(আমার মন খুব খারাপ, আমার এক বন্ধু আমাকে মেইল করে জিজ্ঞাসা করেছে আমার কি হয়েছে, তাকে একটা চিঠি লিখেছি ঐটাই একটু বদলে এখানে তুলে দিলাম। খোলা চিঠি। বাকি যারা জানতে চেয়েছেন আমার কী হয়েছে তাদের জন্য এই খোলা চিঠি বা একটা অসতর্ক নীরব চিৎকার)
প্রিয় যে কেউ,
তেরই আগস্ট ২০০৯, দাসী জীবনের আরো একটা ঘানি টানার দিন গেল। গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রের প্রজারা এর চেয়ে ভালো আর কীই বা থাকবে, প্রজাতন্ত্রের চাবুকের গাঢ় দাগ থুতনি থেকে উরু পর্যন্ত। না অভিযোগ নাই। খুব ফুর ফুরা লাগছে কারণ আর কোন অভিযোগ নাই। খুব পালকের মত হালকা লাগছে, ফুঁ দিলেই উড়ে যাব যোজন যোজন দূর। না আর ভালো লাগছে না কাউকে, ভালবাসছি না। মনে হল কেউ আমাকে খাঁচা খুলে পাছায় বাড়ি দিয়ে বলল- "যা ভেগে যা, আর কোন বাধা নাই।" কিন্তু যে বাঘ খাঁচায় জন্ম নিয়েছে তাকে বনে ছেড়ে দিলে সে শিকার করে খেতে পারে না। আমিও এমন আজন্ম এক বন্দী অনুগত দাস।
আমি খারাপ নাই, কারণ সুখের কোন প্রত্যাশা নাই, আমার কী সুখী হবার কথা ছিল? সুখ কী জিনিস? বস্তা পচা হাসির কাতুকুতু? রাত বাড়লে সবার শয়ন কক্ষে ভাপ পোহানোর খেলা চলে। আমার দহন আমাকে বরফের মত কচ্কচে পিছ্লা পাথর বানিয়ে যায়। এমনও দিন কাটাই সারাদিন কারো সাথে মুখে একটা কথা বলি নাই। এইভাবেও আমার বাঁচা বা বাঁচার চেষ্টা। ইউনিভার্সিটিতে সুন্দরী মেয়ে দেখি, দৃষ্টির কৌশলে ইনিয়ে বিনিয়ে বলে দেই- "তুমি বেশ ভালই।" এর চেয়ে বড় কোন ঘটনা নাই।
প্রিয় মানুষ বা চরিত্র, আমি এভাবে বাঁচি কেন? আমি কী ঈশ্বরের সস্তা ইমিটেশনের রেপ্লিকা নাকি যিশুর অক্ষম রুগ্ন রুপান্তর নাকি মুহাম্মদের এক হাস্যকর পরিনতির উম্মত। কে আমি? আয় ফিরে আয় চে গুয়েভারা, আয় সক্রেটিস, আয় নেপোলিয়ান, আবুল হাসান, অস্কার ওয়াইল্ড... ফিরে আয় আমার সময়ে, তোদের জন্য জমিয়ে রেখেছি বাক্স ভর্তি কথা। ফিরে আসুন মাদার তেরেসা- তাহলে আমি বুকে সাহস নিয়ে বলি "মানুষই ধর্ম"। ধর্মের বেতনভুক্ত কর্মচারী ঈমামরা যারা নাকি স্বর্গের লোভ দেখায় তাদের গিয়ে বলি, "মুসলমান অধ্যুষিত স্বর্গের লোভ নাইরে ঈমাম, আমি মাদার তেরেসার সাথে মানুষের দোযখে যাব।"
জানি না কেন এমন ছন্নছাড়া লাগে, না কষ্ট না সুখ... সুধু একটা পিচ্চি দীর্ঘশ্বাস আমাকে বেধে রাখে, ডোবার ব্যাঙ্গের মত আমি লাফিয়ে জলেই আছড়ে পরি বারে বারে। আমি কেবল ভিতর বাহির করি, রোদে কাপড় শুকাতে দেই। শুকনো কট কটে কাপড় পরে ভাবি বেশ তো শুকনো আছি। তবু ঘরে আসলে দেখি সবই কাদা কাদা, আমি এখন জেনে গেছি; হৃদয়ের পাখিগুলো সবই ভেজা কাক। এইটাই কী প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জীবন, দাসের জীবন! জন্মদাতা ঈশ্বরের গেমব্লিঙ্গে জন্ম নিলাম এক অদ্ভুত পরিবারে, অদ্ভুত দেশে। অদ্ভুত চিন্তা, অদ্ভুত আবেগে আমি ঘুরি- আকাশে ছুড়ে দেয়া কয়েনের সাথে, কোন এক অজানা আশায় 'ফিঙ্গার ক্রসড' অবস্থায়।
কেউ শুনতে কি পাচ্ছ, এই চিৎকার! কেউ কি আছো ঐখানে, এখানে বা বুকের বাম পকেটে? কেউ কি আমাকে শুনতে পাচ্ছনা!
ভালো থেকো, যত ভালো না লাগার মধ্যে... শিশু ও ফুলকে ভালবেসে...
আটটি জীবন্মৃত একটি কালো বিড়াল...
কাজী শিরাজী
মন্তব্য
'মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা'
মেঘের ডাকবাক্স বহু চিঠি জমে আসে আমার...
হুমম।
হুম...
চিঠি বলতে কি মেইল বুঝিয়েছেন?
আহারে! কতদিন চিঠি লেখা হয়নাঁ।
অফটপিক: আপনার প্রোফাইল পিকচার দেখলে কেমন যেন ভয় লাগে
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হুম মেইল বুঝিয়েছি, কিন্তু ওটাকে চিঠি না বললেই ভুল হবে। ১৮-১৯ বছর বয়সে যত কবিতা লিখেছি সবই প্রায় চিঠি ছিল। চিঠি লিখতে খুব ভালো লাগে আমার। আমি অনেক চিঠি লিখি। যাদের চিঠি লিখি তারাও এখন আমাকে প্রায় চিঠি লিখে, চিঠি অন্যরকম। এস এম এস বা প্রথাগত মেইল কালচারে অতটা গভীরতা পাই না...
আমি আমার লেখা লিখির কয়েক বছরের ঘটনা দিয়ে একটা ব্লগ লিখব পরে কখনো। যদিও আমার বয়স ২১, তবু প্রায় মনে হয় আমি যেন সহস্র বছর ধরে লিখছি আর এটাকে ভালোবেসেছি।
__________________
বাঘবন্দী সিংহবন্দী বন্দী আমার হিয়া...
শিকলও ছিঁড়িয়া দে মরি দেখিয়া, একবার ছাড়িয়ে দে দেখি মরিয়া...
- কফিল আহমেদ
মন খারাপ করলুম...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
মন খারাপ করতে নাইরে ভাই... বেশি বেশি মন খারাপ করলে মনে পচন ধরে যায়।
__________________
বাঘবন্দী সিংহবন্দী বন্দী আমার হিয়া...
শিকলও ছিঁড়িয়া দে মরি দেখিয়া, একবার ছাড়িয়ে দে দেখি মরিয়া...
- কফিল আহমেদ
মনের দৈন্য কাটাতে বেলের শরবত খান...দহন কমে যাবে...
সপ্তর্ষিকে টেবিলে নামায়ে তাদের লগে দুই চাইরটা কথা কন...
বুইঝা দেখেন আপনার জানা নামগুলোর কোনটা তাদের মানায়...
আর কূনোডায় কাম না করলে আমারে সকল মন খারাপ ব্যাগে ভইরা পাডায়া দেন...
মনের দৈন্য কাটাতে বেলের শরবত খান...দহন কমে যাবে...
সপ্তর্ষিকে টেবিলে নামায়ে তাদের লগে দুই চাইরটা কথা কন...
বুইঝা দেখেন আপনার জানা নামগুলোর কোনটা তাদের মানায়...
আর কূনোডায় কাম না করলে আমারে সকল মন খারাপ ব্যাগে ভইরা পাডায়া দেন...
কেনযে কষ্ট পাস এতো, আর ভাল লাগেনারে ভাই, সবাই কেন দুকখে থাকে এতো? বনের বাঘে না খেলেও এই মনের বাঘেই একদিন আমাদের খাবে...
--------------------------------------------------
একটি বাদরে, কি যে আদরে, খাচ্ছিল দোলা, ডাল ধরে ধরে!!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন