(উৎসর্গ: শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক এহ্ হামিদাকে।সম্ভবত তিনিই বি.এন.পির একমাত্র কর্মী যিনি এই দূর্যোগেও নিজ বিশ্বাসের পক্ষে উচ্চ কন্ঠ। তার এই অটল উচ্চ কন্ঠ আমাকে মুগ্ধ করেছে।নিজের দলের সমর্থনে এরকম জানবাজ কর্মী পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।)
খালেদা জিয়া দূর্ণীতিকে উৎসাহিত করেছেন একথা না বললেও তিনি যে দূর্ণীতিকে অন্ধ প্রশ্রয় দিয়েছেন সেকথা বলতে আমার দ্বিধা নেই। এক সময় ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে বি.এন.পির বেশ কিছু মানুষের সাথে আমার ভালো পরিচয় আছে এবং তারা যে গত কয়েক বছর আগপাশতলা ‘মাল বানানোর’ ধান্ধায় ব্যস্ত ছিল সেটি আমার নিজের চোখে দেখা।
তারেক জিয়ার সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। কিন্তু তিনি যে ব্যাপক দূর্ণীতির সাথে জড়িত সেটা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি।একই সাথে বিশ্বাস করি খালেদা জিয়ার অগোচরে তার পক্ষে এতো দূর্ণীতি করা সম্ভব ছিল না।
তো,এই দূর্ণীতি থেকে ত্রান দিতে আমাদের মাঝে দেবদূত গন আবির্ভূত হয়েছেন। তার বস্তি ভেঙ্গে,হকার উচ্ছেদ করে ,ব্যবসায়ীদের গুদাম সিল গালা করে তাদের মগজ অনূযায়ী সংস্কার চালাচ্ছেন। অর্থনীতির মতো একটা জটিল বিষয় হ্যান্ডেল করার মগজ তাদের নেই,আর তাই দেশের অর্থনীতি যে গত কয়েক মাসে ছারখার হয়ে যাচ্ছে,সেটা বুঝতে তাদের সময় লাগবে।থাক,সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।
কিন্তু আমি খুবই ক্ষুব্ধ,হতাশ,বিরক্ত যে তারা খালেদা জিয়াকে জোর করে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছেন। যতোদূর বুঝতে পারছি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসার ব্যাপারেও তারা বাধা সৃষ্ঠি করতে চাচ্ছেন।
আমি বিনয়ের সাথে বলতে চাই,যে বা যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত,তারা মারাত্মক অপরাধ করছেন।
খালেদা,হাসিনা কিংবা তুচ্ছ আরিফ জেবতিক,এদের সকলেরই জন্মসূত্রে এই দেশের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠিত।তাদের কাউকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করার ক্ষমতা কারো নেই।
আমি একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে,খালেদা জিয়ার দূর্ণীতির,শেখ হাসিনার র্দূর্ণীতির দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।তাদের যে কোন অপরাধের বিচার হওয়া প্রয়োজন এই দেশের মাটিতে।
কিন্তু,তাদেরকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করার নৈতিক অধিকার কারো নেই।
আমি জানি আমার এই প্রতিবাদ কারো কানে পৌছাবে না।
তবু,নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকতে আজ ২০০৭ সালের ১৭ এপ্রিল দুপুর ২টার সময়ে নিজের ব্লগে এই লেখাটি লিখে রাখলাম।
(পোস্ট কনভার্টেড বাই মাহবুব মুর্শেদ এন্ড অরুপ কামাল)
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন