কিছু বুঝি না— চোখ কেন যে এত দূরে তাকায়
আর্তচোখ জানে! স্ট্যাচুর মত দাঁড়িয়েছে পাহারা
স্পর্শহাত প্রায়শ আশ্রয় খুঁজে না-লেখা কবিতায়
বাসস্টপ, শ্মশান, কিছু গাছ-গাছালির শব্দ ছাড়া
চোখে পড়ে শুধু কৃত্তিম ফুলেরটব, উঁচা-উঁচা দালান
সিটিপার্ক, মাঠ, শপিংমল, নাইটক্লাবগুলো দৃষ্টিনন্দন
বয়সের চোখে কেন যে এত চাহিদা, বুঝতে পারি না
চোখের চাহিদাও নিকটে আসে না অ-পরিচিত হলে
লিপ্সাজল কিংবা আকাঙক্ষা নিয়ে বেশি দূর যাবে না
এমন দ্বিধায় গোপন কথাগুলো কেউ বলছে না খুলে
যেদিকেই তাকাই ক্লান্তি লাগে, কিছুতে নেই আকর্ষণ
ষোড়শী হবার আগে শাদা রমণীদের ঝুলে যায় স্তন!
আর্তি দূরে ঠেলে আয়াসহীন ভাবে কাটছে সময়
কাকে রেখে কাকে দেব পাঠ, বিপরীত স্বপ্নকাহন
‘না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!’ দ্যুতিময়…
জানি, গা-ঘেঁষে দাঁড়ালে তৃষ্ণা জাগে না, দৃষ্টিজন
ওদের শরীরে নেই, ঘাস মাটি ফল ও ফুলের ঘ্রাণ
পাই না খুঁজে মা-মাটি ও প্রকৃতির বিচিত্র সন্ধান
মন্তব্য
ভালো লেগেছে, কঠিনও লেগেছে - বুঝে উঠতে পারিনি যেন সবটুকু। তবে সে জন্যই ফিরে আসবো আবার।
ক্লান্তির সায়রে এইভাবেই শুয়ে থাকে বিশ্রাম।
খুব ভালো লেগেছে দাদা । কবিতার অভিব্যক্তি, ভাষা, ছন্দবদ্ধ, প্রকারহীন নিন্দিত লিরিক।
ভাল লেগেছে।উঁচা উঁচা এর স্থলে উঁচু উঁচু হলে কেমন হয়?
মূর্তালা রামাত
নতুন মন্তব্য করুন