মুহম্মদ জাফর ইকবাল; লেখক, গবেষক, সংগঠক, শিক্ষক, কলামিস্ট, সমাজকর্মী; আমাদের অনেকেরই প্রিয় মানুষ। তাঁর যে বিপুল পরিমাণ গুণগ্রাহী এদেশে ছড়িয়ে আছে তা তাঁর ঘোর নিন্দুকও অস্বীকার করতে পারবে না। আর এজন্যই ‘তাদের’ যতো ভয়। তাঁর মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব বর্তমানে দেশে খুব কমই আছে। নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষ তাঁর খবর রাখে না; তিনি মূলত শিক্ষিত মধ্যবিত্তের মাঝেই অসম্ভব জনপ্রিয়। তরুণদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া, যার সাথে শুধুমাত্র অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের জনপ্রিয়তারই তুলনা চলে। একটি জরিপে বেরিয়ে এসেছে যে, তিনি বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে লেখক হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। জরিপে ৪৫০ জনের মধ্যে ২৩৫জনই (৫২.২২%) তাঁর পক্ষে মত দিয়েছে। [সুত্রঃ তান-জিনা হোসেন ও সিমু নাসের (ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০০২ খ্রিস্টাব্দ)। (ছুটির দিনে, দৈনিক প্রথম আলো: পৃ. ৫, ৬। ]
কিন্তু আমি জাফর স্যারের জনপ্রিয়তা বয়ান করতে বসিনি। যা বলতে চাইছি সেখানে আসছি। আমার মনে হয়, জাফর ইকবাল স্যারের অসম্ভব জনপ্রিয়তা তাঁর জন্য এসব সমস্যা ডেকে আনছে। তবে জনপ্রিয়তাই শুধু একমাত্র বিষয় নয়, আরো ব্যাপার আছে। খেয়াল করলে দেখা যায় জামাত-শিবির-হিযবুত তাহরীরের সমর্থক-গোষ্ঠী আর কর্মীরা, যারা উনাকে দু’চোখে দেখতে পারে না, তারাই সবচেয়ে বেশি মুখর হচ্ছে তাঁর নিন্দায়। কিন্তু কেন তারা স্যারকে পছন্দ করেনা?
ধর্মভিত্তিক দলগুলো বিগত জোট সরকারের সময় দেশজুড়ে জেঁকে বসেছিল, সে ইতিহাস আর বলার প্রয়োজন নেই, সবাই জানেন। সেসময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পালটে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে, মৌলবাদ খুব সযত্নে লালন করা হয়েছে, দেশের গুণী লোকদের উপর হামলা হয়েছে ( যেমন হুমায়ুন আজাদ), জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়েছে ( যেমন হাসান আজিজুল হক এবং মুহম্মদ জাফর ইকবাল)। আর সে সময়েই আপন মহিমায় জ্বলে উঠেছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁর শক্তিশালী লেখনী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তুলে ধরেছিল অনেকটাই, বিশেষ করে রাজাকার-আলবদরদের পরিচয় তিনি সাহসের সাথে তরুণ-তরুণীদের চোখে তুলে ধরেছিলেন; তাঁর মৌলবাদ-বিরোধী লেখাগুলো আমাদের চোখ খুলে দিয়েছিল, যা পড়ে আমাদের প্রজন্মের অনেক তরুণই শিবিরের পাতা ফাঁদ থেকে দূরে সরে যেতে পেরেছিল। আজকের কিশোর-তরুণরাও জামাত-শিবিরের পরিচয় সম্বন্ধে খুব ভালোভাবেই জ্ঞাত- তার কারণ অনেকটাই জাফর ইকবাল স্যার। আর এটাই জামাত-শিবির তথা গোটা মৌলবাদী গোষ্ঠীর গাত্রদাহের কারণ। মৌলবাদীরা এসব কারণে জাফর ইকবাল স্যারকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তরুণদের কাছে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা হারানোর আর ঘৃণিত হবার কারণ হিসেবে ভেবেছে জাফর স্যারের নাম। প্রগতিশীল তরুণদের মাঝে তাঁর জনপ্রিয়তা তারা খুব ভালোমতোই জানে, তাই প্রগতিশীলতার পায়ে বেড়ী বাধানোর একটা উপায় হিসেবে মুহম্মদ জাফর ইকবাল’এর বিরোধিতা বেছে নিয়েছে। এটা যে সঠিক তা জানার জন্য কোনো রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না, যেকোনো জামাত-শিবির কর্মীর সামনে স্যারের নাম নিলেই তাঁর প্রতি তাদের মনোভাব খুব ভালোমতোই ফুটে ওঠে। তাদের মোটা মাথা হয়ত ভেবে নিয়েছে যে জাফর ইকবাল স্যারকে পচাতে পারলেই তাঁর আদর্শকে মাটিচাপা দেয়া যাবে। এজন্য তাঁকে নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনার বদলে চলে কুৎসিত অপপ্রচার। তাঁর নির্দোষ নাচের ভিডিও নেটে ছেড়ে দিয়ে লেখা হয় ব্লগের পর ব্লগ।
জাফর ইকবাল স্যার ধর্ম নিয়ে সরাসরি খুব কম কথাই বলেছেন, যদিও মৌলবাদ নিয়ে লিখেছেন অনেক। তিনি হয়ত নাস্তিক, কিংবা অজ্ঞেয়বাদী, অথবা আস্তিক; আমি জানিনা। তবে এটা জানি তিনি কখনো ঘোষণা দিয়ে নাস্তিকতা প্রচার করেননি, যেমনটা করেছেন ডঃ আহমদ শরীফ কিংবা ডঃ হুমায়ুন আজাদ। কিন্তু তবু তাঁর নামে প্রচার করা হয়েছে যে “তিনি তার বইগুলোতে ও লেখাগুলোতে অত্যন্ত সুকৌশলে মানুষকে নাস্তিকতার দীক্ষা দেন। তার লেখায় ইসলাম বিরোধিতাও বাড়াবাড়ি রকমে চোখে পড়ে“। কিন্তু আমিতো বরং উলটো দেখতে পাই। তাঁর গল্পের পাত্র-পাত্রী বিপদে পড়লে খোদাকে ডাকে, তাঁর কাহিনীতে মাঝে মধ্যে অলৌকিক কাণ্ডও ঘটতে দেখা যায়। এমনকি তিনি তাঁর কিছু সায়েন্স ফিকশনে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের আভাস দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও তাঁকে নিয়ে এমন প্রচারের কারণ আমার জানা নেই। খুব সম্ভবত তাঁর জামাত-শিবির আর মৌলবাদ-বিরোধিতা তাঁকে ওদের কাছে নাস্তিক বানিয়েছে। হয়ত ভেবেছে, যে মানুষটা স্বাধীনতা-বিরোধীদের এতো ঘৃণা করতে পারে সে নাস্তিক না হয়ে যায় ই না!
সম্প্রতি যে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে জাফর স্যারকে নিয়ে তার সূচনা দৈনিক প্রথম আলো‘র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে “ওদের নিয়ে কেন স্বপ্ন দেখব না?” শীর্ষক লেখা থেকে। এই লেখাটা মৌলবাদী গোষ্ঠীর দারুণ গা চুলকানোর কারণ হয়েছে গত কয়েক দিনে। এমনও বলা হয়েছে- ইসলামকে ভালবাসুন অথবা জাফর ইকবালকে ভালবাসুন, দুটিই একসাথে নয়! তাঁর লেখার কিছু পয়েন্ট অনলাইন ছাগুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এরপর তাঁকে নিয়ে গত কয়েকদিনে মোটামুটি কয়েকটি মহাভারত ( লিংক ) রচনা করা হয়ে গেছে এবং আরো কিছু রচিত হবার অপেক্ষা রয়েছে। লেখাটার যেসব পয়েন্ট নিয়ে ছাগুদের লম্ফঝম্ফ মাত্রা ছাড়িয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি।
# স্যারের লেখার শুরু একটা লাইন নিয়ে প্রথম আক্রমণের সূচনা। তিনি লিখেছেন- ” ‘তরুণ প্রজন্ম’ বললেই আমাদের চোখে টি-শার্ট পরা সুদর্শন কিছু তরুণ ও উজ্জ্বল রঙের ফতুয়া পরা হাসিখুশি কিছু তরুণীর চেহারা ভেসে ওঠে।” এর এর মাধ্যমে তিনি নাকি “তরুণীদেরকে” এই বানী পৌঁছে দিলেন যে, তোমরা যদি ফতুয়া পরে রাস্তায় না বের হও তোমাদেরকে সত্যিকার অর্থে সম্ভাবনাময় তরুণী বলা যাবে না! এখানে “তরুণী‘ শব্দের প্রয়োগ বিশেষভাবে লক্ষ করুন, তাহলে তাদের কু-প্রচারণার স্বরূপ বোঝা যাবে। স্যার লিখেছেন ‘তরুণ প্রজন্ম‘র কথা যেখানে তরুণ-তরুণী উভয়েই আছে, আর এখানে বানিয়ে ফেলা হয়েছে ‘তরুণী‘! আচ্ছা, পাল্টা বলতে পারে যে তরুণ প্রজন্মের মাঝে তো তরুণীরাও আছে। ঠিক আছে। কিন্তু এখানে একটা ‘কিন্তু’ আছে। ও সমস্ত নিন্দুকদের বুদ্ধিমত্তার লেভেল কতোটুকু তা বোঝা যায় পরের লাইনগুলো পড়ে দেখলে।এবার পুরো প্যারাটি পড়ে দেখি, স্যার লিখেছেন- ” ‘তরুণ প্রজন্ম’ বললেই আমাদের চোখে টি-শার্ট পরা সুদর্শন কিছু তরুণ ও উজ্জ্বল রঙের ফতুয়া পরা হাসিখুশি কিছু তরুণীর চেহারা ভেসে ওঠে। আমাদের দেশে মোবাইল ফোন আসার পর কোম্পানিগুলো পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে, আর এ বিজ্ঞাপনের কারণেই সম্ভবত তরুণ-তরুণীদের এ ছবি আমাদের মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি অবশ্য বিজ্ঞাপনের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে কাছাকাছি বাস করি, তাই মাঝেমধ্যেই আমি ভুলে যাই যে ছবিটি সম্পূর্ণ নয়।”
কী বুঝলেন? স্যার বলেছেন তরুণ প্রজন্ম বলতে আমাদের চোখে যে টি-শার্ট পরা সুদর্শন তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় আসে তা এদেশের মিডিয়া আর বিজ্ঞাপনগুলো তৈরি করেছে। তিনি বলেননি তরুণ-তরুণীদের টি-শার্ট পরে ঘুরে বেড়াতে হবে। তিনি পরের লাইনে পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে এই তরুণদের এই ছবিটি সম্পূর্ণ নয়। তাহলে কেন এই প্রোপাগান্ডা?
# এরপর লেখাটির আরেকটি বিশেষ প্যারা পড়ে তারা উত্তেজিত হয়ে উঠেছে। স্যার লিখেছেন- ” বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছেলেমেয়েরা ভাষা আন্দোলন নিয়ে একটা আলোকচিত্র প্রদর্শনী করেছিল। আমি আর আমার স্ত্রী সেটা দেখতে গিয়েছিলাম। বড় বড় ছবি দেখতে দেখতে আমার স্ত্রী আমাকে বলল, ‘একটা জিনিস লক্ষ করেছ?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী জিনিস?’ আমার স্ত্রী বলল, ‘ভাষা আন্দোলনে কত মেয়ে! কিন্তু একটি মেয়েও বোরকা পরে নেই, একটি মেয়েও হিজাব পরে নেই।’ আমি তাকিয়ে দেখি, তার কথা সত্যি। ষাট বছর আগে এ দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের বোরকা পরতে হতো না, এখন মেয়েদের বোরকা পরতে হয়। ষাট বছর আগে এ দেশের মেয়েরা ধর্মহীন ছিল, এখন মেয়েরা ধর্মভীরু হয়ে গেছে আমি সেটা বিশ্বাস করি না। যারা জ্ঞানীগুণী গবেষক, তাঁরা প্রকৃত কারণটি খুঁজে বের করবেন। আমি সোজাভাবে বিষয়টি এভাবে দেখি, যে সমাজে পুরুষ আর নারী সমান সমানভাবে পাশাপাশি থেকে কাজ করে, সেই সমাজকে মৌলবাদীদের, ধর্ম ব্যবসায়ীদের খুব ভয়। তাই মেয়েদের ঘরের ভেতর আটকে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। একান্তই যদি ঘরের ভেতর আটকে রাখা না যায় অন্তত বোরকার ভেতর আটকে রাখা যাক।”
এটুকু পড়ে তাদের মন্তব্য হলো- এর দ্বারা তিনি আল্লাহর ফরজ বিধান হিজাবের বিরুদ্ধে স্পষ্টতই অবস্থান নিয়েছেন!
আচ্ছা, এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যাক। আমি হিজাব ভালো নাকি খারাপ, সেদিকে যাচ্ছি না। যারা হিজাবের কথা বলছে তারা নিশ্চয়ই জানে হিজাব কী জিনিশ, নিশ্চয়ই জানে কোরান-হাদিসে এ বিষয়ে কী আছে। তাদের প্রতি প্রশ্ন হলো- ওখানে কি কোথাও নির্দিষ্টভাবে লেখা আছে যে নারীদের ‘বোরকা‘ পরতে হবে? আমি জানি পর্দা করার কথা বলা হয়েছে( সেটা ভালো কি খারাপ তার আলোচনা এটা নয়), কিন্তু বোরকা? হ্যাঁ, তারা বলতে পারে যে বোরকা পরে পর্দা করা যায়। ওদের জন্য বলি, বোরকা আসলে যতোটা না একটা পোশাক তার চেয়ে বেশি এটি বন্দিত্বের প্রতীক। জাফর স্যার ঠিক এ বিষয়টির দিকেই অঙ্গুলিনির্দেশ করেছেন। ষাট বছর আগে যেখানে মেয়েরা বোরকা পরার প্রয়োজন বোধ করেনি সেখানে এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে কেন ব্যাপক হারে বোরকার পুনর্প্রবর্তন ঘটছে? এটা হয়েছে মৌলবাদীদের ব্যাপক প্রচারের ফলেই। মানুষকে বোঝানো হয়েছে পর্দা করা মানে বোরকা পরা। তারা ভেবেছে মেয়েদেরকে তো আর শারীরিকভাবে আটকে রাখা সম্ভব না এই যুগে, তাই মানসিকভাবেই আটকে রাখা হোক! তাদেরকে প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দিতে হবে যে তোমরা স্বাধীন নয়, তোমাদের যা খুশি করার অধিকার নেই, তোমাদের আসলে ঘরে থাকার কথা- কিন্তু বেরিয়েছ যখন তখনো বন্দীই আছো, তোমরা তোমাদের মালিক নও- পুরুষের ইচ্ছাই তোমাদের জীবন। জাফর ইকবাল স্যার এই বিষয়টাই বলেছেন। নারীদের স্বাধীনতাকেই বেশি ভয় পায় মৌলবাদীরা, কেননা নারী-স্বাধীনতা সমাজে ঠিকমতো প্রতিষ্ঠা পাওয়ার মানেই হলো ধর্মব্যবসার লাল বাতি জ্বলে ওঠা। আর তাঁর এই বক্তব্যকে বলা হলো হিজাব বিরোধিতা। (আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি হতাম যদি তিনি একেবারে সরাসরি বলে দিতেন বোরকা না পরতে, কিন্তু তিনি তাও বলেননি)
# এর পরের একটি প্যারাও তাদের গায়ে চুলকানি বাড়িয়ে দিয়েছে যা আসলে আগের প্যারার বাই-প্রোডাক্ট। স্যার লিখেছেন- “আমাদের সমাজে মেয়েদের পিছিয়ে নেওয়ার এ পরিকল্পনাটুকু কারা করেছে, তারা কীভাবে কাজ করেছে, গবেষকেরা সেগুলো বের করতে থাকুন। কিন্তু আমরা জানি, এ কাজ করেছে পুরুষেরা। কক্সবাজারের পথে একবার হঠাৎ একটি মেয়ের সঙ্গে দেখা। মেয়েটি বলল, ‘স্যার, আমি আপনার ছাত্রী।’ আমি খুবই অপ্রস্তুত হলাম, নিজের ডিপার্টমেন্টের একটা ছাত্রীকে আমি চিনতে পারছি না। আমি এত বড় গবেট! ছাত্রীটি তখন নিজেই ব্যাখ্যা করল। বলল, ‘স্যার, আমি তো ডিপার্টমেন্টে বোরকা পরে যাই, তাই আপনি চিনতে পারছেন না।’ আমি তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। ক্লাসে যার শুধু এক জোড়া চোখ দেখেছি, তাকে আমি কেমন করে চিনব? কিন্তু গত ৫০ বছরে যে মেয়েদের একটি প্রজন্মকে ঘরের ভেতর আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, সেই প্রজন্মকে নিয়ে আমরা কী স্বপ্ন দেখব?”
এটুকু নিয়ে এক মহান চিন্তাবিদের মন্তব্য- ” এর দ্বারা তরুণ প্রজন্মের আদর্শ(!) জাফর ইকবাল সাহেব তরুণীদের বোঝালেন, হিযাব পরলে তোমাদের কোনো দাম নেই! সুতরাং হিজাব খুলে ফেল, টি-শার্ট, ফতুয়া ও জিনস পর। আর নিজেদেরকে পুরুষের ভোগ্য সামগ্রীতে পরিণত করার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাও! নিজেদেরকে পতিতাদের চেয়েও সস্তা করে ফেলো।“
স্বাভাবিক বিদ্যা-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের চট করে বুঝে ফেলার কথা যে তিনি কী বলেছেন বা বলতে চেয়েছেন। কিন্তু উলটো বলা হলো তিনি নাকি মেয়েদেরকে পুরুষের ভোগ্যপণ্য হতে বলছেন! যেখানে তিনি প্রথম লাইনেই বলে ফেলেছেন যে মেয়েদের বর্তমান অবস্থাটুকুর জন্য পুরুষেরা দায়ী সেখানে তিনিই বলবেন পুরুষের স্বার্থের কথা! কতোটুকু নির্বোধ হলে একথা বলা যায় আমি জানি না।
# এবার সবচেয়ে হৃদয়বিদারক অংশটুকুর কথা বলি। জাফর স্যারের এই লেখার পর কয়েকটি ব্লগে স্যারের মেয়েকে নিয়ে কিছু কুৎসিত লেখা পোস্ট করা হয়েছে। উনার মেয়ের বন্ধুদের সাথে একান্ত ব্যক্তিগত কিছু নির্দোষ ছবি অনুমতি ছাড়াই নেটে প্রকাশ করে দিয়ে বলা হয়েছে- মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আমাদেরকে হেদায়েত করা আগে নিজের মেয়েকে সামলাও! এ নিয়ে যা হয়েছে তা বলতে আমার রুচিতেও বাঁধে। এ বিষয়ে অনেকেই লিখেছেন তাই আমি ওদিকে আর যাচ্ছি না। শুধু একটা প্রশ্ন করব। জাফর স্যারের মেয়ের ওয়েস্টার্ন পোশাক পরার কথা উচ্চস্বরে প্রচার করছেন, তাকে বাঙ্গালী-ত্ব শেখানোর পরামর্শও দিচ্ছেন, ভালো কথা। কিন্তু আমাকে কি বলবেন যে বোরকা আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে কখন থেকে ছিল? টি-শার্ট জিনস পরা যদি ভিন্ন দেশীয় অপসংস্কৃতি হয় তাহলে বোরকা পরাও কি ভিনদেশী অপসংস্কৃতি হবে না? বোরকা কি বাঙ্গালী নারীর আবহমান কালের পোশাক??
জাফর ইকবাল স্যারের হয়ত অনেক ভুল ত্রুটি আছে, তার যৌক্তিক সমালোচনা আমরা করতেই পারি। কিন্তু তাঁর কোনো লেখার জন্য তার মেয়ের ছবি প্রচার করে নোংরা লেখা পোস্ট করব ব্লগে ব্লগে- এটা কোন ধরনের অসভ্যতা? ধর্ম কি আপনাদেরকে এটাই শিক্ষা দিয়েছে? মেয়েদেরকে বোরকা পরানোর জন্য উতলা হয়ে উঠেছেন, আর তারপর একটা মেয়ের ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে উল্লাস করছেন- এই ভণ্ডামি কি আমাদের চোখে পড়ে না ভেবেছেন? মেয়েদের পর্দা রক্ষার জন্য জীবন দিয়ে দেবে এমন অবস্থা কিন্তু বাস্তবে আমরা কী দেখলাম? এই ভণ্ডামিকেই ধর্ম বলে প্রচার করছেন? তাহলে আমি দ্বিধাহীন চিত্তে বলব- প্রয়োজন নেই আমার সেই ধর্ম, সেই রীতি যা আমাকে অসভ্য হতে শেখায়, যা আমাকে নারীদের অপমান করতে শেখায়, যা আমাকে ভণ্ডামি শেখায়।
আমার লেখা শেষ। নিচের অংশটুকু মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের জন্য। এটুকু আপনারা না পড়লেও চলবে।
স্যার, আমি জানি আপনি অনেক ব্যস্ত মানুষ। এই যে এতো এতো সমালোচনা কিংবা প্রশংসা কোনোটাই শোনার সময় আপনার নেই। তারপরও যদি চোখে পড়ে তাহলে আপনাকে বলছি- আমাকে ক্ষমা করুন, আমাদের ক্ষমা করুন। ওই লেখাগুলোকে হয়ত আপনি গুরুত্বই দেবেন না, না দেয়াই উচিত, তারপরও যদি ওসব আপনাকে এতোটুকুও বিষণ্ণ করে তোলে, যদি বুক থেকে নিজের অজান্তেই ছোট এক দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে- তাহলে বলব, আমাদের ক্ষমা করুন। বাঙ্গালী গুণীর মর্যাদা কখনো দিতে পারেনি। আমাদের ক্ষমা করুন। দয়া করে আমাদের মতো তরুণদের উপর থেকে কখনো বিশ্বাস হারাবেন না, আপনাকে যে আমরা অনেক ভালোবাসি!
মন্তব্য
হিজাব তথা পর্দা সম্পর্কে চমৎকার কিছু তথ্য জানলাম।
এবার আসুন দেখা যাক কাফের নিধন সম্পর্কে পবিত্র কোরানে আল্লাহ পাক কী বলেছেন:
১. Fight those who do not believe in Allah or in the Last Day and who do not consider unlawful what Allah and His Messenger have made unlawful and who do not adopt the religion of truth from those who were given the Scripture - [fight] until they give the jizyah willingly while they are humbled. [সূরা: আত-তওবা, আয়াত: ২৯]
২. O you who have believed, fight those adjacent to you of the disbelievers and let them find in you harshness. And know that Allah is with the righteous. - [সূরা: আত-তওবা, আয়াত: ১২৩]
৩. And when the sacred months have passed, then kill the polytheists wherever you find them and capture them and besiege them and sit in wait for them at every place of ambush. But if they should repent, establish prayer, and give zakah, let them [go] on their way. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful. [সূরা: আত-তওবা, আয়াত: ৫]
৪. Fighting has been enjoined upon you while it is hateful to you. But perhaps you hate a thing and it is good for you; and perhaps you love a thing and it is bad for you. And Allah Knows, while you know not. [সূরা: আল-বাকারা, আয়াত: ২১৬]
৫. They wish you would disbelieve as they disbelieved so you would be alike. So do not take from among them allies until they emigrate for the cause of Allah . But if they turn away, then seize them and kill them wherever you find them and take not from among them any ally or helper. [সূরা: আন-নিসা, আয়াত: ৮৯]
উপরের আয়াতগুলোতে আমরা দেখতে পাচ্ছি মহান আল্লাহতায়ালা স্পষ্ট ভাষায় অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার, ক্ষেত্রবিশেষে তাদের হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পৃথিবীতে ৬ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মানুষ অমুসলিম। সুতরাং, আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ৫ বিলিয়ন অমুসলিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা উচিত মুসলিমদের।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, পবিত্র কোরআনের যে আয়াতগুলোতে হিজাব তথা পর্দার কথা বলা হয়েছে সে গুলো মেনে চলা এবং যে আয়াতগুলোতে অবিশ্বাসীদের হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো না মানার কারণ কী? এটাকে কি ডাবলস্ট্যান্ডার্ড বলা যায় না?
যেহেতু বিন লাদেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কোরআনের উভয় নির্দেশ মেনে চলছে, তাই এক হিসাবে একমাত্র তাদেরকেই প্রকৃত মুসলিম বলা চলে। বাকি সবাই শুনে শুনে মুসলিম।
আমার পাগলা ঘোড়া রে! কৈত্থেইক্যা কই আয়া পড়লি!
আমি ঝানতাম আপ্নি লুক্টা খ্রাপ।
বিদ্রহী ভাই, ধন্যবাদ আপনার পোষ্টের জন্য। আবার আপনার উপরে রাগও হচ্ছে, আপনি আয়াতগুলো বোঝার কোনো চেষ্টা না করেই বলে ফেললেন, কুরআন বলছে অমুসলিমদের মেরে ফেলতে। আপনার মতো অনেক লোক কুরআনের অপব্যখ্যায় লিপ্ত। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছ নৈরাজ্য। অনেকের মনে হয়তো এ নিয়ে সংশয় আছে, আপনার উছিলায় তা সবার কাছে পরিস্কার হবে ইনশাল্লাহ।
১. আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন,
“হত্যা অথবা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ছাড়া অন্য কোন কারণে যে ব্যক্তি কাউকে(মুসলিম বা অমুসলিম) হত্যা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে হত্যা করলো৷ আর যে ব্যক্তি কারো জীবন রক্ষা করলো(মুসলিম বা অমুসলিম)সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষের জীবন রক্ষা করলো”[সুরা ৫ আয়াত ৩২]
আল্লাহ বলেছেন,
“দ্বীনের ব্যপারে জোর-জবরদস্তি নেই, ভ্রান্ত মত ও পথ থেকে সঠিক মত ও পথকে ছাঁটাই করে আলাদা করে দেয়া হয়েছে।“[২:২৫৬]
এ দুটি আয়াত থেকে পরিস্কার যে, অমুসলিম বা মুসলিম কাউকেই অন্যায়ভাবে হত্যা করা সম্পুর্ন নিশিদ্ধ।
২. ইসলাম যুদ্ধের অনুমতি দেয় শেষ উপায় হিসেবে। এছাড়া ইসলাম সব সময় শান্তির পক্ষে।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ যতগুলো স্থানে হত্যার কথা বলেছেন তার সবগুলোই হলো যুদ্ধ ক্ষেত্রে। কুরআন বলছে যখন তারা তোমাদের হত্যা করতে আসবে তখন ভয় পেয়ো না, বরং তাদের হত্যা করো। অথ্যাৎ যখন শত্রুদের সাথে মোকাবিলা হবে তখন যেন আমরা ভয় না পাই বরং যুদ্ধ করি। যে কোনো আর্মি জেনারেলই তার সৈন্যদের মনোবল বাড়াতে বলবেন যে যখন শত্রুর সাথে মোকবেলা হবে তোমরা ভয় পেয়ো না, তদের হত্যা করবে। কেউই বলবেনা যে, তোমরা শত্রুর হাতে মার খাও। এটা হলো যুদ্ধক্ষেত্রে।
৩. কুরআনের যে সকল আয়াতে যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে, তার পরের আয়াতেই বলা হয়েছে শান্তির কথা। বলা হয়েছে যুদ্ধের চেয়ে শান্তি ভাল। যদি শত্রুরা শান্তি চায়, সন্ধি করতে চায় তাহলে তা করতে বলা হয়েছে। যদি শত্রুরা থামে, তাহলে কুরআন বলছে তোমরাও থামো।
যেমন: পবিত্র কুরআন বলছে,
“আর তোমরা আল্লাহর পথে তাদের সাথে যুদ্ধ করো, যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে, কিন্তু বাড়াবাড়ি করো না ৷ কারণ যারা বাড়াবাড়ি করে আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না।“[২:১৯১]
পরের আয়াতে আল্লাহ বলেন,
“কিন্তু যদি তারা বিরত হয় তাহলে জেনে রাখো আল্লাহ ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহকারী”[২:১৯২]
“যদি তারা বিরত হয় তাহলে সেখানে যেন কোনো বৈরিতা না হয় যারা নিপিড়ন অব্যহত রাখে তাদের ছাড়া”[২:১৯৩]।
৪. বেশিরভাগ সমলোচক প্রসঙ্গ ছাড়াই কুরআনের উদ্ধুতি দেয়। যেমন তারা বলে সুরা মায়েদায় আছে “যখনই তোমরা কোনো কাফেরকে পাবে মেরে ফেল”। আপনি কুরআন খুলে দেখলেন যে ঠিক। কিন্তু এটা প্রসঙ্গ ছাড়া উদ্ধৃতি। আল্লাহ কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন তা তারা বলে না।
প্রসঙ্গটা হলো , মক্কায় মুশরিকদের সাথে মুসলিমদের একটি শান্তি চুক্তি হয়েছিল, যা মুশরিকরাই ভেঙেছিল। তখন আল্লাহ বললেন, চার মাসের মধ্যে সব ঠিক করতে না হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষনা করা হবে। এরপর সুরা ময়েদার ৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে যদি কফেরদের পাও, ভয় পেয় না, লড়াই করে তাদের হত্যা কর।
তারা ৫ নং আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে ৭ নং আয়াতে চলে যায়, কারন ৬ নং আয়াতে তাদের সমস্যার উত্তর আছে। ৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,
“আর যদি মুশরিকদের কোন ব্যক্তি আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পারে, তারপর তাকে তার নিরাপদ জায়গায় পৌছিয়ে দাও৷”
কে এমন আছে যে বলবে যদি শত্রু আশ্রয় চায় তাকে শুধু আশ্রয়ই দিয়ো না সাথে সাথে নিরাপদ স্থানে পৌছে দাও? সবচেয়ে দয়ালু আর্মি জেনারেল হয়তো বলতে পারে যদি শত্রু শান্তি চায় তাকে যেতে দাও কিন্ত কুরআন বলছে তাকে নিরাপদ স্থানে পৌছে দাও।
ইসলাম কখনই অমুসলিমদের বা মুসলিমদের কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করতে অনুমুতি দেয় না। দুঃখের বিষয়, কুরআনের এই সকল আয়াতের অপব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। যারা এই লেখাটি পড়েছেন তাদের কাছে অনুরোধ, পারলে মানুষকে এই সত্যটি জানাবেন। এটা সকল মুসলমানের দায়িত্ব। তরবারির বা অস্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়নি বরং বলা হয়েছে-
আহ্বান করো নিজের রবের পথের দিকে প্রজ্ঞা ও উৎকৃষ্ট উপদেশের মাধ্যমে এবং লোকদের সাথে উত্তম পদ্ধতিতে বিতর্ক-আলোচনা করো৷" (আন নাহল -১২৫)
-------------------------------
"সুকৃতি ও দুষ্কৃতি সমান নয়৷ (বিরোধীদের আক্রমণ) প্রতিরোধ করো উৎকৃষ্ট পদ্ধতিতে৷ তুমি দেখবে এমন এক ব্যক্তি যার সাথে তোমার শত্রুতা ছিল সে এমন হয়ে গেছে যেমন তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু৷" (হা-মীম আস সাজদাহ ৩৪)
--------------------------------
"তুমি উত্তম পদ্ধতিতে দুষ্কৃতি নির্মুল করো৷ আমি জানি (তোমার বিরুদ্ধে )তারা যেসব কিছু তৈরি করে৷" (আল মু'মিনুন ৯৬)
---------------------------------
"ক্ষমার পথ অবলম্বন করো, ভালো কাজ করার নির্দেশ দাও এবং মূর্খদেরকে এড়িয়ে চলো৷ আর যদি (মুখে মুখে জবাব দেবার জন্য) শয়তান তোমাকে উসকানী দেয় তাহলে আল্লাহর আশ্রয় চাও৷" (আল আ'রাফ ১৯৯-২০০)
MUHAMMADKAMRULHOSSAIN@GMAIL.COM
ওরে কামড়ুল ভাই,
এমনে করলে চলপে? পুরো কোরান শরীফ জুড়েই পরষ্পর বিরোধী কথাবার্তা ছড়ানো। আমার এক আয়াতের জবাবে আপনে অন্য আয়াত এনে হাজির করে যদি বলেন আপনেরটা সঠিক আর আমারটা ভুল তাহলে হপে?
আচ্ছা, বিশ্বজগতের সষ্ট্রা আল্লাহপাক একটা ৫০০ পাতার বই ঠিকমত লিখতে পারেন নাই কেন? এত উল্টাপাল্টা কথা লেখা থাকলে বইটার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা থাকে?
আপাতত আমি যে আয়াতগুলো উল্লেখ করেছি সেগুলাতে আল্লাহপাক কি বলতে চেয়েছেন সেটা বুঝান দেখি।
হুমায়ুন আজাদ যখন জামাতশিবিরের বিরুদ্ধে উচ্চকিত ছিলেন, আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজ নীরব থেকে তাঁকে একা করে তুলেছিল। আজ জাফর ইকবাল কথা বলছেন, দেখবেন সমাজের অন্য যারা বড় জ্ঞানীগুণী মানুষ আছেন, তাঁরাও চুপ মেরে গিয়ে স্যারকে একটি একক আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে। কারণ ছাগুরা জানে, ঢালাও প্রোপাগাণ্ডা চালালে আমাদের সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীরা চুপ করে যাবেন। হয়তো একদিন জাফর ইকবাল স্যারও সম্মান আর সুনামের ভয়ে এ নিয়ে কথা বলা ছেড়ে দেবেন।
জাফর ইকবাল স্যারকে একা মাঠে ছেড়ে দেবো না আমরা। সবাইকে কথা বলতে হবে এই ছাগুদের বিরুদ্ধে। দেশটা আমাদের সবার। কোনো একা মানুষ আমাদের সবাইকে টেনে তুলতে পারবেন না।
এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন, কথা বলুন। আপনিই সেই লোক, এখনই সেই সময়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অবশ্যই আমরা স্যারকে একা ছাড়ব না। উনি যে লড়াই লড়ছেন তা আমাদের জন্যেই। তাকে ছেড়ে দেয়া মানে তো নিজের এবং নিজের দেশের মানুষেরই ক্ষতি। ছাগুরা কখনোই ছাড় পাবে না- এটুকু কথা দিলাম।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হিমু'দা।
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_____________________
Give Her Freedom!
"এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন, কথা বলুন। আপনিই সেই লোক, এখনই সেই সময়।"
সহমত| অপ্রাসঙ্গিক একটা কথা বলি, আমার নিজের জীবন থেকে, অনেক আগে যখন জাফর স্যার এর বই পড়া শুরু করেছিলাম তখন একদিন স্যার এর কোনো একটা বইয়ে একটা প্যারা আমার দৃষ্টি ভঙ্গি অনেকটাই বদলে দিয়েছিলো, উনি লিখেছিলেন মৌলবাদ সম্পর্কে তার ঘৃণার কথা, আরও লিখেছিলেন তিনি পাকিস্তানের তৈরী কোনো পণ্য ব্যাবহার তো দূরে থাক কোনো বিমান যদি যাত্রাপথে পাকিস্তানের উপর দিয়ে রুটে যায়, তিনি সেই রুটও ব্যাবহার করেননা| মজার ব্যাপার হচ্ছে এটা পড়ার পড়ে আমি নিজেও একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তখন দেশে একটা জুস বেশ বিক্রি হতো, "সেজান", সেটা ছিলো পাকিস্তানের তৈরী, আমি সেটা খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেই| তখন মনে হয় ক্লাস ৬/৭ এ ছিলাম, এবং তার পর থেকে আমি এখনও পাকিস্তানের তৈরী কোনো জিনিস ব্যাবহার করিনা, আমার এই নিরব পদক্ষেপে কারো কোনো সমস্যা হয়নি, অথবা এটা হয়তো কোনো পদক্ষেপই ছিলোনা, কিন্তু আমি একটা জিনিস বুঝতে শিখেছিলাম, যারা আমার স্বাধীনতাকে গলা টিপে ধরতে চেয়েছিলো, তারা আর যাই করুক না কেন, যত ক্ষমাই প্রার্থনা করুকনা কেন আমি অন্তত তাদের সাথে হাত মিলাতে পারবনা| আমার পূর্বপুরুষদের রক্ত এখনও ওদের হাতে লেগে আছে|
জাফর স্যার এর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো, হুমায়ুন আজাদ স্যার এর উপর হামলা দেশের ভিতরে ছড়িয়ে থাকা ভয়ংকর মানসিকতার প্রকাশ, তেমনি জাফর স্যার এর বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার আবার সেই কালো থাবার বিস্তারকেই প্রদর্শন করে... আর কিছু না পারি, অন্তত এর বিরুদ্ধে লিখে যাবো...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমার মনে হয় স্যারের লেখা যারাই মন দিয়ে পড়েছে তারা সবাই কম-বেশী অনুপ্রাণিত হয়েছে তাঁর দ্বারা। তাঁর লেখা পড়ে জেনেছি মুক্তিযুদ্ধের কথা, গৌরবের কথা; আমাকে ভীষণ গর্বিত করেছে সেসব।
অবশ্যই লিখে যাব, তাঁকে একা পড়তে দেব না।
"যারা আমার স্বাধীনতাকে গলা টিপে ধরতে চেয়েছিলো, তারা আর যাই করুক না কেন, যত ক্ষমাই প্রার্থনা করুকনা কেন আমি অন্তত তাদের সাথে হাত মিলাতে পারবনা| আমার পূর্বপুরুষদের রক্ত এখনও ওদের হাতে লেগে আছে|"
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এইসব ছাগুদের মায়েদের, মেয়েদের, এদের আশেপাশের সব নারীর জন্য আমার করুণা হয়, আমার মায়া লাগে! আহারে...
ইয়েশিমের যে ছবি নিয়ে কথা উঠেছে সেই ছবি দেখে আমি হেসে ফেলেছি! আমার বন্ধুদের সঙ্গে আমার ছবি দেখেলে তো ছাগুরা আমার ফাঁসির দাবী তুলবে! এই পোকাগুলোর বির্বতন মাঝপথে থেমে গেছে কীভাবে কেউ বলতে পারে!?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
এই পোকাগুলোর বির্বতন মাঝপথে থেমে গেছে কীভাবে কেউ বলতে পারে!?
facebook
বাংলাদেশের বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী আসলে চে গুয়েবাড়ার মত বিপ্লবী হওয়ার তৌফিক নিয়া জন্মেছেন। কিন্তু একটা মোটর সাইকেল জোগাড় করার ক্ষ্যামতা তাদের হয় না দেখে দুই-চার টাকা দামে বিক্রি হয়ে যায় ছাগুদের কাছে।
আর তাই মুহম্মদ জাফর ইকবালকে বোরকা ইস্যুতে একলা ময়দানে কথা বলতে হয়। বুদ্ধিবাড়াদের দল আড়ালে বসে মুড়ি চিবায়।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল ছাগু পোন্দানির যুদ্ধে আমাদের জেনারেল। ছাগু পোন্দানি অতীতে অব্যাহত ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
সহমত
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
চমৎকার লেখা, নিটোল। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
অসভ্যতা আর ভন্ডামির বিরুদ্ধে আমরা সবাই বলব। জাফর ইকবাল কখনোই একা নন।
উনি অবশ্যই একা নন।
এবং আপনাকে ধন্যবাদ।
দেশে ছাগলের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। ইয়েশিমের ছবিগুলো নিয়ে এত হুলুস্থুলের কী আছে বুঝলাম না। যাই, নিজের ফেসবুকের প্রাইভেসি চেক করি গিয়ে। কে কবে কোন ছবি দেখে চাপাতি হাতে ছুটে আসে ঠিক নাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হ্যাঁ, আমিও এই ঘটনার পর আমার সব ব্যক্তিগত ছবিতে প্রাইভেসি দিয়ে রেখেছি। বলা তো যায় না কখন, কোন দিক দিয়ে, কীভাবে, কোনো ছাগু ল্যাদিয়ে যায়!
। প্রার্থনা করি, ওই কদর্য জিনিসগুলো স্যারদের পরিবারের কারও চোখে পড়েনি ! আর পড়ে থাকলেও আপনার এই লেখা পড়ে মন খারাপ ভাব কাটিয়ে উঠবেন । এই লেখাটি কি স্টিকি করা যায় ? মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আমিও তাই আশা করি। ইশশ, জাফর স্যারকে যদি লেখাটা পড়াতে পারতাম!
ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে খুব। শেয়ার করছি।
মাঝে মাঝে নিজের কি যে খারাপ লাগে তা আপনাদের বুঝানো যাবে না। হুমায়ন স্যার এর পর জাফর স্যার কে ধরল। এখন দেশ কে মনে হই আবার স্বাধীন করতে হবে। এখন অনেক রাজাকার এই দেশে ঘুরে বেরাই। অনেক বড় বড় কথা বলে। কথাই কথাই ভালো মানুষ কে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। আসুন, সবাই দেশ কে আবার স্বাধীন করি।
সব ছাগুকে
:D
স্যার একা নন।
আমরা আছি।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আমি শুধু এটা জানি, স্যারের কিছু হলে ধর্মের লেবাস ধারী একটাকে হলেও আমি.........
চমৎকার লিখেছেন। ব্লগে এসব ব্যাপার নিয়ে নোংরামি আর কাদা ছুড়া ছুড়ি দেখে একটা স্বয়ংসম্পূর্ন লেখার অভাব অনুভব করছিলাম, আপনি সব বলে দিলেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
স্যার আমাদের ক্ষমা করুন .......
স্যার আমাদের ক্ষমা করুণ ......
ঐসব ছাগুরা কোন দিন তাদের অশুভ কাজে সফল হতে পারেনি আর পারবে না .........আমরা হতে দেব না
বেজন্মা ছাগু গুলারে গদাম দেয়া ছাড়া কোন উপায় দেখছি না।
স্যার, আমরা আপনার সাথেই আছি, থাকব। এই সুর ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে।
ফেসবুকে কার যেন একটা মন্তব্য দেখে খুব সিরিয়াস হয়ে ছবি গুলোর লিঙ্ক চেয়ে নিলাম একজনের কাছ থেকে।ভেবেছিলাম, না জানি কি না কি? জানা দরকার।
লিঙ্ক ধরে গিয়ে ছবি গুলো দেখে হাসি এসে গেল। এই নিয়ে এতো???!!
স্যারের পেছনে কারা কথা বলে বা লাগে তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে, উনি আর যাই হোন, একলা যে কোনদিনও হবেন্না তা তার শত্রুরাও জানে। তাই এই সব ফালতু কিছু অমানুষদের নিয়ে চিন্তা করিনা।
আপনি আমি থাকতে স্যার কখনো একলা হবেন না- এটা নিশ্চিত।
লেখক অনেক সুন্দর লিখেছেন ,এর উপর বলার কিছুই নেই ।।
জাস্ট একটা কথাই বলব , আমরা সবাই জাফর ইকবাল স্যারকে চিনি এবং জানি যে উনি অত্যন্ত ভাল একজন মানুষ ।
কিছু জঙ্গী ,যুদ্ধাপরাধী এবং বিকৃত মস্তিষ্ক ফাউল মানুষ এর কুত্সা এবং আজেবাজে পোষ্ট এ আমাদের এ ধারণা পরিবর্তন হবে না ।।।
উই আর অলওয়েজ উইথ ইউ ,জাফর স্যার ...
ভালো লাগলো
পোকা মাকড় এর অভাব এই বাংলায় কখন ছিল না...ভবিষ্যতেও এর অভাব হবে না...একটা বিষয় সবচেয়ে খারাপ লেগেছে যখন দেখলাম স্যারকে যে পোস্ট এ হেয় করা হয়েছে সেই পোস্ট এ যারা লাইক দিয়েছে তাদের অনেকেই আমার পরিচিত এবং বেশ তথাকথিত শিক্ষিত...তাদের কে কি বলা যায়...তাদের বিকৃত রুচিকে জানাই শত ধিক...
কী বলব আর ? আপনাদের মত মানসিক শক্তি আমার কখনোই ছিল না।আমি খুব অল্পতেই কাতর হয়ে পড়ি। স্যারের লেখা আর তার পরবর্তী ঘটনাবলী নিয়ে যত না বিচলিত হয়েছি তার চেয়ে বেশি স্তব্ধ হয়ে গেছি এই আপনার মত একই অভিজ্ঞতা থেকে।
এদের কর্মকাণ্ড দেখে আমি শুধু নিজেকেই একটা প্রশ্ন করেছি এদেরকে চিনতে পারলাম না?
এত বড় ভুলটা করলাম কিভাবে ????????
মুহম্মদ জাফর ইকবাল আমাদের তরুণ সমাজের জন্য আলোর পথের দিশারী,তার বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার এর বিপরীতে আমাদের সবাই কে ঐকবদ্ধ হতে হবে ।
গাধাটার লেখা পরলাম...জাফর ইকবাল বাংলাদেশের সম্পদ।এই সব stupid লেখা কখনোই টিকবেনা...এদের নিয়মিত লিখে যাওয়া উচিত...এতে sieve হয়ে যাচ্ছে...
আমি নবীজীর জীবনীগ্রন্থ কম পড়িনাই। কিন্তু কোথাও পাইনাই যে উনি কোথাও কোনও কাফিরকে মুরতাদ ঘোষনা করসেন, ধইরা আইনা ধোলাই দিসেন, কিংবা তার মাথার জন্য পুরষ্কার ঘোষনা করসেন। সে সময়কার কাফির নেতা আবু জেহেল, আবু লাহাবের নামে তিনি কোনদিন কোথাও গালিগালাজ করসেন বা তাদের ব্যাক্তিগত জীবন বা পরিবার পরিজন নিয়ে কটুক্তি করসেন এমনটা এইসব So Called আশেকে রাসূলরাও বলতে পারবেনা। আমি বুঝিনা এরা কি কখনো এই ব্যাপারগুলা ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে ?
কেমনে কী করা যায়? ইয়েশিম এর ছবি নিয়ে রীতিমত ইতরামি শুরু করে দিয়েছে শুয়োরগুলো। দেশের বুদ্ধিবেশ্যারা কিছুই বলবে না?
লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো ! মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আমাদের দেশের একজন বিরল সম্পদ. আমাদের তথাকথিত কাগুজে বুদ্দিজীবিরা হয়তো তার পাশে এসে দাড়াবেনা কিন্তু আমরা যারা মুক্ত আলোর পরশ পেয়েছি জাফর ইকবাল এর মত বিরল বেক্তিত্বদের কাছথেকে এখনি সময় আমাদের তার পাশে দাড়ানোর. আর একটা হুমায়ুন আজাদ tragedy আমরা দেখতে চাইনা. ভাবলে একটু অবাকই লাগে যে দেশ গুনির কদর দিতে জানেনা তবুও সেই দেশে জাফর ইকবালের মত গুনীরা জন্মায় !
নোংরা অপপ্রচার করে নিজেদের নোংরা চেহারা আর অপরাধ কি মোল্লারা ঢাকতে পারবে?ভার্চুয়াল জগতে যা ইচ্ছে বলুক কিন্তু, ক্যাম্পাস-হাট-বাজারে কোন কটুক্তি করলে মোল্লাদের জিভ ছিড়ে ফেলুন।
এই মুহূর্তে জাফর ইকবালের সামনে দাঁড়িয়ে আমার বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, স্যার, আপনার মন হয়তো খুব খারাপ, কেননা ওরা আপনাকে নয়, আপনার আদরের সন্তানকে নিয়ে কুৎসায় মেতেছে।
কিন্তু আমি বলছি, আমি আপনার পাশে আছি। আমরা আপনার পাশে আছি। আমি ওদের জবাব দিব। আমরা ওদের জবাব দিব।
আপনি লিখুন। আরো লিখুন।
লিখতে লিখতে যখন ক্লান্ত হয়ে যাবেন, তখন টেপরেকর্ডারে ওদের বয়ান শুনুন।
তারপর দরজা বন্ধ করে মু হা হা করে হাসুন। ঘড়ি ধরে তিন মিনিট।
তারপর আবার লিখতে বসুন।
নিটোল আপনার লেখার সাথে মনে প্রাণে সহমত জানাচ্ছি। স্যারকে আমরা কখনই এইসব ফালতু বিকৃত রুচির মৌলবাদীদের কাছে অপমানিত হতে দেব না। ছাগু সম্প্রদায় বলে এই সব আগাছা পরগাছাদের আর সহ্য করা হবে না। যে যেভাবে পারি প্রতিবাদে সোচ্চার হই আসুন।
এই ধরনের একটি লেখার খুব প্রয়োজন অনুভব করছিলাম। লেখককে ধন্যবাদ।
জাফর স্যার , আপনি একা নন, আমরা হাজারো তরুন প্রজন্ম আপনার সাথেই আছি।
এইসব ছাগুদের ফেসবুক থেকেও ব্লক করা উচিৎ সবার। কারণ এদের ব্যা ব্যা ফেসবুকের মাধ্যমে চারিদিকে ছড়াচ্ছে। ফেসবুকে শুধু ছাগুদের একটা ব্লক থাকবে। তাদের লেখা, লিঙ্ক শুধু ছাগুরাই পড়বে। ছাগুমুক্ত বাংলাদেশ চাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শালাদের দেশ থেকে বের না করতে পারলে শান্তি নাই
স্যার আমরা সবসময় আপনার সাথে আছি...
লেখককে ধন|বাদ... বিকৃত লোক দিয়ে যে পৃথবী ভরে যায়নি, এই লেখাটি আর কমেনটগুলোই তার প্রমাণ।
প্রতি আক্রমণ যত তীব্র আর নীচ/হীন হবে মনে করতে হবে লেখকের উদ্দেশ্য তত স্বার্থক হয়েছে- আমি যদি এই লেখা লিখতাম তাহলে কেউ একটা মন্তব্যও করত না- জাফর স্যারের লেখার পর গায়ে আগুন লেগে গেছে একটা দলের- কারণ তারা জানে ওনার লেখা কতজনের কাছে পৌছাবে- সেটা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই মনে হয়- হতাশার কথা হচ্ছে তারা কিছু নির্বোধ মানুষের কাছে এইসব আসলেই সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে- প্রকৃত শিক্ষিত একটা সমাজে এটা তারা করতে পারত না-
গবেষক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের গত ১০ বছরের এচিভমেন্ট কিরাম?
হু কেয়ার্স? ছাগুদের দৌড়ের উপ্রে রাখার ব্যাপারে ওনার অ্যাচিভমেন্ট আপনার মতো দুই-দশটা পাকনার চে বেশি। লোকজন ঐটা নিয়েই হ্যাপি।
ঠিক এরকম একটা মন্তব্য দেখলাম ফেসবুকেও। এখানে গবেষণার অ্যাচিভমেন্ট কিভাবে রেলিভ্যান্ট?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমরা বিদেশে বইসা কত শত পেপার বাইর করতেছি, তাও আমাদের কোন পপুলারিটি নাই। আর ওই দিকে জাফর ইকবাল কবে কি রিসার্চ করছিলো, তার সে কি পপুলারিটি। এই সব দেখলে কার না গা জ্বলে?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
উনার গবেষণা নিয়ে কথা হচ্ছে কী!! পোষ্টের শেষে এসে যদি ভুলে যান, তাইলে আবার পড়েন।
আপনি গত ১০ বছরে কয়টা মৌলিক বই লিখসেন ? কে কখন কি করবে এইটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ! মুহম্মদ জাফর ইকবালের গত ১০ বছরের বইয়ের একটা মোটামুটি তালিকা দেখার জন্য নিচের লিংকে যান হে ছাগুধন
লিংক
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
বাঙ্গালী গো মানুচ করবার লাইগচে......এই গরু খোঁজ খানা চোখে পড়বার লাগে না ক্যালা।
বোরকা খুল্লেই ভোগ্য সামগ্রীতে পরিণত হতে হবে কেন? আমাজনিয়ান মহিলারা তো বোরকা ছাড়াই ঘুরছে, তাদের কে ভোগ করছে কবে? এইসব হারামজাদাগুলার পিটিয়ে ছাল তুলে ফেলা উচিত। মায়ে তো পিটায় নাই, এইবার বউ এর পিটানি খাওয়া উচিত। এগুলি শক্তের ভক্ত, নরমের যম। মেয়েরা মায়া করে করে সবগুলিরে ছাগু বানাইতেছে। যত্তসব।
দেশের আইনকানুন ভালা না, ছাগু পিটায়ে হাতের সুখ করা যায় না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার একটা টাইম বম্বের ফিউজের মতন। নবীন প্রজন্ম , শিক্ষিত প্রজন্ম, যাদের ক্ষমতা আছে এই দেশটাকে আমূল পালটে দেয়ার, যাদের মগজ ধোলাই করা যায় না আব্জাব বলে, তরুন সমাজের যেই অংশটার অপার ক্ষমতাকে ছাগু বাহিনী ভয় পায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে, সেই অংশটাকে বিস্ফোরিত করার ফিউজ হচ্ছে জাফর ইকবাল। উনার কিছু হইলে যে বিস্ফোরণ ঘটবে, তাতে ছাগু বাহিনীর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা। এইজন্য উনাকে এরা শারীরিক আঘাত করতে পারে না, আশে পাশে খালি ফোস ফোস করে... নানান ফন্দি ফিকির করে তার মনোবল ভাঙ্গার চেষ্টা করে, তার অনুসারী সোনার বাংলার স্বপ্নাদিষ্ট তরুনদের শ্রদ্ধা সরিয়ে নিয়ে তার অবস্থান দূর্বল করার চেষ্টা করে, নাইলে অনেক আগেই কল্লা নামায় দিত।
উনি আমাদেরকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন, যে এই পোড়ার দেশেও অনেক কিছু করা সম্ভব।
আমাদের স্বপ্নের জায়গাটা আমাদের মনের সবচে স্পর্শকাতর স্থান। ছাগু বাহিনী সেইখানে নাড়া চাড়া করার চেষ্টা করলেই এইজন্য ভালো দাবড়ানি খায়। এখানেই উনার শক্তির উৎস।
উনি যদি কখনো থেমেও যায়, আমাদের স্বপ্ন দেখা কি থেমে যাবে?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
মন্তব্যে পাঁচ তারা।
সব মানুষের জন্যই সন্তান হচ্ছে বড় ভঙ্গুর জায়গা। এই নব্য আল-বদরেরা সেখানে আঘাত করে জাফর ইকবাল স্যারকে থামিয়ে দিতে পারবে ভাবছে। কিন্তু স্যার থামবেন না, আমরা তার সাথেই আছি।
আমি খুব বিশ্বাস করতে চাই এই রকম নোংরা মানসিকতার লোকের সংখ্যা আমাদের দেশে খুব কম। আর যদি তা না হয়, দেশের অবস্থা খুব একটা ভালো না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। প্লীজ ইমেইল আইডিটা সরিয়ে ফেলুন। স্যারের নামে যত আজেবাজে কথা প্রতিদিন লেখা হচ্ছে সামু ব্লগে, সেসবওতো পাঠিয়ে ওনার দিন-রাত নষ্ট করে দিতে পারে কেউ কেউ। উনি একজন মানুষ আর বাবাতো ! এমন সব বাজে কথা নিজের কন্যার নামে দেখে ওনার খারাপ লাগা স্বাভাবিক ! তাই, প্লীজ ভালো লেখা পড়ানো যাক আর না যাক, খারাপ লেখার নোংরা ঢেউগুলো যেন ওনাকে কেউ স্পর্শ করাতে না পারে ।
নিটোল স্প্যাম ফোল্ডার সহ ইমেইল চেক করুন।
ভাইয়া, চেক করে দেখলাম। কিছুই তো পেলাম না।
আমার ইমেল আইডি-
ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই।
_________________
[খোমাখাতা]
অনেক ধন্যবাদ নিটোলকে। নামের মতই একটি নিটোল লেখা। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
চমৎকার লেখা (Y)।
ছাগু কিছু থাকবেই, সময়ের সাথে সাথে কমবে। সবাই এভাবে সরব থাকলে ছাগুরা এমনিতেই আউটনাম্বার হয়ে যাবে। তাদেরকে প্রতিরোধের উপায় তাদেরকে আউটনাম্বার করা, আর তাদের বক্তব্যগুলোকে প্রচার না করা।
স্যার যে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন, জামাতীদের তা পছন্দ না হবারই কথা। মেয়েদের পর্দার আড়ালে বন্দী করতে পারলে সমাজ কিভাবে পঙ্গু হয়ে যায়, তালিবালি আফগান'রা তার প্রমান।
জামাতীরা ঘোলা জলে মাছ শিকার করে। তাই বোরকা ইস্যু আর স্যারের মেয়েকে নিয়ে জনতার নজর ধোকা দিচ্ছে।
সরকারের উচিৎ ছিল ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু সেখানেও স্বার্থ আর রাজনীতি।
লেখার জন্য ধন্যবাদ, বাঙ্গালী যে জামাতী ছাগল নয়, সেটা বোঝানোর সময় এসেছে।
একেবারে ঠিক। একটা লেভেল পর্যন্ত সহ্য করা যায়, এর পর আর না। একেবারে মূল থেকে উপড়ে ফেলতে হবে।
স্যার আমাদের ক্ষমা করুন। স্যার যাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন তারা আপনার সাথে আছে।
আমার বন্ধুদের সাথে ছবি দেখলে তো ছাগুরা আমার নামে যুদ্ধ ঘোষণা করবে মনে হয়।
লেখা ভাল লেগেছে। অনেক অনেক শুভ কামনা।
আপনার জন্যও শুভকামনা।
এক হাতে তালি বাজে না
হ, এক হাতে তালি বাজে না, কিন্তু এক হাতে কষে চটকানা মারা যায়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমি ঠিক এটাই কাল লিখব ভাবছিলাম। ধন্যবাদ আমার নাম এরই আরেকজনকে।
আরে আরে, আপনিও নিটোল নাকি?
আপনাকে ধন্যবাদ।
সামুর ঐ পোস্টটার কথা মনে হলেই শিউরে উঠি। এতোটা অসভ্য, এতোটা নীচ আমরা? ঘেন্না ধরে যায়। রুচি বিকৃতির একটা সীমা থাকা উচিত।
জাফর স্যার অবশ্যই একা না... যুদ্ধে আছে অসংখ্য সৈনিক...
ধন্যবাদ নিটোল... সুন্দর লেখাটার জন্য
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার বই পড়া কেমন চলছে?
চারিদিকে জাফর ইকবাল স্যারকে নিয়ে যে তুমুল অপপ্রচার আর ভুল ব্যাখ্যার বন্যা বয়ে যাচ্ছে তার বিপরীতে নিটোল ভাইয়ের লিখাটা অনেক সুনির্দিষ্ট সঠিক ব্যাখ্যাসম্বলিত মনে হোলো । আপনাকে ধন্যবাদ অনেক । জাফর ইকবাল স্যারকে টার্গেট কেনো করা হোচ্ছে তা আপনি বোলে দিয়েছেন । তাই আমি আর কিছু আপাতত বললাম না । আবারো ধন্যাবাদ ।
দেশটা ছাগুতে ছেয়ে গেলো লেখককে সাধুবাদ জানাই সুন্দর লেখাটার জন্য
ছাগুদের এইসব তর্ক আবারও প্রমাণ করলো তারা কতটা নোংরা...
স্যারের সাথে আমরা সবসময় ছিলাম, আছি এবং থাকব...
লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো ভালো একটা লেখার জন্য..
গত সাত-আট বছরে খুব কাছ থেকে দেখা একটা টুকরা অবজারভেশন বলি, কোন রকমের দোষারোপ, অঙুলিনির্দেশনা কিচ্ছু না, সিম্পল এক খণ্ড পর্যবেক্ষণ, পাবলিক ইউনিভার্সিটি আর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোতে সবচেয়ে বেশি ছেলেবন্ধু থাকা, আর প্রেম করতে সফল মেয়েরা দেখলাম সবাই হিজাব পরিহিতা!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঘোমটার তলে খ্যামটা নাচ, কথাটা এদের দেখেই পয়দা হইছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বিখ্যাত মানুষদের নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করলেই বিখ্যাত হওয়া যায় না, এই কথা যে এরা কবে শিখবে। উনি দেশের জন্যে কি করেছেন আর যেই বেটা উনার নামে কুৎসা রটাচ্ছে সেই এই দেশের জন্যে কি চুল ছিড়েছে খুব জানতে ইচ্ছে করছে... এদের থুথু দিতেও ঘেন্না করে ...নিজের গলাটায় শুধু শুখিয়ে যায় আর এরা আমাদের থুথু চেটে নিজেদের গলা ভিজায়...
ভালো লাগলো আপনার বিশ্লেষণ কিন্তু সেসের মন্তব্যটা অগ্রহঞ্জজ্ঞ।।আদুনিকতার জন্য দরমের প্রয়োজন নেই-এইভাবে কথাতি না বললেই পারতেন।অরা যেমন বারতাবারি করসে আপ্নিও থিক ওদের মতই বারিয়ে বললেন ভাই।রেলিগিওন জার জার নিজের বেপার,কিন্তু প্রকাসসে কন লেখনিতে আপনারও এইভাবে বলা থিক হয়নি।আমাকে আবার জামাত শিবিরের লক ভাব্বেন্না।হয়ত এরকম বললাম আমার বয়স অনেক হয়েসে বলে।কিসু মনে করবেন্না।
লেখা টা পড়ে মন খারাপ হল।আমি মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার কে অনেক পছন্দ করি। আমি কখনই believe করি না যে স্যার মেয়েদের জন্য খারাপ, এমন কিছু বলতে বা করতে পারেন।বাংলাদেশ এ তিনি আমার জন্য একজন idol.পুরা দুনিয়া তাকে খারাপ বল্লেও আমি believe করব না।
কিন্তু এই writer এর কিছু কথা আমি support করতে পারলাম না।আমি নিজে বোরখা না পরলেও আমার মনে হয়না এটা কখনই বন্দিত প্রকাশ করে। যে মেয়ে নিজের ইছায় শরীর ঢেকে রাখার জন্য বোরখা পড়ে তাকে কি আপনি খারাপ বল্লবেন?তার কি freedom নাই?আধুনিকাতা মনে, পোশাকে নয়...
আমাদের সবারই মত প্রকাশ করার right আছে। কিন্তু এটাও খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন কারো মনে আঘাত না করে।না হলে যাদের বিরুধে লিখলেন, তাদের সাথে আপনার difference কোথায় থাকল??
সবার শুভ চিন্তার উদয় হোক, এই কামনায়...
নাদিয়া
এত কষ্ট করে বাংলার মাঝে ইংরেজী মিশিয়ে না লিখে পুরোটা বাংলায় লিখতে পারতেন। ইংরেজি শব্দের বাংলা জেনে নিতে http://translate.google.com/#en|bn ব্যবহার করে দেখতে পারেন। মন্তব্য চলুক।
@নাদিয়া,
দেখুন,আমার যদি মন যুগিয়ে কথা বলতে হয়,তবে স্বাধীনতার থাকলোটা কোথায়?সভ্য ভাষায় আমার যা বলার তা বলবো,গ্রহণ করা না করা তো আপনার ব্যাপার।
"আমি তোমার মতের সাথে একমত নাও হতে পারি,কিন্তু তোমার মত প্রকাশের অধিকারের জন্য আজিবন লড়াই করে যাবো।"
লেখককে সাধুবাদ জানাই সুন্দর লেখাটার জন্য
অনেক সুন্দর লেখা
একিউট জাজমেন্ট....সুপালাইক্
biborno akas, আপনার আকাশ সত্যিই বিবর্ণ ! আপনি যদি বলতে পারেন ধর্মের প্রয়োজন আছে তাহলে আমি কেন বলতে পারবোনা ধর্মের প্রয়োজনই নাই? ধর্ম যদি এতই 'যার যার ব্যাপার' হবে তাহলে মসজিদে নামায পড়া কেনো, ঘরে বসে সেজদা দেন। আর আপনার/আপনাদের যদি জনসমক্ষে না্মায/প্রার্থনা করার, ধর্ম মানার অধিকার থাকে, তাহলে আমারো মাইক্রোফোন সাটিয়ে বলার অধিকার আছে-ধর্ম আমি মানিনা।
নাদিয়া, যে মানুষটা (মেয়েটা) বোরখা পরে চোখ ঢেকে, চুল ঢেকে, মাথা ঢেকে, পা ঢেকে জৈষ্ঠের গরমে ঘুরে বেড়ায় তার স্বাধীনতার অভাব আছে বৈকি খোলা বাতাসে নিশ্বাস নেবার ! আর ঐযে বলছেন নিজ ইচ্ছায় পড়ছে, ঐ নিজ ইচ্ছাটাও আসলে সমাজ-রাষ্ট্রের অনেকদিনের ধর্মীয় প্রনোদনায় তৈরি করে দেয়া। আপনা আপনি আসেনা বোরখা পড়া বা খোলার ইচ্ছা !
আপনাকে একটা সাধারন উদাহরন দেই। একটা মেয়ে হয়ে বাংলাদেশে অনেক গুলো বছর বেড়ে উঠে আমার যে কোনদিন ফুটবলে লাথি মারতে ইচ্ছা করলোনা তার কারন আমি আজ বলতে পারি, আমার খেলতে ইচ্ছা করেনা, আমি রান্না করেই আনন্দ পাই। কিন্তু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে অন্য ঘটনা। আমার যে আজ ফুটবল খেলতে বা বোরখা খুলে ফেলতে ইচ্ছা করেনা তার কারন আমি সেই সুযোগই পাইনি খেলার বা মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেবার। এতদিনের অনভ্যস্ততায় আমার আর ইচ্ছাটাই নাই। আমি তাই আজ বলতে পারি-আরে আমি কেন ফুটবল খেলবো বা বোরখা খুলবো। আমি নিজ ইচ্ছাই খেলছিনা বা বোরখা খুলছিনা।
_________________
[খোমাখাতা]
উনি একা নন, আমরা আছি পাশে..........
_____________________
Give Her Freedom!
ছাগুদের জবাব কুরানের সঠিক ব্যাখার মাধ্যমেই দেওয়া সম্ভব। তারা যে হাদিস এর উপর ভরসা করে ফতোয়া জারি করে সেটা কুরানের আলোকেই প্রমান করা সম্ভব যে তারা কেমন ভন্ড। আমাদের যা করতে হবে তা হল কুরান কে সঠিক ভাবে বুঝা। যা আমরা এতদিন যেসব ই্সলামিক নিয়ম নীতি জেনে এসেছি তা বেশিরভাগ ই কুরানের ভুল ব্যাখা অথবা হাদিস থেকে এসেছে, এর সাথে কুরানের কোনো সম্পর্ক নাই। এই ওয়েবসাইট এ কুরানের সঠিক ব্যাখা পাওয়া যাবে সব বিষয়েই।
http://www.quran-islam.org/main_topics/misinterpreted_verses_(P1224).html
আপনি কিভাবে শিওর হলেন যে আমরা এতদিন যা জেনে এসেছি তা ভুল ব্যাখ্যা? এখন যে আয়াত-হাদিস আধুনিক সমাজের অথবা বিজ্ঞানের সাথে সাংঘরষিক সেখানে নিজেদের মত ব্যাখ্যা দিলেই সেটাকে ঠিক মানতে হবে?
আপনি লিঙ্ক না পড়েই মন্তব্য করলেন। আমি কখনই বলিনি কুরানের আয়াত, কুরানের অন্য আয়াত বা সমাজ বা বিজ্ঞানের সাথে সাংঘরষিক। তবে হাদিস এর অনেক কিছুই কুরানের আয়াত এর সাথে সাংঘরষিক, এমনকি অন্যান্য হাদিসের সাথেও সাংঘরষিক। আরটিকেল টা ভালমত পরুন, সব যুক্তিগুলোতেই কুরান এর আয়াত এর রেফারেন্স দেওয়া আছে। নিজেই যাচাই করে নিন।
এক এক কালে এক এক হুজুরে নিজের মনের মাধুরী মিশায়ে কোরান হাদিসের ব্যাখ্যা দিসে, একটা ঠিক আরেকটা ভুল এটা কি নিশ্চিত করে বলা যায়? হতে পারে সবগুলাই ঠিক, বা সবগুলাই ভুল। ধর্মগ্রন্থ পড়ে আপনার নিজের কি উপলব্ধি হল সেটা আপনার ধর্ম, আপনার জীবনে আপনার মতো করে পালন করবেন। অন্যের ঘাড়ে চাপাবার কি দরকার? আপনাকে তো সবাইকে আপনার মতে টেনে আনার দায়িত্ব সহকারে নব্যুয়ত দিয়ে পাঠানো হয়নি ।
বিঃ দ্রঃ এটা উপরের মন্তব্যকারীকে ব্যাক্তিগত আক্রমণ না, সকল হেদায়েতকারী হুজুরে আলাদের প্রতি জেনারেল মন্তব্য।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
চমৎকার একটি লেখা।পড়ে অনেক ভাল লাগল।
যারা স্যার কে নিয়ে খারাপ কথা বলে তাদের মগজ যে কত ছোট সেটা দেখলেই বুঝা যায়।আমার মনে হয় এই মানুষদের দেখে বানর অ বলতে চাবে না যে মানুষও এক সময় বানরদের একটি জাত ছিল।এরা যে কত আহাম্মক সেটা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়। মোটকথা ইহারা মানুষের জাত না এবং ইহারা অ মানুষ অ না।ইহারা এক্তি আলাদা প্রজাতি।
সবার এটা মনে রাখা উচিত যে একজন মহৎ মানুষ এর সমলচনা করতে হলে অনেক বড় হতে হয়।
তাই মানসম্মান বোধ থাকলে দয়া করে কিছু বলার আগে ভেবে নিয়ো (আহাম্মকদের জন্য)
একটা লেখা নিয়ে সবাই দুটো দলে ভাগ হয়ে যাচ্ছিঃ একদল যারা মুঃ জাঃ ইকবালকে শত্রু মনে করেন,আর একদল যারা উনার ফ্যান। যারা ফ্যান তাদের সুবিধা হচ্ছে তাঁরা উনার লেখার স্টাইলটা বুঝেন এবং লিখক কি বলতে চান সেটা হৃদয়ঙ্গম করতে পারেন। আর অন্য দল শুধু ভুল ধরতে চান আর বিরোধিতা করতে হবে বলেই করেন। অনেকেই মুঃ জাঃ ইকবাল এর পুরো লিখাটি ঠিকমতো না পড়েই কমেন্ট করেছেন এবং এখন বুঝতে পারছেন তাঁরা কি ভুলটা করেছেন। তবে একটা বিষয় নিয়ে স্যার তাঁর অবস্থান পরিস্কার করেননি, হিজাব বা বোরকা কে উনি কেন নারীদের জন্য বাঁধা মনে করেন?? কেউ যদি তাঁর ধর্ম সঠিক ভাবে পালন করতে চায়, সেটা কি তাকে করতে দেয়া উচিত নয়?? মুঃ জাঃ ইকবাল উনার নিজেরি একটা লিখায় একবার বলেসেন......"কেউ যদি তাঁর ধর্ম সঠিক ভাবে এবং নিষ্ঠার সাথে পালন করে তাতেতো অন্যদের আনন্দিত হওয়ার কথা, কারন পৃথিবীর কোন ধর্মই কাউকে অসৎ পথ দেখায় না, সব ধর্মই মানুষের মঙ্গল চায়। আর কেউ যদি ধার্মিক হয় তাহলে তাঁর জন্য আর কোন আইনের দরকার হয়না" (খুব সম্ভবত লিখাটি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যা লগুদের অধিকার নিয়ে লিখা হয়েছিলো প্রথম আলোতেই) তাই আমি বুঝলাম্না উনি কেন এখন 'বোরকা' বা 'হিজাব' নিয়ে সন্ধেহ প্রকাশ করছেন, যেটা একটা ধর্মীয় বিধান...।
কেন হিজাব নিয়ে কি ইরানি মেয়েরা অলিম্পিক গেমস এ অংশ গ্রহন করেনি?? কোন ইরানি ছবিতে কি কোন মেয়েকে কেউ হিজাব ছাড়া দেখসেন?? সেগুলো কি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কার জেতেনি!! আর কেউ যদি "হিজাব" করে বুয়েট মেডিকেল এ পড়তে পারে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠান এ লেকচারার হইতে পারে তাহলে কি আমাদের আনন্দিত হওয়া উচিত নয় ??? কেউ তাঁর ধর্মীয় বিধান মেনে চলছে এবং জীবনে সফল হয়েছে বা হচ্ছে ।
আহেম, ইরানে হিজাব বাধ্যতামুলক। এরা কেউ ইচ্ছা করে পরে না। একবার ইরানের বাইরে আসলে পরে এরা হিজাব ত দূরের কথা, বিকিনি পরে ঘুরে। নিজের চোখে কত উদাহারণ দেখলাম।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ওটাই বলতে যাচ্ছিলাম। আর বাধ্যতামূলক করার আগের ইরানের শহুরে মহিলারা পোশাক ও জীবনযাপনে কত বেশি ওয়েস্টার্নাইজড ছিলো সেটাও জানা থাকা উচিত মন্তব্য করার আগে!
বর্তমানের ইরানি স্পোর্টসওম্যানরা আবার নিজের দেশেই ফেরত যাবেন, কাজেই তাঁদেরকে ঐকথা মাথায় রেখেই বিদেশের মাটিতে খেলার পোশাক পরতে হয়, সরকারী নীতিমালাও থাকতে পারে স্পোর্টসওয়্যার কী হবে তা নিয়ে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শিশিরকনা, কেউ বিকিনি পরবে নাকি "হিজাব" করবে সেটা তাঁর একান্তই নিজের বিষয়। আপনি শুধু 'বিকিনি'টাই দেখলেন কেউ যে হিজাব করসে সেটা কি দেখেননি? ধর্মীয় বিধানের অংশ হিসাবে যদি কেউ হিজাব করে তাকে কি সেটা করতে দেয়া উচিত নয়?? আপনি কি কারও ধর্মীয় স্বাধীনতাই বিশ্বাস করেননা ?
হিজাব কি শুধু ইরানি মেয়েরাই করে, বাংলাদেশেও অনেকে হিজাব করেন এবং সেটা ধর্মীয় একটা বিধানের অংশ হিসাবেই করেন। এবং তাঁরা চট করে বিকিনি পরে নিজের সাথে প্রতারণাও করেননা। যদিও কেউ করেন সেটা একান্তই তাঁর নিজের ব্যাপার। আপনি যদি কিছু পালন করতে না চান বা না করেন সেটা আপনি করতে পারেন কারন অনেকেই ধর্মীয় রীতি নীতি মানেননা। কিন্তু কেউ যদি তাঁর ধর্ম, নিষ্ঠার সাথে পালন করতে চান তখন সেটাকে কেন এতো নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেন ???
আরেকটা নিতান্তই নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ, (তবে পুরুষ-মহিলা কাউকে বললেই কেন যে ক্ষেপে যান!), 'হিজাব করি না-হিজাব ধরলাম-হিজাব ছাড়লাম-হিজাব পুনঃধরলাম-হিজাব ছাড়লাম-হিজাব ধরলাম' এই ভিশাস সাইকেলটা কারো কারো মধ্যে ব্যাপক ভাবে দেখতেছি। আমার খুব জানার ইচ্ছা, এইটা কি একটা নতুন ফ্যাশন স্টেইটমেন্ট?!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমিও খেয়াল করেছি। সেদিন বিদেশে পড়ুয়া এক ফ্রেন্ড বলল, তার মাঝে মাঝে হিজাব করতে ইচ্ছা করে, কারন অনেক বিদেশীর মাঝে হিজাবীদের দেখলে মনে হয় তাদের একটা আলাদা আইডেন্টিটি আছে, যেখানে নিজেকে তার ক্ষ্যাত ইন্ডিয়ান্দের মত লাগে।
অনেকেই 'ফেশান' করার একটা উপায় হিসেবে দেখছে এটা। শেষ পর্যন্ত এটা একটা ফ্যাশান বা স্টাইলই।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমার এক ক্লাস-মেট ছিলো কলেজে, তার সম্ভবত একজন বয়ফ্রেন্ডও ছিলো, এখন মনে পড়ছে না, কারণ এমনিতেও সে বেশ ছেলে-পরিবেষ্টিতা হয়েই থাকতো। হঠাৎ দেখি একদিন বোরখা পরে চলে আসলো। আমি একটু গবেট টাইপের ছিলাম আগা-গোড়াই, মানুষকে হুট করে মুখের উপরে কিছু জিজ্ঞেস করে অপ্রস্তুত করে দিতাম (কেন যে আমি এত বাজে!) তো যাইহোক, আমি তাকে দেখে হাঁ করে তাকিয়ে থাকলাম খানিকক্ষণ দিয়ে সবার সামনে জিজ্ঞেস করে ফেললাম, "সেকি! তুমি বোরখা পরেছ কেন?!" মানে আমি আসলে বেশ বিস্মিত ছিলাম, নিজের বিস্ময় লুকাইতে পারিনি আরকি। আমি নিজে তো কোনদিন পর্দা করি নাই, তাও ছেলেরা কোনদিন আমাকে সেভাবে জ্বালাবার মানে যেটাকে ইভ-টিজিং বলে সাহস পায়নি, আমি নিজেও সুযোগ দেই নাই, আর কেউ জ্বালাতন করলে আমি তার ঠ্যাং ভেঙে হাতে ধরায়ে দেবার অ্যাবিলিটি রাখতাম নিজেই, তো যাই হোক। তার উত্তর শুনেও বেশ অবাক হলাম, সে সবার সামনে ভালোকরে কিছু বললো না, যেটা বুঝলাম গাঁইগুঁই জবাব থেকে, যে তাকে যেন কে রাস্তায় না পাড়ায় ডিশটাব্ করতেছে, তাই সে বোরখা পরছে। আমি বললাম, "অ!" তো কলেজে বোরখা পরেই গুণগ্রাহী পরিবেষ্টিতা হয়ে থাকলো বেশ কিছুদিন। একদিন সত্যিকারের কৌতুহল থেকে জিজ্ঞেস করলাম, "যে কী অবস্থা?" তো এড়ায়ে গেলো। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার পরে একদিন দেখা হলো, বোরখা নাই, পুনরায় ফুল-মেকাপে, ফ্যাশনেবল জামা-কাপড়ে। জিজ্ঞেস করলাম, "কীহে? প্রবলেম সলভড?" জানলাম বিবাহ ঠিক হইয়া গিয়াছে, কোন এক পাত্রের সহিত। মনেমনে ভাবলাম, পাত্র অমুক শহরে থাকলেও তার আর বোরখার দরকার নাই, বডিগার্ড + ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। আমার জীবনের প্রথম স্মরণীয় হিজাবীয় ফ্যাশনীয় ঘটনা এইটা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বিকিনি আর হিজাব ছাড়া কি আর কোন পোশাক নাই না কি!!!
_____________________
Give Her Freedom!
চরম!
আমি কি পরব, পুরাই আমার ইচ্ছা। আপ্নের কী?
বলতে চেয়েছি অধিকাংশ ইরানী মেয়েরা নিজের ইচ্ছায় হিজাব করে না। পরিসংখ্যান চাইলে বলতে পারি ১০টা মেয়ের মধ্যে একজনকে দেখেছি হিজাব পরতে। প্রথম সুযোগ পাওয়া মাত্র এরা হিজাব বাদ দিয়ে স্বাভাবিক/ স্বাচ্ছন্দ্যময় পোশাক বেছে নিয়েছে। ১০ জনের মাঝে আবার ২-৩ জনকে দেখেছি যারা বিকিনি এক্সট্রিমে চলে গিয়েছে। কিন্তু ইরানে থাকতে এদের সবাইকে বাধ্য করা হয়েছে হিজাব পড়তে।
হিজাব/ বুরকা যদি এত সাপোর্ট করেন, ১ মাস গায়ে একটা বোরকা চাপায়ে ঘুরেন, দেখেন সেটা কতটা আরামদায়ক।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা,
দয়া করে আমার কথাগুলো শুনুন, আমি শিবির বা অন্য কিছু না, আমি একজন মুসলিম হিসেবে বলতে চাই, আমি বেক্তিগতভাবে মুহাম্মাদ জাফর ইকবালকে পছন্দ করি। একজন বিজ্ঞানী ও শিক্ষক হিসেবে তাকে আমরা সবাই সম্মান করি। উনার প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, ইসলাম কেন নারীদের কে তাদের শরীর ঢেকে রাখতে বলে, শালীন পোশাক পরিধান করতে বলে বা কেন হিজাব পরতে বলে তার কোনো যৌক্তিক কারন হয়তো উনি খুজে পায়নি। বরং উনার কাছে এটাকে নারীদেরকে শোষনের একটা পথ হিসেবে মনে হয়েছে। আমি মনে করি উনি যা বলেছেন তার মূল কারন এটাই। একটা জিনিস আমরা মানি যে সবাই সব কিছু জানে না। আবারো উনার প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই যে, তিনি হয়তো জানেন না হিজাবের উদ্যেশ্য, প্রয়োজনীয়তা, বা কেন ইসলাম কেন হিজাব পালন করতে বলে। তিনি কখনও জানার চেষ্টা করেছেন কিনা জানি না, মনে হয় করেননি।
আমি একটি ভিডিওর লিংক দিলাম, (১০ মিনিটের ভিডিও)
http://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=C7dXXA6Ck8E
অথবা, ইউটিউবে খুজুন,
Hijab Oppression or Liberation, Burka Ban, Ahmed Deedat নাম লিখে।
আপনারা যদি নিরপেক্ষ ভাবে খোলা মন নিয়ে এটা দেখেন(বিশেষ করে শেখ দিদাতের কথা), তাহলে আপনাকে মানতেই হবে, হিজাব কখনই নারীদের ছোট করে না, অত্যাচার করে না, বন্দী করে না, বরং তাদের মর্যাদা বাড়ায়, তাদের হেফাজত করে অসৎ পুরুষদের হীন আকাঙ্খার দৃষ্টি থেকে।
এটা সকল মুসলিমের দায়িত্ব, সত্য প্রচার করা। আশা করি, প্রিয় মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার যেদিন এটা জানবেন, তিনিও বলবেন- হিজাব নারীদের অত্যাচার করে না, তাদের রক্ষা করে, মর্যাদা বাড়ায়।
আশা করি সবাই ভিডিওটি দেখবেন। এটা অপনাদের সকল ভুল ধারনা দুর করবে ইনশাল্লাহ।
http://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=C7dXXA6Ck8E
Muhammadkamrulhossain@gmail.com
জোকার নায়েক ছেড়ে দিদাত এ যাওয়াটা অনেকটা ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়া হয়ে গেল না?
হিজাব পড়িয়ে নারীদের রক্ষা করার চেয়ে, অসৎ পুরুষকে হেদায়েত করাটা কী বেশী জরুরী না?
আপনি মনে হয় জানেন না, আল্লাহ কুরআনে প্রথমে পুরুষদের হিজাবের কথা বলেছেন তারপর নারীদের।
বিশ্বাস না হলে দেখুন সুরা নুর(২৪ : ৩০-৩১)
আপনি বললেন কোনটা বেশী জরুরী, দুটোই বেশী জরুরী।
কিন্তু ভাই আজ পর্যন্ততো আপনাদের মুখে পুরুষের হিজাবের কথা শুনলাম না, নারীরটাই শুনি। পুরুষ্দের হিজাবটা কি রকম এট্টু বলেন দিকিনি
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন-
"নবী ! মু’মিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে২৯ এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে ৷৩০ এটি তাদের জন্য বেশী পবিত্র পদ্ধতি ৷ যা কিছু তারা করে আল্লাহ তা জানেন ৷"[২৪|৩০]
পারলে কুরআন খুলে আয়াতটি ব্যাখ্যা সহ দেখে নিবেন।
কামরুল ভাই, লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করতেছেন তো ঠিকমতো?
সামনের দিকে করছেন সেইটা দেখতে পাচ্ছি। তবে আপনার কমেন্ট দেখে বুঝলাম কামড়ুল ভাই পিছন দিক ঢাকতে ভুলে গেছেন।
ওরে কামরুল, কই ছিলি এতদিন। আয় বাবা বুকে আয়।
বুরকা পড়েই আয়।
@বিদ্রোহী
সবাইরে নিজের মত ভাবেন না কি?
@ হিমু
আপনে আমি দুজনেই যাতে করতে পারি এই দুআ করি।
কামরুল ভাই, চলেন বোরখা পরি। বোরখা ছাড়া নারীর লজ্জাস্থান হেফাজত হয় না, পুরুষের লজ্জাস্থান কি হেফাজত হবে?
অ্যাঁ! আমি আমার লজ্জাস্থান নিয়ে কি করি এইটা আল্লাপাক বসে বসে দেখতেছেন! আগে বলবেন না?
আপনিও নিচের লিংকটা পড়ে দেখতে পারেন
http://www.sachalayatan.com/node/41918#comment-462069
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
@রাজিব মোস্তাফিজ
আপনার এই সব বিকৃত মানসিকতার এবং কামুক লোকদের হেদায়াত কামনা করি।
আর বলি, আপনার এই মানসিকতা দ্বারা খাটি হয়া যাবে না, আগে আপনার মন, চিন্তা খাটি করার চেষ্টা করেন।
গল্পের আদমের রোলে নিজেকে আবিষ্কার করে মন খারাপ হয়ে গেল বুঝি ?
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
@মুহাম্মাদ কামরুল,
আপনি তো ভাই গোড়াতেই গলদ্ করলেন। নিজেকে মুসলিম না ভেবে মানুষ ভাবুন। তারপর নিজের ই দেওয়া লিংকগুলোতে ঢুঁ মারুন। আশা রাখি আপনার ও ভ্রান্ত ধারণা দূর হবে। অযথা ধর্মের গীত গাইয়েন না দয়া করে। ভাল থাকবেন।
@আমি আমার
ভাই, আপনি ‘মুসলিম’ শব্দটার অর্থ জানেন? মনে হয় জানেন না, জানলে এ কথা বলতেন না।
মুসলিম মানে যে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয় না, স্রষ্টার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়।
যদি ‘মানুষ’ হয় ক্লাস ১ তাহলে মুসলিম হলো ক্লাস ১০. একজন মানুষ চুরি করতে পারে, ডাকাতি করতে পারে, খুন করতে পারে, ধর্ষন করতে পারে, শান্তি নষ্ট করতে পারে কিন্তু মুসলিম হলো সেই বেক্তি যে এসব করে না, যার দ্বার সমাজের উপকার হয়।
আমরা সমাজে যে সকল মুসলিম দেখি তাদের বেশিরভাগই নামে মাত্র মুসলিম। যদি সত্যিকার মুসলিম দেখতে চান তাহলে নবী মুহাম্মাদ (সা.) কে দেখুন।
আর যদি সাহস থাকে ভিডিও টি দেখে কথা বলবেন।
আপনিও ভালো থাকবেন।
কামরুল ভাই রে, দুইন্যাতে মুসলিম তাইলে এখন আর একটাও নাই রে ভাইডি। আপনার ডেফিনিশনের ঠ্যালায় পৈড়া দুনিয়াটা আজ মুসলিমশূন্য।
@হিমু
আপনার তাহলে সেটা পছন্দ হয়েছে!
ভাই আপনি মনে হয় 'ব্রেইন ওয়াশড' হয়ে আছেন, তাই আপনার চোখে মুসলিম ধরা পড়ে না।
হয়তো কেউ আপনাকে ইসলাম সম্পর্কে উল্টা-পাল্টা বুঝাইছে, ঐ 'আত্তঘাতী' দের মত। তারা ভুল বুঝে খারাপ কাজ করতেছে(ইসলামের নামে)। আপনি হয়তো 'প্রোগ্রামড' হয়ে আছেন।
তাই ভাই, সঠিক ইসলামকে জানার চেষ্টা করুন। হাতে গোনা কিছু মুসলিম আছে , তারা নামধারী, তারা ইসলামের অপব্যবহার করে, তাদের দেখে ইসলামকে বিচার করবেন না।
ইসলামকে বিচার করুন নবী মুহাম্মাদ (স) কে দেখে।
ভালো থাকবেন।
আপনি মুসলমানের যে সংজ্ঞা দিলেন, তাতে বুঝলাম আল্লাহপাক পৃথিবীতে বহুদিন ধরেই মুসলমান পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু আপনার কাছ থেকে আমি ইসলাম সম্পর্কে শিখতে চাই। আমি ব্রেইন ওয়াশড হয়ে থাকতে চাই না গো।
এখন আমাকে পাঁচজন খাঁটি মুসলমানের নাম বলেন, যাদের দেখে সঠিকভাবে ইসলামকে বোঝা যাবে। আমি প্রথম দুইজনের নাম বলি, বাকি তিনটা আপনি বলেন।
১. হযরত মুহাম্মদ (স)
২. মুহাম্মাদ কামরুল
৩. ?
৪. ?
৫. ?
_________________
[খোমাখাতা]
১। হযরত মুহাম্মদ (স)
২। হযরত আবু বকর (রা)
৩। হযরত উমর (রা)
৪। হযরত আলী (রা)
৫। হযরত উসমান(রা)
এই ৫ জন খাটি মুসলমান। এদের দেখলেই ইনশাল্লাহ সঠিকভাবে ইসলাম বুঝতে পারবেন।
তাহলে এই যে ছাগুর দল মেয়েদের বস্তায় ভরার জন্য খেপসে, এরা নিশ্চয়ই একটাও খাঁটি মুসলমান না, তাই না?
@হিমু
ভাই কেউই কাউরে 'বস্তায়' ভরতে চায় না। শোনেন-
জনাব রজনী, বললেন “বোরখা পরে চোখ ঢেকে, চুল ঢেকে, মাথা ঢেকে, পা ঢেকে জৈষ্ঠের গরমে ঘুরে বেড়ায় তার স্বাধীনতার অভাব আছে বৈকি খোলা বাতাসে নিশ্বাস নেবার”.
আপনার জ্ঞাতার্থে বলি, পারলে ‘জৈষ্ঠের গরমে’ হিজাব পরা কোনো নারীকে জিজ্ঞাসা করবেন, কে তাকে এটি করতে বলেছে। যারা আল্লাহকে ভালোবাসে, তারা তার নির্দেশ মেনে চলে, পর্দা করার ইচ্ছা তাদের আপনা আপনি আসে।
বললেন, “গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে অন্য ঘটনা”, ভাই এটা আপনার চিন্তা-ভাবনা, কেন এটাকে সবার মত বলছেন? আপনি যে ভাবে ‘প্রোগ্রামড’ হয়ে আছেন সেভাবেই চিন্তা করছেন।
আর আমি আপনার সাথে একমত যে কিছু নারীকে পর্দা করতে বাধ্য করা হয়। তবে এটা ইসলামের মত নয়। আল্লাহ বলেছেন, “দ্বীনের ব্যপারে জোর-জবরদস্তি নেই, ভ্রান্ত মত ও পথ থেকে সঠিক মত ও পথকে ছাঁটাই করে আলাদা করে দেয়া হয়েছে।“[২:২৫৬]
যার ইচ্ছা সে করবে, যে চায় না করবে না। যে হিজাব করতে চায় তাকে আমরা নিন্দা কোন অধিকারে? আর যে চায় না তাকে বাধ্য করব কোন যুক্তিতে? তবে হিজাবকে অন্যায়, অত্যাচার, শোষন ইত্যাদি বলবেন না।
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, ইসলাম যদি মহিলাদের অত্যাচার করে, তাহলে অমুসলিম মহিলারা ইসলাম গ্রহন করে কেন? সত্যি আপনার বোঝায় গলদ আছে।
আপনি কি জানেন, আমেরিকাতে প্রতিদিন গড়ে ২৭১৩ মহিলা ধর্ষনের শিকার হয়?[Statistics U.S. dept. of justice 1996] । শুধু ১৬% ঘটনা পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছিল (1992)
অথ্যাৎ প্রতি ৩২ সেকেন্ডে ১ জন মহিলা ধর্ষিত হয়। কেন? সব দোষ কি শুধুই পুরুষদের? মহিলাদের পোষাক-আষাক কি মোটেই দায়ী নয়?
শুধু তাই নয়, সেখানে ৮০% এরও বেশী মেয়ে তাদের কুমারিত্ব হারায় স্কুল পাশ করার আগেই।
আমরা মুসলিমরা আমাদের মা, বোন, কন্যা দের ভালবাসী, আমরা চাই না তাঁরা লাঞ্ছিত হোক, ধর্ষিত হোক, শোষিত হোক। আপনারা যদি চান তাহলে আর কিছু বলার নাই।
সাহস করে ক্লিপটি দেখতে পারেন, আপনাদের সমস্যার সব উত্তর এখানে হয়তো পাবেন:
http://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=C7dXXA6Ck8E
আমি একবার লোকাল বাসে এক চাচীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, চাচী আম্মা, আপনি এই যে গরমের দিনে এই কালো বোরখা পরে বাসের ইনজিনের কাছে বসছেন, আপনার কষ্ট হয় না? উনি হাসলেন। বললাম, আপনারে এই বোরখা পড়তে বলছে কে? উনি বললেন, বোরখা ছাড়া বাইর হইলে ছেলে রাগ করে। উনি কিন্তু বলে নাই, আল্লাহ রাগ করে।
এইবার কামরুল ভাই, বলেন দিকিনি, জ্যৈষ্ঠের তালফাটা গরমে আপনি নিজে বোরখা পরেন না কেন? আল্লাহপাক তো আপনাকে লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে বলেছেন। আপনি কেন আপনার লজ্জাস্থান বোরখা দিয়ে উত্তমরূপে ঢেকেঢুকে চলাফেরা করেন না? তবে কি আপনি আল্লাহকে ভালোবাসেন না? আপনার বোরখা পরার ইচ্ছা কি আপনা আপনি আসে না?
চারিদিকে কত বেগানা নারী। আপনার যে ব্যায়ামপুষ্ট সুঠাম দেহটি আল্লাহ আপনাকে দিয়েছেন সুন্দর জীবন যাপনের জন্য, সেটির প্রতি (আল্লাহ মাফ করুন) এই বেগানা নারীর দৃষ্টি পড়লে তারা আপনাকে কোনো ওয়াসওয়াসায় ফাঁসিয়ে দিতে পারে। আপনি যদি এই ধরনের কোনো গিয়ানজামে ফেঁসে গুনাহগাঁড় হন (আল্লাহ মাফ করুন), পরকালে কত হুর আর কত গেলমান আপনাকে সেবাদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা আপনাকে নিয়ে টেনশনে আছি কামরুল ভাই, আপনি অবিলম্বে অতি সত্বর আল্লাহপাকের নির্দেশ অনুযায়ী আপনার লজ্জাস্থানগুলি বোরখা দ্বারা আবৃত করে আগামী জ্যৈষ্ঠ মাসে পথে বের হবেন, এ্ই আমাদের বাসনা।
আসুন সুন্দর জীবন গড়ি।
হিমু ভাই "আল্লাহ্" বা "ইসলাম" কেহই বোরখা পড়ার নির্দেশ দেয়নি, সুতরাং যারা বোরখা পড়ছে তারা হয় তাদের ছেলে/স্বামী/বাপের ভয়ে পড়ছে না হয় কোন কিছু না বুঝেই পড়ছে। এখানে মূল সমস্যা অজ্ঞতা।
একটা মুসলিম দেশে তো তাইলে মেয়েদের হিজাব পরার দরকার নাই! আপনারা যদি তাদের হেফাজত করতে চান তাইলে তাদের নির্যাতনটা করে কে? আমেরিকা থেকে কাফেররা এসে?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাবী গো ভালোবাসেন না?
কাম্ডুল ভাই, আমনে কোন কেলাসে ফড়েন?
নিউটেন মনে হয়
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আপনি কি ১ এই থাকবেন, ১০ এ যাইতে চান না?
উনার মনে হয় এখনো জন্ম হয় নাই....
@মন_মাঝি
জন্ম না হইলে আপনার সাথে কথা বলতেছি কেমনে?
@দ্রোহী
বাহ, আফনার তাহইলে ফছন্দ হইছে!
ভাই আপনেই আসল গুরু। সত্য কথাটা এমুন কইরা কেউ কুনুদিন কয় নাই। কান্দন আইসা পড়ল দিলে সাচ্চা মহব্বতের ঢেউ ভাংতেছে আইজকা।
যারা তাঁকে নাস্তিক বলছে তার কি আসলে পত্রিকাতে পুরো article টা পড়ছে?নাকি সেই সৌভাগ্য হয় নি? নাকি মানুষের মুখে কিছু তিল্ কে তাল বানানোর গল্প শুনে লাফালাফি করছে? লেখার ২য় প্যারার ২য় লাইনে তার আল্লাহর কাছে করুনা চাওয়ায় কথা লেখা আছে। বোরকা পড়লেই সে আদর্শ নারী/ধার্মিক হয়ে যায় না। আমি বোরকার বিরোধিতা করছি না। আমার মতে শালীনতা বজায় রেখে মেয়েরা তার রুচিমত পোশাক পড়তেই পারে। এতে দোষের কিছু নেই। অনেক মেয়ে আছে যারা বোরকা নিজ ইচ্ছায় পড়ে না। ইসলামে নারী এ পুরুষের 'চোখের পর্দার' কথা বলা আছে, তা কয়জন জানে? পর্দা বললে নারীর বোরকা পড়াকেই বোঝে।
2 seconds ago · Like
ইসলামে নারী ও পুরুষের 'চোখের পর্দা'র কথা বলা আছে'
ক্যাটার্যাক্টের কথা বলতেছেন?
টুইটার
@Rashida
কুরআন খানা খুলে দেখবেন, সুরা নুর,২৪ নাম্বার সুরা, আয়াত ৩০-৩১।
হিজাব সম্পর্কে সব কথা এখানে পাবেন।
ভাই কামরুল, আমি ইসলামের সুবিশেষ ভক্ত নয়। কিন্তু তবু আপনার অনুরোধে কোরআন খানা খুলে দেখলাম। তো এই দুই খানা আয়াত দ্বারা কি বোঝানো হলো? একটু ব্যাখ্যা করবেন? আমিও ব্রেইন ওয়াশড অবস্থায় আছি। আমারে মুক্ত করেন... পিলিজ...!
EDIT: সাথে একটা সম্পূরক প্রশ্ন করি। যে সব নারী পুরুষের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ না, তাদের বিষয়ে কিছু বলা হয় নাই কেন কোরআনে?
টুইটার
@নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী
ধন্যবাদ ভাই, আমি তো তত ভাল ব্যখ্যা করতে পারবো না যতটা আলেমরা করেছেন। আপনি কুরআনের সাথে যে ব্যখ্যা থাকে তা দেখতে পারেন। আর একটু কষ্ট করে কোন ভালো আলেমের কাছে গেলে জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
আর আপনার সম্পুরক উত্তর-
৩১ নং আয়াত তো তাদের কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। ভালো করে পড়লেই বুঝবেন ইনশাল্লাহ।
আলেম কেডা? যে সারাজীবন তার নিজের ধর্মের বাইরে কিছু ভাবেনাই সে? এই দেশে যে পদ্ধতিতে আলেম পয়দা হয় সেই পদ্ধতিতে একটা ছাগল রাখলেও সে আলম হয়ে বের হবে! এদের তো চিন্তাশক্তি নাই!!!
কোনো শালার ব্যাটার যদি ঈমানের জোর থাকে তাইলে বলুক যে সে কোনো ঈশ্বররে বাল দিয়েও মুছে নাই। যতো যুক্তিতর্ক আছে সব দেখছে, তারপর সিদ্ধান্ত নিছে কোনটা ভালো!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরে এরা (কাঠ মোল্লারা ) না হয় গরু ছাগল ....কিন্তু বিজ্ঞান এর জটিল বিষয় নিয়ে পি এইচ ডি করছেন এমন লোক যখন জাফর ইকবাল স্যার কে খারাপ গালি দেন , পাকিস্তানের চামচামি করে ....তখন তাদের কি নাম দিবেন.....
ফেসবুকের সেই নোংরা পেইজটা আজ চোখে পড়ল।
এই বিষয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ছড়িয়ে পড়ুক লেখাটা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আসল কথা হল জামাতি সব নেতা জেলে,,তাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার আসছে,,ছাগুগন ভাবল- দেই আজাইরা বোরকা বিতর্ক পয়দা করে,,যদি কিসু হয়! সামু ব্লগে মডারেটররা ঈদে সব বাড়ি চলে গেল নাকি বুঝলামনা,,মিনিটে ১০ টা করে ছাগু পোস্ট পড়তেছে ঐখানে..বিদেশে এইরকম ঘৄন্য ব্লগ কেউ কোনো সম্মানিত ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে লিখলে মানহানির মামলা হয় কিন্তু আমাদের সাইবার আইন এমনই উদার যে যার যা খুশী বলে যাচ্ছে, কোন বিকার নাই। এদের মা অথবা বোনের জন্য আমার করুনা হয়।
ডঃ জাফর ইকবালের সাথে আমরা সবসময় ছিলাম, আছি, থাকব। এইসব জামাতি নরকের কীট রাজাকারগুলির জন্য ৭১ এ একবার আমাদের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হারাতে হয়েছে,,সে সুযোগ আর তারা পাবেনা।
@নিটোল,
দারুণ হয়েছে আপনার লেখা। অত্যন্ত সাবলীল।
নিটোল, হাচলত্বের অভিনন্দন জানাই।
_________________
[খোমাখাতা]
Parveg, ইরান নিয়ে কথা বলার সময় সাবধান! ইরানি মেয়েরা হিজাব পরে অলিম্পিক যায় কিন্তু হিজাবে পরে নিজ দেশে মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলা দেখতে পারেনা। হিজাব পরেই অভিনয় করবে, তাও সেখানে হাজার রকম বাধা নিষেধ।আর মধ্যপ্রাচ্যের অন্ধকার মরুময় দেশগুলোর দিকে না হয় নাই গেলাম হিজাব পরে সেখানে কি করতে পারে মেয়েরা আর কি না পারে। একটা কথা আমি বুঝিনা, আপনি যদি বলতে পারেন, হিজাব পরে খুব উন্নতি করেছে মেয়েরা, তো জাফর ইকবাল স্যার কেন বলতে পারবেনা হিজাব করে উন্নতি করেনি মেয়েরা...! আজিব !
রজনি, ভাই আপনি যা বলসেন সেটা কি justify করার কোন উপায় আছে?? মেয়েরা ফুটবল খেলতে পারবে কিন্তু মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারবেনা, এটাও কি বিশ্বাস করতে বলেন?? ইরানে মেয়েদের শিক্ষার হার কতো সেটা জানেন?? ৯৫%। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়া ৬০% শিক্ষাত্রি মেয়ে সেটা বুঝেন!! আরও যদি জানতে চান তাহলে এই লিঙ্ক থেকে জেনে নিন...http://conflictsforum.org/briefings/IranianWomenAfterIslamicRev.pdf।
একটা কাপর বা পর্দা সেটার এতো শক্তি নাই যে কাউকে উন্নত করবে বা অবনতি করবে। উন্নতির চালক আমরা নিজেরাই আর আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি। আর হিজাব এটা কারও ধর্মীয় বিধানের অংশ, যদি সেটা সে করে শান্তি পাই, তাহলে সে করুক । আপনি করেননা তাই বলে অন্য কেউ করসে সেটার পিছনে এতো কারন দারা করান কেন??
জ্বি ভাই, জাস্টিফাই করার উপায় আছে। উপায়টারে বলে গুগল। সার্চ মারেন। পাবেন। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ২০০৬ সালে এসে প্রথম ইরানের স্টেডিয়াম মেয়েদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তার আগ পর্যন্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিলো। এইটা নিয়ে একটা ইরানি সিনেমাও আছে, দেইখেন পারলে।
একটা কাপড় বা পর্দার যদি উন্নত বা অবনত করার শক্তি না থাকে, তাহলে সেই পর্দা কেউ না পরলে আপনার সমস্যা কোথায়? উন্নতির চালক যদি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিই হয়, তাহলে দৃষ্টিভঙ্গিটা সুন্দর করেন। হিজাব না পরলেই একটা মেয়েরে ছিলা কলা হিসাবে ট্রিট করার নোংরামি থেকে বের হন। হিজাব না পরে যদি কেউ শান্তি পায়, তাহলে পাক না। আপনি কান্দেন ক্যান?
ভাই আমি কি আমার লেখায় কথাও বলসি,পর্দা কেউ না পরল আমার সমস্যা আছে?? হিজাব না পরলেই একটা মেয়েরে ছিলা কলা হিসাবে ট্রিট করি?? এখন কেউ যদি হিজাব করে শান্তি পায় তাইলে কি আপনার বা আমার কোন সমস্যা থাকার কথা??
এইটাই তো পয়েন্ট। কোনো হিজাবীর শান্তি তো কেউ ভঙ্গও করছে না। কেউ বলছে না এই তুই হিজাব পরলি ক্যান, হিজাব খোল। না জাফর ইকবাল, না আমরা কেউ। কিন্তু উল্টোটা হচ্ছে। যে মেয়ে হিজাব পরছে না, তাকে চটকনা মারার আহ্বান জানানো হচ্ছে, সেই জিনিস আপনার আমার ফেসবুকবন্ধুরাই আবার লাইক দিচ্ছে, শেয়ার দিচ্ছে। আপনি তাই ভুল জমায়েতে ওয়াজ করছেন। আপনার উচিত ঐ ছাগুদের গিয়ে হেদায়েত করা, যারা হিজাব না করে কেউ শান্তি পেলে হাউকাউ করতে থাকে।
হিজাব করলে যদি শান্তি পাওয়া যায় তাহলে কেন বলা হচ্ছে যে হিজাব নারীর উন্নয়নের পথে বাঁধা। এখন জিনি হিজাব করসেন তাকে গিয়ে যদি বলি, এই যে শুনন " আপনি যে হিজাব করছেন সেটা নারীর উন্নয়নের পথে বাঁধা, মুঃ জাঃ ইকবাল বলেসেন" তার অর্থ যিনি 'হিজাব' করসেন তিনি ৭০ বছর পিছিয়ে আছেন কি বলেন??
কারণ "শান্তি পা্ওয়া"র সাথে "উন্নয়নের" কোনো সম্পর্ক নাই। আপনি আজকে একটা ইঁট বগলে করে দাঁড়িয়ে থেকে শান্তি পেতে পারেন। আমি আপনাকে বাধা দিতে পারবো না (ঐ ইঁট পাবলিক নুইস্যান্স হয়ে গেলে অবশ্য দেবো)। কিন্তু আপনি আমার সাথে একমত হবেন যে ইঁট বগলে নিয়ে "উন্নয়ন" করা খুব মুশকিল। এরপর যদি আপনি আরো পাঁচ দশজনের ছবি দেখিয়ে বলেন, এই যে কোহকাফ নগরীতে লোকে বগলে ইঁট নিয়ে অলিম্পিক দৌড়াচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, তখন কি এটা স্পষ্ট না যে আপনি মনের শান্তির সাথে উন্নয়নকে জোর করে মেলাতে চাইছেন?
জাফর ইকবাল কিন্তু বলেন নাই, হিজাবের কারণে আমাদের উন্নয়নে বাধা পড়ছে। উনি একটা খুব ভ্যালিড পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, ষাট বছর আগেও আমাদের দেশে হিজাবের এত বাড়াবাড়ি ছিলো না। দুইটার মধ্যে পরিষ্কার তফাত আছে, তাই না?
যিনি হিজাব করছেন, তিনি এগিয়ে থাকবেন নাকি পিছিয়ে থাকবেন, এটা তার হিজাবের ওপর নির্ভর করবে না, নির্ভর করবে তাঁর সামাজিক ম্যাট্রিক্সের ওপর। এই হিজাব তাঁর প্রতিদিনের কাজে তাকে বাধা দিচ্ছে নাকি সহযোগিতা করছে, তার ওপর নির্ভর করবে এগিয়ে থাকা বা পিছিয়ে থাকা। কর্পোরেট কর্মকর্তা হিজাব করে চলতে পারবেন, কারণ তিনি বাতানুকূল পরিবেশে মগজ খাটিয়ে কাজ করেন। যে মহিলা রোদে পুড়ে কাজ করেন (ইটের ভাঁটায়, মুরগির ফিডের জন্য শামুক কুড়ানোতে, ক্ষেতে কিংবা ফ্যাক্টরির পরিবেশে), তার জন্য হিজাব আমাদের আবহাওয়ায় অনেক কষ্টকর। আপনি নিজে একদিন গরমের দিনে একটা হিজাব পরে বারোটা দশ ইঞ্চি ইঁট নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ছয়তলায় উঠে দেইখেন, কেমন লাগে। দ্বিতীয়ত, হিজাবের স্বতসিদ্ধ হচ্ছে, মেয়েদের দেখে ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে, অতএব এই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের দায় মেয়েদের। হাস্যকর না? আজকে যদি আপনারে রাস্তাঘাটে দেখে কোনো গে ছেলে উত্তেজিত হয়ে এসে আপনার পাছায় চিমটি কাটে, আপনি কি কালকে হিজাব পরে চলাফেরা করবেন নাকি ঐ শালারে মাইরা চল্টা উঠায় ফেলবেন? সভ্য দেশে আপনি মেয়েদের দেখে রাস্তাঘাটে উত্তেজিত হয়ে পড়লে, পাবলিকের দায়িত্ব আপনারে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা।
আর আপনার কাছে যদি হিজাব খুব প্রয়োজনীয় মনে হয়, আপনি এর উপকারিতা নিয়ে প্রথম আলোতে আরেকটা আর্টিকেল লিখুন। এর ধর্মীয় মারেফতি সামাজিক সাংস্কৃতিক তাৎপর্য নিয়ে ফেসবুকে নোট লিখুন। কেউ কিন্তু আপনাকে বাধা দেবে না। আপনার কথায় যিনি কনভিন্সড হবেন, তিনি হিজাব পরা শুরু করবেন। যিনি হবেন না তিনি পরবেন না। কিন্তু আপনি যদি বলেন, হিজাব না করলে রাস্তায় ধরে মেয়েদের চটকানা মারার অধিকার ছেলেদের আছে, আপনাকে পুন্দিয়ে লাল করে ছেড়ে দেয়া হবে।
আর জাফর ইকবালের কথায় আপনি এত বিচলিত কেন? যদি খোদার আদেশেই আপনি হিজাব পরেন, তাহলে জাফর ইকবাল কী বললো, তাতে কী আসে যায়? ওনার চোখে যেটা যেমন লাগে, তেমন তো তিনি বলতেই পারেন। সেটা ভালো না লাগলে আপনি তার মেয়ের কতগুলো ছবি যোগাড় করে সেগুলির নিচে নোংরা ক্যাপশন দিয়ে নেটে ছেড়ে দিবেন? ইসলাম আপনাকে এই শিক্ষা দিলো? আপনার ধর্মজ্ঞানের ফর্দে যদি হিজাব ছাড়া আর কিছু লেখা না থাকে, আপনি তো ধার্মিক না, আপনি ধান্দাবাজ, মেয়েদের বস্তায় ঢুকানোর বিপ্লবের অগ্রসৈনিক।
এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন আপনি কোনজন।
দারুণ
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
এইটা অন্যায়! আদর করে সেই "চিমটি কাটনেওয়ালাকে' চুমু দেওয়াও তো একটা অপশন হতে পারে! কেবল হিজাব পরা আর পাছার চল্টা উঠানোই তো অপশন না! আমরা উদার ভাবে ভাবতে চাই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সময় এসেছে এদের মূলে হাত দেয়ার। উপরে মন্তব্যগুলো পড়লে বোঝা যায় আমাদের অনেকরই রয়েছে ক্ষোভ। কিন্তু জামাত-শিবিরকে টেকনিক্যালি সাইজ করতে হবে। চলুন না সবাই এদের সামাজিকভাবে প্রতিহত করি।২৫% ছাড়ের(!) লোভে ইবনে সিনা, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে যেন ভিড় না জমাই। মানারাত, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে আমাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে কেউ যাতে ভর্তি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করি। ভর্তি কোচিংএ যাতে কেউ রেটিনা, ফোকাস, কংক্রিটে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখি। ওদের টাকার উৎসগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ২/৪ দিন পর তাফালিং এমনিতেই কমে আসবে।
টুইটার
খুব ই ভালো কথা বলেছেন
ঠিক। সামাজিকভাবে জনমত গড়ে না উঠলে এদের প্রতিরোধ করা সম্ভবনা।
"বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছেলেমেয়েরা ভাষা আন্দোলন নিয়ে একটা আলোকচিত্র প্রদর্শনী করেছিল। আমি আর আমার স্ত্রী সেটা দেখতে গিয়েছিলাম।"
স্যারের একথাটি পুরানো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলো । এ প্রদর্শনীটির উদ্যোক্তাদের সাথে আমিও জড়িত ছিলাম। অনেক খেটে-খুটে রাত জেগে, কার্জন হলে থেকে আমরা প্রদর্শনীটি দাড় করিয়েছিলাম। আর অন্য অনেক বরেণ্য ব্যাক্তির সাথে জাফর স্যারকেও সবাই মিলে আসতে অনুরোধ করেছিলাম। উনি আমাদের অনুরোধ রক্ষা করেছিলেন।
আর চমৎকার একটি পোস্ট হয়েছে। খুব গুছিয়ে সুন্দর করে লেখা।
বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানীতে এইবার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। যারা এই সাফল্য বয়ে এনেছে, সেই গারমেন্টস শিল্পে কর্মরত মেয়ে গুলোর কথা কেউ ভাবে না। অস্বীকার করে লাভ নাই, আমি নিজে অন্তত সেইভাবে চিন্তা করি নি। উনারা লেখাটা পড়ে আমি মনে মনে অনেক লজ্জিত হয়েছি, মেয়েগুলোকে নিয়ে গর্বিত হয়েছি।জাতি হিসেবে আমাদের কোন একটা সমস্যা আছে। এই রকম একটা ভাল লেখা থেকে হিজাব ইস্যু বের করার আমার এক্টাই উদ্দেশ্য মনে হয়, গারমেন্টস কর্মীদের উনি যথাযথ সম্মান দেওয়ায় বদলোকজন ভয় পেয়ে কথা ঘুরানোর চেষ্টা করছে।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
Parveg, ভীষনভাবে 'Justify' করার উপায় আছে।ইরানে এখনও অনেক জায়গায় ফুটবল খেলা দেখতে মেয়েদের ঢুকতে দেয়া হয়না। বেশীদিন আগের নয়। এই বছরের জুন মাসেই মরিয়ম মাজদ ("activist who campaigned for female football fans to be allowed to enter stadiums " ) নামের ফটোজার্নালিষ্ট 'মিসিং' ! দুষ্ট লোকেরা (!) বলছে, সম্ভবত সরকার গ্রেফতার করেছে। লিঙ্কটা দেখেন -
http://www.guardian.co.uk/world/2011/jun/22/iran-missing-womens-rights-activist
আর বিশ্ববিদ্যালইয়ের ৬০ ভাগ মেয়ে গ্রাজুয়েট হলেই ভীষন স্বাধীন সেসব নারী এমনও নয়। আমি ডর্মের যে ব্লকে থাকি, দুইজন ইরানী ছেলে থাকে আমাদের ব্লকে।দুইজন সমানভাবে বলে যে ইরানে শুধু নারী স্বাধীনতা নয়, মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা বলেও কিছু নেই। একদিন কথা হচ্ছিলো ইভটিজিং নিয়ে আর বোরখা পরা নিয়ে। আমাকে জিজ্ঞেস করছিলো আমাদের দেশে ইভটিজিং আছে কিনা। আমি বলেছি, নাই আবার ! দুজনের মধ্যে একজন ইরানী ছেলে তখন বলছিলো যে, ওর বোন বোরখা পরে বাইরে যায় কিন্তু ইভটিজিং থেকে রেহাই নেই ইরানে। ও যখন ইরান ছিলো, সন্ধ্যার পর ওর বোনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্যাক্সি করে বাড়ি ফিরতে হলে ওকে গিয়ে নিয়ে আসতে হত। সেই মেয়ে আপনার দেয়া তথ্যের ৬০ শতাংশের একজন বটেই। যাই হোক, আমার ব্লকের সেই ইরানী ছেলে সারাক্ষন উপায় খুজঁছে, কবে তার মা বাবা আর বোনকে নিয়ে আসতে পারবে ইরান থেকে।
আর হিমু যে ইরানী চলচ্চিত্রটার কথা বললো, সে 'অফসাইড' চলচ্চিত্রের ডিরেক্টর এখন জেলে। পাঁচ বছর জেল আর পরবর্তী বিশ বছর সিনেমা বানানোর উপর নিষেধাজ্ঞার সাজা হয়েছে মজিদ মাজিদি'র, বিরোধী দলকে সমর্থন করবার অভিযোগে। এই হচ্ছে ইরান।তাই সমযে !!!
হিমু ভাইঃ ধন্যবাদ।
ইরান মনে হচ্ছে কিছু লোকের কাছে গুলবুলিস্তানে পরিণত হয়েছে। একটাই কারণ, ইরানে মেয়েদের বস্তায় ভরা হয়েছে। এখন এনারা ইরানের উন্নতির পিছে এইটাকেই একমাত্র কারণ হিসাবে প্রতিষ্ঠার ছাগুচেষ্টায় লিপ্ত। এদেরকে কে বোঝাবে যে ইসলামী বিপ্লবের আগেও ইরান ইনফ্রাস্ট্রাকচারালি অনেক অ্যাডভান্সড ছিলো, ইরানে বিশাআআল তেল মজুদ আছে, ইরানের ভূরাজনৈতিক অবস্থানের কারণে পশ্চিমবৈরিতা সত্ত্বেও রাশিয়া আর চীন থেকে তারা প্রচুর সহযোগিতা পায়। যদি মেয়েদের বস্তায় ভরলেই একটা দেশের উন্নতি হতো, তাহলে ইয়েমেন বা মৌরিতানিয়া এত পিছিয়ে আছে কেন?
এই চার্টে দেখেন, চারটা দেশের মাথাপিছু বার্ষিক জিডিপির গ্রোথ। ভেনেজুয়েলা, যেখানে মেয়েরা হাফনেংটু থাকে, কিন্তু দেশে প্রচুর তেল আছে; ইরান, যেখানে মেয়েরা বস্তার ভিতরে কিন্তু প্রচুর তেল আছে; আর ইয়েমেন ও মৌরিতানিয়া, যেখানে মেয়েরা বস্তার ভিতরে কিন্তু তেমন তেল নাই। যদি মেয়েদের বস্তায় ভরলেই দেশ বেহেস্ত হয়ে যেতো, তাহলে ইয়েমেন আর মৌরিতানিয়ার তো এত খারাপ অবস্থা হওয়ার কথা না। আর মেয়েদের বস্তার বাইরে বের করলেই যদি হালত খারাপ হতো, তাহলে ভেনেজুয়েলার তো ইরানের ডাবল জিডিপি হওয়ার কথা না। তাই মেয়েরা বস্তায় ঢুকে ঘুরছে নাকি মুমিনের ঈমান নষ্ট করার মতো জামা পরে ঘুরছে, তার সাথে দেশের ইকোনমির সম্পর্ক কম। আসল রহস্য তেলে।
এই ছবিতে দেখেন, সৌদিতে সেই নবীর আমল থেকেই তো মেয়েদের বস্তায় ভরা শুরু হইছে, তাদের অর্থনৈতিক বুম কবে থেকে শুরু হইছে চেয়ে দেখেন। ১৯৬৯ সালে তাদের মাথাপিছু জিডিপি ছিলো ৮১০ ইউএসডলার, সেটা ১৯৮১তে গিয়ে দাঁড়ালো ১৭,৬১৭ ইউএসডলারে। সৌদিতে কি ১৯৬৯ সালে মেয়েরা বস্তার বাইরে বাইর হইছিলো? কেন তখন কম ছিলো আর একাশি সালে বাড়লো? উত্তর: তেল।
আশা করি ছাগুরা ইরানের উন্নতি আর মেয়েদের বস্তাবন্দী করা নিয়ে বিরক্তিকর সরলীকরণ বন্ধ করবেন। এরপর আর যুক্তি দিবো না, সবাই মিলে পোন্দায় দিবো।
মন্তব্যে সুপারলাইক। এই লেখার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটা লেখা প্রসব হয়ে গেছে যেখানে এই ইরান টপিক খুব গুরুত্ব পেয়েছে। অলিম্পিকের কিছু স্পোর্টসে ইরানি মেয়েদের হিজাব পরে অংশ নেয়ার ছবি দিয়ে ওসব লেখা ভরা।
_________________
[খোমাখাতা]
আমি প্রায় পুরো বাংলাদেশ ঘুরে দেখেছি। কনস্ট্রাকশনের কাজে নারী শ্রমিকদের অমানুষিক পরিশ্রম করতে দেখেছি। ঊনচল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অকল্পনীয় ভারি বোঝা নিয়ে সাইটে মানুষ যখন কাজ করে, যখন তাদের একটু পর পর গুড় আর তেঁতুল মেশানো পানি খেতে দিয়ে চাঙা করে আবার কাজে পাঠানো হয়, এইভাবে সারাদিন চলে, তখন হিজাব/বোরখার বিলাসিতা কারো মাথায় আসার কথা না। ফ্যাক্টরিতে বয়লারের হিটে যেখানে পুরো ফ্লোর স্পেস চুলার মতো গরম হয়ে থাকে, সেখানে একটা মেয়ে বোরখা হিজাব পরে কীভাবে শারীরিক পরিশ্রম করবে? অথচ দেশটাই চলছে এদের উপর দিয়ে। হিজাব নিয়ে যারা চিল্লায়, তারা কিন্তু এদের পরিশ্রমেরই বেনেফিশিয়ারি। যদি নিয়ম করা যেতো যে প্রতিটা মেয়ের হিজাবের জন্য প্রতিটা ছেলেকে মাথায় একটা করে ইঁট বেঁধে ঘুরতে হবে, সব কয়টা ছাগুর বাচ্চা ছাগু হিজাব নিয়ে চুপ করে থাকতো।
ইরানে মেয়েরা হিজাব পরে অলিম্পিকে দৌড়াচ্ছে, তো দৌড়াক। তোর মন চায় তুই বস্তার ভিতর ঢুকে দৌড়া। কিন্তু যে মেয়ে হিজাব ছাড়া অলিম্পিকে দৌড়াতে চায়, তাকে আটকানোর তুই কে?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মার্কেট কোরিলেশনের ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। ভেনিজুয়েলা আর ইরানের জিডিপি এর কার্ভ এর শেইপ দেখেই বুঝা যাচ্ছে এদের ইকোনোমি একই জিনিসের উপর নির্ভরশীল।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভাই, এইডা কই পাইলেন??
_________________
[খোমাখাতা]
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মন্তব্যটা পড়ার সময়েই এটা মনে হচ্ছিলো। ছাগলরা কি আর জিডিপি বুঝে ??? তাও আবার গ্রাফ দিয়ে !
পারভেগ (ধরে নেয়া যায় এর নাম পারভেজ, ফারসিতে পারভেজ মানে আকাশ, জেড দিয়ে বানান করতে হয়, ছাগলটা নিজের নাম পর্যন্ত ইংরেজিতে বানান করতে জানে না) নামে নিচে এক বস্তামুগ্ধ ছাগু কমেন্ট করেছে দেখেন। এর মতো আমছাগুদের জিডিপি দিয়ে বোঝানো কিন্তু আমার উদ্দেশ্যও না। এই টাইপের ছাগলেরা মৌলভিদের কথা ঠাঠা মুখস্থ করে এখানে ওখানে উগড়ে দিয়ে আসে। কিন্তু এদের লেখা নোট আবার আমাদের দুয়েকজন "শিক্ষিত" বন্ধু লাইক মারে, শেয়ার করে, যারা জিডিপি ঠিকই বোঝে। আমার মন্তব্যটা ঐ জ্ঞানছাগুদের জন্যই। ইরান তো পরীস্থান বুঝলাম, ইয়েমেন আর মৌরিতানিয়ার উপর তাইলে আল্লাহপাক এতো নারাজ ক্যান? ঐখানে বস্তাবন্দী মেয়েদের এতো দুরবস্থা কেন? আমাদের দেশে মেয়েদের বস্তায় ভরলে আমরা ইরান হয়ে যাবো নাকি মৌরিতানিয়া হয়ে যাবো? জবাব চাই।
ভাই, জিডিপির সাথে আপনি মেয়েদের বস্তায় ভরার কি সম্পর্ক বের করতে চাইলেন ?? আমি আমার লেখায় কোথাও বলসি যে মেয়েদের বস্তায় ভরার কারনে ইরান উন্নত হইসে? আমি দেখালাম মেয়েদের শিক্ষার হার , আর ইউনিভার্সিটি থেকে graduate এর হিসাব। আর আপনি জিডিপির চার্ট নিয়া তার সাথে বস্তার সম্পর্ক খোঁজেন!! এইসব ছাগল মারকা সমিকরন কি আপনার মস্তিস্কপ্রসুত?? আর এইসব বইলা কি নিজেরে বিশাল পণ্ডিত প্রমান করতে চান??
ভাই আপনি কি একটু ভদ্র ভাবে কথা বলতে পারেননা, আমার লিখার প্রতিক্রিয়ায় রজনি ভাই ও কমেন্ট করসে কিন্তু উনিত আপ্নের মত পাগলা- কুত্তা হইয়া নিজের মতামত প্রকাশ করে নাই...কথাগুলত একটু ভদ্রভাবে অন্যকে বলতে পারেন। ভাই ব্যবহার আর আপ্প্রচ টা আরেকটু ভাল করেন , যেখানে আপনি আমি দুজন অপরিচিত মানুষ সেখানে এতো হিংস্র হয়ে মত প্রকাশ করার আদৌ কি কোন দরকার আছে??
ভাই, আপনি কি এইখানে একা ছাগলামি করতে নামছেন? নহে। আপনার চেয়ে একটু বেশি ছাগু, কিংবা একটু কম ছাগুও ময়দানে দৌড়াইতেছে। জনে জনে পোন্দাইতে গেলে তো আমাদের প্রচুর গ্লুকোজ খায়া নামতে হবে। এই কারণে একটা জেনেরিক পোন্দানি দিলাম।
আপনি বলতেছেন, মেয়েদের বস্তায় ভরেও উন্নয়ন হয়। অন্য ছাগুরা বলতেছে, মেয়েদের বস্তায় ভরেই উন্নয়ন হয়। এই দুই দলই মেয়েদের বস্তায় ভরে খুশি। আপনার কথার জবাব রজনীর লেখায় পাবেন, অন্য ছাগুদের জবাব জিডিপি দিয়ে দেখালাম। বোঝার মতো বুদ্ধি না হলে, একটু লেখাপড়া করে আসেন। আর আমি আপনার মতো আম-ছাগলের চেয়ে আসলেই বিশাল পণ্ডিত। ঐটা মাঝেমধ্যে প্রমাণও করবো। তাতে আপনার গোয়া যদি জ্বলে, কী করতে পারি বলেন? পারলে আপনি যুক্তি দিয়ে দেখান আমার কথা ভুল। না পারলে, ঘাস মাঠে পাবেন।
ছাগুদের পোন্দানোর পর তারা প্রথমেই আদবকায়দা নিয়ে কান্দে। আপনাকে আদবের সাথে পোন্দাতে পারছি না বলে দুঃখিত।
ব্যবহারেই বংশের পরিচয়।
ছাগপরিচয় বোঁটকা ক্লিশে গন্ধে।
ভাই ইরান লইয়া এতো মাতামাতি কেন? কাল পুন্দাইতে (মুখ না ঢাইকা সুন্দরী ইরানিদের ফিলিম করার কথা তুলছিলাম) গিয়ে দেখি এক ছাগু কয় ইরানিরা নাকি মুসলমানই না। শিয়ারা ভণ্ড, প্রতারক। আমার তো আক্কেল গুড়ুম। কয় কী?
হা হা... যে ব্রেইনডেডরা বলে বুরকা নারীকে আদমের হনুলুলুর মনোযোগ-প্রুফ দুর্ধর্ষ এব্রাম্স ট্যাঙ্কে পরিণত করে, তাদের এইটা পড়া উচিৎ! তাও আবার তাদের সুমহান ইস্লামিক ইউটোপিয়া ইরানে, দুনিয়ার সম্ভবত একমাত্র নীতি-পুলিশ বাহিনীর (মরাল ফুলিশ) গোঁফের তলায়।
সো মাচ ফর ইরান, বুরকা এবং বুরকা প্রদত্ত নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা !
****************************************
দুঃখিত নির্মাতার নাম জাফর পানাহী। মজিদ মাজিদি নয়। মজিদ মাজিদি 'কালার অফ প্যারাডাইজ' আর 'চিলড্রেন অফ হেভেন'এর বিখ্যাত নির্মাতা।
ছাগুদের ইরান ফেটিশ ব্লগের জন্য নতুন কিছু না!
উটুরাম আর আশুরামের কথা ভুলেই গেছিলাম। কয়েকটা মারখোরের কল্যানে বহুদিন পরে মনে পড়ে গ্যালো!
আমার ইরানি ক্লাশ্মেটগুলার সাথে ওগো আলাপ করায় দিতে হপে
ছেলেবেলায় শেখা একটা গান ও মনে পড়ে গেছে - ওই যে:
♫ ইরানির ** বিরানীর মতো, জাপানির ** লাল ................
পরের লাইনটা না দিলে কেমনে হয় ... (আমারও যে মনে পড়ে গেলো) .. !!!! মেয়েদের বস্তায় ভরার জন্য ছাগুদের প্রানান্ত চেষ্টা দেখে মজা লাগে, এদের ধনী আরব দেশের নাইট ক্লাব এ বিনা পয়সায় একবার ভ্রমণের সুযোগ দিলে মনে হয় নিজেরাই বস্তায় ঢুকে যেতো .... এদের ছাগল এর সাথে তুলনা করলে ছাগলেরও অপমান গায়ে লাগে ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমিতো এই গান জানিনা, আপনেরা গান না ভাই পুরোটা!!
সাথে আছি এবং থাকব।
লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটা লেখার জন্য ।
স্যারের মেয়ের ছবি গুলো তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেয়া .... so লেখকের মতামতের সাথে পুরো একমত হতে পারলাম না ॥ সে নিজেই ঐ কূরুচিপূর্ণ(?) ছবি গুলো আপলোড করছে ॥
ছবিগুলি কুরুচিপূর্ণ না, ছবির ইন্টারপ্রিটেশন আপনার মতো ছাগুরা যা করেছে, সেটা কুরুচিপূর্ণ। আর কেউ ফেসবুকে ছবি আপলোড করলেই আপনি গিয়ে সেইটা কপিপেস্ট করে নিচে যেমন খুশি ক্যাপশন মারতে পারেন নাকি? আপনি আর আপনার বন্ধু পশাপাশি দাঁড়ায় আছেন হাসিমুখে, সেইটা যদি কপিপেস্ট করে ক্যাপশন দেয়া হয়, "হাস্যোজ্জ্বল একটি সমকামী জুটি", আপনি রাজি আছেন?
SUMON ভাই,
আপ্নে আপনার দুইটা সুরুচিপূর্ণ ছবি আপলোড করেন, আমরা একটা ক্যাপশন কন্টেস্ট করি আসেন
ছাগু চেনার জন্য খুব বেশী অভিজ্ঞতা লাগেনা । যখনই দেখি কেউ সহজ বাংলা বুঝতেছেনা কিন্তু আরবী আয়াতের ‘পরিষ্কার’ অর্থ বুঝে যাচ্ছে তখনই বুঝে ফেলি ।
যুক্তিবাদী মোমিন ভায়েরা, কয়টা প্রশ্নের উত্তর দিয়েন , পিছলাইয়েননা ।
# বোরখার ব্যাপারে ‘নিজের ইচ্ছা’ টার্মটা ব্যবহার করার আগে মোমিন বান্দারা একটু জবাব দেবেন কি , নিজের ইচ্ছায় পরতে রাজী হলে এরকম কঠোর আইন করে বোরখা বাধ্যতামূলক করার দরকারটা কি ?
# আদালত যখন বোরখা পরতে জবরদস্তি করা নিষিদ্ধ করে , আবার বলি, জবরদস্তি করা নিষিদ্ধ করে, তখন আপনাদের গাত্রদাহ হবার কারন কি ?
# যার যার ধর্মীয় বিধান পালনে বাধা দেয়া উচিৎ না । ভালো কথা । যতক্ষন সেটা কোন ক্ষতির কারন না হয়ে দাড়ায় । ধর্ম যদি বলে স্ত্রীকে স্বামীর চিতায় জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে , সেটা বাঁধা দেয়া উচিৎ কি না ?
স্ত্রী যদি পূণ্যলাভের আশায় নিজ ইচ্ছায় রাজী হয় তাহলে উচিৎ কি না ?
# যেসব ‘নিষ্পাপ মুসলিমাহ’ দাবী করেন তারা নিজ ইচ্ছাতেই বোরখায় ঢুকতে চান কারন তারা ফতুয়া পরা মেয়েদের তুলনায় ‘বেশী সতী’ আর মর্যাদাসম্পন্ন তাদের কাছে জানতে চাই , আপনি যদি ভিন্ন ধর্মের হতেন তখনও কি এই এই ইচ্ছা করত ? এদেশে কত হিন্দু নারী আছেন, চারপাশে বোরখার এত্ত মর্যাদা দেখেও তাদের কখনো এই ইচ্ছা জাগেনা কেন ?
‘নিজের ইচ্ছা’টাও যে আপনার মাথায় অন্য কেউ বা অন্য কিছু ঢুকিয়ে দিয়েছে এইটা বুঝার মত বুদ্ধি কি আপনাদের আদৌ হবে ?
# ভালো কথা, ‘মুসলিম বান্দা’ যাদের নাকি নিজের কোনো ইচ্ছা নাই স্রষ্টার ইচ্ছায়ই তারা চলেন, জানতে খুব ইচ্ছা হয়, আল্লাহ যখন নারী পুরুষ উভয়কে শালীনতা রক্ষা করতে হুকুম দিয়েছেন, তখন এই দেশের অধিকাংশ মুসলিম পুরুষ রাস্তায় খুল্লামখুল্লা মুতে কেন ? কেন আপনারা এইটা নিষিদ্ধ করার আইন দাবী করেননা ? কেন সাঈদী-আমিনীর মত ‘বিশিষ্ট মুসলিম’গন তাদের একটি ওয়াজেও কখনও বলেননা, মুসলিম ভাইয়েরা আমার, আপনারা রাস্তায় মুতিয়েননা, ইহা শরীয়তসম্মত নয় ।
যদি বলেন এরা কেউ খাঁটি মুসলিম না , তাহলে জানতে চাই, পুরুষরা যখন তাদের খাঁটি মুসলিম না হওয়ার অধিকার নির্বিঘ্নে বাস্তবায়ন করতেছে, কেউ তাদের সামান্য একটু ওয়াজ নসীহতও করেনা এই ব্যাপারে, তখন মেয়েদের বেলায় অন্য নিয়ম কেন ?
আপনাদের ধর্ম, আপনাদের যাবতীয় ঈমান কেন মেয়েদের বোরখার উপর নির্ভর করে ?
_________________
[খোমাখাতা]
মন্তব্যটা মুখস্থ করে ফেলার মতো
চমৎকার একটা মন্তব্য পড়লাম।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
মারহাবা! মারহাবা! বেশক! বেশক!
দারুন গুছিয়ে একদম লাগসই প্রশ্ন করেছেন ভায়া।
আমার মতে এরপর থেকে বুর্কা নিয়ে কোন ব্রেইনডেডকে আমড়াগাছি করতে বা ত্যানা-পেঁচাতে দেখলে, তার পিছলা কুতর্কের চক্করে পড়ে অনর্থক সময়ের অপচয় না করে প্রথমেই এইরকম একটা পূর্ব-নির্ধারিত (আরেকটু ফাইন-টিউন করে) কোয়েশ্চনেয়ার ধরিয়ে দেয়া উচিৎ তার হাতে। এই "বুর্কা-টেস্ট" পাশ করে আসলে, তারপরই তার সাথে কথা চালানো যেতে পারে।
****************************************
লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। নোংরা লেখাগগুলো এতদিন avoid করেছি। আজ লেখকের এই লেখনির মাধ্যমে সকল নোংরামির প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ছাগুমারতে আইছিলাম! আপনেরা তো কোনো ইয়েই ফাঁকা রাখেন্নাই! আন্নেরা ফঁছা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এক্কেবারে সহজ হিসাব হচ্ছে-
নারীকে কিভাবে দেখা হচ্ছে বা কিভাবে রাখতে চাচ্ছে তা দিয়েই যেকোন ব্যক্তি বা ধর্মের ভেতরটা অতি সহজে চিনে ফেলা যায় এরা ভেতরে কতোটা মানুষ আর কতোটা জন্তু !
অবদমিত কামনায় আক্রান্ত হিপোক্রেটরা কি সুস্থ-মানুষের আচরণ করতে পারে ? তাঁদের আচরণ থেকেই তো বুঝে ফেলা যায় এরা নিজের মা ও বোনকে কিভাবে কোন্ দৃষ্টিতে দেখে ! জলাতঙ্ক আর নারী-আতঙ্কের মধ্যে কতোটা বৈসাদৃশ্য থাকে কেউ কি একটু গবেষণা করে দেখবেন ? আমি তো অবস্থার তারতম্যটুকু ছাড়া আর কোন পার্থক্য দেখি না !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দারুন গোছানো এবং যুক্তিপূর্ণ লেখার জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ। জাফর ইকবাল স্যার আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক। আমি সায়েন্স ফিকশনের দারুন ভক্ত এবং বাংলাদেশে সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে জাফর ইকবাল স্যারের চাইতে ভালো কেউ কি আর আছে?
সাম্প্রতিক সময়ে স্যারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্লগ ও নোটে অনেক লেখা দেখেছি। স্বাভাবিক ভাবেই খুবই মর্মাহত হয়েছি। সত্যি বলতে কি তরুণ প্রজন্ম তাঁকে নিজেদের আদর্শ হিসেবেই বিবেচনা করে। আমাদের আদর্শের উপর এই আঘাত অবশ্যই নিন্দনীয়। আরও বেশি নিন্দনীয় স্যারের মেয়ের ছবি নিয়ে যা করা হচ্ছে তা।
অনেক গুলো ফেসবুক নোট দেখেছি স্যারের বিরুদ্ধে। বেশিরভাগই যুক্তিহীন, আবেগপূর্ণ ভাষায় ভরপুর। এই ব্লগের মন্তব্যকারীদের মত চালু ছেলে আমি নই, তাই নোট পড়েই কে শিবির আর কে কোন দলের সমর্থক আমি বুঝি না। তবে কিছু নোট স্যারের প্রতি আমার বিশ্বাসের জায়গায় ঠিকই নাড়া দিয়েছে।
আমি আগেই বলেছি স্যার তরুণ প্রজন্মের আদর্শ বা আইকন। তিনি আমাদের মধ্যে সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন তৈরি করছেন। দক্ষ তরুণ প্রজন্ম তৈরির চেষ্টা করছেন। আমাদেরকে শেখাচ্ছেন দেশকে ভালোবাসতে। তিনি যে দেশকে ভালোবাসেন তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি বিগত জোট সরকারের আমলে দেশের স্বার্থবিরোধী যে কোন কাজে কলম হাতে অগ্নিলেখনীর মাধ্যমে। আমরা ভরসা পেয়েছি তখন। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, সরকার ইচ্ছা করলেই দেশের স্বার্থপরিপন্থী কিছু করতে পারবে না, আমরা করতে দেবো না, কারণ আমাদেরকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য স্যারের মত মহান এক ব্যক্তি আছেন।
কিন্তু আমরা কি কেউ লক্ষ্য করেছি এই সরকারের আমলে অনেক জাতীয় স্বার্থবিরোধী এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের ঘটনা ঘটলেও জাফর ইকবাল স্যারের কলম থেকে কোন প্রতিবাদ বাক্যই আর বের হচ্ছে না। ব্যপারটা এমন নয় যে, স্যারকেই সব কিছুর প্রতিবাদ করতে হবে। কিন্তু তিনি একটা ধারা চালু করেছিলেন যে, দেশের মানুষের প্রতি অবিচার হলেই তিনি তার বিরুদ্ধে লিখেন। কিন্তু ট্রানজিট, তেল-গ্যাস রপ্তানি নিয়ে সরকারের অস্পষ্ট চুক্তি, তিস্তা চুক্তি নিয়ে গরিমসি, পরিমলদের উত্থান, যখন তখন জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী এত সব ঘটনা ঘটে গেলেও স্যার যেন কিছুই দেখছেন না, জানছেন না। তার এই নিশ্চুপ রূপ দেখে আমরা কি বুঝতে পারি?
আমরা কি ধরে নেবো স্যার বর্তমান সরকারের সমর্থক? হতে পারে, নাও হতে পারে। আর হলেই বা কি? ব্যক্তি হিসেবে তিনি যে কোন রাজনৈতিক আদর্শ লালন করতেই পারেন। কিন্তু স্যার তো আর দশজন রাজনৈতিক দল সমর্থকের মত ব্যক্তি নন যে, নিজের সমর্থনকারী দলের খারাপ বিষয়গুলো তিনি এড়িয়ে যাবেন। তাহলে তিনি কেনো এখন কিছু লিখছেন না।
স্যার আমাদের মধ্যে দেশের জন্য ভালোবাসা তৈরি করতে চাচ্ছেন। কিন্তু তিনি যদি এক সরকারের সময় তাদের খারাপ কাজের তীব্র সমালোচনা করেন আর আরেক সরকারের খারাপ কাজগুলো নিয়ে কিছু না বলেন তাহলে তো আমরা বিভ্রান্ত হই। দেশের প্রতি ভালোবাসা মানে কোন দলের প্রতি সমর্থন নয়। ব্যক্তিগত ভাবে কোন দলকেই সমর্থন করলেও নিজ দলের গঠনমূলক সমালোচনা সেই করতে পারে যে প্রকৃতই দেশকে ভালোবাসে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে স্যারকে আমরা আমাদের আদর্শ হিসেবে আর মেনে নিতে পারি না (এ কথা লিখতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবতা এটাই)। কারণ, স্যারকে যদি আমরা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করি, তাহলে বর্তমান সরকারের সকল খারাপ কাজগুলোকেও আমরা সমর্থন দিতে হবে। স্যার যেহেতু বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে কোন কলাম লেখেননি, আমরা ধরে নিতেই পারি তিনি এগুলো সমর্থন করেছেন। সুতরাং তার অনুসারীরাও সমর্থন করছে। তাহলে কিভাবে দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হবে?
যদিও যুক্তি বলে, স্যার তার আসন হারাচ্ছেন, আমি অন্তর থেকেই তা মানতে চাই না। আমার মন একথা বিশ্বাস করতে চায়, স্যার কিছুতেই খারাপ কোন কিছু সমর্থন করতে পারেননা। তিনি নিশ্চই জরুরী কোন কাজে আটকা পড়ে কলাম লিখতে সময় পাচ্ছেন না। সময় হলেই তার কলমে আমরা আগের সেই ধার খুজে পাব। ক্ষুরধার লেখনীতে তিনি আবার আমাদের পথ দেখাবেন। সেই কামনাই করছি।
কোন কিছু নিয়ে না লেখলেই কি সেইটার সমর্থন করা হয়ে যায় নাকি? রাজাকারের বিরুদ্ধে তো আপনার কমেন্টে কোন কিছু লেখা নাই, তাইলে কি আপ্নে রাজাকারদের সমর্থ্ন করেন? ৫টা রাজাকারের নাম বলে, যুদ্ধপরাধীদের বিচারের সপক্ষে বা রাজাকারের বিপক্ষে কোথায় কি লিখেছেন তা দেখান - নইলে আপনার যুক্তিমতে আপনে একটা রাম ছাগু।
জাজাকাল্লাহ খায়রান
আপনার সমস্যা কি জানেন? শিবির ধরে কেউ গালাগালি না করলেই সে শিবির হয়ে যায়। এ ধরনের চিন্তাধারা বদলান। বাংলাদেশে অনেক মানুষ, কয়জন শিবির ধরে গালাগালি করে? কিন্তু অনেক মানুষই শিবিরের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ঘোর বিরোধী।
আপনি যুক্তির আগাও বুঝেন না, মাথাও বুঝেন না। আপনি পুরো লেখাটা না পরেই গলাবাজি করতেছেন। আমি বলেছিলাম স্যার যেহেতু বিগত সময়ে দেশের যে কোন ক্রান্তি লগ্নে লেখনী ধারন করেছিলেন, আমরা এখনও তা-ই আশা করি। কিন্তু এখন তিনি তা না করে পক্ষান্তরে ঐসব ব্যাপার গুলোকে কী সমর্থনই দিচ্ছেন না? সত্যি সত্যি দেশের জন্য ভালবাসা থাকলে দেশের যে কোন ইস্যুতেই তিনি লিখার কথা। রাজাকারদের বিরুদ্ধে লিখে আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এখন দেশপ্রেমের চেতনা তার কই গেলো?
মন দিয়ে আমার লেখাটা আরেকবার পরেন। আমি নিশ্চিত আমি আপনার চাইতে তার বড় ভক্ত।
বাংলাদেশে একমাত্র শিবিরের লোকজনেই শিবিররে ধরে গালাগালি করে না। আপনে কি শিবির? আমরা জানি আপনি সলিড শিবির। মজা করার জন্য তাও জিগাইলাম।
আপনি মুহম্মদ জাফর ইকবালের ভক্ত হইলেই যে শিবির হবেন না এমনতো কোন কথা নাই। আপনার কথাবার্তার ভেতর থেকে তো ছাগুর বোঁটকা গন্ধ বাইর হচ্ছে।
শাহজালাল ইউনির একজনতো জানিয়েছেন ছাগুরাও নাকি হাটেমাঠেঘাটে মুহম্মদ জাফর ইকবালের সাথে ছবি তোলার জন্য ক্ষেপে উঠে।
যদি নিজেকে শিবির না দাবি করতে চান তাহলে পাঁচটা রাজাকারের নাম বলেন দেখি?
আপনার মাথা কিসে ভর্তি তা বুঝতে আমার আর বাকি নাই। কারণ আমি নিজে জানি, আমি কি সমর্থন করি আর কি করি না!!! জামাতে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা যে রাজাকার সেটা আন্ধার বাড়ির কানাও জানে, সেটা আমার হাত দিয়ে লেখানোর মধ্যে আপনার কি সার্থকতা আমি সেটাই বুঝতে পারছিনা। আর এই ব্যাপারে আপনি শিউর থাকেন, শিবির সমর্থক মাত্রই জাফর ইকবাল স্যারকে তীব্র ঘৃণার চোখে দেখে, তাদের মধ্যে স্যারের বিরুদ্ধে নানা অসত্য ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
আমি শিবিরের বিরুদ্ধে নাকি পক্ষে সেটা আমার উপরের দীর্ঘ কমেন্টের মূল বিষয় ছিল না। তারপরও বলছি আমি ছাত্রদল, ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্রশিবির কোনটিরই রাজনীতি করার পদ্ধতি পছন্দ করি না। শিবির অনেক খারাপ মানলাম!!! কিন্তু আপনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন ছাত্রসংগঠনকে দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ মনে করবেন? আপনি যদি বিবেকবান হন আপনার উত্তর অবশ্যই ছাত্রলীগ হওয়া উচিত। আর যদি আপনি ছাত্রলীগের কুকুরদের পছন্দ করেন তাহলে আমার কিছু বলার নাই। উত্তর আশা করছি।
আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকেই আমি জানি এখানে ছাত্রশিবিরের একছত্র আধিপত্য। কিন্তু ভর্তির পর থেকেই ঠিক উল্টো চিত্র দেখতে পাচ্ছি। ছাত্রলীগের জ্বালায় কয়দিন পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হচ্ছে এবং তার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক সংগঠনের উপর চড়াও হচ্ছে না বরং নিজেদের মধ্যেই তাদের বিরোধ। বিশ্বাস করেন ভাই, আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। ছাত্রশিবিরকে ঘৃণা করি। কিন্তু এখন আমরা কি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কিছু বলার বা লিখার সময় আসে নাই!!!! উত্তর দিন...............
ভাই, এত চ্যাতেন কেন? ৫টা রাজাকারের নামই তো জিগাইছি। নামগুলা সরাসরি না বলে এত কথা লেখার তো দরকার নাই। জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের কে কে রাজাকার বলেন শুনি?
পাঁচটা নামই তো... বেশি তো জিগাই নাই।
১. গোলাম আজম
২. মতিউর রহমান নিজামী
৩. মুজাহিদীন
৪.
৫.
এইগুলা সবের নামও জানিনা।
আমি আপনারে একটা কথা জিগাইছিলাম......... এখানে যেমন ছাগুদের বিরুদ্ধ লিখতেছি বর্তমানে ছাত্রলীগের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমরা কিছু লিখা উচিত কিনা!!!! উত্তর দেন......... নাহল কিন্তু আপনি নিজেকে ছাত্রলীদের হারামিগুলোর একটা হিসেবে পরিণত করবেন। এবং তখন ধরে নিবো ছাগুদের প্রতি আপনার এই তীব্র ঘৃণা দেশপ্রেম কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে নয় বরং প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের প্রতি প্রতিহিংসাপ্রসূত!!!!! আপনার সকল বুলি তখন ফক্কিকার হিসেবে পরিগণিত হবে!!!!
মানবতা বিরোধী বিচারের জন্য বন্দী আছেন যারা তাগো নাম কইলেই তো ৪ আর ৫ এর নাম হয়ে যায়। নাকি পত্রিকা টত্রিকাও পড়েন না? নাকি পড়তে গেলেও বিচারের অংশ চোখে পড়েনা? নাকি জাফর ইকবাল না লিখলে পত্রিকা পড়া যায়না? নাকি নয়া দিগন্ত পড়েন?
ছাগুদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের প্রতি প্রতিহিংসাপ্রসূত???? --- লেঞ্জা ইজ আ টাফ থিং টু হাইড
আমিও আপনারে সেটাই বুঝাইতে চাই.........
৫ টা নাম জিগাইলাম। ২ টা কইতে পারলেন। মুজাহিদীন কেঠায়? আফগানি কোন যোদ্ধা নাকি?
১০০ তে ৪৫ পাইলে চলপে?
হ নাম জানবার চাই, দ্রোহীদা'র দাবীতে বিপ্লবী সমর্থন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হইতে আপনার জাফর ইকবালের দিকে তাকায় থাকা লাগে কেন? সে তার যা ইচ্ছা তাই নিয়া লেখবে, তাতে আপনে বলার কে? আপনের পুরা লেখা পইড়াই কথা বলছি। কেপি টেস্টে ফেইল মাইরা আর ফাল পাইড়েন না
আমি ফাল মারমু নাকি লাফ মারমু সেই বুদ্ধি আপনার কাছ থেকে নেয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়। আমার লাফাইতে ইচ্ছা করতেছে!!!!
কেপি টেস্ট কি বুঝি নাই.........
উনিই আমাকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখাইছেন, দেশদ্রোহীদের ঘৃণা করতে শিখাইছেন, এইজন্যই স্যারের দিকে তাকাইয়া থাকি দেশদ্রোহীদের চেনার জন্য। কিন্তু এখন দেখতেছি তিনি নিজেই দেশদ্রোহী চিনেন না!!!
আমি ব্লগে বেশি ঘুরাঘুরি করিনা, এইজন্য বিভিন্ন ব্লগ পেজ সম্পর্কে আমার আইডিয়া কম। তবে আপনাদের লেখা দেখে একথা বুঝতে আমার আর বাকি নাই যে, সচলায়তনে সব আওয়ামী পন্থীদের আড্ডা। তবে আপনাদের মত শিক্ষিত ছেলেপেলের কাছ থেকে টিপিক্যাল রাজনীতিবিদ যারা নিজেদের ভালো কাজগুলো ছাড়া খারাপ কাজগুলো দেখতে পায় না, তাদের মত আচরণ আশা করি নাই। আপনার উপরের কমেন্টে, আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বলা আমার কথা গুলোর জন্য তীব্র ক্ষোভ গোপন থাকে নাই।
আমি ফাল মারমু নাকি লাফ মারমু সেই বুদ্ধি আপনার কাছ থেকে নেয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়। --- এইতো লাইনে আইছো সুনা, তুমি যেমন আমার বুদ্ধি নিবানা, তেমনি জাফর ইকবালও কি নিয়া লিখবে এইটা তার ব্যাপার।
এজন্যই তো বলতেছি ভাই, জাফর ইকবালরে ভক্তি করা ছাইড়া দেন। ফকরুদ্দিন মানিক ভাইয়া সায়েন্স ফিকশন লিখতে শুরু করলেই দেখবেন আপনার মনটা ভালো হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগ খুব খারাপ রে ভাই। মন্ত্রী, এম্পি, চ্যালা চামুণ্ডা সবাই খুব খারাপ। দেশে আসলে সৎ লোকের শাসন দরকার।
এইবার ৫ জন দেশদ্রোহীর নাম বলেন না। জাফর ইকবাল তো দেশদ্রোহীদের চিনেন না, আপনি আমাদের ৫ জন দেশদ্রোহী চিনান।
এইটা একাটা ভালু কর্চেন কইচ্চেন, শাকিল ভায়ার লিস্টি খুবই সুজা, একটা লিস্টির উদাহরণ ধরেনঃ
১। হিমু
২। দ্রোহী
৩। ধুসর গোধুলী
৪। অনার্য্য সঙ্গীত
৫। স্পর্শ
৬। সাফি
.
.
.
n-1। পুস্টের লেখক ও এই পুস্টের সমর্থনে মন্তব্যকারী/নী বেবাক জনতা
n। সচলায়তনের কন্দরে সঞ্চিত মেলা মেলা সচল ও গাদাখানিক হাচল
অতিথি দেশদ্রোহীঃ . . . কল্যাণF (কবে যে অতিথিজেবন শেষ হইবো কে জানে )
এহহে ভ্রেম হয়া গেসে, ৫টার বেশি কয়া ফালাইছি, কিন্তু লিস্টি তাও শ্যাষ হইতেছে না। এইখানে সব দেশদ্রোহী সাফা করতে গেলেতো পুরা সচল বন্ধ করা লাগতে পারে।
স্যারের হারানো আসনে আপনি কাকে বসাবেন, কিছু ঠিক্করলেন?
এইডা এক্টা কোয়েশ্চেন করলেন?
না ভাই আমি ঠিক করতে পারি নাই। স্যার নিজের আসন ঠিক করে আবার সেই আসনে বসবেন এই আশায় আছি।
স্যার কবে তার আসনে ফের বসবেন তার তো কোন ঠিকঠিকানা নাই, তাই না? তাই এক কাম করেন, স্যারের আসনটা গামছা দিয়ে প্রতিদিন একবার করে ঝেড়ে মুছে রাইখেন।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
হ, হেল্লেগাই তো আমিও বিপ্লবী আশায় আছি, টানেল কবে শুরু হয় দেখি। হিজাব একটা জোগাড় কইরা টানেলে যায়া ঢুইকা অনশনে বইসা পড়ুম। তারপর জাফর ইকবাল সাহেব যখন আওয়ামীলিগের বিরুদ্ধে কলাম লিখবো তখন আবার বাইর হমু।
আপনার কামনায় বিপ্লবী সমর্থন। অবিলম্বে সরকার বিরোধী কলাম না আসলে টানেল খুঁইড়া সব ঝাজরা কইরা দিমু।
ভাই সরকার বিরোধী কলাম লিখতে বলি নাই। আমরা তো অনেক কিছুই ভালো বুঝি না, স্যার তা আমাদেরকে বিগত সরকারের সময় তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। একথা আমরা অস্বীকার করতে পারিনা যে, বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থানের পিছনে স্যারের ভূমিকাই অন্যতম মূখ্য। যেহেতু, বর্তমান সরকারের সময় অনেকগুলো জাতীয় ইস্যুর সৃষ্টি হয়েছে যা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়, তিনি আমাদেরকে সেসব বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহবান জানাবেন এটাই আশা করি, কারণ আগে তিনি এমন কাজ করেই আমাদের শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।
ধন্যবাদ ভাই।
পনের কোটি মানুষের দেশে মুহম্মদ জাফর ইকবালকে সবকিছু জানাতে হবে কেন? আপনের বিবেক বুদ্ধি নাই?
জ্বি আমার বিবেক বুদ্ধি আছে...... আমার লেখাটা মন দিয়ে পড়লেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হওয়ার কথা।
আমি স্পষ্ট বলেছি ব্যাপারটা এমন নয় যে, একজন ব্যক্তিকেই সবকিছুর প্রতিবাদ করতে হবে। কিন্তু পুরো তরুণ প্রজন্মের আদর্শ হিসেবে তার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত নয় কি? আমরা তো জানি পুরো দেশের মত আমাদের তরুণ প্রজন্মও আওয়ামী লীগ - বিএনপি এই দুই দলে বিভক্ত। স্যার এই বিভক্ত তরুণ প্রজন্মকে এক শক্তি -তে পরিণত করার যে উদ্যোগ নিয়েচিলেন তা মাঝপথে থেমে গেলো কেন? সেখানেই আমার চিন্তা থমকে যাচ্ছে। তিনি যদি এখনও তার আগের ভূমিকা অব্যহত রাখার চেষ্টা করতেন তাহলে, যে সকল তরুণ আওয়ামী বা বিএনপি পন্থী তারা শুধুমাত্র নিজের দলের ভালো দিক না থেকে খারাপ দিকগুলো সম্পর্কেও সচেতন হতে চেষ্টা করত। আমি এটুকুই বলতে চেয়েছি ভাই............... আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় মন দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তরুণ প্রজন্মের আদর্শ হইতে গেলে নিরপেক্ষ হইতে হবে এই কথা কোথায় বলা আছে? আপনে কি নিরপেক্ষ?
দেশের সবাই নিরপেক্ষ হইলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে ক্যামনে?
দেশে দুইটা গ্রুপ, এক গ্রুপ ছাগু, আরেক গ্রুপ ছাগুপোন্দা। জাফর ইকবাল ছাগুপোন্দা গ্রুপের জেনারেল। সে আওয়ামী লীগ নাকি বিএনপি তা দেখার দরকার নাই।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি জামাতের নেতাদের জন্য কানতেছে, তারে কি আমরা কোলে নিয়া বসে আছি? সেও ছাগুদের চাইতে আলাদা কিছু না। বীর উত্তম অলি আহমেদ ও ছাগু।
হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, একবারের রাজাকার চিরকালের রাজাকার কিন্তু একবারের মুক্তিযোদ্ধা চিরকালের মুক্তিযোদ্ধা না । কথাটা সত্য।
জাফর ইকবাল কোনদিন ছাগুদের জন্য কানলে সে ও চোদন খাবে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত জাফর ইকবালরে কিছু বলতে গেলে আপনে চোদন খাবেন।
জাফর ইকবাল আওয়ামী লীগের সমর্থক হোক আর বিএনপির সমর্থক হোক কিছু যায় আসে না তাতে। তার পরিচয় একটাই, সে ছাগুপোন্দায়, আমাদের চাইতে ভালভাবেই পোন্দায়।
আইছিলাম কিছু কওয়ার লেগা, কিন্তু আপনার দারুণ মন্তব্যে , মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
টুইটার
এই পর্যন্ত কয়টা ছাগু পোন্দাইছেন, ঈমানে কন? ছাগু পোন্দানোর মাধ্যমে যদি দেশের উন্নতি হয় তাহলে আমারে কন আমিও আপনার সাথেই আছি!!!! এরা আমাদের দেশের জন্য ক্ষতিকর এটা আমাদের মাথাতে থাকলেই হয়...... সারাক্ষণ তাদের পোন্দানোর দরকার পড়েনা। এখন আমাদের ছাত্রলীগকে পোন্দানোর দরকার, কারণ তাদের দ্বারাই আমরা এখন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, স্যার তাদেরকে পোন্দাচ্ছ না কেন?
শাকিল ভাই, এই দ্রোহী লোকটা দুষ্ট কিন্তু। আপনার প্রশ্নের উত্তরে দেখবেন এসে বলতেছে, পুন্দিত ছাগুসংখ্যা আপনারে সহ গুণে বলবে, নাকি আপনারে বাদ দিয়ে গুণবে।
সারাক্ষণ ছাগু পোন্দাইলে সমস্যা কী ভাই? ছাগুরা তো সারাক্ষণ দেশের মেয়েদের বস্তায় ভরার তালে থাকে।
ছাত্রলীগ খুবই বিখাউজ এক ছাত্র সংগঠন। আপনি যদি ছাত্রলীগ দ্বারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন, আপনি সারাক্ষণ ছাত্রলীগকে পোন্দান। স্যার ছাত্রলীগকে পোন্দাচ্ছে না যখন, স্যার মনে হয় ছাত্রলীগের সাপোর্টার। উনি ছাত্রদলকে পোন্দায় না, মনে হয় উনি গোপনে ছাত্রদলও করে। আপনি এই দুষ্ট লোকটারে ভক্তিটক্তি করা ছেড়ে দেন। চলেন ফখরুদ্দিন মানিকরে বলি সায়েন্স ফিকশন লেখা শুরু করতে। ছাত্রলীগরে একটা শক্ত পোন্দানি দেওয়ার কাম।
দেশে যে সমকামীর পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে এই ব্লগে এসে বুঝতে পারলাম!!!!
দ্রোহী ভাই এর মত লোকেরা শুধু লেখনীতেই ছাগু পোন্দাতে পারে সেটা আমি ভালোই জানি, দেখবেন কোন ছাগুর সামনে পড়লে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলবে!!!!
এখানে সায়েন্স ফিকশন এর ব্যাপার কোত্থেকে আসছে, আমি বুঝতে পারতেছি না, আপনিও নিশ্চই বুঝতে পারেন নাই।
জাফর ইকবাল স্যার ছাত্রদলের বিরুদ্ধে লেখেন নাই, এটা ঠিক না, ছাগুদের সাথে সাথে তিনি গত সরকারের সময় ছাত্রদলের বিরুদ্ধেও লেখার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ইস্যুর অভাবে তেমন একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননাই। সুতরাং স্যার গোপনে ছাত্রদল করেন সেই ধারনা আপনার ভুল। সামনে পরীক্ষা, নাহয় ছাত্রদলের বিরুদ্ধে লেখা স্যার এর লেখা হাজির করার প্রয়াস পেতাম।
ভাই, আমি কোন দলের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতে চাইনা। স্যার বলেছেন, আমরা যেনো ভুলে না যায়, আমাদের দেশের স্বাধীনতা কত কষ্ট করে অর্জিত হয়েছে (যদিও ১৯ বছরের টগবগে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও তিনি কেনো মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন না, সে প্রশ্নের জবাব আমি আজও পাই নাই। আমার বাবা যখন যুদ্ধে যান তখন তিনি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র)। আমি ভুলতে চাই না, সেই সব মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ। স্যার আমাদেরকে একটা পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন, সেই পথে আমরা নিজেরাই যেতে হবে, কেউ হাত ধরে আমাদের নিয়ে যাবে না। সে পথে হাটার জন্য দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ সবকিছুকেই দূর করতে হবে, ঘৃণা করতে হবে অন্তরের অন্তস্থল থেকেই। রাজাকারদের ঘৃণা করতে শিখিয়েছে স্যারই। কিন্তু এখন তো আরেক দেশদ্রোহী গ্রুপের জন্ম হচ্ছে, তাদেরকে ঘৃণা করব না আমরা??
আপনি সরাসরি বলেন তো, ছাগুদের যেভাবে পোন্দানো হচ্ছে সেভাবে ছাত্রলীগকেও এভাবে আমরা সবাই পোন্দানো দরকার!!!!! সৎ সাহস থাকলে উত্তর দিন......
এদেশে সমকামীর চেয়েও বেশি বেড়ে গেছে ছাগুকামী, যারা স্ত্রী-পুং নির্বিশেষে ছাগু পোন্দায়। খুব বাজে অবস্থা রে ভাই। বিশেষ করে ছাগুদের। এই দেখেন বাংলানিউজে কী খবর আসছে।
হুঁ, হতে পারে। ছাগুরাও হয়তো দ্রোহীর সামনে পড়লে আর লাদি ছাড়বে না।
ফকরুদ্দিন মানিক ভাইয়া সায়েন্স ফিকশন লিখে লিখে কিশোর তরুণদের মন জয় করে স্যারের আসনটায় বসে পড়তে পারেন, সেটাই বললাম।
পরীক্ষা শেষ হলে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে স্যার যে লেখাগুলি লিখেছেন, সেগুলি আমাদের পড়তে দিয়েন, তাড়াহুড়ার কিছু নাই।
সবাই কি আর আপনার পিতার মত সাহসী? স্যার ১৯৭১ সালে পুরাই ডরপোক ছিলেন। তা চাচাজান যুদ্ধে কোন পক্ষে গিয়েছিলেন?
আমার সৎসাহস আছে তো! বললাম না, আপনি পোন্দানো শুরু করে দেন ছাত্রলীগকে। এরা খুবই খারাপ। এদের কারণেই শিবির এখনও টিকে আছে। যতবার শিবিররে মাইরা পিটায় শোয়ায় ফেলার পরিস্থিতি তৈরি হইছে তখনই এরা গিয়ে শিবির বাচায় দিছে। আপনি পোন্দানি শুরু করেন ভাই, আপনার পাশে সচেতন ছাত্র জনতা অবশ্যই দাঁড়াবে। আমরা ছাগু পোন্দাই, আপনারা ছাত্রলীগ পোন্দান। এইভাবে একসময় দেশ থেকে ছাগু ছাত্রলীগ দুইটাই দূর হবে।
আপনাকে আমার আর কিছু বলার নাই...
আপনের মুক্তিযোদ্ধা বাপ আপনারে রাজাকার ঘৃণা করতে শিখাইলোনা কেন?
জি ভাই, বাপজান আমাদের মাঝে আর নাই, থাকলে হয়তো শিখাইতে পারতেন। আমার বুঝার বয়স হবার আগেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন!!!!
আল্লাহ বাঁচায় দিসে ওনারে, বেঁচে থাকলে পোলার এই অবস্থা দেখলে আরেকটা রাজাকার মারতে হইতো
আওয়ামী লীগ এর সমর্থকেরা মনে করে যারা আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করেনা তারা সবাই রাজাকার... এটা নতুন কিছু না!!!!
জানেন শাকিল ভাই, ছাগুরাও না কাউকে ছাগু পোন্দাতে দেখলে গিয়ে কান্নাকাটি করে, বলে তুরা সব আউমি লীগ। কেন এমন হয়?
ঠিক। আমি আওয়ামীলিগের সাপোর্টার না। আমি আওয়ামীলীগের বান্দরগুলার ফাঁসি চাই। খুশি?
আসেন এইবার আমার লগে গলা মিলান: জামায়াতের সব শুওরের বাচ্চা, তাগো সাপোর্টার, দূরসম্পর্কের সাপোর্টার, সব শালারে ন্যাংটা কইরা উল্টা ঝুলায়া রাখা হোক সংসদের সামনে! আল্লাহু আকবার!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দুনিয়ার সব ছাগু'র বাপ মা চাচা চাচী কেউ না কেউ মুক্তিযোদ্ধা থাকে! পাকিস্তানের মুক্তির জন্য এতোলোকে লড়ছিলো, তাও পাকিস্তান ইয়ে হলো! খোদার ইন্সাফ্নাই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার মাথায় দোষ আছে। অধিক উত্তেজনায় বেসিকে গন্ডগুল হয়া গেছে। পড়িক্ষার আগে আগে অবশ্য ছাগলদের এইরাম হইতে দেখা যায়। এইখানে সবাই যখন ছাগু পোন্দায় তখন কোন ছাগুরে অবমূল্যায়ন করা হয়না। জামাত ছিবিড় এর পার্মানেন্ট ছাগুদের পাশাপাশি নতুন-পুরাতন-আম্লীগ-বিম্পি-বিপ্লবী নির্বিশেষে ছাগু হইলেই সবাই সমান ভাগে পুন্দানী খাইতে পায়। আপনের কপাল খারাপ আপনি নেজ ঢাকা-চাপা দিবার পারেন নাই। বেটার লাক নেক্সট টাইম। তয় নেক্সট টাইমে পুন্দানী আরো ভয়ংকর হইব বলাই বাহুল্য, সেই রিস্ক আপনার।
হিমু বলে ফেলছে, তাও আরেকবার শিওর হয়ে নিই। আপনের ধরে গুনুম নাকি আপনেরে বাদ দিয়া?
আপনে আমার সাথে থাকলে তো চলবে না, সামনে থাকতে হপে!
হঠাৎ কী যেন মনে হলো, আমার লেখার শিরোনাম গুগলে লিখে সার্চ দিলাম। দেখলাম অনেকেই ব্যক্তিগত ব্লগে লিংকসহ শেয়ার করেছেন লেখাটা। ভালো লাগল। চোখ বুলাতে বুলাতে এক জায়গায় এসে চোখ আটকে গেল। দেখলাম সোনা ব্লগে আমার লেখা!! একজন লেখাটা কপি পেস্ট করে লিংকসহ তুলে দিয়ে বলেছে সচলে মন্তব্য করা যায় না, তাই এখানেই কথা বলা হোক। আমার কেমুন জানি লাগতেছে! শেষ পর্যন্ত আমিও সোনা ব্লগের লেখক হইলাম নাকি?? কী করা যায়? আমার কিংবা সচলায়তন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এভাবে কি এক ব্লগের লেখা অন্য জায়গায় প্রকাশ করা যায়?? মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
_________________
[খোমাখাতা]
সচলের প্রতি পেইজের নিচে দেখেন লেখা আছে
অর্থাৎ সোনাব্লগে যে আপনার লেখাটি কপি পেস্ট করে ছেপেছেন তিনি অন্যায় করেছেন। লেখকের অধিকার আছে তার লেখা কোথায় প্রকাশ করবেন কোথায় করবেন না। আপনি ঐ লেখায় আপত্তি জানান। মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
সোনা ব্লগের মডারেটর বরাবর মেইল করতে পারেন, সচলের মডারেটরের কিছু করার নেই এক্ষেত্রে। দ্রোহী একবার কইছিলো, আপনের লেখা চুরি করছে এখন, কয়দিন পরে চুরি কইরা উল্টা টাকা চাইবে... টাকা যে চায়নাই এই নিয়া খুশী থাকেন।
লেখাটির প্রতিটা প্যারায় সহমত। শেয়ার করলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ব্লগটি খুব খুব খুব ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
নতুন মন্তব্য করুন