প্রথম মিটিং এ সবার সাথে খবিশ খান পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর সবাইকে বলে কারো কোন নতুন স্টোরি আইডিয়া আছে কি না। আমি আগে ভাবতাম একটা নিউজপেপারে চাইলেই বুঝি যে কোন অন্যায় নিয়ে লেখা যায়।আমিতো মহা আনন্দিত। এখন নিশ্চই অনেক কিছু নিয়ে লিখতে পারবো। ওই সময়টাতে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে একজন মহিলা শিক্ষকের উত্তক্ত করার ঘটনাটা নিয়ে লেখা-লেখি হয়েছিল পেপার গুলাতে। পরে একদিন সচলায়তনেও দেখি একজন পোস্ট দিয়েছিল কিভাবে দি ডেইলি অর্ডিনারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া এক নোটিশ ছাপিয়ে দেয়, যেটাতে মহিলা শিক্ষকের নাম প্রকাশ হয়ে যায়।আমি সাজেস্ট করলাম এইটা নিয়ে একটা স্টোরি করলে কেমন হয়। আমার মহান বস প্রথমে শুনলেন, তারপর তার খবিশ হাসি দিয়ে বললেন এই ইউনিভার্সিটিটাই উঠিয়ে দেয়া উচিত। এইখানেই খালি এইসব ঘটনা ঘটে কেন! আমার ভালু কলিগ-১ তখন জবাব দেয়, ঘটনা সব জায়গাতেই ঘটে, কিন্তু প্রকাশ হয় না। কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। খবিশ খান তার হাহা-হিহি চালিয়ে যায়। তারপর বলে হাইকোর্টতো কোন আইন করেনি, একটা নীতিমালা করে দিয়েছে, যে কোন সমস্যা হলে যাতে সেই নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। কেউ যদি নাম ছাপে সেটা নিয়ে আমরা বলতে পারিনা যেহেতু এটা আইন না। আমার আরেক কলিগ তখন জবাব দেয়, কিন্তু হাই কোর্টের নীতিমালা অমান্য করাও অপরাধ। তখন হ্যাঁ-হুঁ করে আমাকে বলে, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট নিয়ে অনেক কাজ হইসে, আর না। অন্য কিছু বল!! আইডিয়া বাদ। বললাম তাহলে রোড আক্সিডেন্ট নিয়ে করি, কয়েকদিন আগেইতো বুয়েটের একটা ছেলে মারা গেল। খবিশের জবাব, এইটা নিয়েও অনেক কাজ হইসে, আর না। বুয়েটের ওই রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্ট হবেই। বকর বকর করে এই আইডিয়াও বাদ করে দিল।পরে অবশ্য বোঝানো হল যে আগের বছর যেটা নিয়ে স্টোরি করা হয়ে গিয়েছে সেটা নিয়ে নাকি আর স্টোরি করা যাবে না! এমন অদ্ভূত কথা আমি কখন শুনি নাই। এজ ইফ বাংলাদেশে কোন ঘটনা মনে হয় আর দ্বিতীয় বার ঘটে না। প্রথম মিটিং এই আশাহত। সাধারণ মানুষ হিসেবে বাইরে থেকে সবকিছু যত সোজা লাগতো, একটা অংশ হওয়ার পর বুঝতে পারলাম ভেতরটা কতটা জটিল। আর কাদের কারণে জটিল।
যাই হোক, পরের দিন লঙ্কা করিমের আগমন ঘটে অফিসে। যেহেতু আমার সব কলিগই খুব ভালো ছিল, আমি ওনাকেও প্রথমে সবার মত ভালোই ভেবেছিলাম। প্রথম দিন খুব ভালো ব্যবহার দেখালেও সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। অবাক হয়ে লক্ষ্য করতাম, ওনার সবকিছুতেই সাত খুন মাফ। আর আমি কোন খুন না করেও ঝাড়ি খাচ্ছি! পরের সপ্তাহের কথাই বলি। আমার বাসা ঢাকা শহরের শেষ বা শুরুর যে কোন এক প্রান্তে হওয়ায় এক্টু-আধটু দেরী হয়ে যায়। তো সেইদিন খুব বৃষ্টি থাকায়, অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পর দেখি রাস্তায় পানি উঠে গেছে, তাই ঘুরে আবার অন্যদিক দিয়ে যেতে যেতে পনেরো মিনিট দেরী হয়ে যায়। যেয়ে দেখি মিটিং শুরু করে দিসে। ঢুকতে দেখে কটমট করে একটা লুক দিল। আরেকজন তখনও পৌঁছায়নি, তাকে ফোন করে ঝাড়ি মারতেসে, “অফিস বারোটায় শুরু হয়, এখন কয়টা বাজে?” এখন কথা হল, উনি নিজে কয়দিন বারোটায় অফিসে আসছে? আমার দেখা তিন মাসেতো একদিনও না। সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা ঘটে তার আরেকটু পরে। লঙ্কা করিমের মিটিং শেষ হওয়ার একটু আগে আসে। এসেই শুরু করে বৃষ্টির পানিতে তার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেসে, হেন-তেন ত্যানা প্যাঁচানি। তাকে কিন্তু খবিশ স্যার কিছুই বললো না। বরং সে ঢুকার সাথে সাথে আমাদের তাকে বসার ব্যবস্থা করে দিয়ে মন দিয়ে তার সমস্যার কথা শুনতে হল। তামাশাটা দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারলাম না।
লঙ্কা করিমের বিরক্তিকর ব্যাপারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তার গলার আওয়াজ। ওনার কথা বলার ধরণটা কেমন বলি, অফিসে ঢুকেই সে চিৎকার করে সবাইকে হাই, হ্যালো বলবে। যেটা একটু আস্তেও বলা যায়। কিন্তু না উনি অফিসে আসিয়াছেন, তাই সব অ্যাটেনশন এখন ওনার দিকে দিতে হবে। তারপর আবার ধরেন আমরা কয়েকজন কলিগ কথা বলছি কিন্তু ওনার গলার আওয়াজ এত যে খবিশ স্যারের রুমে উনি কী নিয়ে কথা বলছেন সেটা শোনা যেত আর আমরা যেটা নিয়ে কথা বলছি সেটা কালের গর্ভে হারিয়ে যেত।
তো যাই হোক সেই বৃষ্টির দিনে ফেরত যাই। সেই সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রখ্যাত মডেল মৌমাছি এর সাক্ষাতকার নেয়ার কথা ঠিক হয়। মডেল মৌমাছিকে ফোন দিয়ে খেলাম এক ঝাড়ি। আমাকে বলে আমি কাউকে সাক্ষাতকার দেই না, জানো না? আমি বলি কিন্তু আপনাকে তো কয়েকদিন আগে টিভিতে দেখলাম সাক্ষাতকার দিতে। বলে টিভি আর পত্রিকা কি এক? তোমরা সাংবাদিকরা যা ইচ্ছা লিখবা আমার নামে আর আমি সাক্ষাতকার দিব? আমার কাছে কেন এসেছ? আমিতো পুরানো হয়ে গিয়েছি, নতুনদের কাছে যাও। আমার অবস্থাতো ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি, কার পাল্লায় পরলাম! পরে একজনের সাথে কথা বলে জেনেছিলাম, অনেকে আছেন যারা নাকি শেষ অন্ধকার পত্রিকা ছাড়া কাউকে সাক্ষাতকার দেন না। আর অন্য কেউ ফোন দিলে বলে যে আমিতো সাক্ষাতকার দেই না। যাক ওনার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে খবিশ স্যারকে ফোন, অন্য আরেকজনকে ঠিক করে হল। এইবার খবিশ স্যার তার আচরণের সার্থকতা প্রমাণ করেন।
ছবি তোলার একটা ব্যাপার থাকে সাক্ষাতকারে। তো আমি নতুন হওয়ায় জানতাম না যে প্রতিবার ফোটোগ্রাফার ডিসাইড করে দেওয়া হয়। আমাকে প্রথম থেকেই একজনের সাথে কাজ করতে দেয়া হইসে তো আমাকে ওনাকে ফোন দিয়ে সময় জানাই। কিন্তু ভাইয়া বলে খবিশ স্যার বলসে আমাকে যেতে? আমি বলি না, কিন্তু আপনিই তো সবসময় যান। বলে তুমি আরেকবার ফোন করে জিজ্ঞেস করো, এইটা ডিসাইড করে দেয়। ওল্ড এইজের মত পত্রিকার একজন এডিটরের কথা বলার স্টাইল্টা দেখেন। ফোন দেয়ার পর যখন শুনলো আমি আগেই ফোটোগ্রাফারকে ফোন করে ফেলসি তখন কথা গুলা ছিল এমনঃ কে তোমাকে বলসে ফোন দিতে? আমার উপর দিয়ে যাও? আমি নাই এখানে? কয়দিন ধরে আসছো? সব বুঝে ফেলসো? আমি সরি বলে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমি জানতাম না, দুই জনের মধ্যে একজনকে ডিসাইড করে দেয়া হয়। কিন্তু উনি বলেই যাচ্ছেন, এত সাহস কে দিল তোমাকে...তাহলে এখন থেকে তুমিই ঠিক কর কে যাবে না যাবে, আমি চলে যাই!” আমি শুধু চুপচাপ শুনলাম। ইচ্ছামত বলে ফোন রেখে দিল। কী পরিমাণ অভদ্র একটা মানুষ, যে বুঝতেসে আমি কাজটা ইচ্ছা করে করি নাই এবং সরি বলার পরো যা ইচ্ছা বলে গেল। আর এইটা এমন কোন অপরাধ ছিল না যার জন্য এত বাজে ব্যবহার করার দরকার ছিল। ভালোভাবেও বলতে পারতো যে এইবার ভুল হইসে কিন্তু এরপর থেকে আমাকে একবার জিজ্ঞেস করে নিও। কিন্তু ভাবটা এমন নিল যেন আমি সেনা সদস্যদের ফোন দিয়ে বলসি, কালকেই যেয়ে খবিশ খানের চেয়ার দখল করতে।
কিন্তু পরের দিন যখন সবার সামনে আমার সাথে দেখা হল, তখন ভাজা মাছটা উল্টিয়ে খেতে ভুলে গেসে। কি ভদ্র মানুষ! আমাকে বলে কেমন হল সাক্ষাতাকার! এইরকম ঘটনা পরে আরো ঘটেছে, যেখানে সবার সামনে খুব ভালো ব্যবহার করে দেখায় কিন্তু কেউ না থাকলে তার আসল ব্যবহারটা দেখা যায়। লঙ্কা করিমও এই ব্যাপারে কম সরেস না। একদিন আমরা সবাই বসে আছি, মহান লঙ্কা করিম কথা বলছেন মডেলদের নামে। মানলাম মডেলরা ভালো না বা কেউ কেউ ওনাকে সময় দিয়েও অনেক ঝামেলা করেছে কিন্তু তার মানে এই না যে একটা অফিসে বসে উনি এতগুলা মানুষের সামনে বাজে গালি দিবে মডেলদের। এমন এক গালি দিয়েছে যে আমার মনে হল কান দিয়ে ধোঁয়া ছুটতেসে। আর আমার সাথে যারা ছিল তারাও লজ্জা পেয়ে গেসে। একটা অফিস যতই ফ্রেন্ডলি হোক না কেন সেইখানে গালি-গালাজের কোন জায়গা থাকতে পারেনা। ব্যতিক্রম শুধু খবিশ স্যার। ওনার কাছে এইটা খুবিই আমোদের ব্যাপার লাগলো এবং উনি হেসে খুব মজা নিল।
একেতো অফিসে এইরকম ব্যবহার। অফিসের কাজে গেলেও হাবি-জাবি মানুষের পাল্লায় পরতে হয়। একবার গেলাম এক শ্যুটিং স্পটে। যার কাছে যাওয়া উনি ভালো মানুষ।আমাদের দাদীর বয়সী। তো যেয়ে দেখি শট দিতে গেছেন। আমি বসলাম। দেখি দুইজন অভিনেতা(!) সমানে অভিনেত্রীদের গীবত করে যাচ্ছেন। আমাকে দেখে অতটা পাত্তা দেয় নাই। কিন্তু পরে যখন দেখলো আমি কেন আসছি আর কোথা থেকে আসছি তখন ভ্যাবাচেকা খাওয়া চেহারা দুইটা কুমড়ার মত দেখাচ্ছিল। তো সেই আন্টি আবার যখন শট দিতে গেলেন তখন আমাকে তারা পাইলেন। একজনকে বলতেসে, “ম্যাডাম, আপনি ওল্ড এজ এ আছেন? আচ্ছা, আপনাদের ওল্ড এইজের সার্কুলেশন কত?” আমি বললাম, যেহেতু আমি নতুন তাই সার্কুলেশন নিয়ে আমি ওতটা ইনফর্মড না, দুঃখিত আপনাকে ঠিক জানাতে পারলাম না। উনি আবারো বললেন, “না, না, ম্যাডাম। একদিন কাজ করলেই কি! আপনি সার্কুলেশন জানবেন না কেন!” আমি দেখি যতই কথা ঘোরাই সে দেখি ততই সার্কুলেশন সার্কুলেশন করে! পাশের ছাগল্টা এর মধ্যে বলে উঠে, ওল্ড এইজে কাজ করেন তাতে কি হইসে, বাসায় নিশ্চয়ই শেষ অন্ধকার রাখেন! না পারি হাসি চেপে রাখতে না পারি হাসতে। বহু কষ্টে বললাম, আমি বাসায় ওল্ড এইজ রাখি। এইটা শুনে এমন একটা চেহারা করল যেন শেষ অন্ধকার না রাখার কারণে আমাকে এখনি ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।
এরই মধ্যে রুমে আসেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও কোপ্তার তরকারী বারুদীর স্ত্রী ঢিঁশার মা। ঢিঁশাও সেই শ্যুটিং এ ছিল। ঢিঁশার মা ঢুকেই তার ছেলের বউয়ের বদনাম শুরু করে দিলেন। আমি যে অপিরিচিত একটা মানুষ বসে আছি সেটা নিয়ে ওনার কোন ম্যাথা ব্যাথা নাই। ওনার ভাষ্য মতেঃ এত্তগুলান কইরা খায়! আসার সময় দেখি দইয়ের মধ্যেও এত্তগুলান সিনি(চিনি) দিয়া খাইতে বোশছে! ঢিঁশা এসে যোগ করলো, ওতো সারাদিনই খায়, কিন্তু গায়ে লাগে না। আর আমিতো কোকও খেতে পারিনা।
এরপর দেখি বারুদী ফোন করেছেন ঢিঁশাকে। ঢিঁশাও দেখি আমার সোফার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বলছে, “হ্যাঁ, জাআআআআআআআন, খাইসোওওওও তুমি?... না, বাবা, প্রবর্তনা মিরপুরে আছে।” আর এইদিকে আমার অবস্থা
চলবে...
*নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম পরিবর্তিত।
মন্তব্য
(গুড়) (গুড়)
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
কোপ্তার তরকারী বারুদীর নাম শুনেই হাহাপগে।
শাশুড়িই বোধহয় বারুদীর ভাষাগত প্রেরণা
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আরে না, মহিলা খুবই ভদ্র, বারুদীর কাছ থাইকা সম্ভবত এইগুলা শিখছে !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
পড়তে পড়তে ভিজুয়ালাইজ করাটা খুব জরুরী। মাসুদ রানা কিংবা তিন গোয়েন্দা যখন পড়তাম, তখন বার বার বইয়ের প্রচ্ছদের ছবিগুলো দেখতাম কাহিনী আর ভিজুয়ালাইজেশন মিলিয়ে নেয়ার জন্য (তখন ওইসব কাট-পেস্ট নায়ক-নায়িকাদেরই আসল রানা-সোহানা মনে হতে)।
এই লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে এটা সচিত্র প্রতিবেদন বা কমিক সিরিজ ধরনের হওয়া দরকার ছিল। কাট-পেস্ট হলেও হয়। অন্তত উটের জকি বা রেডিওর ভিজে বেড়ালদের রিংটোনের গানগুলো যদি ইস্নিপ্স-এ আপলোড করে এখানে যুক্ত করে দেয়া যেত, তাহলে শুনতে শুনতে চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করতে করতে পড়া যেত।
লেখা চলুক।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
একজনকে বলেছিলাম কিছু ছবি এঁকে দিতে। দিল না। ভাব দেখায়
ফিডা দ্যান।
কাকস্য পরিবেদনা
ফিডা ছাড়াই সারা দিন কোঁকায়। ফিডা দিলে আর খুঁজে পাওয়া যাইবো না
কীসের ব্যথায়, কীসের আশায় কোঁকায় সে?
কাকস্য পরিবেদনা
অলসের কোঁকাইতে কী আর ব্যাথা লাগে। ঝাড়-ফুঁক বাবার কাছে পাঠানো দরকার।
অলস!!!!!!!!!!!!!!!!
কাকস্য পরিবেদনা
হু.. কবে দেখবো কোকানি রেকর্ড করেও মোবাইলের রিংটোন হচ্ছে!
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
ইঙ্কস্কেপে?
কাকস্য পরিবেদনা
না, টাক্স পেইন্টে
প্রথমটা যেমন ভালো লেগেছিলো, এটা তেমন লাগলো না। বোধহয় আমারই অক্ষমতা।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
উপভোগ করলাম আগাগোড়া
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনে মাইর খাইবেন প্রখ্যাত সব সাম্বাদিগদের হাতে।
কাকস্য পরিবেদনা
আমারও হাতিয়ার আছে। মাইর দিতে আসলে বলুম, এখনি যেয়ে পোস্ট দিতেসি।
পুরা মাইরপিট! (গুড়)
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এক্কেবারে ।
নিরাপত্তাজনিত কারণে আর বললাম না যে আমি লঙ্কা করিমকে চিনে ফেলেছি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আফনার সাথে তাইলে এইটা নিয়া গফ করার অনেক কিছু আছে
শাক দিয়ে মাছ তো ঢাকা যায়না, কয়েকজনকে বোধহ্য চিনেই ফেললাম
আমার পয়লা গুড় লন (গুড়)
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
হেহে... আপনাকেও (গুড়)
আপনার সাথে তাহলে এই বিষয়ে গফ করার অনেক কিছু আছে
(গুড়) (গুড়)
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
(গুড়) আপনারে চিন্না ফালাইসি
আমিও আপনাকে চিন্না ফালাইসি
তাইলে আমারেও একটা ক্যারেক্টারে ঢুকায়ে দেন
ভালো গল্পের ভালো ক্যারেক্টার দিবোনে। এইগুলাতো দুষ্ট ক্যারেক্টার।
সামু ব্লগের কোনো পোস্ট পর্তেছি মনে হৈল।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
সাংবাদিকদের তো জানি ডরপুক হলে চলেনা, তো আপনি এতো ভয় পান কেন?
এই দেশে তো দেখি ওবামা কে নিয়েও মকারি করে বিনাদ্বিধায়! এতসব কথার কারণটা বলছি, আপনি যাদের নামের চোখে ঝন্ডুবাম লাগিয়েছেন, তাদের আমি কিছুতেই চিনতে পারছিনা যে!!! তবে সর্বশেষ দুই গুণধররে চিনেছি(দেঁতো হাসি)
আরেকটু খোলাসা করলে চিন্তে পারতাম হয়ত। যাইহোক, প্রথম পর্বকে বিট্ দিতে পারেনি এই পর্বটা। আর ২য় পর্ব কই পাবো? ওটা পড়া হয়নি যে আমার(মন খারাপ) পরের পর্ব জলদি দেবেন আশা করছি। এবার (গুড়) খান।
ওবামাকে নিয়ে মকারি করলে কেউ কিচ্ছু বলবে না। কিন্তু যেই আপনি সত্যি কথা বলে কিছু একটা প্রতিবাদ করতে যাবেন, তখন দেখবেন কিছু কিছু মানুষ কেমন করে। দুনিয়ার নিয়ম-কানুন খুবই অদ্ভূত। নাম প্রকাশ হবে, একটু ধৈর্য্য ধরেন। আর মন খারাপ কইরেন না। শীঘ্রই দিব।
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/35019
আমি কিন্তু সবাইকে চিনি। আপনাকেও, চেহারায় নয়, নামে। দূর থেকে কাশবন সবসময়ই সাদা দেখায়। কাশবন দেখার নিয়মগুলো জেনে নিলে এতটা হয়ত এতটা আশাহত হতে হত না। তবে অনেক কিছু নিয়েই আপনার মন্তব্য দূর থেকে বুঝতে না চেয়ে দেখার মত; এবং খানিকটা একপেশে। আপনি এই পত্রিকায় কাজ করেছেন মাত্র ক’দিন; আমি কিন্তু সাত বছরেরও বেশি। আর এই পেশায় সতের বছরেরও বেশি।
আমিও আপনাকে চিনি এবং দূর থেকেও অনেক ভালো জানি। শুধু আপনাকে না, আপনার মত আরো অনেকের সাত বছরের আদর্শ দেখে অনেক ভালোবাসা নিয়েই আমি কাজ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুই-একটা পচা আমের কারণে সেখানে কাজ করাতো বহু দূরের ব্যাপার, নিশ্বাস নেয়াও মুশকিল। আর এটা প্রথমবারের মত ঘটেনি। আমার আগেও অনেক শিক্ষানবীশ গেছে তাদের সাথেও সেই দুই-একজন পচা আম একই কাজ করেছে। তারা যদি আমার আগেই এসে প্রতিবাদ করে যেত তাহলে আজকে আর আমাকে লিখতে হত না।
পত্রিকার সাথে আমার কোন শত্রুতার কথা কি আপনি দেখেছেন? আমি কিন্তু ম্যাগাজিনের কথাও একবারো খারাপ বলি নাই। যাদের কথা বলেছি, তাদের নিয়ে আমার সাথে কথা বললে ব্যাপারটা প্রাসঙ্গিক থাকবে।
খুশি হলাম যে আপনি এখানে এসে আপনার মন্তব্য দিলেন, কেউ কেউ তো লেখা বন্ধ করানোর জন্য ফোন দেয়াচ্ছে। যে ম্যাগাজিনে ব্লগিং এর শক্তি নিয়ে বিশাল ফিচার হয়, কিভাবে কাওমী মাদ্রাসার এক ছাত্রী ভেতরে কি হয় সেই কথা ব্লগে লিখে প্রকাশ করাকে প্রংশসার স্তুতিতে ভাসানো হয়। সেই তারাই আমার লেখা বন্ধ করাতে চায়। সেলুকাস। ভালো থাকেন।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হিসাবে পড়তে ভালো। কিন্তু আরেকটু সিরিয়াসলি দাঁত বসাইতে হবে। আমরা যা দেখি বা শুনি সবই তো আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা (যেমন আমাকে যেভাবে কুকুর কামড়াইল )। কিন্তু ব্যক্তির বাইরেও সামষ্টিকতার জায়গা থেকেও দুয়েকবার দেইখেন (যেমন কুকুর ক্যান কামড়ায়? )। মানে ধরেন ওই পত্রিকার এডিটরিয়াল পলিসি কিংবা জার্নালিস্টিক প্র্যাকটিসগুলা। এইটা অলরেডি অনেকটা আসছেও আপনার লেখায়। যেহেতু আপনি ভিতরে থাকসেন, দেখসেন। নিয়মিত চালায় যান
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমার দাঁত ভাঙ্গার জন্য তাহারা ফোনের পর ফোন দিয়ে যাচ্ছে। কুকুর ক্যান কামড়াইলো সেটা আমিও ভাবতাম এবং পরে একদিন জানতে পারি কামড়ানোর ঘটনা কি। ভাইয়া ব্যাপারটা খুব ফানি কিন্তু জন্সম্মুখে বলার মত না। আবার আইডিয়া করাও একটু ঝামেলা। আমি নিজেই শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেসিলাম। দেখি সামনে আরেকটা পর্ব লিখে ক্লু দেয়ার চেষ্টা করবো।
আমার কেন যেন মনে হলো, আপনার অফিসের বিভিন্ন চরিত্র সম্পর্কে পূর্বাভিজ্ঞতা থাকলে লেখাটা পড়ে আরও মজা পাওয়া যেত।
সিরিজ চলুক।
খারাপ না। চলুক।
...........................
Every Picture Tells a Story
চলছে যখন , তবে চলতেই থাকুক।
আপনাকে একটা অনুরোধ করি। আপনার লেখায় সংবাদপত্র জগতের একটা পার্টের চিত্র উঠে আসছে। কিন্তু প্রায় সাত বছর সংবাদপত্র জগতে কাজ করার সুবাদে জানি, আপনি যেমনটা বলছেন তেমন মানুষ যেমন আছে, তেমনি বিপরীত মেরুর মানুষজনও কম নয়। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে যারা সংবাদপত্রের সাথে জড়িত নন, বা সংবাদপত্রের ভেতরকার রীতিনীতি জানেন না, তাদের কাছে ভুল বার্তা পৌছাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, আপনার সাথে সম্পর্কিত সব ঘটনাই নেগেটিভ, পজেটিভ কিছু নেই? সম্ভব হলে সেগুলোও তুলে ধরুন।
আরেকটি কথাও বলে রাখি, সংবাদপত্রে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করতে এসে অনেকেই প্রথম প্রথম ভাবেন এখানে একটা বিপ্লব ঘটিয়ে দেবেন। কিন্তু একটা হাউজের কালচার পরিবর্তন করতে সময় লাগে; সেই সময়টা তারা এখানে দিতে পারেন না, ফলে হতাশ হন ও একসময় যাবতীয় নেগেটিভ বিষয়গুলো তাদের সামনে একের পর এক ফোকাসড হতে থাকে। আপনার ক্ষেত্রেও তাই হযেছে কিনা জানি না। আমি জাস্ট অনুরোধ করবো, নিজেকে লাইনের একটি সাইডে না রেখে লাইনের মাঝখানে রেখে দুদিকের ঘটনাগুলো তুলে ধরুন। সেটা করতে পারলে আপনার লেখা থেকে অনেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন। ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার ওল্ড এইজের কলিগরা। এইরকম ভালো একটা কলিগদের গ্রুপ আমি আবার কোথাও পাবো কিনা জানি না।
আমার সাথে সম্পর্কিত সব ঘটনাই নেগেটিভ কারণ আপনি শুধু আমার ঘটনা গুলাই শুনছেন। আমার মত যদি আরো অনেকে এসে বলা শুরু করতো আসলে কী হয় তখন হয়ত আপনার কাছে আর নেগেটিভ লাগতো না। ডেইলি অর্ডিনারির এক ম্যাগাজিনে আমার এক বান্ধবী কাজ করেছিল। সেখানে ওকে গায়ে, পিঠে হাত দিয়ে এডিটিং বোঝানো হইসে। ও তো লিখছে না ব্লগে, তাই ওরটা জানতে পারছেন না।
×××
আমার কথাগুলো অন্যভাবে নিবেন না। সংবাদপত্র জগতে অন্তত চারটি হাউজে আমি কাজ করেছি অনেকদিন। কাজ করেছেন আমার বেশ কয়েকজন নারী-বন্ধুও। তবে আপনি যেভাবে লিখছেন, এতোটা ভয়াবহ কোথাও শুনি নি। ছেলে হয়ে হয়তো আমি মেয়েদের অনেক কিছু বুঝতে পারবো না; কিন্তু নারী-বন্ধু বা নারী-সহকর্মীদের মুখেও এরকম অবস্থা শুনি নি। সেক্ষেত্রে আমাকে ধরে নিতে হবে, আমার পরিচিত এই নারী-বন্ধু ও নারী-সহকর্মীরা ভাগ্যবান।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ইন্টার্নশিপ করার সময় সবাই ঝামেলায় পড়লেও মুখ বন্ধ রাখে যেহেতু কাজ করতে যাওয়ার পর আসলে বোঝা যায় কোথায় আসলাম। তখন কিছু বলা মানে ইউনিভার্সিটিতে জানানো, আবার নতুন কোন জায়গা খোঁজা। এত কিছু কেউ করতে চায় না। আর এই সুযোগটাই ইন্টার্নদের সাথে নেয়া হয়।
একটা নির্দিষ্ট বিভাগে কাজ করলেও আমি চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করেছি। যেখানে ফরহাদ মজহার আর আসিফ নজরুলকে হিরো বানিয়ে রাখা হয় আর এখনো ওনাদের নিয়ে বড় বড় ফিচার লেখার প্ল্যান প্রোগ্রাম করা হয় সেই হাউজের কালচার বুঝতে বেশিক্ষন লাগে না।
নতুন মন্তব্য করুন