সেই সব দিনের কথা বলছি,যখন লাক্কাতুরা কুলি পাড়ায় হাড়িয়া গিলি,রুপালি কাচাঁ ছোলা আর ধবল জোৎস্না সহযোগে...।
একটা সারারাত পাহাড়ে কাটাবো বলে,দরগা থেকে আঠাশ টাকার গাজাঁ আর তিনটি কেরু নিয়ে
আমরা অনেকেই গলফ ক্লাবের পেছনের পাহাড়ে চড়েছিলাম।ধূ ধূ প্রান্তর,আকাশ ফাটিয়ে দেয়া জোৎস্না আর মাইল খানেক জুড়ে জনমানুষ শুন্যতা...
রাত ঘনায়,আমাদের কান্না চাপে,আমাদের কন্ঠে আসে গান।রাধা রাসেল তখন বুদঁ হয়ে পড়েছিল ঢাকার বিহারি পট্টির ইমপোর্টেড জিনিষে।
এভাবেই সময় কেটে যায়,রাত্রি দ্বিপ্রহর বিদায় জানাতে উদগ্রীব হয়।হঠাৎ আমাদের মাঝে কেউ একজন খেয়াল করে রাসেল আমাদের মাঝে নেই।খোজঁ,খোজঁ,খোজঁ....
তাকে প্ওায়া যায় বেশ দূরে,এক পাহাড়ের কোনে। এক পথভুলা নেড়ি সারমেয়কে পরম আদরে পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে..। আর তার সাথে ফিসফিস করে গল্প করছে।
নেশায় মাতোয়ারা রাসেলকে সেদিন কেউ বুঝাতে পারে নি যে সারমেয়রা মানুষের সাথে কথা বলতে পারে না।তার দৃড় বিশ্বাস,সারমেয় ছানা কথা শুনে মানুষের,কমিউনিকেট্ও করে।শুধু একটু এফর্ট দিতে হয়...
------------------------
রাসেল সেই আগের মতোই আছে।
তবে আমরা কেউই সেই আগের মানুষ নেই।আমরা বদলে গেছি অনেক।
তুই কোনদিনই বিশ্বাস করতি না যে সারমেয়র সাথে গল্প করা যায়।তুই ও তবে বদলেছিস?
আজ তবে কেন তুই রাধা রাসেলের মতো বিশ্বাস করতে শুরু করলি,`সারমেয়রাও মানুষ!'
কেন তবে এই বৃথা চেষ্টা,কেন রুচির এই অধ:পতন তোর...?
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন