আলোর খেলাঃ ফটুকবাজি-২

শাব্দিক এর ছবি
লিখেছেন শাব্দিক [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০২/১১/২০১১ - ১০:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ফটুকবাজি শুরু হয় ফিল্মি । যুগে। ছবি তোলার পর ফিলম শেষ হলে পরে ডেভেলপ করো, এই করো, সেই করো তারপর দেখতে পাব কি ছবি আসলো। ফিল্মের র ASA কমবেশি হলে পরে তার সাথে অ্যাপারচার, সাটার স্পীড মিলানোর নানা ঝামেলা। তাও কেন জানি ছত্রিশটা স্ন্যাপ নিতে যত মজা লাগত, তত মজা পাইনা ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলে। এখন শুধু ক্লিক ক্লিক তুলেই দেখ কেমন ছবি আসলো। একই ছবি দশটা তোল কি বারটা কোন সমস্যা নেই।

তবে যে ক্যামেরায়ই ছবি তোলা হোক না কেন কম্পোজিশানের ক্ষেত্রে আলোর নিয়ন্ত্রন ব্যাপারটাই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছবি তোলা হল আলো নিয়ে খেলা, তাই একটু আলো নিয়ে গ্যাজাই।

আলোর উৎসগুলো তিন রকম হতে পারে যা থেকে আমরা ছবি তোলার জন্য প্রয়োজনীয় আলো পাই। এগুলি হল সূর্যের আলো, অগ্নি শিখা এবং টাংস্টান লাইট। দৃশ্যমান আলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল রঙের তাপমাত্রা বা কালার টেম্পারেচার,একে ডিগ্রী ক্যালভিন এককে মাপা হয়। এখানে উৎস গুলোর তাপমাত্রা উল্লেখ করলাম-

১। সূর্যের আলোর তাপমাত্রা- ৫০০০ডিগ্রীক্যালভিন
২।অগ্নি শিখা বা মোমের আলো- ২৮০০ডিগ্রীক্যালভিন
৩। কৃত্রিম আলো বা টাংস্টান লাইট (আমরা যেসব লাইট ঘরে ব্যবহার করি সাধারনত)- ৩০০০ডিগ্রীক্যালভিন।

যে আলোতেই ছবি তুলুন না কেন আমি ফ্ল্যাশ ব্যবহারের পক্ষপাতি নই। এতে প্রকৃত পরিবেশের তুলনায় ছবির দৃশ্যটা অনেক কৃত্রিম দেখায়। এটা অবশ্য একেবারে আমার একেবারেই ব্যক্তিগত অভিমত। তবে সূর্যের আলোর বিপরীতে ছবি তুলতে গেলে আমরা যে নিদারুণ ঝামেলায় পড়ি সে সমস্যা থেকে আমাদের উদ্ধার করবে কিন্তু ফ্ল্যাশ। সূয্যি মামার সামনে দাঁড়িয়ে সাহস করে আপনার ছবির বিষয় বস্তুর উপর ফ্ল্যাশ ব্যবহার করে ক্লিক করুন, দেখবেন মারাত্মক ছবি আসবে।নীচের দুটো ছবির পার্থক্য দেখুন।

প্রথমটি ফ্ল্যাশ ছাড়া এবং পরেরটি ফ্ল্যাশ সহ সূর্যের বিপরীতে তোলা-

sun flash

with sun flash

আলো নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে দুটি বিষয় তা হল অ্যাপারচার এবং সাটার স্পীড সব সময় ব্যাস্তানুপাতিক। অর্থাৎ ব্যাপার হল অনেকটা এমন ছোট্ট একটা ছিদ্র দিয়ে আলো ঢুকছে ১ সেকেন্ড। এবার ছিদ্রের ব্যাসার্ধ কমিয়ে করলেন অর্ধেক এবার আলো ঢুকবে ২ সেকেন্ড, তো একই পরিমান আলো ঢুকবে। এখানে সময়টা হল সাটার স্পীড আর ছিদ্রের ব্যাসার্ধটা হল অ্যাপারচার। তাই এদের একটা এক স্টপ কমালে অন্যটা এক স্টপ বাড়িয়ে দিন, তাহলে আপনার ছবির কারেক্ট এক্সপোজার থাকবে। কারেক্ট এক্সপোজারের অ্যাপারচার এবং সাটার স্পীড রিডিং কে বলা হয় মিড টোন।

তবে খুব জরুরী একটা ঘটনা হল অ্যাপারচার যত কম ব্যবহার করা হয় ছবির শার্পনেস বা তীব্রতা তত বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ ছবির অবজেক্ট বা বিষয় বস্তুর ধারগুলো তত পরিষ্কার বোঝা যায়। আমাদের ত্রিমাত্রিক পৃথিবীতে ছবি যেহেতু দ্বিমাত্রিক, ছবির অবজেক্টে আমরা সব সময় ত্রিমাত্রিক ধারনা স্পষ্ট করতে চাই। এই ধারণাকেই বলি ডেপথ অফ ফিল্ড। সুতরাং অ্যাপারচার যত কম ব্যবহার করবেন ডেপথ অফ ফিল্ড তত ভাল দেখাবে।
এখন যেটা সমস্যা হবে অ্যাপারচার কমিয়ে মিড টোন আনতে গেলে সাটারের গতি হবে কম। ফলে হাত কাঁপলেই ছবি যাবে নড়ে। ট্রাইপোড ব্যবহার করে এ সমস্যা সমাধান করতে পারেন। মোমের আলোতে প্রকৃত বা ন্যাচারাল ছবি তুলতে চাইলে এই অসুবিধা হতে পারে।

candle

সুতরাং অ্যাপারচার কম রেখে ছবি তুললে ছবি বাস্তব দেখাবে বেশি, কিন্তু হাত কাঁপাকাঁপি একদম বন্ধ। তবে গতিময় কোন বস্তুর ছবি তুলতে গেলে এই বুদ্ধি একেবারে ফ্লপ।

বিভিন্ন ধরণের লেন্স বাজারে পাওয়া যায় যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন কম্পোজিশানের ছবির জন্য ভাল। এগুলো ব্যবহার করে বস্তুর আপেক্ষিক দূরত্ব, আপেক্ষিক আকার এবং দৃশ্যের কোণ (এঙ্গেল অফ ভিউ) পরিবর্তন করা সম্ভব। লেন্সগুলো সাধারণত ফোকাস দূরত্ব এবং এঙ্গেল অফ ভিউ আরও গুণাবলীর ভিন্নতার ভিত্তিতে তৈরি হয়।
সাধারণত ওয়াইড এঙ্গেল, নরমাল, টেলে, সুপার টেলে ইত্যাদি লেন্স গুলো ফটোগ্রাফারদের সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এগুলোর সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক ধারণা দিচ্ছি -

১। ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স- বড় আকারের কোন বস্তু কাছ থেকে ছবি তুলতে এই লেন্স ব্যবহার করা হয়। এর ফোকাল লেনথ সাধারণ লেন্সের চেয়ে কম। অর্থাৎ নরমাল লেন্সের চেয়ে বস্তুর আকার আরও বিবর্ধিত দেখায় এই লেন্সে তোলা ফটোতে। এই লেন্স দুটো বস্তু বা অব্জেক্ট এর মধ্যকার দূরত্ব নিখুঁতভাবে বুঝানো যায়। ধরুন প্রেমিক প্রেমিকার ছবি তুলছেন ৩৫মিমি দূরত্ব থেকে তাহলে ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স ব্যবহার করুন। ডেপথ অফ লাভ এর সাথে সাথে ডেপথ অফ ফিল্ডও চমৎকার আসবে।

wide angle lens

এই লেন্স ব্যবহার করে ক্যামেরাকে উল্লম্বভাবে যদি না ধরা হয়, তাহলে পারস্পেক্টিভের বিচুত্যি (ডিস্টরশান) ঘটে, অর্থাৎ সমান্তরাল আলোকরেখাগুলো একই বিন্দুতে মিলিত হবার হার নরমাল লেন্সের চেয়ে বেশি হয়। কারণ এতে ক্ষেত্র আরও বিস্তীর্ণ করে। সহজ করে বললে ব্যাপারটা যা দাঁড়ায় তা হল, স্বাভাবিকভাবে দেখলে দুটি বস্তুকে আমরা যে পারস্পরিক দূরত্বে দেখি, তার চেয়ে ভিন্ন দূরত্বে ছবিতে দেখা যাবে। নীচের ছবিটি দেখুন।

wide-angle1

ওয়াইড এঙ্গেল লেন্সের ফোকাল লেনথ ৩৫মিমি ধরা হয় (৩৬মিমি বাই ২৪মিমি ফরম্যাট), কৌণিক আকার ৪৩.৩ মিমি। এগুলো দুই ধরণের গাঠনিক আকার বিশিষ্ট হয়। শর্ট ফোকাস লেন্স এবং রেট্রো ফোকাস লেন্স। শর্ট ফোকাস লেন্সএ ফোকাসদূরত্ব যত কমতে থাকে, বস্তুর পেছনের উপাদানের দূরত্ব ফিল্মের পাত বা ডিজিটাল সেন্সর থেকে কমে, অপরপক্ষে রেট্রো ফোকাস লেন্সএ কার্যকর ফোকাসদূরত্ব থেকে পেছনের উপাদান আরো বেশি দূরে দেখায়।যেমন-

wide-angle-lens-16

২। ফিশআই লেন্স- আরও কাছে থেকে ১০মিমি দূরত্ব থেকে ছবি তুলতে ব্যবহার করতে হবে মাছের চোখ বা ফিশআই লেন্স। এটি মূলত একধরণের ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স যাতে ছবি তুললে দেখা যাবে চওড়া, বিস্তীর্ণ, গোলার্ধ বা অর্ধ গোলাকার ইমেজ, মাছেরা যেমন দেখে। আবহবিদ্যা যেমন মেঘের বিন্যাস ও অন্যান্য আবহাওয়া জনিত নিরীক্ষণে ছবি তুলতে এই লেন্স ব্যবহার করা হয়। তবে এর বিচুত্যি ধর্মের (ডিস্টরশান অ্যাপিয়ারেন্স) কারণে নানা ধরণের কম্পোজিশানে ব্যবহৃত হয়।

fish eye lens

ফিশ আই লেন্সের দুটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, যার জন্য ফটোগ্রাফারদের কাছে এর অন্য রকম কদর আছে-
• উজ্জ্বল আলোর উৎসের দিকে এই লেন্স অধিক তাৎপর্য দেয়।
• অতিরিক্ত নিকটবর্তী ফোকাস থেকে তুলতে পারেন আপনার পছন্দের বিষয়বস্তুকে, যার ম্যাগ্নিফাইং গুণাবলী বস্তু বিবর্ধন ঘটাবে কয়েকগুণ।

ফিশআই লেন্স সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে- সারকুলার ফিশআই লেন্স এবং ফুলফ্রেম ফিশ আই লেন্স। সারকুলার ফিশআই লেন্সএর ধারণকৃত চিত্র ১৮০ ডিগ্রী গোলার্ধে তোলা হয় এবং ফ্রেমের ভিতর বৃত্তাকার দেখায়। ফুলফ্রেম ফিশআই লেন্স ধারণকৃত চিত্রকে দীর্ঘ করে, ৩৫মিমি ফ্রেম পূর্ণ করে। এই দুটির মধ্যে ফুলফ্রেম ফিশআই লেন্সই ফটোগ্রাফাররা বেশি ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে ছবিটা কে এক কোণা থেকে অন্য কোণা পর্যন্ত পরিমাপ করলেই কেবল ১৮০ ডিগ্রী এ্যাঙ্গেল অফ ভিউ পাওয়া যায়।

সারকুলার ফিশআই লেন্সে তোলা ছবি

fisheye-lenses-photos31

ফুলফ্রেম ফিশআই লেন্সে তোলা ছবি

full fram Fisheye lens

গোলাকার চিত্রে ফিশআই লেন্সএর ফোকাস দূরত্ব ৮-১০মিমি। পূর্ণ ফ্রেম ছবির জন্য ১৫-১৬মিমি। ডিজিটাল ক্যমেরায় ক্ষুদ্রাকার ইলেকট্রনিক ইমেজার এর ক্ষেত্রে মিনিয়েচার ফিশআই লেন্সএর ফোকাল লেনথ ১-২ মিমি পর্যন্ত কমতে পারে।

৩। নরমাল লেন্স- দূরত্ব যদি হয় ৫০ থেকে ৮৫ মিমি তবে নরমাল লেন্স ব্যবহার করাই উত্তম। আমরা খালি চোখে যেমন দেখতে পাই নরমাল লেন্সের ছবি তেমনি আসে। নরমাল লেন্স ফিশআই বা ওয়াইড এঙ্গেল লেন্সের চেয়ে বেশি ফোকাল লেনথ এবং টেলেফটো লেন্সের চেয়ে কম ফোকাল লেনথ বিশিষ্ট হয়ে থাকে। নরমাল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ফিল্ম বা সেন্সর ফরমেটের কৌণিক দূরত্বের সমান। এতে ধারণকৃত দৃশ্যের দৃষ্টি কোণ ৪৫-৫৩ ডিগ্রী যা মূল দৃশ্যের অনুরূপ। একে নরমাল লেন্স নামকরণ করা হয় এ কারনেই, আমরা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে যা দেখতে পাই এই লেন্সে তোলা ছবি প্রায় একই।

Normal lens.pix

এই লেন্সে স্বাভাবিক বা নরমাল পারসপেক্টিভে ছবি আসবে এবং বিচুত্যি (ডিসটরশান) কম হবে। নরমাল লেন্স হাল্কা এবং সহজে বহন যোগ্য। এই লেন্সে তোলা ছবির ডেপথ অব ফিল্ড ঠিক তেমন আসবে যেমন আমরা খালি চোখে দেখি, ফলে ভারসাম্যপূর্ণ, স্পষ্ট ও ধারালো ইমেজ পাই।
বাবা-মা, ভাই বোন, বাসাবাড়ি এর ভিতরে হাতিল বা অটবী’র কেনা আসবাব পত্রে নববিবাহিতা স্ত্রী পোস দিয়ে ছবি তুলতে চাইলে এই লেন্স ব্যবহার করুন। দৃশ্যের ছবিও এতে ভাল আসবে কিন্তু দূরত্বটা খেয়াল রাখবেন তা যেন সর্বাধিক ১০০মিমি এর বেশি অতিক্রম না করে। এতে ডেপথ অফ ফিল্ড কমে যেতে পারে।

নরমাল লেন্সে তোলা ছবি
normal lens

৪। টেলেফটো লেন্স- সবচেয়ে দীর্ঘ ফোকাস দূরত্বের জন্য ব্যবহার করা হয় যে লেন্স সেটাই হল টেলেফটো লেন্স। এটি এমনভাবে তৈরি যাতে আলোক পথ প্রসারণ ঘটায়। এটি দীর্ঘ ফোকাল লেনথ এর জন্যে ব্যবহৃত হলেও লেন্সের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য তুলনামুলক ভাবে কম।

tele photo lens

টেলিফটো লেন্স দুধরনের- মিডিয়াম টেলেফটো লেন্স এবং সুপার টেলেফটো লেন্স। মিডিয়াম টেলেফটো লেন্স ১০-৩০ ডিগ্রী দৃষ্টি সীমানা অন্তর্ভুক্ত করবে ১৩৫ মিমি বা তার অধিক দূরত্বের জন্য। ওই দূরের ছাদে বিকালবেলা যে কিশোরী বেড়াচ্ছে এই লেন্স দিয়ে তার ছবি তুললে দারুণ আসবে। ১৩৫মিমি থেকে শুরু করে ৪০০মিমি দূরত্বে ছবি তুলতে এই লেন্স ব্যবহার করা হয়। মডেলিং এর পোরট্রেট ফটোগ্রাফি, প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি বা কোম্পানির প্রোডাক্ট অ্যাডভারটাজিং এর জন্য ছবি তুলতে এ লেন্স উপোযোগী।

tele photo

সুপার টেলেফটো লেন্স ৮-১০ ডিগ্রী দৃষ্টি সীমানা ধারণ করতে পারে এবং ফোকাস দূরত্ব ৩০০মিমির বেশি হলেও সে দূরত্ব এই লেন্সের ধারন ক্ষমতার বাইরে নয়। ৪০০মিমিএর চেয়ে বেশি ফোকাল লেনথ এর ছবি তুলে ফেলুন অনায়াসে এই লেন্স দিয়ে। খেলার মাঠে ফুটবল বা ক্রিকেটারদের ছবি তুলতে যে বিশাল বড় চোঙ্গের মত ক্যামেরা লেন্স ফটোগ্রাফারদের হাতে দেখা যায় তা সাধারণত এই জিনিস। পাখির ছবি বা প্রকৃতির দূরের কোন ছবি বা জীব জন্তুর ছবি তুলতেও এই ধরণের লেন্স ব্যবহার করা হয়।

tele sports

Red-shouldered-Hawk-flight- tele1

আর একটা ছোট টিপস দিচ্ছি একদম ফ্রি (যদিও একে কমনসেন্স বলা ভাল), যেই লেন্স ই ব্যবহার করুন ছবি তুলতে ক্যামেরার ব্যাগে পকেট টিস্যু রাখতে ভুলবেন না। লেন্সএ কোন ধুলাবালি পড়লে সঙ্গে সঙ্গে হালকা করে টিস্যু দিয়ে মুছে নিবেন। লেন্স যত্ন করে ব্যবহার করলে এর আয়ু বৃদ্ধি পায়।

শেষ করি আমার অর্ধ সমাপ্ত প্রেম কাহিনী দিয়ে। ফটোগ্রাফি কোর্স যখন প্রায় শেষের পথে ক্লাস শেষ করে বাইরে বের হয়ে দেখলাম পরীর কাছাকাছি এক মহা সুন্দরী তরুণী ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে। বাকি ঘটনা বুঝতেই পারছেন। ইংরেজি বিভাগের সূচী আপু, অচিরেই তার অন্য পরিচয় পেলাম, আমার প্রথম প্রেম সঞ্চয়’ দার অদ্বিতীয়া একনিষ্ঠ প্রেমিকা। আর যাই হোক এই অসামান্য রূপের অধিকারিণীর সাথে আমার প্রেমের প্রতিযোগিতা চলে না। রাগে, দুঃখে, চরম ঈর্ষায় আমার জীবনের প্রথম প্রেমের সেখানেই সমাপ্তি হল, তবে ফটোগ্রাফার জীবনের হল শুরু।

তথ্যসুত্র ও ছবি- ইন্টারনেট

ফটুকবাজি-১

শাব্দিক


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কঠিন!

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। আপনার পোস্টগুলো পড়ে তো পোস্টানোর সাহসই পাচ্ছিলাম না।

তাসনীম এর ছবি

দারুণ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

তিথীডোর এর ছবি

বড় হয়ে আমি ফটুরে হব, হবো-ই.. পাউরুটির কসম! চোখ টিপি

পোস্টে উত্তম জাঝা!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাপস শর্মা এর ছবি

হে হে হে ...... ঐ ক্যামেরার জন্যি আমার কান্না পাচ্ছে, বেচারির ভবিষ্যৎ অন্ধকার

শাব্দিক এর ছবি

এইজন্যেই সবাই তিথীকে বাচ্চা মেয়ে বলে।

তাপস শর্মা এর ছবি

খাইছে। আর ফডুরে অইতা পারলাম না রে। খাইছে খাইছে, এন্তার নিয়ম দেইখ্যা আমার হে হে হে ফুডুরোগ চইলা যাইতাছে, আমি তো আন্দা ধুন্দা ক্লিকাইন্যা মানুষ ।

শাব্দিক এর ছবি

ফুডুরোগ ছাড়ানোর জন্য পুস্টাইলাম নাকি? এতো দেখি ব্যাকফায়ার করতেসে।

shafi.m এর ছবি

মজার. চলুক

শাফি.

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

উচ্ছলা এর ছবি

সুপার ইন্টারেস্টিং পোস্ট! হাসি

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ উচ্ছলা।

ফাহিম হাসান এর ছবি

লেখায় পরিশ্রমের ছাপ রয়েছে। কিন্তু প্রচুর ভুল রয়ে গিয়েছে।

যেমন:

তবে যে ক্যামেরায়ই ছবি তোলা হোক না কেন কম্পোজিশানের ক্ষেত্রে আলোর নিয়ন্ত্রন ব্যাপারটাই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

কম্পোজিশানের ক্ষেত্রে আলো নয়, গুরুত্বপূর্ণ হল ছবির সাব্জেক্টের অবস্থান বা ফ্রেমের কোন কোণায় কী আছে তা।

আরেকটা কথা -

ওই দূরের ছাদে বিকালবেলা যে কিশোরী বেড়াচ্ছে এই লেন্স দিয়ে তার ছবি তুললে দারুণ আসবে।

আমি জানি আপনি মজা করার জন্য বলেছেন। তারপরেও এই ধরনের চিন্তা বিপদজনক - ফটোগ্রাফার ও কিশোরী - দুইজনের জন্যই। এ ধরনের মজা করতে গিয়ে বড় সমস্যা তৈরী করা বিচিত্র কিছু না।

বরং আসুন, ফটোগ্রাফারদের সাবধান করি - টেলি লেন্স থাকলেও অনুমতি নিয়ে ছবি তুলুন, দূর থেকে না জানিয়ে ছবি তোলা, জানালা দিয়ে ছবি তোলা থেকে বিরত থাকুন।

আস্তে আস্তে বাকি ভুলগুলিও বলছি।

ফাহিম হাসান এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ ভুলগুলি এখানে বলছি -

ভুল ১।

এখানে উৎস গুলোর তাপমাত্রা উল্লেখ করলাম-
১। সূর্যের আলোর তাপমাত্রা- ৫০০০ডিগ্রীক্যালভিন
২।অগ্নি শিখা বা মোমের আলো- ২৮০০ডিগ্রীক্যালভিন
৩। কৃত্রিম আলো বা টাংস্টান লাইট (আমরা যেসব লাইট ঘরে ব্যবহার করি সাধারনত)- ৩০০০ডিগ্রীক্যালভিন।

মোমের আলোর কালার টেম্প ২৮০০ নয়, বরং ১৮৫০ K
২৮০০ k এর রেঞ্জে পড়ে হল লাইট বাল্ব – যেইটা উল্লেখ করেন নাই।

1,850 K Candle flame
2,700–3,300 K Incandescent light bulb

সোর্স: http://en.wikipedia.org/wiki/Color_temperature

---

ভুল ২।

তবে খুব জরুরী একটা ঘটনা হল অ্যাপারচার যত কম ব্যবহার করা হয় ছবির শার্পনেস বা তীব্রতা তত বৃদ্ধি পায়।

প্রথমত ছবির তীব্রতা বলে কিছু নাই। শার্প্নেসের কথা বললে অ্যাপারচার নাম্বার বরং বাড়াতে হবে। ডেপথ অফ ফিল্ড বাড়াতে হলেও অ্যাপারচার নাম্বার বাড়াতে হবে।

---

ভুল ৩।

কারেক্ট এক্সপোজারের অ্যাপারচার এবং সাটার স্পীড রিডিং কে বলা হয় মিড টোন।

না ভাই, ভুল বলছেন। ছবির মিডটোন হল শ্যাডো (লো) আর হাইলাইট এর মধ্যবর্তী অংশ। কখনোই অ্যাপারচার এবং সাটার স্পীড রিডিং কে মিডটোন বলে না। আর মিটার রিডিং থেকে কারেক্ট এক্সপোজার নিলেই সবসময় মিডটোন পাওয়া যায় না – যেমন: অনেক ক্ষেত্রেই সাদা পাখির ছবি তুলতে গেলে হাফ/এক স্টপ আন্ডার করা লাগে।

---

ভুল ৪।

আমাদের ত্রিমাত্রিক পৃথিবীতে ছবি যেহেতু দ্বিমাত্রিক, ছবির অবজেক্টে আমরা সব সময় ত্রিমাত্রিক ধারনা স্পষ্ট করতে চাই। এই ধারণাকেই বলি ডেপথ অফ ফিল্ড।

ব্যাপারটা আসলে ঠিক তা না – এই ধারণাকে আসলে বলে পারস্পেক্টিভ

এই পারস্পেক্টিভ আর ডেপথ অফ ফিল্ড কাছাকাছি টার্ম হলেও এরা প্রতিশব্দ নয়। ডেপথ অফ ফিল্ডের উইকি সংজ্ঞা –

In optics, particularly as it relates to film and photography, depth of field (DOF) is the distance between the nearest and farthest objects in a scene that appear acceptably sharp in an image.

---

ভুল ৫।

এটি দীর্ঘ ফোকাল লেনথ এর জন্যে ব্যবহৃত হলেও লেন্সের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য তুলনামুলক ভাবে কম।

এইটা কী বললেন ভাই! লেন্সের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে এলিমেন্টের সংখ্যার উপরে। টেলিফটো লেন্স সাইজে (দৈর্ঘ্যে) সাধারণত বড়ই হয়। পাশাপাশি লেন্সগুলো রেখে দেখান –

ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্সের দৈর্ঘ্য < নরমাল লেন্সের দৈর্ঘ্য < টেলি লেন্সের দৈর্ঘ্য

সহজে বোঝার জন্য একই কোম্পানির প্রাইম লেন্সগুলো নিয়ে দেখুন।

---

ভুল ৬।

একটা বড় ভুল -

এবার ছিদ্রের ব্যাসার্ধ কমিয়ে করলেন অর্ধেক এবার আলো ঢুকবে ২ সেকেন্ড, তো একই পরিমান আলো ঢুকবে। এখানে সময়টা হল সাটার স্পীড আর ছিদ্রের ব্যাসার্ধটা হল অ্যাপারচার। তাই এদের একটা এক স্টপ কমালে অন্যটা এক স্টপ বাড়িয়ে দিন, তাহলে আপনার ছবির কারেক্ট এক্সপোজার থাকবে।

এই অংশটা আসলে পুরোটাই ভুল।

অ্যাপারচার মোটেও ফুটোর ব্যাসার্ধ না। অ্যাপারচার নাম্বার কখনোই ব্যাসার্ধের নাম্বার না। বরং ফোকাল লেংথ আর ডায়ামিটার (বৃত্তের ব্যাস) এর অনুপাত।

wiki থেকেই দেখুন - The lens aperture is usually specified as an f-number, the ratio of focal length to effective aperture diameter

ঠিক ভুল না কিন্তু আরো দুইখান কথা -

লেন্সএ কোন ধুলাবালি পড়লে সঙ্গে সঙ্গে হালকা করে টিস্যু দিয়ে মুছে নিবেন।

লেন্সে সাধারণ টিস্যু পেপার ব্যবহার না করাই উত্তম। কারণ টিস্যু পেপারে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা লেগে থাকে যা লেন্সের গায়ে লেগে গেলে মুশকিল। ভাল বুদ্ধি হল আগে ব্লোয়ার ব্যবহার করুন। তারপরেও ধুলো না গেলে microfiber cloth ব্যবহার করুন। অথবা ক্যামেরা লেন্সের জন্য বিশেষ এক প্রকার টিস্যু পাওয়া যায় তা ব্যবহার করুন। এই লিংকে গেলে ক্লিনিং ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

১। ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স- বড় আকারের কোন বস্তু কাছ থেকে ছবি তুলতে এই লেন্স ব্যবহার করা হয়।

আসলে এভাবে ঠিক একটা লেন্সের ব্যবহারকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। যেমন: ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্সের প্রচলিত ব্যবহার হল ল্যান্ডস্কেপ – এইটাও উল্লেখ করা জরুরী।

শুভেচ্ছা রইল। আগামীতে ফটোগ্রাফি নিয়ে আরো ভাল লেখা উপহার পাব আশা রাখি।

কল্যাণF এর ছবি

ফাহিম ভাই, মোটা দাগেঃ

শাটার স্পীড হল শাটার কতক্ষণ খোলা থাকবে তার মান। এর মাধ্যমে সেন্সর বা ফিল্ম কতক্ষণ আলোতে এক্সপোজ করা হবে তা নির্ধারন করা হয়। অর্থাৎ শাটার স্পীড ১ সেকেন্ড মানে শাটার ১ সেকেন্ড ধরে খোলা থাকবে আর এই ১ সেকেন্ড ধরে আলো সেন্সরে বা ফিল্মের উপরে পড়বে। এটা ক্যামেরার উপর নির্ভর করে একটি রেঞ্জের মধ্যে থাকে (১/৪০০০ সেকেন্ড থেকে ৩০ সেকেন্ড বা এরকম) যা ফটোগফুর পরিবর্তন করতে পারে।

এপারচার নাম্বার দিয়ে মোটা দাগে বোঝা যায় লেন্সের বা শাটার এর যে পরিবর্তনশীল ছিদ্র পথে আলো সেন্সর বা ফিল্মের উপর পড়ে তার সাইজ। তুলনামূলক ভাবে এপারচার নাম্বার (f) যত বড় এপারচার তত ছোট আর নাম্বার যত ছোট এপারচার তত বড়। অর্থাৎ তুলনামূলক ভাবে যদি শাটার স্পীড স্থির রাখি তাহলে f নাম্বার যত বড় হবে ছিদ্র তত ছোট হবে আলো তত কম প্রবেশ করবে, আর f নাম্বার যত বড় হবে ছিদ্র তত বড় হবে আলো তত বেশি প্রবেশ করবে। এপারচারের উদাহরন

এত কাহিনীর মূল উদ্দেশ্য হল এক্সপোজার। এক্সপোজার কম হলে ছবিতে আলোর পরিমান কম হবে, ফলে ছবি অন্ধকার হয়ে যাবে। আবার এক্সপোজার বেশি হলে আলোর পরিমান ছবিতে বেশি হয়ে যাবে এবং ছবি জ্বলে যাবে। এক্সপোজারের জন্যে এডভান্সড ক্যামেরাতে মিটারিং এর ব্যবস্থা থাকে ফলে ক্যামেরাই হিসাব করে দেখিয়ে দেয় এক্সপোজার বেশি হচ্ছে নাকি কম হচ্ছে আর তখন শাটার স্পীড আর এপারচার এর কম্বিনেশন করে মানে কমিয়ে বাড়িয়ে সঠিক এক্সপোজার পাওয়া যাবে। আর অটো মোডে তো ক্যামেরাই সব করে দেয়, খালি খচা খচ শাটার রিলিজ টেপা।

এখন দৃষ্টি নন্দন ডেপথ অফ ফিল্ড (সাবজেক্ট পরিস্কার ভাবে ফোকাস করা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপসা বা বোকেহ) এর জন্যে এপারচার যত সম্ভব বড় নিতে হবে অর্থাৎ f নাম্বার যতদূর সম্ভব ছোট রাখতে হবে। অর্থাৎ শ্যালো ডেপথ অফ ফিল্ড।

ভুল বললে ঠিক করে দিন প্লিজ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

না, ব্যাখ্যা ঠিক আছে কল্যাণ ভাই।

শিশিরকণা এর ছবি

তাইলে উনি ঠিক বললেন কোনটা?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

শাব্দিক এর ছবি

সেটাই ভাবছি। দুশ্চিন্তার ইমো।

শাব্দিক এর ছবি

প্রথমেই বলে নেই আমার ফটোগ্রাফি সঙ্ক্রান্ত লেখাগুলো এ্যমেচারদের জন্য বা যারা এখনও ফটোগ্রাফি শুরু করে নাই তাদের জন্য সহজবোধ্য করে লেখার চেষ্টা করেছি। প্রফেশনালদের জন্য তা বিরক্তির কারন হতে পারে। তাই বলে ভুল তথ্য অবশ্যই কাম্য নয়-

১।মোমের আলো তাপমাত্রা আপনারটাই ঠিক । ১৮৫০ ডিগ্রী হবে। আমার জানা ছিল ১৮০০, ভুল করে ২৮০০ লিখে ফেলেছি।

২। Depth-of-field calculations are flawed. They calculate the largest aperture that will give barely passable sharpness. They do not calculate the aperture which will give you the sharpest photo, just the bare minimum.
Depth-of-field charts and scales came from an era where film was very slow and we always needed the widest aperture possible.
If you stop down more you get sharper results, but if you stop down too far, diffraction gives you softer results, just like squinting your eyes. The very best aperture is someplace between these two, and I'm going to show you how to find it exactly.
If you're shooting flat subjects, the sharpest aperture is usually f/8. My lens reviews give the best apertures for each lens, but it is almost always f/8 if you need no depth of field. That's the easy part.
তথ্যঃ http://www.kenrockwell.com/tech/focus.htm

৩। আপনি যেটা বলছেন গ্রে স্কেলের ক্ষেত্রে সেটাই ঠিক। কিন্তু আমার শিক্ষক ফটোগ্রাফাররা অ্যাপারচার এবং সাটারস্পীড এর কারেক্ট আক্সপোজারের রিডিংকে মিডটোন রিডিং বলতেন। এটা ভুল কিনা শিওর হতে পারছি না।

৪। এই লাইনটা একটু সহজভাবে জেনারালই বুঝানোর জন্য লিখছি, যারা এইসব শব্দের সাথে পরিচিত নয় তাদের জন্য। দুটি বস্তুর সঠিকভাবে বুঝালে ত্রিমাত্রিকতাটা পরিষ্কার হয়। ভুল হয়ে থাকলে দুঃখিত।
৫। সব লং ফোকাস লেন্সই টেলে ফটো লেন্স নয়। টেলেফটো লেন্সের দীর্ঘ ফোকাল লেন্থ অনুযায়ি তুলনামূলক ভাবে কম। একই ফোকাল লেন্থ এ লং ফোকাস লেন্স অনেক বেশি লম্বা দেখায় টেলে ফটো লেন্স এর তুলনায়, এটি টেলেফটোলেন্স এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য -
As the focal length of such lenses increases, the physical length of lens becomes inconveniently long. But such lenses are not telephoto lenses, no matter how extreme the focal length. They are simply known as long-focus lenses. A telephoto lens works by having the outermost (i.e. light gathering) element of a much shorter focal length than the equivalent long-focus lens.
তথ্যঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Telephoto_lens

৬। এটা বোধ হয় কল্যাণ F পরিষ্কার করে বলেছে আমি যা বোঝাতে চাইছি। আবারও বলছি একটু সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য এভাবে লেখা।

৭। ব্লোয়ার বা গ্লাস ক্লিনিং জেল ব্যবহারই সবচেয়ে নিরাপদ। কিন্তু আউট ডোর ফটোগ্রাফির জন্য তাৎক্ষণিক ভাবে ময়লা পড়লে সেভাবে রাখাটা খুব ক্ষতিকর।

৮। ল্যান্ড স্কেইপের জন্য ওয়াইড এঙ্গেল ভাল, তবে দূরত্ব বেশি হলে ওয়াইড এঙ্গেলএ ছবি ভাল হবে না।

সাফি এর ছবি

ভুল ২ সম্পর্কে আমি একটু বলি।

তবে খুব জরুরী একটা ঘটনা হল অ্যাপারচার যত কম ব্যবহার করা হয় ছবির শার্পনেস বা তীব্রতা তত বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ ছবির অবজেক্ট বা বিষয় বস্তুর ধারগুলো তত পরিষ্কার বোঝা যায়। আমাদের ত্রিমাত্রিক পৃথিবীতে ছবি যেহেতু দ্বিমাত্রিক, ছবির অবজেক্টে আমরা সব সময় ত্রিমাত্রিক ধারনা স্পষ্ট করতে চাই। এই ধারণাকেই বলি ডেপথ অফ ফিল্ড। সুতরাং অ্যাপারচার যত কম ব্যবহার করবেন ডেপথ অফ ফিল্ড তত ভাল দেখাবে।
এখন যেটা সমস্যা হবে অ্যাপারচার কমিয়ে মিড টোন আনতে গেলে সাটারের গতি হবে কম। ফলে হাত কাঁপলেই ছবি যাবে নড়ে।

এই দুই বোল্ড করা অংশ পড়ে মনে হচ্ছে, আপনি অ্যাপার্চার বলতে এফ-স্ট্প নাম্বারের কথা বুঝিয়েছেন। সেই হিসেবে আমার কাছে ব্যাখ্যাটা ঠিক ই লেগেছে।

শাব্দিক এর ছবি

অ্যাপারচার আর অ্যাপারচার স্টপ নম্বর ব্যাস্তানুপাতিক। এই জন্য বুঝতে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ভাই, আপনি অনেক কষ্ট করে এই পোস্টটা দিয়েছেন। আমার কাছে সত্যি ভাল লেগেছে, কিন্তু টেকনিকাল ব্যাপারে আপনি যেই ব্যাখ্যাগুলো দিলেন তা গ্রহণযোগ্য মনে হল না। হয়ত আপনি নিজে ঠিক বুঝছেন, কিন্তু বোঝাতে পারছেন না। অনুরোধ জানাই এই মূল বিষয়গুলোর উপরে কোন ভাল টেক্সট অনুসরণ করতে অথবা ভাল কোন ওয়েবসাইট (ব্যক্তিগত ব্লগ নয়)। পয়েন্ট বাই পয়েন্ট বলতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। পরামর্শ দেই -

লেখার সময় ফটোগ্রাফিক টার্মগুলো ঠিক মত ব্যবহার করুন। আপনি সহজভাবে বোঝাতে গিয়ে "অ্যাপারচারকে ব্যাসার্ধ বললে তো মুশকিল"। সহজভাবে বোঝানোর চেয়ে শুদ্ধভাবে বোঝানোর উপর জোর দিন।

আর অন্যকে কোন পরামর্শ দিলে একটু যাচাই করে নেওয়া ভাল (নাইলে পরে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা আছে) - লেন্সে কোন ভাবেই নরমাল টিস্যু ব্যবহার করা যায় না। ফুলস্টপ। এখানে বিতর্কের অবকাশ নাই।

আপনার প্রতিমন্তব্যেরও কিছু জায়গায় ভুল রয়ে গিয়েছে।

ল্যান্ড স্কেইপের জন্য ওয়াইড এঙ্গেল ভাল, তবে দূরত্ব বেশি হলে ওয়াইড এঙ্গেলএ ছবি ভাল হবে না।

এইটা কী বললেন ভাই! ক্যাম্নে কী! মানুষ ইনফিনিটি দূরত্বের তারার ছবি তুলে ফাটায় ফেলল, কয়েক শ মাইল দূরের ল্যান্ডস্কেপের ছবি তুলল ওয়াইড অ্যাঙ্গেল দিয়ে - আপনার কথাটা মোটেই গ্রহণযোগ্য না। ছবির ভাল-মন্দের দায় কখনো কোন "লেন্সের টাইপ" নিতে পারে না।

সবশেষে বলি - আপনি যে বিষয়গুলোর উপর লিখছেন একই বিষয়ে প্রচুর রিসোর্স নেটেই আছে। লেখার আগে একটু যাচাই করে নিন। সচলে একটা ই-বুক আছে। পুনরাবৃত্তি এড়াতে ওটা পড়ে নিন।

আসা করি আমার সমালোচনা ভুল বুঝবেন না। আপনাকে আরো ভাল লেখার জন্য উৎসাহ দিতেই এত কথা বললাম। আর আমার-আপনার প্রেমিকা তো একই (আই মিন ক্যামেরা খাইছে )। আসেন প্রেমিকাকে ভালবেসে আরেকটু ভাল লেখা দেই।

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ ফাহিম। আমার জানায় ভুল থাকতেই পারে।ম্যান ইজ মোরটাল।
আমি যতটুকু জানি ওয়াইড এঙ্গেলে দূরত্ব বেশি হলে ডেপথ অফ ফিল্ড ভাল আসবে না, বেশি দূরের জন্য এই লেন্স সাজেস্ট করা হয় না। আমি ভুল ও হতে পারি।

আপনার কন্সেপ্ট আমার চেয়ে পরিষ্কার বলে মেনে নিচ্ছি, তাই যদি কিছু মনে না করেন আপনার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগের জন্য ইমেল বা কোন আই ডি কি পেতে পারি।
অন্তত সচলে ফটোগ্রাফি সঙ্ক্রান্ত লেখা দেবার আগে রিচেক করে নিতে পারতাম। ভুল তথ্য দেয়া টা আসলেই ঠিক না।

আর ইয়ে মানে ইয়ে, মানে... ক্যামেরা আমার প্রেমিক হতে পারে প্রেমিকা হবার সম্ভবনা নাই। জেন্ডার ওইস আমি স্ট্রেইট খাইছে

ফাহিম হাসান এর ছবি

অবশ্যই। আমাদের সবারই ভুল হয়। আমার ভুলগুলিও বিনা দ্বিধায় ধরিয়ে দিবেন।

আমার ফ্লিকার অ্যাকাউন্ট: http://www.flickr.com/photos/fahimhassan/

ইমেইল:

ইয়ে, "প্রেমিকার" ব্যাপারটা আমার অনেস্ট মিস্টেক। শেষ প্যারাটা মন দিয়ে পড়ি নাই।

ফটোগ্রাফি নিয়ে আরো ভাল লেখার প্রত্যাশায় থাকলাম।

কল্যাণF এর ছবি

দেঁতো হাসি

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ ফাহিম ভাই। পরবর্তীতে ফটোগ্রাফি নিয়ে পোস্ট দিলে আপনাকে বিরক্ত করব, ভুল গুলো সংশোধনের জন্য।

তানজিম এর ছবি

ফাহিম ভাই, ভুল ৪ সম্পর্কে দুই পয়সা যোগ করতে চাই। আসলে পারসপেক্টিভ হোল দৃষ্টিকোণ। ফটোগ্রাফারের দৃষ্টি ও বস্তু(যার ফটো তোলা হচ্ছে) সাপেক্ষে তার অবস্থান নির্ধারন করে দেয় ছবির পার্সপেক্টিভ।
যেমন ধরুন বার্ডস আই ভিউ http://www.flickr.com/photos/okieman7/5438934532/

ইনসেক্ট আই ভিউ
http://www.flickr.com/photos/dangreenwood/286169205/
আর ব্যাপারগুলি নিয়ে বিশ্লেষণ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ঠিক। perspective শব্দটা দৃষ্টিকোণ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ ফাহিম, ভুলগুলো সংশোধনের জন্য।
সচলে আমার চেয়ে অনেক ভাল ফটোগ্রাফার আছে আমি জানি, লেখায় আলোচনায় আমার না জানা বা ভুল তথ্যগুলো বের হয়ে আসবে এটা আমি আশা করছি।

আগের পোস্টে কম্পোজিশান নিয়ে আলোচনা করেছি, সেই সুত্রে বলা যে আলো কম্পোজিশানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

রণদীপম বসু এর ছবি

নাহ্ ! রীতিমতো শান্তি নষ্ট করার মতো পোস্ট !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শাব্দিক এর ছবি

যাক একটা কাজের কাজ তো হল, শান্তি নষ্টই বা কয়জন করতে পারে।

নিটোল. এর ছবি

দারুণ! ফটুকবাজি দুর্দান্ত হয়েছে।

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চমৎকার প্রয়াস। চলুক.........

আর ফাহিমদার কথাগুলোও খেয়াল রাখতে হবে...............


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি

চলুক---

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ।
আলোচনায় জানার সীমা বদ্ধতা বেরিয়ে আসে।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ফটোগ্রাফির টেকনিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লেখা সবসময়ই খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। সেজন্য শুরুতেই ধন্যবাদ দেই আপনাকে। তবে লেখায় অনেক ভুল আছে, ফাহিম এর মধ্যেই অনেকগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন, আমি আরেকটু যোগ করি। আর কিছু মন্তব্যও জানাই:

আলোর উৎসগুলো তিন রকম হতে পারে যা থেকে আমরা ছবি তোলার জন্য প্রয়োজনীয় আলো পাই।

মাত্র তিন রকম কেন? এটা ঠিক বুঝিনি।

যে আলোতেই ছবি তুলুন না কেন আমি ফ্ল্যাশ ব্যবহারের পক্ষপাতি নই। এতে প্রকৃত পরিবেশের তুলনায় ছবির দৃশ্যটা অনেক কৃত্রিম দেখায়।

কৃত্রিম দেখাবে কি না, সেটি আসলে ফ্ল্যাশের সঠিক ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। ঢালাওভাবে এটা বলা ঠিক হবে না যে ফ্ল্যাশ ব্যবহার করলেই ছবি কৃত্রিম দেখাবে।

ছিদ্রের ব্যাসার্ধটা হল অ্যাপারচার।

আপনার ধারনাটা ধরতে পেরেছি, কিন্তু কথাটা ভুল। ফটোগ্রাফিতে যারা নতুন, তাদের জন্য সঠিকটা জানা জরুরী। ব্যাসার্ধটা অ্যাপারচার না। তবে অ্যাপারচার বাড়ালে ব্যাস/ব্যাসার্ধ কমবে, আর অ্যাপারচার কমালে ব্যাস/ব্যাসার্ধ বাড়বে।

১। ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স- বড় আকারের কোন বস্তু কাছ থেকে ছবি তুলতে এই লেন্স ব্যবহার করা হয়। এর ফোকাল লেনথ সাধারণ লেন্সের চেয়ে কম। অর্থাৎ নরমাল লেন্সের চেয়ে বস্তুর আকার আরও বিবর্ধিত দেখায় এই লেন্সে তোলা ফটোতে। এই লেন্স দুটো বস্তু বা অব্জেক্ট এর মধ্যকার দূরত্ব নিখুঁতভাবে বুঝানো যায়। ধরুন প্রেমিক প্রেমিকার ছবি তুলছেন ৩৫মিমি দূরত্ব থেকে তাহলে ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স ব্যবহার করুন। ডেপথ অফ লাভ এর সাথে সাথে ডেপথ অফ ফিল্ডও চমৎকার আসবে।

এই তথ্যগুলো মনে হয় ঠিক নেই। বড় বস্তুর ছবি কাছ থেকে তোলা ছাড়াও আরও হাজারটা ব্যবহার হতে পারে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্সের। ফাহিম কিছুটা বলেছেন এটা নিয়ে। তাছাড়া বেশি বিবর্ধিত দেখা যাবে এ কথাটাও মনে হয় ঢালাও ভাবে বলা যায় না। বিবর্ধন বা ম্যাগনিফিকেশন মনে হয় আরও অনেক কিছু ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। আর ৩৫মিমি দূরত্ব থেকে তোলার কথা যেটা বলেছেন সেটা ভুল। সাবজেক্টের দূরত্ব আর ফোকাল ডিসট্যান্স দুটো আলাদা জিনিস। আর প্রতিটা লেন্সেরই ন্যুনতম কতটা দূরত্বে ফোকাস করতে পারবে সেটি নির্ধারিত থাকে, সেটি ফোকাল ডিসট্যান্স থেকে আলাদা জিনিস। ৩৫ মিমি দূরত্বে কোন ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ফোকাস করতে পারে বলে জানা নেই। প্রেমিক-প্রেমিকার যদি পোর্ট্রেইট ছবি তুলতে হয়, কাছ থেকে, তাহলে ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের চেয়ে প্রাইম লেন্স অথবা একটা সাধারন জুম লেন্স (ধরুন ২৪-৭০ মিমি / এফ ২.৮) বেশি ভালো কাজ করবে। তবে সেটাও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ঢালাও ভাবে কিছুই বলা যাবে না।

ওয়াইড এঙ্গেল লেন্সের ফোকাল লেনথ ৩৫মিমি ধরা হয় (৩৬মিমি বাই ২৪মিমি ফরম্যাট), কৌণিক আকার ৪৩.৩ মিমি।

এই কথাটা বুঝি নি

২। ফিশআই লেন্স- আরও কাছে থেকে ১০মিমি দূরত্ব থেকে ছবি তুলতে ব্যবহার করতে হবে মাছের চোখ বা ফিশআই লেন্স

আবারও একই ভুল। সাবজেক্টের ডিসট্যান্স আর ফোকাল ডিসট্যান্স দুটো আলাদা জিনিস।

সঠিক তথ্য দিয়ে আরও বেশি করে লিখুন। ফটোগ্রাফি নিয়ে সচলে একটা কোল্যাবোরাটিভ ই-বুক এমনিতেই আছে। আলাদা সিরিজ না করে ওখানে আর্টিক্যাল যোগ করলেই ভালো। তাতে আগে কি নিয়ে লেখা হয়েছে সেটা জানতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন রকম লেন্স নিয়ে অরূপের একটা চমৎকার লেখা ছিলো, এখন সেটার লিঙ্ক খুঁজে পাচ্ছি না। সেটিও কেউ শেয়ার করলে দেখে নিতে পারেন।

শাব্দিক এর ছবি

সাধারনত ছবি তোলার জন্য আমরা যেসব উৎসের থেকে আলো পেয়ে থাকি সেগুলোকে এই ৩টি ভাগে ফটোগ্রাফাররা ভাগ করে থাকেন। ভেবে দেখুন এগুলো ছাড়া আর কোন উৎস কি আছে?
ফ্ল্যাশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্তব্যটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত সেটা পোস্টে উল্লেখ করেছি। যেহেতু এই পোস্ট প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির জন্য নয় (যেমন মডেল ফটোগ্রাফি) তাই ফ্ল্যাশ ব্যবহার করে ছবি তুলতে আমি পছন্দ করি না।
আমি একটা উদাহরণ দিয়ে সেটার প্রেক্ষিতে বলেছি এখানে ব্যাসার্ধ টাকে এ্যপারচার বোঝাচ্ছি, মাঝখান থেকে “ছিদ্রের ব্যাসার্ধ এ্যপারচার” বললে অবশ্যই কথাটা ভুল শোনাবে।
ফোকাল লেন্থ কে নীচের সংজ্ঞা দিয়ে বলতে পারেন, এখানেও একটু সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য এভাবে লেখা,যা আমার কাছে ভুল মনে হয়নি।
• Sometimes confusion arises when talking about lens sizes for 35 mm cameras, as the focal length of a lens is also measured in millimeters. Focal length describes the distance between the lens's rear nodal point and the film plane. The standard "normal" lens that approximates what the eye sees through the viewfinder for a 35 mm film camera has a focal length of 50 mm. This focal length distance matches the length of the diagonal line that crosses one rectangle of exposure on the film. A lens that measures longer than 50 mm increases the magnification for a scene, and one that measures less than 50 mm creates a wider angle of view. This is only true for 35 mm cameras though, as larger film sizes have longer diagonal measurements, so the normal lens for those types of cameras has a longer focal length.

ওয়াইড এঙ্গেল অ ফিশআই লেন্স গুলো তথ্যগুলো নীচের লিংকগুলীতে বিস্তারিত পাবেন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Wide-angle_lens
http://en.wikipedia.org/wiki/Fisheye_lens

এরপরও ভুল হয়ে থাকলে দুঃখিত জন্য । সচলে আমি এখনও অতিথি, কোল্যাবোরাটিভ ই-বুকএ আমি পোস্ট দিতে পারব কিনা বা কিভাবে দিতে পারব তা ঠিক ধারণা নেই। “শিখবা না কি ক্যামেরাবাজি” পোস্ট গুলো পড়েছি, তাতে লেন্সের প্রসঙ্গে কোন পোস্ট পাইনি।

তানজিম এর ছবি

আসলে লেন্সের ফোকাল লেনথ আর ফোকাল ডিসট্যান্স সম্পূর্ণ আলাদা।
ফোকাল লেনথ দিয়ে আসলে ঐ লেন্সের অ্যাঙ্গেল অব ভিউ বা দৃষ্টিসীমা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এবং এই কৌণিক মান যত কম হবে অ্যাঙ্গেল অব ভিউ তত বেশি হবে। যেমন ২৮মিমি ফোকাল লেনথ এর অ্যাঙ্গেল অব ভিউ ৬৫ ডিগ্রি আর ২০০ মিমি এর লেন্সের অ্যাঙ্গেল অব ভিউ ১০ ডিগ্রির মত।
এই লিঙ্কতা দেখতে পারেন http://en.wikipedia.org/wiki/Angle_of_view

আর ফোকাল ডিসট্যান্স হোল সেন্সর থেকে যে বস্তুতে ফোকাস করা হয়েছে তার দূরত্ব। কোন লেন্সের ফোকাল ডিসট্যান্স এর মান নির্দিষ্ট করে দেয়া থাকে না।তাহলে লেন্সে ফোকাস রিং দেয়া হত না।(তবে আমার জানামতে একটা বিশেষ লেন্স আছে যার ফোকাস রিং নেই!!...ওটা ভিন্ন প্রসঙ্গ...সময় পেলে পরে আলাপ হবে।) এটা ঘুরিয়ে আমরা ফোকাল ডিসট্যান্স পরিবর্তন করে থাকি,যা ফিক্সড ফোকাল লেনথের লেন্সগুলোতেও প্রযোজ্য। এটা সাধারণত একটা রেইঞ্জ হিসেবে আসে, যেমন ০.৫ মি- ইনফিনিটি। এর মানে হোল এই লেন্স ০.৫ মি থেকে দিগন্তরেখা পর্যন্ত যেকোন বস্তুকে ফোকাসে আনতে সক্ষম। শুধুমাত্র এই নিকট দূরত্বটি নির্ধারণ করা থাকে।যাকে মিনিমাম ফোকাল লেনথ বলা হয়। ম্যাক্রো লেন্স যেমন ১ সেমি পর্যন্ত দূরত্বে ফোকাস করতে পারে, তবে সাধারণ লেন্সগুলো ৫০ সেমি দূরত্বে সর্বনিম্ন ফোকাস করে।

কল্যাণF এর ছবি

লেন্সের প্রতি বিন্দু মাত্র মায়া থাকলে সাধারন টিস্যু পেপার দিয়ে মোছা ঠিক হবে না। এতে স্ক্র্যাচ পড়ে যেতে পারে, লেন্সের উপর একটা পাতলা আবরন থাকে (সম্ভবত এন্টি রিফ্লেক্টিং বলে) ঐটা ধরা খেয়ে যেতে পারে। ব্লোয়ার দিয়ে ব্লো করতে হবে এর পর লেন্স ক্লিনিং ক্লথ দিয়ে আলতো করে মুছে নিতে হবে। আরো দুই একটা জিনিস যা শিখেছি তা হলঃ আশে পাশে যেসব গ্লাস ক্লিনিং ফ্লুয়িড পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে লেন্স পরিস্কার করা ঠিক না, লেন্স পরিস্কার করার আলাদা তরল পাওয়া যায়। ক্যামেরা ব্যাগে অতি অবশ্যি সিলিকা জেল রাখতে হবে আদ্রতার হাত থেকে আপনার গিয়ার বাচাতে। ফাঙ্গাস পড়লে কিন্তু কান্তে হবে তখন। ক্যামেরা লম্বা সময়ের জন্য ব্যাগে রাখার আগে ব্যাটারী খুলে রাখা উচিত।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমি তো সময় সময় গামছা দিয়ে গায়ের জোরে ঘসা দেই।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সময় দিয়ে লিখেছেন মনে হলো।

তথ্যসুত্র ও ছবি- ইন্টারনেট

বিষয়টা নিয়ে আগে অনেক কথা বলেছি (তখন আপনি ছিলেন না)। এভাবে সূত্র না দিয়ে, ঠিক ঠিক সূত্র দেয়া দরকার।

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
এখানে অনেকগুলো তথ্যসুত্র ব্যবহার করেছি, সবগুলো কি উল্লেখ করতে হবে?
আগের পোস্ট থাকলে লিঙ্ক দিলে ভাল হয়, (আমি তখন আসলেও ছিলাম না)

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি বোধহয় ছবির কথাটা বলতে চেয়েছিলাম। আপনি অন্যের ছবি নিলে প্রতিটার সূত্র দেয়াটাই তো স্বাভাবিক। আমি যদি আপনার ছবি নিয়ে একটা লেখা দেই, আপনাকে কোন ক্রেডিট না দিয়ে, কেমন হবে ব্যাপারটা?

আর পুরনো মন্তব্যের কোথায় কী বলেছি সেটা আমাদের মডুও খুঁজে বের করতে পারবে না হাসি

শাব্দিক এর ছবি

সরাসরি অন্যের তোলা ছবি ব্যবহার করা সচলে ঠিক হবে কি না তা নিয়ে সঙ্কিত ছিলাম যার কারণে আগের পোস্টে লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছিলাম, তা নিয়ে গত পোস্টের কিছু মন্তব্য ছিল, যাই হোক এরপর অবশ্যই লিঙ্ক উল্লেখ করতে ভুল করবা না। ধন্যবাদ।

তানজিম এর ছবি

অ্যাপারচার আর অ্যাপারচার ভ্যালু দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই লিখায় যে কোন একটি ব্যবহার করলে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ কমবে।
ছবির তীব্রতা বলতে কি এক্সপোজার বোঝাতে চেয়েছেন?
লেন্সে ধুলোবালি পড়লে টিস্যু ব্যবহারের চেয়ে ছোট ব্লোয়ার ব্যবহার করা নিরাপদ। কারণ টিস্যু দিয়ে মুছতে গিয়ে স্ক্র্যাচ পড়ে যেতে পারে আপনার মুল্যবান লেন্সে।
আপনার লিখার জন্য ধন্যবাদ।

শাব্দিক এর ছবি

"অ্যাপারচার আর অ্যাপারচার ভ্যালু দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই লিখায় যে কোন একটি ব্যবহার করলে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ কমবে।"
এ ব্যাপারে একমত,অ্যাপারচার ভ্যালু এক স্টপ বাড়ালে মুলত অ্যাপারচার কমবে, একারণে পোস্ট এ কিছু কনফিউশান তৈরী হয়েছে। ধন্যবাদ এটা পয়েন্ট আউট করার জন্য।
তীব্রতা বলতে শারপনেস বোঝাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এখানে বাংলা অনুবাদ কম করাই ভাল মনে হয়।
ব্লোয়ার বা জেলই সব চেয়ে ভাল। টিস্যুটা তাৎক্ষণিক ব্যবহারের জন্য, কারণ লেন্সের জন্য ধুলাময়লা খুব ক্ষতিকর।

মরুদ্যান এর ছবি

আমার মনে হল তাড়াহুড়া করে অনেক গুলো বিষয়কে কাভার করতে চেয়েছেন, পুরোটা পড়িনি, কিন্তু ডিওএফ এর ব্যাপারেই দেখলাম ভুল হয়েছে।

ফাহিম ভাইকে ধন্যবাদ ডিটেইলসগুলা সুন্দরভাবে দেয়ার জন্য। "ফটোগ্রাফি নিয়ে সচলে একটা কোল্যাবোরাটিভ ই-বুক"--এটা কোথায় পাব?

শাব্দিক এর ছবি

লেখা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
এখানে অনেকগুলো বিষয় কাভার করার জন্য লিখিনি (মূল বিষয় ছিল লেন্স) যারা টার্ম গুলোর সাথে পরিচিত নন তাদের সুবিধার জন্য ধারণা দিতে চেয়েছি। DOF কে সংজ্ঞায়িত করার ওই অংশটা লিখিনি, কারণ সচলে এর সম্বন্ধে আরো ডিটেলস পোস্ট আছে, এই পোস্টের ভিতরে লিঙ্কগুলো আছে।
ভুল হলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পড়লাম, বেশ ভাল লাগল।
টেকনিক্যাল কিছু ভুল থাকলেও মোটা দাগে বেশ ভাল। ফাহিম ভাই আর যুধিষ্ঠির দা ভাল ফিডব্যাক দিয়েছেন তাই ও ব্যপারে আর কিছু বলতে চাই না।

আপনি যদি পরবর্তিতে ফটোগ্রাফি নিয়ে আরও লেখেন তাহলে আশা করি আজকের পোস্টের নীচের পয়েন্টগুলো আরেকটু ক্লিয়ার করবেনঃ
১। আপনি কালার-টেম্পারেচার নিয়ে বলেছেন, কিন্তু শুধু কালার টেম্পারেচারের উল্লেখ করলে এটার তাৎপর্য বিশেষ পরিষ্কার হয় না, কোন রঙের আলোর কালার-টেম্প কেমন বা আলোর কালার চেঞ্জের সাথে কালার-টেম্প চেঞ্জের প্যাটার্নটা কেমন এর গুরুত্বই বা কোথায় ছবির ক্ষেত্রে এ ব্যপারে একটু ধারণা দিতে পারেন।
২। এক্সপোজার সেট করার বিষয়টা আরেকটু ক্লিয়ার করতে পারেন, যেমন আপনি যদি সম্পূর্ণ কাল বা সাদা কোন কিছুর ছবি তুলতে যান সেক্ষেত্রে নরমাল একপোজার ব্যবহার করলে আন্ডার/ওভার এক্সপোজড পাবেন। সেক্ষেত্রে ১ বা ১/২ স্টপ আপ/ডাউন করলে ছবির টোন ঠিক থাকবে।

আরও ভাল ভাল লেখার আশায় থাকলাম ফটোগ্রাফি নিয়ে।
আর আপনার প্রেমকাহিনীর জন্যে মন খারাপ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি।
ফাহিম ভাই আর যুধিষ্ঠির দার উল্লেখিত যে অংশগুলো আমার ভুল ছিল সেগুলোর জন্য দুঃখিত, বাকি অংশগুলির ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছি উনাদের মন্তব্যের জবাবে।
কালার টেম্পারেচারে খুব বেশি বিস্তারিত লিখিনি, এটা নিয়ে লিখতে গেলে আরেকটা সম্পূর্ণ পোস্ট লাগবে। নীচের অংশটুকু ছবির জন্য কাজে লাগাতে পারেন। বোঝার সুবিধার্থে হুবুহু তুলে দিলাম-

Photographic emulsion film sometimes appears to exaggerate the color of the light, since it does not adapt to lighting color as human visual perception does. An object that appears to the eye to be white may turn out to look very blue or orange in a photograph. The color balance may need to be corrected while shooting or while printing to achieve a neutral color print.
Photographic film is made for specific light sources (most commonly daylight film and tungsten film), and used properly, will create a neutral color print. Matching the sensitivity of the film to the color temperature of the light source is one way to balance color. If tungsten film is used indoors with incandescent lamps, the yellowish-orange light of the tungsten incandescent bulbs will appear as white (3,200 K) in the photograph.
Filters on a camera lens, or color gels over the light source(s) may also be used to correct color balance. When shooting with a bluish light (high color temperature) source such as on an overcast day, in the shade, in window light or if using tungsten film with white or blue light, a yellowish-orange filter will correct this. For shooting with daylight film (calibrated to 5,600 K) under warmer (low color temperature) light sources such as sunsets, candlelight or tungsten lighting, a bluish (e.g., #80A) filter may be used.
If there is more than one light source with varied color temperatures, one way to balance the color is to use daylight film and place color-correcting gel filters over each light source.
Photographers sometimes use color temperature meters. Color temperature meters are usually designed to read only two regions along the visible spectrum (red and blue); more expensive ones read three regions (red, green, and blue). However, they are ineffective with sources such as fluorescent or discharge lamps, whose light varies in color and may be harder to correct for. Because it is often greenish, a magenta filter may correct it. More sophisticated colorimetry tools can be used where such meters are lacking.

সাদা কালো ছবির জন্য সবকিছু অনেক ভিন্ন। পরে কখন পোস্টে আলোচনা করা যেতে পারে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাফি এর ছবি

লেখাটা একটু কঠিন লেগেছে, অনেকগুলো অপ্রচলিত বাংলা শব্দের ব্যবহারের জন্য হতে পারে। তবে এক লেখাতেই অনেক কিছু কভার করার চেষ্টা করেছেন, ভেঙ্গে ভেঙ্গে আরো বিস্তারিত লিখতে পারেন সামনে।
প্রেম কাহিনী এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল? তাই বলে ক্যামেরাবাজির লেখা যেন শেষ না হয়

শাব্দিক এর ছবি

সচলে বাংলা প্রতিশব্দ ব্যবহার করাটা সমাদৃত, আমি নিজেও এই আইনটাকে শ্রদ্ধা করি বলে শব্দগুলো আনুবাদ করার চেষ্টা করেছি, এখন মনে হচ্ছে পাঠকদের মধ্যে কনফিউশান তৈরি হয়েছে।
আর প্রেম কাহিনী তো আপনার ভয়ে শেষ করে দিলাম। পরের বার যেন ওটা ছাড়াই লেখা যায়।:P

সাফি এর ছবি

হুই মিয়া, আমি ডরাইলাম কবে? কবি বলেছেন, "ডরাইলেই ডর, হান্দায় দিলে ..." যাউকগা একটা না হয় গেল প্রেম কাহিনী বাকিগুলাও দিতে থাকেন। হেই যে গেল আশ্বিনে হৈল কাহিনীটা ওইটাও শুরু কৈরা দেন। আর যদি এখনও সঞ্চয়ী হিসেবের মোহে পৈড়া থাকেন, তাইলে ধরেন অনার্য এর লগে যোগাযোগ করতে পারেন, হে সূচি আপারে ট্যাকেল দিল আপনে বাকিটা বুইঝা নিলেন। অনার্য পুলা ভাল, এই ব্যাপারে আপত্তি করার কথা না। জিগায় দেখেন খালি। আর নৈলে আমি তো আছিই, আল্লায় দিলে ৩টা কোটা অহনতরি খালি আছি দেঁতো হাসি

শাব্দিক এর ছবি

আপ্নে ডরাইবেন ক্যা, অতিথি মানুষদের হুমকি ধামকি দেখায় কুল পান না। আবার ৩কোটা পূরণ করতে চান, ভাবির নম্বরটা দিয়েন, উনার লগে সরাসরি কথা কমুনে।
আর সঞ্চয়ী হিসাব কোন কালে ১০/১৫টা পয়দা কইরা হিসাবের খাতা পুরণ করসে আমার লাইগা বইয়া থাকব নাকি, সে কি আর আজকালের কথা। অনার্য'র জইন্য নতুন কোন ভাইরাসের মায়ের খোঁজ করেন গা।

সাফি এর ছবি

হুমকি ধামকি দিলাম কনে?

ভাবীর নাম্বার দেওয়া যাবেনা, এইটা হবে তার জন্য সারপ্রাইজ গিফ্ট

কল্যাণF এর ছবি

আপনারা বস, কোথা থেকে কোথায় চলে গেলেন দেঁতো হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার পোষ্ট। প্রায় বিশ বছর আগে পেঙ্গুইন পাবলিশারের ফটোগ্রাফি নামে একটা বই পড়েছিলাম। সেখানে ফোকাল লেন্থ, এপারচার ও সাটার স্পীড নিয়ন্ত্রন, ফিল্টারের ব্যবহার এইসব পড়েছিলাম। এখন হয়তো অনেক কিছুই বদলে গেছে।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ রোমেল ভাই।
আপনার কবিতা খুব ভাল লাগে। মন্তব্য করা হয় না।

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

আলোচনা প্রতি-আলোচনা সব ঠিক আছে।
ধন্যবাদ আপনাদেরকে। চিন্তার খোরাক জুটল।
একটা কথা, শব্দটাটেলে হবে না টেলি?

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ। ইংরেজি বানান টা TELE। বাংলা যেভাবে উচ্চারণ করেন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি নিয়মিত লিখতে থাকুন। আরেকটু খেয়াল করে লিখবেন। তাহলেই চমৎকার হবে।

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ পিপি'দা। (সবাই তো বোধ হয় আপনাকে এই নামেই ডাকে)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ফটোগ্রাফি নিয়ে লিখলেন, অথচ এতোগুলো ছবি ব্যবহার করে তার দায় ইন্টারনেটের ওপর চাপিয়ে দিলেন! এ তো দৈনিক পত্রিকাগুলোর মতো অবস্থা হলো দেখি...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাব্দিক এর ছবি

সত্যি বলছি এই কাজ টা করতে চাইনি। গত পোস্টটার মন্তব্যে দেখুন। সব দোষ সাফি ভাইয়ের।
এরপর থেকে লিংক উল্লেখ করে দেব, এবারের মত মাফ করে দিন।

সাফি এর ছবি

সাফি বলেছিলেন,

সূত্র উল্লেখ করে ডাউনলোডকৃত ছবি দিলে দোষের কিছু দেখিনা।

রোকেয়া রহমানের মতন "ইন্টারনেট অবলম্বনে" লিখতে বলিনাই কিন্তু ।

শাব্দিক  এর ছবি

ইয়ে, মানে... রোকেয়া রহমান কে?

মুস্তাফিজ এর ছবি

রোকেয়া রহমান কে?

মীর জাফরের নাম উচ্চারণের সাথে সাথে যেমন বিশ্বাসঘাতকতার কথা মনে হয়, মোশতাকের সাথে খুনী, তেমনি রোকেয়া রহমানের (সাংবাদিক) সাথে "সূত্র ইন্টারনেট"।

...........................
Every Picture Tells a Story

 আমিত এর ছবি

দারুণ......।

শাব্দিক  এর ছবি

ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।