আসলেই কি পৃথিবী উষ্ণতর হচ্ছে নাকি এটি কল্পনা ? দেখা যাক উপাত্ত কি বলে। পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রায় এক হাজার আবহাওয়া কেন্দ্রের লক্ষাধিক উপাত্তের ভিত্তিতে দেখা যায় গত ১৩০ বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রায় এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং বলা যেতে পারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই প্রবণতা কল্পনা প্রসূত নয় বরং বাস্তবিক।
উপরের লেখচিত্রটিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে ১৮৮০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা পরিবর্তিত হচ্ছে। লেখচিত্রটিতে ১৯৫১-১৯৮০ এই তিরিশ বছরের ( বেইজ পিরিয়ড) গড় বাৎসরিক তাপমাত্রা থেকে অন্যান্ন বছরের গড় তাপমাত্রা কতটুকু বেশি বা কম তা দেখানো হয়েছে। উলম্ব স্কেলে ঋনাত্মক সংখ্যাগুলো বাৎসরিক গড় তাপমাত্রা কমে যাওয়া নির্দেশ করে আর ধনাত্মক সংখ্যাগুলো বাৎসরিক গড় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া নির্দেশ করে এবং অবশ্যই তা বেইজ পিরিয়ডের ভিত্তিতে। বেইজ পিরিয়ড থেকে এই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার পরিমানকে ‘তাপমাত্রা ব্যত্যয় (Temperature Anomaly)’ হিসেবে অভিহত করা হয়। লেখচিত্রটিতে কালো বর্গাকার বিন্দুগুলি এই তাপমাত্রা ব্যত্যয়ের বাৎসরিক গড় নির্দেশ করে আর লাল লাইন তাপমাত্রা ব্যত্যয়ের ৫ বছরের চলমান গড় (অর্থাৎ পর পর ৫ বছরের বাৎসরিক গড় ব্যত্যয়ের গড়) নির্দেশ করে।
লেখচিত্রটি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, উনিশ শতকের ৭০ দশকের মাঝামাঝি থেকে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা নিয়মিত ভাবে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। অর্থাৎ ৭০ দশক থেকে শুরু করে এর পরবর্তী প্রতিটি দশক ( ৮০, ৯০, একবিংশ শতাব্দির প্রথম দশক ইত্যাদি) তার আগের দশক থেকে উষ্ণতর। বলতে গেলে পরিমাপকৃত তাপমাত্রার ভিত্তিতে একবিংশ শতাব্দির প্রথম দশক (২০০০-২০১০) মানব জাতির ইতিহাসে সর্বাধিক উষ্ণতর দশক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
কিন্তু কেন এই উষ্ণতা বৃদ্ধি? যদি খুব সাধারন কাউকেও প্রশ্ন করা হয় এই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সাথে কোন বিষয়টি অধিক সম্পর্কিত? উত্তর আসবে ‘গ্রীন হাউস প্রভাব’। একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে গত কয়েক দশক ধরে এই ‘গ্রীন হাউস প্রভাব’, যা মূলত 'বায়ুমন্ডলে গ্রীন হাউস গ্যাস সমুহের প্রভাব', বিষয়টি বিজ্ঞানীদের গবেষনাগার থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের আলোচনার টেবিলে বহুল ভাবে আলোচিত হয়ে আসছে। উনিশ শতক থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত তাত্ত্বিক গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে গ্রীন হাউস গ্যাসের প্রভাবকে নিশ্চিত ভাবে সম্পর্কিত করতে পারছেন। তাদের গবেষণার মূল ফলাফল কিছুটা এরকমঃ বৈশ্বিক উষ্ণয়ন প্রতিনিয়ত ঘটছে এবং বলা যেতে পারে বায়ুমন্ডলে গ্রীন হাউস গ্যাসের বৃদ্ধি এই প্রক্রিয়াকে চালিত করছে।
কিন্তু আমরা কতজন সঠিক ভাবে জানি ‘গ্রীন হাউস প্রভাব’ আসলে বিষয়টি কি, কেনই বা এটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ? সে আলোচনায় আসার পূর্বে চলুন একটু ইতিহাসের পাতা থেকে বরং ঘুরে আসি।
‘গ্রীন হাউস প্রভাব’ প্রথম আলোচনায় আসে ১৮২০ সালের দিকে। সেসময় ফরাসী পদার্থবিদ ও গনিতজ্ঞ জোসেফ ফ্যুরিয়ার পৃথিবীর আকার ও সূর্য্য থেকে এর দূরত্ব থেকে হিসাব কষে দেখেন যে, শুধুমাত্র সূর্য্যের আলোকে যদি বিবেচনা করা হয় সেক্ষেত্রে পথিবীর গড় তাপমাত্রা আরো অনেক কম হওয়া উচিৎ। উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র সূর্য্যের আলোকে হিসেবে ধরলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা হওয়া উচিৎ -১৮ ডিগ্রি অথচ মেপে দেখলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা অনেক বেশী যার পরিমান ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।তিনি ধারনা করেন যে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল এক্ষেত্রে তাপ নিরোধক হিসেবে কাজ করে। জোসেফ ফ্যুরিয়ারের এই ধারনাকেই গ্রীন হাউস প্রভাবের প্রথম প্রস্তাবনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এই নিয়ে বিস্তারিত কোন কিছু না জেনেই ফ্যুরিয়ার ১৮৩০ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।
জোসেফ ফ্যুরিয়ারের মৃত্যুর প্রায় ৩০ বছর পর ১৮৫০ সালে বৃটিশ রসায়নবিদ জন ট্যান্ডল এক জুগান্তকারী আবিষ্কার করেন। আমরা জানি যে সূর্য্য থেকে আলোক রশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে পৌছে এবং পৃথিবীকে উষ্ণ করার পর কিছু অংশ পূনরায় বিকিরীত হয় মহাকাশের দিকে যাকে বলা হয় অবলোহিত বিকিরণ (বিকিরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে একটু পরে) । তিনি কার্বন ডাইঅক্সাইডকে একটি গ্যাস টিউবের মধ্যে পাম্প করে নিশ্চিত ভাবে দেখাতে সমর্থ হন যে কার্বন ডাইঅক্সাইড অবলোহিত বিকিরণকে শোষণ করতে পারে।
উপরের ভিডিওতে জন ট্যান্ডলের পরীক্ষাটির একটি নমুনা পাওয়া যাবে। পরীক্ষাটিতে একটি স্বচ্ছ গ্যাস টিউবের এক প্রান্তে একটি মোমবাতি রেখে অপর প্রান্ত দিয়ে একটি অবলোহিত ক্যামেরার (Infrared Camera) মাধ্যমে অগ্নিশিখাটির ফুটেজ তুলে মনিটরে দেখানো হচ্ছে। এখন একটি সিলিন্ডার থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ঐ টিউবের মধ্যে পরিচালিত করা হলে দেখা যাবে আস্তে আস্তে মনিটর থেকে মোমবাতির শিখাটি অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। টিউবের কার্বন ডাইঅক্সাইড মোমবাতি থেকে নির্গত অবলোহিত বিকিরণকে শোষণ করে নেবার কারনেই এমনটি ঘটছে।
পরবর্তীতে ১৮৯৬ সালে সুইডিশ রসায়নবিদ স্যাভান্তে আরহেনিয়াস দেখান যে ঐ সময়ে ( ১৮৯০ এর দশকে) যে হারে কয়লা পোড়ানো হচ্ছে সেই হার বজায় থাকলে পৃথিবীয় তাপমাত্রা ভবিষ্যতে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমানে বৃদ্ধি পাবে। বলতে দ্বিধা নেই, আরহেনিয়াসের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সেই খসড়া হিসাব আজকের আধুনিক বিজ্ঞানীদের পরিমাপকৃত মানের মধ্যেই পড়ে।
কিন্তু চার্লস ফ্যুরিয়ারের ধারনা আর জন ট্যান্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইডের অবলোহিত বিকিরণ শোষনের পরীক্ষার সাথে কিভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন জড়িত? সেই আলোচনায় যাবার আগে চলুন বিকিরণ নিয়ে আমাদের জানা জ্ঞানকে একটু ঝালিয়ে নেয়া যাক।
আমরা জানি যে কোন বস্তুর তাপমাত্রা যদি পরম শুন্য তাপমাত্রা (০ ডিগ্রি কেলভিন বা -২৭৩.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে বেশি হয় সেক্ষেত্রে ঐ বস্তু বিকিরন প্রক্রিয়ায় শক্তি নির্গত করে। এই বিকিরনের পরিমান ঐ বস্তুর পৃষ্ঠের তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। সুতরাং যে বস্তুর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা যত বেশি তা থেকে বিকিরীত শক্তির পরিমান তত বেশি এবং বিপরীত ক্রমে যে বস্তুর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা যত কম তা থেকে বিকিরীত শক্তির পরিমান তত কম। এই শক্তি আসলে তড়িৎ চুম্বকীয় তরংগ আকারে বিকিরীত হয়। আমরা জানি, তড়িৎ চুম্বকীয় তরংগের শক্তি আবার তার তরংগদৈর্ঘের ( একটি তরংগের ক্ষেত্রে দুটি পর পর উঁচু স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব বা দুটি পর পর নিচু স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব) সাথে ব্যাস্তানুপাতিক সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ যে তরংগের তরংগদৈর্ঘ্য যত কম তার শক্তি তত বেশি এবং বিপরীত ক্রমে যে তরংগের তরংগদৈর্ঘ্য যত বেশি তার শক্তি তত কম। সুতরাং এই আলোচনার আলোকে বলা যেতে পারে যে,
যে বস্তুর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা যত বেশি তা তত বেশি শক্তি বিকিরণ করবে, ফলে সেই বিকিরন তত কম তরংগদৈর্ঘের তড়িৎ চুম্বকীয় তরংগ আকারে প্রবাহিত হবে।
বিপরীত ক্রমে,
যে বস্তুর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা যত কম তা তত কম শক্তি বিকিরণ করবে, ফলে সেই বিকিরণ তত বেশি তরংগদৈর্ঘের তড়িৎ চুম্বকীয় তরংগ আকারে প্রবাহিত হবে।
এখন এই তরংগদৈর্ঘ্যের উপর ভিত্তি করে আমরা দুই ভাগে বিকিরনকে ভাগ করতে পারি। যদি বিকিরীত রশ্মির তরংগদৈর্ঘ্য ০.৪ মাইক্রো মিটার ( এক মাইক্রো মিটার হচ্ছে এক মিটারের দশ লক্ষ ভাগের এক ভাগ) থেকে ৪.০ মাইক্রো মিটার হয় তবে তাকে হ্রস্বতরঙ্গ বিকিরণ (Shortwave Radiation) বলা হয় আর যদি তা ৪.০ মাইক্রো মিটার থেকে বেশি হয় তবে তা র্দীর্ঘতরঙ্গ বিকিরণ (Longwave Radiation) হিসেবে বিবেচিত হবে।
ছবিঃ ৩- বিভিন্ন তরংগদৈর্ঘের বিকীরন [৪]
যেমন উপরের চিত্র অনুযায়ী লাল রঙের তরংগের তরংগদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশী ফলে তার শক্তি কম এবং একে আমরা র্দীর্ঘতরঙ্গ বিকিরণ বলতে পারি, বিপরীত ক্রমে বেগুনি রঙের তরংগের তরংগদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম ফলে তার শক্তি বেশি এবং একে আমরা হ্রস্বতরঙ্গ বিকিরণ বলতে পারি।
এবারে উপরের আহরিত জ্ঞানের আলোকে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের প্রভাব তথা গ্রীন হাউস গ্যাসের প্রভাব আলোচনা করা যাক।
আমরা জানি সূর্য্যের পৃষ্ঠভাগের তাপমাত্রা প্রায় ৬০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলশ্রুতিতে বিকিরণ নিয়ে আলোচনার আলোকে বলা যেতে পারে সূর্য্য প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমান শক্তি বিকিরন করছে যার অধিকাংশই হ্রস্বতরঙ্গ তরঙ্গ হিসেবে পৃথিবীতে আসছে। বায়ুমন্ডল মূলত নাইট্রোজেন আর অক্সিজেন গ্যাসের মিশ্রন, তবে এতে কার্বন ডাইঅক্সাইডও রয়েছে। এই গ্যাস সমূহ সহজেই সূর্য্যের এই হ্রস্বতরঙ্গ তরঙ্গকে তাদের ভেতর দিয়ে বিকিরীত হতে দেয়। পৃথিবীতে বিকিরীত মোট হ্রস্বতরঙ্গ বিকিরণের প্রায় অর্ধেক পরিমান বায়ুমন্ডলে মেঘের উপরিভাগ, বরফের আচ্ছাদন ও মরুভূমির বালিতে প্রতিফলিত হয়ে আবার মহাকাশে ফিরে যায়। বাকী অর্ধেক পরিমান পৃথিবীকে উষ্ণ করে এবং পূনরায় বিকিরীত হয় মহাকাশের দিকে। তবে এখানেই মূল জটিলতা, যেহেতু ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ( বৈশ্বিক গড় মান ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সূর্য্যের তুলনায় অনেক কম সেহেতু পৃথিবীকে উষ্ণ করার পর ভূপৃষ্ঠ থেকে যে বিকিরণ সংঘটিত হয় মহাকাশের দিকে সেটা আদতে হ্রস্বতরঙ্গ বিকিরন নয় বরং তা র্দীর্ঘতরঙ্গ বিকিরণ। ভূপৃষ্ঠের এই বিকিরনেরই অপর নাম হচ্ছে অবলোহিত বিকিরণ। সমস্যা হচ্ছে আমাদের বায়ুমন্ডল এই র্দীর্ঘতরঙ্গ বিকিরণকে তার ভেতর দিয়ে যেতে দেয়না। বিশেষ করে কার্বন ডাইঅক্সাইড এই বিকিরনকে শোষণ করে ( জন ট্যান্ডলের পরীক্ষাও সেটাই কিন্তু প্রমান করে) কিছুক্ষণ ধরে রাখে এবং পরবর্তীতে আবার বিকিরীত করে। এই পূনঃবিকিরীত শক্তির কিছু অংশ আবার পৃথিবীতে তাপ হিসেবে ফিরে আসে, কিছু অংশ অন্যান্ন গ্রীন হাউস গ্যাস শোষণ করে নেয় আর কিছু অংশ মহাকাশে ফিরে যায়। শোষণ আর বিকীরনের এই প্রক্রিয়ায় কিছু পরিমান শক্তি পৃথিবীতে সাময়িক ভাবে আটকা পড়ে যা মূলত আমাদের পৃথিবীকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। সত্যি কথা বলতে কি, এই প্রক্রিয়া না থাকলে আমাদের পৃথিবী বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি শীতল থাকত (বর্তমানে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বিপরীতে থাকত -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস)
কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে, বিশেষত শিল্প বিপ্লবের পর থেকে আমরা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন করছি। এই অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড অধিক পরিমান র্দীর্ঘতরঙ্গ বিকিরনকে পৃথিবীতে ধরে রাখছে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক পরিমান তাপ পৃথিবীতে আটকা পড়ছে এবং তাতে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে চলেছে। নিচের ভিডিওতে এই প্রভাব নিয়ে চমৎকার করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
কিন্তু আসলে ঠিক কী পরিমানে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমান বেড়ে চলেছে? আর এই বৃদ্ধি কি কল্পকথা, নাকি আমরা সঠিক ভাবে মাপতে পারি এর পরিমান ? আগামী পর্বে এর উত্তর খোঁজার প্রচেষ্টা থাকবে।
[২] GALLUP POLL: And from what you have heard or read, do you believe increases in the Earth's temperature over the last century are due more to -- [ROTATED: the effects of pollution from human activities (or) natural changes in the environment that are not due to human activities]?
[৩] GISS Surface Temperature Analysis, NASA
[৪] Frequently Asked Question 1.3, What is the Greenhouse Effect? IPCC
১) এই সিরিজের লেখাগুলো মূলত কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ভিক্টোরিয়ার Pacific Institute for Climate Solutions (PICS) কতৃক প্রনীত অনলাইন কোর্স Climate Insights 101 এর উপর ভিত্তি করে তৈরী। আগ্রহী পাঠক এই সিরিজ পড়াকালীন সময়ে কোর্সটিও ঘুরে আসতে পারেন অনলাইনে।
২) ব্যাক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত।
মন্তব্য
চমৎকার কাজ
ধন্যবাদ চরম উদাস।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
যথারীতি চমৎকার।
অপেক্ষাকৃত উষ্ণ বস্তু থেকে শর্ট ওয়েভ আর শীতল বস্তু থেকে লং ওয়েভ বিকিরণের ব্যাপারটা গোলমেলে লাগত আগে।
আপনার লেখা পড়ে মাথায় ঢুকল। মাতৃভাষায় বোঝাটা যে কী জরুরী?
আর ভিডিও লিংকগুলোও দারুন।
ধন্যবাদ শমশের ভাই। সত্যি বিজ্ঞান বোঝার জন্য মাতৃভাষার বিকল্প নেই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কিছু শব্দের বাংলা করবেন নাকি?
কোন গুলোর? একটু লিষ্ট দিতে পারবে? শর্টওয়েভ আর লংওয়েভ এর বাংলা একবার করতে গিয়েছিলাম কিন্তু ঠিক মনপূত হয়নি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অ্যানোম্যালি = বিপর্যাস
শর্টওয়েভ = হ্রস্বতরঙ্গ
লংওয়েভ = র্দীর্ঘতরঙ্গ
গ্রীন হাউস গ্যাসের বাংলা করতে গেলে নতুন তর্ক শুরু হতে পারে।
ধন্যবাদ। সম্পাদনা করে দিচ্ছি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অ্যানোম্যালি = অসঙ্গতি-ই তো জানতাম?
গ্রিনহাউজকে বাংলায় কাচঘর বললে আরো ভালো বোঝা যায়।
তানভীর ভাই, যদিও গ্রীনহাউস প্রভাব এর নামকরন গ্রীন হাউস বা কাঁচ ঘর থেকে এসেছে কিন্তু উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে গ্রীন হাউস প্রভাবের সাথে সত্যিকারের গ্রীন হাউসের রয়েছে বিশাল পার্থক্য যা আমরা অনেকেই জানিনা। গ্রীন হাউসে তাপ আটকা পড়ে মূলত পরিচলন প্রক্রিয়ায় ( Convection) আর গ্রীন হাউস প্রভাব হচ্ছে বিকিরণ প্রক্রিয়া। যদিও গ্রীন হাউসের মধ্যে গাছ-পালা থাকায় সেখানেও কিছুটা বিকিরণ প্রক্রিয়ায় তাপ আটকা পড়ে কিন্তু পরিচলনের তুলনায় সেটি নগন্য। ঠিক এই কারনে গ্রীন হাউস প্রভাবকে 'গ্রীন হাউস' বা কাঁচ ঘর থেকে দূরে রাখাই ভাল। এজন্যই আমি গ্রীন হাউস প্রভাব ব্যাখ্যার সময় সত্যিকার গ্রীন হাউস বা 'কাঁচ ঘর' কে উদাহরণ হিসেবে আনি নাই।
আর হ্যা তাপমাত্রা অসংগতি বা তাপমাত্রা ব্যত্যয় শুনতে ভাল লাগছে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
গ্রিনহাউজের উদাহরন পোস্টে আসতে পারত। তাহলে সবার বুঝতে সুবিধা হতো। নামকরণের ক্ষেত্রে কোন প্রক্রিয়ায় তাপ আটকা পড়ছে সেটা মনে হয় বিবেচনা করা হয় নি। গ্রিনহাউজ বা কাচঘর বানানো হয় তাপ আটকানোর জন্য। গ্রিনহাউজ গ্যাসগুলো ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হলেও ঐ একই কাজ করে, তাই এই নামকরণ।
এখন মনে হচ্ছে Anomaly এর বাংলা বিপর্যাস এর চেয়ে ব্যত্যয় অধিক শ্রুতিমধুর।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ব্যত্যয় হচ্ছে ডেভিয়েশন। আর বিপর্যাস হচ্ছে একটা নিয়ম বা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে ব্যত্যয়। যে কারণে আমরা অগোছালো এলোমেলো অবস্থাকে বিপর্যস্ত বলি।
হ্রস্বতরঙ্গটা কঠিন লাগছে, ক্ষীণতরঙ্গ হলে অর্থ ঠিক থাকে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ্রস্ব মনে হয় ঠিক আছে। হ্রস্ব হচ্ছে কোয়ান্টিটেটিভ এবং ক্ষীণ হচ্ছে কোয়ালিটেটিভ। যদি তরঙ্গের দৈর্ঘসংলিষ্ট হয় বিষয়টা, সেখানে মনে হয় হ্রস্বটাই খাটবে। তাও কনফিডেন্ট হতে পারছি না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমার মনে হয় লেখাটিতে ইংরেজী শব্দ যা আছে তা বহুল প্রচলিত। দীর্ঘ তরঙ্গ বা হ্রস্ব তরঙ্গ থেকে লং ওয়েভ ও শর্ট ওয়েভ আমার কাছে বেশী সহজবোধ্য মনে হয়। তাছাড়া সব বাংলা পরিভাষা ব্যবহার শুরু হলে (কার্বন ডাই অক্সাইডকে দ্বিঅম্লজঅঙ্গার ইত্যাদি) সেগুলো ইংরেজির চেয়েও আরো খটোমটো হয়ে যাবে।
আর কিছু নতুন বিদেশী শব্দ একটি ভাষার শব্দভান্ডারে যুক্ত হলে ভাষা বরং আরো সমৃদ্ধ হয়। ইংরেজিতে জীববিজ্ঞানের উপর নিব্ন্ধগুলো খুঁটিয়ে পড়লে ভুরি ভুরি ল্যাটিন, গ্রীক এমনকি ফ্রেঞ্চ বা স্প্যানিশ শব্দ পাওয়া যাবে।
আমি ইংল্যান্ডে আসার পর ব্রিটিশ পত্রিকার খেলার নিউজ পড়ে সবচেয়ে বেশী অবাক হয়েছি ফুটবল পন্ডিত (Pundit), কিংবা টেনিস গুরু (Guru) ইত্যাদি শব্দের অহরহ ব্যবহার দেখে। এমনত না যে এই শব্দগুলোর উপযুক্ত পরিভাষা ইংরেজিতে ছিলনা, কিন্ত এগুলো আরো অনেক (bazar, mela ইত্যাদি) শব্দের মত এখন ইংরেজি ভাষায় ঢুকে গেছে।
সুন্দর পরিভাষা থাকলে ভিন্ন কথা, নাহলে বহুল প্রচলিত বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট বিদেশি শব্দাবলী (ইংরেজি বা অন্যকোন) বাংলায় আত্মীকরণের পক্ষে আমি।
ইংরেজি শব্দগুলো আমাদের কাছে সহজবোধ্য মনে না হওয়ার তো কোনো কারণ নেই। বাংলা দুর্বোধ্য মনে হয় অনভ্যাসের কারণে। কার্বন ডাই অক্সাইড পর্যন্ত মনে হয় না পরিভাষা যাবে।
বিদেশি শব্দ যোগ হলে ভাষা অবশ্যই সমৃদ্ধ হয়। যেমন সমৃদ্ধ হয় পরিভাষা যোগ হলেও। ইংরেজি শব্দের একটা বিরাট অংশই এসেছে ল্যাটিন আর গ্রীক থেকে, বাংলাতে যেমন আছে সংস্কৃত থেকে। নতুন শব্দ নির্মাণও চলুক না, আমরাই তো সেটার ভাগ্যে প্রচলন বা বিলুপ্তি স্থির করবো।
facebook
ধন্যবাদ অনু।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার প্রতিটা লেখা পাবলিশ হবার পর আমি দেখা মাত্র একটা বড় সাইজের বিয়ার আর বাদাম নিয়ে বসি। আপনার লেখা বরাবর ই অসাধারন নতুন কিছু বলার নাই
আমি কিছু জিনিষ যোগ করি
আপনি উপরে বলেছেন ১৩০ বছর ধরে তাপ মাত্রা বারছে! বিজ্ঞানীরা এই জায়গায় এসেই তর্কাতর্কী শুরু করে
এই ভিডিও টা দেখেনঃ http://www.youtube.com/watch?v=fr5O1HsTVgA
৫ পর্বের এই ভিডিও সিরিজটা বিজ্ঞানীদের মাঝে খুব জনপ্রিয়
প্রসঙ্গত বলে রাখি জলবায়ু নিয়ন্ত্রন সংস্থা (IPCC ) আর বিশ্ব জলবায়ু সঙ্ঘ (WMO) আমার বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে পায়ে চলার পথ তাই প্রায় প্রতি মাসে ক্লাস শেষে একটা দুটা সম্মেলনে যাই। ওই সম্মেলন গুলাতে প্রথমে সমালোচনা থেকে পরবর্তিতে মনমালিন্য হতে দেখেছি বেশ কবার
ইদানিং বিরাট একটা গ্রুপ দাঁড়িয়ে গেছে জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের তৈরি নাকি প্রাকিতিকতা নিয়ে গবেষণার জন্য
অনেকে মনে করে আবারো আইছ এইজ হবে হয়তো। মজার ব্যপার হচ্ছে পলিসি মেকারদের অনেকে মনে করে গরিব দেশে জলবায়ু সাহায্য দিয়ে কি লাভ, ওই টাকা দিয়ে গরিব দেশ গুলা আরও বেশি করে কারখানা বানাবে ফলেCO2 নিঃসরণ আরও বেশি হবে! এতে তো হিতে বিপরিদ!
উল্লেখিত ভিডিওর একজন আমাকে সরাসরি বলেছে ক্লাইমেট নিয়ে পি. এইচ. ডি করে খুব বেশি লাভ নাই বরং অ্যাপ্লাইড কিছু একটা কর !!!!!!!!!!!!!!
মাহমুদ
সুমন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক আছে সত্যি। তবে সমস্যা হচ্ছে এর ফলে সাধারণ মানুষ অনেক সময় দ্বিধাগ্রস্থ হয়। এই সিরিজ শেষ হলে অনেকের মনের দ্বিধা কেটে যাবে আশা করি। তুমি যে ভিডিও গুলোর কতাহ বলেছ সেই নিয়ে আলোচনা হবে সামনের পর্ব গুলোতে যখন আমরা পৃথিবীয় গতি প্রকৃতি নিয়ে কথা বলো।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দ্রোহী ভাইকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম পৃথিবীর হাতে আর কত সময় আছে । উত্তরে উনি বলেছিলেন অনেক সময় ( কয়েক মিলিয়ন বছর। ঠিক টাইম টা ভুলে গেছি ) । আসলে গ্লোবাল ওয়ারমিং এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু না কিছু অসংলগ্নতা চোখে পড়ে। যেমন আমাদের এখানেও নিজের সামান্য অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। যেমন - গত আট দশ বছর আগেও যে পরিমাণে বৃষ্টি হতো, এখন তা হয়না। মানে সিজন এর আগেই বৃষ্টি চলে এলো এই বছর, আর থেমেও গেলো। আগে যেমন টানা বৃষ্টি লাগলে সপ্তাহ, দশ দিন ধরে চলতো - এখন তা কল্পনা হয়ে গেছে। আর শীত বলতে যা বোঝায় তাও কেমন অসার হয়ে গেছে। একটা ঘটনা বলি - আমি তখন ভার্সিটির হলে থাকি। রাতে ঘুম আসছে না । রাত তিনটের সময় দোতলার ছাদে বসে সামনের লন এর দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাত দেখলাম - মাটিটা যেন একটু উপরের দিকে উঠে নেমে গেছে, মানে যেন আগের জায়গা থেকে হেলে গেলো - আমার মনের ভুলও হতে পারে - কিন্তু একটা অবাক করা জিনিষ সেদিন সত্যি চোখে পড়েছিলো। পৃথিবী সত্যিই নিজেকে বদলাচ্ছে?
পৃথিবী নিজেকে বদলায়না, পৃথিবীকে বদলাই আমরা। আর আমাদের কারন ছাড়া পৃথিবীর যে বদলানো চোখে পড়ে সেটা বদলানো নয় নিয়ম যা নির্ভর করে এর গতি প্রকৃতির উপর।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
প্রাকৃতিক নিয়মে ধ্বংস হতে পৃথিবীর হাতে কমপক্ষে ৫০ থেকে ১০০ বিলিয়ন বছর সময় আছে।
একটা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করেন, পৃথিবীর ব্যাস ১২,৭৫৬ কিলোমিটার। জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ঘনত্বের সব গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ছড়িয়ে আছে। তারমানে দাঁড়াচ্ছে পৃথিবীর তুলনায় বায়ুমণ্ডলের পুরুত্ব অনেকটা প্রাইমারি স্কুলের হেডস্যারের টেবিলে রাখা গ্লোবের উপর জমে থাকা ধুলোর স্তরের মত।
পৃথিবীর বয়স সাড়ে চার বিলিয়ন বছর। প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে। গত ৩.৮ বিলিয়ন বছরে পৃথিবীতে বহু বহু প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে যাদের কেউ সেই ধুলোর স্তরটুকুর কোন প্রকারের ক্ষতি করেনি। অথচ শিল্প বিপ্লবের পর থেকে গত দুইশো বছরে মানবজাতি এই ধুলোর স্তরটুকুর বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে। বিষয়টা মানবজাতির জন্য বড় লজ্জার।
সে সময় বিশাল বড় কোন ভূমিকম্প না হলে মোটামুটি বলা যায় আপনার দৃষ্টিভ্রম হয়েছিল। নির্ঘুম মস্তিষ্ক অক্সিজেনের অপ্রতুলতায় উল্টাপাল্টা জিনিস দেখে - এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
। তাই হবে বোধ হয় ।
জাকির নায়েক থাকলে এই দৃষ্টিভ্রমের কী উত্তর দিত বলেন তো?
চমৎকার কাজ হচ্ছে জাহিদ, নুতন করে বলার কিছু নেই। আমার মতে এই সিরিজ পুরোপুরি লেখা হয়ে গেলে এটি চমৎকার একটি পাঠ্যবই হতে পারে। লেখার সময় মাথায় রেখে ব্যপারটি। আর মুদ্রিত বইয়ের ঝামেলায় যদি নাও যেতে চাও, ই-বই অবশ্যই হওয়া উচিত। তবে ই-বইটি পাঠ্যবইয়ের মতো করা হোক এইটা আমার অনুরোধ। আমার ধারণা ধীরে ধীরে আমরা কাগজবিহীন বিশ্বের দিকে এগুচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের উপরে ই-বইটি থাকলে খুব ভালো একটি কাজ হবে। যে পরিমান বিষয় রয়েছে তাতে একটি পূর্ণাঙ্গ বই হতে কোন সমস্যা দেখি না। পুরো সিরিজ শেষ হলে, পুরোটা একেবারে পড়ে মতামত কিছু থাকলে জানাবো।
আর হ্যা পরিভাষাগুলো বাংলায় দেওয়ার চেষ্টা করি যথাসম্ভব। সাহায্য লাগলে সচল গ্রুপে বা পানিসম্পদ গ্রুপে বা বিজ্ঞান গ্রুপে আওয়াজ দিতে পারো। কেউ না কেউ ভালো এবং সুন্দর একটি পরিভাষা নিয়ে এগিয়ে আসবে নিশ্চিত। হিমু এবং অন্যান্যদের সাথে সহমত যে এই কাজগুলো আমাদেরকেই করতে হবে। একটি পরিভাষা শুরুতে কঠিন বা হাস্যকর মনে হলেও ব্যবহারের ফলে সেটিই তখন সহজ মনে হয়ে উঠবে।
ইবুক পড়তে আমার খুবই অস্বস্তি হয়। জাহিদ ভাইকে অনুরোধ করবো- ইবুকের পাশাপাশি বই আকারে প্রকাশ করার বিষয়টি মাথায় রাখতে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ গৌতম দা। চেষ্টা থাকবে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দারুণ!
আলোচনা একেবারে গোড়া থেকে শুরু করেছেন দেখে বিষয়টা পরিষ্কার বুঝতে কারো কোন সমস্যা হচ্ছে না।
সিরিজ শেষে একটা ইবুক হয়ে যাক।
ধন্যবাদ বস। আসলে বিশাল এক প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। মোট চারটি মডিউলে আলোচনা হবে। একেকটা মডিউল থেকে এই আকারের অনেকগুলো পোষ্ট হবার কথা। এছাড়া বাংলাদেশের উপর আরো কয়েকটি পর্ব। সত্যি কথা বলতে নিজের এতো বেশি উপকার হচ্ছে এই ঝালিয়ে নেয়ার ফলে তা বলে বোঝানো যাবেনা।
সিরিজ ভাল মতে শেষ হলে ইবুক বা বই এর হাত দিব।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আগ্রহ সহকারে পড়ছি জাহিদ ভাই। জানিয়ে গেলাম
ধন্যবাদ সাফি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
নতুন মন্তব্য করুন