মস্ত বড় সাদা মাকানটার দক্ষিণের জীর্ণ দেয়ালটা সর্প জালির মত শেওলার সবুজ কালিতে ছাপানো। নিজেদের বাড়িটা দিকে তাকাতেই রেনুর বাবার কথা মনে পড়ে যায়, বাবা বলেছিল ঐ দক্ষিণে কী যেন এক সাগর আছে ঐখান থেকে মেঘেরা আসে, তাই দক্ষিণের দেয়ালেই সব জল ঢেলে দেয়; মানুষ বৃক্ষের মত স্থির হলে নাকি মানুষেরও দক্ষিণ দিকে শেওলা জমে যেত! মেঘেরা নাকি আরও অনেক দক্ষিণে এক জাদুর পাহাড়ে জন্মায়। ঐ পাহাড়ে কেউ যেতে পারে না। শুধু ভুতরা যেতে পারে। বাবা আসলেই অনেক জানত। কিন্তু বাবাকে রেনু কতদিন দেখে না! রেনুদের বুয়া জুলেখা বলেছে, বাবা রেনুর সাথে একটা খেলা খেলছে; এটা একটা মজার লুকোচুরি খেলা। বাবা লুকিয়ে থাকবে। রেনুকে খুঁজে বের করতে হবে। খুঁজে বের না করা পর্যন্ত বাবা রেনুর সাথে দেখাই করবে না। রেনু সেঁজুতিদের বাড়ির সামনের ইলেক্ট্রিক পোলের ওপাশে একটা লোককে খুব মনযোগ দিয়ে দেখতে থাকে। হাঁটার শব্দটাকে সতর্কতার সাথে গোপন করে হাঁটি পায়ে লোকটার দিয়ে এগোতে থাকে। লোকটা পিছ ফিরে তাকায়- ধুর ছাই! এটা তো রেনুর বাবা না। রেনুর খুব মন খারাপ হয়, বাবা এমন করে কেন, রেনুর সাথে কী আরও একটু সহজ খেলা বেছে নিতে পারল না। তারপরই সে মনে মনে ঠিক করে এবার বাবা আসলে খুব করে তাকে বকে দিবে। রেনু বাবার জন্য অনেক বার একা একা বারান্দায় লুকিয়ে কেঁদেছে, সে কাউকে বলেনি খালি জুলেখাকে বলেছে। রেনু ভাবতে থাকে বাবা আসলে সে কীভাবে ঝাঁপিয়ে বাবার কোলে উঠে যাবে! এটা ভেবেই ফিক করে হেসে ফেলে রেনু। ইংরেজীতে এমন হাসিকেই মনে হয় ‘গিগলিং’ বলে!
রেনুর হাতে ক্লাস ওয়ানের নতুন বই, বই খুললেই নতুন বইয়ের গন্ধ, এই উত্তেজনা কী আর চেপে রাখা যায়! রেনু মায়ের হাত ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে কিছুটা নাচের মত পুরো শরীরটা শূন্যে একরকম ভাসিয়ে এগোতে থাকে বাড়ির দিকে। মা ইদানিং বেশি দ্রুত হাঁটতে পারেনা। তার পেটটা দিন দিন গোল্টফিসের পেটের মত ফাঁপা হচ্ছে। জুলেখা বলেছে মায়ের নাকি একটা বাবু হবে। রেনু বুঝেইনা এত বড় বাবু মায়ের পেট থেকে বের হবে কীভাবে। জুলেখা বলেছে যে রাতে বাচ্চা হবে সেই রাতে একটা বুড়ি পইরী আকাশ থেকে নেমে আসে, সে একটা বাচ্চা সাথে নিয়ে আসে, তারপর জাদুর কাঠি পেটে লাগাতেই পেট আবার চিকন হয়ে যায়, তবে এইটা বড়দের কথা, রেনুর জানার কথা না। তাই রেনু এ গল্প আর কাউকে বলে নাই। রেনু মায়ের আঙ্গুলটা ধরে দাঁড়ায়, খুব ইতস্ততঃ হয়ে মায়াবী হাতগুলো মোচড়া মুচড়ি করে বলে- “আম্মু, তুমি কী কালকে রাতে কোন পইরী দেখেছো?”
“পইরী আবার কীরে? ওটা পরী। জুলেখার সাথে থেকে তোমার ভাষা পুরাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে”।
এমনি সময় হলে রেনুর মন খারাপ হত, কিন্তু আজকে নতুন বইটা হাতে নিয়ে তার যে কী আনন্দ হচ্ছে! বাবা থাকলে আজকেই বাবার কোলে বসে বইটা পুরোটা পড়ে ফেলতো। ঈশ! বাবাকে কবে যে খুঁজে পাবে! বাবা খুব পচা। না ধুর, এসব কী ভাবছে রেনু। বাবাতো খুবই ভালো, বাবা কখনো রেনুকে বকে না। আর মা খালি বকে।
বাসায় ঢুকে সে তার বড় বোন সাথীর রুমের ভিড়ানো দরজাটা ঠেলে ঢুকে যায়, সাথী খুব করে বকে দেয় রেনুকে না বলে রুমে ঢুকার জন্য। আপু তো এখন বড় হয়ে গেছে, বড় হলে নাকি সবার গোপনীয়তা বেড়ে যায়। বড়দের এইসব ভণিতা তার ভালো লাগে না। রেনু যখন বড় হবে তখন সে তার রুমে কাউকে ঢুকতে দেবে না বাবাকে ছাড়া। এঘর ওঘর ঘুরে রেনু পা টিপি টিপি করে বারান্দায় গিয়ে দেখে মা চুপচাপ চেয়ারে বসে বিড়বিড় করে বলছে, “একটা কাক, পাঁচটা, সাতটা, এগারটা... শত শত বিজোড় কাক, পৃথিবীতে বিজোড় সংখ্যা এত বেশী কেন... আমিও কেন বিজোড়ের দলে!”
মায়ের কথার কিছুই সে বুঝে না। রেনুকে সবাই যত ছোট মনে করে রেনু কিন্তু আসলে অত ছোট না। রানু জানে সে বাবাকে খুঁজে বের করতে পারেনি দেখে বাবা বাড়ি আসে না, তাই মারও মন খারাপ। রেনু পেছন দিক থেকে দু হাত বাড়িয়ে মায়ের মায়ের কাঁধ গলে মাকে আদর করতে থাকে, লোমশ বিড়ালের মত তার বোঁচা নাকটা মায়ের গালে ঘষতে থাকে। মা কাঁপা গলায় বলে, “যাতো রেনু, ভালো লাগছে না”।
রাত্রিবেলা দাঁত ব্রাশ করে লক্ষ্মী মেয়ের মত রেনু মায়ের সাথে শুতে যায়। সারাদিন দাপাদাপি করে তার খুব ক্লান্ত লাগছে। সে মায়ের শরীরের সাথে যতটা ঘেঁষে থাকা সম্ভব ততটা মাখামাখি হয়ে শুয়ে পরে। পাজি ঘুমের বুড়িকে অবহেলা করে সে খুব প্রাণপণ জানালার দিকে তাকিয়ে থাকে, যদি কোন ঝলমলে পইরী দেখা যায়। টেরই পায় না কখন সে ঘুমিয়ে পরে। রেনুর মার ঘুম আসে না। পইরীর বদলে দক্ষিণের মেঘ পাহাড় থেকে জন্তর মন্তর যাদুর এক মেঘ এসে দক্ষিনের দেয়ালটা মাতাল নষ্টামিতে ভেজাতে থাকে। রেনুর ভূতুড়ে বাবাই কী মেঘগুলো এখন বানিয়ে পাঠায়! তা না হলে বৃষ্টিটাকে এত অর্থবহ মনে হবে কেন। দক্ষিণের খোলা জানালা দিয়ে বিনা দাওয়াতে রুমে ঢুকছে জলের পোনাগুলো। রেনুর মার আর জানালা বন্ধ করতে ইচ্ছে হল না। আজ না হয় একটু ভিজলই মেঝে, কীই বা ক্ষতি। বৃষ্টিটাতে আজ এত ভালোবাসা কেন কেইবা জানে!
কল্প প্রাসঙ্গিক বয়ানঃ রেনু “এলিস ইন ওন্ডারল্যান্ড” গল্পের মত বাগানে খেলতে খেলতে এক স্বপ্নের জগতের নাগরিকত্ব পেয়ে গেছে। আর তার মা পরে সেইখানে মাইগ্রেট করেছে। স্বপ্নের পৃথিবীতে মন্ত্র পড়লেই দক্ষিণ থেকে সান্তাক্লজের ঝোলা বোঝাই জলের উপহার আসে! মেঘে চড়ে হারানো মানুষগুলোও আসেনা। তবে ওরা আছে খুব দক্ষিণে, সাগরেরও ওপারে!
(লেখাটা উৎসর্গ করলাম এক দিদিমণিকে। নাম বলব না। লেখাটা তার কথা শুনেই সচলে দিলাম। সাথে আমার আঁকা একটা ছবিও দিলাম।)
মন্তব্য
কবিতার চেয়ে আমি গল্প ভালো পাই...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
আমি ভালো পাই তারাবাতি, তাই রাইতের কথা লিখি।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
ভাই,তোর লেখার ভক্ত আমি, তাতো জানিসই, তারা দেয়ার উপায় থাকলে সান্তাবুড়োর ঝোলায় ভরে তারার ফুল বানিয়ে পাঠাতাম! গল্পের রেনুর মা, রেনুর ছোট্ট ভাই কিংবা বোন আর রেনুর জন্য ভালোবাসা রইলো, আর রইলো তোর জন্য!
-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সান্তাবুড়োকে মানিয়ে ভাবছি আমিও ঘুরে আসবো সাগরের ঐ পাশটা থেকে! রেনু এখন ঘুমাচ্ছে, ঠিক আছে কাল সকালে বলে দিবো- এক পইরী আপু তোমারে আদর দিসে!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভাই, ছবিটা আরও বড় করে দিতে পারতি!
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ফেইসবুকেইতো ছবিটা আছে, তাই এখানে আর বড় করে দেই নাই।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
ঘোর লাগে যেনবা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ফ্যান্টাসিটতো ঘোরের রাজ্য!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
ভালো লেগেছে গল্প।
আপনি তো বেশ ভালো আঁকেন!
আমার বড় ভাইয়ের আঁকা ছবি দেখলে উল্টোটা বলবেন। বলবেন -"তোমার বড় ভাই এত ভালো আঁকে আর তুমি যাচ্ছে তাই কী আঁকো এইসব"! সত্যি। আমি ভালো আঁকতে পারি না। সখের ঠেলায় পরে আঁকি।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
'বৃষ্টিটাতে আজ এত ভালোবাসা কেন কেইবা জানে!'
খুব ভাল লেগেছে গল্পটা।
ধন্যবাদ!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
ঘোর লাগলো গল্পটা পড়তে পড়তে।
ইয়ে, অনু'র সাইজ কিন্তু একটু ছোট
তা তো ঠিক জনাব। কিন্তু আর যে ছোট করা গেল না!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
রেনুর মত আমার মেয়েরাও এমনি করে বাবার পথের দিকে তাকিয়ে আছে, কবে তাদের এই পথ চাওয়া শেষ হবে? ভাই, এমন চোখে জল আনা গল্প কেন লিখ?কেন আমি এই গল্প পড়তে গেলাম?
ঝাপসা চোখে ছবিটা ভালো দেখতে পারিনি, মনে হয় চমতকার ছবি একেছ।
ভাল থেকো, কলম চালিয়ে যেও।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
বা: সুন্দর৷
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধইন্যাপাতা!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
ছেলেটা লেখে, ভালো আঁকে... এত্ত কিছু পারলে কেম্নে কী?
পারলাম আর কই! চেষ্টা করি এই যা।
শিরাজী - লেখাটা চমৎকার!
একটা প্রশ্ন - যে দিদিমণিকে উৎসর্গ করে এই লেখাটা সে কোথায় থাকে?
বাংলাদেশে থাকে মনে হয়। জিজ্ঞেস করা হয়নি। তাকে লেখাটা দেখিয়েছিলাম। বললাম ছাপাবো না। ডিলিট করে দিবো কদিন বাদে। লেখাটা ভালো লাগছে না। উনি বললেন সচলে দিয়ে দিতে। শেষ মেশ গরিমসি করে দিয়েই দিলাম।
বস, অপার মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম------!!!
আরে অনিকেতদা যে! কী সৌভাগ্য। ধন্যবাদগো দাদাভাই!
ছবি লেখা দুটোই দুর্দান্ত হয়েছে
দুটোই হজবরল।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
বাহ্, চমৎকার লাগলো।
ধন্যবাদ পাঠকদা। চমৎকার থাকুন।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
আপনার লেখা ছুঁয়ে গেলো খুব।
...........................
কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দেখো দেখি কী বলে এইসব। আপনার লেখা যেভাবে কাল আমাকে ছুঁয়েছে সেরকম লেখা আমার পক্ষে আদৌ কী সম্ভব! কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ! :)____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
...........................
কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ছবিটা কার আঁকা, তোমার? কি দিয়ে এঁকেছো? ফটোশপ বা আর অন্য কোনো সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছে? আমাকে শিখিয়ে দিতে পারো? খুব সুইট ছবিটা ---
ভেরি ভেরি সুইট।
হুঁ! ছবিটা আগে একেঁছি, তারপর ছবিটা দেখেই গল্প লিখতে ইচ্ছে হল। ফটোশপ ব্যবহার করি। আঁকা তেমন কিছুই না। সবই ফটোসপের কারসাজি। ঠিক আছে শিখিয়ে দেব।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
পড়তে পড়তে বিমুগ্ধ হলাম। কখন যে শেষ হয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।
দলছুট।
==================
বন্ধু হবো, যদি হাত বাড়াও।
ধন্যবাদ। আমিও দলছুট। চলুন আমি আর আপনি মিলে দলছুটদের দল বানিয়ে ফেলি।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
খুব চমৎকার লেখা, খুব সুন্দর ছবি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
আপনার একেকটা লেখা পড়ছি, আর ক্রমশঃ আমি বিস্মিত হচ্ছি, ভক্ত হচ্ছি আপনার গদ্যের, ভাষা-ভঙ্গির, আর সর্বোপরি হচ্ছি ইর্ষান্বিত !
আমি নিজে টুকটাক কবিতা লিখি । আর গদ্য সে আমার আরধনার জিনিস । কিন্তু কেউ যখন আপনার মতো অবলীলায় এমন সব গদ্য/গল্প লিখে, আমার আবার নতুন করে শুরু করতে ইচ্ছে করে !
খুব খুউব ভালো লাগলো লেখাটা ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আপনার মন্তব্যটা পড়ে খুব এলোমেলো হয়ে গেলাম। কী লিখব বুঝতে পারছি না।
আপনার নামটা খুব অদ্ভূত সুন্দর। আসল নাম নাকী? আপনিতো অপূর্ব ভাইয়ের আপন ভাই, তাই না? দুই ভাইতো দারুণ লিখেন! আপনার লিখার এক আদি ভক্ত আমি। অনেক শুভকামনা!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...
নতুন মন্তব্য করুন