পরিক্রমাঃ দ্য ট্রাভেলগ [প্রথম পর্ব]

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০৩/২০১০ - ৪:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

He often used to say there was only one Road; that it was like a great river: its springs were at every doorstep and every path was its tributary. "It's a dangerous business, Frodo, going out of your door," he used to say. "You step into the Road, and if you don't keep your feet, there is no telling where you might be swept off to."

- JRR Tolkien, The Fellowship of the Ring, 1954

শুরুর আগেঃ মার্চের এক বিকেলে

তারিখটা এখনো স্পষ্ট মনে আছে। দুইহাজার সাতের মার্চের সতেরো, শনিবার- সন্ধ্যা ছয়টা। রাগে কাঁপতে কাঁপতে বাসায় ঢুকেই ব্যাগটা ছুড়ে ফেললাম খাবার টেবিলের ওপর। সম্ভবত বসার ঘরে কোন অতিথি আছেন, তাই আমার এই হীন অনার্য আচরনে মাতৃদেবী আর্তনাদ করে উঠলেন। কিন্তু একুশ ঘন্টা টানা ডিউটি করে আমি এখন এইসব পার্থিব হুমকিধামকির অনেক উর্ধ্বে। সোজা রান্নাঘরে ঢুকে ট্যাপ ছেড়ে শীতল জলধারার নিচে মাথা ঠেলে দিলাম- যদি রাগ কিছুটা পানি হয় এই আশায়- কিন্তু দুই মিনিট কেটে যাবার পরেও মনে হয় না কোন পরিবর্তন হচ্ছে, শুধু তীব্রতাটা কমে গিয়ে ভোঁতা, অবশ একটা অনুভূতি চলে আসছে।

জানুয়ারি থেকে 'পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনিং' বলে একটা আজব জিনিস শুরু করেছি। আগামী এক বছর আমাকে হাসপাতালে কামলাখাটা দিতে হবে- কোন পারিশ্রমিক ছাড়া। বিনিময়ে পাবো একটা ট্রেইনিং সার্টিফিকেট। হাসপাতালে গেছি কালকে সন্ধ্যায়, সারারাত দৌড়ানোর পড়ে আজকে সকাল সাড়ে আটটায় অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে বের হলাম এখন। এইরকম করতে হবে আরো দুই বছর, আরো একটা বা একাধিক জায়গায়। মহাপুরুষেরা বলে বেড়ান খালি পেটে ধর্ম হয় না, কিন্তু খালি পেটে্ যে শিক্ষানবিশীও হয় না এই কথা আমাদের লোলচর্ম চিকিৎসাশিক্ষাগুরুদের কে বোঝাবে। প্রথম দুই মাস অনেকটা হাসিমুখে কাজ করলেও আজকে একদফা ফাটাফাটি হয়ে গেছে আমার ইমিডিয়েট সিনিয়ারের সাথে। কারণ- যাক আর নাই বললাম।

পেছনে ভারী স্বরে কে যেন বলে উঠলো- "সিদ্ধার্থের অনুসারীকে আজকে খুব বিক্ষিপ্ত মনে হচ্ছে?" ঘাড় না ফিরিয়েও বুঝে গেলাম কে কথা বলছে। কলের নীচে মাথা রেখেই বললাম "শুদ্ধধনের পোলাটাও যদি আজকে সামনে আইসা দাঁড়ায়, তাইলে তারও খবরাছে!" হো হো করে হেসে দিলেন অতিথি, আর আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম আমার রাগ পড়ে যাচ্ছে।

আমার পরিবারে অনেকেই রামকৃষ্ণ মিশনের সাথে জড়িত। সেই সূত্রে আপাতদৃষ্টিতে অধার্মিকনরাধমপাষণ্ডবর্বর এবং মনে মনে মুন্ডিতমস্তক এক ক্ষপণকের অনুসারী হওয়া সত্ত্বেও এর সাধুমন্ডলীর অনেকের সাথেই আমার একটু আধটু খাতির আছে, মাঝে মাঝে কেন যেন মনে হয় আমার সাথে হয়ত একটু বেশিই। আজকের অতিথীও এক তরুন সাধু। এনার সাথে প্রায়ই নানারকম বিষয় নিয়ে বাহাস হয়, উনি আমাকে ধর্মপথে নেয়ার চেষ্টা করেন, আমিও তার সন্ন্যাসজীবনের অন্তঃসারশূন্যতা নিয়ে খোঁচা মারতে ছাড়ি না। প্রায়ই আমি হেরে যাই, বলাই বাহুল্য- তবে একথাও মনে করিয়ে দেই যে আসলে আমাদের দুইজনের জীবনাচারণ আসলে একইরকম- ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। উনি বনের মোষ তাড়ান ধর্মের ঘরেরটা খেয়ে, আমি বনের মোষ তাড়াই নিজের বাবার হোটেলে লাঞ্চের পরে।

"রাগ কমলে এদিকে আইসো- কথা আছে"

কথা হলো আর সেই কথা শুনে তো আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো- আনন্দে! সাধু উত্তরাখন্ড হিমালয় পরিক্রমায় যাচ্ছেন, ইচ্ছে করলে আমি তার সহযাত্রী হতে পারি।

ইচ্ছে করলে! ইচ্ছে করলে! ডব্লিউটিএফ! মনে হলো চিৎকার দিয়ে ছাদটা ফাটিয়ে ফেলি। কিন্তু পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিলাম। কারণ আমি ভালোমতই জানি, যত বড় ভক্তমানুষই হোক না কেন- হিমালয়ের দুর্গম তীর্থে কোন বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন বাবা-মাই তাদের ছেলেদের বেড়াতে পাঠাবেন না, তাও আবার এক সাধুর সঙ্গে।

কিন্তু আমাকে বেশ অবাক করে দিয়ে মা একটু ইতস্তত করেও রাজি হয়ে গেলেন। পরে রাতে বাবার কাছে ভয়ে ভয়ে আমার ভ্রমণপ্রস্তাব উত্থাপিত হলো। দেখি তিনিও রাজি। বলেন- ঠিকাছে, এখন তো মোটামুটি ফ্রি- যাও কয়েকদিন ঘুরেই আসো। আমাকে আর পায় কে? রাতের বেলা ঘুমোলাম না, শঙ্কু মহারাজের পাঁচখন্ডের 'হিমালয়' এর উত্তরাখন্ড অংশটা আর ফেলুদার এবার 'কান্ড কেদারনাথে'টা রিভাইজ করলাম।

ফেরত আসার পরে আমার পিতামাতার এই অচিন্তনীয় ঔদার্যের ব্যপারটা বুঝতে পেরেছিলাম, তারা ঘুণাক্ষরেও ধারণা করতে পারেননি আমি কোথায় যাচ্ছি। এর আগে আমি প্রায় একা একাই কয়েকবার দার্জিলিং আর নেপাল গেছি। এইবার দুষ্টু সাধুবাবা আমাদের গন্তব্যের ওপর তাদের শুধু হাল্কার ওপরে ঝাপসা একটা আইডিয়া দিয়েছিলেন (অবশ্যই আমার কুবুদ্ধিতে)- আমরা শুধু তীর্থপর্যটন করতে যাচ্ছি- যেমন হরিদ্বার, হৃষিকেশ ইত্যাদি ইত্যাদি। সময় পেলে কাশী, বৃন্দাবন এইসব ভালো ভালো জায়গা দেখে ফেরা হবে। ছেলের ধর্মকর্মে মতি হবে। পরে আমাদের সফরের মাঝামাঝি যখন তারা ব্যপারটা টের পেলেন যে গঙ্গোত্রী হচ্ছে 'দ্য সোর্স' অফ গঙ্গা, আর কেদারনাথ রুদ্রপ্রয়াগের কাছে নয়, সেখান থেকেও একশ কিলোমিটার দূরে প্রায় বারো হাজার ফিট ওপরের একটা 'শহর'- ততদিনে পাখি অনেকখানি দূরে চলে গেছে।

আপনাদের শুধু এইটুকু বলি- দারুণ অ্যাডভেঞ্চার শেষে ফেরার পরের মাসতিনেক আমার খুবই কষ্টে কাটে। ফ্যাসীবাদি জলপাইপ্রভাবে সোনার খাঁচায় বন্দী থাকা আমাদের দুই মহাননেত্রীর দুঃখটা আমি খুব ভালোমতই টের পেয়েছি। তাঁদের সশ্রদ্ধ প্রণাম। আশা করি ভালো আছেন তাঁরা।

প্রস্তাবনা, পরিকল্পনা, পাপীষ্ঠ সহচরগন এবং 'ভিক্ষা দাও হে পুরবাসী'

সপ্তাহদুয়েকের মধ্যেই যাত্রার পরিকল্পনা শুরু করে দিলাম। অফিসে ছুটির জন্য আবেদন করলাম। কারণ লিখলাম 'ব্যক্তিগত'।চাইলাম তিন সপ্তাহের ছুটি, কিন্তু সেটা টেনেটুনে চার সপ্তাহ করার ইচ্ছা। এইচআর ম্যানেজার অসভ্যের মত জানতে চাইলো একমাস ছুটিতে কি করবো আমি। শান্তভাবে জানালাম- বিয়ে করার প্ল্যান আছে। বদের হাড্ডি আবার বলে- বিয়ে করতে কি এক মাস লাগে। আমি আরও শান্তভাবে জানালাম যে বিয়েটা ভেঙ্গে যাবারও সম্ভাবনা আছে- তাই ব্রেকআপপরবর্তী মানসিক ধকল কাটিয়ে উঠতে হপ্তাচারেক লেগে যাবার কথা। তবে ছয় হপ্তাও লাগতে পারে। পরে পাপীষ্ঠ আর কথা বাড়ায়নি।

এর মধ্যে শঙ্কু মহারাজ, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের বইপত্র পড়ে তামাতামা করে ফেললাম। নীলক্ষেতে সৌভাগ্যক্রমে লোনলি প্ল্যানেটের 'ট্রেকিং ইন ইন্ডিয়ান হিমালয়াস' এর একটা দুইহাজারদুই এর এডিশান পেয়ে গেলাম (অসংখ্য ধন্যবাদ শাহজাহান ভাই!) বিদিততে ঘ্যানঘ্যান করে সুবিধা করতে না পেরে সাগর পাবলিশার্সে অনেকটা চিল্লাপাল্লা করেই একটা 'ভ্রমণ সঙ্গী' নামক সর্বভারতীয় ট্রাভেল গাইড জোগাড় করলাম। নেট থেকে পাতার পর পাতা প্রিন্টাউট নিলাম, আর গুগল আর্থ ছাড়া কি আজকাল আর ট্রাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট হয় নাকি? তখন আমি একটা নাইকন লং জুম পয়েন্ট এন্ড শুটার ব্যবহার করতাম, সেইটার জন্য বাড়তি ব্যটারী আর মেমোরী কার্ড কিনে ফেলা হলো। গান শোনা আমার কাছে নিঃশ্বাস নেবার মতই- তাই একটা দুই গিগার এমপিথ্রি প্লেয়ারও কিনে ফেললাম। ব্যকপ্যাকটা মুচির কাছ থেকে রিইনফোর্সিং সেলাই করিয়ে আনা হলো। কিন্তু এত সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মধ্যেও একটা বিশাল গলদ যে রয়ে গেছিলো তার মূল্য আমাকে পরে হাড়ে হাড়ে(আক্ষরিক অর্থেই)দিতে হয়েছিলো।

এইদিকে আমার বন্ধুবান্ধবেরা মর্সিয়া মাতম শুরু করে দিলো- আমি নাকি বনবাসে যাচ্ছি। কিছু পাপীষ্ঠ, যাদের বন্ধু বলতে লজ্জাবোধ করি- তারা প্রপাগান্ডা ছড়ালো যে আমাকে এই বয়সেও অবিবাহিত রাখার জন্যে আমি নাকি পিতামাতার ওপর অভিমান করে সংসার ছাড়ছি। আর আরেকজন আরেকধাপ এগিয়ে বললো যে আমি যদি আসলেই হিমালয়ের দিকে যাই তাহলে সে নাকি তার নাম বদলে ফেলবে। আমি কিছু না বলে খালি দাঁত কষে প্ল্যান আটলাম, আর কয়েকজনকে মনে মনে আলাদা করে ফেললাম। এদের বুঝিয়ে দিতে হবে আমি ঢাকায় না থাকলেও তারা আমার অশুভ ক্ষমতার আওতার বাইরে থাকবে না। মুহাহাহাহা।

যাই হোক- অল্পস্বল্প হেজিমনির মধ্যে দিয়ে ভিসা পেয়ে গেলাম, ছুটিও হয়ে গেলো। এগারোটা টিশার্ট, চারটে জিনস, দুটো ব্যাকআপ চশমা, একটা অলওয়েদার জ্যকেট আর আমার 'লাকি' নকশীকাঁথা (সাথে মোর দ্যান যথেষ্ট আন্ডারওয়ার আর মোজা) ব্যাকপ্যাকে ভরে আমি তৈরী। বাসের টিকেট করে ফেলেছি- মে মাসের তিন তারিখে। এরপরে বের হলাম পাথেয় সংগ্রহার্থে। যেহেতু আমি তীর্থযাত্রী, তাই মাধুকরীই আমার নিয়তি।

প্রথমে টার্গেট করলাম আমার নানাবাড়ি। তাদের গিয়ে বোঝাতে সমর্থ হলাম যে একটা বিশাল পূন্যসঞ্চয়ের কাজে যাচ্ছি- তীর্থভ্রমণ। আর গঙ্গার তীরে তর্পণ (পরলোকগত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে পূজা) করারও একটা পরিকল্পনা আছে। তাই সবারই উচিত তীর্থযাত্রীকে সর্বতোভাবে সহায়তা করা। সবাই খুব খুশিমনেই সহায়তা করলেন কিন্তু আমার 'হিসেবী' ছোটমামা একটা পাঁচশ টাকার নোট দিয়েই কাজ সারতে চাইলেন। কিন্তু তীর্থভ্রমণান্তে আমার আধ্যাত্মিক শক্তির বৃদ্ধি এবং তার শেয়ার ব্যবসার ওপর বাবা কেদারনাথের আশীর্বাদ - এই জাতীয় কিছু ভগিচগি বোঝানোর পরে উনি খুব করুনভাবে আরো দুটো নোট আমার দিকে এগিয়ে দিলেন।

এমন করে ঢাকাবাসী আমার সমস্ত আত্মীয়স্বজন যখন আমার উৎপাতে অতিষ্ঠ, আমাকে মোটামুটি প্রতি রাতে দুঃস্বপ্নে দেখা শুরু করেছেন আর আমি প্রবাসী স্বজনদেরকেও 'টাকা চাহিয়া পত্র' লেখার পায়তারা কষছি- এমন সময় পিতা আমাকে দুইটা রামধমক দিয়ে বিনাশর্তে কিছু অর্থসাহায্য করতে রাজি হলেন। এখন মোটামুটি সব প্রস্তত। এখন শুধু অপেক্ষা।

মে' মাসের তিন তারিখ- যাত্রার দিন। কিন্তু আমি সাতসকালেই বের হয়ে গেলাম- প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে। এক বহুল প্রচারিত দৈনিকের অফিসে আমার কষ্টার্জিত পাথেয়র কিছু অংশ খরচ করলাম। তার সপ্তাহতিনেক পরে আমি যখন বদ্রীনাথের মন্দিরের সামনে এক রেস্তোঁরাতে বসে নিরামিষ চাওমিনের গুনাগুন বিচার করছিলাম, তখন দেখা গেলো যে আমার সেই নাম বদলাতে চাওয়া বন্ধু সেই বহুল প্রচারিত দৈনিকের তৃতীয় পাতায় তার প্রাক্তন প্রেমিকার প্রতি অনন্ত ভালোবাসার প্রকাশ করছে। আজব! আর তার দুইদিন পরেই আমি যখন কর্ণপ্র্য়াগ নামক জায়গায় ট্রাউট মাছের কাবাব আস্বাদন করছিলাম, তখন আমার আরও তিন বন্ধু নাকি একযোগে যোগ্য পাত্রীদের সন্ধান করছিলো- সেই একই বহুল প্রচারিত দৈনিকের চতুর্থ পাতায়! কি অসম্ভব কাকতালীয় ব্যপার!

দুপুরবেলাটা কেটে গেলো শেষ মুহূর্তের গোছগাছে। মা কোথা থেকে খুঁজে একটা 'ওহ সো আনকুল' একটা উলের টুপি নিয়ে এলেন, আমি মুখ বাঁকা করে সেটা ব্যাগে ভরে ফেললাম, একটু আগেও ওয়েদারআন্ডারগ্রাউন্ড.কমে দেখলাম দেরাদুনের আশেপাশে বেয়াল্লিশ ডিগ্রী তাপমাত্রা। মা'দের নিয়ে আসলেই পারা যায় না। কিন্তু তখন যদি জানতাম, যে আমার মা আসলেই সব জানেন।

রাতের বেলা কলাবাগান থেকে বাস ছাড়বে। আমার তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও বাবা গেলেন বাসে তুলে দিতে। বাসস্টপে পৌছেই শুরু করলেন বিরক্তিকর সব উপদেশ দেয়া, আর আমি হ্যাঁ হুঁ করে শোনার ভান করে একের পর এক চিপসের প্যাকেট খালি করে গেলাম। সহযাত্রী হুজুরও ততক্ষণে এসে গেছেন, দুদ্দাড় করে চড়ে বসলাম বাসে, বিদায় নেবার সময় নেই, পায়ের নিচের সর্ষে তখন মাথায় ভর করেছে। সময়মতই বাস চলতে শুরু করলো- বাবা বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন, আর তখন খেয়াল করলাম তার চোখ মনে হয় ভেজা। ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেলো। কিন্তু বাস সাতাশ নাম্বারের মোড় পেরিয়ে যেতেই ভুলে গেলাম সব। ব্যাকপ্যাকটা সিটের তলায় ঠেলে দিয়ে কানে গুঁজে দিলাম ইয়ারফোন, সেখানে অস্টাশির লেনিনগ্রাদ- ঝড় শুরু করেছেন মাল্মস্টেইন তার ফেণ্ডার নিয়ে। আহ!

The Road goes ever on and on
Down from the door where it began.
Now far ahead the Road has gone,
And I must follow, if I can,
Pursuing it with eager feet,
Until it joins some larger way
Where many paths and errands meet.
And whither then? I cannot say.

- JRR Tolkien, The Fellowship of the Ring, 1954


মন্তব্য

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দারুন হয়েছে শুরুটা, হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে স্থানে স্থানে, যাক আংকেল ব্যাগরা দেন নাই জেনে খুশি হইলাম, আর লেখা যেভাব আগাইতেছে, আশাকরি বেশ লম্বা চওড়া একটা সিরিজ হবে, তাই সচলের পাতায় ঘুরাঘুরি করতেই থাকব পরের পর্বগুলোর জন্যে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওডিন এর ছবি

হে হে মানে আসলে আপনের আঙ্কেল ব্যপারটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেন নাই- তাকে বেশ ভালোভাবেই বিভ্রান্ত করা গেছিলো। তাই সেইরকম আপত্তি করেন নাই, কিন্তু পরে... যাক সেই হেজেমনির কথা অন্যসময়আলাপ করবোনে। খালি ভেবে নেন এখন আমার সমস্ত কার্যকলাপ অত্যন্ত কঠোরভাবে মডারেশন করা হয়। মন খারাপ

বেশি লম্বা হবে না, তবে দেখি কদ্দুর কি হয়। পড়ার জন্য ধন্যবাদ বস!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

তাসনীম এর ছবি

দারুন শুরু, অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্ব গুলোর।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ওডিন এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই! আমিও আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমিও সেটা বুঝতে পারছি একেবারে চা কফি খেয়ে জমিয়ে শোনার মতন বড় লেখা পাচ্ছি। ধন্যবাদ ওডিন।

...........................
Every Picture Tells a Story

ওডিন এর ছবি

চেষ্টা করবো বস! হাসি

আর কাকতালীয় কি না জানিনা, তবে এখন দার্জিলিং চা খাচ্ছি! কেভেন্টার্সের ছাতের কথা মনে পড়ে গেলোরে ভাই।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

তিথীডোর এর ছবি

পরের পর্বে ছবি থাকবে নিশ্চয়ই??
তাহলে এখন থেকেই হিংসাই.... "দি আর্লিয়ার দা বেটার" দেঁতো হাসি

" অফিসে ছুটির জন্য আবেদন করলাম। কারণ লিখলাম 'ব্যক্তিগত'।চাইলাম তিন সপ্তাহের ছুটি, কিন্তু সেটা টেনেটুনে চার সপ্তাহ করার ইচ্ছা। এইচআর ম্যানেজার অসভ্যের মত জানতে চাইলো একমাস ছুটিতে কি করবো আমি। শান্তভাবে জানালাম- বিয়ে করার প্ল্যান আছে। বদের হাড্ডি আবার বলে- বিয়ে করতে কি এক মাস লাগে। আমি আরও শান্তভাবে জানালাম যে বিয়েটা ভেঙ্গে যাবারও সম্ভাবনা আছে- তাই ব্রেকআপপরবর্তী মানসিক ধকল কাটিয়ে উঠতে হপ্তাচারেক লেগে যাবার কথা। তবে ছয় হপ্তাও লাগতে পারে। "
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ওডিন এর ছবি

হুম, আশা করি পরের পর্বে ছবি থাকবে। হাসি আসলে এই লেখাটা এই লেখার ফলোআপ লেখা হিসেবে লিখছি। সেখানে শুধু ছবি ঝুলিয়ে কেটে পড়েছিলাম, সবার তখনকার শাসানির ফল এই লেখাটা। লইজ্জা লাগে

আর হ্যাঁ, ওই ব্যাটা হাড়বজ্জাত ছিলো, ছুটি চাইতে গেলেই এমন ভাব করতো যেনো আমার পাওনা ছুটিগুলো নিজের শরীর থেকে টুকরো করে কেটে দিচ্ছে! আমি ট্রাক চালাতে শেখার পরে পয়লা কাজ হবে ওই লোককে চাপা দেয়া। শয়তানী হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমি ট্রাক চালাতে শেখার পরে পয়লা কাজ হবে ওই লোককে চাপা দেয়া।
হেল্পারের পোস্টটা খালি রাইখেন বস আমার লাইগা। আমি জানলা দিয়া খোমা বাইর কইরা কাডবডি পাল্লায় কইষ্যা থাবড় মাইরা চিল্লাইয়া কমুনে, "ওস্তাদ, ডাইনে লইয়া হালারে চাপা দেন। বায়ে পেলাশটিক আছে অর মায়রে বাপ!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ওডিন এর ছবি

খালি হেল্পার কেলিগা বস? মাঝেসাঝে আপনেও চালাইবেন! আমি জানি আমার মতো আপনেরও 'ট্রাক চালানো শেখার পর যাঁদেরকে চাপা দিতে হবে' নামের একটা লিস্টি আছে! দেঁতো হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

মৃত্তিকা এর ছবি

"ওহ্‌! সো আনকুল!" --- হো হো হো হো হো হো হো হো হো

শুধু ভালো নয়, লেখাটা অসম্ভব রকম ভালো এবং রসাত্মক হয়েছে! এত চমৎকার ভূমিকা পড়বার পর ভ্রমণকাহিনীর জন্য অপেক্ষা না করে যাই কই?

আমার তরফ থেকে অদৃশ্য পাঁচটি তারা দিলাম। লেখা চালিয়ে যেও।
চলুক চলুক

ওডিন এর ছবি

শোনো- সেই রেইনবো কালারড উলের টুপিটা তোমারে পরতে বললে তুমি আত্মহত্যা করতা। তোমারে সেইটার ছবি পাঠাইতেসি দাঁড়াও।

দেঁতো হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

অপেক্ষায়...

দারুণ একটা সূচনা হয়েছে। রসালো বর্ণনা- একটা আকর্ষক ভ্রমণ কাহিনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য মনে হয়া আমার কাছে। পরে নিশ্চয় ছবিও দেবেন ??

শঙ্কু মহারাজের 'হিমালয়' আমার অপরিচিত লাগছে... এটার প্রকাশকাল কত ?? লেখকের বিষয়ে একটু দুই পয়সা বলেন না...

_________________________________________

সেরিওজা

ওডিন এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান ভাই! পরে ছবি দেয়ার ইচ্ছে আছে, দেখিনা কেমনে কি হয়...

শঙ্কু মহারাজ অনেকগুলো ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন, তার মধ্যে বেশ কয়েকটাই হিমালয়ের ওপর। আর তার এই হিমালয়বিষয়ক লেখাগুলোকে একসাথে করে 'হিমালয়' নামে পাঁচ খন্ডের একটা কালেকশন করা হয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলে আজিজের 'তক্ষশীলা' বা সাগর পাবলিশার্সে গিয়ে চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন। অন্তত মাসখানিকের মধ্যে এই দুই জায়গায় আমি বইগুলো দেখেছি।

আর আমার নিজের ধারণা 'শঙ্কু মহারাজ' ছদ্মনামের আড়ালে দুইজন বা কয়েকজন আলাদা আলাদা মানুষ আছেন।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সবজান্তা এর ছবি

০১

ব্লগের কারো সাথেই প্রথম পরিচয়ে, আপনি স্বীকার করতে চান না যে আপনি লিখেন। সবসময়ই বলেন, আপনি শুধুই ব্লগ পড়েন।

০২

আমি এক বিন্দুও বাড়িয়ে বলছি না, এই লেখাটার মতো ভ্রমন কাহিনী (যতোটুকু পড়লাম ততোটুকুর সাপেক্ষেই) আমার মনে হয় না আমি খুব বেশি পড়েছি।

আমার নিজের পাহাড়ের প্রতি একটা ভয়াবহরকমের আকর্ষণ আছে, বিশেষত হিমালয়। তাই আপনার বর্ণনার প্রতিটা লাইনই একদম খুঁটে খুঁটে পড়েছি। সত্যি সত্যিই, এতো পরিমিত বর্ণনা আর লেখার ভঙ্গি, অন্তত ব্লগে আমি কোন ভ্রমন কাহিনীতে পাইনি।

আশা করি, এটা যথেষ্ট বড় একটা ভ্রমন কাহিনী হবে ( অনেক পর্বের), আর সব ক'টা পর্ব এর মতোই সুস্বাদু হবে।

০৩

আবার ফিরে আসি, ০১ এর প্রসঙ্গে। আপনার কি মনে হয় না, এরকম একটা লেখা লিখে ফেলার পরও আপনার নিজের সম্পর্কে এইসব কথা বলাটা একটু খ্রাপ হয়ে যাচ্ছে ?

দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

ওডিন এর ছবি

০১

আমি শুধু ব্লগ পড়ি।
একজন লেখক দুনিয়ার যেকোন জিনিস নিয়ে লিখতে পারেন- এমনকি পাড়ার মুদিদোকানির পেটমোটা ক্যালকুলেটরটা নিয়েও, আমার পক্ষে আমি নিজে বা আমার চারপাশের ঘটনা, যেগুলো আমাকে ঘিরেই ঘটে- শুধুমাত্র এসব নিয়েই লেখা সম্ভব। তাই আমি নিজেকে লেখক হিসেবে কখনোই দাবি করি না। আর আমাকে বড়জোর একজন ব্লগার হিসেবে চালানো যায়। লেখক না।

০২

আচ্ছা! যদি ভাইবা থাকো এক তারেক রে বই কিনা দিসি বইলা তোমারেও দিমু- তাহলে ড্রিম অন ব্রাদার! সেইদিন আমি মাইগ্রেনে ভুগতেছিলাম- বুধিশুদ্ধি লোপ পাইছিলো। কি করতে কি করছি মনে নাই। তারেক রহিমের খবরাছে! রেগে টং

০৩

আমি মূলত পাঠক! দেঁতো হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

বাউলিয়ানা এর ছবি

হা হা.. দারুন শুরু হয়েছে।
চলুক

ওডিন এর ছবি

হ'
এখন ভালোয় ভালোয় শেষ কর্তে পারলে হয়! চিন্তিত
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার হয়েছে। পরের পর্বগুলোর আশায় রইলাম। আর দ্রুত কিছু ছবি আসছে নিশ্চয়ই।

কৌস্তুভ

ওডিন এর ছবি

ধন্যবাদ! পরের পর্বগুলো শিগগিরই লিখে ফেলবো (সেইরকমি আশা) । আর কয়েকটা ছবি কিন্তু আশেপাশে একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন, আপাতত সেইটুকুই থাক নাহয়। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সুরঞ্জনা এর ছবি

মুগ্ধ হয়ে পড়ে গেলাম শুধু। অসাধারণ হয়েছে বর্ণনা দাদাই। হাসি
চলুক

.............................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

ওডিন এর ছবি

তাই নাকি? এটা তো কিছুই না- মূল বর্ণনা তো এখনো শুরুই করলাম না চাল্লু

(স্বগতঃ খাইছে আমারে- সবাই দেখি থাবা পেতে বসে আছে- যাই কই চিন্তিত )
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

s-s এর ছবি

আপনার লেখা এই প্রথম পড়লাম, তাও আমি টলকিনের মুগ্ধ ভক্ত দেখেই লেখা দেখে ঢুকেছিলাম। আগ্রহবোধ জিনিসটা সবাই জাগাতে পারেন না, আপনি পেরেছেন। নিউজিল্যাণ্ডে, যেখানে লর্ড অফ দ্য রিংসের শ্যুটিং হয়েছে, হিমালয়ের মতোই সাদা বরফঢাকা সবুজ মস আবৃত পাহাড়ে গত ইস্টারে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আপনার লেখা পড়ে সেটা নিয়ে লিখতে খুব আগ্রহ বোধ করছি। আপনি এই পাঠকের অভিনন্দন গ্রহণ করুন।

ওডিন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য! আমি নিজেও টলকিনের প্রচন্ডরকমের মুগ্ধ ভক্ত। এতটাই যে আমার কাছে বারো খন্ডের হিস্টরি অফ মিডল আর্থ ও আছে। (ইয়েস! এইখানে একটা শুন্যে হাত ছোঁড়ার ইমো হবে)। তবে কারে কি বলি- আপনে তো নিজেই থাকেন মিডল আর্থে! দেঁতো হাসি

অভিনন্দন চাই না, আপনার লেখা পড়তে চাই!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

দময়ন্তী এর ছবি

এই ট্রিপে কি পঞ্চকেদারও গেসলেন? নাকি কেদার-বদ্রী-গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রী-গোমূখ?
এই আগস্টে যদি ঠিকঠাক ছুটি পাই তো ভ্যালী অব ফ্লাওয়ার্স, নয়ত মানালী-লেহ্-লাদাখ৷ দেখা যাক৷ এই কলকাতা গিয়ে বসলে, খুব বেড়াব৷ নাহলে বড় ছুটি পেলেই দৌড়ে বাড়ী যাই আর কোথায়ও তেমন যাওয়া হচ্ছে না৷

আর ইয়ে, হিমালয়ের জন্য আমি উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের লেখাকে একেবারে এক নম্বরে রাখব৷ বাকীসব পরে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ওডিন এর ছবি

না দিদি, এইটা সেই ভ্রমণ যেটার কিছু ছবি আপনারা আগে দেখেছিলেন। আপনাদের অনেকের শাসানোর কথা মনে করে আর নিজের স্মৃতিক্ষয়ের ভয়ে কালকে হঠাৎ লিখতে বসলাম। দেখি কতদুর কি করতে পারি।

২০১২তে তো অবশ্যিই- প্ল্যান এগিয়ে ২০১১ তেআনার চেষ্টা করতেছি - ইচ্ছা আছে পঞ্চকেদার আর/অথবা হর কি দুন আর ভ্যালী অব ফ্লাওয়ার্স যাওয়ার। আর গেলোবার তো বৃষ্টিতে আটকা পড়ে গোমুখ যেতে পারিনাই। এরপর অবশ্যই যাচ্ছি।

আর লাদাখের কথা না বললেই পারতেন। শুধুমুধু কষ্ট দিলেন। এখন যাই ডেস্কটপে লেহ প্যালেসের ছবি টানাই। মন খারাপ
_______________________________ _______
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

যুধিষ্ঠির এর ছবি

মোটামুটি রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় ফেলতে পেরেছেন পাঠককে। চমৎকার একটা সিরিজের অপেক্ষায়।

আমার সাজেশন হবে ছবি আগেই না দিয়ে লেখাগুলো শেষ করে ফেলার। ছবি দিয়ে ফেললে হয়তো বর্ণনা দেয়ার বা পড়ার আগ্রহ কমে যেতে পারে। ছবি তো থাকছেই পরে দেখার জন্য।

ওডিন এর ছবি

অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার আর উপদেশের জন্য! ছবি সেইরকম হয়ত দেয়া হবে না, চেষ্টা করবো বেশি লেখালেখিরই। কিন্তু একটু ভয়ও পেয়ে যাচ্ছি সবার এক্সপেকটেশান দেখে। দেখি কদ্দুর কি করতে পারি। ইয়ে, মানে...
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রশংসা আগেই অনেকে করেছেন। আমি শুধু পপকর্ন নিয়ে বসে আছি পরের পর্বগুলোর এডভেঞ্চারের অপেক্ষায়! হাসি

- শরতশিশির -

ওডিন এর ছবি

হেহ আমিও অপেক্ষায় আছি- গামলাভরা চানাচুর নিয়ে। দেঁতো হাসি পেয়াজ-মরিচ-ঝালমসলা আর আজিনোমোতো পেয়ে গেছি- কিন্তু টমাটো পাইতেছি না। এখন কেম্নে কি!!! অ্যাঁ
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে,(এইখানে 'কস্কি মমিন' ইমো হবে)! কোথায় চানাচুর-ফুচকা কবে শেষ খেলাম মনে করতে হবে, আপনি আবার ঝাল্মুড়ি মাখায়ে বসছেন (সেটাও বি-রা-ট পছন্দের)। দাদা, এই শাস্তি তো আপনাকে পেতে হবে, ঢাকায় আসলে আপনি চানাচুর-মাখা খাওয়াচ্ছেন, ঠিক তো? চোখ টিপি

- শরতশিশির -

ওডিন এর ছবি

অবশ্যই! নিমন্ত্রণ থাকলো! আর চানাচুর এপিটাইজার হিসেবে থাকবে! হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ফাহিম এর ছবি

১।
মাঝে মাঝে নিজের অতিথি স্ট্যাটাসের উপর রাগে হাত কামড়াতে ইচ্ছা করে। প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও তারা দাগানো গেলো না, আফসোস...

২।
অসম্ভব দূর্দান্ত লেখা, সিম্পলি মাইন্ড-ব্লোয়িং।

৩।
এই সিরিজ ঝুলায় রাখলে খবর আছে কিন্তু...

৪।
আবারও বলি, মাইন্ড-ব্লোয়িং...

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ওডিন এর ছবি

১।
আরে ভাই এইসব তারকারাজি হইলো চরম ভ্রান্ত ধারমা। আমার কাছে অবশ্য আতিথ্যটাই ভালো লাগে- সচলত্বে আবার গতিজড়তায় আটকায় যাবার সম্ভাবনা থাকে। ইনার্শিয়া- দেঁতো হাসি

৩।
রাখবো না। ঠিকাছে?

২। এবং ৪।
এহহে- একটু বেশি হয়ে গেলোনা ভাই? লইজ্জা লাগে

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

খেকশিয়াল এর ছবি

aweসাধারণ!! aweসাধারণ!!

অতঃপর...

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ওডিন এর ছবি

অতঃপর দাঁড়কাক আর খেকশিয়াল একসাথে কাঠমান্ডু হয়ে মানস সরোবর আর কৈলাস দেখতে গেলো। প্ল্যান ঠিকাছে? দেঁতো হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

রেনেট এর ছবি

ওফ!!! কি বলবো!!!!
অসাধারন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না বলার।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ওডিন এর ছবি

প্রায় বছরখানিক ধরেই তো কিছু বলতেছেন না- তাইলে কেম্নে কি? হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অমিত এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায় রাখলেন আর কি। ছবির মত লেখার হাতও চমৎকার।
তবে একটা ক্ষতি করলেন। সকাল থেকেই বৃষ্টি, অফিসে মনও বসছে না। আবার টলকিয়েন ! বাসায় ফিরেই মনে হচ্ছে এক্সটেন্টেড এডিশন-টা নিয়ে টিভির সামনে লেপ মুড়ি দিয়ে বসে পড়তে হবে মন খারাপ

ওডিন এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ! আর পরের পর্বের জন্যে বেশি অপেক্ষা করতে হবে না বলেই আশা করছি।
আর যাক! আজকের পাপের কোটা পূর্ণ করলাম- একজনকে অফিস ফাঁকি দেওয়ানো গেলো! শয়তানী হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

Shizumu Wabishii Tawakemono [অতিথি] এর ছবি

ওডিন লিখেছেন:
হেহ আমিও অপেক্ষায় আছি- গামলাভরা চানাচুর নিয়ে। দেঁতো হাসি পেয়াজ-মরিচ-ঝালমসলা আর আজিনোমোতো পেয়ে গেছি- কিন্তু টমাটো পাইতেছি না। এখন কেম্নে কি!!! অ্যাঁ

একদম ই পাচ্ছেন না ? চিন্তিত

এক কাজ করুন !

তাড়াহুড়ো করে অল্প পর্বে শেষ করুন লেখাটা অথবা পরের পর্ব দিতে দেরি করুন ইচ্ছা করেই......আমি নিশ্চিত এরপর আপনার টমেটোর অভাব দূর হয়ে যাবে আমাদের 'সৌজন্যে'.....খাইছে

ওডিন এর ছবি

খালি কি টমাটো নাকি? ডিম, বাঁধাকপি,জুতা, রান্নাঘরের বেসিন এমনকি কারো দজ্জাল শাশুড়িকেও দেখবো আপনারা আমার দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন! চিন্তিত

এইজন্যেই আজকেই লেখা শুরু করবো ভাবতেছি!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

মামুন হক এর ছবি

উরেব্বাস এতো সাক্ষাৎ লেখক, রসিক বাবা ভোলানাথ!!
আমরা যারা দু এক ফোঁটা ভ্রমণ কাহিনী লিখে নিদারুন আত্মপ্রসাদ ভোগ করছিলাম, দিলেন তাতে জল ঢেলে। ভাই ওডিন আসলেই আপিনি দারুণ লিখেছেন।

অভিনন্দন এবং পরের পর্বের সাগ্রহ প্রতীক্ষায় থাকলাম।

ওডিন এর ছবি

আপনার/আপনাদের সাথে আপনে কার তুলনা করতেছেন? অ্যাঁ
বুঝলাম- রাতের পর রাত না ঘুমায়া আপনার চিন্তাশক্তি মারাত্মকভাবে ব্যহত হইতেছে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ঝাক্কাস!!
চা পান শেষ করে ( যদিও লেখেন নাই চা এর কথা তাও ধরে নিলাম আর কি দেঁতো হাসি ) ঝটপট পরের পর্ব দিন হাসি
---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

ওডিন এর ছবি

ইয়ে মানে - ভাইরে চা পানটান কিছু না- পরের পর্ব তো লেখাই হয় নাই! চিন্তিত লিখে ফেলেই দিয়ে দিবো। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

তানভীর এর ছবি

কেদারনাথ জায়গাটা তো দারুণ মনে হচ্ছে। আমিও অপেক্ষায় থাকলাম।

ওডিন এর ছবি

ধন্যবাদ তানভির ভাই! দেখি কদ্দুর কি হয়। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ওডিন এর ছবি

কুনটা চলবিনানে? লেখালেখি? ঘুরাঘুরি? চানাচুর? ওঁয়া ওঁয়া
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সরস লেখার ধরণ ভাল লাগল খুব। আশা করি ২০০৭-এর ভ্রমণকাহিনী লিখতে গিয়ে কোনো ইন্টারেস্টিং ঘটনা ভুলে যাবেন না। কিছু ছবির অপেক্ষায় রইলাম। অবশ্য এখানকার জনতা আবার ছবি দিলে আর লেখা সঙ্গে দিতে বারণ করে... খাইছে

কৌস্তুভ

ওডিন এর ছবি

ধন্যবাদ! আর যাতে সব ইন্টারেস্টিং ঘটনাগুলো ভুলে না যাই এইজন্যেই এটা লিখতে বসা। ছবি দেয়ার ইচ্ছে আছে, আর কিছু ছবি আপনি আশেপাশে একটু খুঁজলেই পেয়ে যেতে পারেন। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

মুস্তাফিজ এর ছবি

অবশ্য এখানকার জনতা আবার ছবি দিলে আর লেখা সঙ্গে দিতে বারণ করে...

ব্যাপারটানিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কিছু নেই। সিদ্ধান্তটা ছিল শুধু আমার বেলায়। আমার লেখায় বানান ভুল প্রচুর, ব্যাকরণ গত ভুলও থাকে। কিন্তু ছবি দেই বলে সবার চোখ থাকে সেদিকে, লেখার ভুল নিয়ে কিছু বলেনা, তাই আমি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এখানে ওডিনের বেলায় সেটা খাটেনা, উনি আমার চাইতে ভালো লিখেন।

...........................
Every Picture Tells a Story

কাকুল কায়েশ এর ছবি

খুব চমৎকার একটা ভ্রমনকাহিনী হচ্ছে! দারুন মজা পেলাম পড়ে!

এমন করে ঢাকাবাসী আমার সমস্ত আত্মীয়স্বজন যখন আমার উৎপাতে অতিষ্ঠ, আমাকে মোটামুটি প্রতি রাতে দুঃস্বপ্নে দেখা শুরু করেছেন আর আমি প্রবাসী স্বজনদেরকেও 'টাকা চাহিয়া পত্র' লেখার পায়তারা কষছি

এটা পড়ে হাসি থামানো খুবই কষ্টকর, এততো মজা করে লিখেছেন! আমার হাসি থামছেনা কিছুতেই...কি করি?

যাই হোক, পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। আপাতত ছবি চাচ্ছিনা কোন, যাতে উপরোক্ত উদ্ধৃতির মত কিছু লেখা মিস্ হয়ে না যায়!

====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

ওডিন এর ছবি

সতের হাজার টাকার মতো আদায় করেছিলাম- খারাপ না কি বলেন? খাইছে

আর পড়ার জন্য ধন্যবাদ! কষ্টকর হাসি থামানোর জন্য খুব কার্যকরী একটা উপায় আছে- আজকাল আমি মোটামুটি অর্থকষ্টে আছি, আমাকে কিছু টাকাপয়সা মানিঅর্ডার করে পাঠায় দেন! আপনার হাসি সাথে সাথে থেমে যাবে- (অবশ্যি এই কমেন্ট পড়ার পরেও সেটা হবার কথা) শয়তানী হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

কাকুল কায়েশ এর ছবি

কমেন্টটাই যথেষ্ট - মুখটা একদম প্যাঁচার মত হয়ে গেছে!

যাই হোক, আপনার অর্থকষ্ট লাঘবে কিছু করতে পারলে আমার নিজেরই বেশ ভাল লাগবে। আপনি তাড়াতাড়ি গল্পটা শেষ করেন, আর আমি এদিকে চিন্তা করছি কিভাবে আপনাকে সাহায্য করা যায়!

উমম্, ত্রান-তহবিল খুলে ফেলব নাকি একটা আপনার নামে? (আপনার অনুমতি সাপেক্ষে আমার অ্যাকাউন্ট নম্বরটা এই মহৎকার্যে ব্যবহার করতে আমার কোন আপত্তি থাকবে না!) হাসি

======================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

বোহেমিয়ান এর ছবি

জোশিলা !
পাঁচ তারা দিবার পারলাম না ! আফসুস!

পরের পর্ব জলদি চাই, মূলত পাঠক! চোখ টিপি চানাচুর হাতে বসে আছি!
সিরিজ খানা একটু বড় কইরেন ।

__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

ওডিন এর ছবি

হেহে থ্যাঙ্কস! পরের পর্ব যতটা সম্ভব দ্রুতই দিবো- তবে বস একজন চানাচুরপ্রেমিক মানুষ হিসেবে বলতেছি মুচমুচে চানাচুরটা এখনি হাত না রাইখা একটা এয়ারটাইটা ডিব্বায় রাখেন- মিইয়ে যাবার একটা সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে। চিন্তিত
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

বর্ষা এর ছবি

চরম ভালো লাগলো। লেখার হাত তো মারাত্তক আর বর্ণনাভঙ্গি কি বলবো----অপেক্ষায়।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

ওডিন এর ছবি

ধন্যবাদ! ধন্যবাদ ! হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

কী ব্যাপার? আপ্নে কই? একসাথে কমেন্টাবো এইজন্যে বসে আছি আর আপনি মিয়া চানাচুর খান? আপনার চানাচুর খাওয়া বাইর করতাসি... রেগে টং তাত্তাড়ি লেখা দ্যান মিয়া... :|

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ওডিন এর ছবি

চানাচুর না রে ভাই, আল-রাজ্জাকে গেছিলাম মোরগ পোলাও খাইতে- দেঁতো হাসি কইষা খাওয়াদাওয়া করে আইসাই লেখতে বসছি। আজকেরটা শেষ। বানান চেক করেই দিয়ে দিবো।

কিন্তু যা ভাবতেছিলাম তার থেকে দেখি বড় হয়ে যাচ্ছে লেখা। লিখতে শুরু করলেই দেখি অনেক কিছু আবার মনে পড়ে যাচ্ছে। কতশত 'টুকরো স্মৃতি' যা ভুলে গেছিলাম। খাইছে আজব! লোকজন এখন বিরক্ত না হইলেই হয়।

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম চরম চরম!!
অনেকদিন ইরাম জোশিলা ভ্রমণকাহিনী পড়ি নাই।
ভ্রমণকাহিনীর সাথে সাথে দোস্তদের অপদস্ত করার বুদ্ধিটাও সিরাম। মাথায় ঢুকায়ে রাখলাম.. ভবিষ্যতে কাজে লাগতারে!!! চোখ টিপি ;)

- মুক্ত বয়ান

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসাধারণ! কিন্তু পরের পর্ব কই? চিন্তিত

দ্রোহী এর ছবি

ট্রাভেলগ সিরিজটা আগে কখনো পড়িনি। পঞ্চম পর্ব পড়ে প্রথম পর্বে এলাম।

আপনার ট্রাভেলগের মুগ্ধপাঠক হলাম। আপনার রসবোধ অসাধারণ রকমের ভালু।


কি মাঝি, ডরাইলা?

ওডিন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ দ্রোহী'দা! হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।