ব্যাপারটা প্রথমে খেয়াল করিনি। করতামও না।
ইংলিশ মিডিয়াম আর বাংলা মিডিয়াম কথাটা চলে আশায় খেয়াল হল।
আরেহ, এক ছোট ভাই না গেছে? কল দিলাম ওরে।
"কই তুই?"
"কেন ভাইয়া কইছিলাম না আজকে ভলেন্টিয়ার গিরি করবো।"
স্ক্রিনে থাকা জিনিসটা আর একবার ভালো করে পড়লাম। মিলে না তো। ও তো বাংলা মিডিয়ামের তাইলে? এইডা খালি ইংলিশ মিডিয়াম কয় কেন? (পরে জানসি সব এক ঘাটে না থাকলেও এক নদীতেই আছে)
যাই হোক, সেই মহান জিনিসটায় আর একটা কথা উঠছিল, ইংলিশ পড়তে বা বলতে পারেনা, এইডা যার যার হেডেক। আমরা ইন্টারন্যাসিওনাল হইলেই হল, দেশের জন্য কিছু হইলেই হইলো। ইংলিশ কি আর বাংলা কি। পরে আরেক দফা মুলা উঠলো (অন্য জায়গায় অবশ্য) এই কারণেই ইংলিশ মিডিয়াম লাগে, বাকিরা ক্ষেত, বাকিরা টেকা বাহির করে না, মন উদার না। তর্ক না কইরা তাল গাছ দিয়া আসেন ধইরা লই কথাটা সম্পূর্ণ সত্য, পীথাগোরাস ঘুম থেকে উঠে এই উপপাদ্য দিছেন।
আরে ভাই, আমি আপনি ডেইলী সুযোগ পাই সবাইরে হেল্প করার,আমরা তো করিই না(১)। দিন শেষে টাকা না থাকলে বিড়ি বাদ দিয়া তেজপাতা ফুকি। আর এরা তো সুযোগই পায় না। নো প্লাটফর্ম ফর দেম। এদের চাই প্লাটফর্ম। কমলাপুরেরটায় জায়গা হবে না। সো লেটস হ্যাভ আ বেটার ওয়ান। জাগো বন্ধু জাগো...
এবার আসেন এক গল্প শুনি।
খুবই সহজ কাজ, সকালে উঠবো (বিছানা নিয়া কিছু না হয় না বলি), ব্রাশ করবো( ভাই, কোনো ব্রাণ্ডের টুথপেস্টের নাম কইবেন , আমার ঠিক আইডিয়া নাই এই জিনিস সম্পর্কে ), দামী চাদ্দিটা পড়বো। হলুদ চাড্ডি, হলুদ গেঞ্জি, হলুদ জুতা... এই সেরেছে প্যাণ্ট তো হলুদ নাইক্কা। "আব্বু, আমার তো হলুদ প্যাণ্ট নাই। এক্ষুনি হলুদ প্যাণ্ট লাগবে, আর্জেন্ট।"
“কুদ্দুস দেখ তো বাবুর কি লাগবে।”
কুদ্দুস যায় হলুদ প্যাণ্টের খোঁজে, বয়স ১২ থেকে ১৮। (ভুল বলতে পারি, আমি অনেক ভুল করি আবার)
এরপর ব্রেকফাস্ট, পকেট মানি নেওয়া, "পাপা, আজকে না রোডস এ দাঁড়িয়ে স্ট্রিট চিল্ড্রেনদের জন্য টাকা তুলবো।সো আজকে একটু বেশি টাকা লাগবে।" বাবা ধরেন ৫০ টাকার জায়গায় ১০০ দিবে, নিদেনপক্ষে, ন্যূনতম। যা অবশ্য সম্ভব এক বিষয় বলে অনেকে স্বীকার করবেন।
তো এরপর বন্ধুকে কল। “দোস্ত তোরা কই?আচ্ছা গাড়িতে...এইতো আমিও আসছি।”
বাপ-ছেলে বের হয়ে যায়। হলুদ হিমু আর তার বাবা- কি বলেন?
তো গাড়ি আটকা পরে মগবাজারের জ্যামে। অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ছোটাছুটি করে, “একটা ফুল নেন না সাহেব?", "বই লাগবো স্যার?" কেউ পাত্তা দেয় না। এসি'র মধ্যে বসে বাইরের কোলাহল কানে বাজে বাবার। সকালে পেপার পড়াও হয়নি। পেপার কেনা যায়। পেপার কেনার জন্য গ্লাস নামাতেই হাভাতের দল ঝেঁকে আসে। পেপারটা কোন মতে নিয়ে জানালা বন্ধ করা হয়।এরপর বাবার কঠিন উক্তি,"পুওর এণ্ড গ্রিডি বাস্টার্ডস।" ছেলে আবার এইসবে অভ্যস্ত। এই যুগে কে গালি না দেয় বলেন। আমি দেই আপনি দেন, ব্যাপার না এইসব। আর আমি যা বললাম তার উল্টো দৃশ্য তো আপনারা হরহামেশাই দেখেন তাই না?বাসে বসে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে, সাইকেলে দেখেন না? প্রতিটা পথশিশুর সাথে কত কমলমতি আচরণ এরা করে। যাই হোক ব্যাপার না। আমি আপনিও একই ব্যবহার করি। আমাদের উপায় থাকা সত্ত্বেও আমরা একই ব্যবহার করি(১ দ্রষ্টব্য)
ছেলের জন্য ব্যাপার হল, আগামী কয়েক ঘন্টা এদের সাথে সময় কাটাতে হবে। হলুদ আরো হলুদ হয়ে যাবে-ভাবতেই ছেলের গা ঘিনঘিন করে, কিন্তু করার কিছু নেই। বাসনাপূরক বস্তুটির বিশাল চাহিদা তার কাছে।
জায়গায় পৌছায় ছেলে। পাপারে কয় টাটা।
এরপর আর না যাই, নিন্দুকেরা এক কথা বলে, কামুকেরা আর এক কথা, পোলাপাইন কয় আর এক কথা।
কিন্তু আসলে হইলো কি? কিতা হইলো?
রাস্তায় হলুদ টাইড, মেয়েরা দেখতে সুন্দর- খুবই ভালো কথা। এই কারণে ওদের নেওয়া হয় নাই-এটাও সত্য কথা। তারা ইচ্ছাকৃত রেজিস্ট্রেশন করছে -তাও ভালো কথা। আর অন্যান্য মিডিয়ামের লোকজন ক্ষ্যাত, তারা দেখতে সুন্দর না এবং তাদেরকে ঠিকমত জানানোও হয় নাই এইসব উচ্চমার্গীয় কথাবার্তা-এসব কথাও সঠিক না। কারোই কোন দোষ নাই এইখানে।
ওহে ঈশ্বর, আমার কি চোখে ছানি পড়িয়াছে? নাকি আমি আমার অণ্ডকোষ দিয়া দেখিতেছি???এইসব কি দেখি, আলু পত্রিকায় ছবি ছাপিয়াছে, একটাও হটি নাই। রাস্তায় বাহির হইয়াই দেখি হুরপুরে অবস্থান করিতেছি।(আলু পত্রিকা, পৃষ্ঠা ৬৪, ৪ নভেম্বর, ২০১১,হিজরি আর বাংলা দিন ঐ পাতায় লেখা নাই, তাই দুঃখিত সব মিডিয়াম খুশি করিতে পারিলাম না )
বিলক্ষণ আমারই চোখে ছানি পড়িয়াছে। মনের সুপ্ত বাসনা বাহির হইয়াছে, লিপ্সারত জিহ্বায়।
মজা হইলো এখন। ভাই, একটা সিম্পল ছবি, তা দিলেও দোষ? নাহ দোষ নাই। কাজের সময় এক গ্রুপ, কাজ ফুরালে আর এক গ্রুপ-নাহ দোষ নাই। এতো পুরানা বিষয়। মিডিয়া ধলারে সাদা করে, সাদারে সিধা!
আমি ব্যক্তিগত জীবনে সাইকেল ব্যবহার করি।যারা আমাকে চিনেন এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করিবেন না যে, আমি সাইকেল কি পরিমাণ ভালবাসি। গাড়ি খুবই কম চড়িয়াছি জীবনে। তাতে আমার বিন্দুমাত্র খেদ বা অপ্রাপ্তির ঢেঁকুড় নাই। আমার সাইকেল গাড়ির আগে দৌড়ায়। তাহা যাই হোক। অবেলায় গাড়ির পাশে সাইকেল চালাই। গাড়ির দিকে মেয়ে আসে, আমার দিকে না। সাইকেলে জং ধরিয়াছে, আমারও বয়স বাড়িতেছে ব্যাপার না। লাইফ ইজ নট ফেয়ার, দরকারও নাই ফেয়ার হওয়ার। মাইয়া ফেয়ার, গাড়ির গ্লাসও ফেয়ার, ভদ্রলোকের চোখও ফেয়ার, পারপেন্ডিকুলার ডিস্টেন্সও ফেয়ার ।
আমার মনে অনেক খুঁত, তাই আমি এত কিছু দেখি। কিন্তু স্পষ্ট কুকুরের চাহনি সেটাও আমি ভুল দেখ। হতেই পারে না। আমিই কুকুর। আই এম নট ফেয়ার।
টোকাই দুই একটা হা করে গিলে। ওদের ভাই এইসব বুঝার বয়স হয় নাই। কিন্তু ওদের গায়ে বড় লাগে রে ভাই। টোকা দিলে লাথি পড়ে। আর টোকা দেওয়া লাগে না তাতেই লুল ঝরে, টাকা তো কত আগেই হাতে।
সর্যি, একটু কেরিড অ্যাওয়ে হয়ে গেসিলাম। লেটস ফোকাস, সেয়াল উই?
ভাই, যাদের নিয়ে এত কিছু সেই পথশিশুরা কি বলে ভাবছেন কি???নীতি আপনার, চ্যারিটি আপনার-বাক্যে উদ্দেশ্য তারা বিধেয় আপনি-ঠিক বুঝবার পারলাম না।
চলেন ওদের কাছে যাই। হেরা খুশি। ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, অনেকে বেশিও পাইছে। কেউ আবার বিরিয়ানি খাইছে, ঘুরেফিরে বেড়িয়েছে। তারা মহাখুশি। কয়দিনের খুশি এটা? জানি না, খুশি তো। পরের দিন ট্রাকের তলায় পড়ুক। হাতে ময়লা লাগছে বাসায় গেলে ধুঁয়ে ফেললে উঠে যাবে। পৃথিবী শিশুর বাসযোগ্য করে যাবে, ইয়ো।
যাইহোক অনেক বাতুলতা করলাম। হার্ডলাইনে আসা যাক। ঘুম পাইতেছে।
১) মেয়ে নিয়ে সিরিয়াস কিছু বলার নাই। এই টিস্যু ছেড়াছেড়ি অনেক হইছে, ইস্যু এইটা না।
২) সার্টিফিকেট উঠায়া দাও আর টাকার রশিদ চালু করো-সিনারিও বদলে যাবে। অ্যাক্টিভিজম আরও বেড়ে যাবে আশা করি। কতটা দেশপ্রেমিক সেটাও বোঝা যাবে। এক পোস্টে জাগো’র যে প্রধান তাকে এই কথাগুলো বলেছি , কোন উত্তর পাইনি।
৩) আর এক ছবিতে দেখলাম, জাগো’র টি-শার্ট বানানো হইতেছে, এক বালক কাজ করতেছে সেইখানে।
এই শিশু পথশিশু না এবং তা তোমাদের আওতায় পড়ে না- এই প্যাচাল ফ্যাসাদময়। কইলেই ধরা খাইবা আগেই কইয়া লইলাম। তোমার স্কুল আছে, তুমি ফাউণ্ডেশন চালাও, নিজে ফাউনটেন পেন দিয়ে লেখো আর পোলাপাইন ডোনেটেড পেন দিয়ে লিখবো, এটা তো ঠিক না। তুমি দেখবা না???তুমি দেখবা না তোমার কাজের প্রতি স্তরে কি হইতেছে?তুমি শিশুশ্রমে সহায়তা করতাছো কিনা এটা দেখা তোমার দায়িত্ব। নাইলে চ্যারিটি কইরা লাভ নাই। চ্যারিটি বাড়িত আগে করতে হয়।
৪) তোমার ব্যক্তিগত জীবন দেখা অবশ্যই আমার দায়িত্ব। এখন গোলাম আযম চ্যারিটি খুললে তুমি, আমি বা মুক্তিযোদ্ধারা ঐখানে নিশ্চয়ই চ্যারিটি দিবো না। আবার গোলাম আযম যদি মনের গভীর থেকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতে চায় নিশ্চয় সে সাহায্য নিবে না মুক্তিযোদ্ধারা। আর একটা কথা। নিজে মিতব্যয়ী না, ইচ্ছামত পকেট ফুটো করবো, আইপড, আইফুন, এক্সবক্স চালাবো আর মাথার জেল, তেল (ফরেন অবশ্যই) মাখাবো-শেষে লোকের কাছে গিয়া চ্যারিটি চাবো-মস্করা করো মিয়া?
৫) আর কেউ যদি বলে ওদের গাইড দিতে হবে তো আমি বলবো, বাসা থেকে আগে শুরু করো। নিজের গু নিজে সাফ করো। কাজের ছেলেরে পকেটমানির টাকা দাও। টোকাইকেও দিতে পারো। ডেইলি পিজ্জা খাওয়ার দরকার নাই। কেএফসি’র দরকার নাই। অনেক তো বড়লোক টু বড়লোক এক্সচেঞ্জ হইলো।
৬)অনেকে শীতবস্ত্র বিতরণ আরো কিসব কাজের কথা তুলেছেন। ঐখানে আমরা কিছু কই না, আর এইখানে এত মাখামাখি কেন করতেছি-ভালো প্রশ্ন, খুবই ভালো প্রশ্ন। ভাই,ও ভাই, আপনেরে পুরানো একটা গেঞ্জি বা সোয়েটার দিলে আপনি আগে মানে মানে চ্যারিটিই করবেন। আর পাইলে টাকার কথা নাই বলি। সে ক্ষেত্রে আপনার বদান্যতা আরকি!
৭) ভাই মার্কিন সহায়তা নিয়ে কইয়া লাভ নাই। বাপ মা 'ইউ এস' দেখে। আমিও এক প্রোগ্রামে গিছিলাম একই লোভ গিলে। পরে দেখি শিবির। মার্কিন এমনই জিনিস। একদা হেল্প তালেবানরে দিছে, এখন তাদের বিরুদ্ধেরে দেয়, একদা রাজাকারগো দিছে, এখন কারে দেয় হেইডা ঠাহর করা খুবই রোমান্টিসিজমের কাজ হইবে।
৮) শেষ করি বাস্তব দুটি উদাহরণ দিয়ে। ছাত্র ৩ তারিখ বিকালে কিছুতেই পড়লো না। মরে গেলেও পড়বে না। কাল গেলাম। সে বিকালের তিনঘন্টা হলুদ পাখি হয়ে ছিলো। বেশি না ৩ ঘন্টা, ৪ হাজার টাকা পেয়েছে। এবং সে মনে করে এটা তার টাকা। এটা তার কামাই। কারণ সে কষ্ট করে এটা জোগাড় করেছে! অবাক হই না, নিজের ছাত্র বলে বলছি না। ছেলেটা বোকা। বোকা না হলে সকালেই যেত। তার বন্ধুরা সকাল থেকে ছিল। সে এইসবে তেমন যায় না। পরে এক বন্ধুকে ফোন করার পর সে বলে বিজয় সরণীতে তারা টাকা কামাই করছে। কারো কারো ১০ হাজার পর্যন্ত কামাই হয়েছে। আমি আশ্চর্য হয়ে বললাম এটা তোমার কামাই কিভাবে হলো। এটা চ্যারিটি না? চ্যারিটি হলেও এটাই নাকি নিয়ম সবাই করে। প্রায় ২০০ জন ছিল সেখানে, প্রায় সবাই করেছে। কি বলবো বুঝতে পারলাম না। সে আমাকে জানালো পরের বার নাকি বছরের শুরুতে হবে, সেইবারে প্রতীক্ষায়...জিজ্ঞেস করলাম যে যাকে একশো টাকা দিছো, তার নাম জানো?...উত্তর না দিলেও চলে, বোঝা যায়...সার্টিফিকেট দিবে? হ্যা...লাভ কি এই সার্টিফিকেটের?মেবি ভার্সিটিতে এক্সটাকারিকুলামের জন্য দেখালে বেশি প্রায়োরিটি দেয়, আই ডোন্ট নো...কি জন্য টাকা কালেক্ট করছো জানো তো?!!!আই ডোন্ট নো মাচ, এই স্ট্রিট চিল্ড্রেনদের একটা ভালো দিন দেয়ার জন্য...
......আমার বন্ধু , বন্ধুই বটে। আমার মতই টিউশনি করিয়ে অনার্স পাশ করলো। এখন চাকরি করে, বেতন ৩০ হাজারের আশেপাশে। বছর দুয়েক আগে। সে এক কাহিনী শুরু করলো, দুইজন টোকাইকে একবেলা খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করলো। এক এক জনের ভাগে ১০ টাকা। ভাত আর ডাল। গরিব খাবার কিন্তু খাবার। সারাদিন যাই করুক, একবেলা এসে একটু হলেও পড়া দিয়ে যাবে আমরা যেখানে সিগারেট খাই সেখানে। তারপর সিগারেটের দোকানদার সাথেই থাকা হোটেলে বলবে খাবার দিতে। মাসে খরচ ৬০০ টাকা।
এখন ওর কামাই বেড়েছে। এখানে খরচও বাড়িয়েছে। অন্য দুটো ছেলে এখন কিন্তু জিনিস ঠিকই আছে।
বেশি লাগে না মাত্র মাসে ১ হাজার টাকা( যারা কামাই করে তাদের জন্য)। হয়তো বা বেশি। ওর কোন ফাউণ্ডেশন নেই। ওর কোন বড়লোক বাপ নেই যে বাসা থেকে বের করে দিবে। ওর রাস্তাভরা শিশুদের নিয়ে চিন্তাও নেই। নিজের জায়গা থেকে নিজের অংশটুকু করে যাচ্ছে শুধু।
অফটপিকঃ(ইমোশনাল প্রমোশন)
যারা বলেন আমরা মানে বাংলা মিডিয়ামের পক্ষের মানুষজন সারাদিন দুর্নাম করি কেন ইংলিশের পোলাপাইন ভালো বাংলা পারে না, যারা বলেন বাংলা মিডিয়ামের পোলাপাইন ক্ষ্যাত তাদের বলি ইংলিশ মিডিয়ামের পোলাপাইনের জন্যও বাধ্যতামূলক বাংলা আছে। আপনার সন্তান বাংলা পারে না কেন?দায়ী কে? আপনি এবং আপনি। আপনি প্রতি বিষয়ে শিক্ষক দেন কিন্তু বাংলাতে দেন না। গুরুত্বই দেন না। মনে করেন এইটা আর এমন কি কাজে লাগবে। সন্তান গায়েবী হালে পাশ করে নিজের নামটাও বাংলায় লিখতে পারে না।
বলে রাখি আপনাদের, আজ থেকে আগামী ১০০ বছর পরও এদেশের শিক্ষার প্রধান মাধ্যম বাংলা থাকবে যদি না বাঙালি আবার মীরজাফর হয়। মীরজাফর কে হবে বলার অপেক্ষা রাখে না-যদি কথাটা না বুঝে থাকেন তবে বুঝতে হবে আপনি ইংলিশ মিডিয়াম, ফার্মের মুরগি। ইংলিশ মিডিয়ামে পলাশীর ইতিহাস পড়ায় না, গ্রীক গু নিয়েই হাতাহাতি করে( কোন অসম্মান প্রদর্শন করছি না কারো প্রতি মীরজাফর ব্যতীত)।
পড়ালেখা করে কেন এরা এত টাকা দিয়ে?কেন তাদের আমাদের আক্টিভিজম শিখাতে হবে?স্কুল কি ঘাস কাটে? এক দিক দিয়ে অবশ্য ঠিকই আছে। বইতে তো আর এই সাবজেক্ট নাই। বাংলা মিডিয়ামেও বস্ত্র বিতরণ আরোও সব হাবিজাবি সাবজেক্ট নাই। ওরা ভাই অনেক পাওয়ারফুল, তাই পারে। ইংলিশ মিডিয়ামের পোলাপাইনের বাপ-মা কোমলমতিদের ছাড়তে চায় না, তারা সব এলিট ফোর্স মেম্বার। ভাজা মাছ কি মাছই খায় না এরা, মাছে গন্ধ। পারবে কেমনে বলেন?পাওয়ারটা কোথায়?
মন্তব্য
আপনি লুক খারাপ। সব ভালু কাজের ভিত্রে খ্রাপ খুঁইজ্যা বাইর করেন। নিজে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়তে পারেন নাই তাই কিবোর্ড নিয়া ঝাপাইয়া পড়ছেন ব্যাক্তিগত ক্ষোভ ঝাড়ার লাইগা। তিন ঘন্টা রাস্তায় খাড়ায়া কাম করলে হেইডা তো নিজেরই ইনকাম - এই রাম সব মন্তব্য আইতাছে, রেডি থাইকেন পিআরএস'দা।
অফটপিকঃ ৭০০+ অন্ন-বস্ত্রহীন দরিদ্র শিশুকে ইংরেজী মাধ্যমে বিদেশী কারিকুলামে শিক্ষা দেয়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, পরিবেশে ও বাস্তবতায় খুবি জরুরী এবং সর্বোচ্চ ফলদায়ক।
লেখাটা অবিন্যস্ত আর ক্ষোভকণ্টকিত, এবং দুর্বোধ্য। লেখক কী বলতে চেয়েছেন, সেটা পরিষ্কার হয়নি। এ ধরনের অগোছালো লেখা তর্কের উঠানটাকে বাঁকা করে। সেখানে যারা নাচতে জানে, তাদেরও সমস্যা হয়।
সহমত
এদের মূল ব্যাপারটি সকলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা!! এই ব্যপারটি সম্বন্ধে কিছু বলুন দয়া করে?
আমি সচলায়তনে এই মানের লেখা দেখে বেশ হতাশ হলাম। বিভিন্ন ব্লগ এরকম লেখা দিয়েই ভর্তি থাকে, কিন্তু সচলায়তনের ওপর অন্যরকম একটা প্রত্যাশা আমার। এই লেখার মূলভাব, লেখকের আবেগ, উদ্দেশ্য, যুক্তি কোন কিছুই আমার বোধগম্য হলো না। পাঠক হিসেবে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, তার পরেও এর চেয়ে অনেক ভাল মানের লেখা আশা করি।
(এখন আবার বলবেন না যে আপনি পারলে লিখে দেখান। কুৎসিত পরিহাস করার আগে আপনিও কিন্তু পথশিশুদের দারিদ্র্য দূর করে দেখাননি।)
পথশিশুদের জন্য কোনদিন কিছুই করিনি। কোন ফুলও কিনিনি (ফুল কিনে কি হবে, ফুলের কোন প্রয়োজন ছিলোনা তখন; 'তাছাড়া একদিন একতোড়া ফুল কিনে কি-ইবা করা হবে এদের' এমনটা ভেবেছি)।
ইচ্ছে সহানুভূতি ইত্যাকার সব মানবিক অনুভূতি থাকলেও আগ বাড়িয়ে কোন শিশুশ্রমিকের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করিনি সে স্কুলে যায় কিনা, দু'বেলা খেতে পেলে যাবে কি না।
এখন তাই পক্ষে বিপক্ষে বক্তব্য শুনি, পড়ি; কিছু বলা হয়না।
বলার অধিকার অর্জন করিনি বলে মনে হয়।
টি শার্ট পরে বা না পরে - যে যেভাবে পারি, এগিয়ে এলে কবেই আমরা একটা একটু ভালো সমাজ পেতাম!
কথা চূড়ান্ত সত্য; আমিও একদা তাই ভাবতাম। একদিনে কি হয়। পরে বন্ধুটিকে দেখে বুঝেছি একদিন একদিন করেই হয়। ওরা যাবে না। ওদের সাথেও মেলা কথা হয়েছে। ওরা স্বাধীনতা চায়। ওরা চায় একটু আদর। ওরা চায় নিজেদের অন্যদের সাথে সমানে দেখতে। কেউ যেন একটু কোলে নেয়, একটু আদর করে। কেউ যেন একটু মন খুলে কথা বলতে দেয়। কাওরানবাজারে প্রতিদিন রাতে এগারটার পর গেলে এদের অনেককে দেখতে পাবেন। ডালার মধ্যে, মা-বাপ, অথবা এক সাথে অনেকে অথবা সর্দারদের সাথে।
জি হ্যা, টি-শার্টের কালার নিয়ে আমি কথা বলেছি সত্য, কিন্তু তা আমার মুখ্য উদ্দেশ্য নয়(হার্ডলাইনে নাই)। খালি গায়েও চ্যারিটি হয়, কিন্তু চ্যারিটির নামে ইনকাম আর স্টানবাজি হলেই যত ঝামেলা আমার।
অলস সময়
পড়তে পড়তে খেই হারিয়ে ফেললাম। শেষ পর্যন্ত কোথাও পৌঁছাতে পারলাম না। এটাকে লেখকের বা আমার ব্যর্থতা বলে পাশ কাটিয়ে না গিয়ে বরং লেখককে অনুরোধ করি লেখা শেষ করার পর এটা ভাবতে যে, এটা পড়তে পড়তে লেখক-পাঠকের ভাবনার ঐকতানটি হবে কিনা। না হলে পাঠক যত বিদগ্ধ হোন, যত জ্ঞানী হোন - তার মাথার উপর দিয়ে চলে যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি নিজে খুবি নিম্নমানের লেখা লিখি। তবে এই লেখাটা পড়ে কেন জানি "কাটপিস" কথাটা মনে পড়ে গেল।
কাটপিস হইতে পারে। ছোট ছোট ছিদ্র নিয়েই একটা বড় গর্ত হয়। কাটপিস নিয়েই না হয় মুভি করলাম। আপনি আমার চেয়ে ভালো লেখেন এই বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। কারণ আমি লেখক হওয়ার জন্য লিখি না। মনের কথা বলতে চাই, তাই লিখি।
অলস সময়
আপনার লেখার বিষয় বস্তুর সাথে আমি একমত। কিন্তু "জাগো" ব্যাপারটা কি এটা পরিষ্কার করে লেখা দরকার ছিল। যারা ঢাকায় থাকেন না বা ৩ নভেম্বার বা জাগো'র কার্যক্রম চলার দিন ঢাকার রাস্তায় হলুদ গেঞ্জি পড়া ইংরেজি মাধ্যমের কিশোর বা উদ্ধত কিশোরিদের গুলশান, ধান্মন্ডির মত এলাকায় এদের দেখেননি ফুল বিক্রি করে গরীবদের সাহায্য করার নামে প্রহসন করতে, আপনার লেখা পড়ে এসব ভলান্টিয়ারদের কর্মকাণ্ড বোঝা সম্ভব না।
তবে ৩তারিখ জাগোর কর্মসূচির দিন নিজের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। বিকাল ৬টায় জযখন তাদের ভলান্টিয়ারগিরি শেষ এক হলুদ গেঞ্জিধারী রিকশা ঠিক করছে, "এই খালি যাবা, ধান্মন্ডি ৭ এর এ কে এফ সি।" সত্যিই দুঃখজনক।
আমার সমস্যাটা বাংলা মিডিয়াম - ইংলিশ মিডিয়াম নিয়েও না, ঠিকমত বাংলা বলতে পারা নিয়েও না। আমার সমস্যাটা হইল, এইটাতে যারা অংশগ্রহণ করল, তাদের ৮০ শতাংশের প্রধান motivator হইল হুজুগ। "cool polapainz" এই কাজ করে, আমারেও করতে হইব। এইখানে আমার সমস্যা। সাংগঠনিক সমস্যা থাকবেই, দুর্নীতিও হবে। কিন্তু কাজটা ভাল নিয়ত নিয়ে করলে ক্ষতি নাই। রাস্তায় বেলুন আর ফুল বেচার মূল উদ্দেশ্য যদি হয় সানগ্লাস লাগায়ে ডিএসএলআর দিয়ে ছবি তোলা, তাহলে তো বাবা ব্যাপক সমস্যা।
অর্ধেক পর্যন্ত পড়ে কিছু না বুঝে বাকীটুকু পড়া থেকে বিরত থাকলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কিছুই বুঝতে পারলাম না! আপনি সাইকেলে চড়েন বলে মেয়েরা আপনার দিকে আসেনি সেই ক্ষোভ থেকে লেখা নাকি?
খুবই অদ্ভুত লাগলো এই লেখা দেখে!
আর ইংলিশ মিডিয়াম বনাম বাংলামিডিয়াম নিয়ে এক ধরনের দ্বিপাক্ষিক 'রেসিজম' চালূ হতে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এসব কঠোর ভাবে নিরুৎসাহিত করা উচিত।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
তানভীর, এরচেয়ে অনেক জটিল লেখাতেও তো ব্রাদার তোমার কখনো বুঝার সমস্যা হইতে দেখি নাই, এইখানে সবাই মিলে দুর্বোধ্যতার অভিযোগ আসছে কেন, নিজেদের মতের সাথে মিলে না বলে? লেখকের উদ্দেশ্য ভাল না খারাপ সেটা পরের কথা, কিন্তু লেখা পড়ে তার বক্তব্য বুঝা যায় না, এইটা পুরাই স্ববিররোধিতা ভাইজান, এইটা না বললেও হইতো।
লেখক ক্যাটেগরীতেই লিখেছেন এই লেখা সুশীলদের জন্য নয়। অনেকে মন্তব্য করেছেন কিছু বুঝেননি, এটুকু কি পরিস্কার নয় যে এই লেখা পড়ার পরে এদেরকে টাকা দেয়ার আগে কেউ দুবার ভাববে ?
অতিথি
আর রেজওয়ান ভাইয়ের এই পোস্টে (জাগো নিয়ে যত কথা) মন্তব্য আকারেই আপনার অভিজ্ঞতা আপনি বলতে পারতেন। যেমন আপনার ছাত্রের ব্যাপারটা। এমন একটা পোস্ট সুষ্ঠুআলোচনার দ্বার রুদ্ধই করে শুধু। আর দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই লেখাটা সামু লেভেলের হইসে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি রেজওয়ান ভাইয়ের পোস্ট পড়েছি। রেজওয়ান ভাই যখন পোস্ট দেন তখন আমি এই লেখার মাঝপথে। সুষ্ঠু আলোচনা চাইলে আপনি করতে পারেন, আমি করছি না। আমি এখানে আলোচনার কোন জায়গা দেখতেছি না। দুঃখজনক হলেও সত্য-মনে এসেছে লিখেছি, চিন্তাভাবনা বলেছি, বলিনি আলোচনা। মুখে এক, মনে আর এক- এই নীতি ছাড়া অনেকদিন আগেই হইছে।সামু'র ক্যাটাগরিতে গেছে কিনা সে বিচার করার অধিকার আপনার আছে। এই বিষয়ে কিছু বলবার নাই। আমার লেখার অধিকার আমি ব্যবহার করেছি মাত্র।
অলস সময়
ভুল হয়েছে আমারই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
fb আর সামু দেখে মেজাজ চরমে উঠলে সচলে আসি, এইখানেও এই জিনিস !!
রাগব না কান্নাকাটি করব বুঝছিনা
লেখাটা অর্ধেকও পড়া যাচ্ছে না। স্যাটায়ার করতে চেয়েছেন মনে হল।এটা সবার আসে না। আপনার দোষ নাই আপনি লেখার অধিকার প্রয়োগ করেছেন। মডুদের দোষ।
জ্বী কথা সত্য, আসে না স্যাটায়ার, সুশীল ভাষায় আরো না। অর্ধেক পড়েছেন শুনে ভালো লাগলো। পরেরটুকু আপনার জন্য না।
অলস সময়
লেখা পড়ে যার পর নাই হতাশ । এই ধরনের লেখা সচলে আশা করিনি । আমার বক্তব্য হল, বেশিরভাগ ভাল ব্যাপারেই কিছুটা খারাপ জড়িয়ে থাকে । কিন্তু এ লেখায় মন্দটাকে এতই বাজেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে , ভাল মন্দ বিচারে হোঁচট খাবার সমুহ সম্ভাবনা । জাগো বাটপার নাকি ভাল সেটা সময়ই বলে দেবে । কিন্তু তথাকথিত উদ্যোগটাকে মন্দ বলা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা জরুরী । হুজুগে মেতেও যদি ভাল কিছু করা যায় তাতে ক্ষতিটা কার বুঝলাম না । ঠিক মত গুছিয়ে লিখতে পারিনা বলে আমার কমেন্ট সাধারনত ছোট হয় । কিন্তু , চারদিকে জাগো নিয়ে এত নেতিবাচক মাতামাতি দেখে কিছু না বলে পারলাম না । পড়াশোনার মাধ্যম , পোশাক ইত্যাদি নিয়ে পর্যন্ত আজাইরা সমালোচনা হচ্ছে । একজন উপরে বলেছেন , জাগোর কাজ শেষ করে কোন এক ভলান্টিয়ার নাকি কেএফসি তে যাচ্ছিল । আমার কথা হল , অই ভলান্টিয়ার অন্যদিন কেএফসি তে যেতে পারলে ওই দিন স্বেচ্ছাসেবা শেষে কেন পারবে না ? মন্তব্য কারি কি আশা করেছিলেন যে এক দিনেই সব ভলান্টিয়ার মহাত্মা গান্ধী / মাদার তেরেসা হয়ে যাবে? এই লেখাটা পুরোপুরি বাংলা এবং ইংলিশ মাধ্যম এর মাঝে দেয়াল তুলে দেয়া একটি লেখা । আমি বাংলা মাধ্যমের ছাত্র হয়েও সেটায় সমর্থন যোগাতে পারলাম না । আমাদের সমস্যা হল আমরা যে কোন কিছুরই ভালমন্দ বিবেচনা না করে নেতিবাচক সমালোচনা শুরু করি , কিন্তু সাহায্যে এগিয়ে যাই না । উপরে , নুপুরকান্তি এর মন্তব্যর সঙ্গে একমত । লিখতে জানিনা বলে এলোমেলো ভাবে নিজের ভাবনা প্রকাশ করলাম । দয়া করে আমার মন্তব্যটি কেউ বেক্তিগত আক্রমণ হিসেবে গণ্য করবেন না ।
বুঝি নাই কিসু (বাংলায়)
নতুন মন্তব্য করুন