উৎসর্গ- দিলারা সুলতানা মেরী
আয়নামুখে এক নির্জন মানুষ দেখি;
তার চোখে শাপলার ঝিল, কবেকার
বর্ষার মেঘগুলোর বধ্যভূমি;
নাকি দলাপাকানো থুথু!
চাঁদের আদুরে বৈঠকে জানালায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরে
যত পুতুলগুলো। এঘর ওঘর ছুটে একসময় ঘুমায় ভুতগুলোও;
রূপকথার গল্পের বই থেকে এক পাখাওয়ালা ইউনিকর্ণ আমাকে
কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে যায় দূর এক জাদুময় অরণ্যে; সব যুদ্ধ জিতে
আমি তোমার মার্বেল প্রাসাদের কাছে এসে মারা পরি বারবার-
এসব বড়দের রূপকথা-চুপকথা!
খাবার টেবিলে সাদা টেবিল ক্লথ, দুঃখী গ্লাস জগ,
ডাস্টবিনের পাশে দুইটা কুকুর, একটি হাড্ডি;
ফ্রিজের কোস্টার থেকে দেয়ালের কোনার ঝুল পর্যন্ত
এক দুর্দান্ত ক্যানভাসের ফ্রী স্পেসগুলো পরে আছে বর্ণনাহীন।
অলস তুলিগুলো স্বপ্নিল রঙ্গে লোম ভিজায় না;
তোমার তুমুল স্রোতস্বিনী আঁচলে থৈ থৈ যখন দরিয়ার ঘাট-
সেই তাঁতকলের নকশী বিকেলে-
ওঁ নাকি নিয়ে যাবে তোমাকে?
ওঁ কী খুব যোগ্য প্রেমিক!
পিচ্ছিল বজ্রবৃষ্টির রাতে অদ্যপান্ত ভিজে ফুল, সঙ্গে প্রজাপতিরাও।
সেইসব হুলস্থূল বৃষ্টিতে হৃদয়ের টেপরেকর্ডারে জমেছে কত সংলাপ,
যে কথা বলতে মানা, তা লেখা আছে বুকে…
মেরী, তুমি কেমন প্রজাপতি! মধু খেয়ে ফুল ছিঁড়ে যাও!
মন্তব্য
দারুণ লাগল। কষ্টও লাগল। 'প্রজাপতি' আসলেই আপনার জীবনে বিশেষ একটা কিছু, আরো একবার তা বুঝলাম।
হুম, তাকে আমি প্রজাপতি বলেই ডাকতাম। হালকা বাতাসে তাসের তাজমহল ভেঙ্গে গেল। আফসুস।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
মেরীর বাপের ঠিকানা দে, ঘটকালি করি
কবিতা ভালৈছে মামা।
হ দিমুনে, দেশে গিয়া ওর বিয়া খাইয়া আইসেন। দুনিয়া বড় মজার জায়গা মামা। কাইন্দা বাঁচি।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
ওহ্, এই ঘটনা।
কবিতা ভালো লেগেছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ঘটনা জবরদস্ত মনপুড়া।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
হেই টেপ কাউরে শুনামু না। জমায় রাখসি, মেরীকে একদিন শুনামু।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
ভালো লাগলো। আর শোনেন মামুন ভাইকে বাপের ঠিকানা দেন
_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
হাহাহা... আর বাপ! কে শুনে কার কথা! দুনিয়া বড় মজার জায়গা। খুউব খুউবই মজার। আমারে নিয়া তামসা করে। দুনিয়াডা মস্ত এক পেঁয়াজ, খুব কাছে গেলে চক্ষু জ্বলে।
ব্যাপার না। মনে কোন দুষকো নাই। মনই নাই আবার দুষ্ক। মন জাদুঘরে রাইখা দিসি।
কবিতাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ কবি!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
ভালো লাগলো রে...
চিত্রকল্পদ্রুম
টুটুল ভাই, এর মানে তো জানি না। তবে কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
মেরী এন !! মেরী মেরী এন !! মেরী এন , মেরী ...
এই গানটা মনে পইড়া গেলো... !!!
কবিতা আমার বুঝার অক্ষমতা আছে, আগেও বলসি। তবে ভালোই লাগে তোমার গুলা ...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
বুঝ নাই দেখে ভালো লাগসে, বুঝলে আর ভাল লাগত না।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
কবিতা চমৎকার।
দুনিয়ায় থাকতে গেলে এ সব হবে, কিন্তু দুঃখটুঃখকে মাথায় চড়তে দেবেন না, লাই দিলেই শালা মাথায় চড়ে যায়। বিন্দাস থাকুন, দুনিয়ার ডোবায় মাছের অভাব?
মাছকে ভালোবেসে জেলে হইলাম না, মাঝি হইলাম। এখন দেখি মাছদের জেলেদের সাথে ভাব! কী আজব দুনিয়া।
সবই সয়ে আছি।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
প্রিয় উক্তিমালায় যোগ হয়ে গেলো। লেখাটা পড়ে কোথায় যেনো মোচড় দিলো...
বেঁচে থাকাইতো নিরবিচ্ছিন্ন মোচড়া মোচড়ির মহড়া!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
প্রজাপতি'রা আছেই বলেই দুনিয়া এতো দুঃখময়!
দুনিয়ার সব প্রাণী সুখী হউক। আমিন।
....................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
প্রজাপতি আছে বলেইতো ফুল ফুটাই এই নষ্ট পৃথিবীতে। যারা যাবার তারা যাবেই সে প্রজাপতি আর মানুষ যেই হোক না কেন।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
কবিতা বুঝি কম, কিন্তু ভালো লাগলো পড়ে।
প্রজাপতিকে ছাড়ুন, আগে বাড়ুন।
"Life happens while we are busy planning it"
কখনোতো ধরেই রাখি নাই, তার ছাড়তে আর পারলাম না... হাহাহাহাহা!!!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
বাহ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
ভাইয়া, ভালো লাগলোরে... তবে দুঃখগুলোকে এমন আঁকড়ে ধরে আছিস কেন, ছাড় বলছি, ছেড়ে দে... ওরা ডানা মেলে উড়ে যাক...
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ওকে দিলাম ছেড়ে... ওদের তুমি একটু বলে দাওতো ওরা যেন আর ফিরে না আসে, পোষা পাখির মত!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
তোমার লেখা ভালো লাগে... তবে সব সময় খালি দুঃখ কেন? কিছু আনন্দেও ভরিয়ে দাও না কেন সময়ে সময়ে?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
দেব, একদিন সব কিছু আনন্দে ভরিয়ে দেব।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
নতুন মন্তব্য করুন