আবেগে... আস্ত দেড়টা বছর পরে দেখা! মাঝে মাঝে ভাবতাম, আর কি দেখা হবে আমার প্রিয় বন্ধুটির সাথে! দেখা হল আর এইভাবে। আমি অনেক শক্ত মনের মেয়ে... দেশ ছেড়ে আসতেও চোখে জল আসেনি, এখনো জল নেই। কিন্তু জয়ন্তী সামলাতে পারেনি নিজেকে আমায় এয়ারপোর্টে নিতে এসে। ওর চোখে জল দেখে আমি টের পেলাম, বন্ধুর জন্য বুকের ভেতর কয়েক ফোটা শিশির অথবা মানচিত্র আর স্বজনদের জন্য কয়েক টুকরো বরফ আমারও আছে... থাক না সেগুলো, এমনি অপ্রকাশিত!
প্লেনে আমার হ্যান্ড লাগেজটা রাখতে খানিকটা কষ্ট হচ্ছিল, ৩৮ কেজ শরীরের তো মাঝে মাঝে শাকের আঁটি তুলতেও কষ্ট হয়, এখন হয়তো হবে না আর, এখানে দুমাস হতে না হতেই ওজনটা ৪৫ কেজি ছুঁয়েছে, কিভাবে হল টেরই পেলাম না! লাগেজটা রাখতে গিয়েছিলাম, পিছনের সিটের কোরিয়ান ছেলেটা হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। হাসিমুখে ধন্যবাদ দিয়েছিলাম সাহায্যটুকুর জন্য। কিন্তু প্লেন থেকে নামার সময় যখন দেখলাম, আমি সিট থেকে উঠে দাড়াতেই ছেলেটা নিজের লাগেজ না নামিয়ে আগে আমারটা নামিয়ে দিলো, এ দফায় অবাক হলাম বৈকি! এতোটা সহৃদ্যতাপূর্ণ আচরণ ভিনভাষী, ভিনদেশী অপরিচিত জনের কাছ থেকে আশাই করিনি। জয়ন্তী আমাকে যখন সৌল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-গামী বাসটাই তুললো, সেই বাসটিতেই উঠেছিল, এই অপরিচিত সাহায্যকারী... সেখানেই প্রথম কথা হল ছেলেটির সাথে। হাই স্কুলে পড়ে, স্কুলের প্রতিনিধিত্বকারী দল নিয়ে কোন এক অনুষ্ঠানে হংকং গিয়েছিল। নামটা মনে রাখতে পারিনি, এখনো কোরিয়ান নাম মনে রাখতে পারিনা ঠিক মত। আবার দেখা হলে চিনতেই পারবো না হয়ত... কিন্তু প্রথম পরিচয়েই কোরিয়ানদের একটা সাধারন বৈশিষ্ট্য জানিয়ে দিয়েছে আমাকে এই ছেলেটি।
প্রায় চৌদ্দ ঘন্টার প্লেন যাত্রা শেষে যথারিতী মহাকান্তি ছিল দেহে, যদিও জয়ন্তীর সাথে এতোদিন বাদে দেখা প্রাণ খুলে কথা হাসি কান্নার স্রোতে টের পাচ্ছিলাম না অনেক কিছুই... কিন্তু ওর ডর্মে যেতেই ক্লান্তি ঝাপিয়ে পড়লো দেহে। জয়ন্তীকে আমি জয় বলে ডাকি, ওর নামটা সুন্দর, কিন্তু আদরে কিংবা অভ্যাসে কবে যেন ছোট্ট করে জয় হয়ে গেছে। স্নান সেরে বেরিয়েই দেখি, আমি আসবো বলে মনের মত করে কত কিছু রেধেছে জয়। পেট পুরে খেলাম। এই প্রথম ওর হাতের রান্না খেলাম আমি। ভিন দেশে এসে দেশী রান্নাটা ভালো রপ্ত করে ফেলেছে সখী! এরপর আর কি! ঘুম...
আট ঘন্টা বাদে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো, দেখি রাত দুটো। জয়ন্তীর ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলাম, হাসিমাখা মুখে বললাম, দোস্ত, ডর্মের ভিতরে দম বন্ধ বন্ধ লাগছে, চল বেরোই। দেড় বছরে জয় যা করেনি, আমি আসতে না আসতে সেটাই করে ফেললো। আবহাওয়া উষ্ণই আছে, তবুও রাতের একধরণের ঠান্ডা বাতাস আছে। দুজনেই স্বাভাবিক পোষাকের উপর একটা পাতলা চাদর জড়িয়ে বেরিয়ে পড়লাম রাত আড়াইটায়। অদ্ভুত একধরণের শান্তু উচ্ছাসের অনুভূতি।
সুনসান রাস্তা... হাঁটতে হাঁটতে ওর ডর্ম থেকে বেশ দূরে একটা পার্কে চলে এলাম। নাক্সাংদে পার্ক। পার্কের চত্ত্বরে আসতে আসতে জয় বলল, এই পার্কটা নন-স্মোকিং জোন, এইখানে আশে পাশের গর্ভবতী মায়ের হাটাহাটি করে, প্যাসিভ স্মোকিং এ অনাগত শিশুর যাতে কোন ক্ষতি না হয়... তাই নিয়ম করে এখানে ধোঁয়া খাওয়া বা টানা নিষেধ। আঁধো চাঁদের আঁধো আলোয় ঘোড়ায় চড়া নাক্সাংদের মূর্তিটা চারপাশ থেকে ঘুরে দেখলাম। নাক্সাংদে মানে যেখানে তারা খসে, যার মূর্তি গড়ে রেখেছে, সেই এখানে তারকা, এক যুদ্ধের তারকা। হিম হিম শিশির পড়া পার্কে বেশ লিলি ফুটে আছে, সাদা লিলি, মিষ্টি গন্ধ রাতের বাতাসে! এই মধ্য রাতেও পার্কে কয়েকজন মানুষ, এক জোড়া বুড়ো বুড়ি, একটা নিসঙ্গ বুড়ো আরেকটা সুখী তরুণ দম্পতি। বুড়োবুড়িরা এই মাঝ রাতে ব্যায়াম করছে পার্কে, সেদিনটা শনিবার দিবাগত রাত, তাদের সপ্তাহান্তের ছুটির শুরু... আর সেই তরুণ জুটি, দুজনের দুহাতে হাত রেখে পার্কের রাস্তায় সেতু গড়ে কথায় আর হাসিতে হাঁটছে পথ ধরে... কি যে মিষ্টি লাগছিল ওদের দেখতে! ভোর বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে আমরা দুবন্ধুতে বেরুলাম পার্ক থেকে... তখন রাস্তায় ইলেক্ট্রিক আলো, সূ্য্যিমামার ঘুম ভাঙ্গতে মেলা দেরী, আমরা রাস্তায় হাঁটছি, রাত বাতাসের গন্ধ নিচ্ছি, জঙ্গলের বিচিত্র শব্দ শুনছি, জয়ন্তীর ক্যাম্পাসে ঢোকার আগে আরো বেশ কিছুক্ষণ হাটাহাটি করলাম... আমাদের মত আরো কিছু মানুষ হাটছে... আস্তে আস্তে সকালের আলো ফুটলে আমরা ফিরলাম জয়ন্তীর ডর্মে, সেইখান থেকেই জয়ন্তী আমায় পৌছে দিয়েছিল দেড় দুঘন্টার দূরত্বে, আমার ইউনিভার্সিটিতে, সেইদিন দুপুরে... আমার অপেক্ষায় ছিল আমার ল্যাবমেট আর প্রফেসর।
প্রফেসরের সাথে দেখা হবার পরেই তিনি আর আমার ল্যাবমেট আমাকে আর জয়কে নিয়ে গেলেন একটা জাপানী রেস্টুরেন্টে লাঞ্চে। সেখানে যাবার মিনিট খানেক পরের প্রশ্নটাই ছিল, কেমন লাগছে? আমার মনে হল, এইতো, বাংলাদেশের মতই, একই রকম উষ্ণতা, খানিক ঘামছি আমি, তবে অনেক শান্ত আর সুন্দর, সবুজ গাছপালায় ছাওয়া, বাংলাদেশের বাইরে এসে এমন সবুজ দেখবো, আশা করিনি, তবে বাতাসটা আলাদা, একটা ভিন্ন গন্ধ পাচ্ছি বাতাসে, আমার দেশের ঘ্রাণটা আলাদা, যে বাতাসে আমি এতোকাল নিঃশ্বাস নিয়েছি... বাংলাদেশের ঘ্রাণ!
মন্তব্য
"বাংলাদেশের বাইরে এসে এমন সবুজ দেখবো, আশা করিনি"...আপনার ধারণা ছিল বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে সবুজ দেশ? (অট্ট হাসির ইমোটা গেল কই?)
সুন্দর লেখেন আপনি
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমার মত ঢাকায় বড় হওয়া ফার্মের মুরগিদের কাছে বাংলাদেশ মনে হয় সবচে অ'সবুজ দেশ।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হেহে, ফার্মে রাখলেই ফার্মড হয়ে যাবো নাকি
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
ইয়ে মানে, শস্য শ্যামলা, সবুজ দেশ... ছোট বেলা থকে এই কথাটা পড়তে পড়তে আর প্রতিবার যখন ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে আমার শিকড়ের কাছে যেতাম বাসে করে, রাস্তার দু'পাশ জুড়ে সে সবুজ দেখতাম, সবুজ ক্ষেত দেখতাম, তাতে আমিও দ্বিধাহীনভাবেই বিশ্বাস করে নিয়েছিলাম, আমার দেশটাই সবচেয়ে সবুজ আর সুন্দর। ঢাকাইয় ফিরে আসার সময় মনে হত, ডাস্টবিনে ফিরতে হবে এইবার, সেখানে শর্ষের ক্ষেত, ধানের ক্ষেত বা গ্রাম্য সৌন্দর্যটা নেই। আমি আসলে বাংলাদেশকে ভাবতাম, ঢাকাকে বাদ দিয়ে...
এখানে এসে ধারণা বদলেছে, চোখের দেখার চেয়ে মনটা বুঝেছে... সবুজের তালিকায় শুধু বাংলাদেশ নয়, হয়ত গোটা পৃথিবীটাই আছে
ধন্যবাদ আপু
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
সন্দেহ নেই, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা এ বিশ্বের সবচেয়ে সবুজ দেশ। প্রকৃতিই কি শুধু সবুজের একচ্ছত্র ধারক?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
মনটা আরো বেশী সবুজ হতে পারে... তেমন একটা মন থাকলে... মনের তো শীত গ্রীষ্ম বর্ষা বসন্ত সবই আছে...
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
বাংলার সবুজময়তা দেখতে হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেতে হবে। পাহাড়ের কোল ঘেষে সরু পথ বেয়ে যখন উপরে উঠবেন শুধু একটু নিচে তাকিয়ে দেখতে হবে মখমলের মতো সবুজ কাকে বলে!!!
_____________________
Give Her Freedom!
ছোট্ট একটা দেশ, হাজার অনিয়ম, হাজার যন্ত্রণা, হাজারো কান্না... তবু বুক জুড়ে বাংলাদেশ ছাড়া তো আর কিছু নেই... জল, কাদা, বন্যা, পত্রিকার পাতা জুড়ে মনের উপর চাপ পড়ার মত খবরের মেলা... তবু ঐ দেশটুকুর জন্য ... অনুভূতি প্রকাশের ভাষা পাচ্ছি না।
এখানের আসার পর একদিন প্রফেসরের সাথে কথা বলতে বলতে বলে ফেলেছিলাম... "A small country of third world, Bangladesh. I don't know, what they mean by third world!"
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
অনুভূতি গুলো ভীষণ ভালো লেগেছে। [ইমো নাই নইলে একটা স্মাইল করতাম]
আরো লিখুন, বিস্তারিত ভাবে--
facebook
আচ্ছা... ল্যাব মিটিং শেষ করে আরেকটা কাজ শুরু করব বলে ল্যাবে বসেছিলাম, এক ফাঁকে টুক করে লিখে ফেলেছি... অনেক লেখা লিখতে চাই, এই লেখাটা তো টুক করে লিখতে পারি, কিন্তু যেগুলো রেফারেন্স ধরে ধরে লিখি, সেগুলো আধ খাওয়া পেয়ারার মত পড়ে আছে, সময় পাই না... শেষ করতে পারছি না...
ধন্যবাদ আপনাকে... আপনার লেখাগুলো পড়লে কেবল মুগ্ধতা আসে!
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
দ্বিতীয় প্যারার শুরুতে কিছু টেক্সট মিসিং গেছে...
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আমার অফিসমেট কোরিয়ান, সব কোরিয়ান যদি ওর মত হয় তবে বলতে হবে কোরিয়ানরা মানুষ ভালো। লেখা ভালো লাগলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমাকে বছর চারেক কোরিয়ানদের সাথে কাজ করতে হয়েছিলো (ঢাকাতেই)। অল্প কিছু ব্যতিক্রমী জন ছাড়া বেশিরভাগ জন কোরিয়ানের সাথে আমার অভিজ্ঞতা খারাপ। এখান থেকে আমি কোন উপসংহার টানছি না - দুনিয়ার সব দেশেই মানুষ ভালো-খারাপ মিলিয়ে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডব দা, অবশ্যই ভালো মন্দ মিলিয়ে মানুষ সব দেশেই আছে... কিন্তু পরিবেশের একটা বড়সড় রকমের প্রভাব আছে। আর কাজের জায়গাটা তো কাইন্ড অফ বিজনেস! ঐখানে নির্ভেজাল ভালোমানুষী/পরোপকারীতা দেখাবার মত মানুষ সারা দুনিয়া জুড়ে নেহায়েত কমই আছে। সারভাইভ্যাল অফ দ্য ফিটেস্ট। যে যেভাবে তার সারভাইভাল স্ট্রাটেজী অথবা বিজনেস স্ট্রাটেজী ঠিক করে। উপসংহারে যাওয়াটা কঠিন।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
হ্যাঁ এত কম স্যাম্পল নিয়ে আসলেই একটা জাতিকে বিচার করা যায় না। আমার অফিস মেটই কিন্তু গড়পড়তা কোরিয়ানরা তাদের দেশে কাজ করতে যাওয়া বাংলাদেশী শ্রমিকদের প্রতি যে দুর্ব্যবহার করে সেটা নিজে থেকে আমাকে বলে বলছিল এই জন্য ওর অনেক লজ্জা হয়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ সজল।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ আশালতাজী!
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
কোরিয়ান কি ওই ছেলেটির মতো আসলেই হয় ? আসলে গরপরতায় সবাই একি রকম।
আপনার লেখটা পড়ে ভালো লাগলো। আশা করি সামনে আরও লেখা পাবো।
শতকরা ১০০ ভাগ সবাই না, তবে অনেকেই...
ধন্যবাদ আপনাকে।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
.........
মন্তব্য করা যাচ্ছে না কেন?
নীল রোদ্দুর , আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন?
Kyung Hee University
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
I cant do comments
বাড্ডি, অফকোর্স ইউ ক্যান ডু কমেন্টস! তবে কমেন্ট করার পর মডারেশনের জন্য সেটা জমা হয়, মডারেটররা প্রকাশের যোগ্য মনে করলে সেটা প্রকাশ হয়। আর তাই মন্তব্য পোস্ট করার পর পাবলিশ হতে কিছুটা সময় লেগে যায়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভালো লাগলো
ধন্যবাদ
আপনার প্রোফাইলের ছবিটা দেখে বার বার হাসি পেয়ে যায়...
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
ভালো লেগেছে। প্রথম দিকে গতি না থাকলেও শেষে এসে পূর্ণতা পেয়েছে গল্প।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
নীল রোদ্দুর আমি তো তোমাকে চিনি।
লেখাটা ভালো হয়েছে। নতুন জীবনের জন্য সুভকামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
তৃষা তৃষা তৃষা... মেক্যানিকাল ০৩ এর কি?
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আমি এখানে আছি দেড় বছরের ও বেশি। পৃথিবীর অনেকগুলো দেশের অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, কোরিয়ার মতো কোথাও পাইনি। কোরিয়ানরা সত্যিই অসাধারন, একেবারে মাটির মানুষ। আর নিরাপত্তা এত বেশি, আমি মাঝে মাঝে চিন্তাও করতে পারি না, মনে হয় সারা পৃথিবীটা যদি এমন হত। আমার অনেক আমেরিকান বন্ধু তো সবসময় বলে, আমেরিকাতে এমন নিরাপত্তা আর নিশ্চিন্ত হয়ে থাকার কথা আমরা চিন্তাও করতে পারি না।
আমি প্রায় প্রতিদিনই রাতে হাটতে বেরোই। এত ভাল লাগে তখন, টাটকা বাতাসে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এখানকার সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আপনি যদি সারারাতও একটা পার্কে বা রাস্তার পাশে বসে থাকেন আপনাকে কেউ কোন প্রশ্ন করবে না, আর পুলিশের তো দেখাই পাওয়া যায় না এখানে, মনে হয় আদৌ এদেশে পুলিশ আছে তো।
হুম্ম
লেখাটা আগে পড়িনি! তবে আগে না পড়ে ভালোই হলো, এখন খুব সহজেই চিনতে পারলাম।
(হাঁসের মাংস খাইতে মঞ্চায় )
নতুন মন্তব্য করুন