ঘটনা ১: সিমন বাড়ি ফিরছিল। ভরা বাসে দৌড়ে উঠতে গিয়ে কনট্রাকটর ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। ফলশ্রুতি তে সিমন কে পিষে বাস এগিয়ে যায়। ফলাফল জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ এ কয়েক মাস ছিল আমাদের সিমন। মৃত্যু এবং বাস কে পরাজিত করে সিমন আজ আমাদের মাঝে।কিন্তু সিমন হারিয়েছে তার একটি পা।
ঘটনা ২- আজকে ববিকেলের ঘটনা। কুহু নীলক্ষেত বাস থেকে নেমে দাড়িয়েছিল রাস্তার পাশে রাস্তা পার হবার জন্যে। দ্রুতগামী প্রাইভেট এসে ধাক্কা মেরে শূন্যে কয়েকফুট উড়িয়ে দূরে নিয়ে ফেলে। দুই পা ভেংগে গেছে।মাথায় ব্যাথা পেয়েছে।সংগীতশিল্পী, উপস্থাপিকা আমাদের মিষ্টি কুহু হাসপাতাল এর বেডে কাতরাচ্ছে। বাবা মায়ের শুন্য দৃষ্টি।
আরো নানা ঘটনা আমার মন কে অশান্ত করে তুলেছে। আমারই ছোট ভাই কিনবা ছোট বোন ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। প্রতিটা ঘটনায় আমি ছুটে গেছি হসপিটালে। চোখের পানি তে আমি একাকার হয়েছি। মনে হয়েছে কেন এমন হবে?
রাস্তা পার হতে ভীষন ভয় পাই।মনে হয় এই বুঝি বাস ট্রাক আমাকে পিষে ফেলবে।
লোকজন জীবন এর পরোয়া না করে বাসে ঝুলতে ঝুলতে যায়।মোটর সাইকেল এ প্রায়ই নজরে পরে বাইক এর কসরত করতে করতে বাইক এগুচ্ছে।লোকজন সিগনাল না মেনে দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছে।ওভার ব্রিজ ইউজ করছে না।কিন্ত কেন? সময়ের চেয়ে আপনার জীবনের মূল্য কি এতই কম?
নিরাপদ সড়ক চাই বলে চিল্লালেই কি হবে? যদি আপনি সাবধান না হোন? আমাদের অসাবধানতা যেন আমাদের পরিবার গুলোর কষ্টের কারন না হয়।
প্লিজ প্লিজ প্লিজ আপনারা সবাই আরেকটু সচেতন হোন,সাবধান হোন।
মন্তব্য
চাওয়া : নিরাপদ সড়ক চাই ।
ভালো চালক চাই ।
ব্যস্ত রাস্তা গুলোতে ওভার ব্রিজ চাই ।
কর্তব্য : দৌড়িয়ে বাস এ উঠতে যাব না ।
চলন্ত বাস থেকে নামতে যাব না ।
ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করব ।
ফুটপাথ দিয়ে হাটব ।
দেখে শুনে বুঝে চলব ।
আমরা আমাদের জীবনের সবকাজে আলসেমি করি, ইচ্ছেমতো সময়ের অপচয় করি, মিনিট কেন... ঘন্টাও কাউন্ট করি না। কিন্তু যখনই রাস্তায় নামি তখনই আমাদের রাজ্যের তাড়াহুড়া লেগে যায়। মানুষের, গাড়ির সবার... মানুষ গাড়ি কেউই সিগন্যাল মানে না, কোনো নিয়ম মানে না। সবাই শুধু ছুটছে, দাঁড়াবার সময় যে নাই।
আমাদের শহরগুলোর মতো অসহায় বোধহয় আর কোনো শহর নেই। যেখানে শতকরা ১০০ জন মানুষই প্রতিমুহূর্তে সড়কের সবগুলো নিয়ম ভাঙ্গার সুযোগ খোঁজেন! পথচারি, ড্রাইভার... সকলেই...
সঙ্গে যোগ হয়েছে রাস্তায় চলতে চলতে কানে হেডফোন যোগ করে গান শোনা, হাঁটতে হাঁটতে ফেসবুকিং বা টেক্সট আদান প্রদান। গাড়ি চালাতে চালাতে ফোনে কথা বলা... গাড়ি চালাতে চালাতে টেক্সট আদান প্রদান... এমনকি ফেসবুকিংও। ডিভিডি চালিয়ে গুপ্তমারা গান দেখতে দেখতে মহা উত্তেজিত হয়েও গাড়ি চালায় অনেকে। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমাদের যাবতীয় অস্থিরতা, ব্যস্ততা আর বীরত্ব নিয়ে আমরা হাজির হই আমাদের জীর্ণ সড়কগুলোতে, ফুটপাত বেদখলে যাওয়া সড়কে...
আমরা যেদিন নিজেদেরকে ভালোবাসতে পারবো, সেদিন হয়তো সচেতন হবো।
কুহুর জন্য খারাপ লাগছে খুব। আগেরদিনও বইমেলাবাজী, আড্ডা, ফুচকা খেলাম যে মিষ্টি মেয়েটার সঙ্গে, পরদিন তার সঙ্গে দেখা হলো হাসপাতালে!
কী অদ্ভুত!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার কথার সাথে একমত। রাস্তায় বের হয়ে এই কথাগুলো আমি আমার মাকে অনেক বার বলেছি। সাথে এটাও বলা হয়েছে এই মানুষগুলোই পশ্চিমা বিশ্বে গিয়ে বাধ্য ছেলের মত সব নিয়ম মেনে চলে। বরং অন্যান্য অনেক দেশের মানুষের চেয়ে বাংলাদেশীরা এ ব্যাপারে সতর্ক। ভাবতে সত্যি অবাক লাগে নিজের দেশে থাকা অবস্থায় কেন তাদের মুল্যবোধ এত কমে যায়। তবে এর জন্য আমাদের আইন, আইনের প্রয়োগ, অপরিকল্পিত রাস্তা এবং রাস্তার ব্যবস্থা এরকম অনেক কিছুই দায়ী। এই আলোচনা শেষ হওয়ার মত না।
-সানজানা শাহনওয়াজ
আমি কিছু ভাবতে পারছি না। খুব সম্ভবত কমবয়সী একটা ছেলে গাড়িটা চালাচ্ছিলো, ওকে ধরে শাস্তি দিলেই বা কী? কুহু, চাচা-চাচী, বাকুমের যন্ত্রণা কমে যাবে? এই রকম খবরগুলো পাওয়া বন্ধ হবে?
বইমেলার শুরুর দিকে চাচা আর ওর সাথে মেলায় ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে গল্প হলো। অনেকদিন পরে দেখা হওয়ায় সেটা নিয়ে খুনসুটি করলাম দুইজনে দুইজনকে দোষারোপ করে। কালকে রাতেও কথা বলেছি, পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত ছিলো। আজকে খুব বাজেভাবে দিনটা শুরু হয়েছিল, মনে কষ্ট নিয়ে ঘুম ভেঙে ভাবছিলাম কী হবে কষ্ট পেয়ে, দিনটা ভালো যাওয়া তো আমার উপর, প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্ত আর একবারও ফিরে আসবে না ভেবে নিয়েই উপভোগ করে চলা উচিত। বাড়ি থেকে বের হবার আগে ভাবনাটা ফেসবুকে লিখে বের হয়ে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে ফেসবুকেই পেলাম দু:সংবাদ, সাথে একটা নোটিফিকেশন - মনে হয় নীলক্ষেতের দিকে যাবার পথেই রাস্তায় বা বাসে বসে মোবাইল থেকে ঐ কথাগুলোই পছন্দ করেছে কুহু!
অসহ্য লাগছে .. সত্যিই আর পারছি না ..
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ক্রমাগত দুঃসংবাদের বোঝা আসলেই আর নিতে পারছি না--
সুস্থ হয়ে উঠুন কুহু--সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন সবার মাঝে--
সেই সাথে সবার মাঝে একটু সচেতনতা আসুক, নিজের পরের সবার জীবনের মূল্য নিয়ে একটু শ্রদ্ধাবোধ আসুক---
এই কামনাটুকু রেখে গেলাম
খবরটা শুনে থমকে গেছি। খুব খারাপ লাগছে।
আশাকরি খুব দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে কুহু মান্নান।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।
____________________________
কুহু আপুর ঘটনা শুনে গতকাল থেকে খুবই মন খারাপ। ঢাকার রাস্তায় বাইক চালাই, কবে যে সচলায়তনের ব্যানার হয়ে যাবো
ভীরু ইঁদুরের মত ক্রমাগত প্রাণ হাতে ছোটাছুটি বড় ক্লান্ত করে আজকাল। মিষ্টি মেয়েটা সেরে উঠুক। ফিরে আসুক স্বাভাবিক জীবনে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
পোস্টে বা কমেন্টে আপডেট জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ঢাকায় দুই সপ্তাহ আগে ব্যাটারি রিক্সা তুলে দিয়েছিল, এখন আবার ফিরে এসেছে। এদের গতি, এবং বল্গাহীন চলা, পথচারী যাত্রী সবার জন্য হুমকির।
নিজের সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। এ শহরে বের হলে আসলেই নিজের জান হাতে নিয়ে বের হই
আশা করি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আচ্ছা অঘটন ঘটানো গাড়িটাকে বা ড্রাইভারকে সনাক্ত করা যায় নি মনে হয়| যে অঞ্চলে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে আশেপাশে কোনও দোকানপাট আছে? না সেটা হাইওয়ের অংশ? যদি দোকানপাট বিশেষত ছোটখাট চায়ের গুমটি, পানবিড়িসিগ্রেটের দোকান ইত্যাদি থাকে, তাহলে ওখানে গিয়ে জনে জনে জিগ্যেস করলে কোনও হদিশ পাওয়া যাবে না? কেউ হয়ত গাড়ির নাম্বার খেয়াল করেছে বা এমন কোনও বৈশিষ্ট্য, যেটা থেকে সনাক্ত করা সম্ভব| তাহলে পুলিশকে চাপ দেওয়া যাবে ব্যবস্থা নেবার জন্য| এমনিতে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে গেলে তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই পুলিশকে খবর দেবেন এবং পুলিশ নিশ্চয় অজ্ঞাত আততায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে, অন্তত কেস ফাইল করেছে| এবারে প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে পাওয়া গেলে ছবি আঁকিয়ে ছবি তাঁকে দিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে মোটামুটি কাছাকাছি চেহারা এলে সেই ছবি ঢাকা শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেবার আবেদন করা যায়|
এইগুলো কি করা সম্ভব
আমার মনে হয় শাস্তির জন্য সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করা উচিৎ| শাস্তি হয় না বলেই এমন বেপরোয়া গাড়ী চালানোর সাহস পায়|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আমি একটা মফস্বল শহরে থাকি। ক-বছরে দু-চাকা, চার-চাকা যে হারে বেড়েছে, রাস্তা আরো সংকীর্ণ হয়েছে,আর ছোট-বড় যন্তর গুলো আমাদের সময় দিব্বি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। 'হবি' হিসেবে এখন বেশ জনপ্রিয় 'বেহিসেবি' বাইকিং। ফলাফলটা আপনি প্রথমেই লিখেছেন।
নিজের ভালো (এবং অন্যের ভালো) না বুঝলে শহর জুড়ে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল বানিয়েও লাভ নেই।
আরেকটু মসয়। বাড়ী নাহয় দু-মিনিট প্রেই পৌছালাম, পাশের পথচারী না হয় একটু আন্সমার্ট, গাঁইয়াই ভাবল। তা ভাবুগগে।
আপনার স্বজনরা সুস্থ হোক তাড়াতাড়ি।
- দীপালোক
উনার জন্য শুভকামনা।
সুবোধ অবোধ
দ্রুত সুস্হতা কামনা করছি।
স্পর্শকাতর বিষয় গুলোর সাথে এতোই পরিচিত হয়ে গেছি, সব কিছুকেই স্বাভাবিক মনে হয়....!
affable.masud
কালকেই জেনেছি কুহুর ঘটনাটি,এত খারাপ লেগেছে শুনে কি বলব খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
একটি দুর্ঘটনা যে একেকটি পরিবারে কি ভয়ংকর দুর্যোগ বয়ে আনে --হয়ত শুধু যার যায় সেই জানে।
কাছের একজনকে সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়েছি, তারপর দেখেছি তার অভাবে তার কাছের মানুষগুলোর জীবন আস্তে আস্তে কিভাবে বদলে গেছে।
আমি খুব ভয় পাই যে কোন সড়ক দুর্ঘটনা। কারো এক্সিডেন্ট হয়েছে শুনলেই আমার অস্থির লাগতে থাকে। দুর্ঘটনা কেন ঘটে তার পিছনে অনেক অনেক কারন আছে, তার প্রতিকার ও আছে যদিও জানিনা আমাদের দেশে এর প্রতিকার কখনও সম্ভব কিনা।এখন সেই সব কথাই আর যাচ্ছি না, শুধু মন থেকে কুহর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
কুহ আবার তার সেই হাসিমাখা মুখ নিয়ে, উচ্ছলতা নিয়ে সেরে উঠুক দ্রুত।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আপডেট?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নতুন মন্তব্য করুন