জুমার খোতবায় ইমাম সাহেবকে বলতে শুনলাম, "যারা নবীকে অপমান করে ব্লগ লিখেছে তাদের কঠিন গুনাহ হবে। যারা এসব পড়বে তারা গুনাহগার হবে, যারা প্রচার করবে তারাও গুনাহগার হবে। যারা ইতিমধ্যে পড়েছেন তারা তওবা করুন, যারা পড়েননি, তারা ভুলেও পড়বেন না"।( বাস্তবতা হলো যে নাস্তিক ব্লগ হয়তো ১০০ জনও পড়েনি আগে, জামাত শিবির আমারদেশ ইনকিলাবের সৌজন্যে সেই ব্লগ পড়া হয়ে গেল কয়েক লক্ষ মানুষের। এতগুলো মুসলমানের গুনাহের দায়িত্ব কি নেবে জামাত শিবির বা মাহমুদুর ?)
আমি উৎসুক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম এরপর কি ঘোষণা আসে। নামাজের শেষে জিহাদের ডাক দেয় কিনা আবার। কিন্তু না । মামলা ওখানেই খতম। এই ইমাম কোন জিহাদের ডাক দেননি। এরকম বক্তব্য ছিল অধিকাংশ মসজিদের। আমার আশেপাশে এক ডজন মসজিদ থেকে কোন মিছিল তাণ্ডব হয়নি। তাণ্ডব শুরু হয়েছে কেবল বিশেষ রাজনৈতিক এজেণ্ডাপ্রাপ্ত মসজিদগুলো থেকেই। যেখানে মফস্বলের খারেজী মাদ্রাসাগুলো থেকে লোক জড়ো করা হয়েছিল সহিংসতার উদ্দেশ্যেই।
জামাত-শিবির নানান ইসলামী দলের নামে লিফলেট ছাপিয়ে বাড়িতে বাড়িতে প্রচার করেছে রাজীবের কথিত সেই ব্লগের লেখাগুলো। এবং বলা হয়েছে নবীর নামে এসব কটুক্তি এসেছে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ থেকে। এমন প্রচার করেছে যেন শাহবাগ গণজাগরণ ইসলামের বিরুদ্ধে একটা মঞ্চ। ওটা জ্বালিয়ে দিলে দেশে ইসলাম রক্ষা পাবে। শাহবাগ আন্দোলনকে এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইসলামের বিরুদ্ধবাদী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রচার করেছে আমারদেশ ইনকিলাব নয়াদিগন্ত ইত্যাদি পত্রিকার সহায়তায়। শাহবাগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য প্রত্যেক মুসলমানকে আহবান করা হয়েছে।
জামাতের এই আহবানে শিক্ষিত সাধারণ মুসলমান সাড়া দেয়নি সঙ্গত কারণেই। কারণ জামাতের এই মিথ্যাচার বোঝার মতো ক্ষমতা তাদের আছে। কিন্তু এই আহবানে সাড়া দিয়েছে অর্ধশিক্ষিত খ্যাপাটে মোল্লারা যারা জামাতের পুতুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। জামাতের জঘন্য মিথ্যাচারে অন্ধ বিশ্বাসেই ঝাঁপিয়ে পড়ে সারা দেশব্যাপী তাণ্ডব চালিয়েছে। অতীতেও এরা ইসলাম গেল রব তুলে তাণ্ডব চালিয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে।
সারাদেশ জানে শাহবাগ আন্দোলন একাত্তরের চিহ্নিত ধর্ষক, খুনী রাজাকার আলবদরের বিরুদ্ধে। শাহবাগ মঞ্চ থেকে কখনো ইসলাম বিরোধী বক্তব্য আসেনি। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, একটিবারও ওই মঞ্চ থেকে ইসলাম বিরোধী কিংবা নবী বিরোধী কোন বক্তব্য এসেছে, তবে আমিও হুজুরদের মিছিলে যোগ দেবো। আছেন কোন হুজুর চিলের পেছনে ছোটার আগে নিজের কানটা পরখ করার?
মন্তব্য
এই মিথ্যে চিল তো ওদের-ই তৈরী।
এতবার করে মঞ্চ থেকে বলা হলো, এখানে কোনো ধর্মবিরোধী কিছু বলা হচ্ছে না, এত এত মানুষ ফেবুতে লেখালেখি করল, পত্রিকায় কাভারেজ গেলো, তারপরেও এ ধরনের একটা কর্মসূচি চালানোর আগে এক্টাবার যাচাই করার কথা ভাবে নাই।
আর বাংলাদেশে এত নাস্তিক ছিল এটাও জানলাম এই প্রথম
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আরেকটা পোষ্টে মন্তব্য করেছিঃ ইমাম প্রশিক্ষন কেন্দ্রকে ঢেলে সাজাবার সময় এসেছে। ইমামরা যা ইচ্ছে তা খুতবাতে বলতে পারেননা। তাদের উস্কানীতে আজকে দেশের অনেক জায়্গায় সহিনং্স ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশে অধিকাংশ মসজিদ কোনও না কোনওভাবে সরকারী তালিকাভূক্ত এবং অল্প-বিস্তর সরকারী অনুদান পেয়ে থাকে। কোনও ইমামের বক্তব্য যদি সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় শান্তি ভঙ্গের কারন হয়, তবে সরকারের এক্তিয়ার আছে সেসব ইমামের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার। তবে এটা করলে সমস্যা আরও প্রকট রূপ ধারন করতে পারে এবং জামাতীরা সুযোগের ব্যবহার করতে পারে। সরকার চাইলে জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে ইমামদের সভা আয়োজন করে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে জ্ঞ্যাত করতে পারে এবং এর ব্যাত্যয় ঘটলে সামাজিকভাবে কি কি ধরণের সমস্য হতে পারে তা ও আলোকপাত করতে পারে। বাস্তবে, সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ইমামরাও জামাতী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ফলপ্রসুভাবে কাজ করতে পারে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমি অনেকবার গেছি ঐ শাহবাগ চত্বরে, কিন্তু ইসলাম বা অন্য কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কখনো কোন বিষোদগার শুনিনি। বরং ওখানে নিজের কানে জুমার নামাযের জন্য বিরতি ঘোষণা করতে শুনেছি, ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ ছিল ভিড়ে ঠাসা। শাহবাগ আন্দোলনে যোগ দেয়া মানুষ দলে দলে যোগ দেয় জুমার নামাযেও। আমি ওখানে কোন অশ্লীলতা দেখিনি, দুই-আড়াই বৎসরের বাচ্চা থেকে শুরু করে অশীতিপর বৃদ্ধাও চোখে পড়েছে। অচেনা তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে যে সন্মান প্রদর্শন করেছে, তা এক স্বপ্নের বাংলাদেশের ইঙ্গিবাহি। মানুষে-মানুষে এত সম্প্রীতি আমি দেখিনি আর কখনো!
তাই প্রজন্ম স্কয়ারের আন্দোলন নিয়ে ফটোশপের কারসাজি ছাড়া রাজাকার ও তাদের অনুসারীদের প্রমাণ করার মত কিছু নেই আপাতত। একই কারণে আমাদের এতটা ডিফেন্সিভ পজিশন না নিলেও চলে কিন্তু। মুক্তিযুদ্ধদেরও তারা নাস্তিক বা বিধর্মি বলত, কই, তারা তো কখনো নিজেদের প্রমাণ করতে যায়নি রাজাকারদের সন্মুখে। উল্টো খতম করেছে তাদের। নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আমরা তেমনটাই আশা করি। রাজাকারদের ফাঁসির দাবী তারা আদায় করেই ছাড়বে ইনশাল্লাহ্।
Mohanobi (s) er kotuktir khobor YOUTUBE prochar korar oporade seta sarkar bondo kore diyase, but akoi oporade amar desh, songram, noyadigonto bondo kora hobe na keno??????????????
নতুন মন্তব্য করুন