আমার নানা

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শনি, ০৫/১১/২০১১ - ১:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ ৪ঠা নভেম্বর, ২০১১-- আমার নানা আশরাফ আলী মণ্ডলের পঞ্চদশতম মৃত্যুবার্ষিকী। মন সকাল থেকেই চঞ্চল হয়ে আছে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে নস্টালজিয়া হানা দিচ্ছে আজ প্রবল ভাবে, এলোমেলো চিন্তার পালকেরা ঘুরপাক খাচ্ছে প্রতিটি নিউরনে, উচাটন ভাবনার থই পাচ্ছি না কোন।
না, কোন অপরাধের স্বীকারোক্তি নয়, কেবলমাত্র আজ একটি বিশেষ দিন বলেই নয়, নানাকে আমার প্রায়ই মনে পড়ে, মনে পড়ার মতই একজন মানুষ ছিলেন তিনি, অনুকরণীয় জীবন যাপন করেছেন সবসময়ই।
পনের বছর আগে এমনি এক দিনে, যখন নিয়মিত সাদা শার্ট, নীল প্যান্টে শরীর মুড়িয়ে স্কুলে যায় ভদ্রবালকের মত, ফিরেও আসি, সেই ফেরার পরই মায়ের মুখে শুনলাম নানা বাড়ীর ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারাত্নক ভাবে আহত হয়েছেন, বুকে ব্যথা পেয়েছেন প্রচন্ড, ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড় মামা যেহেতু হাসপাতালের ডাক্তার, আশ্বস্ত হয়েছিলাম চিকিৎসার ব্যাপারে অন্তত কোন ত্রুটি হবে না। মা- বাবা আমসি মুখে রওনা দিলেন হাসপাতালের দিকে। তার ১৫ মিনিটের মাথায় এক অচেনা লোক এসে খবর দিল- নানা আর আমাদের মাঝে নেই!!
কিছুদিন আগে এক দৈনিকে বড় মামার এক লেখায় নানার মৃত্যুর ঘটনাটি পড়ে আবার পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সেই কষ্টে মোড়া চাপা দেওয়া অতীত মনে পড়ে গেল।
আমার নানা পেশাগত ভাবে একজন শিক্ষক ছিলেন, প্রথম জীবনে গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের, পরবর্তীতে বদলির চাকরি, এতিম খানার শিক্ষক। তার অকাল মৃত্যুর পর রাজশাহীর সব স্থানীয় সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছিল- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আশরাফ আলীর ইন্তেকাল।
উনি খুব সাধাসিধে একজন মানুষ ছিলেন, অত্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন, ছিলেন ধর্মপ্রাণ মসুলমান। ঈশ্বর, প্রেত, পরলোক নিয়ে স্বাভাবিক উৎসাহ আর কৌতূহল কৈশোরের শুরুতেই স্তিমিত হয়ে গেছে নানা কারণে, আর সে জন্যই আর দশজন বন্ধুর পর আমি শান্তি পাই না এই ভেবে – যেহেতু নানা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন, রাতের গভীরে তাহাজ্জুদ পড়তেন, রমযান মাসে শারীরিক অসুবিধা স্বত্বেও রোজা রাখতেন সবগুলি, সেই সাথে নিজের ছোট্টবেলার একেবারে পিছনের স্মৃতি হাতড়িয়েও দেখেছি নানা সবসময়ই রমযানের শেষের ১০ দিন অর্থাৎ নাজাতের সময়টা মসজিদের থেকেই এতেকাফ পালন করতেন- কাজেই নানার ভাগ্যে অবশ্যই স্বর্গপ্রাপ্তি আছে। কোনমতেই সান্ত্বনা পাই না এই ভেবে যে নানা জান্নাত- উল- ফেরদৌস থেকে আমাদের উপর তার অবিচল দৃষ্টি এখনও বজায় রেখেছেন।
শিশুকালে শুনতাম মানুষ মরে গেলে আকাশের তারা হয়ে যায়, সে রূপকথার টানে নয়, কোন এক অজানা আকর্ষণেই রাতের আকাশের অনন্ত নক্ষত্রবীথির দিকে নির্নিমেষ ভাবে চেয়ে থাকতাম, ফিনল্যান্ড আসার পরও জমাট ঠাণ্ডায় হাড় কাঁপানো বাতাসের মাঝেও হাঁটতে বেরোতাম সেই সারি সারি জোনাকির মত শূন্যে ঝুলে থাকা নক্ষত্রমালা দেখার জন্য। কিন্তু কই? পূর্বাকাশে জ্বলজ্বল করা সপ্তর্ষি মণ্ডলে সব সময় পুলস্ত্য, বশিষ্ঠ, মরীচি, অঙ্গিরা, ক্রতু, পুলহ, অত্রি এই সাত ঋষিকেই দেখি, অনেক খুঁজলে ক্ষুদে অরুন্ধতীকেও চোখে পড়ে হয়ত, কিন্তু নানা কোন তারায় রূপান্তরিত হয়ে আছেন তা কোনমতেই বুঝতে পারি না! তবে কি সে কালপুরুষ মণ্ডলে আছে, নাকি নাম না জানা হাজার তারার ভিড়ে? জানি না, বুঝি না, আমার প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারে না, আর আমার অনুসন্ধানও শেষ হয় না।
নানাকে নিয়ে এক বেদনার স্মৃতি মনের পর্দায় জ্বলজ্বল করে আমার, তখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি, বাবা- মা চাইতেন যেন ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে পারি, কিন্তু তখন থেকেই জীবনটা একবারে নিজের মত ঘষেমেজে নেওয়ার ভূতটা মাথায় চেপে বসেছিল, ক্যাডেটের বাঁধা ধরা জীবনে যে আমার মত সমুদ্রডুবির নাবিক হতে চাওয়া ভবঘুরের জন্য নয় তাও বুঝে গিয়েছিলাম! মায়ের মন রক্ষার্থেই পরীক্ষার হলে যাওয়া, সেটার ফলাফল কই হতে পারে তাতো বুঝতেই পারছেন। বিন্দুমাত্র কষ্ট পাইনি সেখানে সুযোগ না পেয়ে, কিন্তু চরম কষ্ট পেলাম যখন নানা দৈনিক ইত্তেফাকে ক্যাডেটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল দেখে বললেন, কিরে তুই চান্স পাস নি, কিন্তু তোর পরের জনই পেয়েছে। বোকার মতো বলে ফেললাম, পরের জনতো আমার বন্ধু, আপনিও চেনেন তাকে, আপনারই বন্ধু অমুক নানার নাতি সেই ছেলে! নানা আক্ষেপ নিয়েই স্বগোক্ততি করলেন- সব লোকের নাতিরাই চান্স পাই, আমার নাতিই পাই না!
বেচারা মাতামহের এই আক্ষেপ মেশানো কথা আমি কখনোই ভুলতে পারি না। চরমতর কষ্ট পেলাম যখন নিজের এস এস সির ফলাফল আমাদের পাড়ার মধ্যে সবচেয়ে ভাল হল, আমার সেই ক্যাডেট বন্ধুটির চেয়েও, তখন নানা আর তার নাতিকে নিয়ে আনন্দ করার জন্য আমাদের মাঝে নেই।
শিক্ষার প্রতি প্রবল অনুরাগ ছিল নানার, সেই সাথে মানুষকে শিক্ষিত করে তুলবার পিছনে শ্রম দিয়ে গিয়েছেন আজীবন। একজন শিক্ষকের অসচ্ছল পরিবারের পাঁচ-পাঁচটি সন্তান থাকা স্বত্বেও নানা-নানীর গ্রামের আত্নীয়দের সন্তানদের বেশ কজনকে বছরের পর বছর (অনেক সময় যুগ) নিজের বাড়ীতে লালন করেছিলেন পুত্রবৎ স্নেহে, একমাত্র কারণ ছিল তারা যেন শহরে থেকে ভাল স্কুলে পড়বার সুযোগ পায়।
সেই সাথে আমাদের সবসময় বলতেন, আমার নাম আশরাফ হলেও আমি কি আশরাফত্ব অর্জন করতে পেরেছি? তোরা জীবনে মাথা উঁচু করে বাঁচার মত মানুষ হোস, মনুষ্যত্ব ভুলিস না, সেটাই সত্যিকারের আশরাফ হবার একমাত্র উপায়।
আচ্ছা বন্ধুরা, আপনাদের মতে যে কোন চলচ্চিত্রের রোমান্টিকতম মুহূর্ত কোন টি নিশ্চয়ই বলবেন উইলিয়াম ওয়াইলারের কালজয়ী চলচ্চিত্র রোমান হলিডের শেষটুকু যার উপজীব্য গ্রেগরী পেক আর অড্রে হেপবার্নের অনবদ্য অভিনয়, অথবা ক্যাসাব্লাঙ্কার শেষে যখন হামফ্রে বোগার্ট তার প্রেমিকা অনিন্দ্য সুন্দরী ইনগ্রিড বার্গমানের উদ্দেশ্যে বাষ্পরুদ্ধ অথচ বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলছেন- We will always have Paris, কেউ বা দ্বিমত পোষণ করবেন সানফ্লাওয়ার-এ সোফিয়া লরেনের কিংবা ডঃ জিভাগোতে ওমর শরীফের অভিনয় নিয়ে। বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তগুলো আপনাদের সবার মত আমারও খুবই প্রিয়, আর অসংখ্য বার দেখার দরুন মনের পর্দায় গেথে গেছে একেবারে, তারপরও রোমান্টিকতা শব্দটি কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্রই আমি ফিরে যায় সেই ধোঁয়াটে শৈশবে, দেখতে পাই কোন এক অজানা কারণে টেলিভিশন দেখা নিয়ে মন কষাকষি করে আমার নানী সাহার বানু তিনদিন টেলিভিশন দেখেন নি, তার সেই অটল হিমালয়সম অভিমান কোনভাবেই ভাঙ্গানো যাচ্ছে না, আর এর নেপথ্য নায়ক নিঃসন্দেহে গোবেচারা নানা! এখন বৌ-এর নাম এই বয়সে ভাঙ্গা যায় কি করে! কাছে গেলেই যদি ফোঁস করে ওঠে? কই গেরো রে বাবা! শেষে একদিন আছরের নামাজ শেষে বাড়ী ফিরে নানা লাজুক ভঙ্গীতে সব নাতি-নাতনীদের চোখ এড়িয়ে নানীর সাথে ভাব করার শেষ চেষ্টা করলেন, আমরা সব জানালার কাছে আড়ি পেতে, খেলো বেচারা মনে হয় রামধমক একটা! শুনি, নানা অপার্থিব কোমল স্বরে নানীর হাত ধরে বলছেন, ভুলতো সবারই হয়। চল, আমরা দুজন একসাথে টেলিভিশন দেখি!
আমি এই ঘটনার আর বেশী বর্ণনা দিব না, কেবল বলে রাখি, সেই সময় নানা এবং নানীর মুখে যে অপূর্ব আবেগের ছোঁয়া আমি দেখেছি তা কোন রূপোলী ফিতের অভিনয় ছিল না, ছিল পরস্পরের প্রতি নিখাদ ভালবাসা ও পরম নির্ভরতা। আর সে জন্যই এখন পর্যন্ত রোমান্টিক শব্দটা শোনা মাত্রই এই স্মৃতি আমার ভেতরে এক আবেগের বন্যা বইয়ে দেয়।
আমি জানি, যত কিছু করি না কেন জীবনে, যত ভাবেই তা প্রচার করি, নানা হয়ত কিছুই জানতে পারবেন না। তবে নানা, আপনি যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন। এই ভাল থাকাটুকু আপনার একান্ত প্রাপ্য।।


মন্তব্য

নিটোল. এর ছবি

আপনার কাছ থেকে এবার ভিন্ন স্বাদের লেখা পেলাম। খুবই ভালো লাগল।

আমার নিজের নানার কথাও মনে পড়ে গেল। মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি
ছাইপাঁশ এর ছবি

আপনার নানার কথা পড়ে আমার হারানো মানুষ গুলোর কথা মনে পরে গেলো একসাথে।

তারেক অণু এর ছবি
নিবিড় এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে আমার নানা নানীর কথা মনে পড়ল। আরেকটা মিল চোখে পড়ল লেখাটা পড়ে, সেটা হচ্ছে আজকে আমার নানীর মৃত্যুবার্ষিকি

তারেক অণু এর ছবি
রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চমৎকার লেখা। আপনার আর আমার নানা, দুজনের পেশাগত জীবনে মিল ছিলো। আমার নানাও শিক্ষক ছিলেন। নানা মারা যান আমার জন্মেরও কয়েকবছর আগে। স্বল্পায়ু মানুষ ছিলেন ৪০এর মত বয়সে মারা যান। দেখিনি তাকে কিন্তু অনেক শুনেছি তার কথা। তারা পরলোকে শান্তিতে থাকুন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি
কল্যাণF এর ছবি

ভাল হোক

তারেক অণু এর ছবি
কল্যাণF এর ছবি

বাপু হে মন খারাপ ভাবটা ঝেড়ে ফেলে আবার একটা রঙিন পোস্ট রেডি করত ঝটপট চলুক

অতিথি অন্যকেউ এর ছবি

শ্রদ্ধা। ভালো মানুষেরা চিরদিন আমাদের বুকে বেঁচে থাকুন।

তারেক অণু এর ছবি
ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বাহ আপনার কাছে অন্য স্বাদের লেখা ... ভালো লাগল আপনার স্মৃতিচারণ ... আপনার নানার জন্য শ্রদ্ধা

* অনু ভাই প্যারাগুলার মধ্যে এক লাইন করে গ্যাপ দিলে চোখের আরাম হয় হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সুমাদ্রি এর ছবি

শ্রদ্ধা

তারেক অণু এর ছবি
শাব্দিক এর ছবি

লেখা চলুক
নানার জন্য শ্রদ্ধা

তারেক অণু এর ছবি
মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

উনারা মহীরুহের মতো, যতদিন থাকেন- মাথার উপর ছায়া থাকে; যখন নেই- ছায়াও নেই.......... শ্রদ্ধা


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি
আউটসাইডার এর ছবি

ভাল লাগলো

তারেক অণু এর ছবি
তাপস শর্মা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো অনু। নানার জন্য আমারও বুকভরা ভালোবাসা রেখে গেলাম। আমার দাদু ভাই এর কথাও আমার চিরকাল মনে পড়ে। আমার জীবনের সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষ ছিলেন উনি, এ ব্রেভ ডক্টর এন্ড ফিলোসফার।

তারেক অণু এর ছবি
রোমেল চৌধুরী এর ছবি

গত প্রজন্মেরা সর্বদাই উত্তর প্রজন্মের জন্য উদার জায়নামাজের মতো মমতা রেখে যান।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারেক অণু এর ছবি
সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমার নানার কাছে আমি নানাভাবে কৃতজ্ঞ- আমার বই পড়ার অভ্যাসটি তার প্রেরণাতেই গড়ে উঠেছে অনেকটা...

মাঝে মাঝে এরকম অন্য ধারার স্মৃতিচারণ খুব ভালো লাগে। ভালো থাকবেন।

তারেক অণু এর ছবি
মৌনকুহর এর ছবি

নানার আত্মা শান্তিপ্রাপ্ত হোক......

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তারেক অণু এর ছবি
রেজওয়ান এর ছবি

আমার নানা-নানীকে দেখিনি - যে বয়স থেকে স্মৃতি থাকে তার আগেই মারা গেছেন। লেখাটি ভাল লাগল।

তারেক অণু এর ছবি
বন্দনা কবীর এর ছবি

স্মৃতিচারণ ভাল লেগেছে কিন্তু হাসি খুশি ছেলেটার মুখ কালো দেখে মন খারাপ হয়েছে।

ঈশ্বর আপনার নানার আত্মাকে শান্তিতে রাখুন।

তারেক অণু এর ছবি
প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আপনার নানার প্রতি রইল শ্রদ্ধা

আর প্রতি সমবেদনা।

তারেক অণু এর ছবি
অচেনা যুবক এর ছবি

সুন্দর লেখা...আমার নিজের নানার কথা মনে পড়ে গেল। উনিও ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ শিক্ষানুরাগী মানুষ।আমার মা কে ১৭ বছর বয়সে একা একা ইওরোপে পড়াশোনা করতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। আপনার লেখাটা পড়ে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল।

তারেক অণু এর ছবি
কৌস্তুভ এর ছবি

সুন্দর, আবেগময় স্মৃতিচারণ।

তারেক অণু এর ছবি
আপনার নাম লিখুন এর ছবি

আমার নানাকে তো পাই-ই নি। আমার জন্মের অনেক আগেই ডাকাতেরা (আসলে যারা ছিল '৭১ এর রাজাকার) নানাকে হত্যা করে।

তারেক অণু এর ছবি
তারানা_শব্দ এর ছবি

মন খারাপ

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অতিথি লেখক এর ছবি

মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা, নানার জন্য শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা
ইসরাত

এপোলোনিয়া  এর ছবি

এমন করেই আমরা প্রিয় মানুষদের বাঁচিয়ে রাখি স্মৃতির আড়ালে

অতিথি লেখক এর ছবি

নানার প্রতি শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।