে সাইজ তাতে এরা ডিম পাড়লে সেই ডিম আকারে ১ ইঞ্চি হতে পারেনা। এরা যেহেতু একবারে ‍‌~২০০০ ডিম পাড়ে সুতরাং এদের ডিমের সাইজ সরিষার দানার থেকেও অনেক ছোট হবে!

যদি সেটা সরিষার দানার থেকেও ছোট হয় তাহলে সেই ডিম থেকে এতবড় একটা প্রাণি তো আর অলৌকিকভাবে তৈরি হতে পারে না! কিন্তু আপনি বলছেন এরা বৃদ্ধি পায়! বাইরে থেকে পুষ্টিউপাদান গ্রহন না করলে আমার স্বল্প জ্ঞানে সেটা তো সম্ভব বলে মনে হয় না! এদের পূর্ণাঙ্গ অথবা দৃশ্যমান পরিপাকতন্ত্র না থাকতে পারে কিন্তু তারমানে এই নয় যে এরা খাদ্য/পুষ্টি গ্রহণ করে না। পরিপাকতন্ত্রহীন প্রাণের সংখ্যা দুনিয়াতে কিন্তু কম নয়!

(জীবনচক্রের কোনো একটা পর্যায়ে) পরিপাকতন্ত্র না থাকা এক বিষয়, আর কোনো খাদ্যগ্রহন না করা অন্য বিষয়! আমার কেন জানি মনে হচ্ছে পরিপাকতন্ত্র না থাকার ব্যপারটি আপনি কোথাও পড়েছেন এবং এরা কিছু খায়না সেটি নিজে জুড়ে দিয়েছেন। খুব পুরোনো কোন বই? (আমার ধারনা ভুল হতে পারে!)। তথ্যগুলো কোথায় পেয়েছেন জানাবেন?

যেটা বলতে চাই, আপনার লেখা পড়ে অনেকগুলো প্রশ্ন জাগলো। আপনি একটা অসম্ভব ব্যপারকে সত্য দাবী করছেন! তাই খোঁজ নিলাম।

এই তথ্যগুলো পেলাম:
- এই জীবদ্দশায় পতঙ্গটি খাদ্যগ্রহণ করে, এবং এদের পরিপাকতন্ত্র আছে।
- স্ত্রী-পতঙ্গ একবারে গড়ে ৬৫০ টির মতো ডিম দেয়।
- পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় এরা দু-চারদিন নয় প্রাকৃতিক পরিবেশে ১৪ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। ল্যাবরেটরীতে গড়ে প্রায় ৬ দিন বাঁচে।

কঠোর সমালোচনার মনোভাব নিয়ে বসেছিলাম, কিন্তু সেটা আপনার দারুণ উৎসাহকে নষ্ট করবে। আপনি আরো লিখুন। কেবল তথ্যগুলো যাচাই করুন। আমাদের দেশে কিন্তু কবরাজাবের ভিডিও পাওয়া যায়! যেটা দেখবেন/পড়বেন সবটা সত্যি নাও হতে পারে! তাই সতর্ক হয়ে লিখুন।

আপনার আগের লেখাটা পড়ে আগ্রহ ছিল পরেরগুলো পড়ার, কিন্তু আপনার ২ নম্বর পর্বের তুলনায় এই লেখা রীতিমত অখাদ্য হয়েছে। দয়া করে আর একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে লিখুন। আপনার সচল হওয়াতো কেউ কেড়ে নিতে আসছে নারে ভাই, এত তাড়াহুড়ার কি আছে?

কিছু মৌলিক বিষয় মেনে না চললে যেকোন "বৈজ্ঞানিক" দাবীকে সন্দেহ করতে হবে। যেমন শক্তির নিত্যতা সূত্র অমান্য করে অসীম দক্ষতার ইঞ্জিন তৈরী করা, পুষ্টি ছাড়াই বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি। আর তথ্যসূত্র উল্লেখ করুন লেখার শেষে অথবা ভেতরে।

সচলায়ত সত্যিই দারুন জায়গা, লেখা এবং এর সমালোচনা এত গঠনমূলক হতে পারে; পড়ে ভালো লেগেছে।জয়তু সচলায়তন! আর এর পাঠক-লেখকেরা।
সিরিজ চলতে থাকুক।

ভাই, লিখতে থাকেন। আপনার সাথেই আছি, পড়ছি। পরিপাকতন্ত্রের বিষয়টা ভাবালো। এই ঝামেলা আমাগো না থাকলে যে কি ভালো হইতোরে ভাই। ডাক্তারীর ঝামেলা অনেক কইমা যাইতো।

খাদ্য গ্রহনের বিষয়টা আসলেও বুঝলাম না। না খেলে বাঁচে কি করে ?

প্রয়াস চমৎকার...........