হাউ টু রাইট অ্যা রিসার্চ প্রপোজাল? - শেষ পর্ব

ঝরাপাতা এর ছবি
লিখেছেন ঝরাপাতা (তারিখ: সোম, ৩০/০৭/২০০৭ - ১:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রিসার্চ টপিক নির্বাচন শেষ হলে শুরু করুন প্রপোজাল লিখা। এই ক্ষেত্রে কয়েকটা স্টেপে ভাগ করে নিন প্রপোজাল লেখার কাজটাকে। ¨

স্টেপ-১ : ব্যাকগ্রাউন্ড - প্রপোজালের শুরুতে থাকবে ব্যাকগ্রাউন্ড। ব্যাকগ্রাউন্ডের শুরুতে আপনি স্পেসিফিক কোন ফিল্ডে কাজ করছেন সেটা উল্লেখ করতে পারেন। যেমন- ধরুন আপনি অ্যাডহক নেটওয়ার্কের থ্রেট নিয়ে কাজ করছেন, তাহলে আপনি উল্লেখ করতে পারেন আপনার স্পেসিফিক এরিয়া হলো নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি।

তারপরই আপনি শুরু করতে পারেন আপনার টপিকের সংজ্ঞা বা বর্ণনা দিয়ে। যেমন, উপরের টপিকটার ক্ষেত্রে আপনি অ্যাডহক নেটওয়ার্কের একটা ডেফিনেশন দিয়ে শুরু করতে পারেন। এরপর আপনাকে আরেকটু বিশ্লেষন করতে হবে এ ব্যাপারে। যে বিষয়গুলো উল্লেক করতে হবে তা হলো, এই টপিকটা কেন রিসার্চের দাবী রাখে, বর্তমান সমস্যাগুলো কি এক্ষেত্রে, ইতিমধ্যে কি কি কাজ হয়েছে ‌যেটাকে রিলেটেড ওয়ার্ক বলা যায়,এবং সংক্ষেপে আপনার রিসার্চের আল্টিমেট গোল কি সেটা। মনে রাখবেন, এই লেখাগুলি এমনভাবে লিখতে হবে যাতে পাঠক কোন গ্যাপ না পায়। অর্থাত একটা পয়েন্ট থেকে আরেকটা পয়েন্টে যেতে হবে খুব সতর্কভাবে

২. চ্যালেঞ্জেস - এই স্টেপে প্রথমে আপনাকে বর্ণনা করতে হবে এই রিসার্চ কনডাক্ট করার চ্যালেঞ্জগুলো। কারেন্ট রিসার্চের লিমিটেশনগুলোও আপনি উল্লেখ করতে পারেন এই ধাপে। তবে সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো রিসার্চ কোয়েশ্চনগুলো ঠিক করা। অর্থাত আপনাকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে, আপনার রিসার্চের আউটপুট কি হবে। অবশ্যই এই আউটপুট অ্যাপ্রক্সিমেট আউটপুট। রিসার্চ কোয়েশ্চন নির্বাচনে খুব সতর্ক হতে হবে যাতে রিসার্চ কোয়েশ্চনগুলো ইন্টারেস্টিং হয়। রিসার্চ প্রসিড করার সাথে সাথে এগুলো পরিবর্তন হতেই পারে। কাজেই আগে এগুলো হুবুহু সমাধান করতে হবে এমন ভাবার দরকার নেই।

৩. এপ্রোচ - কোন এপ্রোচ আপনি ফলো করতে যাচ্ছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে এ পর্যায়ে। আপনি যে সায়েন্টিফিক ওয়েতে রিসার্চ করছেন সেটা আপনার এপোচে বোঝা যাবে। বিভিন্ন ধরনের এপ্রোচ আপনি ফলো করতে পারেন। যেমন, শুধুমাত্র লিটারেচার সার্ভে, লিটারেচার সার্ভে ও স্ট্যাটিসটিক্যাল অ্যানালাইসিস, সিমুলেশন, ফিল্ড সার্ভে ইত্যাদি। এপ্রোচ থেকেই আপনার কাজের ধরন বোঝা যাবে অর্থাত আপনার রিসার্চের প্রফেশনাল পাঠকরা ভালো ধারণা পাবেন।

৪. রেজাল্ট - এখানে আপনি কি ধরনের আউটপুট আশা করছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে। এটা জাস্ট অনুমানের উপর বেইস করেই লিখতে হবে। পরবর্তীতে রেজাল্ট অনুমানের সাথে না মিললেও কোন ক্ষতি নেই।

৫. রেফারেন্স - এবার রেফারেন্স টানুন। রেফারেন্স লেখার সময় অথরের লাস্ট নেইম অনুযায়ী সর্টিং করে নিতে পারেন। আর কোন ওয়েবসাইট থেকে ইনফরমেশন নিলে অবশ্যই সেটার লাস্ট চেকের তারিখ উল্লেখ করুন। তবে ওয়েবসাইটের তথ্যের উপর নির্ভল না করাই ভালো। সেগুলোর বেশিরভাগই বায়াস হবার সম্ভাবনা থাকে।

এই তো। এবার দাঁড় করিয়ে ফেলুন আপনার প্রপোজাল।


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ধন্যবাদ। খুব শীঘ্রই কাজে লাগবে এই লেখাগুলো আমার।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

টপিকটা দারুন। আমার এখন হয়ত কাজে লাগবে না। পড়ে জানাবো কেমন লাগে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ঝরাপাতা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাদের। কাজে লাগলে খুব খুশি হবো।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

১ এ শুরু করে দ্বিতীয়টাতেই শেষ করে দিলেন! প্রথম পর্বটা আমার মনে হয় আরো গভীরভাবে বর্ণনা করলে ভাল হত। দ্বিতীয় পর্বটাও হালকা হয়েছে। আমার দাবী থাকল পুরো রচনাটাকে আউটলাইন ধরে আরো বিস্তারিত নিয়ে আসা। একটু বেশীই দাবী (ফ্রি খাব যখন বেশীই চাই খাইছে )। কাজের জিনিস, সন্দেহ নাই।

ঝরাপাতা এর ছবি

বস, এইটা ইচ্ছা কইরা শর্টকাটে লিখছি। পাবলিক বড় লেখা পড়বার চায় না। সময় পেলে কাটা ছিড়া করার চেষ্টা করবো, এখন দৌড়ের উপর আছি। এই লিংকে কিছু লেখার চেষ্টা করেছিলাম-

http://www.somewhereinblog.net/blog/jhara_patablog/15842

http://www.somewhereinblog.net/blog/jhara_patablog/15987

http://www.somewhereinblog.net/blog/jhara_patablog/16101


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।