শাহবাগের গণজাগরণের হলদে সাংবাদিকতার ঝান্ডাধারি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাবির ২৫০ শিক্ষক এক বিবৃতি দিয়েছেন বলে দৈনিক সংগ্রামে এক খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পত্রিকায় বিবৃতি আসে বিবৃতি যায়। অনেক সময় মূল কথা সেখানে থাকে না বা থাকলেও জায়গার সীমাবদ্ধতার কারণে বিবৃতির অনেক লেখা প্রকাশিত হয় না। তো ঢাবির আড়াইশো' শিক্ষক যেহেতু কোন বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন সেহেতু আমার আগ্রহ ছিলো কোন সে আড়াইশো' শিক্ষক যারা এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং তারা ঠিক কী বলেছেন। ফেইসবুকে হদিস জানাতেই এক সৃহৃদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি মেইল করে দিলেন।
সেখানে "দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে উদ্বেগ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ জন শিক্ষকের বিবৃতি" শিরোনাম দিয়ে বলা হয়েছে,
বাংলাদেশে বিরাজমান নৈরাজ্যকর রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ব্যাপক হতাহতের ঘটনা, ভিন্নমত দলনের উদ্দেশ্যে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের প্রতিপক্ষ করা এবং শহীদ মিনার ও জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও নিন্দা জানাচ্ছি।এ ছাড়াও ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে দেশের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের ধর্মবিশ্বাস ও অনুভূতিকে আহত করার অপপ্রয়াসও চালানো হয়েছে। প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মানুষেরই তার নিজ ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা এবং সৃষ্টিকর্তার বাণীবাহকদের প্রতি গভীর বিশ্বাস, আবেগ ও ভালবাসা থাকে। এটি আঘাতপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্টদের মনে প্রতিক্রিয়া হওয়াটাই স্বাভাবিক। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কতৃক মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বিশ্বাসকে অসম্মান করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমরা মনে করি এর পেছনে দেশে অশান্তি ও বিভক্তি সৃষ্টির সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য ও কাম্য নয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। রাজনৈতিক প্রগতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি করছি।
আমরা আরো লক্ষ করছি যে, বিভিন্ন মহল থেকে কয়েকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। জাতীয় দৈনিক আমার দেশ- এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জনাব মাহমুদুর রহমান পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বারংবার হুমকি ও মামলার স্বীকার হচ্ছেন। আমরা এরও তীব্র প্রতিবাদ এবং তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি রক্ষার স্বার্থে সরকার এবং দল-মত নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে যৌক্তিক, দায়িত্বশীল, সংযত ও সহনশীল আচরণ কামনা করছি।
এই বক্তব্যের নিচে প্রফেসর ড. সদরুল আমিনের স্বাক্ষর। স্বাক্ষরের পর শিক্ষকদের তালিকা। তালিকাটা এখানে তুলে রাখছি,
অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন,
অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ,
অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার,
অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ,
অধ্যাপক ড. মোঃ আমিনুর রহমান মজুমদার,
অধ্যাপক ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম,
অধ্যাপক ড. তাজমেরী ইসলাম,
অধ্যাপক ড. মোঃ আখতার হোসেন খান,
অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ,
অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম,
অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম,
মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান,
অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন আহমদ,
অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন,
অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম,
অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক,
অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ,
অধ্যাপক ড. মোঃ নুরুল ইসলাম,
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান,
অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম,
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত,
অধ্যাপক আ কা ফিরোজ আহমদ,
অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,
অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম,
অধ্যাপক ড. আবদুল আজিজ,
অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া,
অধ্যাপক তাহমিনা আখতার,
অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুস সাত্তার,
অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল বাশার,
অধ্যাপক ড. মোঃ মোজাম্মেল হক,
অধ্যাপক ড. শেখ নজরুল ইসলাম,
অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ,
অধ্যাপক মোঃ মোশারফ হোসাইন ভূইয়া,
অধ্যাপক মোঃ আব্দুল হাকিম,
অধ্যাপক মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী,
অধ্যাপক মোঃ নুরুল ইসলাম,
অধ্যাপক মোঃ মাহফুজুল ইসলাম,
অধ্যাপক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম,
অধ্যাপক আবু আহমেদ,
অধ্যাপক আহমেদ জামাল আনোয়ার,
অধ্যাপক নাফিসা জামাল,
অধ্যাপক এ এস এম মহিউদ্দিন,
অধ্যাপক এ বি এম শহিদুল ইসলাম,
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আলি আহসান,
অধ্যাপক ড. নেভিন ফরিদা,
অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দীন খান,
অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম,
অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক,
অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল কাদের,
মোঃ মাজহারুল আনোয়ার,
অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুর রব,
অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল কাইয়ুম,
অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল বাসার,
অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির,
অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী,
অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান খান,
অধ্যাপক ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম ভূইয়া,
অধ্যাপক ড. মোঃ এনামুল হক,
অধ্যাপক ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম,
অধ্যাপক ড. মোঃ মাহফুজুল হক,
অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুল এহসান,
অধ্যাপক ড. মোঃ খলিলুর রহমান,
অধ্যাপক ড. মোঃ সায়েদুল ইসলাম,
অধ্যাপক ড. মোঃ সুলতান হোসেন,
অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী,
অধ্যাপক ড. খোন্দকার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ,
অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ শফিকুল আলম,
অধ্যাপক ড. আব্বাছ আলী খান,
অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া,
অধ্যাপক ড. মোঃ খলিলুর রহমান,
অধ্যাপক ড. নুরজাহান সরকার,
অধ্যাপক ড. বাবুনা ফায়েজ,
অধ্যাপক ড. এ কে এম সিরাজুল ইসলাম খান,
অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. নজরুল ইসলাম,
অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী,
অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মহিউদ্দিন,
অধ্যাপক ড. এ.এ. মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী,
অধ্যাপক ড. এস. এম. মো ̄তফা আল-মামুন,
অধ্যাপক শামীম শামছি,
অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম,
অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান,
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমীন,
অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগম,
অধ্যাপক ড. শাহনাজ হক হুসেন,
অধ্যাপক ড. সাইয়াদ সালেহীন কাদরী,
অধ্যাপক ড. সাহিদা ইসলাম,
অধ্যাপক ড. ছগীর আহমেদ,
অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম,
অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক,
অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী,
অধ্যাপক দিলিপ বড়ুয়া,
অধ্যাপক জি এম চৌধুরী,
অধ্যাপক তাহসিনা রহিম,
অধ্যাপক ড. মোঃ মেহেদী মাসুদ,
ড. মোঃ আনোয়ারুল আজিম আকন্দ,
ড. মোঃ আব্দুল মজিদ,
ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম,
ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান,
ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন,
ড. মোঃ আবদুল করিম,
ড. মোঃ আবদুস সালাম,
ড. মোঃ আখতারুজ্জামান,
ড. মোঃ আসলাম হোসেন,
ড. মোঃ নাদিরুজ্জামান মন্ডল,
ড. মোঃ শাহাবুল আলম,
ড. মোঃ হাসান উজ্জামান,
অধ্যাপক ড. মোঃ জাকির হোসেন খান,
ড. আফরোজ সুলতানা,
ড. আবদুস সালাম,
ড. আরিফ বিল্লাহ,
ড. নাজমুল আহসান,
অধ্যাপক ড. এ এইচ এম জুলফিকার আলী,
ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম,
ড. মুহাম্মদ মেজবাহ উল ইসলাম,
ড. মু: মুছলেহ উদ্দীন,
ড. মুহাম্মদ আবদুল লতিফ,
ড. মুহাম্মদ ইফসুফ,
ড. মুহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন,
ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম,
ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী,
ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ,
ড. শাকিল উদ্দিন আহমেদ,
ড. মুর্শিদা বেগম,
মৌটুসী তানহা,
মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম,
মোহাম্মদ শরীফুর রহমান,
মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,
মোহাঃ জাহাঙ্গির আলম,
মোঃ আবুল কায়সার,
ড. মোঃ রুহুল আমিন,
ড. মোঃ মাইমুল আহসান খান,
মোঃ রফিকুল ইসলাম,
মোঃ সফিকুল ইসলাম,
সেহেলী পারভীন,
গোলাম রব্বানী,
দেবাশীষ পাল,
মোহাম্মদ দাউদ খান,
মোহাম্মদ আবু ইফসুফ,
মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ,
মোহাম্মদ ইলিয়াস,
মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী,
মোহাম্মদ ওমর ফারুক,
ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,
মোহাম্মদ শাহীন খান,
মোহাম্মদ সফিউলাহ,
মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন ভূইয়া,
মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির,
মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলম,
মোঃ বেলাল হোসেন,
মোঃ মেহেদী হাসান খান,
মোঃ মোশাররফ হোসেন,
মোঃ রোকনুজ্জামান,
মোঃ শেখ ফরিদ,
ড. মোঃ গোলাম রব্বানী,
মোঃ আবদুল কাদির,
মোঃ আবুল কালাম সরকার,
মোঃ আলমগীর হোসেন,
মোঃ আজহারুল ইসলাম,
অধ্যাপক মোঃ আতাউর রহমান বিশ্বাস,
জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম,
জনাব মোঃ মিজানুর রহমান,
মোঃ নুরুল ইসলাম,
মোঃ রবিউল ইসলাম,
মোঃ রবিউল হক,
মোঃ লুৎফর রহমান,
মোঃ কুতুব উদ্দিন,
মোঃ সাইফুল ইসলাম,
মোঃ সাহাবুল আলম,
মোঃ জসিম উদ্দীন,
মোঃ মোস্তফা কামাল,
আ ন ম সালাহ উদ্দিন,
আবদুস সালাম,
জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন সমধাট,
আবু আসাদ চৌধুরী,
আল-আমিন,
আমিরুস সালাত,
ইসরাফিল প্রামানিক,
নাজমুজ্জামান ভূইয়া,
নুসরাত ফাতেমা,
উসমিতা আফরোজ,
এ টি এম মোস্তাফা কামাল,
মালেকা পারভীন,
মাহবুব কায়সার,
ড. মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী,
মুহাম্মদ নুরে আলম,
মুহাম্মদ রুহুল আমিন,
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম,
জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম,
ড. যুবাইর মোহাম্মদ এহসানুল হক,
ওমর ফারুক,
শায়লা আহমেদ,
কাওসার হোসেন টগর,
কাজী মোস্তাক গাউসুল হক,
কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান,
শাহিন আহমেদ চৌধুরী,
সাইফুদ্দিন আহমেদ,
হাফিজ মুজতবা রিজা আহমাদ
মজার বিষয় হলো, এখানে তালিকাতে আছে ১৯৬ জনের নাম। ২৫০ জনের নাম শিরোনামে উল্লেখ করলেও কিছু লোক লজ্জ্বার খাতিরে স্বাক্ষর করেননি বোঝা যাচ্ছে। অথবা কেউ গুনে দেখবে না মনে করে সদরুল সাহেব একটু বাড়িয়ে বলেছেন সংখ্যাটা।
তো ঢাবির এই ১৯৬জন শিক্ষক প্রকারান্তরে শাহবাগের চেতনার বিপক্ষে দাঁড়ালেন। এতে যারা অবাক হচ্ছেন তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে কতিপয় ঢাবি শিক্ষকের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেব। যারা এতো দুরের স্মৃতি মনে করতে চান না তাদের সাম্প্রতিক একটি খবরের কথা স্মরণ করিয়ে দেব।
সপ্তাহখানেক আগে প্রথম আলোর এই খবর অনুযায়ী ফিন্যান্স বিভাগের একজন ছাত্রী যৌন নিপীড়নের স্বীকার হয়েছিলেন। বিচারের আশায় এর ওর দ্বারে ঘোরার সময় নিপীড়িত সেই ছাত্রী বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহবুবউদ্দিন চৌধুরি ও ফ্যাকাল্টি ডীন (ইনিও একই বিভাগের শিক্ষক) প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের কাছে বিচারের আশায় যান। সেখানে থেকে ঐ ছাত্রীকে
কিন্তু দুজনই ওই শিক্ষককে ক্ষমা করে দিতে বলেন।
প্রতিকারের আশায় নিপীড়িত ঐ ছাত্রী শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. অহিদুজ্জামানকে জানালে,
তিনি ওই শিক্ষককে ডেকে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে লিখিত নেন এবং এ ব্যাপারে সেখানেই মীমাংসা করতে বলেন
ছাত্রীর গায়ে হাত দেবার অপরাধের মীমাংসা তাহলে "লিখিত নেয়া" ও "ক্ষমা" করে দেবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে ২৫০ কেন আড়াইজন শিক্ষককেও পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে দেখা যায় নি। শিক্ষকদের নৈতিকতার এহেন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ বিরোধী অবস্থানে এতোজন শিক্ষকের উপস্থিতি আসলে অবাক করেনি আমাকে। ফিন্যান্সের এই ঘটনাটা একটা উদাহরণ মাত্র। এরকম অনেক ঘটনাই ঘটে এবং এরকম মিটমাট, ক্ষমা ইত্যাদি দিয়েই শেষ হয় ওসব।
আমার ধারণা প্রতিটা প্রতিক্রিয়াশীল বিবৃতির তালিকা ধরে এরকম আমলনামা সংরক্ষণ করলে বেনিআসহকলা কোন দলই নিস্পাপ অবস্থায় পাওয়া যাবে না। প্রথম আলোর খবরে যাদের নাম নেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে একজনকে উপরের তালিকায় পাবেন। বাকি দু'জনও বিশ্ববিদ্যালয়ে [সম্ভবত] নীল দলের রাজনীতির সাথে জড়িত। ঢাবি বিষয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় জানি এই ধরণের আচরণ শিক্ষকদের মধ্যে সিস্টেমিটিকালি পুনরাবৃত্তি হয়। সময় এসেছে পুরো জাতির নৈতিক শিক্ষা ঢেলে সাজানোর।
নোট:
০। দৈনিক সংগ্রামের খবর
১। মূল বিবৃতির কপি এখানে পাওয়া যাবে।
২। একই সাথে ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত।
মন্তব্য
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী যেসব বন্ধু-বান্ধব ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পাননি বলে আক্ষেপ করেন, পোষ্টটি তাঁদের জন্য উৎসর্গ করা হোক!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসকল শিক্ষক শিক্ষিকা জামাত করেন তার একটি তালিকা কি এখানে দেয়া যায়? আমি দেখি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাটি পাওয়া যায় কিনা। এদেরকে একটু চিনে না নিলে ক্যামনে কি?
-মনি শামিম
এদের অনেকে আবার সরাসরি জামাত করেন না। কিন্তু জামাতিদের "সাথে" থাকেন। তালিকা করাটা একটু কঠিনই হবে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ফিরে ফিরে আসে ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনের প্রেতাত্মা... আমার বিভাগের রাজাকার চেয়ারম্যানকে ৩ নাম্বারে দেখলাম......
অট-১ উইকি-তে সাজ্জাদ হোসেনকে শিবির পুরা পাক-ছাফ পীরবাবা বানায়া রাখছে... যারা এডিট করেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি... (পুরানোরা বকা দিয়েন না, প্লীজ, আমার কাছে উনার দালালীর বই সহ রেফারেন্স আছে... কিন্তু আমি এনালগ মানুষ...)
অট-২ কমেন্ট এ লিঙ্ক দিতে হয় কিভাবে???
এই অবস্থা শুধু ঢাবি স্পেসিফিক না। সবখানেই এইরকম অবস্থা।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বুয়েটের পোষ্য কোটা নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে। ঢাবিরটা, য়েটা এতদিন ধরে চলছে, সেটা নিয়ে হয় না। বিবেকের কথা বলার আগে ঢাবি টিচারদের এইটা ফায়সালা করা উচিত।
ঢাবির বর্তমান/প্রাক্তন ছাত্ররা কি এই শিক্ষকদের ডিপার্টমেন্ট উল্লেখ করতে পারেন? বা আর কিছু ডিটেইলস?
একটা এক্সেল ডকুমেন্ট হলে ভাল হয় - বা এখানে মন্তব্যে?!
আমি গোটা দশেকের মতো চিনতে পারি নিজের ডিপার্টমেন্টের। কিছু আছে বন্ধু, কিছু আছে ছাত্র-ছাত্রী।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
১. ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার
২. ড. ওবায়দুল ইসলাম
৩. ড. মোঃ শাহাবুল আলম
এই ৩ জন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের
আমি এখানে মাত্র দুইজঙ্কে দেখলাম। ডঃ বোরহান উদ্দিন খান, সে জামাত করেনা। সাচ্চা বি এন পি'র। ডঃ মাইমুল আহসান খান জামাতি। জামাতি আরো যারা আছে, তারা হল- তাসলিমা মনসুর, আসিফ নজরুল (চোরা জামাত), হাসান তালুকদার, একরামুল হক, হাবিব, মাহবুবুর রহমান, রওশন। এরা সাচ্চা জামাতি। আরো পাওয়া যাবে খুজলে। এখন ঠিক মনে পড়তেছেনা।
ভুলে গেছি, এরা আইন বিভাগের।
তাজমেরী ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, কামরুল এহসান, এমরান কাইয়ুম, সাহিদা ইসলাম...আপাতত রসায়ন বিভাগের এই কয়জনরে চিনতে পারতেছি! কামরুল স্যার আর এমরান স্যার আজকে ল্যাবেও ক্যাম্পাসে শিবির বিরোধী অভিযানের কড়া সমালোচনা কইরা উচ্চস্বরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন! :/
একধরণের ত্রাসের ওপর এই জাতীয় লোকেরা রাজত্ব করে। এজন্য ছাত্র ছাত্রীরা মুখের ওপর কিছু বলে না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আহ কী যাতা বলছেন। ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনায় বিবৃতি দেননাই তো কি হয়েছে এই বিবৃতির সাক্ষরদাতাদের তালিকায় তো তার নাম আছে।
ইউ মাস্ট রিমেম্বার, বিবেক ইজ এ টাফ থিঙ্গ টু হাইড।
শিক- খোক ।
শিক্ষক নিয়োগের ক্রাইটেরিয়া চেঞ্জ করা উচিত।পড়ালেখার সাথে সাথে দেশ -জাতি-সংস্কৃতি-মুক্তিযুদ্ধ প্রতি আনুগত্য কতটুকু তাও বিবেচনা করা উচিত।
একটা কাজ করেন এদের ফেসবুক প্রোফাইল/পিকচার দেন, এট লিস্ট রাস্তা-ঘাটে দেখা হইলে, থুথু না দিতে পারি, ল্যাং দিয়া ফালাইয়া তো দিতে পারমু
এনারা সবাই ফেইসবুক ব্যবহার করার মতো যথেষ্ট আইটি জ্ঞানী এই চিন্তাটা আপনার মাথায় কীভাবে এলো?!
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বিবৃতিটাতো পুরাই ত্যানা প্যাচানী কোর্সের উচ্চতর ক্লাসের চোথার মত লাগলো
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এরপরেও কী অবিশ্বাসীরা ছাত্রজীবনে চোথার গুরুত্ব অস্বীকার করিবে?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অধ্যাপক ডঃ জাহিদুল ইসলাম নৃবিজ্ঞান বিভাগে আছেন। অন্ততঃ একমাত্র তার নামটাই পরিচিত লাগলো।
অঃ টঃ বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করলাম - "অধ্যাপক" এবং "ডঃ" একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়। পশ্চিমের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রমোশন পেয়ে "অধ্যাপক" হওয়ার পরে কেউ আর নামের আগে "ডঃ" লাগান না।
প্রসেফর ড, এভাবে লেখা হয়। ইউরোপে এটাই প্রচলিত।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ওনাদের একজন সহকর্মী হিসাবে লজ্জিত বোধ করছি। শাহবাগের আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কোন উল্লেখ বিবৃতিতে দেখলাম না বরং দলীয় আনুগত্য প্রকাশের জন্য মাহমুদুর রহমানের মত নোংরা সাংবাদিকের পক্ষও নিতে হল।
উপরের সব শিক্ষক পড়ে স্বাক্ষর করেছেন কিনা সেই সন্দেহ না রেখে পারছিনা, যেহেতু কয়েকজনকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। দলীয় বিবৃতিতে দলপন্থি সবার নাম দিয়ে দেয়াটাই সম্ভবত রেয়াজ।
নিজের আত্মসম্মান এবং বিবেক অনেকটুকুই বিসর্জন না দিলে দেশের সাম্প্রতিক অবস্থায় রাষ্ট্রীয়, ছাত্র এবং শিক্ষক (!) কোন স্তরেই রাজনীতি করা সম্ভব নয় বলেই বিশ্বাস করি।
এটা একটা সম্ভাবনা অবশ্যই। তবে যেহেতু কেউ প্রতিবাদ করেনি সেহেতু আমরা ধরে নিতে পারি এতে তাদের সম্মতি রয়েছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
যতদূর জানি ঢাবিতে শিক্ষকদের প্রমোশন পেতে হলে ডিপার্টমেন্টে সিনিয়র শিক্ষকদের ভোট/সমর্থন লাগে, পাব্লিকেশন ইত্যাদি তেমন ফ্যাক্টর নয় অ্যাসোসিয়েট অ্যাসিসস্ট্যান্ট ফুল প্রফেসর পদে প্রমোশন পেতে। এটা কি সত্যি? সত্য হলে এই নির্লজ্জ দলীয় তেলবাজি এনারা করবেন তাতে অবাক হবার কিছু নাই। এবং এই তেলবাজিতে নীল সাদা উভয়েই সমান সমান।
তথ্য ভুল হলে জানাবেন কায়সার সাহেব। লিস্টের অনেককে ব্যক্তিগতভাবে চিনি, এইভাবে এনাদের এতো নিচে নামতে দেখলে কষ্ট লাগে।
..................................................................
#Banshibir.
হ্যা সত্য। শুধু তাই না, আপনে বিশেষ রংয়ের ধারক/বাহক না হলে আপনাকে এই মহান পেশায় নেয়া হবে না
কথাটি কিছু ক্ষেত্রে সত্য, সার্বজনীন ভাবে নয়। বিশেষ কিছু ডিপার্টমেন্ট এধরনের প্রাদুর্ভাব বেশী। আমার ডিপার্টমেন্ট এ ধরনের কিছু ঘটেনি বলে দাবী করতে পারি, যৎসামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া। ব্যাপারগুলো আসলে আরেকটু সুক্ষভাবে করা হয় যাতে স্কান্ডাল না হয়। দেখা যায় প্রথম, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীর সাথে রঙ বিবেচনায় দশম স্থান অধিকারিকেও নেয়া হয়। আবার পুরানো অনেক ডিপার্টমেন্টে শুন্যপদ কম থাকায় দুই-তিন বছরে একজনকে নেয়া হয়, তখন সমযোগ্যতা সম্পন্ন একাধিক প্রার্থী থাকায় রঙ এর বিবেচনা চলে আসে।
অধ্যাপক ড. মোঃ আমিনুর রহমান মজুমদার - মৃত্তিকা বিজ্ঞান
অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম-প্রাণ রসায়ন
অধ্যাপক ড. মোঃ মোজাম্মেল হক-অণুজীব বিজ্ঞান
অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান খান-অণুজীব বিজ্ঞান
অধ্যাপক ড. মোঃ মাহফুজুল হক-অণুজীব বিজ্ঞান
অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান-আরবী
অধ্যাপক ড. সাইয়াদ সালেহীন কাদরী-প্রাণ রসায়ন
ড. নাজমুল আহসান-জেনেটিক ইনজেনিয়ারিংএন্ড বায়োটেকনোলজি
অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক - ফলিত পদার্থবিজ্ঞান
ইনি সম্ভবতঃ বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়ার পত্নী
হ,কথা সত্য। এর দাপটে থরহরি কম্প অবস্থা। ডঃ মোস্তফা আল মামুন ও এই ডিপার্টমেন্টের, দুইজনই কট্টর বিএনপি। আর আমার জানামতে ডঃ আদনান কিবার, সামাউল ইসলাম সাজ্জাদ আর আতিকুল ইসলাম আহাদ (শেষের দুইজনের ফুল নাম শিওর না, সাজ্জাদ আর আতিক স্যার নামেই চিনি) এরা জামাতপন্থী (যদিও উপরের লিস্টে নাম পেলাম না)।
আমারো ধারণা সদরুল আমিন সাহেব লিস্টি দিতে যেয়ে যাদের যাদের নাম সামনে পেয়েছেন দিয়ে দিয়েছেন। নইলে ডিইউ এর ১৯৬জন শিক্ষক এই বিবৃতি দিতে মিটিং করেছেন (আবার এত্তগুলি ডঃ মানে পচদ) এইটা বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তাও কেউ যেহেতু কোন প্রকার প্রতিবাদ করেননি জানামতে, ধরে নেওয়া যায় তারা রাজী আছেন। হায়রে আমার কপালরে!
ডঃ গোলাম রাব্বানী একজন না দুইজন দেখলাম, এরা কোন বিভাগের জানতে পারলে ভালো হইতো। একজনকে চিনি, বায়োমেডিকেলএর। উনি হলে আমি ডিইউ এর আশা ছেড়ে দিবো একেবারেই।
ড. গোলাম রাব্বানী বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্সের নন,
আপনি বোধহয় ড. সিদ্দিক-ই-রব্বানীর সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছেন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দুই বছরের কিছু বেশী যে সময় আমি শিক্ষকতা করেছি, আমার ডিপার্টমেন্টে (কম্পিউটার বিজ্ঞান) এ ধরনের কিছু দেখিনি। তবে আমার জানামতে পুরানো অনেক বিভাগেই রাজনীতি দ্বারা কলুষিত। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার বা হল এ বাসা পাওয়া, বিভিন্ন নিয়োগ বা ভর্তি পরীক্ষার সময় গুরুত্তপূর্ন পদ পাওয়া অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফিলিয়েশন কাজে লাগিয়ে সরকারী নানা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া, রাজনীতি করার উদ্দেশ্য হিসাবে কাজ করে।
প্রমোশন এর কিছু নির্ধারিত রিকয়ারমেন্ট আছে (সময়, পাবলিকেশন ইত্যাদি), যা হয়ে গেলে এম্নিতেই প্রমোশন হয়। তবে রাজনৈতিক রঙ বিবেচনায় রিকয়ারমেন্ট শিথিল হয় কিনা আমার জানা নেই। আর রিকয়ারমেন্টগুলো এমনিতেও সহজসাধ্য।
পুরনো বিভাগের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে সম্পূর্ণ একমত৷ আমি কাছ থেকে বিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের যে দুইটি ডিপার্টমেন্ট দেখেছি তার দুইটিই অত্যন্ত পুরাতন এবং ভয়াবহ রাজনীতির শিকার৷ কম্পিউটার সাইন্স নতুন বিভাগ প্রচুর তরুণ শিক্ষক, আপনার অভিজ্ঞতা ভিন্ন হবারই কথা৷
ভালো থাকুন৷
..................................................................
#Banshibir.
একটা সময়, ৫-১০ বছর আগেও ছিল, এখন শিওর না, সরকারি scholarship এর ব্যপার ছিল। এডিবির পয়সায় অনেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করে থাই-মালয়শিয়া থেকে পি এইচ ডি কিনে এনেছেন। তার জন্য দল একটা ব্যপার ছিল। যতদূর জানি ফাহমিদুল হক এদের একজন।
আমার আম্মার ব্যাচমেট সালেহিন কাদরী, আমাদের পুরান প্রতিবেশি মৌটুসী (ওর আম্মা বোটানির টিচার পারভিন সাম্থিং) সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত প্রায় সবাই।
বছর কুড়ি আগে আমিও মৌটুসিকে চিনতাম। কলেজে পড়তো তখন। এর এহেন পরিণতিতে কিছুটা দু:খিত।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমার জানতে ইচ্ছে করছে কিছুদিন আগে শাহবাগে যে ৩০০ জন শিক্ষক এসেছিলেন সংহতি জানাতে তাদের মধ্যে এই লিষ্টে কতজন আছেন? তারা (কেউ) যদি দুই জায়গাতেই থেকে থাকেন তাহলে এই দু’মুখো চেহারা/চরিত্র নিয়ে দেশের সর্বচ্চো বিদ্যাপীঠে তাহলে কি শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন!!
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
এটা একটা ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন। একটা সম্ভাবনার কথা আগেই উঠে এসেছে যে এখানে সবাই হয়তো সিগ্নেচার করেননি। তবে না করে থাকলে সেটা তাদের পরিস্কার করে ডিআরইউ বা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করে বলতে পারেন। আশা করা যায় সেটুকু বুুকের পাটা তাদের আছে। নাকি?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমার জানতে ইচ্ছে করছে কিছুদিন আগে শাহবাগে যে ৩০০ জন শিক্ষক এসেছিলেন সংহতি জানাতে তাদের মধ্যে এই লিষ্টে কতজন আছেন? তারা (কেউ) যদি দুই জায়গাতেই থেকে থাকেন তাহলে এই দু’মুখো চেহারা/চরিত্র নিয়ে দেশের সর্বচ্চো বিদ্যাপীঠে তাহলে কি শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন!!
সম্ভাবনা আছে।
লজ্জিত
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
কয়েকদিন আগে একটি জরীপে দেখলাম, যুক্তরাজ্যে রাজনীতিবিদেরা বিভিন্ন পেশার লোকদের মধ্যে সবচেয়ে কম জনপ্রিয়। এমন কি, এমন কম জনপ্রিয় পেশার লোকেরাও এখানে নীতিগত কারণে খোদ সংসদে নিজের দলের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করে থাকে। আর আমাদের দেশের শিক্ষকতার মত মহান পেশার লোকেরাও নীতির প্রশ্নে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে উঠতে পারছে না দেখে খুবই মর্মাহত হলাম। তাদের ছাত্রবৃন্দ অর্থাৎ আমাদের তরুণ সমাজ প্রথাসিদ্ধ পন্থায় শিক্ষকদের এমন ঘৃনীত কাজের নিন্দা জানাতে সক্ষম হবে বলে আশা রাখি।
- পামাআলে
চিনলাম যাদের নাম তারা সবই সাদা। বিম্পি জামাত। বিশেষত লিস্টের উপরদিকের ভদ্রলোকেরা কেষ্টবিষ্টু সাদা। ইংরেজির সদরুল আমিন ডীন ছিলেন, ফিজিক্সের ইউসুফ হায়দার ছিলেন প্রোভিসি।
বিম্পি জামাতের কাছ থিকা এইরাম প্রেসনোটই তো আসার কথা হাসিব ভাই।
লিস্টে নীল বা গোলাপী করেন এরকম কেউ আছে কিনা কেউ কি জানেন?
..................................................................
#Banshibir.
নীলগোলাপী দলের কাউরে আমি পাই নাই।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই খবর কি কেবল সংগ্রামে এসেছে নাকি আরো কোনো পত্রিকাতে এসেছে?
ইত্তেফাকেও এসেছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আরো একটা।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অনেক ধন্যবাদ, হাসিব ভাই।
শালাদের জুতায়া মুতায়া ফেলানো উচিত।
এমন বিবৃতি দেখে মোটেই অবাক হইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেই তিনি জাতির বিবেকের ভূমিকায় থাকা কেউ হয়ে যাবেন অমনটা আশা না করাই উচিত। উনাদের দলবাজি, তৈলবাজি, চামচামী কোনটাই নতুন বিষয় নয়।
দুদিন ধরে বিএনপি-জামায়াত ঘরাণার প্রকৌশলীদের সংগঠনের পক্ষ থেকেও বেনামে মাহমুদুর রহমানের স্বপক্ষে নাঁকি কান্না কেঁদে প্রচারণা চলছে। প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় ঐ প্রচারণার একটি এসএমএস হুবহু তুলে দিচ্ছি -
"Mahmudur Rahman is a man of principle, integrity, honesty & great leader. He is the real man of Future Bangladesh. We'll r with HIM to make truth Bangladesh. On behalf of Progressive Engineers Somaj."
(এই প্রগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ার সমাজে দুইটা ইংরেজী বাক্য সঠিকভাবে লিখতে পারে এমন কেউ নাই!)
মাহ্মুদুর রহমানের আরেক স্কুল আইবিএ'র অ্যালমনাইদের কারো কারো পক্ষ থেকে বা তাদের নাম ব্যবহার করে অনুরূপ নাঁকি কান্নামূলক আবেদন পাবার আশঙ্কা করছি।
অটঃ স্যার/ম্যাডামদের নামের তালিকা দেখলে ইতিহাস বইয়ে দেয়া রাজবংশগুলোর বংশলতিকার কথা মনে পড়ে যায়। বাবরের পুত্র হুমায়ুন, হুমায়ুনের পুত্র আকবর, আকবরের পুত্র শাহ্জাহান, শাহ্জাহানের পুত্র আওরঙ্গযেব ইত্যাদি ইত্যাদি .........
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বংশানুক্রমে অনেকে টিচার হয় এইটা সত্য কথা। কেউ স্বীকার করবে না যদিও।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কোন বলদে লেখছে ইংরেজিটা?
"Mahmudur Rahman is a man of
principle, integrity, honesty &great leader. He is the real man of Future Bangladesh. We'll r with HIM to make truth Bangladesh. On behalf of Progressive Engineers Somaj."কে জানে, সে নিজেই লিখেছে কিনা!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই তালিকার বহু শিক্ষক কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি।অনেকেই আমার খোমাখাতার বন্ধু তালিকায় ও আছেন। আর প্রাক্তন ছাত্রী হিসেবে আমি অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি- এদের সবাই সাদা-গোলাপী ( বিএনপি -জামায়াত) রঙে রঙিন হলে ও অনেকেই কিন্তু রাজাকার ইস্যু বা মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে যথেষ্ট সোচ্চার হলে ও দলীয় ভাবে অনেক কিছু ই মুখ ফুটে বলতে পারেন না। তারপরেও কেন তাদের কেই আবার রাজনীতির ছত্রছায়ায় বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিতে হয়, সেটা নিয়ে অনেক কড়া কথা বললেও কিছু ক্ষেত্রে অসহায়ত্বের কথা বাইরে থেকে বুঝতে পারা যায়না। পরিস্থিতির চাপে নিজেকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে, এমন উদাহরন ও চোখের সামনে দেখেছি।২০০৭ এর আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পর এক শিক্ষক অসহায়ভাবে নিজের গায়ে রঙ লাগিয়েছিলেন, তার দুঃসময়ে সাহায্য করার প্রতিদানে সাহায্যকারী ব্যক্তির দলের সমর্থন দেয়া ছাড়া কিছু করার ছিলনা। সেই শিক্ষক একদিন ক্লাসে খুব দুঃখ করে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলেছিলেন। এই তালিকায় সেই স্যারের নাম দেখে আমার খুব কষ্ট লাগছে উনার জন্যে। কারন, ফেসবুকের বন্ধু হিসেবে জানি- এই কথা গুলো উনার না। তারপরেও সেটার প্রতিবাদ করার মত পরিস্থিতি ও উনার নাই।কারন- প্রতিবাদ করা মাত্র ই , নিজের দলের লোক ও তাকে ছুঁড়ে ফেলবে। নীল দলের লোক ও তাকে নিয়ে মজা লুটবে। ফলশ্রুতিতে উনি ই একঘরে হয়ে যাবেন।মজার ব্যাপার হচ্ছে-উনার স্ত্রী ঢাবির ই প্রাক্তন শিক্ষিকা , যিনি এখন যুক্তরাস্ট্রে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। এবং স্বামীকে অনেক অনুরোধ করেছিলেন-যাতে তিনি ও দেশে ফেরত না গিয়ে আমেরিকাতে রয়ে যান। এ নিয়ে তাদের ঘর পর্যন্ত ভাঙতে বসেছিল। স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে দেশে ফেরার ২ বছরের মধ্যে তাকে নোংরা রাজনীতিতে জড়াতে হয়। এরপরে একদিন উনি বলছিলেন টিঊটোরিয়াল ক্লাসে , অবস্থা এমন যে-এখন আর স্ত্রীর কাছে মান বাচাতে তিনি চাকরি ছেড়ে বিদেশে ও যেতে পারছেননা। সন্তানদের কথা ভেবে তারা বিয়ে টিকিয়ে রাখলেও ২ জন নিজ নিজ ইগো রেখে ২ ভিন্ন দেশে বাস করছেন। তবে- আজকের বিবৃতি তে স্যারের নাম চলে আসার পর মনে হচ্ছে-এবার তিনি হয়ত জাতির কাছে মান খুইয়ে ফেলে স্ত্রীর কাছে মান খোয়ানোটা তেমন গায়ে মাখবেননা ।তারপরে ব্লগ-পত্রিকায় আবার এই আমরা ই বলব- মেধা পাচার হয়ে যাচ্ছে, দেশের কথা চিন্তা না করে শিক্ষকেরা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে ।।।।।।।।।
স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকুরে হয়ে এনাদের নৈতিক মেরুদন্ডের এরকম বেহাল দশা কেন? তারা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কেন আলাদা নন?
এটা উনি নিজের প্রকাশ্যে না বললে দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে।
ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এদের বেশিরভাগই দেশ ত্যাগ করলে দেশের কিছু আসবে যাবে না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কারণ তাদের নিয়োগটা অনেকটাই দলীয়ভাবে। রেজাল্টে প্রথম হলে না নিয়ে কিছু করার নাই, কিন্তু দ্বিতীয় হলে বা অনেক প্রার্থী থাকলে নিয়োগ কমিটির হেড দেখবেন কোন ছাত্র/ছাত্রীটি তাকে বেশি তেল মেরেছিল। এমন ভাবে নিয়োগ পাওয়া মানুষদের মেরুদণ্ড গজাবে কিভাবে?
প্রকাশ্যে কেউ বলবে না,যাদের বলার সাহস আছে তারা হয় রঙের সমুদ্রের পুরা তলদেশে, নইলে আশেপাশেও নাই।
দেশ তো অনেক পরের কথা, ভার্সিটিরই আসবে যাবে না! কয়েক জনের কোর্স করার সৌভাগ্য হয়েছিল, ক্লাসে আসার ঠিক নাই, পড়ায় যা তা না পড়ালেও চলে, কিন্তু ডায়লগবাজি সেই রকম। আর এদের দাপটও দেখার মত! এরা বরং নতুন শিক্ষকদের উপর বোঝা,এদের কারণে অনেক অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ডিপার্টমেন্টে চাকরী না পেয়ে অন্য দিকে চলে যায়, আর এদের তেল মারা কিছু মানুষ ঢুকে যাদের মধ্যে কোনদিন শিক্ষাগত বা অন্যদিক দিয়ে ডিপার্টমেন্টের উন্নতি করার কথাটা উঁকিও দেয়নি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড়- দু হাজার শিক্ষক আছেন বিভিন্ন বিভাগে , এই ২ শ জনের জন্যে সবার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা টা দুঃখজনক। আমি এখন আমেরিকার আটলান্টায় বাস করছি - এই শহরে আমরা যারা অল্প কজন প্রত্যক্ষ ভাবে শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থনে কাজ করে গেছি- এদের মধ্যে ৪ জন ঢাবি শিক্ষক আছেন, এদের কেউ ই ব্যক্তিগত ভাবে কোনো রঙ লাগাতে দেননি নিজের গায়ে। কিছু মানুষের অসততার দায়ভার সবার উপর চাপানো টা ঠিক নয়
আমি একটা ঘটনার কথা বলেছি উপরে দেখেন। ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের ঐ ছাত্রীর পক্ষে কেউ এখনো দাঁড়ায়নি। এই দায়িত্ব তো যারা দাঁড়ায়নি তাদের নিতে হবে, তাই না?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মুল্যবান লেখা,ধন্যবাদ। এইসব তথাকথিত "জাতির বিবেক" থেকে নিজের বিবেক নিরাপদে সামলে রাখা জরুরী।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
sodrul amin, nevin farida ar nafisa jamal english department er. sodrul er wife nafisa. dujoni teacher hishebe chilo disaster. nevin faridao one of the bad teachers er modhe pore. sodrul er kono ethics nai. se tar rajnaitic shartho choritarcho korar jonno emon kono kharap kaj nai ja korte parena. nevin faridar moto niramish madam er modhe nijeke keno jorate galo bujhte parlamna.
dhaka university'r teacher mane ar jatir bibek na. dhaka university'r teacher mane rajneitik chamcha and ek number dhandabaj. onno sob public and private universities er upor colonial rule chalachhe. ora ki bamun??????????????????
gulo ki????????? english?
"Mahmudur Rahman is a man of principle, integrity, honesty & great leader. He is the real man of Future Bangladesh. We'll r with HIM to make truth Bangladesh. On behalf of Progressive Engineers Somaj."
আপ্নে কি মাহ্মুদুর রহ্মানেত্তে বেশি আংরেজী জানেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ড: আ কা ফিরোজ আহমদ,
ড: মোবাশ্বের মোনেম ও
ড: মুসলেহ উদ্দিন তারেক
-- এই তিনজন ঢাবি লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক।
থুতু এইসব শিক্ষকের মুখে
নতুন মন্তব্য করুন