|
(আপনার নেটের স্পীডের যদি খুব খারাপ না হয়, তবে অনুগ্রহ করে গানটা হালকা ভলিউমে চালিয়ে লিখাটা পড়ুন।)
গানটা অনেকদিন পর শুনলাম। অনিয়ন্ত্রিতভাবে এবারো গায়ের লোমগুলো দাঁড়িয়ে উঠল। আমি হয়ত বাঙ্গালি হয়ে জন্ম নেইনি, ক্রমেই বাঙ্গালি হয়ে উঠেছি। তবে গভীরভাবে ভেবে দেখলে মনে হয় আমি একজন জন্মপূর্ব বাঙ্গালি। এতখানি আবেগের জন্ম হয়েছিল বলেই হয়ত ঐতিহ্যগতভাবে না বরং আবেগগত কারণে দেশকে মা বলে ডেকেছিলাম। দেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি, দেখছি। আমি হয়ত দেশকে বদলে দিতে পারবনা। আমি একজন দূর্বল মানুষ ঠিকই, কিন্তু আমার বুকের আগুন ও উর্বর স্বপ্নের বীজগুলো ভেঙ্গে দিবে একদিন সব মজবুত কারাগারের উচুঁ দেয়ালগুলো। যদি ভাবনাটা খুব স্বপ্নবিলাস হয়ে থাকে, তবে হলামই না হয় একটু বেহিসাবী বিলাসী।
দেশে থাকতে কয়টা নাগরিক-আইন মেনে চলেছি জানি না। তবে প্রবাসে আইনের কড়াকড়ি আর সমাজ-অভ্যাসের ঠেলায় বেশ নিয়ম মেনে চলি। তাহলে কী আইন ভালবাসার চেয়েও শক্তিশালী! জানি না। গতবার যখন বাংলাদেশ গেছি, তখন কোক খেয়ে বোতলটা রাস্তায় ফেলিনি। সারাদিন পকেটে করে ঘুরেছি, রাতে বাসায় এসে ফেলেছি। কারণ রাস্তায় ফেলে দিলে ওটা রাস্তায় ধারে গিয়ে জমবে। নালাগুলো জাম করবে। বর্ষায় পানি যেতে পারবে না, আরও কত কী!। এ ভালবাসা আত্ম স্বার্থের উর্ধ্বে এক পরম অবর্ণনাযোগ্য স্বার্থ। যাই হোক...
আমি স্বপ্ন দেখি এমন একটা দিনের যেদিন আমাদের দেশের স্কুলগুলোতে মেধাক্রম অনুসারে উপস্থিতির হিসাব রাখা হবে না বরং এলফাবেটিক ওর্ডারে হিসেব রাখা হবে। পৌত্তলিক বিভাজনের অন্ধযুগ থেকে বেরিয়ে আসবে মানুষ। শিক্ষাঙ্গনে বেতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। ছাত্র সংগঠনগুলো রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক না হয়ে শিল্প, যুক্তি ও আগ্রহ ভিত্তিক হবে। রাজনৈতিক আলোচনার জন্য ছাত্রদের রাষ্ট্রের চালিকা শক্তির বৈঠকের সাথে ব্যবস্থা করা হবে। সংসদের রাষ্ট্রীয় যিশুতন্ত্রে কোন এক সংসদ তীব্র চিৎকারে জানিয়ে দিবে এবার বদলাতেই হবে। টি.এস.সি.-র খুপরী আড্ডার চায়ের দোকানগুলো পরিনত হবে নব রেনেসার সুপ্ত ঘাঁটিতে।
স্বপ্ন দেখছি ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির স্বাধীনতা থাকলেও শাসন শক্তি হবে স্যাকুলার। সংবিধান থেকে ‘বিসমিল্লাহ’ সরিয়ে তাকে ধর্মীয় বই বানানোর হাস্যকর চেষ্টার অবসান হবে। স্বপ্ন দেখছি রাষ্ট্র দুর্নীতিমুক্ত না হলেও অন্তত উন্নয়নের পথে বাধা হবে না। ডঃ ইউনুস বলেছেন, “মানুষের পথের কাঁটা সরিয়ে দাও, মানুষ নিজেই নিজের উন্নতি করবে”। মানুষ জন্মভর উন্নয়নকামী। তাদের লোকমা তুলে ভাত খাওয়াতে হবে না। শুধু পথের বাধাগুলো সরিয়ে দিলেই, মস্ত উপকার হয়।
দেশের কর্পোরেট মহাজনদের দৌরাত্বকে জনসেবামূলক করার জন্য আমি বেশ কিছু সম্ভাবনা নিয়ে দেশ বিদেশের বেশ কিছু মানুষের সাথে আলোচনা করেছি। এছাড়াও একটা নতুন পদ্ধতি প্রচলন নিয়ে এখানকার কিছু প্রফেসার ও শিক্ষার্থিদের সাথে আলোচনা করেছি যেটা কিনা ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের চেয়েও অনেক বেশি কার্যকরী হতে পারে। ইচ্ছে ছিল নগর পরিচ্ছনাতা নিয়ে আমার আইডিয়া নিয়ে ঢাকার মেয়রের সাথে আলোচনা করব। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় অনেকে সেই প্রজেক্টে বিনিয়োগেরও আগ্রহ জানিয়েছে। কিন্তু আমি নানাসব আইডিয়া নিয়ে খুব বেশি দিন লেগে থাকি না। দমে যাই অথবা নতুন ভাবনায় ডুবে যাই। তবে মোর্দা কথা হল দেশ নিয়ে ভাবছি।
আমাদের বা পূর্ব প্রজন্মের অভ্যাস (প্রায়) পরিবর্তনযোগ্য নয়। আমার পুরোটা স্বপ্নই এখন পরবর্তি প্রজন্ম নিয়ে। দেশ গঠনে খুব জরুরী কাজ হবে যদি আমরা একটা উন্নত চরিত্র সম্পন্ন এবং যুক্তিবাদী প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারি। আপনি আপনার হাটুঁর বয়সী কাজের মেয়েটাকে হিন্দি সিনেমার মাঝে বিজ্ঞাপন বিরতিতে একটু বাংলা শব্দ শিখান না কেন? আমার মাকে দেখেছি সব সময় ওদের পড়তে শিখিয়েছেন। আপনার সন্তানকে বলুন অদের সাথে ভালো মত কথা বলতে। ওরাও মানুষ, এবং আমাদের মতই মস্ত ভুলে ভর্তি মানুষ। গতবার দেশে গিয়ে আমি আমাদের কাজের মেয়েকে কোন কাজের অর্ডার দেই নাই, আম্মাকে বলেছি ওকে পড়াতে ঐ সময়ে। সচলের মডুদের বলতে চাই, সমাজে চরিত্র সংস্কার নিয়ে অথবা সমাজের বৃহদ স্বার্থে ব্লগে আপনারা কী কিছু করছেন/করার আছে? যদি না হয় তবে ভেবে দেখার সুযোগ হল। এখানেতো আগামী প্রজন্মের জন্মদাতা পিতা-মাতারা আছেন। তাদেরকে সচেতন করে তুলুন। ব্লগারদের বলছি, দেশ নিয়ে কটা ব্লগ লিখেছেন? রাজাকারদের নাম শুনলে আপনি উত্তেজিত হন, দেশ নিয়ে বানানো সিনেমা দেখে চোখ ভিজিয়ে কাঁদেন, দেশের জন্য প্রতিদিন একটু করে আপনাকেও একটু উত্তম মানুষ করে গড়ে তুলুননা কেন! আপনার সন্তানতো আপনাকেই অনুকরণ করবে, ওরা একজন দুর্বল কিন্তু মেরুদন্ডপূর্ণ মানুষকে অনুকরণ করুক। আপনিও কালকে থেকেই রাস্তায় ময়লা ফেলানো বন্ধ করে দেখুন, কী নিবিষ্ট তৃপ্তি। জানেনই তো মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। আসুন বদলে যাই। সামান্য হলেও। বড্ড দেরী হয়ে যাচ্ছে। আমি বদলানোর চেষ্টা করছি, আপনি কী করছেন?
দেশ নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?
মন্তব্য
এই নতুন সম্ভাবনাগুলো কি জানতে চাই। একটি আলাদা পোষ্ট দিতে পারো। সেখানে আলোচনা হতে পারে। এই লেখাটিকে আমি ভূমিকা হিসেবে নিচ্ছি। পরবর্তীতে নিজস্ব চিন্তাভাবনা গুলোকে বিস্তারিত আকারে দেখতে চাই।
খুব ইচ্ছে ছিল, এই নিয়ে ব্লগে লিখব। কিন্তু প্রচণ্ড ব্যস্ততার কারণে লিখা হয়ে উঠেনি। এই লিখাটিরও খুব হুরোহুরি করে লিখা, এডিট বা বানান ঠিক করা হয়নি সময়ের অভাবে। সময় পেলেই ব্যাপারগুলো নিয়ে লিখা দেব। আলোচনা থেকেই পৃথিবীর অন্যতম আইডিয়াগুলো এসেছে। আলোচনা থেকেই হয়ত আমার তত্ত্বের অনেক ফাঁকফোকর ধরা পরবে, নতুন কোন ধারণা জন্ম নিবে। ইচ্ছে যখন আছে, দেখবেন একদিন আমরা ঠিকই বদলে দিতে পারব। কারণ পারতেই হবে, সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের বিকল্প আর কোন পথও নেই, ওটাই একমাত্র পথ।
হলেত খুবই ভাল হয়। একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন রকমের চেষ্টা থাকতে হবে। উন্নয়ন একটা ঘরোয়া ব্যপার কেবলে অনুকরন দিয়ে হয়না। তবে যারা চেষ্টা করছেন বা করেছেন, মাঠে থেকে বাঁধাগুলো বোঝার চেষ্টা করেছেন নতুন চেষ্টাগুলোকে তার পরিপুরক হিসাবেই হয়ত দেখা উচিত।
আপনি যে সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছেন সেটা সম্পর্কে আমিও জানতে আগ্রহী।
নাগরিক চিমনিতে যে আগুন তা একদিন আলো জ্বালবেই, এক মুহুর্তের জন্যও আশা হারানো যাবে না। স্বপ্ন দেখতে থাকুন। আমরা বিজয়ীদের দলেই আছি।
____________________
জ্বলছে জলজ মূর্খ ফুল...
খুব ভালো লাগলো লেখাটা, ভাইয়া। লজ্জা দেওয়া, নাড়া দেওয়া, এবং স্বপ্ন দেখানো লেখা। তোমাদের ভাবতে দেখলে খুশি লাগে, আশা পাই। পাশাপাশি ভাবি, আমাদের পূর্বপ্রজন্মও তো এই ভাবেই আমাদের পথ চেয়ে আছে, অথচ আমরা কিছুই করছি না। আশার বহতা স্রোত যদি কর্মে রূপ নিতে পারতো!
দেশ শব্দটা উচ্চারণের পর এখন থেকে আর কোন দীর্ঘশ্বাস শুনতে চাই না। দেশকে ভালবাসুন, কর্মেও তা প্রকাশ পাক... স্বৈরাচারী নিপাত যাক। ____________________
জ্বলছে জলজ মূর্খ ফুল...
ভাল লাগল লেখাটি।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভালো লাগলে আপনিও প্রাণপণ বদলে যান, সাথে বদলে দিন পৃথিবীটাকে... সামান্য পরিবর্তন থেকেই বিপ্লব আসে।
____________________
জ্বলছে জলজ মূর্খ ফুল...
ভালো লেখা, আফসিন। ভাবছি তো অনেক কিছুই। কিন্তু লেখার সময় পাচ্ছিনা। আমি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে কিছু বলবো, কিন্তু কবে সময় পাবো সেটা বুঝতে পারছিনা। এসব লেখা তো হুট করে লেখা যায়না, ভেবে চিন্তে লিখতে হয়
লিখে ফেলুন। নীড়পাতায় মনের পোষা আগুনের বাচ্চাগুলোকে লেলিয়ে দিন।
____________________
জ্বলছে জলজ মূর্খ ফুল...
দরকারি লেখা, তারা দাগাইতে মন চায়, পারতেসিনা দেখে লক্ষকোটি তারা দিয়ে গেলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তারাগুলো দেশের আকাশে পাঠিয়ে দিন, আমি চিনি এমন অনেককে যারা এখনও তারা দেখার জন্য রাতে ঘুমায় না...
____________________
জ্বলছে জলজ মূর্খ ফুল...
দেশটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি অনেক...
তোমার চিন্তা সেই স্বপ্ন দেখার আরো একটু ভিত্তি দিলো ...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি প্রচণ্ড রকম স্বপ্নবাজ। স্বপ্নভোজী মানুষ আমি। তবে স্বপ্নপূরণের জন্য চেষ্টাও করি। এই বিপ্লবে সবাইকে স্বাগতম।
____________________
জ্বলছে জলজ মূর্খ ফুল...
আশাবাদী হতে চাই। প্রতিদিন...
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
তবেই আশাবাদ দিয়েই শুরু হোক, যার শেষ হল বিজয়!
____________________
জ্বলছে জলজ মূর্খ ফুল...
----আমারও।
আমিও ভাবি, ভাবছি। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া দেশের জন্য কিছু করা অনেক কঠিন। কারণ দেশকে যারা লুটেপুটে খাচ্ছে এবং আগামীতেও খেয়ে-চুষে ছোবড়া বানানোর পরিকল্পনা করে রেখেছে তারা খুবই সংঘবদ্ধ, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই ধরনের সমঝোতাও রয়েছে তাদের মধ্যে। ব্যক্তি বা গোষ্ঠীপ্রেমের চাইতে দেশের স্বার্থকে সামনে রেখে যদি আমরা এক হয়ে এগোতে পারি তাহলেই হয়তো কার্যকর কিছু করা সম্ভব।
তোর এই লেখাটা পড়ে অফিসে কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই লগ ইন করতে বাধ্য হলাম। চমৎকার এই লেখাটির জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা রইল।
কোথায় যেন একটা কবিতার লাইন পড়েছিলাম, হয়ত খুব ছোট্ট কারণে আমার মৃত্য হবে। (এই ধরণের ছিল মনে হয়)
আমাদের পরিবর্তনটাও হবে খুব ছোট ছোট দূর্বল মানুষের সামান্য প্রচেষ্টায়। আমারা পারবই। কাউরে দোষ দেয়া যাবে না। বদলে দেবার পণ করেই এগোতে হবে। পড়া শেষ করি দেখি, এই নিয়ে দেশে অনেকের সাথে কথা বলা দরকার। খুব ভালো থাকেন মামুন ভাই। দুইশ বছরের ঔপনিবেশকারী থেকে শুরু করে দূর প্রাসাদের যিশুদের দেব শিশুদের থেকে আমারা স্বাধীন হইসি, আমাদের ভয় কীসের। প্রতিবারই পরম শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের জয় হইসে। এবারও হবে।
____________________
জ্বলছে জলজ মূর্খ ফুল...
স্বপ্নগুলো আমাদেরও । কিন্তু সদিচ্ছার বড়ই অভাব।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
হবে, এইবার হবেই।
____________________
জ্বলছে জলজ মূর্খ ফুল...
আফসিন, আপনার লেখা ভালো লাগলো, বিশেষ করে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে নানা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টার ব্যাপারটা।
সত্যি বলতে কী, ভাবি তো অনেক কিছুই। করতেও ইচ্ছা করে অনেক কিছুই, কখনো যে একটু আধটু চেষ্টা করিনি তাও না। কিন্তু সমস্যা হলো, সমমনা বেশ কয়েকজনকে পাশে না পেলে, একা একা বেশিদূর যাওয়া যায় না। অন্তত আমার কাছে সম্ভব মনে হয়নি।
তবে একটা কাজ একা একাই করা যায়, সেটা হলো নিজে সচেতন থাকা, সে অনুযায়ী জীবনযাপন করা, অন্য কেউ কাজ করতে চাইলে তার পাশে দাঁড়ানো - সম্ভব না হলে যেকোনো উপায়ে সাপোর্ট দেয়া আর আশেপাশের মানুষদের, পরবর্তী প্রজন্মকে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করা।
আমাদের ছোটো যারা, যারা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম, তাদেরকে শেখানোর আর সচেতন করে তোলার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। সেটা হতে পারে যেকোনো বিষয় - নাগরিক পরিচ্ছন্নতা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ধর্মনিরপেক্ষতা, অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা, সমাজের সব শেণীর মানুষের প্রতি সমান আচরণ, মাতৃভাষা, দেশীয় সংস্কৃতি, বই পড়ার অভ্যাস, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা, সুযোগবঞ্চিতদের শিক্ষা বা অন্য ব্যাপারে সহায়তা দান, বিনয়, বা যেকোনো কিছু। ওদের যদি আমরা না শেখাই, তো অন্যায় আচরণের জন্য ওদের দোষারোপ করাটাও উচিত না।
এই সচেতনতা সৃষ্টিতেও কিন্তু অনেক বাধা আসে, বিরূপ মন্তব্য শুনতে হতে পারে, আমি নিজেও কখনো কখনো শুনেছি, কিন্তু চেষ্টা তো চালিয়ে যেতে হবে, যার যার অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব। আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি, তো দেশটা এগিয়ে যাবেই।
নতুন প্রজন্মকে সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন আচরণের মধ্যে দিয়ে বড় করাটা খুব জরুরী। আমাদের মূল কাজ হওয়া উচিৎ ডিজিটাল বাংলাদেশের নকশা না করে একটা উন্নত ও উদার দৃষ্টিভঙ্গির প্রজন্মের জন্য পরিকল্পনা করা। আমরা কেউ ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই না, আমরা চাই ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ। বাধা তো সেই কত শত বছর ধরেই ভাঙ্গছি। উপমহাদেশের এই অঞ্চলে এরূপ প্রতিবন্ধকতা নতুন নয়। গ্লোবালাইজেশনের বিরোধীতা না করে বরং আমাদের সচেতন হওয়া উচিৎ যেন ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্টের মত নব্য ঔপনিবেশকারীর প্রভাবে দেশের সভ্যতা দখল না করে নেয় কেউ। সভ্যতা ও সংস্কৃতি হারিয়ে ফেললে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। তাই বলে গোড়ামীকেও প্রশয় দেয়া যাবে না।
আমার মূল উদ্দেশ্য হল নতুন প্রজন্মের সকলকে ‘র্যা শেনাল পার্সন’ করে গড়ে তোলার জন্য জাতিগত সচেতনা তৈরি করা এবং দেখবেন আমরা পারবই।
গান শুনে আমার ও গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেলো!!
যাও , আজ থেকে আর কোন কিছু রাস্তায় ফেলবো না ! !
লেখাটা ভালো হয়েছে! আমার ও লিখতে ইচ্ছে করছে!!
লিখে ফেলুন। পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে।
অভিবাদন ॥
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
শুভ বোধের জয় হোক!
এরকম একটি স্বপ্নবাজ লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলে পজিটিভ মন নিয়ে এগিয়ে গেলে জয় হাতে ধরা দিতে বাধ্য।
আমি শৌখিন একজন ফটোগ্রাফার, টুক-টাক ছবি তুলি আর Net-এ Share করি। আমি সচেতন ভাবেই একটা কাজ করি তা হলো - আমার এই দেশের সুন্দর মুখ খানাই তুলে ধরি। কোন ক্ষুধা, অভাব, পথে পড়ে থাকা মানুষের দূঃখ - এইসব আমি আমার ছবিতে তুলে ধরিনা। না, এইটা আবার মনে করার কোনই কারন নেই যে আমি ঐসব বাস্তবতা এড়িয়ে চলছি। কিন্তু সেই ছোট বেলা থেকে 'বাংলাদেশ' এর যত ছবিই খুব খ্যাতি পেতে দেখেছি সবই ছিলো ঐ অভাব-অনটন আর দূর্যোগের ছবি। আমি (হয়তো) একাই এগিয়ে যাচ্ছি আমার একার এই পণ টুকু নিয়ে- আমি দেখাতে চাই এই বিশ্বকে যে আমার এই বাংলাদেশে শুধু দূঃখ, দূর্দশা আর অভাব নেই, সেই সাথে রয়েছে অপার সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি।
BE POSITIVE AND U CAN MAKE IT HAPPEN !!
------------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
বদলে দিন, আমরা সাথেই আছি।
ভাই, তোকে নিয়ে দিন দিন গর্ব হচ্ছে অনেক বেশি করে।
দেশ নিয়ে ভাবি, এবং তোর মতই ছোট ছোট কাজে চেষ্টা করছি অন্তত নিজেকে, নিজের পরিবারের মানুষগুলোকে বদলানোর। একটা চাকরী পাই, পায়ের নিচের জমিটা আরেকটু শক্ত হোক, তারপরে চেষ্টার পরিধিটা বাড়াতে পারবো অনেক বেশিই, হয়তোবা। যত খারাপ জিনিসে ভর্তি হোকনা কেনরে, দেশটাকে ভালোবাসি খুবই। আমাকে যে স্বাধীন মানুষ বলে পরিচয়টা দিয়েছে তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার হাতেই, তাই না?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হুম বোন, সবাইকে বদলে যেতে হবে, আরতো কোন উপায় নাই।
সত্যি কথা হচ্ছে কিছুই ভাবি না ... নিজেকে নিয়েই ভাবি, নিজের ভালো হলে আলটিমেটলি দেশেরও ভালো হবে এইসব ভেবে নিজেকে সান্ত্বনা দেই আর দেশের কোন ক্ষতি করছি না এই ভেবে খুশি থাকি ...
মাঝে কিছুদিন উইকিপিডিয়ায় গিয়ে বাংলায় অনুবাদ করতাম, অনেকদিন সেটাও করা হয় না :-|
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
উইকিপিডিয়া অনুবাদ, অনবদ্য, সময় করে চালিয়ে যান। সঙ্গে আছি।
আরো কয়েকবার পড়া লাগবে। খুব ভালো নুহিন, এভাবে নাড়া দিয়ে যেতে থাকো।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সাহস দেবার জন্য ধন্যবাদ সিমন ভাই, আমরা বিজয়ীদের দলেই আছি।
পোস্টের কিছু কিছু খুঁটিনাটির সাথে একমত না, যেমন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, তবে পোস্টের মূলভাব প্রশংসাযোগ্য। আমার মনে হয়, দেশের প্রত্যেকটা মানুষ যদি নিজের কাছে সৎ থাকার চেষ্টা করে, নিজের দায়িত্বটুকু যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করে, তাহলেই যথেষ্ট।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দেশটা কিন্তু শুধুমাত্র ধার্মিক বা শুধুমাত্র স্যাকুলারদের জন্য না। সবার নিজের পছন্দমত রাজনীতি করার স্বাধীনতা থাকা উচিৎ বলেই মনে করি। আমি নিজে ধর্মিয়ভাবে ও রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রচন্ড স্যাকুলার হলেও, ধর্মভিত্তিক রাজনীতিতে বাধা দেবাকে কিছুটা গোড়ামি মনে হয়। কেউ পরমভাবে সঠিক নয়, সবাই নিজের অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করুক এটাই মস্ত কামনা। মতের অমিল থাকবেই, এটাই স্বাভাবিক। সবাই যখন কোন বিষয়ে একমত হয় তাতে মস্ত গলদের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কমিউনিজমের স্বাধীনতাহরণকারী রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভালো লাগে না। যাই, হোক, ধন্যবাদ বদলের সম্মেলিত কণ্ঠস্বরে কষে গলা ছেড়ে হাঁক ছাড়ার জন্য।
নতুন মন্তব্য করুন