কেঁচো খুড়তে গিয়ে অনেক সময় সাপ বেরিয়ে আসে। জামাতের নেতা নিজামী বিশেষ বরাদ্দে রাজউকের প্লট পেয়েছেন। আজ ৩০শে জুলাইয়ের প্রথম আলোতে খবরটা অনেকের কাছে চমক দিলেও আমি একটুও অবাক হইনি। ধর্ম ব্যবসায়ী দলের প্রধান জামাত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর একটা প্লটের খবর অতি সামান্য ব্যাপার। যে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির বাণিজ্য চলেছে তাতে ৫ কাঠার বনানীর প্লট নস্যি মাত্র। নিজামী-মুজাহিদ ইনক্ জামাতের লেবাসে সমাজ কল্যাণ আর শিল্প মন্ত্রণালয়ে যে অশুভ জামাতী প্রভাব প্রতিপত্তির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে গেছে তার হিসেব কষবে কে? তেজগাঁও শিল্প এলাকার কোটি কোটি টাকার মূল্যের জমি নাম মাত্র মূল্যে তিনি দান করেছেন সেই ঘটনা এখন কি আর কারও মনে আছে? শিল্প মন্ত্রীর ভাগ্নে মামার সুপারিশ কব্জা করে লোহা লক্কর ব্যবাসায়ী মিজানুর রহমানের ২৫ লাখ টাকা লোপাট করে দিয়েছে সেই খবর ক'জনে মনে রাখবে। বরং সদাশয় সরকার একজন রাজাকার ঘাতক নিজামীর জন্য সহানুভূতির বন্যা বইয়ে দিবে। নিজামীর কুকর্মের শ্বেত পত্র কেউ দেখবে না, দুদকেও কোন মামলা উঠবে না। এভাবেই পার পেয়ে গেছে যুদ্ধাপরাধী ঘাতকের দল। সামনের দিকেও পার পেয়ে যাবে।
গত ৪০ বছরে নিজামী কোন বাড়ীর মালিক হতে পারেননি বলে বিএনপির বদান্যতায় নিজামী প্লট পেয়েছেন। সেখানে এই দুর্মূল্যের বাজারে ছ'তলা বাড়ী উঠছে। প্রতি শুক্রবার তার স্ত্রী আর ছেলে গিয়ে দেখভাল করে আসেন। এখন রাজউক দাবী করছে, "তারা কিছু জানে না"। কারণ, তাদের দাবী, কুকর্মটি করেছে মন্ত্রণালয়। তবে এই নজরানার কারণ হিসেবে কাগজপত্রে বলা হয়েছে, "রাস্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদানের জন্য নিজামীকে এই প্লট দেওয়া হলো"। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা চোখের মাথা খেয়ে চেয়ারে বসেন। উপদেস্টা ব্যরিস্টার মঈনুল হোসেন স্মরণ করতে পারেন না, ঘাতক মুজাহিদ কে? উপদেস্টা জেনারেল মতিন ভাবতেই পারেন না, "জামাতীরা কোন দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকতে পারে"। এভাবেই এক মঈনুল আর এক মতিনের সাফাই সাক্ষীতে কি লাখো শহীদের রক্ত রঞ্জিত নিজামী মুজাহিদরা কি রেহাই পাবে ইতিহাসের নিষ্ঠুর কাঠগড়া থেকে?
হয়তো একজন ইমরান ফারুকের লেখায় উঠে আসবে দশ ট্রাক অস্ত্র পাচারের নেপথ্য নায়ক তদানীন্তন শিল্প মন্ত্রী নিজামীর কথা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে জাতীয় সেনশেসন তৈরী করা অনেক সহজ যখন জামাতী আমলনামা আমরা ভুলে যাই। হয়তো একজন সাজ্জাদ জহির যখন ইতিহাস ঘেঁটে জামাতীদের সাথে সামরিক বাহিনীর সংযোগের বিপজ্জনক সূত্র চোখের সামনে তুলে ধরেন তখনও কি আমরা নির্বিকার হয়ে বসে থাকতে পারি? নস্টদের হাতে সবকিছু চলে যাবে এই অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি না হয়ে তাকে প্রতিরোধ করার জন্য এই অভাগা জাতি আবারও গর্জে উঠবে এই প্রত্যাশা কি খুব বেশী?
মন্তব্য
ছবিটা না থাকলে হয় না?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাই,
ছবি না থাকলে চিনব কি করে? তার পরেও আপত্তি থাকলে মুছে দেব।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
ছবি ছাড়াও এটাকে চেনা যাবে। এই চেহারা সত্যিই দেখতে চাই না। এটা একান্তই আমার মত অবশ্য।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সুজনদার কাছে এই নষ্টদের কিছু কার্টুন তৈরি করে নেয়া দরকার। এদের আসল ছবি না দিয়ে সেই ছবিগুলো আমরা ব্যবহার করবো।
অবাক হচ্ছি দিনদিন। এই নষ্ট দলটির ব্যাপারে যোগাযোগ উপদেষ্টার মন্তব্য শোনার পর হতবাক হয়েছি।
------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সৌরভ ঠিক বলছে। সুজনদার এখন ফরজ দায়িত্ব হোক এদের কার্টুন আঁকা। খুব দ্রুত।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
রাস্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদানের জন্য নিজামীকে এই প্লট দেওয়া হলো
তা বটে..
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
কার্টুন পাইলে ছবিটা সরানো যাইতারে...
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
নিজামীর ছবিটা সরিয়ে দিলাম। ধন্যবাদ।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
অনেক ধন্যবাদ আড্ডা। অনেক তথ্য আর অনেকগুলো ভালো লিংক দেয়ার জন্য।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আপনি এটি কি করছেন। বিশেষ আইনের ফাঁপড়ে পড়বেন।
আমাগের সুজন্দা নিজামী, গোআ'র কার্টুন আঁকতে পারে, শুধুই সচলায়তনের জন্য। এই বুদ্ধিটা উনার মাথায় ঠেসে দিতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
হযবরল,
দরজা জানালা বন্ধ কইরা বইসা আছি, বহুত ফাঁপড়ে আছি, আর নতুন কি? আপাতত বিশেষ আইনে সেলিব্রিটি হওয়ার কোন খায়েশ হয়নি। এখন দেখি অপ বাকও সাপ্লিমেন্টাল পোসট দিয়েছে, চলুক কলম। শাহজাহান চৌধুরীরে নিয়ে লেখা নামান।
আর সুজন চৌধুরী যদি মেইন কারেক্টারগুলোর কিছু ক্যারিকেচার গণব্যবহারের জন্য আম জনতাকে দেন, তাহলে ইহকাল ও পরকালে অশেষ শান্তি পাবেন!!! ধন্যবাদ।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
জনগুরুত্বপূর্ণ নেতাকে নিয়া পোস্ট! করছেন কি!!
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
এই দিন দিন না আরো দিন আছে
এই দিনরে নিয়ে যাবে সেই দিনেরো কাছে!
ধন্যবাদ - আড্ডাবাজ
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
আজ নিজামির ফাঁসির রায় হইছে জুবায়ের ভাই, আড্ডাবাজ ভাই!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বিএনপি_জামায়াত_আমল: ২০০৫ সালের ২৫ অক্টোবর রাজউকের ১৬২তম বোর্ড সভায় যুদ্ধাপরাধী নিজামি ও যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদকে পাঁচ কাঠার করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০০৬ সালের ১৬ মার্চ দুজনকেই বরাদ্দপত্র বুঝিয়ে দেয় রাজউক। এর মধ্যে নিজামীকে দেওয়া হয় বনানীর জে ব্লকের ১৮ নম্বর রোডের ৬০ নম্বর প্লট। আর মুজাহিদ উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডের ৫ নম্বর প্লটটি। ভূমি বরাদ্দ বিধিমালার ১৯৬৯ (সংশোধিত) ১৩/ক ধারাবলে তাঁদের প্লট দেওয়া হয়। এ ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাঁর রাজধানীতে থাকার জায়গা নেই, তাঁকেই প্লট বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক_আমল: উপদেষ্টা এমএ মতিন বলেছিলো, জামায়াত নেতারা দুর্নীতির সাথে জড়িত না। তাই তাদেরকে ধরা হয় না।
আওয়ামী_লীগের_আমল: রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্য আনা অস্ত্র মামলায় নিজামির ফাঁসির রায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নিজামির ফাঁসির রায়।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে সময় লেগেছে; কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নতুন মন্তব্য করুন