আমার পাকি রুমমেটের সাথে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো। ইমরান খান সম্প্রতি পাকিস্তানের ভোটের রাজনীতিতে নিজেকে একটা জোরালো চলক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, লাহোরে তার ডাকা সমাবেশে নাকি প্রায় চার লক্ষ লোক সমবেত হয়েছিলো, ইতিমধ্যে পাঞ্জাবের তৃতীয় প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তিনি মাথা তুলেছেন, উত্তরপশ্চিম সীমান্তপ্রদেশেও তিনি বেশ জনপ্রিয়, ইত্যাদি শুনছিলাম। সৈয়দ আবার ইমরান খানের বেজায় ভক্ত। তাকে সেনাবাহিনী আর আমলাতন্ত্র নিয়ে কিছু কথা জিজ্ঞেস করতেই বেচারা ব্যাজার হয়ে গেলো। তবে আরো যেটা জানলাম, ইমরানের এই উত্থানকে স্বাগত জানাচ্ছে পাকিস্তানের মিডিয়া।
আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোর কথা মনে পড়ে গেলো। প্রথম আলো কয়েক বছর ধরেই বদলে দিতে আর বদলে যেতে বলছে, আর সম্প্রতি বেশ পরিষ্কার সুরেই প্রথম আলো গোষ্ঠীর লেখকেরা একটি কার্যকর "তৃতীয় শক্তি"র কথা বলছেন। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি, এই দুই শক্তি যে একই বিষ্ঠার দুটি পিঠ, এমন একটি কথা ঠারেঠোরে বলছেন অনেকে। প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও দেখলাম অনেক স্বপ্নের কথা রয়েছে। মিডিয়া যখন স্বপ্ন দেখায়, তখন সাধারণত তার পেছনে অন্য অনেক কিছু থাকে। পাকিস্তানে ইমরান খানের রাজনৈতিক উত্থান (ইমরান রাজনীতিতে বহুদিন ধরেই আছে, কিন্তু এবার সে দারুণ সাড়া পেয়েছে, আশরাফুল পার্টি খুলে বিপুল লোকজনকে পাশে পেলে যেমনটা হবে আর কি) আর বাংলাদেশে তৃতীয় শক্তির সন্ধানে প্রথম আলোতে গ্যানীগুণী লোকজনের কুম্ভীরাশ্রুস্রোতের মধ্যে কেমন যেন একটা মিল পাই।
ইমরানের প্রতিশ্রুতির দুটি প্রধান ধারা। তিনি দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করবেন এবং এর জন্যে চীনের অনুসরণে দুর্নীতির জন্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করবেন। এই জিনিস দারুণ হিট করেছে পাঞ্জাবে। মিনার-এ-পাকিস্তানের চারপাশে বাচ্চা কোলে মহিলারা পর্যন্ত জড়ো হয়েছেন। নওয়াজ শরিফ আর জারদারি, দুজনেই ইমরানকে নিয়ে তাই বিপদে। ইমরানের দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি, তিনি এই পুরনো দুটি দুর্নীতিবাজ দলের সাথে কোনো রকম জোট করবেন না। এতে পাবলিক আরো উল্লসিত। ইমরান বরাবরই পাকিস্তানে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, কিন্তু তার রাজনৈতিক ভোল্টেজ আগে তেমন ছিলো না, এবার তিনি একেবারে জ্বলে উঠেছেন আপন শক্তিতে।
আমেরিকার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই চান ইমরান। আমেরিকাও চায় আফগানিস্তানে নিজেদের পরাজিত ইমেজটি ঢেকেঢুকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে। ইমরান লাহোরের ঐ সমাবেশ করার পরপরই চীন চারদিনের সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইমরানকে। আমেরিকা আফগানিস্তান আর পাকিস্তানে নিজেদের লেজটি গোবরমাখা করেছে চীন যাতে বেলুচিস্তানের গোয়াদর বন্দরটির ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারে, সে মতলবে, সৈয়দের তেমনি ধারণা। আমেরিকা তাই চায় না, চীনের সাথে ইমরানের আলাদা কোনো পিৎলা খাতির হোক। ইমরান বলছেন, আমি আমেরিকার দোস্তি চাই, কিন্তু তার খেদমত খাটতে চাই না।
আবারও বাংলাদেশের কথা মনে পড়ে গেলো। ইমরানের মতোই কাউকে খুঁজছে হয়তো প্রথম আলো, যাকে শিখণ্ডী করে দুর্নীতি নিয়ে বিরক্ত মানুষেরা তৃতীয় শক্তির ছায়া খুঁজবেন। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রথম আলো এই দুই দলকে শুরুর কয়েক মাস খুব ধুয়েছিলো, শেষদিকে এসে আবার মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সব ম্যানেজ করে নিয়েছে। তখন আমাদের নোবেলপতি ড. ইউনূসের নাগরিক শক্তিকেই তৃতীয় শক্তি হিসেবে মাঠে নামাতে চাইছিলেন কেউ কেউ, প্রথম আলো আর ডেইলি স্টারের সেই মাতম চিরস্মরণীয়। দূরদর্শী ড. ইউনূস শুরুতে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক মডেলে কুড়িজনের "ডাগদর ইউনূস সমর্থক গোষ্ঠী" খোলার আহ্বান জানালেও, পরে হালে পানি মেপে সেযাত্রা রাজনীতির ম্যারাথন থেকে কেটে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। কয়েকদিন আগে দেখলাম ইউনূস সাহেবের ছোট ভাই মিডিয়া বিশ্লেষক মুহম্মদ জাহাঙ্গীর সেই নাগরিক শক্তির মডেলটিকেই রিপ্যাকেজিং করে "যুব শক্তি" নাম দিয়ে সংগঠিত হতে বলছেন। তবে এবার ইউনূস সাহেবের নাম খুব সাবধানে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিবর্তে জাহাঙ্গীর সাহেব প্রস্তাব করেছেন, কচি কচি যুবকেরা মিলে একটি কচি সংসদ গঠন করবেন এবং ভোট দিয়ে বুড়োদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবেন। প্রবাসীরা যাতে বঞ্চিত না হন, তাই তাদেরও রাখা হবে এসবে। মন বলছে, ইউনূস সাহেব নাগরিক শক্তি দিয়ে মানুষের মন জয় করতে না পারলেও, যুব শক্তির উপদেষ্টা হিসেবে জরুর পারবেন।
কিন্তু এ কথা সত্য, আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দল দু'টির প্রতি মানুষের হতাশা ক্রমবর্ধমান। পাকিস্তানের রাজনীতিতে যদিও পিপিপি আর মুসলিম লীগ বাদেও শক্তিশালী দল রয়েছে, কিন্তু মডেলটা কম বেশি একই রকম। পাকিস্তানে ইমরান ময়দানে নেমে পড়েছেন, বাংলাদেশে আপাতত কোন ইমরান দাঁড় করানো যাচ্ছে না। মিডিয়া কথাবার্তা বলে মাদুর গরম রাখছে। সেদিন হয়তো আর বেশি দূরে নয়, যেদিন ইমরানের বাংলাদেশ সংস্করণকে আমরা ময়দানে পাবো।
বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর হতাশ কেন? কেবল দুর্নীতির জন্য? দুর্নীতি তো একা রাজনীতিকরা করে না, আমলাতন্ত্র, ব্যবসায়ী, মিডিয়া, সবাই তাতে কমবেশি জড়িত। শুধু নতুন একটা রাজনৈতিক দল, একটা তৃতীয় শক্তি চলে এলেই কি দুর্নীতিবাজ আমলা, ব্যবসায়ী, সম্পাদকেরা সাধু হয়ে যাবেন? দেশ ফুলে ফলে ছেয়ে যাবে? তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি জরুরি, এ কথা অনস্বীকার্য, কিন্তু একটা দ্বিতীয় আমলা শক্তির জন্যে মিডিয়া কেন কাঁদে না, দ্বিতীয় ব্যবসায়ী শক্তির জন্যে কেন মাতম নেই, দ্বিতীয় মিডিয়া শক্তি কেন জরুরি নয় মিডিয়ার চোখে? দুর্নীতির প্রবলযন্ত্রটির কলকব্জা সব এক রেখে, শুধু চেহারা পাল্টে কি দেশ পাল্টানো যাবে?
বাংলাদেশের মানুষ হতাশ, কারণ রাজনীতিকরা মানুষের প্রায়োরিটি বুঝতে অপারগ। সারাদিন কাজ করে পরিশ্রান্ত মানুষ অল্প কিছু জিনিস চায়, সে একটা জ্যামহীন রাস্তায় দ্রুত বাড়ি ফিরতে চায়, বাড়ি ফিরে একটু ফ্যানের বাতাস খেতে চায়, বাজার থেকে যথাযথ দামে জিনিসপত্র কিনে ছিনতাইকারীর মুখোমুখি না হয়েই ঘরের দোরের সামনে রিকশা থেকে নামতে চায়। এরচেয়ে বেশি কিছু চেয়ে লোকে ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করে না। কিন্তু এই জিনিসগুলো যখন মানুষ পায় না, কাটা ঘায়ে লবণ পড়ে, যখন তারা তাদের ক্ষোভের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে কোনো রাজনীতিক বা রাজনৈতিক দলকেও পায় না। তারা দেখে, খালেদা জিয়া নিজের বাড়ির জন্য হরতাল ডাকে, আর শেখ হাসিনা আড়িয়ল বিলে এয়ারপোর্ট করতে চায়। ট্রাফিক জ্যাম, ইলেকট্রিসিটি, দ্রব্যমূল্য, নিরাপত্তা, এসব জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে থাকে। তৃতীয় কেন, একশো একটা শক্তি আসুক, কোনো লাভ নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ সংবিধানের ঐ ধারাটির মর্ম না বুঝবে, যে দেশের সব কিছুর মালিক দেশের মানুষ। জাহাঙ্গীরের মতো যারা হরতাল-মিছিলবিহীন সুশীল রাজনৈতিক দলের কথা বলেন, তারা ইয়োরোপের হরতাল মিছিলগুলো দেখেননি, বা দেখলেও না জানার ভান করেন। এখানে মানুষ নিজেকে রাষ্ট্রের মালিকদের একজন বলে ভাবতে অভ্যস্ত, নিজের ন্যায্য পাওনাটুকু তারা এত জোরালোভাবে দাবি করে আদায় করে ছাড়ে, যার প্রায় প্রতিটি উদাহরণই তীব্র। আমরাই কেবল নিজেদের মনের মধ্যে একটা মিছিলমুক্ত রাজনৈতিক ইউটোপিয়া কল্পনা করে মনকলা খাই।
একটা আইডিয়ার কথা বলে শেষ করি।
মাঝখানে খবরে দেখেছিলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক কিছু সংগঠন নাকি রয়েছে। তারা আবার নিজেদের মধ্যে কিলাকিলিও করে। এই কিল বাংলা থেকে মাঝেমধ্যে ইংরেজির দিকেও মোড় নেয়ার উপক্রম হয়। প্রথমে পড়ে খুব হেসেছিলাম, কিন্তু অচিরেই ব্যাপারটার গুরুত্ব উপলব্ধি করে চুপ করে গেলাম। সংগঠন জন্মায় প্রয়োজনীয়তা থেকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিতে নিশ্চয়ই কিছু ব্যাপার আছে, যা এই সংগঠনের জন্ম দিয়েছে। চট্টগ্রাম আউলিয়াদের খাস এলাকা, মারফতি ব্যাপারস্যাপারের অভাব নেই।
এরপর কয়েকদিন দেখলাম, সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবরোধ করে বসেছে। মাসুদ-মুনীরসহ পাঁচজনের মৃত্যু ঘটেছে যে ঘাতক বাসের আঘাতে, তার চালক জামিরকে কেন জামিন দেয়া হচ্ছে না, তার প্রতিবাদে। সেই অবরোধ যেন তেন অবরোধ নয়, এর পিলান করতে বিমানে উড়ে যশোরে গেছেন সংগঠনের নেতারা। অবরোধের সময় তারা অন্য যানবাহন ভেঙেছেন, চালকদের পেঁদিয়েছেন, এবং কুরবানি ঈদের পর আবার অবরোধ চালু করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। সংগঠনের নেতা মন্ত্রী শাজাহান বলে এই সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে সরকার কিছু করছে না। এর নেতা বিম্পির কেউ হলে এতদিনে সংগঠনের টপ লোকজনকে পিটিয়ে ছাতু করা হতো বলে অনেকের বিশ্বাস। যে সরকারের মন্ত্রীই দেশের পোয়াটাক অচল করে রাখায় নেতৃত্ব দেয়, সেই সরকারের ওপর মানুষের আস্থা বেশিদিন থাকার কথা নয়।
দুটো খবর এক করে ভেবে মনে হলো, আমাদের দেশে এত সংগঠন আছে, কিন্তু যাত্রীদের কোনো সংগঠন নেই কেন? ঢাকা শহরে প্রতিদিন ষাট-সত্তর লক্ষ কমিউটার পথে নামেন, এঁরা দিনের পর দিন পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের নানা কর্তৃপক্ষের নির্বিকার তাচ্ছিল্য ও সীমাহীন অব্যবস্থাপনা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে চলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল সংখ্যক বাসে গাদাগাদি করে গরু ছাগলের মতো চড়ছেন, হাতজোড় করে মিনতি করছেন নারাজ সিএনজিওয়ালার কাছে, কিন্তু একটি বারের জন্যেও নিজেরা সংগঠিত হয়ে আওয়াজ তুলছেন না। মেট্রো রেল আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মুলা দেখানো হচ্ছে পাবলিককে, কিন্তু সবচেয়ে সহজ আর সস্তা বাস ড়্যাপিড ট্র্যানজিট কেন চালু করা হচ্ছে না? সংবিধানের কোন এক ধারায় যেন বলা আছে, জনগণ সকল সম্পত্তির মালিক। জনগণ নিজেদের সম্পত্তি থেকে কিছু পয়সা খরচ করে ঢাকায় আরো একশো (অথবা দুইশো) নতুন বাস কেনার জন্যে কেন সরকারকে চাপ দিচ্ছে না, কেন কেবল দিনের পর দিন নিজে ভুগে চলছে? জনগণ কি সারাটা জীবন খালি জামে আটকে থাকবে, ঈদের বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে মরবে, আর গরু-ছাগল চিনতে ওস্তাদ ড্রাইভারদের চালানো বাসের তলে পড়ে মরবে? ঢাকার জামের আসল সমাধান গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি, তার কিছুই কি পাবলিক নিজেরা সংগঠিত হয়ে আদায় করতে পারবে না? শাজাহান খান পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে সংগঠন করে নিজের শক্তি দেখাতে পারে, আর পরিবহনের যাত্রীরা ঢাকায় সংগঠিত হতে পারবেন না?
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন থাকতে পারলে, ঢাকায় লক্ষ লক্ষ কমিউটারেরও একটা সংগঠন থাকতে পারে। একদিন একজোট হোন সকলে, দশ মিনিটের জন্য সব বাস ট্যাক্সি সিএনজি থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়ান, বলুন, বাস দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো। এই কাজ করতে না পারলে, তৃতীয় শক্তি নিয়ে মনকলা খেয়ে লাভ নেই।
এই ধরনের লেখার শেষে একটা পরিচয় দিতে হয়। যেমন ধরুন, "গবেষক ও সাহিত্যিক", "কবি ও সাংবাদিক", "শিক্ষক ও রুম্বা নর্তক", "প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ও মাজার ব্যবস্থাপক" কিংবা "সংস্কৃতি আন্দোলন কর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা"। আমার এমন কিছু নাই । আমি একজন ব্লগার ও বিশ্বনিন্দুক। আমার কিছু ভাল্লাগেনা।
মন্তব্য
_____________________
Give Her Freedom!
ততক্ষনাৎ সবার জন্য "বাঁশ" হাজির হয়ে যাবে।
আশরাফুলের রাজনৈতিক দল খুলে ফেলার ব্যাপারটা চিন্তা করে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো ক্যান জানি।
মধ্যমা চিহ্নে স্যার আশুকে ভোট দিন, ভোট দিন
মধ্যমা চিহ্নে স্যার আশুকে ভোট দিন, ভোট দিন
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
জনগণের এই সংগঠনটাই প্রকৃত তৃতীয় শক্তি, এর বাহিরে অন্য কোন শক্তি বা রাজনৈতিক দল বানিয়ে লাভ নেই। ইউরোপ-আমেরিকাতে জনগণের জেগে উঠা শুরু হয়েছে "অকুপাই" আন্দোলন হিসেবে। এই অকুপাই আন্দোলন পুরোপুরি ডিরেক্ট ডেমক্রেসী নির্ভর। প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জনগণের সংসদে এবং সকলের মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে। আমাদের দেশের এই দুষ্ট চক্র থেকে বের হতে হলে জনগণকে সংগঠিত করা ছাড়া বিকল্প নেই।
আমাদের অবস্থা হয়েছে এক পাগলের ভাত নাই, নতুন পাগলের আমদানি| প্রথম আলু তো কত কিছু বদলাতে চায়, ভালু ভালু কোথাও বলে, তাদের পতাকাতলে তো জ্ঞানী মানুষের অভাব নাই, কিন্তু এরা বোঝেনা কেন তৃতীয় শক্তি দিয়ে কাম কি?? জনগনরে আগে সচেতন করা দরকার| আমাদের দেশে সাধারণ জনগণ জীবন যুদ্ধে এতই ক্লান্ত আর আশাহত যে তারা প্রতিবাদ করার শক্তি বা সাহস কোনটাই রাখেন না, কিন্তু যদি এই সাধারণ জনগনই একসাথে তাদের মৌলিক অধিকারগুলো বুঝে নাওয়ার দাবিতে সরব হন, তাহলে বাপ বাপ করে সরকার হোক বা আমলা সবাই লাইনে দাঁড়াবে| সাধারণ মানুষকে একত্রিত হতে হবে, দুর্নীতি শুরু হয় তৃণমূল পর্যায় থেকে, আমরা নিজেরাই এসবের জন্য দায়ী, নিজে ঠিক না হয়ে সরকার ঠিক করতে নামলে কিছুই হবেনা, মাঝখান থেকে আমও যাবে ছালাও যাবে|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ইমরান খানের জ্বলে ঊঠা কতোটা আপন শক্তিতে তা নিয়ে খোদ পাকিস্তানিদেরই সন্দেহ আছে, পাকিস্থানের ক্ষমতায় আছে পিপলস পার্টি তাদের মূল ভোট বেইস হচ্ছে সিন্ধু প্রদেশে আর মুসলিমলীগের মূল শক্তি হচ্ছে পাঞ্জাব প্রদেশের রক্ষণশীল ভোটারেরা ইমরান খানের ইনসাফ পার্টিও মুসলিমলীগের মতোই ডান ঘরনার দল কাজেই পাঞ্জাবে মুসলিমলীগ এবং পিপলস পার্টির মধ্যে ভোট কাটাকাটি হলে আখেরে লাভবান হবে জারদারির পিপলস পার্টি এই কারনে ইমরানের এই সাফল্যময় উথানের পিছনে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না এছাড়া ইমরান খান পাকিস্থানী জামাতে ইসলামের সাথেও জোট করেছেন সমাবেশ সফলের কারন হিসেবে এইটাও একটা কারন ।
প্রথম আলো আইভীর বিজয়ে ফুল ফর্মে আছে মাঝখানে ১/১১ এর মাইনাস ফরমুলা ব্যাক ফায়ার করায় চিপায় ছিল জানি না সামনে তারা কি প্ল্যান নিয়ে সামনে আসতে চাচ্ছে ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম ১৯৯৯-২০০৯ সাল পর্যন্ত( ইংরেজি বিভাগে), সেশন জ্যাম রাস্তার জ্যামের চেয়েও ভয়ানক, আমার মত অনেক ছাত্রের বিশ্ববিদ্যালয় পড়াটাকে দুস্বপ্ন বানিয়ে ছেড়েছে। বগিভিত্তিক সংগঠন ছিল, কিন্তু সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে কখনও এসব সংগঠনকে যুক্ত হতে দেখিনি। ট্রেনের যাত্রাপথটায় গান এবং বাজনার নামে চিৎকার চেঁচামেচি করা, সিট দখল করে রেখে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের বসার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা, বগির ভেতরে মারপিট করা এসবই ছিল মূলত এসব গ্রুপের কাজ। কখনো দেখিনি শাটল ট্রেনের অবকাঠামো উন্নয়ন, রেল লাইনের সংস্কার ইত্যাদি ট্রেনকেন্দ্রিক সমস্যা নিয়ে তাদের প্রতিবাদে মুখরিত হতে। কত সাধারণ ছাত্র যে এদের হাতে লাঞ্ছিত, প্রহৃত হয়েছে; কত ছাত্রী যে এদের ইভটিজিং এর শিকার হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। যারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার একটু আগে-পিছে ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন তারা ভাল করেই বিষয়টি জানেন।
আলাপ আলোচনা লম্বা হওয়া দর্কার।
আমাদের সরকারতন্ত্রের মেড ইজি গাইড হচ্ছে 'ইয়েস, প্রাইম মিনিস্টার'।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসাবে স্যার আশরাফুল ছাড়া আর কাউকে তো দেখতে পাচ্ছি না।
আপনি ঘোষণা দিলে তো কাজ হবে না, মক্সুদরে বলেন এই ঘোষণা দিতে...
সাধারণ জনগন দম একেবারে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত সয়ে যাবে। চাকুরে মধ্য/নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণী সহজে কোনো ক্যাচালে যেতে আগ্রহী হবে না। দশ মিনিট বাস থেকে নেমে দাঁড়ানোর আগে চিন্তা করবে দশ মিনিট পরে এসে সিটটা পাবো তো? অথবা ছয় মিনিট পরই বাসে আবার উঠতে হিড়ভিড় লেগে যাবে সিট দখলের নিমিত্তে।
অফিসে পাশের কলিগের সঙ্গে আর ঘরে টক শো দেখতে দেখতেই আমরা সব রাজা উজীর নাজীর মারি। আর আমরা জানি যে এইসব করে কিছু হয় না। দেশ শেষ পর্যন্ত এই দুই পাট্টিই চালাইবো, মাঝখান দিয়া হালায় আমার দশ মিনিট টাইম লস...
সাধারণ জনগনরে নিয়ে অনেক সংগঠন আছে। রাজনৈতিক দলগুলা মাঝে মধ্যেই 'সম্মিলিত নাগরিক সমাজ' নাম দিয়ে বিভিন্ন পোস্টার ছেপে দেখিয়ে দেয় অন্য দলগুলোর অপকীর্তি। কিন্তু নাগরিকদের সত্যিকারের সংগঠন নাই। হলেও সেটা হবে আরেক কামড়াকামড়ির জায়গা। সেটারে দখল করতে দুই দলই মাঠে নামবে। দূর্ণীতি আর ধান্ধাবাজীর আরেকটা ক্ষেত্র বাড়বে।
সাংগঠনিক বিচারে এদেশে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশটা খুবই দূরূহ... সেই পথে হাঁটতে গিয়ে অনেকেই মাঝপথে দিশা হারিয়ে পলিটিক্যাল ভাঁড় হয়েছেন, রাজনীতির লেজুড় হয়েছেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
" দশ মিনিট বাস থেকে নেমে দাঁড়ানোর আগে চিন্তা করবে দশ মিনিট পরে এসে সিটটা পাবো তো? অথবা ছয় মিনিট পরই বাসে আবার উঠতে হিড়ভিড় লেগে যাবে সিট দখলের নিমিত্তে।
অফিসে পাশের কলিগের সঙ্গে আর ঘরে টক শো দেখতে দেখতেই আমরা সব রাজা উজীর নাজীর মারি। আর আমরা জানি যে এইসব করে কিছু হয় না। দেশ শেষ পর্যন্ত এই দুই পাট্টিই চালাইবো, মাঝখান দিয়া হালায় আমার দশ মিনিট টাইম লস..."
তবে আপনি এই আইডিয়াটা 'গ্রামীণ ফোন প্রথম আলো'রে দিয়ে দেখতে পারেন... গ্রামীনের বিলবোর্ড আর প্রথম আলোতে সপ্তাখানেক প্রচারের পরে একদিন সকালে 'স্বেচ্ছাসেবকেরা' গ্রামীন আর প্রথম আলোর লোগো এবং স্লোগান সম্বলিত টিশার্ট বিতরণ করবে ঢাকার প্রতিটা বাস স্টপেজে। আর সবার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে মিনিএফএমরেডিও।
গেঞ্জি পরে রেডিও কানে আমরা বাসে চড়বো, তারপর নির্দিষ্ট সময়ে এবিসি রেডিওতে ঘন্টা বেজে উঠবে ঢং করে... সঙ্গে সঙ্গে সবাই পথে নেমে খাড়াবে। রেডিওতে তখন প্রচারিত হবে মাহমুদুজ্জামান হাবুর দুটো গান... রাস্তায় দাড়িয়েঁ সেটা শুনে টুনে আবার বাসে চড়ে বাড়ি/অফিস ফিরবো আমরা। বাড়ি ফেরার পরে বউ চিল্লাবে, 'কী সোন্দর গেঞ্জি, আমার লাইগ্যা একটা আনতে পারলা না? নিমুরাইদ্দা জামাই'। জামাই তখন জাঙ্গিয়ার তল থেকে আরেকটা গেঞ্জি বাইর করে দুই আঙ্গুলে ধরে ঝুলাবে। 'মুরোদ আছে গো বউ আছে, আমি ফার্মগেট থেকা একটা নিছি, মহাখালি থেকা আরেকটা নিছি, রেডিও-ও আনছি তোমার লিগা'
অতপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো
অথবা জাগোবাহিনীকেও দিতে পারেন আইডিয়াটা। গেঞ্জির কালার সেক্ষেত্রে হলুদ হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি যখন জাগো নিয়ে লেখার আগে তথ্য সন্ধান শুরু করি তখন আমার মাথায় ছিল মঈন - কোরেশীর জাগো বাংলাদেশ। মনে আছে ২০০৭ সালে এটি শুরু হয় বিশেষ করে প্রবাসে - আর সমালোচনায় পরে। কিন্তু এটি যেন পরে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।
পাকিস্তানী এক ইন্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েট সালমান ইমরান খান সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণ করেছে:
- ইমরান হচ্ছে প্রো-তালিবান।
- হামিদ গুল থেকে জামাতে ইসলামী - সবার সমর্থন আছে তার প্রতি
- মিলিটারী এস্টাবলিস্টমেন্টের সাথে তার সখ্যতা প্রবল (এজন্যেই লোকে বলে যে আই এস আইয়ের সাহায্য পাচ্ছে সে)
তার প্লাস পয়েন্ট
- তিনি যুবাদের মন জয় করতে পেরেছেন
- এখনও পর্যন্ত দুর্নীতির তিলক মাথায় পড়েন নি
- ভাল বক্তা
- সংখ্যালঘুদের সম্মান করেন
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ঐ পাকিস্তানি ইঞ্জিনিয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মিস করেছেন। ইমরান খান নিয়াজি যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজির নিকটাত্মীয়- এটা উল্লেখ করেন নাই। আমাদের কাছে যুদ্ধাপরাধী হলেও পাকিস্তানিদের কাছে তিনি য়োর্-হিরো। ফলে এই পয়েন্টটা তার পক্ষেই যেতো।
সূত্র: Niazi, A.A.K., The Betrayal of East Pakistan, Oxford University Press, Karachi, 1998
জেনারেলগুলি চিরটাকাল এইরকম ক্ষ্যাতই রয়ে গেলো। লিক্তে বসছে বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান, ফুটাইতেছে নিজের বাপ-পোলার কাহিনি। বেলা শেষে তুই বেটা প্রিজনার অফ ওয়ার। তোর পোলায় টপ স্প্রিন্টার হইলে কী হইবো, তোর মতো দৌড়ানি জীবনেও খায় নাই।
চলেন একটা সিনেমা বানাই। নাম তৃতীয় শক্তি। এক যুবকের রাজনৈতিক আকাঙ্খার গল্প। মাঝেমধ্যে সেক্স। ভায়োলেন্স। পেম। ভালুবাসা। স্বপ্নভঙ্গ। আমি ভিলেন রোলে ফাডায়ালাম।
সিনেমার নাম কি "থার্ড পার্টি সিঙ্গুলার নাম্বার" হবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তিসরি মনজিল রাখা যায়। দেশে না চললে হার্ভার্ডে নিয়া দ্যাখামু। কৌস্তুভ সেখানে থাক্তে থাক্তে চলেন নামায় ফেলি।
উপযুক্ত নাইকাও ওই অঞ্চলে রেডি আছে, বোস্রে একবার খালি ভালুমত এপ্রোচ করলেই ফোস কইরা রাজী হয়া যাইতে পারে।
পাকিস্তানে থাকতে মাঝে মাঝে মোবাইলে এসএমএস পেতাম আবদুল কাদীর খান ও ইমরান খানকে যথাক্রমে আগামীদিনের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার জন্যে। তবে ইমরান খানের গা ঝাড়া দিয়ে ওঠায় আখেরে লাভবান হবে পিপিপি। সিন্ধে ইমরান খানের ভাত নেই মোটেই। আর পাঞ্জাবে মিয়া শাহবাজ শরীফের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতার কাছে ইমরান খান দুগ্ধপোষ্য শিশু।
আর হ্যাঁ, শাজাহান যদি শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে পাউয়ার দেখাতে পারে, আমরা যাত্রীরা কেনো তা পারিনা? আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া খুবই প্রয়োজন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চলুক!
দশ মিনিটের জন্য রাস্তায় নামলে ভুরুঙ্গামারীর কী লাভ হপে?
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আপনার মধ্যে বেশ একটা তৃতীয় শক্তির গন্ধ পাচ্ছি
আমাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করুন। তারপর পাঁচটা বছর জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি। উন্নয়ন করে করে ফাডায়ালাম।
হিম্ভাই, কি কি ফাডাইবেন তার একটা লিস্টি যদি নির্বাচনী ইশতেহার আকারে দিতেন।
সারা লেখার মধ্যে কবি কৌশলে প্রথম আলোর পারপাস সার্ভ করে দিয়েছেন। আমার ধারণা আশরাফুলকে দিয়ে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ার আইডিয়াটা ওখানে বাজার পাবে। হিমুর এই লেখা দেখে উৎপল শুভ্র যদি এ বিষয়ে কিছু লিখে ফেলেন, তাহলে অবাক হব না।
হাসিনা-খালেদা অনেক তো হৈল, এইবার আশরাফুলের প্যাভিলিয়ন পার্টির পিছনে খ্রান। গুণ্ডামি মস্তানি যা করার প্যাভিলিয়ন পার্টির জন্য করেন। আশরাফুলের দুই নয়ন, বাংলাদেশের উন্নয়ন।
facebook
বাংলার বতুতা তারেক অণুকে প্যাভিলিয়ন পার্টির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানানো হৌক।
বদলাইয়া ফালাও, ওল্টাইয়া ফালাও না কইয়া বরং এই কামডা করেন। প্রমান হোক ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা ( হে হে পাব্লিক) শুধু লাফায় না দুধও খাইতে জানে
হিমু ভাই। ব্যাপক জাস্ট
আইচ্ছা। মন্ত্রক নিয়া যখন ভাগাভাগি অইতাছে তয় সচলায়তন থেইক্যা'ই হজ্ঞল মুন্ত্রি নির্বাচিত হোক। এই দাবি রাইখ্যা গেলাম।
কয়েকদিন আগে পরীক্ষার সময় খুব বিপদে পড়েছিলাম। অনেক হাতে পায়ে ধরেও সিএনজি পেলাম না। এমন না যে চলন্ত সিএনজিকে হাতের ইশারা দিয়েছি, বরং মিরপুর ১০ এর সিগনাল জ্যামে থেকে থাকা সিএনজিঅলাদের পায়ে ধরেছি। তবু লাভ হল না।
তখন মনে মনে ভাবছিলাম। একটা বিপ্লব শুরু করে দেয়া যায় কী? বাংলাদেশের আইনে যাত্রী যেখানে যেতে চায় সেখানেই সিএনজি আর ট্যাক্সিওয়ালাদের নিয়ে যাবার কথা। আর ভাড়া হবে মিটারে। কিন্তু ওরা যেহেতু সেই আইন মানছেনা, তাহলে আমরাই বা কেনো সেই আইনের লেজ ধরে ঝুলে থাকব? ইতিহাস তৈরি করা বড়ো বড়ো আন্দোলন (ধরেন, ভাষা আন্দোলন) ত প্রচলিত আইন ভেঙ্গেই হল। তাই না? (উদ্দেশ্যের তুলনা করতেছিনা, মানে আইন ভাংলে যদি ভালো কিছু হয় তবে সেটাই ভালো -- এরকম বুঝাচ্ছি আর কী!!)
ত, প্রচলিত আইনের ক্যাথা পুঁড়িয়ে কোন সিএনজিওয়ালা আমাকে/যাত্রীদের যদি না নেয়, তাহলে আমরাও সেই সিএনজি উলটে দিবো। ১) ভদ্রভাবে বলব, প্লিজ বের হন। এটা উল্টাবো। আপনি আইন মানেন নি, আমিও মানবো না। ২) রাস্তার মাঝে উল্টাবো না। তাহলে বাকিদের চলাচলে সমস্যা হবে। ৩) হুদাই গলা ফাটিয়ে গালি দিবো না। লোকজন যেন না ভাবে যে দুই সিএনজিওয়ালার ঝগড়া। ৪) যতটুকু কথা বলব তার মাঝে অনেকবার বলব "আমরা যাত্রীরা" টাইপের কথা।
এতে পাবলিক আরও সাপোর্ট দিবে আরও সাহস দিবে। সাথে থাকবে।
প্ল্যান মোটামুটি রেডি। অনলাইনে হাউকাউ করার আগে, আশেপাশের লোকজনকে বলে রিসপন্স কেমন হতে পারে তা ঝালিয়ে নিচ্ছি। এরকম প্ল্যান নিয়ে দুএকজনের ব্লগে কমেন্টও দিচ্ছি।তার দুদিন পরেই দেখি, বনানী টিকিট কাউন্টারের কর্মীরা পরিচিত এক ছেলেকে পিটালো। সেই ছেলে বন্ধু আর ক্লাসমেটদের নিয়ে ওখানে হামলা করতে গেল। কিন্তু উলটা হামলার হালকা আভাস। শুধু তাই না, বাসও অফ করে দেয়া হল সেদিন। শুধু তাই না, আমরা আরও যারা পাশাপাশি ছিলাম, আগেই ঝগড়ার মাঝে নাক না গলিয়ে বাতাস থেকে জানার চেষ্টা করলাম যে "দোষটা কার ছিল?" (প্রাইভেটে পড়ি বলে মুরগী শুনতে হয়। কথাটা পুরোপুরি মিথ্যা না। কারণ আমাদের হাতে চা পাতি বা হকিস্টিক টাইপের কিছু নাই।) শেষমেষ এমন ফলপ্রসু কিছু হল না, উলটা ওদের রিকোয়েস্ট করা লাগল যে বাস চালু করেন ভাই। আর যাদের গাড়ি আছে, ভাঙ্গাভাঙ্গির ভয়ে তারা আগেই পুলসিরাত(মহাখালির জ্যাম) পার।
যাত্রীদের সংগঠন এই জন্য হয় না। সিএনজিওয়ালারা সবাই একই জাতের কুকুর। যাত্রীরা বহু জাতের ভেড়া।
আপনার লেখা নিয়মিত ফলো করি। অনেক আগে থেকে আমি আপনার একজন ফ্যান।
এত বড় কমেন্টের জন্য দুঃখিত। ভাল থাকবেন।
বাঁশ না খেয়ে কেউ পাণ্ডা হয় না রে ভাইডি।
ভাল বলেছেন।
ফেসবুকে দেখছি হিমুর ফ্যানপেজ বানাতে হবে।
ঝামেলা তো কতদিন ধরেই করতেসে মানুষ তো হুজুগে ভাংচুর ছাড়া কোনদিনই সিরাম কিছু করলো না, কবে করবে বা আদৌ করবে কিনা এইটাই দেখার বিষয় .
OT: আপনি পাকিস্তানি রুমমেটের সাথে থাকেন শুনে যারপরনাই অবাক হলাম
হিমু ভাই সবই ভাল লিখছেন,ভাল লাগছে ।খালি আশরাফুলের অংশটা ছাড়া,এই পোলাটারে আমি ব্যক্তিগত ভাবে কিছুটা জানি,সেই থেকেই বলছি্,কোন পত্রিকা পড়ে না,আর আমি সাংবাদিক না,নিতান্ত চতূর্থ শ্রেণীর এক তথাকথিত ব্লগার। একসময় হালকা পাতলা ক্রিকেট খেলতাম,সেখান থেকে কিছুটা জানি তাই বলছি। ওর লোভটা একটু কম আছে।আর ইমরান খানের যে রাজনৈতিক খায়েস আছে তার সিকি ভাগো ওর নাই।।ও চায় পরিবহন সুবিধা সমৃদ্ধ একটা ক্রিকেট একাডেমি করতে (যদিও এটা নিতান্তই আলোচনার পর্যায়ে আছে)।কারণ ও যখন বিখ্যাত হয় নাই তখন ওর মাইলের পর মেইল রাস্তা হেটে প্রাকটিসে আসতে হত।আর দল থেকে বাদ পরা বা না পরা বা এর যে পদ্ধতি তার যদি সমালোচনা থাকে সেটা আপনি অবশ্যই করতে পারেন,কিন্তু এইভাবে ব্যক্তিগত আক্রমন(যা করার তার ধান্দা নাই,কোয়ালিটি নাই এবং করতে চাইলে বিফল হবে তা নিয়া) এইটা একটু কেমন জানি লাগল।
মানুষ হিসেবে আশরাফুলের সমালোচনা করবো না, কারণ তার সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানি না। ক্রিকেটার হিসেবে তাকে প্রায়ই পচাই। সামনেও পচাবো। দুঃখ থেকেই হয়তো পচাই।
আজ আমার প্রিয় বিপ্লবী ফারুক গুয়েবাড়া আংরেজি থেকে বাংলায় ইমরান খানের সাক্ষাৎকার তর্জমা করেছেন বাংলার জনগণের জন্য। তৃতীয় শক্তির সুদিন নজদিক।
একটা গাছ যখন বড় হয় তখন সব দিক থেকে বড় হয়। 'এটা' আগে করে নিয়ে 'ওটা' করতে হবে এমন কোন কথা নেই। দেশের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য যেখান থেকে পারা যায়, নিজের কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় সেটা নিয়েই এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। দেশের প্রতিটা মানুষকে একি রকম কাজ করতে হবে এমনটা ভাবার বা বলার কোন সুযোগ নেই, কারণ তাহলে সেই দুষ্ট চক্রেই আটকে থাকতে হবে। দেখা গেল কয়েকজন মানুষ একটা সংগঠন তৈরি করে কিছু একটা দাবী করল (যেমন নাগরিক কমিটির বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দলন) কিন্তু বর্তমান মূল দল দুটি (যারা অলরেডি বুঝে গেছে তাদের ছাড়া আর কোথাও দেশের মানুষের যাওয়ার জায়গা নেই) ওই দাবী মেনে নিল না, তখন দেখা যাবে সংগঠনের হালে পানির অভাবে নতুন কোন মানুষতো ওই সংগঠনের আন্দলনে অংশগ্রহন করবেই না বরং প্রথমে যারা উৎসাহি হয়ে অংশ নিয়েছিল তারাও হতাশ হয়ে যাবে মানে শেষ পর্যন্ত সংগঠনটা শুধু নামকাওয়াস্তে থেকে থকে একটা সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আর প্রসঙ্গতো বলবো, সংগঠন করাটা খুবই ভালো বুদ্ধি তবে এটা একজন নাগরিকের দায়িত্বের মধ্যে পরে না কিন্তু একটা গণতান্ত্রীক দেশের প্রতিটা মানুষকে রাজনীতি করতে হবে, কারণ তারাই দেশের প্রকৃত মালিক, বাআলি/বিএনপির মতো রাজনৈতিকদল গুলোর গঠনতন্ত্র বা রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য যদি ভালো না লাগে তাহলে নিজের পছন্দ মতো দল খুঁজে নেয়া বা তৈরি করে নেয়া প্রতিটা মানুষের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের মধ্যে পরে। সেই রাজনৈতিক দল তৃতীয় শক্তি না পঞ্চম শক্তি তা দেখার দরকার নেই, শুধু নিজের কাছে পরিষ্কার থাকাটাই লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।
এক্স-তরুণ মাহী বি চৌধুরী কচি সংসদ গড়লেন।
আর ইমরান খানকে গাছে তোলা আর্টিকেল বাংলা করলেন ইসরাত জাহান।
নতুন মন্তব্য করুন