© ইহা একটি কাল্পনিক গল্প। জীবিত বা মৃত কোন ব্যক্তি কিংবা ঘটনার সাথে মিল খুঁজিয়া পাইলে তাহা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র।
××××××××××××××
বাঁশফার ওসমান সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাহার পিতা গাজী- পিতামহ দরবেশ হিসাবে খ্যাতি লভিয়াছিলেন। বালেগ হইবার পর গবেষণার নিমিত্তে তাহাকে আরব ভুমিতে প্রেরণ করা হইলো।
আরব ভুমিতে অবতীর্ন হইবার পর বাঁশফার ওসমান তাহার আশু ভবিষ্যত লইয়া ভাবিতে লাগিল। সে ভাবিয়া দেখিল এমন কিছু লইয়া গবেষণা করিতে হইবে যাহাতে তাহাকে সবাই কদর করিতে বাধ্য হয়! ভাবিতে গিয়া সে দেখিল, আরব ভুমিতে বসিয়া উট লইয়া গবেষনা করাই উত্তম হইবে! উট অতি বিখ্যাত প্রাণী, উহার খ্যাতি সুদুর আরব ভুমি ছাড়াইয়া গাবতলীর হাঁট পর্যন্ত পৌছাইয়া গিয়াছে! পয়গম্বরগন উটের পিঠে চড়িয়া ধর্মপ্রচার করিয়া বেড়াইতেন। ভাবিয়া চিন্তিয়া বাঁশরাফ রহমান সিদ্ধান্ত গ্রহন করিল, সে উট লইয়া গবেষনা করিয়া খ্যাতি লভিবে।
পরদিন প্রাতঃকালে তাহার মনোষ্কামনা পূর্ণ করিবার নিমিত্তে সে বাটী হইতে বাহির হইলো। মরুভুমিতে পথ চলিতে চলিতে সে কাহিল হইয়া পড়িল। তীব্র দাবদাহে তাহার প্রাণবায়ু নির্গত হইবার উপক্রম হইলো। এমতাবস্থায় সে দেখিল বেশ কিছুটা দুরে একটি ছোট্ট মরুদ্যান। প্রাণ বাঁচানোর তাড়নায় সে মরুদ্যান লক্ষ্য করিয়া চলিতে লাগিল। মরুদ্যানের সম্মুখে আসিয়া সে জ্ঞান হারাইলো।
জ্ঞান ফিরিয়া আসিবার পর সে আবিষ্কার করিল, একজন শুশ্রুমণ্ডিত ব্যক্তি তাহার উপর ঝুঁকিয়া আছে। কিয়ৎকাল বাদে একটু সুস্থির হইবার পর, সেই শুশ্রুমণ্ডিত ব্যক্তি তাহারা অভিপ্রায় জানিতে চাহিল।
--জনাব, আমি পবিত্র প্রাণী উট লইয়া গবেষনা করিয়া জগতে খ্যাতি লভিতে চাই। সেই লক্ষ্যে বাটি হইতে বাহির হইয়াছি। যেখানেই উট লইয়া গবেষণা করিবার সুযোগ মিলিবে, আমি সেখানে ঘাঁটি গাড়িব।
--শেখ তাহাকে জিজ্ঞাসিলো, “উট লইয়া গবেষণা করা জিহাদ করার সামিল তুমি কি তাহা জান? তোমার ভিতর কি সেই জেহাদী জোশ আছে বলিয়া মনে হয়? আমিও এমনই একজনকে খুঁজিতে ছিলাম। ইচ্ছা হইলে তুমি আমার মরুদ্যানে রক্ষিত উট লইয়া গবেষণা করিতে পার। বিনিময়ে তুমি মাসোহারা পাইবে।”
জিহাদের কথা শুনিয়া বাঁশরাফ উৎফুল্ল হইয়া উঠিল। সে কালবিলম্ব না করিয়া রাজী হইয়া গেল। পরদিন প্রাতঃকালে সে নিজ বাটি অভিমুখে রওয়ানা হইলো। বাটিতে পৌঁছিয়া সে পরিহিত লুঙ্গী খানা খুলিয়া তাহার এক প্রান্তে গিট্টু দিল, অতঃপর লুঙ্গীর ভিতর তাহার সমুদয় সম্পত্তি ভরিয়া মরুদ্যান অভিমুখে রওয়ানা করিল।
মরুদ্যানে পৌছিয়া সে কালবিলম্ব না করিয়া গবেষণায় লিপ্ত হইল। প্রথমেই নোটবই খানা বাহির করিয়া তাহাতে হাবিজাবি লিখিতে শুরু করিয়া দিল।
রাত্রিকালীন আহারে শেখ তাহাকে “শরাবন তহুরা” দিয়া আপ্যায়ন করিল। আহারান্তে তাহার দুইজন একত্রে ঘুমাইতে গেল। আরব ভুমিতে সাম্যবাদের জয়জয়কার! মালিক-কর্মচারী একত্রে ঘুমাইবে ইহাই স্বাভাবিক!
ঘুমের মধ্যে সে দুঃস্বপ্ন দেখিল, একটি উট তাহাকে পোঙামারার নিমিত্তে তাড়া করিতেছে! বাঁচার অভিপ্রায়ে সে শেখের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছে। শেখ তাহাকে “পানির উপর দিয়ে হাঁটিতে সক্ষম এক জোড়া জুতা” পরিধান করিতে দিল। বাঁশরাফ উহা পরিধান করিয়া পানির উপর দিয়া হাঁটিয়া সেইবারের মত নিজের ইজ্জত রক্ষা করিল। প্রাতঃকালে ঘুম হইতে উঠিয়া সে লক্ষ্য করিল পশ্চাৎ প্রদেশে ব্যাপক ব্যাথা অনুভুত হইতেছে।
পশ্চাৎদেশকে আমল না দিয়া সে পুনরায় গবেষনা কর্মে লিপ্ত হইলো। সেইদিন রাত্রে “শরাবন তহুরা” যোগে আহারান্তে ঘুমাইতে যাইবার পর আবারও দুঃস্বপ্ন দেখিতে আরম্ভ করিল।
এইবার দেখিল, শেখ তাহাকে পোঙামারা দিবার নিমিত্তে তাড়া করিতেছে। রক্ষা পাইবার জন্য সে উটের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছে। উট তাহাকে রক্ষা করিবার জন্য ছুটাছুটি করিতে আরম্ভ করিল। ফলশ্রুতিতে মরুঝড় সৃষ্টি হইলো, “মরুঝড় সৈনিক হিসাবে” তাহাকে সেইবারের মত পোঙামারা খাওয়ার হাত হইতে রক্ষা করিল। পরদিন ঘুম হইতে উঠিয়া সে দেখিল তাহার পোঙায় আবারও ব্যাপক ব্যাথা অনুভুত হইতেছে।
উপায়ন্তর না দেখিয়া বাঁশফার রহমান ভাবিল শেখকে তাহার স্বপ্নের কথা খুলিয়া বলিবে! সবকিছু শুনিয়া শেখ তাহার পশ্চাৎদেশ খুলিয়া দেখিতে চাহিলো। দেখিবার পর শেখ তাহাকে বলিল, “হুম... পশ্চাৎদেশ খানা কিঞ্চিত লাল হইয়া রহিয়াছে।”
বাঁশফার কে আশ্বস্ত করিবার নিমিত্তে শেখ তাহাকে বলিল, “কেবলমাত্র পূণ্যবান ব্যক্তিরাই উটের মত পবিত্র প্রাণীর সহিত সঙ্গমের সুখ লভিতে সক্ষম হয়। মৃত্যুপরবর্তীকালে নিশ্চয়ই তাহাকে স্বর্গে অধিষ্ঠিত করা হইবে।”
স্বর্গপ্রাপ্তির কথা শুনিয়া বাঁশফার চুপ হইয়া গেল। কিন্তু দিনের পর দিন পশ্চাৎদেশের বেদনা সহ্য করিয়া স্বর্গলাভ অতি মুষ্কিল! সে জিজ্ঞাসিলো, “দ্বিতীয় রাত্রিতে দেখিলাম আপনি আমাকে পোঙামারা দিতে চাইছেন, উট আমাকে রক্ষা করিতেছে- উহার কি ব্যাখা দিবেন?”
শেখ তাহাকে উল্টা প্রশ্ন করিল, “উট তোমাকে রক্ষা করিতে চাহিতেছে, উহাকে কি প্রতীয়মান হয়?”
“প্রতীয়মান হয় যে আপনি আমাকে পোঙামারা দিতে চাহিতেছেন।” কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলিলো বাঁশরাফ।
অতঃপর সে উট লইয়া গবেষনা কর্মে ইস্তফা দিল। তাহার সমুদয় সম্পত্তি লুঙ্গীর মধ্যে লইয়া বাটির পথে রওয়ানা হইলো।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাহাকে, “হিন্দুরা কেন গো মাংস ভক্ষন করে না” তাহা লইয়া গবেষণা করিতে দেখা গিয়াছে।
মন্তব্য
মডু আপনাকে ক্যাক করে ধরবে কইলাম .. ..
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বুঝলাম না! নিজের ব্লগে প্রকাশ করলাম! প্রথম পাতায় তো একট লেখাও দিইনি।
হঠাৎ তাকিয়ে দেখি ২ টা পুরান লেখা প্রথম পাতায়।
মা.মু. কই? আমারে বাঁচান।
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন