অভিবাদন হে দলত্যাগী কমরেড, হাসান মোরশেদ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: শুক্র, ১৩/০৪/২০০৭ - ৩:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্লগে প্রথমদিন এসে খুব চমৎকার লেগেছিল।হঠাৎ করে সাইটটি খুঁেজ পেলাম,তার উপর ব্লগে দেখি হাসান মোরশেদের একটি পোস্ট। তো,নিজ বন্ধুর সন্ধান পেয়ে একটু নিশ্চিত হলাম যে এখানে নিশ্চয়ই খুব ভালো লেখালেখি চলছে।

সাইটটি খুটে দেখতে গিয়ে বাম পাশে পেলাম 'সর্বোচ্চ ব্লগার' নামের একটি কলাম। আমি ভাবলাম,নিশ্চয়ই খুব জাদরেল ব্লগাররা সেখানে ঠাই নিয়েছেন যারা লিখতে লিখতে হাজার হাজার ব্লগারকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন। খুব আগ্রহ নিয়ে খুললাম সবার উপরে থাকা (তখন তাই ছিলেন,বেশ কয়েকদিন ধরে আলী তাকে টপকে গেছেন।)কাউয়া নিতাইর ব্লগ। ইচ্ছে ,তার লেখাগুলো পড়ে এই ব্লগের হালচাল কিছু আন্দাজ করা।

তার ব্লগ খুলে আমি তো খুব অবাক! পোস্ট মাত্র পড়তে পারলাম 7/8টা,অথচ বাইরের কলামে দেখাচ্ছে তার পোস্ট পাচঁশ!!! বাকি গুলো আমি দেখি না কেন?সমস্যা আমার চোখে নাকি আমার কম্পিউটারে।

সেই থেকে ভয়ে আর সর্বোচ্চ ব্লগারের লিস্টটি দেখতে যাইনি কোনদিন। তারপরে ধীরে ধীরে টের পেয়েছি,সর্বোচ্চ লিস্টে থাকা ব্লগারাই আসলে এই সাইটের মা বাপ,তারা ভালো লিখলে আমরা পড়ি,তারা খারাপ লিখলে আমাদেরও ব্রাউজিংয়ের পয়সা উঠে না।

এর বাইরে হাজার হাজার ব্লগার আমরা হলাম আমপাবলিকের দল। যদি অনলাইনে না থাকি,তাহলে আমাদেরকে খুজেঁ বের করা সে খড়ের গাদায় আলপিন খোজাঁর মতোই কষ্টকর।
তো,আমপাবলিক থাকার মজাটা আমি খুব উপভোগ করছিলাম।

আজ রাতে আবার অনলাইনে হাসান মোরশেদের সাথে দেখা। বাংলাদেশ আর্মিকে নিয়ে একটা গুজব ভিত্তিক পোস্ট।দেশের যা অবস্থা,কোনটা গুজব আর কোনটা আজব,আমাদের তো বোঝার উপায় নাই,তাই ব্লগে একটু শেয়ারের চেষ্টা।

ও মা,একটু পরেই হঠাৎ চোখে পড়লো এক আজব ব্যাপার।হাসান মোরশেদের মোট পোস্ট হয়ে গেছে 167, আর সে সর্বোচ্চ ব্লগারের লিস্টে উঠে গেছে!111111

হায় হায়,আমার মতো অচ্ছু\দের কী হবে গো এখন।পাশের বাড়ির বন্ধু যখন মিনিস্টার হয়ে যায়,তখন কেমন যেন অবাক অবাক লাগে।

এখন রাত বাজে 2টা। এতোক্ষনে বিহ্ববলতা কাটিয়ে উঠেছি।
আমাদের মতো আম পাবলিকের দল ছেড়ে বন্ধুর জাতে উঠার কারনে আমি এখন আমার খুশি প্রকাশ করতে পারি।

অভিনন্দন বন্ধু হে...।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।