NATIONAL SECURITY STRATEGY OF THE USA,MARCH 2002
পাঁচবছর আগে,আফগানিস্তান থেকে প্রথম বন্দীদের দল নিয়ে আসা হয় ইউ এস নেভাল বেইস গোয়ান্তানামা বে'তে- বাক্সবন্দী কোন পণ্যের মতোই শেকল বাঁধা ।
তারপর গত পাঁচবছরে ৪৫টি রাষ্ট্রের প্রায় ৭৫০জন নাগরিককে বন্দী করে আনা হয় এখানে । ১৩ বছরের শিশু থেকে ৬৫ বছরের প্রায় বৃদ্ধ । এদের অনেকেই কেবল সন্দেহবশতঃ দোষীসাব্যস্ত, হয়তো কেবল ভুল সময়ে এরা ভুল জায়গায় ছিলো ।
ওয়েস্টার্ন ফিল্মের মতোই,প্রফেশনাল এজেন্টরা হাজার হাজার ডলারের বিনিময়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে অনেককে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে হস্তান্তর করেছে আমেরিকানদের কাছে ।
আমেরিকান কর্তৃপক্ষ এই বন্দীদের ব্রান্ডেড করেছে 'enemy combatants' নামে ।পুরো বিশ্বকে তারা গন্য করছে যুদ্ধক্ষেত্র হিসাবে । তাই 'enemy combatants' দের গুয়ান্তামোতে তুলে নিয়ে আসছে-গাম্বিয়া,বসনিয়া,মৌরিতানিয়া,মিশর,ইন্দোনেশিয়া,থাইল্যান্ড,জাম্বিয়া,আরব রাষ্ট্রসমুহ,পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ।
পাঁচবছর পর,এখনো চারশতাধিক মানুষ বন্দী গোয়ান্তামো'তে । এই দীর্ঘসময়ের মধ্যে কারো কোনো বিচার হয়নি,কাউকে আদালতে হাজির করা হয়নি ।
গোয়ান্তানামো ইন নাম্বার্স
-----------------------
-----------------------
এদের মধ্যে অন্ততঃ ১৭ জনের বয়স আঠারো বছরের নীচে । আঠারো বছরের নিচে ৪জন এখনো বন্দী আছে ।
এদের মধ্যে ৩৮৫ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন দেশে নির্মিত গোপন বন্দীশিবিরে । দেশগুলো হলোঃ- আফগানিস্তান,আলবেনিয়া,অস্ট্রেলিয়া,বাহরাইন,বেলজিয়াম,ডেনমার্ক,
মিশর,ফ্রান্স,জার্মানী,ইরান,ইরাক,জর্দান,কুয়েত,মালদ্বীপ,মরক্কো,
পাকিস্তান,রাশিয়া,সৌদিআরব ,স্পেন,সুইডেন,সুদান,তুরস্ক,উগান্ডা,
যুক্তরাজ্য,তাজিকিস্তান ও ইয়েমেন ।
আটক বন্দীদের মধ্যে ০ জন,যুক্তরাষ্ট্রের আদালত দ্বারা অপরাধী প্রমানিত
মিলিটারী কমিশন ১০ জন বন্দীকে অপরাধী সাব্যস্ত করেছিল,কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রীম কোর্ট মিলিটারী কমিশনের বিচারপ্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষনা করে ।
বিশেষ ট্রাইবুনাল(৩ জন সামরিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত) আগষ্ট ২০০৪ থেকে মার্চ ২০০৫ , এই সময়ে ৫৫৮ জন বন্দীর মধ্যে ৫২০জনকে 'enemy combatants' হিসেবে ঘোষনা করে । উল্লেখ্য আবারো বন্দীদের পক্ষে কোনো আইনজীবিকে উপস্থিত থাকার সুযোগ দেয়া হয়নি ।
বন্দীদের আত্নহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে অন্ততঃ ৪০ বার । জুন ২০০৬ এ আত্নহত্যা করেন ৩ জন ।
এদের মধ্যে মাত্র ৫% বন্দী হয়েছেন আমেরিকান সৈনিকদের হাতে । বাকী ৮৫% বন্দী হয়েছেন পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও আফগানিস্তানের নর্দান এলায়েন্সের হাতে । বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই মোটা অংকের ডলারের বিনিময়ে বন্দী হস্তান্তর ঘটেছে ।
সেপ্টেম্বর ২০০৬ এ ১৪ জন বন্দীকে গোয়ান্তামো'তে প্রেরন করা হয়, যারা এর আগে প্রায় চার বছর সি আই এ' র কোন অজ্ঞাত বন্দীশালায় আটক ছিলেন ।
***তথ্যসুত্রঃ এমনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল
মন্তব্য
লাল ঘোড়ায় দোষ নাই
মানবতার ধ্বজাধারীদের জন্য সবই জায়েজ।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
খেয়াল কইরা, আমেরিকা যে সব দেশরে তার কারাগার হিসাবে ব্যবহার করে,তার তালিকায় কিন্তু ইরান ও আছে ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ইরান কিন্তু সরাসরি আমেরিকা জাঝাপ্রাপ্ত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ইউ এস আর্মির "রিয়ালি রিয়াল ভিডিও গেম"এ পরিণত হয়েছে গুয়ান্টানামো
ইরানের ব্যাপারটা পড়ে ভাবলাম,
আজব পৃথিবী!! আরও কত লীলাখেলা দেখব!!!
ধন্যবাদ বস্, তথ্যগুলো শেয়ারের জন্য
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ইরানের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক নতুন না - বোধ সবারই মনে আছে কন্ট্রা কেলেংকারীর কথা।
ধন্যবাদ!
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
লাত্থি মারি এদের মুখে!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ভালো জিনিস মনে করালেন এস্কিমো । ইরান কন্ট্রা কেলেংকারী । শত্রু ঘোষিত দেশ ইরানের কাছে গোপনে অস্ত্র বিক্রী করে নিকারাগুয়ার কন্ট্রাদের ফান্ড যোগাতো । শুধু অস্ত্র নয়,আমেরিকার দোসর কন্ট্রাদের জন্য কোকেন চোরাচালান ও হালাল করে দিয়েছিল রিগান প্রশাসন ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন