ভালোবাসা একটি চক্রবৃদ্ধি ঋণের বোঝা- ভাবতে ভাবতে অপু হাঁটছে রাস্তার ধার ঘেঁষে। সোডিয়াম আলোর নিচে বসে থাকা সাদা্র উপর কালো স্ট্রাইপের জীর্ণ শার্ট পরা ভিখারী অন্যমনস্ক হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, একই দিকে ইলেকট্রিক ঝুল ঝুল তারে বসে থাকা কিছু অন্যমনস্ক কাক তাকিয়ে আছে। অপুও ঐদিকে তাকায়। সবার হৃদয়ের কম্পাস যেদিকে সেদিকে আকাশের ব্ল্যাকবোর্ডে একটি আঁকিবুকি চাঁদ। (পরি)পূর্ণ জোছনা! অপু পকেটে হাত দিয়ে থ্যাঁতলানো সিগেরেটের সাথে মাখামাখি হওয়া একটা দু টাকার কয়েন বের করে ভিখারি থালার উপর ছুঁড়ে দেয়। কয়েনটা চাকতির মত থালার উপর বিচিত্র শব্দে ঘুরে ঘুরে শান্ত হয়। শব্দটা খুব অর্থবহ মনে হয় তার কাছে। জোছনার সময় সব কিছুই কথা বলে ‘অ’শব্দে। জোছনায় কী তাহলে সব কিছু ভাষা পায়! ভিখারী কয়েনটা পকেটে রেখে দু হাত তুলে প্রার্থনা করে। প্রার্থনারত হাত দুটির তালুর খাঁজটা যেন একটা পাত্র। এইরকম পাত্রেই তো গ্রাম্য কিশোরীরা শাপলা তুলে আনে, টিউবওয়েল তলায় হাত পেতে জল খায়। ভিখারীর ঐ পাত্রে কী আছে- স্বর্গলোভীদের জন্য আঙ্গুর টক সুরা নাকি সম্ভাবনাহীন ভবিষ্যতের এক নিষ্ফলা বীজ! অপু আর কিছুই ভাবতে পারেনা। জোছনার বর্জ্যে একাকার তখন পুরো শহর।
অপু আবার হাঁটতে থাকে। অপর দিক থেকে একজন তরুণী হন্তদন্ত হয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছে। শাদা দুধের সরের মত খুব উজ্জ্বল তার মায়াবী চামড়া। কোন গাঢ় অন্ধকারও তাকে গোপন করতে পারে না। অপু খুব লক্ষ্য করে তাকে দেখতে থাকে। তরুণীর পরনে ছিল নীল শাড়ী। সে তপুকে দেখে আঁচল টেনে কিছুটা সংযত হয়ে নেয়। অপু ভাবতে থাকে, কেন তরুনী আঁচল টানল? নিরাপত্তা? কিসের নিরাপত্তা! ঐ আচঁলের নিচে কী এমন আছে? খুব নমনীয় এক জোড়া স্তন অথবা তার ভেতর নাজুক রক্তের সেচ মেশিন অথবা একটা ঘুমন্ত মন যাকে অনন্তকাল ধরে ভালোবেসেও যথেষ্ট পরিমানে ভালোবাসা হয় না! অপুতো নন্দিতাকে ভালোবাসে, তাহলে সেইবা কেন ঐ তরুণীকে আগ্রহ ভরে দেখল! এইটা কী হেগেলিয়ান ডায়ালেক্ট? অপুর কাছে সব কিছুই গোলমেলে মনে হয়। অপু ভাবে হয়ত, কারণ সে এখনও জৈবিক মানুষ তাই। হাটিপথে কিছুটা সামনে গিয়ে অপু একটা বেঞ্চির উপর বসে সিগারেট ধরায়।
ক্রীং ক্রীং…
অপু- হ্যালো।
নন্দিতা- তুমি কী সিগারেট খাচ্ছ নাকি?
-কীভাবে বুঝলা?
-কারণ তুমি যখন সিগারেট খাও তখন তোমার গলা খুব শান্ত থাকে।
-বাহ! তুমিতো অনেক বুদ্ধিমতী! জানো নন্দিতা, আজকের জোছনাটা দারুণ সুন্দর যদিও এখন আবার মেঘে ঢেকে গেছে।
-অপু জোছনা দেখতে কেমন? অন্ধের পৃথিবীতে সব কিছুর ভাষা তো স্পর্ষে। আমি মনে হয় কোনদিন বুঝবো না জোছনা কেমন!
-কুসুম কুসুম গরম পানিতে হাত রাখলে যেমন লাগে, জোছনা তেমনই। মুরগীর বাচ্চা হাতে নিলে যেমন লাগে জোছনা তেমনই। যা ভালো লাগে, জোছনা তারই ক্লোন, তারই রেপ্লিকা।
-অপু তুমি অনেক কঠিন করে কথা বলো। অনেক জটিল করে চিন্তা কর। জানো, আমার খুব ফুচকা খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। কী করি বলত।
-তুমি ঝট্পট্ রেডি হয়ে নাও। আমি তোমাকে বাসায় গিয়ে নিয়ে আসব।
-এত রাতে! এখন তো প্রায় পোনে নয়টা বাজে!
-রাতকে ভয় কিসের! সন্ধ্যা সাতটা আর নয়টার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। এইসব খামোখা সমাজের বাড়াবাড়ি।
-শাড়ী পরে আসি?
-হুম… পরো…
-আর মাটির দুল?
-আজ তুমি যা খুশি পরে আস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলেছে রাতে নৌকাডুবি বৃষ্টি হবে। তাই আজ আমি তোমার সব কথা শুনবো। শুধু বৃষ্টি আসলে হাত ধরে বলতে পারবে না, “বৃষ্টিতে যেয়ো না জ্বর চলে আসবে”।
ফোনটা পকেটে রেখে অপু নন্দিতার বাড়ির দিকে হাঁটতে থাকে। ইতিমধ্যেই ক্ষুধার্ত পাকস্থলীর মত আকাশে তুলতুলে মেঘের গুর গুর শব্দ হতে থাকে। কাকগুলো উড়ে গেছে নিরাপদ দূরত্বে। ভিখারিও ঘরে ফিরে গেছে। রাস্তার পাশে নালায় মশাদের প্রস্তুতি চলে, জল বরণের আয়োজন চলে। অপুর মনের আর দেহের নালাগুলোও তখন তৃষ্ণার্ত হরিণের মত জলের জন্য গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে।
মন্তব্য
রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। গল্প লেখার হাত, চোখ, মন সবই তোর আছেরে মামা।
শুধু এক জায়গায় অপু কীভাবে যেন তপু হয়ে গেছে...ঐটা কি ইচ্ছাকৃত?
না ইচ্ছাকৃত না, ভুল টাইপ করেছি। মানুষতো, তাই নিজের ভুলগুলো চোখে পড়ে না। প্রথম প্যারায় বেশ কিছু অসংগতি ছিল। তাও কোন পরিবর্তন না করেই পোস্টায় দিলাম, কেন শুধরালাম না কে জানে!
আহ!
এ্যাঁ!!
একটা গল্পকে যখন একজন পাঠক ভালো বলেন ( সমালোচক নন, পাঠক) তখন খুব স্বাভাবিক, গল্পের অনেকগুলো দিক হাতড়েই ভালোলাগার অনুভুতি খুজে পান ( অথবা পান না)।
আপনার গল্পটা পড়লাম,আফসিন { আপনার আরেকটা দারুন সুন্দর ডাকনাম আছে ( মামুন হকের লেখায় পড়েছিলাম), মনে করতে পারছি না}।
ভালো লাগলো । পরিচিত বিষয় । ফর্মটাও `অ`-নতুন ।
তবু কেন ভালো লাগলো ! ভালো লাগলো আপনার ভাষা, গল্প বুননের পরিমিত বোধ...অসাধারন ।
আমি মুগ্ধ হয়ে পড়লাম___
প্রার্থনারত হাত দুটির তালুর খাঁজটা যেন একটা পাত্র। এইরকম পাত্রেই তো গ্রাম্য কিশোরীরা শাপলা তুলে আনে, টিউবওয়েল তলায় হাত পেতে জল খায়। ভিখারীর ঐ পাত্রে কী আছে- স্বর্গলোভীদের জন্য আঙ্গুর টক সুরা নাকি সম্ভাবনাহীন ভবিষ্যতের এক নিষ্ফলা বীজ!
কিংবা____
ভিখারিও ঘরে ফিরে গেছে। রাস্তার পাশে নালায় মশাদের প্রস্তুতি চলে, জল বরণের আয়োজন চলে।
আর,
ভালো লাগলো খুব । ব্রাভো ।
তবু একটা কথা, যদি কিছু মনে না করেন, ___ প্রথম প্যারায় যখন পরপর ২বার একই শব্দ চলে আসে, গল্পকারকে কি তখন একটু অমনোযোগের অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারেন পাঠক ?
কালো স্ট্রাইপের জীর্ণ শার্ট পরা ভিখারী অন্যমনস্ক হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, একই দিকে ইলেকট্রিক ঝুল ঝুল তারে বসে থাকা কিছু অন্যমনস্ক কাক তাকিয়ে আছে
শব্দের ঘন ঘন পুনারাবৃত্তি মাঝে মাঝে গতি শ্লথ করে দেয় । বিশেষতঃ ছোটগল্পে ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
প্রিয় সুমন ভাই,
এমন চমৎকার সতর্ক মন্তব্যের জন্য আমার বিনম্র কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি মূলত কবিতা লিখি, তাও যে ভালো লিখি তা না। তবে লিখি এইটাই আমার কাছে বিরাট একটা ঘটনা। গল্পে আমি খুবই আনকোরা, সচলে যোগদানের হুজুগে পরে দুই চারটা গল্প লিখেছি বিগত দুই মাসে। গল্পের ভাষায় এখনো দক্ষতা আসেনি এবং আমি ঠিক জানিও না কিভাবে গল্প লিখতে হয়, এভাবে ঘষামাজা করতে করতে হয়ত একদিন শিখে যাবো লেখার ভাষা, হয়ত শিখবনা। পাখিরা ডানা ঝাপটে ঝাপটে একদিন উড়তে শিখে যায়, আমি হয়ত এমন কোন পাখি না। আপনার মন্তব্যে আপনি যে অসংগতির কথা বলেছেন তা যে আমার চোখে একেবারেই পরেনি তা না, প্রথম প্যারাতে অনেক অসংগতি আছে। ভিখারির শার্টের কথা আনার তেমন প্রয়োজন ছিল না, ঐখানে বেশি বেশি বর্ণনা ছিল বলে মনে হয়েছে, কিন্তু তাও ঠিক করিনি। ভাবলাম ছেপে দেই, কালকে উঠে আবার পড়ে দেখব তখন হয়ত আরো অনেক সমস্যা চোখে পড়বে।
আরো একটা ব্যাপার মনে হয়েছে যে গল্পটা আরো ছোট করা যেত। মানুষের জীবনের টানাপোড়েন আর সব ডিলেমা নিয়েই লেখা গল্পটা। দর্শন আর গল্পকে একই মোহনায় আনতে হলে বেশ সাধনা আর দক্ষতার প্রয়োজন আছে। আমার সাধনায় ফাঁকি আছে। তাই আমি লেজেগোবরে অবস্থা বানিয়ে ফেলেছি। অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।
ভালো লাগলো আফসিন।
_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
ধনেপাতা, বড় ভাই।
কবিদের গল্প এরকমই হয়।
অসংগতিগুলো রিরাইটের সময ঠিক হয়ে যায়। রিরাইট করার অভ্যাসটা লেখালেখির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আমি তো কবি না; আমি কবিতা লেখক। কবি অনেক বড় উপাধি... সখের বসে কবিতা লিখে ফেলি এই যা। সহমত, রিরাইট খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুব্রতদা (সুব্রত অস্টিন গোমেজ) আমাকে বার বার বলেছ কবিতা বার বার পড়ে তার পর এডিট করতে। উনিও তাই করেন। ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।
ঠিক তাইই। আমার পছন্দ কবিতাকর্মী বলা। মন্তব্যের সুবিধার্থে কবি শব্দটা ব্যবহার করেছি।
ভাই, আমি তোর সব লেখাই একটা ভালোবাসা, একটা মায়া নিয়ে পড়ি, কিন্তু পড়ার পরে যা মনে হয় তার উপরে চিনি ছড়িয়ে বলিনা, কারণ এতে আমার স্বার্থ আছে! তুই অনেক বিখ্যাত লেখক হবি, অনেক মানুষ তোকে জানবে, বইমেলায় তোর বইয়ের ১০-১২তা এডিশন হবে, তারপরে আমি বলবো যে এই ছেলেটা আমার ভাই, এইরকম স্বার্থ না... তোর লেখার মাঝে যে ছোট ছোট চিত্রকল্প থাকে, একটু অগোছালো বানান, কিন্তু একটা আন্তরিকতা আমি খুঁজে পাই, যেটা পাওয়া যায়না অনেক বিখ্যাত মানুষের লেখায়ও। আমার স্বার্থ হলো তুই যখন কষ্ট পাবি, তখন যেন সেই পুরো কষ্টটা তোর আন্তরিক লেখনীর মধ্যে দিয়ে লেখায় চলে আসে, সবটুকু ঝেড়েপুছে, তোর মাঝে ছিঁটেফোঁটাও না রেখে, তুই যেন লিখে আনন্দ পাস, অন্যেরা পড়ে যেন সহানুভূতি দেখানোর বদলে বলতে পারে, 'লেখকের শক্তিটা দেখেছো, এরকম কিকরে লিখলো?'... আমি একটু বেকুব টাইপ তাতো জানিস, তাই হয়তোবা এরকম উদ্ভুট্টি আশা রাখি ভাইয়ের জন্য।
উচ্ছসিত প্রশংসার পালা শেষ, এবার আসি গল্পে...আমার কাছে ভিখিরির শার্টের বর্ণনা বাড়াবাড়ি মনে হয়নি, বরং এইটুকু মনোযোগ অপুকে আলাদা করেছে, সোডিয়াম আলোয় অবশ্য কালো মনে হতে পারে অনেক রঙকেই, কিন্তু পরের অংশে যখন অপু মেয়েটাকে নিয়ে ভাবে বা নন্দিতাকে জোছনার সংজ্ঞা দেয় তখন ছেলেটা তার চরিত্রের রূপায়নটা সার্থক করেছে... [ইংরেজী বাদ দিতে গিইয়ে যে বাংলা ব্যবহার করলাম এরপরে কী বলতে চাইসি কে বুঝবে? :(]
এবার নন্দিতা প্রসংগ... নন্দিতাকে অন্ধ বানানো, আর তার জানতে চাওয়া যে জোছনা দেখতে কেমন, এই অংশটা ভালো লাগছিলোনা, কিন্তু তুই চমকে দিলি এরপরেই, জোছনার বর্ণনাটা চমকে দিল পুরাপুরি... সাবাশ ভাইয়া! একটা অন্ধ মেয়ের হাতের তালুতে এনে দিলি তুই আকাশের জোছনাটা... একদিন এভাবে তোর কাছে আকাশটাও এনে দিবে একজন মায়াবতী, এইটুকুই ভাবতে ইচ্ছা হলো!
ভালো থাক ভাইয়া, আজ সারাদিন চকোলেট খেয়ে মনটা বড়ই ভালো, তুই একটা তৃপ্তির ঢেকুর তুলিয়ে দিলি গল্পটা দিয়ে।
---------------------
জানিনা, জানতেও চাইনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আহেম আহেম... এমন উচ্চকিত প্রশংসা!! গাছে তুলে মই কেড়ে নেয়ার ফন্দি হচ্ছে বুঝি! অনেক ধন্যবাদ আপু। তুমি আমার থেকে অনেক অনেক ভালো লিখো! আর আমার বই!! হাহাহাহা... থাক আর কিছু বললাম না। তোমার মন্তব্য পড়লে প্রতিবারই মিথ্যা মিথ্যি হলেও মনে হয় আমি মনে হয় খারাপ লিখি না... এমন মিথ্যা মিথ্যি তৃপ্তিরও দরকার আছে! কী বলো!
নারে, বরং আমি গাছে তুলে মই ধরে দাড়াঁইয় থাকি বন্ধুর জন্য আর দেখি পিছে লম্বা লাইন পড়ে গেসে গাছে উঠার জন্য... 'না' বলতে শিখতে হবে...
কেউ তোরে মহান বলবে এই আশায় তো আর লিখিস না... তাহলেই চলবে!
---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমি সব কিছুতে না বলি। না'বাদী মানুষ আমি
গল্পটা পোস্ট হওয়ার সাথে সাথেই পড়সিলাম। অদ্ভুত সুন্দর। মায়াভরা লেখা। দারুণ লাগল। তবে-
আপনি যে সত্যিই এক কবি, তা লেখা পড়লে টের পাওয়া যায়। নিয়মিত লেখেন। আরো দারুণ দারুণ লেখা বের হয়ে আসবে আপনার হাত দিয়ে, নিশ্চিত।
জোছনাকে আমিও অনেক ভালো পাই। কিন্তু অপুর মানসিক অবস্থার সাথে সংগতি রাখতে গিয়ে কথাটা বলেছি। চাঁদ, সূর্যের আলোকে হজম করে বর্জ্য খানা পৃথিবীতে পাঠায় এমনই মনে হচ্ছিল অপুর, অগৌণ আলো, কিন্তু অদ্ভুত মায়াবী। নালার কথা বলা হয়েছে শেষে, যেখানে সব বর্জ্যরা বৃষ্টির অপেক্ষা করে। মানুষের দেহে আর কামনাতেও এমন নালা আছে, যেখানে বর্জ্যগুলা খুব অপেক্ষা কাতর, খুব বৃষ্টি খাদক। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রথমবার যখন পড়লাম তখনই ভিখারির শার্টের বর্ণনাটা আমার কাছে একটু বেশি ডিটেইল্ড লেগেছে, আপনি এখন বলাতে আবারো খেয়াল হলো। তবে খুব ভালো লাগলো আপনার গল্প বলার ভঙ্গিটা। চিত্রকল্পে সাজানো।
আর শেষের লাইনটা কবিতার মতই সুন্দর।
"Life happens while we are busy planning it"
শুকরিয়া...
টুটুল ভাই যা বলেছেন আমিও তাই বলছি। কবিরা গল্প লিখলে এমনটিই হয়।। আমার কাছে গোটা লেখাটিকেই খুবই ভালো লেগেছে। স্বপ্নময়। পড়বার পর ইচ্ছে করে চুপচাপ চোখ বন্ধ করে বসে থাকি। লেখাটির রেশটিকে আরো কিছুক্ষণ ধরে রাখতে চাই বলে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
লিখার সময় আমি খুব স্বপ্নবিলাসী হয়ে যাই, এতটা স্বপ্নবিলাস মনে হয় ভালো না। তবে আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগল।
চমৎকার লাগ্লো গল্প। চমৎকার আপনার ভাবনাগুলো। ভাষা, বর্ণনা, উপমায় তা প্রকাশিত।
কিন্তু একটু যেন অসম্পূর্ণ রয়ে গেলো। আরেকটু পড়তে ইচ্ছে হলো।
ধন্যবাদ। আমার একটা কবিতার সিরিজ হল অপু আর নন্দিতা। এইটাও একটা কবিতার সামান্য পরিবর্তিত রূপ। এই সিরিজের সব কবিতাই ১৮-১৯ বছর বয়সে লেখা। অনেক দিন পড়ে লিখলাম আবার। হয়ত আরো লিখব। ওদের সম্পর্কটার মধ্যে অনেক টানাপোড়েন-স্বপ্ন-দ্বন্দ-সুখ-দুঃখ আছে। এই বিচিত্র দুমুখী অনুভুতিগুলো নিয়ে লিখতে ভালো লাগে, যদিও তেমন ভালো লিখতে পারি না।
- গল্পটা ভয়ানক সুন্দর। কিন্তু আমার তো খাইছলত খারাপ। পরিষ্কার পানিতেও গুটি কয়েক কালো ময়লা চোখে ধরা পড়ে যায়।
সোডিয়াম লাইটের আলোতে তরুণীর নীল শাড়িটা কি আসলেই নীল দেখানোর কথা? একটু ছাই রঙা হয়ে যাবার কথা না? যদিও বুঝতে পারছি না হাতের কাছে সোডিয়াম লাইট আর নীল রঙা শাড়ি নেই বলে। তবে মনে হচ্ছে এরকমই হওয়ার কথা!
আর বাদবাকি জিনিষগুলো নিয়ে দারুণ অভিমত পেয়েছেন সবার কাছ থেকে। সেগুলোর সাথে প্রবলভাবে একমত আমি। আপনার লেখার হাত দারুণ! লিখুন আরো, পড়ি মন খুলে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি কিন্তু বলেছি মেয়েটার পরনে ছিল নীল শাড়ি। যদি বলতাম- অপু দেখল অপর দিক থেকে নীল শাড়ি পরা একটা মেয়ে হেটে আসছে। তাহলে হয়ত ব্যাপারটা আরো গুরুত্ব পেতো। তবে দারুণ পর্যবেক্ষন শক্তি আপনার। নীলটা ঘটনা আকারে বলা হয়েছিল, দৃশ্য আকারে মনে হই বলিনি। তবে আপনার মন্তব্যটা খুব ভালো লেগেছে।
দূর্দান্ত লাগলো গল্পটা... অভিনন্দন নুহিন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার গল্পের ধারে কাছেও যাওয়া সম্ভব না আমার পক্ষে, তাই আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল।
কবিতালেখকের গল্প মনে গিয়ে লাগলো।
যেভাবে বুঝিয়ে দিলেন নন্দিতাকে, অসাধারণ !
চোখ বন্ধ করে মনে হচ্ছে, জোছনা আসলেই বোধহয় ওরকম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জোছনা আমার খুব ভালো লাগে, জোছনা নিয়ে তাই অনেক লিখেছি। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।
নতুন মন্তব্য করুন