পরিক্রমাঃ দ্য ট্রাভেলগ [দ্বিতীয় পর্ব]

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: শনি, ০৬/০৩/২০১০ - ১০:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

...For I must be travelling on now
there's too many places I gotta see
And if I stay here with you girl
things just wouldn't be the same....

-Lynyrd Skynyrd, Pronounced 'Lĕh-'nérd 'Skin-'nérd', 1973

ভোর, কুয়াশা, প্রহরী আর পারাপার

পৌরাণিক বইপত্রে পড়ি কিছু কিছু মহামানবের নাকি ইচ্ছামৃত্যুর ক্ষমতা ছিলো। মানে তাঁরা ঠিক অমর নন, কিন্তু নিজেদের মৃত্যুর সময়টা ইচ্ছেমতো নির্ধারন করতে পারতেন। আজকালকার দিনেও এইরকম অনেক মহাপুরুষ আছেন যাদের 'ইচ্ছানিদ্রা'র ঈর্ষনীয় ক্ষমতা আছে। মানে তাঁরা ইচ্ছেমতো যেকোন জায়গায়, যেকোন পরিস্থিতিতে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। কানের কাছে বারশো ডেসিবেলে কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজালেও মনে হয় তাদের ঘুমের কোন সমস্যা হয় না। আর চলন্ত বাস বা ট্রেনে তো কথাই নাই। দুর্ভাগ্যবশতঃ আমি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন নই। অন্যসব রাতেও আমি ইনসমনিয়ায় ভুগি- আর আজকে তো কথাই নেই। আমার আশেপাশের সমস্ত সহযাত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। খালি আমি একলাই মনে হয় আধ অন্ধকারে ড্যাবড্যাবিয়ে চেয়ে আছি। আর আমার সামনের দুই ভদ্রলোক তাদের নাসিকাদ্ব্য়ের সাহায্যে এমন ঐকতান সৃষ্টি করেছেন যে ইয়ারফোনের এরিক জনসনও সেটাকে ছাপিয়ে যেতে পারছে না। এই শব্দসন্ত্রাসের মধ্যে ঘুমোয় কার সাধ্য?

মে মাসের একদম প্রথমদিকের রাত হওয়া সত্ত্বেও কেন জানি হাল্কা কুয়াশা পড়েছে। এইরকম কুয়াশার মাঝেই ভোর হবার বেশ আগেই আমরা বেনাপোল পৌছে গেলাম। বাস থেকে নেমে একটু হাঁটাহাটি করতে করতে অনেক অনেকদিন পরে একটা সূর্যোদয় দেখা হয়ে গেলো। কে জানি কবে কোথায় বলেছিলো দুনিয়ার সবচে' সুন্দর এবং বিনেপয়সায় উপভোগ্য দৃশ্যের মধ্যে সূর্য ওঠার দৃশ্য নাকি এক নম্বরে। সেই পাপীষ্ঠের সাথে একমত প্রকাশ করলাম।

আমি এর আগে তিনবার সড়কপথে বর্ডার ক্রস করেছি- দুইবার দার্জিলিং আর একবার সিকিম যাওয়ার সময়- কিন্তু প্রত্যেকবারই রংপুরের বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে। বেনাপোলে এই প্রথমবার আসা। স্পষ্টতই সেখানকার তুলনায় এটা বেশ জমজমাট, এইজন্য ঝামেলাও মনে হয় বেশি। সাধুবাবাকে বাস স্টপে বসিয়ে আশেপাশে একটু ঘুরে দেখতে গেলাম, ছয়টার দিকে ফিরে দেখি উনি খেপে ভোলানাথ হয়ে আছেন। কারণটা চোখেই দেখতে পেলাম- এর মধ্যেই ইমিগ্রেশনে বিশাল লাইন শুরু হয়ে গেছে- যদিও অফিস খুলবে নয়টার পরে। হুজুর এখানেই পরোটা-ডিম খাবার পায়তারা করছিলেন- সেটা আপাতত স্থগিত রাখতে হলো। বোঁচকাবুচকি কাঁধে নিয়ে আমরাও দাঁড়িয়ে গেলাম। তখন কেয়ারটেকার সরকারের আমল। ঢাকায় শুনে এসছি যেহেতু আর্মির লোকজন এখন বর্ডারে ঘোরাঘুরি করে তাই টাকাপয়সা দেবার কোন ঝামেলা এখন নাকি নেই। আর ওইদিকে বিএসএফও নাকি এখন আর ট্যাঁ-ফো করে না।

যাই হোক- একসময় ইমিগ্রেশন অফিস খুললো- আমাদেরও ডাক পড়লো একসময়। সেখানে কাজ শেষ করে কাস্টমসের পালা, সেইখানে গিয়ে একটু হতাশই লাগলো- কারন কেউ আমার ব্যাগ খুলেও দেখলো না। কিন্তু পাসপোর্ট ফেরত দেবার সময় কাস্টমসের ভদ্রলোক তার চোখদুটো খুব আজবভাবে নাড়ালেন- আমি একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম, তিনি আবার সেই কাজ করলেন- আর সাথে এবার তার বাম কাধটাও নাড়ালেন। ভুদাই আমি যখন তখনো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েই আছি, তখন বাম দিক থেকে সাধারণ পোষাক পরা আরেক ভদ্রলোক, যিনি ঘরের এককোনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এসে নিচুস্বরে বললেন 'বস- দুইশ টাকা দিতে হবে'। আমি পিছনে সাধুবাবার দিকে তাকালাম- উনি সন্ন্যাসিসুলভ উদাসীনতা নিয়ে বললেন- কি আর করবা, দ্যা-ও। আমারটাও দ্যা-ও। দিলাম। টাকাগুলো নিলেন পরে আসা সেই ভদ্রলোক, আর তখন প্রথমবারের মত খেয়াল করলাম যে সবাই একটু চুপেচাপে টাকা দিচ্ছে তার কাছে। উনি আসলে কালেক্টরগোছের কিছু একটা হবেন। আশেপাশে আর্মির লোক থাকায় এখন টাকাটা সরাসরি না নিয়ে একটু রেখেঢেকে নেয়া হচ্ছে।

বর্ডার ক্রস করে ইন্ডিয়ান কাস্টমসে এইরকম কিছু হলো না- কিন্তু পরে ফিরে আসার সময় সেখানে দুইশ রূপি করে দিতে হয়েছিলো। আবার বিডিআরকে সেবার কিছু দিতে হয়নি। দেশে আসার অনেক পরে আসল ঘটনা জানতে পারি। টাকা দুইপাশেই সমঝোতার ভিত্তিতে একবার করে নেয়া হয়- এবং এই টাকাটা নাকি সমঝোতার ভিত্তিতে ভাগাভাগিও করা হয়। কদ্দুর কি সত্য না মিথা জানি না- তবে সেই কাস্টমস অফিসারের মত অমনভাবে চোখ নাড়াতে আমি আজ পর্যন্ত কাউকে দেখিনি।

অপর্যাপ্ত প্ল্যানিং এর প্রথম খেসারত এবং একটি ক্রায়োজেনিক কমপার্টমেন্ট

So I left that town, Lord with my guitar in my hand
Still cold and tired, kinda mad at the man
But this life that I chose to live, sometime's strange
See I'm trying to learn about the old music from ridin' the train

-Lynyrd Skynyrd, Railroad Song, 1975

আমাদের প্রথম যেই সমস্যায় পড়তে হলো তা হচ্ছে রিজার্ভেশনের সমস্যা। ঢাকা থেকে আজকাল অনেক আগেই ইন্ডিয়ান রেলওয়ের টিকেট করা যায়- কিন্তু বেশি পাকনামি করতে গিয়ে সেটা করা হয়নি। আমাদের মূল যাত্রা শুরু করতে হবে হরিদ্বার থেকে- আর কলকাতায় খোজ নিয়ে দেখি সেখানে যাওয়ার জন্য কোন ট্রেনের টিকেট আগামী সপ্তাখানেকের মধ্যে পাওয়া যাবে না। এখন রেলওয়ের অফিস থেকে পাসপোর্ট দেখিয়ে ট্যুরিস্ট কোটায় টিকেট নিতে হবে। ফেয়ারলী প্লেস নামক প্রচন্ডরকমের আনফেয়ার এক অফিস থেকে টিকেট পাওয়া গেলো- দুন এক্সপ্রেসের- কিন্তু শুধুমাত্র যাওয়ার জন্য। আমাদের ফেরার প্ল্যান প্রায় মাসখানিক পর- কিন্তু ওইসময়ের কোন টিকেট নেই। অনেক গবেষনার পরে বের করা হলো যে আমরা যদি কোনভাবে কাঠগোদাম পর্যন্ত নিজেদের নিয়ে আসতে পারি তাহলে সেখান থেকে বাঘ এক্সপ্রেস ধরে ফেরত আসা যাবে। আর নাহলে রিজার্ভ ফান্ড ঝেড়েঝুড়ে দিল্লী গিয়ে প্লেনে করেও চলে আসা যাবে। এইরকম প্ল্যান করে আমি একটু শহরটা হেঁটে দেখতে বের হলাম। পুরনো কলকাতার অলিগলিতে সারাদিন হেঁটে বেড়ালাম আর আবিষ্কার করলাম আমাদের ঢাকায় আর কিছু না হোক এয়ার পলিউশন আসলেই কম। সিএনজিকে ধন্যবাদ!

স্টেশনে গিয়েই প্রথম কাজ হলো বুকস্টল থেকে উত্তরাখন্ডের তিনটা রোডম্যাপ আর ফ্ল্যাশলাইটগুলোর জন্য যথেষ্ট পরিমান ব্যাটারি কিনে ফেলা। তারপর নিজেদের সীট খুজে বের করতেই বেশ কিছুক্ষন লেগে গেলো। টু টীয়ার বার্থের কুপেতে নীচের দুটো সিট আমাদের এবং সহযাত্রী দুই বুড়োবুড়ি। আমার মনটা একটু দমে গেলো। ব্যক্তিগত জীবনে আমি কেনো যেন সিনিয়ার সিটিজেনদের ঠিক পছন্দ করে উঠতে পারি না। কিন্তু বুড়োবুড়ির পক্ষে কোনমতেই ওপরের বার্থে ওঠা সম্ভব না, তাই সাধুবাবার খুব একটা ইচ্ছে না থাকলেও তাকে অনেকটা জবরদস্তি করেই ওপরে তুলে দিলাম। পরে যখন আমি ওপরে ঘাটি গাড়তে যাচ্ছি তখন খেয়াল করলাম এয়ারকুলারের ভেন্ট থেকে সরাসরি আমার মুন্ডুর ওপর বাতাস এসে পড়ছে। এখন এখানে আপনাদের বুঝতে হবে এই ট্রেনের এয়ারকুলারের বাতাস শুধু ঠান্ডা না- প্রচন্ড ঠান্ডা! কোনরকম রেগুলেটার বা এইরকম কিছু চোখে পড়ছে না। বাইরে আটত্রিশের মতো টেম্পারেচার ছিলো সেইদিন, তাই ভেতরে ভালোই লাগতেছিলো- কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম সারারাত এই সরাসরি হিমশীতল বাতাসের মধ্যে থাকতে হলে সকালবেলায় আমাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যাবে। এখন উচ্চ হিমালয়ের কোন হিমবাহে জমে মৃত্যুবরন করলেও একটা কথা- কিন্তু এই ট্রেনের মধ্যে এইরকম হওয়া খুব অপমানজনক ব্যপার হবে।

যদিও আমার ক্লিনিক্যালি রেকর্ডেড আইকিউ আটান্ন, আমি দেখেছি মাঝে মাঝেই আমার মগজে পাওয়ারসার্জের মতন হয়ে যায়- ইম্পালসগুলোর ডিসচার্জ মনে হয় একটু বেশিই হয় (পড়ুন বুদ্ধি 'ঝাঁকি দিয়া উঠে') । এখনো এইরকম একটা ব্যপার ঘটলো। আমার কাছে একরোল ডাক্ট টেপ ছিলো। আর আমার সহযাত্রী বুড়ো কয়েকটা সিনেমার ম্যাগাজিন(!!) কিনেছিলেন। তার থেকে একটা ম্যাগাজিন চেয়ে নিয়ে ভেন্টের ওপর টেপ দিয়ে একেবারে ক্রিসক্রস করে কষে আটকে দিলাম। টেক দ্যাট ইউ ডাম্ব স্টিল বিস্ট! তন্ময়-১, দুন এক্সপ্রেস-০ । শুন্য! মুহুহুহু!

এরপরের যাত্রা মোটামুটি নির্বিঘ্নেই কাটলো। প্রত্যেকটা স্টপেজেই আমি নামলাম- চা খেতে আর হাঁটাহাটি করতে। প্রত্যেকবার সাধুবাবা চেঁচামেচি করলেন। প্রত্যেকবারই আমি তাকে আমার মায়া ত্যাগ করে নির্বিকারভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করতে বললাম। তবে লখনউ স্টেশনে অবশ্য একটুর জন্য ট্রেন মিস করতেছিলাম। আর দিনের বেলা দুই কম্পার্টমেন্টের মাঝে বসে গান শুনে আর আশেপাশের দৃশ্য দেখে সময়টা খারাপ কাটেনি।

তবে এইসময় আরেকটা ইন্টারেস্টিং জিনিস আবিষ্কার করলাম। আমার হিন্দিভাষাজ্ঞান একেবারে শূন্যের কাছাকাছি! বুঝতে একটু আধটু পারি কিন্তু বলতে একেবারে কিছুই পারি না। এর একটা কারন হতে পারে যে আমি এর আগে খালি দার্জিলিং বা এর আশেপাশেই গেছি- সেইখানে বাংলা বা ইংরেজি দিয়েই খুব ভালো কাজ চলে গেছে। ভরসা করেছিলাম আমার সহযাত্রীর ওপর- হয়তো উনি কিছু না কিছু হিন্দি জানবেন, কিন্তু দেখা গেলো তার হিন্দি ভোকাবুলারি মোটামুটি শেয়ালের স্ট্যান্ডার্ডের। 'কেয়া হুয়া'- এর চে' বেশি কিছু তার পক্ষে বলা সম্ভব না। আর আমি তো ইশারাবাজিতে মোটামুটি কাজ চালিয়ে নিতে পারি- উনি একবার কমলা কিনতে গিয়ে মুখে বলেন পাঁচ (বিকটস্বরে- যেনো খুব জোরে বললেই ভাষার বাধা ভেঙ্গে বিক্রেতার কাছে তথ্যটা পৌছে যাবে!) আর আঙ্গুল দেখান তিনটা। ফলে ইন্টারপ্রেটরের কাজটা বেশিরভাগ সময় আমাকেই করতে হয়েছিলো। এই নিয়ে কিছু মজার ঘটনাও আছে যেগুলো যথাসময়ে বলা যাবে।

এইরকম সব হেজিমনির করে প্রায় আটত্রিশ ঘন্টা পরে আমরা দুইজন এক সুন্দর সকালে হরিদ্বার স্টেশনে নামলাম। আর বোঁচকা কাধে নিয়ে বাইরে এসেই দুরে দেখতে পেলাম আবছা ধূসর পাহাড়ের দল। শ্বাসরোধী গরমটাও মনে হয় নেই। স্টেশনের বাইরে দেখি নতুন নতুন চেহারার সব লোকজন, কয়েকটা ঘোড়ায় টানা গাড়ি, পাশেই দেখি একটা উদাস উট আর বেশ কয়েকটা বিষন্ন গরু আর বিষন্নতা নিয়ে পায়চারি করছে। এখনই মনে হয় প্রথমবারের মতো বুঝতে পারলাম আমি এখন বাড়ি থেকে অনেক অনেক দূরে- একেবারে নতুন একটা দেশে। আমিও একটু বিষন্নতায় আক্রান্ত হলাম কি?

জোর করে এইসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে, লম্বা করে একটা শ্বাস নিয়ে ব্যাকপ্যাকের স্ট্র্যাপটা আরেককটু শক্ত করে বেঁধে স্টেশনের বাইরের ঝকঝকে রোদের দিকে পা বাড়ালাম।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরাই হেজিমোনি দেখি। তবে আপনার লেখনীতে কোনো হেজিমোনি নাই। ঝরঝরে সরস লেখা। চালিয়ে যান ভাই।

কৌস্তুভ

ওডিন এর ছবি

হাহাহা! অবশ্যই বিশাআআল হেজিমনি! (ফ্যাসীবাদি সাইটের কল্যানে এই শব্দটা অচিরেই বাংলাভাষায় পাকাপাকি স্থান করে নিবে বলে মনে হচ্ছে) দেঁতো হাসি

কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

বাউলিয়ানা এর ছবি

একটানে পড়ে ফেল্লুম এবং লাইক কর্লুম।
চলুক..আর লেখাতে চলুক

ওডিন এর ছবি

'লাইক' করার জন্য ধন্যবাদ বাউলিয়ানা ভাই! হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আহা! এরাম যদি লেখতাম পারতাম! খুব তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। নিচে চলবে নাই, কিন্তু আশাকরি ৩-৪ দিনের মধ্যেই ৩য় পর্ব আসছে, নাকি? আর কি কমু, নিজে যাইতে পারুম না হয়ত কোনদিন, তাই লেখা পইড়াই খায়েশ মিটাই

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওডিন এর ছবি

ধুর! কি যে সব কন না বস!
পরের পর্ব অচিরেই লিখে ফেলবো। কিন্তু লিখতে গিয়ে দেখতেছি অনেক জিনিস নতুন করে মনে পড়তেছে। তাই লেখাটা মনে হয় একটু বড় হয়ে যাচ্ছে। কি করবো বুঝতেছি না- আসলে কতশত 'টুকরো স্মৃতি যা কখনো ভুলা যায় না' চোখ টিপি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ওরে দুষ্টু,

'টুকরো স্মৃতি যা কখনো ভুলা যায় না'
, পুরাই কোপানি, গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

সিরাম!! চলতে থাকুক!!
---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

ওডিন এর ছবি

চলার আশাই করছি- দেখি কি হয়। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সবজান্তা এর ছবি

আপনার এই মহাপুরুষীয় (পুরীষ কই নাই কিন্তু দেঁতো হাসি :D ) লেখার কারণ কি ওই দীর্ঘদিনের সাধুসঙ্গ, তীর্থবাস ? [ সোজা বাংলায় আপনি এমন অতিমানবীয় ভাবে লিখেন ক্যামনে ! ]

আমি কিন্তু সত্যি সত্যি ঈর্ষাণ্বিত হইলাম. এতো চমৎকার হিউমার আপনার বর্ণনার মধ্যে- পুরো ভ্রমন কাহিনীটাই মনে হচ্ছে আমার চোখের সামনে।

চলতে থাকুক- থামে না যেন ...


অলমিতি বিস্তারেণ

ওডিন এর ছবি

দীর্ঘদিনের সাধুসঙ্গে আমার কি পরিবর্তন হইছে জানি না- তবে সেই সাধু নাকি শুনলাম সঙ্ঘ ছেড়ে দেবার পায়তারা কষছে। চিন্তিত
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

লেখা খুবভালু।

ওডিন এর ছবি

গুরু গুরু বস!
বিশ্বাস করেন- আমি লেখার সময় এই গানটা কথাই ভাবতেছিলাম- আর মেটালিকার করা কভার ভার্সনটা শুনছিলাম। কোট করতে চাইলে এই গানের কথা পুরোটাই কোট করা যায়।

আপনি লিনার্ড স্কাইনার্ডের ভক্ত জেনে খুবই ভালো লাগলো। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

দ্রোহী এর ছবি
তিথীডোর এর ছবি

উদ্ধৃতি
"তন্ময়- ১, দুন এক্সপ্রেস- ০"
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

পরের পর্ব চাই, তাত্তারি...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ওডিন এর ছবি

হেহহে, ধন্যবাদ!
পরের পর্ব আসতে দিনপাঁচেক সময় লাগতে পারে।এক ফ্যাসীবাদি সংগঠনের চাকরি করি কি না। ইয়ে, মানে...
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অতিথি লেখক এর ছবি

সিরাম সিরাম। আগের পর্বের মতই রসালো।
ডাক্তারদের রস-কষ একটু কম থাকে বইলা যে প্রচলিত ধারণা, সেইটা তো আপনে ভ্রান্ত প্রমাণিত করার পণ করছেন!!! চোখ টিপি

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

- মুক্ত বয়ান

ওডিন এর ছবি

আমি কিন্তু সেইরাম কোন ডাক্তার না। তাই ভয়ের কোন কারন নাই। দেঁতো হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এয়ারকুলারের ভেন্ট নিয়ে এতো পাড়াপাড়ির কি খুব দরকার ছিলো? সেদিকে মাথা না দিয়ে উল্টো দিকে মাথা দিলেই তো ল্যাঠা ফিফটি পারসেন্ট সল্ভড! তারপর গায়ে কাঁথা-কম্বল তুলে দিয়ে বাংলা 'দ'য়ের মতো করে আধা পেচিয়ে শুয়ে পড়তেন। এক ঘুমে রাইত কাবার!

রাজধানী এক্সপ্রেসে একবার উঠতে হয়েছিলো। টিকেট পেতে মহা জটিল হেজিমোনি করতে হয়েছে কলকাতা শহরে। রমেশ বলে এক ভদ্রলোক ছিলেন, আমার কম্পার্টমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। ভদ্রলোক বেশ ভালো আংরেজী জানতেন। আমার তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। আর কোনো এক বিচিত্র কারণে ভদ্রলোক আমাকে বেশ সমীহ করেছেন, যেটা এতোটা আশা করি নাই হয়তো।

ফেরার পথে অবশ্য ঝামেলা হৈছে। চারজনা বার্থে এক জাপানী পড়েছিলো একই কামরায়। শালার মোজায় ছিলো বিকট কাঁঠাল চাঁপার গন্ধ! সেই গন্ধে কলকাতা আসতে আসতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। সেই ট্রেনে সার্ভিসও খুব বাজে ছিলো।

বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে একবারই সড়ক পথে বর্ডার ক্রস করেছি। তারপর কানও ধরেছি। এই পথে আর না! অনিয়মের চূড়ান্ত। মেজাজ ঠিক রাখা দায়। হাউকাউ না করে থাকা কঠিন আবার করলে আরও পেরেশানি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ওডিন এর ছবি

দুইবার- তাই মুছে দিলাম
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ওডিন এর ছবি

প্রথমে আমি তাই করছিলাম, কিন্তু সেইদিকে রেলিং টাইপের একটা জিনিস ছিলো যেটা একটু পর পরই মাথায় টোকা দিচ্ছিলো- আর সেইদিকে আবার একটা পর্দামত জিনিসো ছিলো যেইটা ভয়াবহ নোংরা! আর পরে উলটোদিকে শুলেও অবশ্য আমাকে 'দ' হয়েই থাকতে হয়েছিলো।

গন্ধের কথা আর কইয়েন নারে ভাই, ডিসেম্বরে আমি যখন উদয়পুর থেকে জয়পুর আসছিলাম আমারও এইরকম একটা ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। এক ফরাসী গন্ধমাদন ছিলেন আমার নিচের বার্থে। পরে আমি একটা মাফলারের মধ্যে ডিওডরেন্ট স্প্রে করে সেইটা মুখে জড়িয়ে শুয়েছিলাম। ইয়ে, মানে...

বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে সেইবারই মনে হয় আমার শেষ যাওয়া- কারন এর পরের দুইবারই কলকাতা পর্যন্ত প্লেনে গেছি। প্লেনে এখন খরচো অনেক কমে গেছে। এয়ারলাইনসগুলোর ফেয়ার-ওয়ারের কারনে মোটামুটি সাড় পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে টিকেট পাওয়া যায়, একটা দিনও বাঁচে।

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

খুব কম জনই পারেন বর্ণনার ভারে ভারাক্রান্ত না করে অথবা বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানোর চেষ্টা না করে ভ্রমণকাহিনী লিখতে। আপনি সেই কম জনদের একজন। একটু আলসেমী ত্যাগ করে, আরেকটু কম বিরতিতে লিখে গোটা ভ্রমণটা নামিয়ে দিন। উত্তর ভারতের ঐ অংশ ভ্রমণ নিয়ে বাংলাদেশের কারো দীর্ঘ রচনা বা বই দেখিনি। এই ঘাটতিটা আপনি পূরণ করতে পারেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ওডিন এর ছবি

আমার ওপর এত আশা রাখছেন দেখে একটু ভড়কে গেলাম! চিন্তিত আপনাদের আশকারা পেয়েই তো সাহস করে এইসব লিখে ফেলি। দেখি কতদুর যেতে পারি, তবে আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো। আর লেখার মাঝের বিরতির ব্যপারে আসলে আমার কিছুই করার নেই। এইসব চাকরি-কাজকর্ম (তার ওপর পড়ালেখা) আর ভালো লাগে না- তারপরেও অনেক সময় দিতে হয় সেইসবে।

পড়ার আর উপদেশের জন্য কৃতজ্ঞতা। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

মুস্তাফিজ এর ছবি

বর্ডারে টাকা ভাগাভাগির গল্প আমিও শুনেছি।
পড়তে আরাম লাগছে আগের মতই।

...........................
Every Picture Tells a Story

ওডিন এর ছবি

আমিও আগে শুনেছিলাম, কিন্তু দেখলাম সেইবারই প্রথম! বুড়িমারিতে কিন্তু আমার এই অভিজ্ঞতা হয়নি।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ! হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

চমৎকার বর্ণনা ... দারূণ মজা লাগলো পড়ে দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

ওডিন এর ছবি

ধন্যবাদ কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাই! হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

যুধিষ্ঠির এর ছবি

প্রথম পর্বে অনেক প্রত্যাশা তৈরী হয়ে যাবার কারণেই কি না জানি না, এ পর্বটা অতটা জমে উঠলো না। কেমন একটু তাড়াহুড়ো করেছেন বলেও মনে হলো কয়েকটা জায়গায়।

তবে সবগুলো পর্ব একই রকম হতে হবে এমন কথা নেই। দু'পর্ব মিলিয়ে এখনও মনে হচ্ছে, দূর্দান্ত একটা ভ্রমণকাহিনীর দেখা মিলবে। আপনার গল্প বলার ভঙ্গি এবং রসবোধ অবশ্যই প্রশংসনীয়।

চলতে থাকুক সিরিজ।

ওডিন এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা- পড়ার আর মন্তব্য করার জন্য।

আর আমি ঠিক এইরকম ভয়টাই করছিলাম। কিন্তু কি আর করার। লইজ্জা লাগে

আর তাড়াহুড়ো কি না জানিনা- দুটো পর্বই একটানে লেখা, আমি আসলে সাধারণতঃ এইভাবেই লিখি। তবে এই পর্বে কিছু জিনিস ইচ্ছে করেই বাদ দিয়ে দিয়েছি- কারন মনে হচ্ছিলো লেখাটা বেশী লম্বা হয়ে যাচ্ছে। যেমন ধরেন লখনউতে আমার ট্রেন প্রায় মিস করা, বুড়োদের সাথে কিছু কথাবার্তা, ভাষাবিভ্রাট আর আরো কিছু ঘটনা। তাই হয়ত ধারাবাহিকতার অভাবটা আপনার তীক্ষ্ণদৃষ্টি এড়াতে পারেনি। হাসি

সচলের এই সাপোর্টিভ ব্যপারটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তাই আবারো আপনার/আপনাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

খিপিটাপ...

সাবধান কিন্তু, মজা পাইলেও প্রথম পার্টের মতো ঐরাম মজা পাই নাই...

এরকম করলে সুহান ২- ওডিন ০ বানায় দিমু...

_________________________________________

সেরিওজা

ওডিন এর ছবি

আমিও লিখতে গিয়া সেইরকম মজা পাই নাই- আসলে প্রথম পর্বে লোকজনরে হেজেমনিতে ফেলানোর একটা মজা ছিলো- যেইটা এইখানে না পাওয়ারই কথা। তবে সামনের পর্বগুলোতে আমার নিজেরই অনেক হেজেমনিতে পড়ার কাহিনী থাকবে। ভাবতেছি একটু চেপেচুপে লিখতে হবে।

আর হেহ! ২-০, কইলেই হইলো! হো হো হো
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সুরঞ্জনা এর ছবি

উদাস উট আর বিষন্ন গরু? দেঁতো হাসি
চলুক চলুক...
চলুক চলুক চলুক

পুনশ্চঃ আরো পাহাড় চাই। রেগে টং
...........................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

ওডিন এর ছবি

উটগুলো আসলেই কেন জানি খুব উদাস ছিলো। কাছে গিয়ে ভালোমত খুঁটিয়ে দেখলাম। ভাবলাম বিরক্ত হবে- কিন্তু কিসের কি।

আর রয়েসয়ে- পাহাড়ে তো মাত্র আসলাম। দেঁতো হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

বোহেমিয়ান এর ছবি

তাড়াতাড়ি দিয়েন পরের পর্ব ।
রসালো ভ্রমণ কাহিনী চলুক ( চলুক )
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

ওডিন এর ছবি

চেষ্টা করবো! হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অমিত এর ছবি

সাধু সাধু
তারপর ?

ওডিন এর ছবি

তারপর?
ইয়ে এখনো মনে করার চেষ্টা করছি। তবে একপাল দুষ্টু বান্দরের হামলার শিকার হইছিলাম এইটুকু এখন মনে করতে পারছি! সে এক অতীবআতঙ্কজাগানিয়া অভিজ্ঞতা! ইয়ে, মানে...
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার 'টমেটো' মিললো শেষ পর্যন্ত, যাক (আগেরবার বলেছিলেন যে চানাচুরমাখার জন্য সব আছে কিন্তু টমেটো পাওয়া যাচ্ছিল না)। হাসি

আপনার "হুজুরের হিন্দি ভোক্যাবুলেরির" নমুনা দেখে আমার খালার এক গল্প মনে পড়ল। তখন স্বাধীনতা যুদ্ধের আগের কথা, ঢাবির ইতিহাস বিভাগ থেকে শিক্ষা সফরে পাকিস্তানে একটা বড় ব্যাচ গেছেন, সাথে কয়েকজন শিক্ষক। এঁদের মধ্যে একজন খুব নামকরা একজন অধ্যাপক যার দেশবিদেশে অনেক ঘোরার অভিঞ্জতা আছে। তো কোনো একটা জায়গায় ভীষণ মশার উৎপাত, রাতে প্রায় কেউই ঘুমাতে পারলেন না। পরদিন সাতসকালেই তারা মার্কেটে গিয়ে হাজির, মশারি কেনার জন্য। এদিকে কেউই ভাল উর্দু জানেন না। পরে ওই অধ্যাপককে ঠেলে দেওয়া হলো দোকানির সাথে কথা বলতে। উনি বলে বসলেন, ''এই শুনো (বাংলা-উর্দু মেশানো কিন্তু), রাতমে যো 'চিড়িয়া' (এখানে মশা আরকি) উড়তা হ্যায় ঘরমে, উসকা খাসা, খাসা (খাঁচা, খাঁচা - মশারি হয়ে গেছে খাঁচা)!

আমার খালা ঢাকায় এসে সব ভাইবোনকে বলাতে সবতো 'হি হি, হা হা'! আমরা এখনো ভদ্রলোককে টিভিতে দেখলে অজান্তেই 'হি হি' করে হাসতে থাকি! দেঁতো হাসি

পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায়। টু বি কন্টিনিউড! চোখ টিপি

-----------------------
ওহ! লেনার্ড স্কিনার্ড! ফ্যান্ট্যাস্টিক! দেঁতো হাসি

তাহলে ধরে নিচ্ছি, আরও ভাল ভাল গানের লিরিক্স দেখবো আপনার ট্র্যাভেলগে। যেমন বিটলস, সাইমন গারফাঙ্কেল, বিজীস, জার্নি, এবং আশা করি, ফ্লীটউড ম্যাক। আমিও প্রচুর ঘুরেবেড়াতে পছন্দ করি - আর এইটা হলো আমার থীমসং -

http://www.youtube.com/watch?v=soioqrYorq4

- শরতশিশির -

ওডিন এর ছবি

হাহাহাহা! তবে আমার এইরকম নির্লজ্জের মত হাসাটা ঠিক হচ্ছে না, কারন আমারো প্রায় এইরকমই অনেকবার হয়েছে। তবে আজকাল কোথাও গেলে আমার সাথে প্যাড আর কলম থাকে- ভগিচগি কিছু একটা এঁকে দেখিয়ে দেই। প্রায় সবাই বোঝে।

যাক- সাদার্ণ রকের পাঙ্খা আরেকজন পাওয়া গেলো। সাইমন গারফাঙ্কেলের ত আমি সিরিয়াস ফ্যান। ফ্লীটউড ম্যাক অবশ্য বেশি শোনা হয়নি তবে আপনার থিম সংটা অনেকবারই শুনেছি-

আর আমার থিম সং হচ্ছে এইটা - সব ছেড়েছুড়ে বের হয়ে পড়ার গান!

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ওডিন এর ছবি

দুইবার- তাই ঘ্যাচাং!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

মামুন হক এর ছবি

ভারতমাতার এমাথা থেকে ওমাথা ট্রেনে, বাসে, প্লেনে,নৌকায়, পায়দল ঘুরে বেড়িয়েছি । আপ্নে কিন্তু আমারে উস্কানি দিতেছেন। যদিও আপনার মতো করে লেখার বিদ্যা এখনো আয়ত্ত্বে আসে নাই।
তন্ময় মিয়ার লেখা আমি আসলেই তন্ময় হয়ে পড়ি। ঝড়ের গতিতে চলুক।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আহা! আর আপ্নে নাকি বাংলা খাতা ছাড়া আর কোথাও লিখতেন না! ধিক আপ্নেরে!

[পরের পর্ব তাত্তাড়ি... নইলে রেগে টং ]

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দ্রোহী এর ছবি

দ্বিতীয় পর্বে এসেও প্রথম পর্বের মুগ্ধতা জারি রইল।


কি মাঝি, ডরাইলা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।