মুহম্মদ জাফর ইকবাল একজন লেখক। তাঁর গবেষক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি ইত্যাদি পরিচয় ছাপিয়ে, সাধারণ মধ্যবিত্ত তরুণের কাছে তাঁর লেখক পরিচয়টাই মুখ্য হয়ে ওঠে। প্রান্তিক জনসাধারণ তাঁকে চেনে না তেমন। মধ্যবিত্তদের বিস্তৃত সীমানায় তাঁর পরিচিতি এবং প্রভাব যথেষ্ট। মুহম্মদ জাফর ইকবালকে পছন্দ বা অপছন্দ যাই করি, তাঁর একটা অবস্থান বিষয়ে সবাই নিঃসন্দেহ। সেটা হচ্ছে ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের বিরোধিতা। বাংলাদেশে এই মৌলবাদীরা যথেষ্ট সক্রিয় এবং দিন দিন তাদের বিচরণক্ষেত্র বিস্তৃত হয়ে চলেছে।
জাফর ইকবালের এই লেখার পর, মৌলবাদীদের আঁতে স্বভাবতই আবারও বেশ ভালো ঘা লেগেছে। এই লেখায় তিনি তুলে ধরতে চেয়েছেন একটা বিস্তারিত চিত্র, যেটা আমাদের দেশের তরুণদেরকে দেখায়। এবং এই তরুণেরা কেবল জাফর ইকবালের সাথে পরিচিত তরুণেরা না, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক তারুণ্য। তিনি বলেছেন প্রবাসী তরুণদের কথা, নিম্নবিত্ত কর্মজীবি তরুণদের কথা, এবং, মূলত জোর দিয়েছেন নারীদের বিষয়ে। গার্মেন্টস শ্রমিক তরুণীরা থেকে শিক্ষার্থী তরুণীরা সবাই এখানে উপজীব্য। তিনি দেখিয়েছেন, একটা ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না। সবাইকে এখানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একইসাথে এসেছে শিক্ষার্থী তরুণ নারীদের ওপর ধর্মান্ধতার অবরোধের কথা। এবং চিরাচরিত, নারীদের বিষয়ে ধর্মান্ধতা সবসময়েই বেশ উত্থিত অবস্থায় থাকে।
জাফর ইকবাল এই বিষয়ে কী বলছেন? তিনি বলছেন,
আমি সোজাভাবে বিষয়টি এভাবে দেখি, যে সমাজে পুরুষ আর নারী সমান সমানভাবে পাশাপাশি থেকে কাজ করে, সেই সমাজকে মৌলবাদীদের, ধর্ম ব্যবসায়ীদের খুব ভয়। তাই মেয়েদের ঘরের ভেতর আটকে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। একান্তই যদি ঘরের ভেতর আটকে রাখা না যায় অন্তত বোরকার ভেতর আটকে রাখা যাক।
এবং ঠিক তাই। তাদের ভয় প্রকাশিত হয়ে পড়েছে কোনও বিরতি ছাড়াই।
মৌলবাদী ইসলামিক দলগুলোর অনলাইন সদস্যদের দাবি, জাফর ইকবাল বোরকার বিপক্ষে কথা বলছেন, কাজেই ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, কাজেই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিপক্ষে কথা বলছেন। এবং এখানেই বিভ্রান্তির সূচনা। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম অনুসরণ করে, এবং সাধারণত, 'ইসলাম বিরোধী' টার্মটা শুনলেই ক্ষেপে ওঠে। মৌলবাদীরা এই বৈশিষ্ট্যটাকে কাজে লাগাতে শুরু করেছে খুব ভালোভাবে। তাদের রাস্তায় যেসব বিঘ্ন আছে, তাদের ওপর 'ইসলাম বিরোধী' ট্যাগ লাগিয়ে নিজেদের মাস্টারপ্ল্যান হাসিলের পথে তারা ভালোই এগোচ্ছে।
প্রসঙ্গটা কি আসলে ইসলামের?
এই দেশের আবহাওয়ায়, আসলে কতজন নারী বোরকা ব্যবহার করেন? আজ কাল পরশু, বিকেল বেলায় ঘর থেকে বেরিয়ে পথে আমরা কতোজন বোরকা পরিহিতাকে দেখি? বেশিরভাগকেই তো দেখি বোরকা না পরেই শালীনভাবে চলছেন। তাহলে, বোরকা আলোচনায় উঠে আসে কেমন করে? যারা বোরকা পরেন না, তারা আমাদেরই সব আত্মীয়। আমাদেরই মা, কিংবা বোন, বন্ধু, অথবা স্ত্রী। আমরা কি রাস্তায় তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছি? কেন তাহলে, বোরকায় মেয়েদেরকে আটকে রাখতে হবে?
কারণ পরিবেশ। ধর্মান্ধতা কালচার করার পরিবেশ। যে সমাজে পুরুষ আর নারী সমান সমানভাবে পাশাপাশি থাকে, সেই সমাজ স্বাভাবিক। এবং স্বাভাবিক একটা সমাজ, কখনও মৌলবাদ বা ধর্মান্ধতার প্রসারে কাজে আসে না। চাই অস্বাভাবিকতা। এবং এই অস্বাভাবিকতা খুব সহজে তৈরি করা সম্ভব, যদি পুরুষ এবং নারীদের আলাদা করে ফেলা যায়। যখন পুরুষেরা তাদের পাশে কোনও নারীকে দেখতে পায় না, সাধারণ মানবিক অনুভূতিবশেই তার মধ্যে কোনও নারীর সংস্পর্শে থাকার যে চাওয়া, সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এই চাওয়া খুবই স্বাভাবিক, যেকোনও পুরুষের জীবন তার চারপাশে যে নারীরা আছেন, তাদের ছাড়া অসম্পূর্ণ। তা তিনি বন্ধু হোন, কি বোন, অথবা সহকর্মী। যখন কোনও নারী থাকেন না, যখন স্বাভাবিক চাওয়াটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন সেখানে বিকৃতি অনুপ্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। শুরু হয় নারীর সাথে খাদ্যদ্রব্যের তুলনা। নারীকে বলা হয় কলা, আম এবং ললিপপ। বলা হয়, এই খাদ্যদ্রব্য 'প্যাকেট' করে রাখা উচিত।
একজন মানুষকে, যদি মানুষ হিসাবে সম্মানটুকু না দিতে পারি, তাহলে তাকে মানসিক বিকৃতি আর অসুস্থতা ছাড়া কী বলা যায়?
এই অস্বাভাবিক এবং অসুস্থ পরিবেশ, মৌলবাদকে এগিয়ে যেতে পথ করে দেয়। সাইদীর ওয়াজ মাহফিলের কথাবার্তা তখন যৌক্তিক বলে মনে হতে থাকে। এবং শুধু নারীদের বোরকায় প্যাকেট করে রাখা নয়, জনসমক্ষে গলা কেটে শাস্তি দেওয়া, সংখ্যালঘুদের জিজিয়া কর দেওয়া, এইরকম সবকিছুকেই তখন খুব যৌক্তিক শোনায়। কিন্তু সেই অবস্থানে যাবার আগে, একটা বিকৃত সামাজিক পরিবেশ দরকার হয়ে পড়ে, যে পরিবেশ এই ধর্মান্ধ হয়ে ওঠাকে লালন করতে পারে। আর তার জন্য ধর্মান্ধদের খুব বড়ো একটা প্রয়োজন, নারীদেরকে পুরুষ থেকে আলাদা করে ফেলা।
জাফর ইকবাল এই কথাটা আমাদের যখন দেখাচ্ছেন, তখন মৌলবাদীরা আবার গা ঝাড়া দিলো। তারা ইসলামের দোহাই পেড়ে জাফর ইকবালকেই দেশবিরোধী বানিয়ে দিলো। কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও ইসলাম অনুসরণ করছে। এর মধ্য থেকে, যে মেয়েরা বোরকা পরে না, তারা আসলে দেশের কী ক্ষতি করে ফেলছে? অথবা বলি, সব মেয়েদের ধরে বোরকা পরিয়ে দিলে দেশে ঠিক কী জাতীয় উন্নতির শনৈ শনৈ হাওয়া বয়ে যাবে? 'খুব খিয়াল কৈরা' দেখার বিষয়, মৌলবাদীদের এই প্রচারণা কি ইসলামের প্রতি তাদের ব্যাপক অনুরাগ, নাকি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা?
তারা জাফর ইকবালকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়েই থামে নাই। তাঁর প্রবাসী কন্যা ইয়েশিম ইকবালের ছবি যোগাড় করে সেটাতে নিজস্ব নোংরামির দুর্গন্ধ যোগ করে সবার কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছে। প্রবাসী এই মানুষটার ছবির নিচে কমেন্টগুলো দেখে আমি শুধু এটা ভাবতে পেরেছি, এই নোংরামি যেন যে কোনও একটা উপায়ে তার কাছে পৌঁছুতে না পারে। একটা মানুষের স্বাভাবিক আনন্দের ছবিতে যারা বিকৃত ক্যাপশান যোগ করতে পারে, তাদের আচরণ পরিষ্কারভাবে নির্দেশ করে ধর্মান্ধতা এবং মৌলবাদী পরিবেশ আমাদের সুস্থ স্বাভাবিকতাকে বিকৃত করে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।
মৌলবাদীদের উদ্দেশ্যপ্রবণ নোংরামির সীমানা ক্রমশ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এখন সিদ্ধান্ত নেবার খুব উপযুক্ত একটা সময়। ইসলামের দোহাই দিয়ে মৌলবাদীরা অধিকাংশ সাধারণ মানুষকে চুপ করিয়ে রাখে। এবং এই বিষয়টাই তাদের একটা নিশ্চিন্ত অবস্থা। আপনার মা বা বোন বা স্ত্রী বোরকা পরেন না। আপনি কি তাদের দিকে কোনও খারাপ চোখে তাকান? অথবা তাদের ইসলাম অনুসরণ করতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি? যদি দুটো উত্তরই নেতিবাচক হয়, তাহলে চুপ করে থাকার মতো হিপোক্রেসিতে যাবার পক্ষে আর কোনও কথা অবশিষ্ট থাকে না। বাংলাদেশ একটা মৌলবাদী পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েই নিজের আত্মপরিচয় খুঁজে নিয়েছে। এই দেশ স্বাভাবিকতার, এই দেশ ঐতিহ্যের। এই দেশ পহেলা বৈশাখ আর একুশে ফেব্রুয়ারির। একটা পহেলা বৈশাখ কল্পনা করুন যেখানে শাড়ি পরে আমাদের ঘরের মেয়েটা হাসিমুখে বাইরে যাচ্ছে না। এই দেশটা সেই পহেলা বৈশাখেরই দেশ। এই দেশ মুক্তিযুদ্ধের। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে রাজাকারেরা এই দেশেরই মাটিতে বসে, এদেশের নারীদের তুলে দিয়েছিলো পাকিস্তানিদের হাতে, আজকে তারা উচ্চকন্ঠ হয়ে উঠতে চাইছে আমাদের চোখের সামনে। মৌলবাদীদের এই আস্ফালনের সময় যে চুপ করে বসে রয়েছে, বাংলার পরিচয় তার জন্য আজকে অসম্মানের মুখোমুখি।
_____
অন্যকেউ
মন্তব্য
ভাই, এদের সুযোগ কিন্তু আমরাই দেই। সামু একটা ছাগুস্তান, সেখানে আমরাই গিয়ে লিখি। আমরাই ঐ ছাগুস্তানের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে দিয়েছি। আপনার কি মনে হয়, কেবল ছাগুরা লিখলে সামুতে কেউ যাইতো? বাল ফেলতেও যাইতো না কেউ, যেমন যায় না সোনাব্লগে। আমরা যাই কেন? ঐখানে লিখি কেন? ঐ ছাগুস্তানরে পাত্তা দেই কেন? যদি দিয়েই থাকি, তাহলে ঐখানে ছাগুদের গুমুত ঠেলেই আমাদের চলতে হবে। ফেসবুকে বাপের গোয়া দিয়ে বের হওয়া দুইদিনের বৈরাগী ছাগুরা ধর্ম নিয়ে লেকচার মারাইয়া নোট দেয়, আমাদের বন্ধুবান্ধবই দেখা যায় ওগুলি শেয়ার দিচ্ছে। এরাই তো ছাগুদের আশকারা দেয়। আমি আমার ফ্রেন্ডলিস্টে কাউরে ছাগলামি প্রোমোট করতে দেখলে স্ট্রেইট লাত্থি দিয়া বাইর কইরা দেই। ছাগুরা সংখ্যায় কম না, কিন্তু খুব বেশিও না। অস্ট্রাসাইজ করেন এদের, লিভ দেয়ার ফিলদি পাইল অভ শিট টু দেমসেল্ভস, এদের ম্যাৎকারও গুরুত্ব হারাবে। এদেরকে ফ্রেণ্ডলিস্টে পালবো, আবার প্রতিবাদও করবো, নিরর্থক না?
সামুব্লগ নিয়ে অক্ষরে অক্ষরে সহমত। পারতপক্ষে যাই না। আর ফেবুর কথা বলাবাহুল্য। এখনও ফ্রেন্ডলিস্টে লুকিয়ে থাকা ক্লোজেট ছাগু বের হয় মাঝেমধ্যে। গদামের সাথে শুভবিদায় জানাই। বিভিন্ন পেজে কেবল মোলাকাত হতে থাকে। আমারও পায়ের ব্যায়াম চলতে থাকে।
আপনি একটি ব্লকের কাণ্ডারী........ অন্য ব্লকের এই ভাবে প্রকাশ্য সমালোচনা সত্যই মানবিক ??
আমি না হয় একটি পাগল (আপনার কথা অনুসারে)
আপনি এক জন সচল এবং সর্বোপরি একজন সচল নৌকার কাণ্ডারী।
আপনি এই ভাষা প্রয়োগ করলেন__ ধিক আপনাকে ধিক !!
এই বার আপনার প্রশ্ন ??
সত্য কারের উন্মাদ কে ???????????????? ...
আমার এই প্রশ্নের উওর আমাকে দেবেন না আমি জানি, এবং এই মন্তব্যটিরও বলাৎকার (আদি অর্থ= বলপ্রয়োগ) করবেন। আমার মন্তব্যের বলাৎকার বেশী হয়, কেন???
সচলায়তনে শুধু তৈলমর্দন যুক্ত মন্তব্যই প্রকাশিত হয়, তা না হলে বলাৎকার করা হয়.. আমার মন্তব্য প্রকাশ করার সাহস মডুদের নেই...
চিন্তা নেই... কেউ কেউ আবার আমাকে ওদের দালাল এবং ছাগু বলবেন, তাদের উৎকর্ষ মানষিকতকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা.....
সামুর ছাগুদের জন্য আর সোনা ব্লগের জন্য আপনের মাতম দেখে কান্দন আইসা পড়লো।
মানব নামের আড়ালে আপনে যে একটা ছাগল সেই জিনিসটা এই এক মাতমেই বুঝা গেল।
ঠিক এই কারণেই আপনের মন্তব্যের বলাৎকার হয়। কারণ সচলায়তন ছাগুদের গণতন্ত্র "চোদানোর" জায়গা না।
জ্বি, আপনি ওদের দালাল না। আপনি সলিড ছাগু। খুদাপেজ।
ভাইজান এক্কেরে মনের কথাডা কইছেন। পুরা বাংলায় এ কথাটা যে কবে সংবিধানের মত এপ্লিকেবল হবে তার আশায় আছি।।
আরে মানব ভাই, অনেক দিন পর । বুকে আসেন
ছয় বছর ধরে বাপের গোয়া দিয়ে বের হওয়া এইসব ছাগুদের পিছে কাঠি দিচ্ছি রে ভাইডি। আপনার মত মানবচর্মাবৃত ছাগলরা যদি দৌড়ের উপর না থাকে, যদি কনস্ট্যান্ট চোদার উপ্রে না থাকে, যদি পোন্দাইয়া আপনার মত ছাগুদের লালনীল সুতাই বের না করা যায়, তাহলে ক্যাম্নেকী গো?
আর হ্যাঁ, সামু সোনা দুইটাই ছাগুস্তান। বাপের গোয়া দিয়ে বের হওয়া ছাগুরা এই দুই জায়গায় লাদি ফেলে। এর জন্য আমারে ধিক্কার দিয়ে লাভ আছে? আমি কি তাদের কাঁঠাল পাতা খাওয়াই, বলেন?
আমাদের মন্তব্যে তেল বাইয়া বাইয়া পড়ে, আর মন্তব্যে শ্রদ্ধা ঝইরা ঝইরা পড়ে, এমন শ্রদ্ধার গুষ্টি কিলাই.... বেশি ঝরতে দিয়েননা তাইলে আর কিছু বাকি থাকবনা ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী কেন বোরকা পরেনা জানতে চাই....
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কূট প্রশ্ন, তবে আপাতগ্রাহ্য।
বোরখা পরা ইসলামে বাধ্যতামূলক না। পর্দার ব্যাপারটা নারীপুরুষ দুইজনের জন্যই। নারীরা বাইরে যেতে পারবে না এরকম কোনো কথাও কোরআনে নাই।
কেউ যদি পর্দা না করে, তাকে বাধ্য করার কোনো সিস্টেমও ইসলামে নাই। যার যার স্বাধীনতা। পাপ হলে তার শাস্তি দেয়ার অধিকার অন্য মানুষকে দেয়া হয় নাই।
মৌলবাদী নোংরামি থেকে বাঁচতে হলে এদেরকে আলাদা খোঁয়াড়ে আটকাতে হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমাদের চুপ করে থাকার সুযোগে এরা এতোটা বাড় বেড়েছে। মাঠে নেমে অ্যাক্টিভলি এখন গোড়া কাটার কাজটা করতে হবে। চুপ করে থাকার দিন শেষ।
ছাগুদের জন্য মাত্র দুইটা ট্রিটমেন্টই যথেষ্ট - ইগনোর করবেন, সীমার বাইরে চলে গেলে ধরে পোন্দায়া ছেড়ে দেবেন। ব্যাস।
এই পদ্ধতি ৫ বছরের পরীক্ষিত পদ্ধতি, দারুণ কাজে দেয়।
@দ্রোহী,
সহমত। ঐ সব ছাগুদের ধরে ... তারপর আবার দাম নেওয়া উচিৎ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করার জন্য।
@অন্যকেউ,
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ছাগু পোন্দানোর তরিকা নিয়ে স্বল্প মেয়াদি ক্রাশ কোর্স চালু করা হউক
সামু তে যাই না । এইসব উপরে প্রগতিশীল ভিতরে ছাগু আপনার আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে । বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষিতদের ভেতরেও ছাগু লুকিয়ে থাকে , মুখে প্রগতিশীল আর মনে মৌলবাদী এমন প্রচুর লোক আমাদের আশেপাশে বিরাজমান । চুপ থেকে থেকেই আজকে এই অবস্থা
অবস্থাটা পাল্টে ফেলুন এবার। সহনশীলতার বাড়াবাড়ি আমরাই করেছি; এবার আমরাই আবার সব ঠিক করে নিতে পারবো। আশপাশে পাকিবাদী ছাগুত্বের কোনও দুর্গন্ধ সহ্যই করব না আর।
কোন ব্লগের বিরুদ্ধে ঢালাও মন্তব্য করাটা গ্রহণযোগ্য মনে করিনা। সামুতে 'ছাগু'দের বিরুদ্ধে সোচ্চার কলম (কিবোর্ড) সৈনিকদের নিরন্তর সংগ্রামকে এতে অপমান করা হয়। ওখানে ঢুকে উল্লেখ্য পোস্টটাতে সক্রোধে মন্তব্য করে এসেছিলাম, 'এই পোস্ট রিমুভ করা না হলে জীবনেও সামুতে ঢুকবনা।' কিছুক্ষণ পরেই লগইন করে দেখেছি তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে (আমার মন্তব্যের কারণে সরিয়ে ফেলা হয়েছে এমন দাবি করার মত নিরেট মস্তিষ্ক নই; সরিয়ে ফেলা যে হয়েছে সেটাকে মুখ্য ধর্তব্য)।
বোরকা পরা না পরা নিজ নিজ ব্যক্তিগত অভিরুচির ওপর ছেড়ে দেয়াই সঙ্গত মনে করি। এটাকে আক্রমণ করা বা অপরিহার্য মনে করা কোনটাই বোধহয় সঠিক পন্থা নয়। দেশীয় পোষাক, দেশীয় সংস্কৃতিই যে আমাদের শীকড়ে নির্যাস সরবরাহ করছে সে বিষয়ে সন্দেহ কি? জাফর ইকবাল স্যারের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই তাই প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়- তিনি নিজেই কি তাঁর সন্তানদের শিক্ষা এবং সংস্কৃতিতে যথেষ্ট বাঙ্গালিয়ানার সমন্বয় ঘটাতে পেরেছেন (উনার সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যমে অধ্যয়ন এবং পাশ্চাত্য পোষাক স্বাচ্ছান্দকে ইঙ্গিত করছি)?
তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এই ঘৃণ্য কদাচার অতীতেও হয়েছে। কন্যাসম ছাত্রীদের সাথে তাঁর নির্মল আনন্দ উদযাপনের ভিডিও ছেড়ে অশ্লীল ইংগিত করা হয়েছে। ইয়েশিমের ছবি নিয়ে যা করা হল তাও একই ধারাবাহিকতায় হয়েছে। প্রশ্ন হল, এই সহজবোধ্য মিথ্যাচার যাদের আদর্শের বাহন, তাদের আদর্শ আর কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা দাবি করতে পারে? এইটুকু বোধও যদি এই কীটানুকীটদের থাকত!
ধর্মীয় অনুশাসন মানা না মানা সবসময়ই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। কোনও সভ্য মানুষ এ নিয়ে ফতোয়া জারি করে বসবে না। সমস্যা হচ্ছে যখন ব্যক্তির সীমানা পেরিয়ে এই সিদ্ধান্ত সমাজে বিষ ঢোকাচ্ছে, তখন তো আর চুপ করে থাকা চলে না। যার যা মন চায়, সে তাই বিশ্বাস করতে পারে। কিন্তু সেই বিশ্বাস নিয়েই সে যদি সমাজকে তার মতো করে চালাতে চায়, তাহলে আর সমীকরণটা সহজ থাকে না।
আর জাফর ইকবালের সন্তানের বাঙালিয়ানার ক্ষেত্রে বলি; যে মানুষটা প্রবাসী, যে দেশে আছে তাকে সে দেশের নাগরিক গণ্য করাটাই শ্রেয়। ভ্যালেরি টেইলরকে আমি একজন গর্বিত বাঙলাদেশি বলতেই পারি, ইংল্যান্ড তাঁর অন্য একটা স্বদেশ হলেও। আমরা যদি একজন মানুষকে এদেশে আপন করে নিতে পারি, অন্য যে কোনও দেশই তো তা করতে পারে, তাই না? প্রবাসী একজন পুরুষ প্রবাসে সদাই করার সময় লুঙ্গি পরে চলেন না। কিন্তু দেশে আসার পর হয়তো গ্রামে গিয়ে তিনি পুরনো স্মৃতির মতো করেই সেটা করে চলেছেন। এই আচরণিক দ্বিত্বতার জন্য আমরা কি তাকে দোষারোপ করে থাকি? একটা মানুষ একটা সময়ে যে দেশের জল হাওয়ায় বেঁচে থাকবে, সে দেশের স্বাভাবিকতাই তখন তার জন্য সাধারণ। এই বিশ্বনাগরিকতাকে স্বাগত জানানোর মতো উদারতা আমাদের আছে আশা করি।
আর এটাও ঠিক, বাঙালিয়ানা ইত্যাদি নিয়ে টানা হ্যাঁচড়া শুরু হয় কেবল মেয়েদের পোশাকের সাথে, ছেলেদের সাথে কোনও সম্পর্কই টানা হয় না। হিপোক্রেসিটা এখানেই।
তৌফিক দোস্ত,
তোর প্রশ্নের একটা রুক্ষ উত্তর হতে পারে যে, ওনাদের সামর্থ্য আছে তাই তাঁরা তাঁদের সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যমে পড়িয়েছেন-- তোর সামর্থ্য থাকলে তুইও পড়াবি আমি নিশ্চিত । কিন্তু তুই আমার বন্ধু মানুষ--তোকে আমি যেটি কারণ মনে করি সেটা বলি । স্যার একবার কথা প্রসংগে বলেছিলেন যে, আর দেরি না করে ৯৪তে দেশে ফিরে আসার একটা কারণ হচ্ছে নাবিল এবং ইয়েশিম বড় হয়ে যাচ্ছিল । আরও বড় হয়ে গেলে দেশে এসে মানিয়ে নিতে ওদের অনেক সমস্যা হোত । তারপর স্যাররা সিলেটে কাজ শুরু করার পর ওরা দুইজন খু্ব সম্ভবত সিলেটের ব্লুবার্ড স্কুলে (যেটা বাংলা মাধ্যম) ভর্তি হয়েছিল । এরপর তো ৯৯তে নামকরণবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে এই যে এখন যারা ব্লগ
লিখেছে তাদের পূর্বসূরিরা তো নানারকম হুমকি দিয়েছিল, তার মধ্যে একমাত্র যে হুমকিটিকে স্যাররা আমলে নিয়েছিলেন সেটা হচ্ছে তাঁদের ছেলেমেয়েদের ক্ষতি করার হুমকি । স্যাররা ঠিক করলেন নিজেরা ঝুঁকি নিলেও ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না । তাই তাঁরা নিজেরা সিলেটে থাকলেন , কিন্তু ছেলেমেয়েদের ঢাকায় পাঠিয়ে দিলেন । ছেলেমেয়েদের সাথে তাঁদের দেখা হোতো শুধুমাত্র উইকএন্ডে । এখন ঢাকাতে স্কুলে ভর্তি করার সময় তাঁরা হয়তো চিন্তা করেছেন যে
নাবিল আর ইয়েশিম যেহেতু একা একা পড়াশোনা করবে -- তাঁরা কোনো সাহায্য করতে পারবেন না তাই ওরা যে মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সে মাধ্যমেই পড়াশোনা করুক । তার উপর ওরা দুইজন তো জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিক, তাঁদের হয়ত পরিকল্পনা ছিল যে ওরা ওদের আণ্ডারগ্র্যাডসহ বাকি পড়াশোনা ওইখানেই করবে(ওদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথাটাও মনে রাখিস এ প্রেক্ষিতে) -- এটাও সম্ভবত অন্যতম কারণ ছিল ঢাকায় এসে ওদের ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার !
এবার আমি সত্যিই তোর প্রশ্নে যে জিনিসটায় অবাক হয়েছি সেটা বলি --তুই পাশ্চাত্য পোষাকপ্রীতির কথা বললি । যে ছবিগুলো ইয়েশিমের ফেসবুক থেকে চুরি করে ওই কদর্য ব্লগটায় দিয়েছে একটা ছাড়া তার সবগুলোই তো আমেরিকায় তোলা নাকি ? তুই তো কিছুদিন আগে জন হপকিন্সে পড়ার জন্য আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিস ! তোর চারপাশে কি ওই পোষাকগুলো খুবই কমন না ?
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
দোস্ত, তোর 'রুক্ষ' উত্তরের প্রতিউত্তরে বলতে চাই 'আমি অন্তত পড়াব না'। পড়াবনা- প্রথমত নীতিগত কারণে; আমার কাছে আমার সংস্কৃতি সবচেয়ে মূল্যবান বলে। যে শিক্ষা তাদেরকে তাদের মূল থেকে বিচ্যুত হতে শেখায়; যে শিক্ষা আবহমান বাংলার সর্বস্বতাকে অবজ্ঞা করতে শেখায়- সেখানে জেনে শুনে আমার সন্তানদের কখনোই দেবনা। দ্বিতীয় কারণ হল ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আমার প্রাথমিক শিক্ষা বাংলা মাধ্যমের সরকারি বিদ্যালয়েই হয়েছে। তোরও হয়ত ব্যতিক্রম নয় (বাংলা মাধ্যম অর্থে)। আমরা কি খুব খারাপ করেছি বা করছি জীবনে? তাই উন্নত শিক্ষার দোহাই দিয়ে স্রেফ স্ট্যাটাস সিম্বল হিসেবে ইংরেজি মাধ্যমে সন্তানদের পড়াশুনা করানোর মত হিনমন্যতা আমার হবেনা এই টুকু বলতে পারি।
তোর দ্বিতীয় প্যারার জবাবে বলছি: শুধু আমেরিকায় কেন, কোন জায়গাতেই কোন পোষাকের ব্যাপারেই আমার রিজার্ভেশন নেই- নারী পুরুষ কারো ক্ষেত্রেই নয়। এটা ব্যক্তিগত অভিরুচির ব্যপার। প্রশ্নটা আসে তখনই যখন সাংস্কৃতিক সংসক্তির অভাব পরিলক্ষিত হয় এমন একজনের (বা তার সন্তানদের) জীবনাচারে, যিনি এ বিষয়ে সোচ্চার, এবং যাকে আমরা নি:শংসয়ে অনুসরণ করতে চাই। এর পরেও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় কার্পণ্য নেই- তোর উল্লেখিত সম্ভাব্য contextual factor গুলোর কারণে; তাঁর জীবনবোধের কারণে; ব্যক্তিজীবনকে সামষ্টিক বিবেচনার বাইরে রাখার 'সভ্য' আচরণের ব্যাপারে আমাদের নীষ্ঠার কারণে।
শুধু একটা কথা একটু যোগ করি দোস্ত -- কাউকেই নিংসংশয়ে অনুসরণ করার সম্ভবত দরকার নেই , কাউকেই নি:সংশয়ে অনুসরণ করাটা কোনো কাজের কথা না ! ভালো থাকিস !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
জাফর ইকবালের ছেলেমেয়েদের পোশাক আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? আর জাফর ইকবালের ছেলেমেয়েদের পোশাকে সমস্যাটা কী? তাদের কি চব্বিশ ঘন্টা শাড়ি-লুঙ্গি পরে থাকতে হবে?
পূর্বের জবাবের দ্বিতীয় প্যারা দ্রষ্টব্য
তৌফিক, আপনার কথায় আরেকটা জিনিস মনে পড়ে গেলো। সামু দিয়েই আমাদের সবার ব্লগিং জীবন শুরু। ওখানে আঠারো মাস আমরা ছাগুদের অবিরল মূত্রস্রোতের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে উপলব্ধি করেছি, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই ছাগুদের উৎসাহ দেয়া হয় ব্লগের হিট বাড়ানোর খাতিরে, সেখানে এই কীবোর্ড সৈনিকদের নিরন্তর সংগ্রাম বেলাশেষে নিরর্থক হয়ে যায়। আপনি তো বেতনভূক ডেডিকেটেড ছাগু নন, আপনার অন্য কাজ আছে, আপনি কীভাবে এদের সাথে পাল্লা দিয়ে এদের মলমূত্র সাফ করবেন?
আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আমি আমার সহব্লগারদের বলেছিলাম, আমরা হচ্ছি হোস্ট, এরা প্যারাসাইট। লোকে আমাদের লেখা পড়ার জন্য সামুতে ঢুকবে, আর আমাদের লেখার ফাঁকে ফাঁকে এরা এদের প্রোপাগাণ্ডাগুলো ইনজেক্ট করে দেবে, এবং সেই প্রোপাগাণ্ডার পাঠকও পাবে। আজ আপনি সামুতে একটা পোস্ট দিচ্ছেন, এর অর্থ হচ্ছে আপনি ছাগুদের এই প্যারাসাইটিক পোস্টগুলোর জন্যে একটা হোস্ট বডি তৈরিতে অংশগ্রহণ করছেন কেবল। ১০০% ছাগুব্লগের দিকে তাকান, সোনাব্লগ, ওখানে, যেমনটা আগেও বলেছি, বাল ফেলতেও যায় না কেউ। সংগ্রাম লোকে পড়ে না দেখেই তো আসিফ নজরুলকে প্রথম আলোয় লিখতে যেতে হয়, তাই না? সামু নীতিগতভাবেই ছাগুবান্ধব, তাই আপনার অংশগ্রহণ ওখানে তাই ছাগুদের প্রোপাগাণ্ডা মেশিনকেই শক্তিশালী করে। আপনার কীবোর্ডসৈনিকতার অপমান হয় কি না জানি না, কিন্তু আপনার পরিশ্রম বৃথা যায়, এটা বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারের একেবারে শুরুর দিকের আঠারো মাসের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি।
আপনার বক্তব্যের সাথে অনেকটাই একমত। আপনার আঠার মাস ব্লগিংয়ের শেষাংশের phase এর মধ্য দিয়ে আমি এখন যাচ্ছি- তাই বুঝতে পারছি আপনার কথা। তবে এর বাইরেও কিছু ক্ষেত্রে সামুর utility স্বীকার না করে পারিনা। যেমন: অনলাইন এ্যাক্টিভিজম প্রমোট করার জন্য ওটাই বেটার প্ল্যাটফরম মনে হয়েছ (দ্বিমত থাকলে বলবেন; আমার উপকার হবে)। ওখানেও কিছু ব্লগার আছেন যাদের লেখা পড়ার জন্য ওই দুর্গন্ধ মাড়িয়েও সেখানে ঢুকতে হবে হয়ত। সামু নবীন লেখকদের জন্য যে উৎসাহব্যঞ্জক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে সেটাও অনস্বীকার্য। তাই ঢালাওভাবে কোন ব্লগের বিপক্ষে বলাটা সমর্থন করিনা। সব কিছুরই pros and cons আছে।
লেখাটা ভালো হইছে। বিশেষ একটা শ্রেনী যাদের কাজ হইলো আগুনে তুষ যোগানো এদের আমি বহু আগে থেকেই মার্ক করি- তারপর গদাম। আমার ফেসবুক এইদিক দিয়ে পরিষ্কার। তারপরও এইসব হর্নি ছাগুদের যন্ত্রণা চোখে পড়ে। কালকে সারাদিন জাফর ইকবালকে নিয়ে লেখাটা দেখে গা ঘিন ঘিন করছে। নৈতিকতার পতাকাধারীরা পারেও
এই লেখা, তোরে দিয়াই ইন্সপায়ার্ড। নে।
আমরা আফগানস্থানে ছাগুরপ্তানি করি না কেন? ওখানে তো শুনেছি অনেক ডিম্যান্ড। শুধু শুধু আশেপাশে ল্যাদাতে দিচ্ছি।
ইসরায়েল যেমন দুনিয়ার সব ইহুদীদের নিজেদের নাগরিক হিসবে বিবেচনা করে। সেইরকম করে আরব এলাকাতেও আরেকটা দেশ গঠন করা দরকার। যারা দুনিয়ার সব ছাগলকে নিজেদের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেবে। এরপর ছাগুগুলারে পোন্দায়া ঐ দেশে পাঠায়া দিতে হবে। থাক শালারা। খোরমাখেজুর খা। সভ্যতার যাবতীয় স্বাচ্ছন্দকে উপভোগ করিস বসে বসে আবার উলটো সুর তুলিস সুযোগ পাইলেই। হিপোক্রেটের দল!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দারুণ কার্যকর একটা পোস্ট। বোরকার সাথে ইসলাম কেন, ধর্মেরই কোন সম্পর্ক নাই। ঠিক যেমন নেই ধূতির সাথে। যারা নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে বোরকা চাপিয়ে দেয়, তারাই তো বেশি করে নারীদের অনিরাপদ করে। প্রমাণ খুঁজতে গেলে একাত্তর থেকে শুরু করতে হবে। ইদানিং কিছুটা স্কিন টাইট বোরকার প্রচলন দেখতে পাচ্ছি। এটা কোন উদ্দেশ্যে কে জানে।
কুকুর এর কথা পড়েছিলেন না? বাস্তব সব ঘটনা আর চরিত্র।
আপনাকে ধন্যবাদ এই পোস্টটির জন্য।
স্বাগতম তানিম এহসান।
বোরকা নিষিদ্ধ করে দিলে আসলে উপকার হয়.....
আর সামুর কোন পোস্ট আমি শেয়ার হতে দেখি না তো। সামু মৃত হয়ে গেছে বহুকাল আগেই।
জাফর ইকবালের কন্যা কী করলো আর কী করলো না তা দিয়ে উনাকে জাস্টিফাই করা হবে কেন বুঝি না!!! প্রতিটা মানুষকে তার নিজো কর্মকাণ্ড দিয়ে বিচার করা উচিৎ। জাফর ইকবাল আমাদের শক্তি সঞ্চারক।
_____________________
Give Her Freedom!
আপনার কথার টোনটা অযথাই একটু এপোলোজেটিক হয়ে গেলো না ! মনে হোল না -- জাফর স্যারের মেয়ে বড়সড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছে; কিন্তু সেটা দিয়ে আমাদের জাফর স্যারকে বিচার করাটা ঠিক হবে না--জাফর স্যারকে তাঁর নিজের কাজ দিয়ে বিচার করতে হবে ?
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
সঠিক। কিছুটা এপলোজেটিক কারো কারো কাছে মনে হতে পারে। নিজের অবস্থান/কথাটা ব্যাখ্যা করি/করার চেষ্টা করিঃ আসলে জাফর ইকবালের মেয়ে অপরাধ করেছে কী করে নি তা আমি জানি না। তাই এভাবে বলেছি যে যদি করেও থাকে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়; জাফর ইকবালকে এর জন্য দোষ দেওয়াটা ঠিক হবে না। অবশ্যই "প্রতিটা মানুষকে তার নিজো কর্মকাণ্ড দিয়ে বিচার করা উচিৎ" আমি অন্তঃত তাই মনে করি। আচ্ছা, আরেকটা বিষয়ে বলতে হয়; উনার মেয়ে আসলে কোন অপরাধ করেছে কী না জানি না। তবে যে ছবিগুলোর কথা উঠেছে তা অন্তঃত আমার কাছে কোন অপরাধ নয়। এটা তার(ইয়েশিমের) ব্যক্তিগত জীবন।
_____________________
Give Her Freedom!
আপনার মন্তব্যটা এমন কেন? একটু অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছি যেন!
সামুর কোন পোস্ট আপনি শেয়ার হতে দেখেন না কেন? যেখানে সামুর পোস্ট শেয়ার করে করে ছাগুরা ফাটায় ফেলতেসে সেখানে আপনি এমন এক কথা বললেন যে সামু মৃত, এর মানে কি এই যে সামুকে নিয়ে বেশি মাতামাতি কইরেন্না, অইডা আর নাই, কিন্তু সামু ঠিকই নিজের মতন করে গুমুত প্রসব করে চলবে ছাগুদের প্যাট্রনাইজ করে করে? সামুর কাজকাম নিয়ে কেউ যেন কথা না বাড়ায় সেটার ব্যবস্থা করার অপচেষ্টা নয় তো?
জাফর ইকবাল স্যারের বিষয়ে আপনার কমেন্টের ওই অংশটুকু নিয়েও আমার প্রশ্ন আছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে আপনি উনার ব্যাপারে উল্লেখ করে উনাকে একটু অসম্মান করতে পারলেই বাঁচেন। আপনি কথাটা বলেছেন এমনভাবে যেন "মেয়ে তো গেছেই, করুক না যা খুশি! সেটার জন্যে বাপকে কেন ঘাঁটাও বাপু!!"
প্রতিটা মানুষকে তার নিজ কর্মকাণ্ড দিয়ে বিচার করা উচিত - এটা কেন বললেন? সন্তোষজনক ব্যাখ্যা করলে খুশি হব।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আমি অন্যরকম কিছু বলি নি। আপনি অন্য রকম গন্ধ পেলে কী আর করবো।
আসলে আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলেছি। আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্ট তাহলে মনে হয় একেবারেই অন্যরকম। আমি আসলেই আমার হোম পেইজে সামুর কোন পোস্ট শেয়ার হতে দেখি না; এবং তাই মৃত মনে হয়। এটাই তাদের পরিণতি হবার কথা ছিল। মৃত যদি এখনও নাও হয়- শীঘ্রই পুরোপুরি হবে( এখানে মৃত মানে সর্বস্তরের পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা সম্পূর্ণ হারানো)।
এই অংশের উত্তর রাজিব ভাইয়ের প্রতিমন্তব্যে দিয়েছি। আমি উনাকে অসম্মান করতে পারলেই বাঁচি- এও আপনার মনে হল দেখছি। ভালোই বুঝছেন।
যা বুঝাই নাই তা বুঝলে তো আর কিছু বলার নাই। ইয়েশিম ভালো-মন্দ কী করছে তার কিছুই আমি বলি নাই। আমি ইয়েশিমকে চিনি না/জানিও না। তবে যে ছবির কথা উঠেছে তা দেখেছি- সেটা দেখে আমার কাছে কোন অপরাধ মনে হয় নাই।
ধন্যবাদ।
_____________________
Give Her Freedom!
আপনি মৃত বলছেন, শেয়ার হতেও দেখেননা বলছেন, আর বলছেন আপনার লিস্টের কেউ শেয়ার করে না - খুব ভাল, খুব ভাল। সামুর যে পোস্টটা নিয়ে এখানে কথা হচ্ছে সেটা আমার লিস্টেরও কেউ শেয়ার দেয়নি, আমাকে আরেক বন্ধু লিঙ্ক দিয়ে বলছে এটা কোথাও সে শেয়ার করতে দেখেছে। একটা ব্যাপার হল আপনি যেমন মানুষ হবেন, আপনার লিস্টের লোকজনও তেমনই হবে; আপনার যদি রুচি হয় এইসব ঘাঁটাঘাঁটি করার, তাহলে আপনার লিস্টের লোকজন এর থেকে ব্যতিক্রম হবে না কোনভাবেই। এখন কথা হচ্ছে যে আপনি যদি শুধু আপনি শেয়ার হতে দেখেন না বলেই মনে করেন যে সামু মরে গেছে তাহলে কিন্তু হবে না, যাদের মধ্যে খুব 'চাহিদা', তাদের মধ্যে ছড়ায়। কাজেই সামু মৃত নয়, সহসা মৃত হবার লক্ষণও দেখি না কারণ গান্ধা ব্যাপারগুলি নিয়ে এই ব্লগ তাদের গান্ধা আন্দোলন চালিয়েই যাচ্ছে।
আপনি বলেছেন ইয়েশিম ভাল-মন্দ কি করেছে সেটা আপনি বলেননি - যথারীতি খুব ভাল, খুব ভাল। তবে আপনার বক্তব্যের টোনটা কিন্তু অন্যরকম অর্থ প্রকাশ করে। আপনার বক্তব্যের অর্থ দাঁড়ায় "মেয়ে কী করে করুক না, বাপকে আজাইরা গুঁতায়া কী লাভ!" যে ছবি নিয়ে কথা উঠেছে সেটা দেখে আপনার কাছে খারাপ কিছু মনে হয়নি সেটা আপনি বললেন না কেন? যদি আপনার কাছে কোন অপরাধ মনে না-ই হয় তাহলে দ্ব্যর্থবোধক বক্তব্য কেন রাখবেন?
যাই হোক, আপনি যদি একান্তই নিরীহ বক্তব্যই দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে বলব অস্পষ্ট করে কথা বলবেন না, যেটা বলতে চান সেটা স্পষ্ট করেই বলবেন, সবার কাছেই যেন সেটা ক্লিয়ার থাকে।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আমি অবশ্য আশা করি সামু মৃত হয়ে যাবে। আর পরবর্তীতে ক্রিটিক্যাল ইস্যুতে ডিটেইল মন্তব্য করার চেষ্টা করবো যেন কেউ বিপরীতার্থ করার সুযোগ না পায়। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
_____________________
Give Her Freedom!
মৃত্যুময় ঈষৎ, আমি কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব পাইনি এখনও।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
বাসার বাইরে ছিলাম। তাই দেরি হল। দুঃখিত। উপরে উত্তর দিয়েছি।
_____________________
Give Her Freedom!
আমার কিন্ত লেখাটার কোনো লাইন পড়েই মনে হয়নি যে জাফর স্যার ব্যক্তিগত ভিউ থেকে বোরকা পরাকে নিরুতসাহিত করেছেন।বরং আমার মনে হয়েছে উনি এই পোশাকটা কাউকে চাপিয়ে দেওয়া কিংবা এমন পরিস্থিতি ক্রিয়েট করা ,যার কারনে একটা মেয়ে পুর্ন বিশ্বাস ছাড়াই এই পোশাক পরতে বাধ্য হয় শুধু নিরাপত্তার খাতিরে,সেই পরিস্থিতির বিপক্ষে কথা বলেছেন।অনেকেই মনে হচ্ছে উনার বক্তব্য বোঝে নি।সমালোচনা চলতে পারে কিন্ত উনার পরিবারকে ব্যাক্তিগত আক্রমন গ্রহনযোগ্য নয়।আশার বিষয়,সামুতেও অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন এই নোংরামির।
প্রতিবাদের পাশাপাশি প্রত্যাখ্যানও একটা জরুরি বিষয় এখন।
আমি তো ব্যক্তিগত ভিউ থেকে বোরকা নিষিদ্ধ করে দেবার পক্ষে।
যে ধর্মে বোরকাকে নারীর সম্ভ্রম রক্ষার হাতিয়ার হিসাবে দেখা হয় সে ধর্মের অনুসারীরা যে যৌনস্ববর্স্ব সেটা কি বলে দিতে হয়? ইসলাম নিয়ে সত্যিকার অর্থে জানেন এমন কেউ একটু বলবেন ইসলামে কেন নারীদেহ ঢেকে ঢুকে রাখার উপরে এত জোর দিতে বলা হয়েছে? আদৌ কি জোর দিতে বলা হয়েছে?
নারীদের দেহ ঢেকে ঢুকে না রাখলে সমস্যাটা কী? ঈমান শক্ত হয়ে যায়? সেক্ষেত্রে নিজের ঈমানে ইট না ঝুলিয়ে নারীকে কেন বস্তায় ভরতে হবে?
পৃথিবীর ৫ বিলিয়ন অমুসলিমের অর্ধেক ও যদি নারী হয় তাহলেও সংখ্যাটা আড়াই বিলিয়নের কম না। তারা তো বোরকা পরে না, তাদের জোর করে ধরে বোরকা পরানো ও সম্ভব না। তাহলে তাদের দেখে দেখে ঈমান ঢিলা হয়ে যায় না?
আগুন কথা।
একদা এক নব্য ছাগু শাড়ি পড়া নিয়ে নবলব্ধ জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে বলেছিল, "এই বেপর্দা পোষাকে নামাজ হবেনা, ঈমান থাকবেনা।" আমার প্রশ্ন, জামাতীরা তো এই ব্যাঙের দেশে বাঙ্গালী মা দাদীর কোলে জন্মেছে; সেই মা, নানি, দাদীরা যে আজন্ম শাড়ী পড়ে ধম্মকম্ম করলেন, সে সব তো রসাতলে গেল। তারা একলা বেহেস্তে গেলে হবে? মা নানি দাদীদের কি হবে?
আর ইসলাম এ চোখের পর্দা করতে বলা হয়েছে। বাক্যের সংযমের কথা বলা হয়েছে। জামাতীরা তো এইগুলা খুললাম খুল্লা বাগায়া চলেন, কেম্নে কি!
বোরকা কোন ইস্যু না। আসল কথা জুজুর ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রন করা।
মুহম্মদ জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে ছাগুদের ক্ষ্যাপার কারণ একটাই। তিনি "ছাগুপোন্দানি দলের" সদস্য। আমরা যেমন ব্লগে ছাগু পোন্দানোর কাজটা করছি তেমনি তিনি পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশনে ছাগু পোন্দানোর কাজটা সারছেন। যেহেতু তার পোন্দানোর ক্ষেত্রটা বড় তাই তার পোন্দানির জোরও বেশি। সেই পোন্দানি খেয়ে ছাগুদের জ্বলুনি বেশি হবে না?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
জ্বলুনিজনিত ম্যাৎকার ভালোই রেজাল্ট দিছে। ল্যাঞ্জা ইজ আ টাফ থিঙ টু হাইড, আবারও প্রমাণিত হইছে। ফ্রেন্ডলিস্ট ছেঁকে ফেলার সুবর্ণ সুযোগ।
ভাল্লাগসেরে বাচ্চা!
সামুকে আমি মৃত মনে করি না। আমার কাছে সামুকে কাইন্ড অফ এই দেশের একখানা চালচিত্র মনে হয়।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
খাও।
দেশের চালচিত্র.. হইতে পারে। তবে ঋণাত্মক দিকে ঘেঁষা আছে। আম পাবলিকের মধ্যে, চাষী-শ্রমিক এদের মধ্যে এতো সিকনেস বিশ্বাস করি না। মধ্যবিত্তদের মধ্যেই বরং সংখ্যাটা বেশি। তা হোক। পজিটিভ চিন্তা ছাড়ুম না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই।
ডঃ জাফর ইকবাল ও তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে গতকিছুদিন ধরেই সামু ব্লগে কিছু ব্লগারের অতি উৎসাহী লম্ফঝম্ফ দেখছি (আরো একটি হট ইস্যু হলো 'জাগো')...কাউকে আমাদের অপছন্দ হতেই পারে, তাই বলে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নোংরামি সমর্থনযোগ্য নয়, আবার সবকিছুর সাথে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলে জগাখিচুঁড়ি মার্কা পোস্টও ব্লগের সৌন্দর্যহানি করে বলে আমার ধারনা। বাংলা ব্লগ জগতের একদার তুমুল জনপ্রিয় (এখনো আছে কি?) সামু ব্লগের কর্তৃপক্ষের এদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে মনে করি।
বলতে দ্বিধা নেই বাংলা ব্লগ জগতের সাথে আমাদের অনেকের পরিচিতি সামু ব্লগ দিয়েই, এখন সেই ব্লগের এহেন অবস্থা দেখে কষ্ট হয়। গালাগালি, অশ্লীল ছবি, আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কের নামে নোংরা পোস্ট এসবই এখন সামুর পাতা জুড়ে থাকে। প্রতিদিন শত শত পোস্ট হয় ঠিকই কিন্তু 'কোয়ান্টিটি' থাকলেও 'কোয়ালিটির' অভাবে সেগুলো বেশিরভাগই অখাদ্যে পরিণত হয়।
মাফ করবেন! জাফর স্যার শুধু বোরকার প্রতিবাদ করেন নি, উনি হিজাবের প্রতিবাদও করেছেন।
বোরকা শুধুমাত্র কাপড়ের নাম। বোরকা ছাড়াও হিজাব হয়। ঢিলেঢালা, অসচ্ছ সেলোয়ার-কামিজ-শার্ট, শাড়ি ইত্যাদি কাপড়ের সাথে স্কার্ফ দিয়েও হিজাব হয়। কিন্তু উনি এটারও বিরোধীতা করেছেন। অর্থাৎ উনার মতে ঐ মোবাইল কোম্পানিগুলোর অ্যাডের মেয়েরা যেমন স্কিনটাইট, স্কার্ফ ছাড়া টিশার্ট, কামিজ ইত্যাদি পড়ে থাকে সেরকমই পড়া উচিত। উনার লেখার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বলে যে (উনাদের মতে) হিজাবই আমাদের উন্নতির পথে প্রধান অন্তরায়। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্নঃ আফ্রিকার কয়টি দেশে মেয়েরা হিজাব করে? মেয়েদের ঘরে বন্দি করে রাখা হয়? একটা উন্নত দেশ অথবা সমাজ দেখান তো- যেটা মাতৃপ্রধান?
আপনাদের জন্য কয়েকটি ছবিঃ
এখন আপনাদের বিবেচনা-আমাকে জা'মাতি বলবেন? নাকি হিজবুতি বলবেন? পি, পি, পি
জাফর ইকবালের লেখা থেকে আপনি এই অর্থটা ঠিক কীভাবে বের করলেন, সেটা পরিষ্কার করতে পারেন? এটাকে দুষ্টুরা বলে পুলিং সামথিং আউট অভ ইয়োর অ্যাস। আপনি এই অর্থটা বের করেছেন একটা কনভিনিয়েন্সের জন্যে। কী সেই কনভিনিয়েন্স? যাতে আপনি জাফর ইকবালকে এই কথা বলে ঠেস দিতে পারেন, সিঙ্গল আউট করতে পারেন, তাকে নিয়ে হাউকাউ করতে পারেন। আপনার উদ্দেশ্যটাও ওখানেই স্পষ্ট হয়। আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তর ওখানে মেলে।
জাফর ইকবাল যদি হিজাবের বিরুদ্ধে কথা বলেও থাকেন, আপনার সমস্যা কোথায়? আপনি হিজাবের উপকারিতা নিয়ে প্রথম আলোতে আর্টিকেল লিখুন, নইলে ফেসবুকে নোট দিন, নইলে ব্লগে লেখা দিন, টিভিতে টক শো করুন, মাইক নিয়ে রাস্তায় নামুন, কেউ কিন্তু আটকাবে না আপনাকে।
আপনি একটা ইসলামী তরিকায় চলা দেশ দেখান, যেখানে তেলগ্যাসের বাড়বাড়ন্ত নেই কিন্তু অর্থনীতি খুব উন্নত।
হিজাব একটা ফিনোটাইপিক এফেক্ট, মূল প্রশ্ন হচ্ছে সমাজের নারীর ওপর পুরুষের কর্তৃত্ববাদিতা। আফ্রিকার যে দেশে হিজাব নেই, সে দেশে সংশোধনমূলক ধর্ষণ আছে, কিংবা চার্চের হুকুমদারি আছে। আপনি যদি মনে করেন, হিজাব পরেই আপনি দেশকে উদ্ধার করে ফেলবেন, খুবই ভালো, আপনি হিজাব পরুন, হিজাব পরে চলাফেরা করুন, কাজ করুন। কেউ আপনাকে বাধা দেবে না। পাশাপাশি, একজন জাফর ইকবাল যখন বলেন, ষাট বছর আগেও দেশে কেউ বোরখা হিজাবের বাড়াবাড়ি করতো না, তখন আপনার আক্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ দেখি না।
ছেলেদের যৌন উত্তেজনা যাতে না ঘটে, সেজন্য ঢিলাঢালা পোশাক পরার দায়টা মেয়েদের ঘাড়ে না চাপিয়ে, মুমিন ভাইদের একটু বলবেন তারা যাতে হুটহাট উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে শেখেন। গোটা দুনিয়া চামড়া দিয়ে না ঢেকে আপন চরণ দুটি চামড়ায় ঢাকলেই সমস্যা চুকে যায়।
। ঠিক এই কথাগুলোই ওইদিন ফেসবুকে আমার এক বন্ধুকে এমন করে বলে দেয়ার দরকার ছিল --বলতে পারিনি দেখে আফসোস হচ্ছে !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
গোটা দুনিয়া চামড়া দিয়ে না ঢেকে আপন চরণ দুটি চামড়ায় ঢাকলেই সমস্যা চুকে যায়।
facebook
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনে জামাতি না হিজবুতি তা পরে বলতেছি তার আগে বলেন বোরকা/হিজাব পরলে আর না পরলে সোয়াবের পার্থক্য কী হয়?
একটা মেয়েকে দেখে যদি একজন পুরুষের জননেন্দ্রিয় সুড়সুড় করতে শুরু করে তবে সেটা পুরুষের দোষ নাকি মেয়েটার দোষ? নিশ্চয়ই সবার সুড়সুড় করে না, কারো কারো করে। যাদের করে তাদের পুরুষাঙ্গটাকে একটা দড়ি দিয়ে রানের সাথে বেঁধে রাখলেই তো কেল্লাফতে! অথবা একটা ইট ঝুলিয়ে দিলেই তো হয়। তাহলে মেয়েদের হিজাব/নিকাব/বোরকা পরার ঝামেলার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না।
সমস্যাটা শুধু মুসলমানদের হয় কেন? সুইডেন, নরওয়ের মত কাফেরদের দেশে পুরুষরা উত্তেজিত হয় না কেন?
সুইডেন, নরওয়ের মত কাফেরদের দেশে পুরুষদের মনে হয় সাচ্চা ঈমানদারদের মত মর্দাংগি নাই !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হইলো লোহার জাঙ্গিয়া... লগে তালাচাবি... হিজাবে কাম হবে না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই দারুন আইডিয়া দিলেন, ভালো বিজনেস হবে, অনেক দিন ধরে বিজনেস এর আইডিয়া খুঁজি, আপনে আজকে দিলেন, কি আর বলবো, অছাম..... আইডিয়া যেহেতু আপনার, চাইলে পার্টনারশিপে বিজনেস খোলা যায় ..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
মমিন বান্দাগো জন্য হক দাবী !
facebook
পুরুষের হিজাব চাই!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বুরকা পরা মেয়ে পাগল করেছে
এই হাসান মতিউর রহমানের মতো ফাদার্চোদগুলোরেও চাবকানো দরকার। এই শালারা গত কয়েক দশক ধরে অডিও সেক্টরে অশ্লীলতার বন্যা বইয়ে দিচ্ছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অর্থাৎ? অর্থাৎ উনার মতে? মতটা কি উনার, নাকি আপনার স্বল্পবুদ্ধিপ্রসূত? উনি লেখাটায় বলেছেন উজ্জ্বল ফতুয়ার কথা। এবং এটাও বলেছেন যে এটা বাংলাদেশের তারুণ্যের সামগ্রিক চিত্র নয়।
স্কিনটাইট? স্কার্ফ ছাড়া টিশার্ট, কামিজ? কোথায় পেলেন? কোথায় লেখা আছে? 'ফতুয়া' শব্দটাও যদি নেন, যদিও তিনি এটাকে মিডিয়াপ্রসূত অসম্পূর্ণ ইমেজ বলেছেন, তবুও যদি নেন, তার সাথে স্কিনটাইটের সম্পর্কটা কোথায়? কোনও মেয়ের কথা মাথায় আসলেই মাথায় 'স্কিনটাইট' ঘুরে? পারভার্ট। ব্লাইন্ড পারভার্ট।
অর্থাৎ। অর্থাৎ কথাটা আপনাদের মত। আপনাদের মতো পারভার্ট গোষ্ঠির মাথা থেকে নিংড়ানো মত। জাফর ইকবালের মত না। এবং কোথায় জ্বলছে, ঠিক কোন জায়গাটায় জ্বলছে, বুঝতে পারছি।
বখে যাওয়া পোলাপানগুলি ধর্ম চোদাইতে আসলেই সন্দেহ হয় ওদের মনের ভিত্রে কী!
পারভার্টের দল, খালি মেয়েদের পোশাকের দিকে নজর কেন? নিজের লিঙ্গ বাহাদুরকে আদব-কায়দা শিখাইতে চিপা লাগে নাকি?
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
মাফ করা যাচ্ছে না। আপনি একটি শতভাগ খাঁটি বোকাচোদা। আপনার সাথে আর্গুমেন্ট হচ্ছে সময় অপচয়। এই সময়টা খরচ না করে উপরের লেখকরা যদি ঐ সময়টা নতুন কিছু লেখায় দিতে পারত সেইটা বরং অনেক বেশি ভ্যালু এড করত। কিন্তু বিধি বাম।
আমি একটা সমাধান দেই, আপনারা বরং ঈশ্বরের কাছে আপিল করেন 'নারী' নামক এই পাপের পোটলা কে দুনিয়া থেকে বিলোপ করা হোক। সুড়সুড়ির কারনটাই যদি না থাকে, ঈমান ঢিলা হবারও আর সুযোগ থাকবেনা।
শুধু ইগ্নোরে কাজ চলবে না। এদের জন্য কোনো মানবিকতা নাই। এদের জন্য কোনো ক্ষমা নাই। ছাগুমুক্ত দেশ চাই
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
জাফর ইকবালের সমালোচনা করে একদল মানুষ তৃপ্তি পাচ্ছে, কিন্তু তাদের এসব কটূ কথায় জাফর স্যারের কিছু যায় আসে না। তিনি দেশের সম্পদ, তাকে নিরাপদে কাজ করতে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের। ছাগু-হাগু এসব মনুষ্যরূপী প্রাণীরা যেখানে সেখানে ত্যাগ করে নোংরা করবে। ওসব পাত্তা না দিয়ে নিজেদের কাজ করে যাওয়াই উত্তম। ওদের বিরুদ্ধে কিছু বললে গাত্রদাহ হবেই, একসময় তারা পরাজিতের খাতায় নাম লেখাবে। এজন্য আমাদের সবার সচেতনতা দরকার। কাউকে ছোট করে নয়, তার ভূল ধরিয়ে দিয়ে শুদ্ধতার পথ দেখিয়ে।
সহমত।
এদের জন্য পাইকারি হারে গদাম বরাদ্দ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই
পর্দা করে চললে আপনাদের সমস্যা কোথাই তা তো বুঝলাম না। বোরকা বা হিজাব যদি উন্নতির এতই প্রতিবন্ধক হবে তবে ইরান এত উন্নতি করল কিভাবে ? তার কোন উত্তর দিতে পারেন।
আর মেয়েরা পর্দা না করলে তো আপনাদারেই সুবিধে। কারণ রাস্তা-ঘাটে মেয়েদের দেখবেন আর বলবেন "মাল টা তো জোশ!"
শুনেন আমাদের ইসলাম নারীকে "মা" উপাধীতে ভূষীত করেছে। আর আপনাদের জাফর ইকবালের মতো নাস্তিকরা তাদের কে 'মাল' বানাতে চাচ্ছে। আর আপনারা সেই মাল বানানোর কারখানার লেবার।
আপনাদের ঘরে মা/বোন আছে? তাদের একবার মাল বলে ডেকে দেখেন কেমন লাগে?
ইরান এত "উন্নতি" করেছে তাদের বিপুল তেলের কারণে। সোমালিয়াও মুসলিম দেশ, ইয়েমেনও, যায়া দ্যাখেন তাদের কী অবস্থা। তাদের খারাপ অবস্থার কারণ, তাদের তেল নাই।
আমি তো জানতাম বস্তার মধ্যে লোকে মালই ভরে, মা-রে ভরে না। আপনি কি আপনার মারে বস্তায় ভরেন? আর রাস্তাঘাটে বোরখা ছাড়া মেয়েদের মাল ডাকে আপনার মতো কিছু ছাগল। আজকে সারা দেশের মেয়েদের বোরখার বস্তায় ভরেন, দেখবেন কালকে আপনে বলতেছেন, আরে ঐ বোরখা পরা মালটা তো জোশ!
আপনি কি কোনো মায়ের পেট থেকে বের হয়েছেন? নাকি বাপের গোয়া দিয়ে? নিজের মারে বোরখা ছাড়া দেখলে মাল ডাইকা বসতে পারবেন?
এরচেয়ে ভালো জবাব আর কিছু হইতে পারেনা
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ঘরে মা-বোনদের দেখলে চোখের উপর পর্দা পড়ে, ঘরে না, বাইরেও। নিজেকে আস্তিক প্রমাণ করে গেলেন, তারপর মেহেরেবানী করে যে নামে ডাকার জন্য ‘লেবার’ দিয়ে গেলেন তাতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য ধরাধামে আগমনের আগে থেকেই যে প্রবলভাবে বিদ্যমান তা নিশ্চিত হওয়া গেলো। আর এইসব কোষ্ঠকাঠিন্য যাদের ভেতর দেখা যায় তারা সাধারণত পয়মন্ত হিসেবেই আসে, নইলে কি আর কেউ পশ্চাৎদেশ দিয়ে কথা বলে? নইলে কি আর মনে হয়, মানুষ সমাজে ভুল করে আরো অনেককিছুরই জন্ম হয়।
নিক্ টা খুব মানালো - ‘মানুষ’, সার্থকতা নামে মেটে নাই, বিপরীত অর্থে একদম পুরোপুরি মানানসই মনে হলো, সেরাম মানানসই।
মিম্ভাই এর মন্তব্যে এবং
------------------------------------------------------------------------------------------
এন্ড স্পেশাল জিনিষ হে হে ফর স্পেশাল মানব কাকু
মানবের পেছনে একটি কোবতে। আহা। এইমাত্র প্রসব করলাম
মানব হালারে বস্তার মইধ্যে ঢুকানো হোক।
তার মইধ্যে ফুটো করে ইট ঝুলানো হোক।
তারপর তার বিভিন্ন অঙ্গে মেয়ে সুলভ আর্টিফিশিয়াল বানানো হোক।
তারপর তাকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হোক।
এইবার তাকে দেখে যে বলবে - এইডা হল মাল।
তারপর দেখুম আসল কামাল।
তয় সেই অইল আসল বালছাল ।
তারপর তার পোঁদে ধারামু আগুন
আর পরম আনন্দে পোড়ামু বেগুন।
প্রতি - মানব
কোনও মেয়েকে 'মাল' বলে ডাকি না কখনও। সম্মানটা দেখাতে জানি। মেয়েদেরকে সম্মান করতে তোমার মতো বস্তার দরকার পড়ে না। আর আজাইরা ল্যাদালে কি লাভ? বস্তা ছাড়া পৃথিবীতে কয়টা দেশ? বস্তাবিহীন দেশে উন্নতি হয় নাই কোনও, তাই না? নির্বোধ।
তোমার মতো রাজাকাররাই একদিন এই দেশের মেয়েদেরকে পাকিদের হাতে তুলে দিছে। আজকে তোমার নৈতিকতার ঝান্ডা ঐ ফাকিস্তানে গিয়ে নাড়াও। এই দেশ আমাদের। ফাকিস্তানের কোনও পা-চাটা রাজাকার ধর্মের লেবাস ঝুলালেও তাকে চিনতে ভুল করি না। থু থু।
কেন তোমরা মৌলবাদীরা পর্দাকে এতো গুরুত্ব দেও, কেন এটা নিয়ে তোমরা এতো লাফাও,
কেন শুধুমাত্র 'নারী' টপিকটাতে আসলেই ইসলামকে টানার হিড়িক পড়ে যায়,
কেন দুর্নীতি, খুন, জোচ্চুরি সবকিছুকে রেখে মেয়েদের পোশাক নিয়েই তোমাদের সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথা, এইগুলা কিছুই জানো না?
মূল পোস্টেই আছে, আবার দেইখা নাও।
এই মন্তব্য পড়ে খুব হেসেছি। ইসলাম আসার আগে নারীরা মা ছিলো না? মানে ওই "শেরশাহ ঘোড়ার ডাকের প্রচলন করার আগে ঘোড়ারা ডাকতো না" টাইপ হাসি আরকি।
একটা কথা বলি, চিন্তা করে মগজে শর্ট সার্কিট করে ফেলেন- আপনার বাপের চোখে আপনার মা কিন্তু, আপনার ভাষাতেই, "জোশ মাল"। নাহলে আপনার জন্ম হতো না।
কিছু প্রাণী আছে ভালবাসে পাছা মারা খাইতে। আপনি নিঃসন্দেহে সেই দলে আছেন। বোঝা যাচ্ছে আপনার ওস্তাদের যন্ত্র নেতায় গেছে তাই পাছার সুখ ইদানিং আর আগের মত পাইতেছেন না। তা অসুবিধা নাই, এইখানে আর একটু ঘুরাঘুরি করেন, এত পাছা মারা খাবেন যে আপনার চৌদ্দগুষ্ঠিরও ব্যবস্থা হয়ে যাবে। বেটা ফোকচোদ।
SUST এ প্রোগ্রামিং কনটেস্টে গিয়ে খুব অবাক হয়ে দেখলাম , আমাদের ডিপার্টমেন্টের যে ছাগু ফেসবুকে জাফর ইকবাল স্যারের নামে বিভিন্ন পোস্ট ল্যাদাতেন সেই একই ছাগু নিজেই এগিয়ে গিয়ে স্যারের সাথে একখান ফটো তোলার আবদার করতেসে =)) !! খুব কনফিউসড হয়া গেসিলাম সেইদিন !
অফটপিকঃ ফেসবুকে লক্ষ লক্ষ (আনুমানিক) পাতা খোলা হয়েছে মানবতার(?) ওয়াজ নসিহত করার জন্যে।সেই সব পাতা গুলোকে বন্ধ করার জন্য কি আমরা কিছু করতে পারি না?
হিমু ভাই বলেন,
এদেরকে ইগনোর করেন। বেশি বাড়াবাড়ি করলে গদাম করেন। এরা অ্যাটেনশান সীকিং কিছু পারভার্ট মাত্র।
কিছুদিন আগে কিছু মানুষের সাথে কথা বলে 'জাফর ইকবাল নাস্তিকতা প্রচার করে' এই তথ্যটা ভালই ছড়িয়ে গেছে বুঝতে পারলাম। লেখা ভাল লেগেছে। জাফর স্যারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনিনা, লেখা পড়েই তার ভক্ত। লেখায় মৌলবাদ বিরোধীতা বা দেশপ্রেমের যে উদাহরন তিনি রাখেন, সেটা যতদিন চলবে ততদিন যে যাই বলুক তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার কমতি হবেনা
একটা কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস লিখতে হবে, যেখানে স্পেসশিপে নায়ক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, কুরআন তিলাওয়াত করে, আর একটু পর পর একটা রাজাকারকে একটা স্ট্যাণ্ডে বেঁধে তার পাছায় মিনিট বিশেক চাবকায়।
অলস সময়
পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৫০ নিকি?
হাসি চেপে রাখতে পারলুম না। রাগিবের সাথে সহমত।
চিত্রায়নের পয়সা সবাই মিলে জোগাড় করে দেবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হিমু ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অন্যকেউ, আপনার লেখাটা ভালো। অত্যন্ত আপনি লিখেছেনতো। সেই জন্যও অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য। কিন্তু একটা কথা কি জাফর ইকবাল স্যারের মেয়েকে দিয়ে ওনাকে বিচার করা যাবেনা, এই প্রসংগটাই অবান্তর ! ইয়েশিম এমন কোন মহাঅন্যায় করে ফেলেনি। একটা মেয়ে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, সে তার মত পোষাক পড়ে বন্ধুদের সাথে ছবি তুলেছে। সেই ছবি যদি লোকে নামিয়ে ব্লগ থেকে ব্লগে ছড়ায় সেটা তাদের রুচির সমস্যা। আসলে সমস্যা রুচির নয়, সমস্যা জাফর ইকবালের জামাত বিরোধীতার। নয়তো বাংলাদেশের ঘর থেকে যত ছেলেমেয়ে (ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে ) বাইরে পড়তে আসে, তাদের পোষাক এবং জীবনযাত্রা এর চেয়ে ভীষনরকম ভিন্ন কিছু নয়। আর এ রকম হলেই খারাপ আর না হলেই ভালো এমনও নয়। তাই, মেয়ের সমস্যায় বাবাকে অপরাধী করা যাবেনা এই 'টোন' থেকে সরে আসাই শ্রেয় কেননা ইয়েশিম কোন অপরাধই করেনি !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
জোর করে বোরকা পরানো/খুলানো কোনতাই কাম্য না আসলে। মানুষ যেভাবে চলতে ভালবাসবে সেভাবেই চলবে। লোকজন Specially আমরা ছেলেরা মহিলাদের পোশাক নিয়ে এত আলোচনা কেন করব আমি বুঝিনা। বরং নিজদের পোশাক/ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা উচিত
জানিনা আপনাদের মত বড় বড় সব বিজ্ঞজনের সাথে একই কাতারে মন্তব্য করার অধিকার আমার আছে কি না! প্রথমে অ্যাজ ইউজুয়াল যা করি তাই করবো ভাবলাম... অর্থাৎ সদ্য-পড়া সচলের ট্যাবটা বন্ধ করে ফেইসবুকিং। কিন্তু আজকে একটা পোকা মাথায় কুড়কুড় করতেই লাগলো তাই এই মন্তব্য।
প্রথমেই আমার নিজের কথা একটু বলি নাহলে হয়তো বিশাল প্যাঁচে পড়ে যাব! সেটা হ’ল... আমি একটি মুসলমান পরিবারে বড় হওয়া মেয়ে। খুউব ছোট্টকাল থেলে আম্মুকে (সত্যিকথা বলতে কি, তারও আগে যে হাউজমেইডের কাছে আমি বড় হয়েছি তাঁকে) নামাজ পড়তে দেখে আমার ধর্মশিক্ষার সূচনা। ভয়ংকর কষ্টগুলি যখন শেয়ার করার কেউই থাকে না, তখন কোন সর্বশক্তিমান একজন-এর সাথে যাবতীয় অভিমান আর ঘ্যানঘ্যান করে মন হালকা করার ঘটনা তাই আমার জীবনে খুবই কমন! মনে পড়ে, প্রথম সচলায়তনের পাতাটা দেখি এক বান্ধবীর বাসায় সি প্লাস প্লাসের জঘন্য একটা অ্যাসাইনমেণ্ট করতে গিয়ে আর সচলপ্রিয় ব্যক্তিমাত্রই বুঝতে পারবেন কেন সেবার লেইট সাবমিশন করতে হয়েছিল ! প্রত্যেকবার বইমেলায় বের হওয়া জাফর ইকবাল স্যারের প্রত্যেকটি বই আমার শেলফে আছে। (“বুবুনের বাবা” আছে দুই কপি কারণ একটির প্রথম দিকের কয়েকটি পাতা নাই!) অনেস্টলি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সামাজিক বিজ্ঞানে নানান ধরণের কথাবার্তা আমার পাঠ্য ছিল, কিন্তু জীবনে প্রথম বারের মত যুদ্ধ কাকে বলে এটা সত্যি সত্যি উপলব্ধি করেছিলাম “আমার বন্ধু রাশেদ” পড়ে! আমি জানিনা এই আসরে কে কতটুকু আমাকে বিশ্বাস করবেন কিন্তু বুকে হাত রেখে বলতে পারি, পাকিস্তানপন্থী তৎকালীন রাজাকারদের আমি আমার হৃদয়ের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ঘৃণা করি!
কাঁকুড়ের বীজটি চৌদ্দ হাত হয়ে যাওয়ার আগেই মূল কথায় আসি! আমার সীমিত জ্ঞান দিয়ে আমি যতটুকু জানি, ইসলাম আর পাকিস্তান এক শব্দ নয়। সে প্রেক্ষিতে, কেউ আল্লাহকে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা করলেই কেউ পাকিস্তানপন্থী/ জামাতি-রাজাকার-আলবদর হয়ে যায় না! তাই যদি হয় তাহলে “আল্লাহু আকবার” বলে যে মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানী মিলিটারীর বুকে গুলি চালিয়েছিলেন, শুধু আল্লাহ-কে বিশ্বাস করেন বলেই তো তিনি রাজাকার! অন্ততপক্ষে আমার জ্ঞান আমাকে তাই বলে! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইসলাম সম্পর্কে যতটুকুই আমি জানি, তা জেনেছি নিজের আগ্রহে ট্রান্সলেশন পড়ে সুতরাং আক্ষরিক অর্থেই ওটা আপনাদের মত বিরাট বিরাট লোকদের সামনে জাহির করার ধৃষ্টতা আমার নেই। তারপরেও বলছি। স্যারের লেখাটিতে শুধু “বোরকা” শব্দটিই ছিলো এমন তো নয় -(Quote: “ভাষা আন্দোলনে কত মেয়ে! কিন্তু একটি মেয়েও বোরকা পরে নেই, একটি মেয়েও হিজাব পরে নেই”)! যদ্দুর আমার বুদ্ধিতে কুলায়ঃ এই বাক্যে বোরকা শব্দটি যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, হিজাব শব্দটিও ঠিক ততটাই! ইসলাম আর পাকিস্তান যেমন সমার্থক নয়, বোরকা আর ঠিক হিজাবও তাই!! আরবী এই শব্দটির আক্ষরিক অর্থ hide/ conceal। www.bbc.co.uk- অনুযায়ী “partition/barrier” ; অ্যান্ড নট জাস্ট বোরকা! সিম্পল লজিক আমাকে বলে যে, বোরকা না পড়ে যদি অন্য কোনও উপায়ে hide/ conceal করা যায়, তাহলে সেটা ইসলামে অগ্রহণযোগ্য নয়! (ভুল হলে প্লিজ কেউ ধরিয়ে দিন!) দ্রোহীদার একটা প্রশ্ন ছিলো এমন, “ইসলামে কেন নারীদেহ ঢেকে ঢুকে রাখার উপরে এত জোর দিতে বলা হয়েছে? আদৌ কি জোর দিতে বলা হয়েছে?” প্রশ্নের প্রথম পার্ট কমন পড়ার মত পড়ালিখা আমার নাই তাই লেজটি অর্থাৎ দ্বিতীয় পার্ট অ্যান্সার করার ধৃষ্টতা করে পার্শিয়াল মার্কিং পাওয়ার ট্রাই করিঃ “And Say to the believing women to lower their gaze (from looking at forbidden things), and protect their private parts (from illegal sexual acts) and not to show off their adornment except only that which is apparent, and to draw their veils all over Juyubihinna" (Surah An-Nur, Verses #30 and #31)। “Except only that which is apparent” এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আছে তো বটেই। এখন আপনি ইসলাম ফলো করেন কি করেননা সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিংবা আপনার অভিধানে “অ্যাপারেণ্ট” অর্থের “ব্যাপকতা” ঠিক কতটুকু সেটাও আপনারই অভিরুচির ব্যাপার ! “আপনে জামাতি না হিজবুতি তা পরে বলতেছি তার আগে বলেন বোরকা/হিজাব পরলে আর না পরলে সোয়াবের পার্থক্য কী হয়?” দেখুন দ্রোহীদা, সোয়াবের পার্থক্যের কথা যেহেতু জিজ্ঞেস করলেন, তাই আয়াতটা দিলাম আর কি :P। ইসলামে বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে ডাইরেক্ট আয়াত ডিজওবে করলে পরিণাম কি তা একজন মুসলমানের জানার কথা ! আইদার সেটা আপনি অলরেডী জানেন, অর সেটা জানার আপনার এখন আর দরকার নাই বলেই আপনি মনে করেন!
ও হ্যাঁ, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা করি। সেকারণেই স্যারের ওই লাইনটা পড়ে কেমন যেন কষ্ট পেয়েছিলাম। উনি বলেছেন দেখেই কষ্টটা পেয়েছি বলা যায়। যদি একটি মেয়ে একটি হেডস্কার্ফের জন্য আজকে “উজ্জল রঙের ফতুয়া পরা হাশিখুশি কিছু তরুণীর” সাথে এক কাতারে হাঁটার সৌভাগ্য হারায় তাহলে কষ্ট সে পেতেই পারে!
ঠিক এই পর্যায়ে যেসব পাঠক এই অধম মন্তব্যকারীকে “ছাগী” উপাধিতে ভূষিতকরণপূর্বক সম্মাননা প্রদানার্থে কাঁটাবনে গাঁদা ফুলের মালা অর্ডার দেওয়ার জন্য রিক্সা ঠিক করার চিন্তাভাবনা করা শুরু করেছেন, তাঁরা বিশ্বাস করবেন কি না জানিনা, সচলের যে কয়েকটি ট্রেইট প্রথম দেখায়ই আমাকে এর প্রেমে ফেলে দিয়েছিলো, তার মধ্যে একটি হ’ল ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধবাদিতা! ধর্ম “ব্যবসায়ীদের” বিরুদ্ধাচরণ করুন এবং প্লিজ আমাকেও সাথে নিন! কিন্তু সত্যি করে বলুন তো হিমুদা, আপনার লড়াই কি আসলেই শুধু ছাগুদের বিরুদ্ধে??? শুধুই ধর্ম “ব্যবসায়ীদের” বিরুদ্ধে না এন্টায়ার ধর্মেরই বিরুদ্ধে??? আপনারা কি মনে করেন কিছু অশ্লীল শব্দ প্রণয়ন এবং তার মুহূর্মুহু ব্যবহারই ইজ দ্যা কি টু সাক্সেস???? আপনাদের (হ্যাঁ, বহুবচনই) আর ওই অর্ধশিক্ষিত এক্সট্রিমিস্টের ভাষার শ্লীলতার পার্থক্যটুকু কোথায় হিমুদা? প্লিজ দয়া করে বলবেন না “.................., তুই সহ্য করতে পারস না তো তোরে কে কইছে পড়তে... টুট টুট টুট ?” কারণ আপনি ছাগুবিরোধী আন্দোলনে ডাক দিয়েই আমাকে এখানে এনেছেন!!!! নাকি এ আন্দোলন সবার জন্য নয়??? Linguistically Adult Only (or should I say linguistically SICK only)???? অসুস্থ গালি না দিলেই আমি জামাতি, ছাগী, - ইজ ইট দ্যাট? সেটাও তো হওয়ার কথা নয়, কারণ ছাগুরা জঘন্যতর ভাষা ব্যবহার করে। কথায় কথায় “তুই মুরতাদ, তুই কাফির” বলা বিরল একদমই না (যেখানে, if a person says assalamu alaikum to us to indicate that he is a Muslim, we cannot say to him "you are not a believer.'' (part of Surah An-Nisa; Ayat:94))। মানে দাঁড়ালো এই যে, মতে না মিললে ছাগু-অছাগু সবাই ভাই ভাই...রাইট?
আপনাদের যুদ্ধ যদি শুধুই ধর্ম “ব্যবসায়ীদের” বিরুদ্ধে না এন্টায়ার ধর্মেরই বিরুদ্ধেই হয়, তাইলেতো আমার কিছু বলার নেই! সেটা আপনাদের অধিকার!!! আর তাই, “বাবা-মার বা সমাজের বা ধর্মান্ধ পুরুষদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফাঁদে না পড়লে কোন মেয়ে কোন দুঃখে সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় হিজাব করতে যাবে” এবিষয়ে এখানে বোকা তর্ক করে কিছু অশ্লীলতম গালি খাওয়ার সাহস করতে পারছি না !
শেষ প্রশ্ন! আই প্রমিস! তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম (আসলে আমি জানি; খালি গালি খাওয়ার ভয়ে “ধরে নিলাম” লিখছি, হেঁহেঁ), আপনারা কোন ধর্মেই বিশ্বাস করেন না। ভাল কথা। মানুষের অনুভূতিতে বিশ্বাস করেন কি? বিশ্বাস করেন কি যে, এ পৃথিবীতে এখনও কিছু মানুষ আছে যারা বিশেষ কোন স্বার্থ ছাড়াই এখনও ধর্ম পালন করেন? নাকি তাঁরা আপনাদের দৃষ্টিতে ...উমম, টোট্যালি ইগনোরেবল?? যদি তাই হয়; সচলের মতো একটি আয়তনে অন্ততঃপক্ষে “আল্লাহফ্যাক” জাতীয় শব্দ না আসতে দেওয়ার অরণ্যর রোদনটুকু আর নাই বা করি!
ধার্মিকমাত্রই ছাগু নয়, কিন্তু ছাগু মাত্রই ধর্মনিয়া টানাটানি লাগায় দেয়। এই কারণে ধর্ম নিয়া টানাটানি হৈতে দেখলে ধর্মীয় অনুভূতি দন্ডায়মান হওয়ার আগেই, ছাগু সেন্সর ছাগু এলার্ট দেয়। এটা অনেকটা কৃষ্ণ্কায় মানেই ড্রাগ ডিলার, মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী জাতীয় ধারণার মতন হয়ে গেছে।
এইবার আসল কথা, জাফর ইকবাল স্যার বলছে, হিজাব পড়া মেয়ের ছবি দেখেন নাই ভাষা আন্দোলনের ছবিগুলাতে। আপনে পারলে এরকম একটা ছবি আমাদের দেখান। হিজাবের পাশাপাশি তো মেয়েদেরকে অন্তঃপুরচারিণী হৈতে বলা হয়েছে, তাহলে তাদের মিটিং মিছিলের তো উপায় দেখিনা। তাইলে কথাটা বলায় ভুল হৈলোটা কোথায়?
সাফি ভাই, ছোটকালে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যেইভাবে যুক্তিখণ্ডনের চেষ্টা করতাম সেকাজটাই করতে ডাক দিলেন! ফাইন, ভাষা আন্দোলনে একটিও হিজাব পড়া মেয়ে ছিলনা বলেই ধরে এই মুহূর্তে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে যেটা আপনার অনুভূতি; আমি যদি অন্তত একটি হিজাব পড়া বা পর্দা করা নারী মুক্তিযোদ্ধার ছবি আপনাকে দেখাতে পারি- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সিমিলার কাইন্ড অফ অনুভূতিটির তাহলে কি কোন পরিবর্তন হবে আপনার?????
প্রথম প্যারা সম্পর্কে আর মন্তব্য করতে চাচ্ছি না; শুধু একটি কথা বলিঃ মাথাব্যথা চোখের পাওয়ার বাড়লেও হয়, ব্রেইন টিউমার হলেও হতে পারে! যদি কেউ নিজেকে ডাক্তার বলে (এমনকি চিকিৎসাশাস্ত্রে আগ্রহী বলেও) দাবি করে, তাহলে আমার তো মনে হয় প্রথম প্রচেষ্টাটা হওয়া উচিৎ আসল রোগটা কী, সেটি খুঁজে দেখা!
পিছলাইলেন? এম্নেতো যুক্তি খন্ডন হয়না! আমি তো বলিনাই, ভাষা আন্দোলনে হিজাব পড়া মেয়ে ছিল কি ছিলনা, আপনে যদি দেখাতে পারেন তাহলে বুঝব যে একজন হলেও ছিল। একাত্তরের সাথেতো তুলনা হয়না, একাত্তরে বোরখা ছিল একটা ক্যামোফ্লেজও। দেখা যাবে মুক্তিযোদ্ধাও হয়ত কখনও বোরখার আশ্রয় নিয়েছিল স্ট্র্যাটেজিকালি। যাই হোক, তারপরেও আমি হিজাবি মুক্তিযোদ্ধার ছবি দেখতে আগ্রহী। সংগ্রহে থাকলে দেখান।
রোগ খোঁজার যেই ব্যপারটা বলেছেন আমি তার সাথে একমত। এই কারণে নারীকে বস্তায় না ভরে, পুরুষের মাঝে ধর্ষকামী মনোভাব কমানোই সঠিক প্রচেষ্টা হওয়া উচিত।
আরেকটা প্রশ্নের উত্তর পেলামনা, রাস্তা ঘাটে মিটিং মিছিল করাটা কি মেয়েদের জন্য শরিয়ত সম্মত?
মুক্তিযুদ্ধের মূল রণহুঙ্কার ছিল যত দূর জানতাম "জয় বাংলা"। অবশ্য “আল্লাহু আকবার” কখনো ব্যবহার হয়নি এমনটা বলতে চাচ্ছি না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দুঃখিত ভাই, অত চিন্তা করে “আল্লাহু আকবর” কথাটি আমি লিখিনি! আর তাই এটা রণহুঙ্কার ছিলো এরকম দাবি অবশ্যই করবোনা! হয়তো হিমুদা’র কথাই ঠিক, এটা পাকিস্তানীদেরই রণহুঙ্কার ছিলো। আমি শুধু স্রষ্টার নাম স্মরণ করে যেসব মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ত তাদের একজনের কথাই বলতে চেয়েছিলাম! আবারো স্বীকার করে নিচ্ছি সবাই না, “যেসব মুক্তিযোদ্ধা” (যদি ১০ জনও হয়) , তাঁদের একজন!!!!
আল্লাহু আকবর বলে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করতে নেমেছিলো, এই জিনিসটা একটা রিসেন্টলি ছড়ানো মিথ। আল্লাহু আকবর ছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রণহুঙ্কার। মুক্তিযোদ্ধারা ধর্মনির্বিশেষে যে স্লোগান দিতো, সেটা ছিলো জয় বাংলা। আপনার মুখে এই আঁশটে কথা শুনে প্রথমেই আপনাকে ছাগু বলে সন্দেহ হয়, যার গায়ে ছাগুবিরোধীদের চামড়া। কিছু মনে করবেন না।
এইবার আপনি যে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে নিজেকে একজন ননছাগু দাবি করে ছাগুদের দেয়া গালি নিজের ঘাড়ে টেনে নিয়ে একজন অসহায় ভিকটিম সাজতে চাইছেন, আপনাকে জিজ্ঞেস করছি, ছাগুদের গালি দেয়া হলে আপনি আক্রান্ত হচ্ছেন কেন? দুনিয়াতে কি আপনি একা নিষ্ঠাবতী মুসলমান? ছাগুরা কি "কেবল হিজাব" সাপোর্ট করার জন্যে গালি খায়, নাকি এই হিজাবের রাজনৈতিক ব্যবহারের জায়গায় প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়? দয়া করে ন্যাকা সাইজেন না, বইলেন না হিজাবের কোনো রাজনৈতিক ব্যবহার নাই, আপনার আগেও বাচ্চা মেয়ে সেজে বহুত ছাগী এই তর্ক করতে নেমে পোন্দানি খেয়েছে। পোন্দানি শব্দটা লিঙ্গুয়িস্টিক্যালি সিক। কিন্তু ছাগু/ছাগীদের জন্য এটাই বরাদ্দ।
আপনার এনটায়ার ধর্মটা যদি দুঃখজনকভাবে হিজাবকে ঘিরে ঘুরপাক খায়, তাহলে আপনি কি মুসলমান না মওদুদিবাদী, বোঝার উপায় থাকে না। হিজাবের প্রশ্নে আপনি যদি পাইকারি ছাগুর সুরেই কথা বলতে থাকেন, তাহলে সরি মিস, আপনিও আরেকটা ছাগুর মতোই ট্রিটেট হবেন। দুনিয়ায় নিষ্ঠাবান মুসলমান তো আপনি একা নন, সচলেও অনেকে আছেন, তারা কিন্তু ছাগুদের এই ফাঁকি ঠিকই ধরেন, এবং ঠিকই প্রতিরোধ করেন।
আপনি খুব চতুরতার সাথে একটা পয়েন্ট ইনজেক্ট করছেন, যে কারণে আপনাকে ছাগু বলে আমার সন্দেহটা আরো দৃঢ় হচ্ছে, সেটা হচ্ছে, হিজাবের কারণে একটা মেয়ে ডিসক্রিমিনেটেড হচ্ছে। হিজাব পরার কারণে একটা মেয়েকে আর দশটা মেয়ে এড়িয়ে চলছে, বাংলাদেশে কি এটা ঘটে? আমি প্রচুর হিজাবী মেয়েকে চিনি কিন্তু। আপনি একজন হিজাবীকে সামাজিকভাবে আক্রান্ত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন, যেটা আদৌ সত্য না। বরং হিজাব না পরার কারণে আমার একষট্টি বছর বয়সী মাকে বাচ্চাদের স্কুলে গিয়ে তাঁর অর্ধেক বয়সী মহিলাদের কাছ থেকে কটু কথা শুনতে হয়েছে। আপনার লাইনে আগে পালে পালে ছাগী এই তর্ক করতো সামুতে। আপনিও আজ করলেন।
ছাগুরা পোন্দানি খেয়ে সবার আগে কী করে জানেন? এনটায়ার ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করে। লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করে, ভাই, এই যে দ্যাখেন, এরা কিন্তু গোটা ধর্মের বিরুদ্ধে লেগেছে। এটা অনেক পুরানো টেকনিক, একাত্তর সালেও একই কথা বলতো আলবদরের লোকজন। আপনার সুরেই।
আল্লাহ কুরআনে কাফের ধরে মারার কথাও বলেছেন। বেশ কয়েকবারই বলেছেন। আপনি আজকে কাফের ধরে মারা শুরু করলে, কেউ না কেউ প্রতিবাদ করবে। আপনি যদি কুরআন দেখিয়ে বলেন, যে কাফেরনিধনের প্রতিবাদ এনটায়ার ধর্মের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ, তাহলে কি সুবিধা করতে পারবেন? আমি জানি, আপনি কনটেক্সটের কথা বলবেন, শানে নযূল আর তাফসীর টেনে আনবেন, কিন্তু উপরে যে আয়াত দিলেন, সেখানে কনটেক্সটের কোনো বালাই নাই। ছাগুরা এই কাজটা বেশি করে, বাটে পড়লেই বলে কনটেক্সট কই, আর নিজের সুবিধামত কনটেক্সট ছাড়া কোরআন হাদিস ঠাঠা বলতে থাকে।
মানুষের অনুভূতিতে আমি বিশ্বাস করি, ছাগুদের অনুভূতিতে করি না। কারণ যখন ফেসবুকে কুৎসিত সব নোট লেখা হয় হিজাব না পরা মেয়েদের রাস্তায় ধরে চটকনা মারার আহ্বান জানিয়ে, কিংবা কোনো এক জাফর ইকবালের কন্যার ছবি নিয়ে ল্যাম্পুনিং করা হয়, সেইখানে মানুষের অনুভূতি নিয়ে ছাগুদের কোনো বিকার আমি দেখি না। আমি নিশ্চিত, এইসব নিয়ে আপনারও কোনো প্রতিবাদের নমুনা আপনি দেখাতে পারবেন না। উল্টে দেখা যাবে এইসব নোটের লাইক করনেওয়ালিদের লিস্টে আপনার নামটা জ্বলজ্বল করছে।
পৃথিবীতে যে মানুষরা স্বার্থ ছাড়াই ধর্ম পালন করেন, বিলিভ মি, ছাগুদের আক্রান্ত হতে দেখলে তারা এসে কান্নাকাটি করেন না। আপনি, মিস, তাদের একজন নন।
সচলায়তনে "আল্লাহফ্যাক" শব্দটা আপনি ছাড়া আর কাউকে ব্যবহার করতে দেখিনি। আপনিই প্রথম।
ছাগু হওয়ার সবচেয়ে করুণ দিক কোনটা জানেন? লেজ লুকানো যায় না।
হিমু ভাই!
ঢাকা শহরে ছাত্র/ছাত্রী, চাকুরীজীবী যেকোন নারী-পুরুষ, যারা রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করে, তাদের বেশিরভাগই কিন্তু জানে, হাফ ভ্রাম্যমান/সেমি ভ্রাম্যমান পতিতারা বা তাদের দালাল মধ্য বয়স্ক মহিলারা ৯০%ই বোরখা (সম্পূর্ন শরীয়ত সম্মত উপায়ে) পরিধান করে চলাফেরা করে। এইটা আমি অনেকের কাছেই শুনসি, ব্লগেও পড়সি। এমনো হইসে, শুধু মাত্র বোরখা পড়ার কারনে আমার এক ডেন্টিস্ট ফ্রেন্ডকে রাস্তায় এক লোক জিজ্ঞাসা করসিলো, "ঐ যাবি নাকি? রেইট কতো?"
এখনই তো আমাকে গালাগালি শুরু করবেন, বোরখা নিয়ে বাজে কথা বললাম কেন। কিন্তু ঘটনা তো সত্যি! অস্বীকারও করি কেমনে?
এরপর আসে concealing এর কথা। আমার মা তাদের এলাকার নামকরা মুসল্লী পরিবার থেকে আসছেন। কিন্তু তাকে আমি কখনো বোরখা পড়তে দেখি নাই। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, শালীন কাপড় পড়ে, একটা মানুষের পক্ষে যতোটা সাধা সিধা জীবন যাপন করা যায় ততটাই করে। আমার মায়ের মুখে আমি প্রথম কথাটা শুনি যে, "আসল পর্দা মনে, মুখোশে না!"
এই মানুষটার প্রতি তো অটোমেটিক্যালী ভক্তি এসে যায়, যখন আমি দেখি আশে পাশের অনেক বোরখাওয়ালীর কীর্তি আর খুব কাছ থেকে দেখা আমার মা'কে।
তাই বলে বোরখা/হিজাব ওয়ালীদের জেনারেলাইজ করতেসি না কিন্তু। জেনারেলাইজটা তারাই করতেসে যাদের দৃষ্টিভঙ্গিগত সমস্যা আছে। কিছুদিন আগে ফেইসবুকে একটা ছবি খুব হিট খাইসিলো। দুইটা ললিপপের ছবি, একটাতে খোসা আছে, আরেকটা তে নাই। খোসা ছাড়াটাতে মাছি বসে আছে। অত্যন্ত সিম্বলিক ছবি হিজাবের উপর।
তাইলে কি দাঁড়াইলো? 'মেয়ে মানুষ' মূলত ললিপপ?
আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, নিজেকে আবদ্ধ করার মাধ্যমে এইটাই জানান দেয়া হয়, 'আমি ইনসিকিওরড, আমি যখন তখন লুটপাট হয়ে যাওয়ার মতো একটা ভোগ্য বস্তু!'
বুরকা বা হিসাবের উপকারিতা বর্ননায় নারীদের খাদ্যবস্তু হিসাবে উপস্থাপন ব্যাপক জনপ্রিয় পদ্ধতি। এইটা নতুন না, যারা এইগুলান করে তারা নারীদের ভোগ্যপন্য হিসাবেই দেখে। সেইটা জাকির নায়েকের লেভেলের ব্যাবসায়ী থেইক্যা পাড়ার চায়ের দোকানে বইসা মাছি মারা ব্যাবসায়ী পর্যন্ত সমান ভাবে ব্যাবহার করে।
ধর্মরে কি সুন্দর কইরা ঢাল বানাইলেন, তার আগে জাফর ইকবাল স্যারের একনিষ্ঠ পাঠক হিসাবে নিজেরে প্রমান দিলেন। কিন্তু একটা জায়গায় আইস্যা ল্যাঞ্জা বাইরাইয়া গেলো গিয়া। হিমু যথার্থই বলেছেন, "ছাগু হওয়ার সবচেয়ে করুণ দিক কোনটা জানেন? লেজ লুকানো যায় না।"
হিমুদা কে না টেনে এনে আপনি নিজেই বলুন না বাউল ভাই, ল্যাঞ্জাটা ঠিক কোনখানটায় আপনি প্রথম দেখতে পেলেন?
হিমুদা, আপনার দীর্ঘ প্রতি-মন্তব্য পেয়ে আমি লিট্রেলি থ্রিল্ড!!
হুঁম, আমার সম্পর্কে আপনি যা মনে করবেন বলে গেস করেছিলাম, তাই করেছেন- তবে শ্লীলতা আর ভাষাগত দক্ষতা প্রদর্শন করে করেছেন, যেটা অপ্রত্যাশিত ছিলো; তাই ধন্যবাদ!
একঃ ছাগুদের গালি দিলে আমার গায়ে লাগে যেহেতু আমি ছাগুবিরোধী চামড়া গায়ে দিয়ে আদতে এক রাম-ছাগু- লাইক ইউ সেইড। কারণ “আল্লাহ আকবর” আঁশটে কথা (অসামস্য অসাম )।-- দুইঃ আমার এনটায়ার ধর্মটা খালি হিজাবকে ঘিরেই ঘুরপাক খায়। কারণ, এটা এবিষয়েরই পোস্ট বলে আলোচনা হিজাব-কেন্দ্রিক ছিলো অ্যান্ড আমি হিজাবের প্রশ্নে পাইকারী ছাগুর মতো কথা বলেছি (যাঁরা বলে মেয়েদের লোহার সিন্দুকে আটকে রাখ, আদমচরিতের কাহিনীটার মতোনই ) ... মোটেও একটিবারের জন্যও বলিনি একটি শিক্ষিত মেয়ে সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় হিজাব পড়তে পারে!-- তিনঃ অতি চাতুর্যের সাথে আমি এটি পয়েন্ট আউট করেছি যে, হিজাবের কারণে একটি মেয়ে ডিস্ক্রিমিনিটেড হচ্ছে! চারঃ কন্টেক্সটবিহীন আয়াত, পাঁচ এবং অত্যন্ত ফানিঃ আমি একাত্তরের আলবদরের সুরে কথা বলেছি
সবগুলা পয়েন্ট নিয়ে রগ ফুলিয়ে আপনার সাথে তর্ক করার চেয়ে ঈদের নাটক দেখা এ মুহূর্তে প্রোডাক্টিভতর মনে হওয়ায় সংক্ষেপে বলার ট্রাই করি। আমার জানামতে আমার মন্তব্যে হিজাব পড়ার জন্য ডিস্ক্রিমিনেশন-এর কথা প্রকাশ পায়নি। অন্ততঃ আমি বলার চেষ্টা করিনি। ফেসবুকে আমার পিপল হু ইন্সপায়ার্স মি- এর একজন হলেন স্যার। তার লড়াইটা জানতাম ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে... সমস্ত ধর্ম পালনকারীদের বিরুদ্ধে না! ধর্মব্যবসায়ী না হয়েও হেডস্কার্ফের প্রতি পক্ষপাতিত্বের কারণে উচ্ছল ফতুয়া পড়া মেয়েদের সম-মর্যাদা উনার কাছে যদি আমি না পাই, আর সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করার সাহস দেখালে যদি ছাগীরূপে প্রতিপন্ন হই, তাহলে তো এই পুরো সময়টাই বৃথা নষ্ট হ’ল!!
হিমুদা, কন্টেক্সট শব্দের অর্থ কি?? আজকে মনে হচ্ছে এদ্দিনেও বুঝিনি কঠিন ইঞ্জিরির মানেটা! একটা আয়াত দ্রোহীদা জানতে চেয়েছিলেন বলে দিয়েছিলাম, আরেকটা দিয়েছিলাম কথায় কথায় যেসব ধর্মব্যবসায়ী মানুষকে কাফির/ মুরতাদ বলে তাদের সাথে আপনাদের তুলনা করতে গিয়ে! সত্যি করে বলুন তো, “কন্টেক্সটের বালাই” হিসেবে কি আপনি শানে-নযূল/ তাফসির চান?? ও এম জিইইই, ঠাঠা কুর’আন/ হাদীস কোট করায় আমার মধ্যে ছাগু-আয়নের উপস্থিতি প্রমাণিত, এটাই আসলে সত্যি কথাটা, তাই না?
“আমি নিশ্চিত, এইসব নিয়ে আপনারও কোনো প্রতিবাদের নমুনা আপনি দেখাতে পারবেন না। উল্টে দেখা যাবে এইসব নোটের লাইক করনেওয়ালিদের লিস্টে আপনার নামটা জ্বলজ্বল করছে।" – এটাই মনে হয় সাইন্স, না?? প্রথমে অ্যাসাম্পশন, আউট অফ ব্লু অ্যাসাম্পশন, তারপরে প্রসেস অফ এলিমিনেশন করে কেটেছিঁড়ে বের করবেন ঘটনা কি?? (জাস্ট কিউরিয়াস, এটা কি একটি ছাগু চরিত্রও না?? কোন কিছুর মতদ্বৈততা তো তুই কাফির! What is the difference btn that illiterate and you AGAIN??) মানুষের অনুভূতিতে বিশ্বাস করেন বলে যে দাবি করলেন হিমুদা, এই রুল অফ সাইন্স কি মানুষের জন্যও যা, গিনিপিগের জন্যও একই???? “পৃথিবীতে যে মানুষরা স্বার্থ ছাড়াই ধর্ম পালন করেন, বিলিভ মি, ছাগুদের আক্রান্ত হতে দেখলে তারা এসে কান্নাকাটি করেন না। আপনি, মিস, তাদের একজন নন।" ... কুডন্ট বিলিভ ইউ মিস্টার, আই ডেয়ার সে- কেননা আমি কী, আমার চেয়ে আপনি ভাল জানার কথা না!! দেখেশুনে তো মনে হয় সচলের একজন গুরুত্বপূর্ণ পার্ট আপনি, রাইট? জানেন তো অবশ্যি যে গ্রেইট পাওয়ারের সাথে গ্রেইট রেস্পন্সিবিলিটিও আসে?? আমার তো মনে হয় ঢালাওভাবে কাউকে এধরণের কিছু বলা কারওই, অন্তত আপনার এবং স্পেশালি আপনার, উচিৎ না??
আর তাই, ছাগুদের জন্য যে আমার কান্নাটা ছিলো না, ইচ্ছেটা ছিলো সব কৃষ্ণাঙ্গকে ড্রাগ ডিলার বলার মতই ইসলাম মানেই ছাগুগিরি সেটা যে অন্যায় তা তুলে ধরা, এটা আবার নতুন করে বললাম, আপনার কাছে নিজেকে অছাগু প্রমাণের জন্য না!!
দুঃখটা কী জানেন??? অনেকে সত্যিই লেজ লুকোতে পারে না। কিন্তু কেউ কেউ আবার তাকিয়েই থাকে...(একটি পর্যায়ে অশ্লীলভাবে) তাকিয়েএএএই থাকে লেজটুকু দেখার আশায়! কন্সিকোয়েন্টলি আশেপাশে সবখানেই লেজ দেখতে আরম্ভ করে তাঁরা... “ইস...” বললেও লেজ, “পাকি...” বললেও লেজ...লেজে লেজে ধূল পরিমাণ!! এই ধরণেরই কোন একটা রোগের কথা মনোবিজ্ঞানে আছে শুনেছিলাম
শুভ কামনা।
পুনশ্চঃ গতবার “মিষ্টি মিষ্টি” কথা বলে মন্তব্য করেছিলাম তাই না? এবারে তাই চিনি কমানোর চেষ্টা ছিল! শব্দশেল কি তাহলে এল প্রায়??
আল্লাহু আকবর আঁশটে কথা না হলেও, মুক্তিযোদ্ধা আল্লাহ আকবর বলে পাকি মারছে, এটা আঁশটে কথা। আপনার টুইস্টে বুঝলাম, আপনি এইবার স্বরূপে আবির্ভূত। স্বাগতম।
এইটা খুব পুরনো টেকনিক কিন্তু। যাকে টুইস্ট করবেন, প্রথমে তার বিশাআআ্ল ফ্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিপন্ন করা। আপনার বুকশেলফে তার কাঁড়ি কাঁড়ি বই, আপনার বুকপকেটে তার ছবি, আপনার টয়লেটে তার পোস্টার, আপনার ফেসবুকে সে ইনস্পায়ারার, এসব বলে টলে টুইস্টের কাজ শুরু করবেন। আপনার ধর্ম হেডস্কার্ফ, জাফর ইকবাল সেই ধর্ম পানিতে ফেলে দিয়েছেন। অহো, মরি মরি।
মনে করুন, আপনি কাফের মারেন। কোরআনে কাফের মারার কথা বলা আছে। কাফের মারার কারণে আপনি কাফের নিধনে অনিচ্ছুক আরেক মুসলিমের তুলনায় লোকজনের কাছে কম আদৃত হচ্ছেন। এখন যদি আপনি বলেন, আমি কাফের মারি দেখে আমারে মর্যাদা দেয় না! খ্যালতাম না! আমার এনটায়ার ধর্মরে ডিফেম করছে। অ্যা অ্যা অ্যা। যেরকম শোনায় কথাটা, আপনার এই প্যান প্যানও সেরকম শোনাচ্ছে।
আমার সাথে ইল্লিটারেটদের পার্থ্ক্য হচ্ছে, আমি ছাগুদের লেজ দেখে ছাগু চিনে ফেলি। আজ পর্যন্ত ভুল করিনি। আপনি যদি দাবি করেন, আপনিই সেই প্রথম ভুল, ঠাঠা করে হাসবো। ঢালাওভাবে নয়, দায়িত্ব নিয়ে খুব স্পেসিফিক্যালিই বলছি, আপনি একটা সলিড ছাগু। আপনার সর্টকে গত ছয় বছর ধরে আমি এবং বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারে আমার মতো যারা কিছু বদ লোক আছে, পুন্দিয়ে চলছে। আপনি নিজেও জানেন না, প্যাটার্ন ম্যাচটা কী পারফেক্ট হচ্ছে! আপনি আরো কিছু সময় দিন সচলে, নস্টালজিক হই আরেকটু।
কই, সব মুসলমানকে তো জাফর ইকবাল কিছু বলেননি? সব মুসলমানকে তো আমি কিছু বলছি না? সব মুসলমান তো হিজাব নিয়ে আপনার মতো গড়িয়ে কাঁদে না? ও এম জিইইইই, সব মুসলমান তো ছাগু নয় যে তারা হিজাব নিয়ে ছাগুদের মতো তড়পাবে! তাহলে কেন আপনি এসে ছাগাশ্রুবর্ষণ করছেন? কারণ একটাই, জাফর ইকবালকে কোণঠাসা করতে হবে। কেন? কারণ লোকটা জামাতশিবিরের বিরুদ্ধে দেশের তরুণদের মনে সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধের চেতনাটুকু তৈরি করতে পারেন। ঐটা নিয়েই ছাগুদের পাছা জ্বলে ছারখার।
মন খারাপ কইরেন না। জাফর ইকবালের হিজাব নিয়ে পর্যবেক্ষণ পছন্দ না হলে, সাঈদীর ওয়াজ শোনেন। ওখানে মেয়েদের বস্তায় ভরার কথা আছে। শুনে আপনার ভালো লাগবে। ফেসবুকেও ইনস্পায়ারার হিসেবে সময় থাকতে জাফর ইকবাল নামের খারাপ লোকটার ছবি নামিয়ে সাঈদীর ছবি তুলে দ্যান। আত্মপ্রবঞ্চনা করে আর কী লাভ?
ছাগুদের লেজের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় না ভাইডি। তারা তাদের ছোট্ট লেজটা প্রথমেই এসে তহবন নামিয়ে দেখিয়ে ফেলে, একটু পর সাপটাতে থাকে। যারা আপনার দিকে তাকিয়েয়েয়েই থাকে ভেবে খুশি হচ্ছেন, তারা আসলে ঐ লেজটার দিকে তাকিয়ে থাকে। ননছাগু হলে বুঝতেন, এই লেজ কী বিস্ময়কর।
পুনশ্চঃ আপনাকে শব্দশেল হেনে পোন্দাবো না। আপনাকে ভালো লেগেছে। আমি চাই আপনি একটু পর পর এসে আপনার লেজটা নাড়বেন। আমোদ পাচ্ছি বড়। আপনিই আমার ঈদের নাটক।
ছাগলের লেজ ভালো মত ঝাল-মশ্লা দিয়ে রান্না করলে খাইতে সেইরাম টেস্ট। ছাগলও খাইতে টেস্ট। কিন্তু ছদ্মবেশী ছাগলগুলা অখাদ্য, যতই মশলা টশলা মাখানো হোক পাঁঠা পাঁঠা গন্ধটা কিছুতেই যায় না। যাই হোক ছুরি কাঁটা নিয়া লাইনেই আছি। তবে এইগুলা পুষার পাশাপাশি অসমাপ্ত লেখাগুলা একটু টাইম চাইতাছে কিন্তু।
ভীষণ মজা পেলাম। সত্যিই ভীষণণণ মজা পেলাম। মাই টিভি-তে কতগুলি বাংলা সিনেমা দেখায়; ঠিক সেরকম কাহিনী- “একটি স্বঘোষিতা বাচ্চা মেয়ে-ছাগু-বধের করুণ আর্তনাদ”; চিত্রনায়ক দুইটি মন্তব্য পড়েই কোনরকম ব্যাকগ্রাউন্ড না জেনেই ১০০% সাফল্যের সাথে ছাগুর লেজ দেখে ছাগু চিনে ফেলেন! সলিড ছাগু, কোন ভেজাল নাই; নায়ক মহাশয় ঢালাওভাবে নয়, দায়িত্ব নিয়ে খুব স্পেসিফিক্যালিই দাবি করে থাকেন!!! তাই, ভাইসব, দলে দলে আসুন- উপভোগ করি! (সামান্য অ্যাড দিলাম, প্রচারেই প্রসার কিনা )
পুরনো টেকনিকটা ভাল্লাগসে বাই দ্যা ওয়ে! যাঁকে টুইস্ট করবো তার বিশাআআআল ফ্যান হিসেবে আগে সিঁধ কেটে পরে তাঁর ঘরবাড়ি সাফা কিরকিরা করে দেব- এক কথায় মাস্টার প্ল্যান! ছাগুদের ট্রেইট, তাই না? এইটা যদি সত্যিসত্যি ফ্রুটফুল হয়, তবে, অয়ি হিমে! এক্ষণ হতে আমি তব এসি! হ, ফ্যান না আমি তব বাসগৃহের পশ্চিম কোণের স্যামসাং এয়ারকুলার!! আপনারও একটা ট্রেইট চোখে পড়লো, সেটা হল টুইস্ট-সনাক্তকরণ ট্রেইট! এইরকম প্রতিভা সচরাচর দেখা যায় না! আপনাকে দেখে গেয়ে উঠতে ইচ্ছা হয়, “বুকের মাঝে বসত করা গোপন কথার মানে, যে জানার সে জানে রে বন্ধু, যে জানার সে জানে!!!”
সব মুসলমানকে আপনি কিছু বলছেন না?? As in, এই মন্তব্যে বলছেন না নাকি জীবনে কোনওদিনই বলেননাই?? ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না!! “সব মুসলমান তো হিজাব নিয়ে আমার মতো গড়িয়ে কাঁদে না”- এই কথাটা সত্যি। কিন্তু কেউই যখন তাদের ধর্ম নিয়ে “ধর্মকারী” করা হয় তখন অন্ততঃ দীর্ঘশ্বাসও ফেলেনা বলতে চান কি? তাঁদের অধিকাংশেরই আমার মত মাথায় সমস্যা নাই যে আমারই মতো আপনার সাথে ফালতু তর্ক করতে আসবে! যেমন এদ্দিন আমিও আসি নাই! আচ্ছা, যদি ভুল না করি- একজন অছাগুর ধর্মবিশ্বাসও তো একজন নাস্তিকের কাছে অসুস্থতা বা অস্বাভাবিকতা, যেমন বলা যায় তোতলামো স্বাভাবিক বাকশক্তিসম্পন্নের কাছে একটি অস্বাভাবিকতা, তাই না? তাহলে www.তোতলামোকারীও কি ধর্মকারীর মতই হিট হবে???
“বাচ্চা মেয়ে ফ্রন্ট” সেইরকম হইসে ব্রাদার! ওইখানে নানা বুজুর্গ উত্তম-জাঝা-কস্কী মমিনিশ মতামত আসবে, তাই নাদানের সাধুবাদ এখানেই জানিয়ে গেলাম !
ও এম জিইইইইইই! দুই দিনের বাচ্চা মেয়ে হয়েও আপনার মত বহু বছরের অভিজ্ঞ ছাগু-...য়কের সাথে ভালই গ্যাঁজাইলাম, উজন্ট ইয়ু এগ্রি???? তেল শেষ হয়ে যাচ্ছে হিমুদা, আর পারছি না। আমার টীমের ফেলো-ছাগুরা সাপোর্টও দিচ্ছে না :( ... কী আর করা! আপনার ভবিষ্যত মন্তব্যগুলোর জবাব দেওয়ার আর ইচ্ছা (সত্যি কথা বলতে কি, অভিরুচি) নাই সো এই বেলা আমার সুন্দর লেজখানা গুটিয়ে পালাই! তবে আপনার দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর প্রতি-মন্তব্যগুলি আর বাচ্চা মেয়ে ফ্রন্ট এর পরবর্তী ভার্সন (যেমন কিশোরী ফ্রন্ট ২.0, তরুনী ফ্রন্ট beta, বৃদ্ধা ফ্রন্ট + ইটিসি) এর অপেক্ষায় থাকলাম! আফট্রল, আমি যে আপনার ঈদের নাটক! (batting eyelash এর ইমো হবে!)
পুনশ্চঃ সবশেষে একটি গাণিতিক ধাঁধাঃ বলুন দেখি উপরের মন্তব্যে সর্বমোট কয়টি টুইস্ট আছে? (প্রথম পুরস্কারঃ এক প্যাকেট মিস্টার টুইস্ট!!!)
আপনার একটাই টুইস্ট দেখতে পাচ্ছি, আপনি সচলায়তনকে ধর্মকারী বানানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সচলায়তন কি ধর্মকারী? ধর্মকারীকে কিছু বলতে চাইলে তাদের সাইটে যান, গিয়ে ইচ্ছামত ভ্যাদর ভ্যাদর করেন। এইখানে কী?
বাকি কথাগুলি ম্যাৎকার, বড়ই আমোদ লভিনু। পোন্দানি খাওয়ার পর সকল ছাগুর তেলই কিছুক্ষণের জন্য ফুরায় বৈকি। তেল ভরে আবার আসবেন। জাযাকুল্লাহ খায়রান!
জাফর ইকবাল উজ্জ্বল ফতুয়া নিয়ে যে একটা অসম্পূর্ণ ইমেজের কথা বলেছেন, সেটা কি চোখে পড়ে নাই? নাকি ফেসবুকের কিছু বিশেষ নোট জ্ঞানের মূল উৎস হয়া দাঁড়াইছে?
কাঠাল পাতা নড়ে চড়ে,
তোমার কথা মনে পড়ে।।
ভাই CONFUSED,
আমি তর্কে যাবো না। কয়েকটা প্রশ্ন করব সরাসরি,
১. হেড স্কার্ফ দিয়ে কি ঢাকেন? মাথা না মাথার চুল? নিজের মাথার চুলের দিকে অথবা কোন খ্যাতনামা মহিলার মাথার চুলের দিকে তাকিয়ে দেখেন তো? চুল কি আসলেই উত্তেজক কোনকিছু? সেটা এইভাবে মুড়িয়ে রাখতে হবে কেন? কোন যুক্তিতে? আপনার চুল যদি আসলেই জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতঘন কালো দীঘল হয়ে থাকে, তাহলেও চারপাশের মানুষেরা তার প্রশংসার চেয়ে বেশী কিছু করেনি, উত্তেজিত হয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেছে কি? চুল না ঢাকায় আপনি বেপর্দা হলেন কোন ফুটো দিয়ে?
দয়া করে সত্য উত্তর দিবেন।
হেডস্কার্ফ পড়ার আরেকটা কারণ আমার জানা আছে, প্রকাশ্যে না বললেও অনেকেই মনে মানে, স্কার্ফ পড়লে চুলে ধুলো, রোদ কিছুই পড়ে না, চুল সুন্দর রাখার ভালো আইডিয়া বটে।
আমি জোরে সোরেই বুরকার বিরুদ্ধে! ভাই, এইটুকু ব্যক্তিত্ব্য আমার আছে, আমার দিকে আমার জামাকাপড়ের স্টাইল নিয়ে আঙ্গুল তুলে আমার সামনে কেউ কথা বলবে না, আর বললে আমি উচু আঙ্গুল নামিয়ে দিতে জানি। ব্যাপারটা যদি এমন হয়, আপনি বুরকা পড়েন না বা বুরকা বা হিজাব সমর্থনও করেন না, তার মানে হল, ওয়েল, লুক এট মি, এন্ড সো অন... তাহলে আপনার জন্য করুণার চেয়ে বেশী কিছু হবে না। নিজেকেই যদি আপনি এমন ভাবেন, তাহলে আপনার জন্য বুরকা ফরজ মানে মহা ফরজ!
একটা কথা স্পষ্ট করে বলি, বুরকা না পড়া মানেই মিনি স্কার্ট পড়া নয়, বড় গলার হাতা বিহীন জামা পড়া নয়, শাড়ি পড়া, সালোয়ার কামিজ পড়া। ভদ্র এবং অভদ্র পোষাকের পার্থক্য জেনে না থাকলে কথা বলেন না আর।
আরো স্পষ্ট করে বলি, বুরকা বা হিজাব আসলে ভদ্র পোষাক না, সিম্বলিক অভদ্র পোষাক, যেটা বুঝায়, বুরকার তলেও আপনার শরীরটাই আছে, যেটা আপনার কাছে বিশষ গুরুত্বপূর্ণ, আর সেটা ঢাকতেই আপনার বস্তাস্বরূপ বুরকা পড়া।
আর আপনি নিশ্চয়ই ইরানী বুরকা বা টাইট বুরকা দেখেছেন, তাদের ব্যাপারে কিছু কইলেন না কেন? নাকি বুরকা নামটা গায়ে জড়ায়ে রাখছে দেখে সব ঠিক হয়ে গেলো?
মানলাম, ধর্মের জন্যও নয়, আপনি নেহায়েত পোষাক হিসেবে হেডস্কার্ফ পছন্দ করেন, ভাই, আমি লং স্কার্ট পছন্দ করি, আপনি হেডস্কার্ফ নিয়ে কথা কইলে আমি, লং স্কার্ট নিয়ে এমন মাতম তুলুম না কেন?
বুরকা পড়লে মুখ ঢেকে রাখলে, আপনি কে চেনা যায় না, আমার কলেজের এক বান্ধবীকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ চিনে না, আপাদমস্তক ঢাকা, সে সবসময় একই বুরকা পড়ে আসলে অন্যবা চিনত, এখন তাকে না চেনাটা কি আর সহপাঠীদের অন্যায়? জাফর স্যার তার ছাত্রীকে চিনেন নি, এটা কি অবাক হবার মত কিছু? নাকি এক্সপেট করেন, মানুষ আপনাদের বুরকার কাপড় স্ক্যান করে চিনে রাখবে, যাতে বুরকা বদল হলেও আপনাকে চিনতে ভুল না করে।
নিজের আইডেন্টিন্টি তো বিশাল একটা ব্যাপার। ঐ আইডেন্টিটি বা পরিচয় ঢেকে সমানে বুরকাওয়ালী বা স্কার্ফওয়ালী হয়ে যাচ্ছেন কেন? একটু মানুষ হন না।
আমার এক স্যার ছিলেন, বলতেন, হাতে পায়ে লম্বা হলেই ছেলে মেয়ে বড় হয়না। এখন জানি, হা, পা সমেত মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থাকলেই মানুষ হয় না।
আমার চেয়ে বেশী ইনফ্ল্যামেটরী কথা জাফর ইকবাল স্যার বলেন নি। তবুও আর রাগ মেটেনি বুঝতে পারি।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
Confused : আপনার যুক্তি আর বলার ঢংটা এত হাস্যকর যে সামনের সপ্তাহের পরীক্ষা ফেলে দেশের বাইরে বসে এত রাতে এসব কথার বিপরীতে একটা কথা বলাও অর্থহীন। শুধু আপনার আগের বারের মন্তব্য থেকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে চাই, দুনিয়া ভর্তি লোক যদি ধর্মের পক্ষে কথা বলতে পারে, কিছু মানুষ কেন ধর্মের বিপক্ষে কথা বলতে পারবেনা? যদি হুমায়ুন আজাদ বা অন্য কেউ 'এন্টায়ার ধর্মে'র বিরুদ্ধেই (ধর্ম ব্যবসায়ী নয় কেবল) কথা বলে তো সমস্যা কোথায়?
আরেকটা কথা দেখা গেলো, আপনি নাকি স্কুল বিতর্ক করেছেন। নামটা বললে চিনতে সুবিধা হত আপনি কেমন মানের বিতার্কিক ছিলেন। স্কুলে ধরে ধরে শেখানো হয় যে, বাংলা বিতর্কে ইংরেজি-বাংলা মিশিয়ে বলা যাবেনা। আপনার যত্রতত্র ইংরেজির মিলমিশ দেখে সন্দিহান হয়ে পড়লাম যে ভাই। ঃ(
আসলে সচলায়তনে শুরু থেকেই যেহেতু ছাগুরা পেরসোনা নন গ্রাতা, এখানে ছাগুপোন্দানোর ফিয়ার্স চেহারাটা সচলপাঠকেরা দেখেননি। তাঁরা হয়তো একটু আহত হতে পারেন। তাদের জন্যে ছাগুদের এই "বাচ্চা মেয়ে ফ্রন্ট" এর ব্যাপারটা খোলাসা করি।
১. একজন স্বঘোষিত বাচ্চা মেয়ে এসে ইসলাম নিয়ে কাঁদবেন মিনিট বিশেক। বলবেন, তিনি একজন অনুরক্ত মুসলিমাহ। ছাগুপোন্দায়কদের আচরণ আর ডিকশন তাকে ভীষণ আহত করেছে। ছিহ, এই কি মুক্তচিন্তা? একটা কুড়ি বছর বয়সী কচি মেয়েকে এই ভাষায় আক্রমণ? শিক্ষা তোদের এমনিতরো, ছি ছি ছি লজ্জা বড়!
২. এতে করে কিছু "আক্রান্তা বাচ্চা মুসলিমাহ"র সাপোর্টার তৈরি হয়ে যায় আশেপাশে। তারাও চোখ রাঙান, বটে? ইসলামের ওপর আঘাত হানা হচ্ছে, য়্যাঁ? কচি একটা মেয়ের ওপর গাজোয়ারি? ছাগুরা কী এমন খারাপ যে তাদের পোন্দাতে হবে?
৩. ১০০% আলোনিরোধক ওড়না বা স্কার্ফের খুঁট দিয়ে বাচ্চা মুসলিমাহ তাঁর হরিণীনয়নের কোণ মুছে কয়েকদিন বা কয়েক পোস্ট পর নিজের আরেকটি অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবেন, যেখানে কেবল এবং কেবলমাত্র হিজাবধারণের অপরাধে কতিপয় ধর্মবিরোধী তাঁকে যারপরনাই হ্যারাস করেছেন। তিনি বাড়ি ফিরে কোনোমতে ঈশার আযানের পর ফেসবুকে হিজাবের উপকারিতা নিয়ে একটা নোট লিখে শেষ করেই বালিশে মুখ গুঁজে ডুকরে কেঁদেছেন, আল্লাহর কাছে ফিসফিস করে বলেছেন, ও আল্লাহ, ওহ গ্রেসফুল আল্লাহ, গিভ মি স্ট্রেংথ! আমি যেন এই জালেম দুনিয়ার সকল আঘাত সয়ে তোমার ইবাদত একেএ হিজাবের মাহাত্ম্যপ্রচার করে যেতে পারি। কারণ হিজাবই উন্নতির প্রথম ও প্রধান চালিকাশক্তি। ইরানে হিজাবের কারণেই এত উন্নতি, তেল-গ্যাস-গালফেরনিয়ন্ত্রণ-চীনরাশিয়ারসাথেদোস্তি এই সবই ফালতু ফ্যাক্টরস (ইয়েমেন বা মৌরিতানিয়া কেন অনুন্নত সেটা কায়দা করে চেপে যেতে হবে)।
৪. হিজাব পড়ে না এমন কিছু পরিচিতা বেলেল্লার বেলেল্লাপনা দেখে আংশিক করুণা, আংশিক বিবমিষা আর আংশিক ক্রোধের মিশেলে জেগে ওঠা অনুভূতির বিশদ বর্ণনা দিয়ে আসবে এর পরের কিস্তি। ইয়াক্ষোদা, এরা পারেও! হাউ কাম দেয়ার প্যারেন্টস অ্যালাও সাচ আটার রেইপ অভ সেলফ-এস্টিম! এদের কি পর্দা সম্পর্কে কিছুই শেখানো হয়নি? এদের কি ইসলাম শেখানো হয়নি (এখানে ইসলাম = পর্দা, এই সমীকরণের ওপর জোর দিতে হবে)? শিখবে কীভাবে? পড়ে তো জাফর ইকবাল, যে কি না পেপারে আর্টিকেল লিখে হিজাবের বদলে স্কিনটাইট জামা পরতে বলে (এই কথা যখন বলা হবে, তখন অনেকেই ভুলে যাবে জাফর ইকবাল এগজ্যাক্টলি কী বলেছিলেন, এই টুইস্টেড ইন্টারপ্রিটেশনটা ক্রমাগত করে করে এটাকেই ফ্যাক্ট বানিয়ে ফেলা হবে)।
৫. জামাতশিবিরের সমালোচনা যখন হবে, তখন এক ফাঁকে ডুকরে উঠবেন বাচ্চা মুসলিমাহ, জামাতশিবির খারাপ? কেন খারাপ? ইসলামের কথা বলে তাই? পর্দা করে চলতে বলে তাই? নারীর সম্ভ্রম রক্ষা করতে বলে তাই? আর তোমরা ভালো? তোমাদের জাফর ইকবাল ভালো? যে পেপারে হিজাব ছেড়ে ন্যাংটা হতে বলে সে ভালো? হাউ কুজিউ?! শেইম অন ইউ গাইজ!
৬. এবং আগাগোড়া, কেউ পাল্টা তর্কে একটু শক্ত হলে, সাথে সাথে কুড়ি বছরের বাচ্চা মেয়ের নির্যাতিতা রোলে ফিরে যেতে হবে। দেখুন, দেখুন এই বুলিদের কাণ্ড, কচি একটা মেয়ের ওপর কীভাবে দল বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়ে! পোন্দানোর মতো অশ্লীল টার্ম ব্যবহার করে! ও এম জিইইইই, এরাই আবার মুক্তচিন্তার কথা বলে! লোল!
আপাতত স্মৃতি থেকে এটুকুই দিলাম। আশা করি কনফিউজড নামের ট্যাটনা ছাগুটি নিয়মিত সচলে কমেন্ট করে অন্যান্য ট্রেইটগুলোর কথাও মনে করিয়ে দেবে।
তারপরেও মন্তব্য করেছেন বলে ধন্যবাদ আপু! ধর্মের বিপক্ষে কথা বললে আমার কোন সমস্যা নাই (আমার ট্যাবে ক্লোজ অপশন আছে), কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেও বলবেন, কই না, আমি খালি ছাগুদের বিরুদ্ধে কথা বলি, তাহলে ক্যাম্নে কী??
আমার মধ্যে ছাগু-আয়ন সনাক্ত হওয়ার পরেও নাম বলতে বললেন?? আপনার এত সাহস থাকতে পারে, আমার নাই। আমি খুবই নিম্নশ্রেণীর তার্কিক ছিলাম। প্রতিপক্ষ সবসময়ই আমার কথার টুইস্ট খুঁজে বের করে জিতে যেত! (দীর্ঘশ্বাস)
ভাল থাকুন।
খালি স্কার্ফ পরলেই ধর্ম হবে? কাফের মারবেন না? কোরআনে আল্লাহ বলছেন কিন্তু।
কাফের মারতে মারতে যেন মুমিন মুসলমান মেরে না ফ্যালে, সেদিকে দৃষ্টি রাখার অনুরোধ রাখছি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আর হিমু, আাপনার অসাধারন মন্তব্য ভীষন ভালো লাগলো !
আমার ব্যক্তিগত মতামত, কেউ যদি বুরখা পরে পর্দা করতে চান করুন। যদিও বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ব্যাপারটা খুব বেশী কনভেনিয়েন্ট নাও হতে পারে। বাঙাল (মেয়ে) পোশাক পর্দা করা/আব্রু ঢাকতে যথেষ্ট বলেই ধারণা করি। পঞ্চাশ বা ষাটের দশকে বাংলায় মুসলিম কম ছিল না, তাঁরা অামাদের থেকে বেশী টলারেন্ট ছিল। তাদের ধর্ম উদ্দিপনা বেশী বই কম ছিল না (সংগত কারণেই ৪৭'-এ সম্মানিত (!) রাজনিতিবীদ গণ বাংলাকে ছিড়ে-ছুড়ে নাপাকি থেকে উদ্ধার করে পাকি রাস্ট্র বানাতে সক্ষম হয়েছিল-এটা অবশ্য ভিন্ন আলোচনা)। সুতরাং মুহম্মদ জাফর ইকবাল যদি বুরখা-হিজাব ক্রেজকে আঙ্গুল দিয়ে পয়েন্ট আউট করে এটা বোঝান যে বাঙালরা হটাৎ বেশী বেশী মুছলমান হচ্ছে, খুব ভুল বলেছেন বলে মনে হয় না। সিন্স হোয়েন বুরকা-হিজাব বিকেম পিলার ওব ইসলাম?
বিশেষ মহলকে উদ্দেশ্য করে বলি,
বিশ্বাস-ধর্ম, বিশেষ করে ইসলামকে যতটা কঠিন মনে করেন, তত কঠিন ইসলাম না অপরদিকে যত সহজে উপমহাদেশের গুটি কয়েক 'মুছলমান' ইসলামিক নিয়ম 'আবিস্কার' করে চলেছেন ব্যাপারটা তত সহজও না। ধর্মকে উঁচা করে তুলে ধরবেন ভাল কথা, কিন্তু ধর্ম যে ছাদে বাড়ি খেয়ে চিড়ে চ্যাপ্টা হচ্ছে সেদিকে খেয়াল করুন। ফোকাস। আপনারা নিজেরাই ডিস্ট্রাক্ট হলে অন্যের পথ দেখাবেন কিভাবে? বাংলাদেশে ধর্মের বিরুদ্ধে লিখে মানুষ খুন হয়, আর মহানবী মুহাম্মদ (সা:) কে ফিজিক্যালি আঘাত (পথে কাঁটা দেয়া) করেও (যদ্দুর মনে পড়ে জিউশ মহিলা) মানুষ মহানবী (সা:) এঁর বিরাগভাজন* হননি। অনেক উদাহরণ দেয়া যায় এমন। উত্তেজিত হবেন না, কুরআনুল কারীম মাথা থান্ডা করে বুেঝ বুঝে পড়ুন, অন্যকে (বিশেষত উত্তেজিত মানুষদেরকে) বোঝান।
শাফি।
*বিরাগভাজন বানানটা ভুল মনে হচ্ছে, ভুল হলে দু:খিত।
দিব্যচোখে কচি বাচ্চা মেয়েটার বুকে ইয়াব্বড় লোম আর নাকের নিচে গোঁফ দেখতে পাচ্ছি।
----
আস্তর কথা মনে পড়ে গ্যালো। কিন্তু না, এ আস্ত নয়, এ আদ্দেক। আস্ত তো টেবিল ঘষে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দ্রোহী লুক্টা কুবই খ্রাপ!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
মৌলবাদি নোংরামি; এবং আমাদের নির্লিপ্ত নীরবতা---এর লেখক তাহলে কোনটা মানেন । তার ধর্মের জীবন বিধান ---- অন্য মতবাদ -অন্য কোন জীবন বিধান । কোরআন পষ্টভাবে তাই নির্দেশ করছে যার তিনি কড়া সমালোচনা করেছেন । তিনি কেন করলেন বুঝলাম না।
"লোহার জাঙ্গিয়া" নজরুল ভাই আপনার সেন্স অফ হিউমার চরম
অন্যকেউ দারুন একটা লেখা দেয়ার জন্য
নতুন মন্তব্য করুন