আহমেদ নূর নামের একজন সম্পাদককে আপনারা গত কয়েকদিন আগে গ্রেফতার করেছেন। আপনাদের ভাষায় তিনি একজন চাঁদাবাজ সাংবাদিক।
স্যার,আপনারা ভালো বলতে পারবেন।সব কিছু জানার লাইসেন্স আপনাদের দেয়া হয়েছে নি:শর্ত ভাবে।আপনারা যদি বলেন তিনি 'চাদাঁবাজ' ,তাহলে আহমেদ নূর সে কথা স্বীকার না করে পারেন না।আর স্বীকার না করলে তাকে কেমনে স্বীকার করাতে হয়,তা-ও আপনাদের জানা আছে বটে। একটু রগড় করলেও সমস্যা নাই,আমাদের দুই মা জননী ,খালেদা আর হাসিনা বলেছেন তাহারা ক্ষমতায় গেলে আপনাদেরকে আরেকটা ইনডেমনিটি দিয়ে দেবেন। সুতরাং আহমেদ নূর সাহেবের 'চাদাঁবাজ' হতে অসুবিধা আর কী ই বা থাকলো।
তবে স্যার,আমি এই ভদ্রলোককে কিশোরবেলা থেকেই একটু একটু জানি। মফস্বলের সম্পাদক তো,তাই পেট পুরে ভাত না খেলেও,মাঝে মাঝে বুক ভরা সাহস টাহস দেখিয়ে ফেলে বেশ। আমাদের রাজধানী বাসী সম্পাদকদের মতো হাওয়া বুঝে পাল তুলতে শিখতে পারে না ওরা।
তো,ভদ্রলোক দীর্ঘদিন 'প্রথম আলো'র বু্যরো প্রধান ছিলেন,আর এখন চালাচ্ছেন একটা 'সিলেট প্রতিদিন' নামে এক ছোট্ট সিলেটী দৈনিক।এই শহরের অনেকেই তাকে ভালো জানেন বলেই সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক পদটি পাওয়া তার জন্য খুব কষ্টকর হয় নি।
আমরা আম আদমিরা ,এই সিলেটের মুখ্যসুখ্য মানুষেরা বছরের পর বছর ধরে টের পাইনি যে তারঁ মাঝে এক ভয়ংকর চাদাঁবাজ লুকিয়ে আছে। আপনারা কেমনে কেমনে যেন টের পেয়েছেন। যার সঙ্গে তাকে জুড়ে দিলেন,সেই মামলার বাদী পর্যন্ত আহমেদ নূরের বিরুদ্ধে একটা কথা বলে নি,তবুও আপনারা বুঝতে পেরেছেন আসল কালপ্রিট ঐ নূর সাহেবই।তা সাইজ করেছেনও বেশ, নির্যাতন এমন ভাবে করেছেন,উঠে দাড়াতে পারছে না বেচারা,অথচ দিব্যি বেচে আছে। হারজিরজিরে শরীর খানি নিয়ে যে বেচেঁ আছে,সে জন্য আমরা আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।এমন মেপে মারধোর করাটা আসলেই বড়ো দুর্লভ গুন।
তো স্যার,আমি আপনার কথা মেনে নিচ্ছি । মেনে না নিয়ে উপায় নেই স্যার,আমাকে মানাতে পারার জন্য আপনাদের বিভিন্ন কলা কৌশল আছে।
তবে 'আহমেদ নূর চাদাঁবাজ' এ কথাটা আমি বিশ্বাস করি না।
স্যরি স্যার,বেয়াদবি নেবেন না। আমার বিশ্বাস ফিশ্বাস আবার একটু কম। খুব ঠেকায় না পড়লে ঈশ্বরকেই বিশ্বাস করতে চাই না....সে ক্ষেত্রে আমার এই অবিশ্বাসকে দয়াকরে ধৃষ্ঠতা ভাববেন না প্লিজ...।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন