পারো অনুভব করতে?

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: শুক্র, ১৮/০২/২০১১ - ১১:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সময়টা দুইহাজার সাতের গ্রীষ্ম, আমি ছিলাম ঢাকা থেকে প্রায় দুইহাজার কিলোমিটার দূরে, আটহাজার ফিট ওপরে মোটামুটি দুর্গম হিমালয়ের রামওয়ারা বলে একটা জায়গায়। দুপুরের আগে হাঁটা শুরু করেছিলাম কেদারনাথ বলে একটা জায়গার দিকে, চোদ্দ কিলোমিটার যাওয়ার কথা- সাতহাজার ফিটের মতন চড়াই ভাঙতে হবে, কিন্তু আপাতত অর্ধেকের একটু বেশি পথ গিয়ে টোটাল সিস্টেম শাটডাউন করার অবস্থায় চলে গেছে। একপা'ও সামনে এগোবার মত অবস্থায় নেই। কিন্তু সমস্যা হলো যে পেছনে ফিরে যাওয়ারও কোন উপায় নেই। যদ্দুর চোখ যায় শুধু ঘোলাটে কুয়াশা। মেঘও হতে পারে, ঠিক বুঝতে পারছিলামনা। দৃষ্টিসীমা শুধু সামনের কয়েকটা কদম পর্যন্ত। মাথা তুলে ওপরে তাকানোর মতো শক্তিটুকুও নিঃশেষ হয়ে গেছে । এইরকম ক্লান্ত মনে হয় কখনো হইনি। তবে ক্লান্তির থেকেও বেশি হচ্ছে রাগ, নিজের ওপরে। একেবারে শিরদাঁড়া বেয়ে মাথার পেছনে ঊঠে আসছে ওইটা। একবার নিজেকে মোটকু জলহস্তি বলে গালিও দিলাম একটা!

আরো খানিকক্ষণ অমানুষিক চড়াই ভাঙ্গার পর কয়েকটা আধপাকা ঘরটাইপের জিনিস দেখা গেলো। চায়েরদোকান-ঘোড়ারআস্তাবল-সাধুদেরআড্ডা সবকিছুর এক আজব হাইব্রিড এস্টাবলিশমেন্ট! কোনমতে টলতে টলতে একটাতে গিয়ে উঠলাম। এমন জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলাম যে দোকানি মনে হয় ভড়কে গেছিলো, আমি ক্যানভাসের ছাউনি সরিয়ে ঢোকার আগেই দেখি চা বানানো শুরু করে দিয়েছে। আর আমি বোঁচকাবুচকি ফেলে হাত পা ছড়িয়ে বসার আগেই হাতে গরম চায়ের একটা গেলাস ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। চা জিনিসটাকে আমি সবসময়েই সোমরসের কাছাকাছি কিছু একটা বলে দাবী করি। তাই মিনিট পাচেকের মধ্যেই সিস্টেম পুরোপুরি ফাংশনাল। চুলার পাশেই গুটিসুটি মেরে বসে সবাই। আমিও ঠেলেঠুলে যায়গা করে নিলাম। ভাঙ্গাভাঙ্গা হিন্দিইংরেজিবাংলাইশারা মিলিয়ে টুকটাক আলাপ শুরু করলাম। আশেপাশের সবাই হয় ঘোড়ার সহিস নাহয় ছোটখাটো ব্যবসায়ী। বৃষ্টি, শীত আর কুয়াশার জন্য এইখানে একটু নাতিদীর্ঘ লাঞ্চব্রেক নিচ্ছেন। আর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এলো আমি কোত্থেকে এসেছি।

'ঢাকা, বাংলাদেশ '- উত্তরটা দিয়েই মানসিক প্রস্ততি নিলাম আরো কিছু বলার জন্য, কারণ আমি জানি আমার দিকে কিছু প্রশ্ন আসি আসি করছে। এইটা একটা দেশ, বঙ্গাল মুলুক যাকে বলে। এইটা কলকাতা না। এইখানে বড় লোহার ব্রীজ (মানে হুগলি ব্রিজ মোস্ট প্রবাবলি) নাই, তবে আরেকটা বিরাট বড় ব্রীজ আছে। সুন্দর একটা দেশ। একটা দারুণ সিবিচ আছে। বেঙ্গল টাইগার আছে। বাঘ মামা! এইগুলা জানোনা? ধুর মিয়ারা...

কিন্তু এইসব প্রশ্ন এলো না। সবাই চুপচাপ চা, ম্যাগি নুডলস সুপ আর ডাল দিয়ে রুটি খাচ্ছে। মাঝে মাঝে শুধু দেয়ালের ফাক দিয়ে কনকনে হাওয়া এসে আমাকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। হঠাত একজন বলে বসলো, নাহ তোমরা দ্যাখায়া দিলা (এইরকমই একটা কথা ছিলো, আমি হিন্দি বুঝি খুব কম, আর সেই ভদ্রলোকও প্রপার হিন্দি না, হিন্দি মিশ্রিত গাড়োয়ালিতে কথা বলছিলেন)। আমি ইশারা করলাম যে বুঝিনাই, কেইসটা কি? সে আবার বলে এইযে 'ম্যাচ' হইলো না। তামিম। লেড়কা বহুত জবরদস্ত। বুঝে গেলাম কয়দিন আগেঈ হয়ে যাওয়া সেই বিশ্বকাপ ম্যাচের কথা হচ্ছে। হাসি অনেকেই হাহা করে উঠলো! বহুত জবরদস্ত! বড়িয়া। একজন বলে গুড গুড। বাংলাদেশ। গুড। বয়স্কমত একজন আবার এগিয়ে এসে আমার পিঠ চাপড়ে দিলো। দেখা গ্যালো একজন আবার মর্তুজা মানে মাশরাফির নামও জানে। জগাখিচুড়িমার্কা ভাষায় শুরু হয়ে গ্যালো এক ক্রিকেটিয় আড্ডা। আর বাংলাদেশি হিসেবে আমি পেলাম এক্সট্রা 'মলাই' দেয়া বিশাআল মগভর্তি চা। ছয় গেলাস চা আর মিনিট চল্লিশেক পরে যখন আমার নতুন হওয়া ক্রিকেটবোদ্ধা বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম তখন কুয়াশা অনেকটাই কেটে গেছে। তবে ঠান্ডা আগের মতোই কনকনে ছিলো, আর আমি আবার সালমান খানের মতো শার্ট খুলে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি না, নাহলে লোকজন আমার বুক টান টান করে হাঁটা দেখে উলটে পড়ে থাকতো! চাল্লু

সেইদিন যা বুঝেছিলাম, এই সরল পাহাড়ি লোকগুলোকে যা মুগ্ধ করেছিল তা হলো সেইদিনের বাংলাদেশের লড়াকু মনোভাব! আর আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম এই দুর্গম পাহাড়ের কোনায় কয়েকজন মানুষের মুখে আমাদের ছেলেদের নাম শুনতে পেয়ে। ওরা আমাদের দেশটাকে চেনে! ওরা আমার দেশটাকে চেনে! আমার দেশ!

দিন আবারো ঘনাইলো। আমি পরিসংখ্যান বুঝি না, হারজিত বুঝি না, আমি খালি আমার ভাইয়েদের লড়তে দেখতে চাই। আমি জানি আমার ভাইয়েরা, আমার ছেলেরা দূরের একটা দেশে আবার আমাকে এইরকম বুক টান টান করে ঘুরে বেড়াবার সুযোগ এনে দেবে।

পারো অনুভব করতে?

পাদটীকা

  • ১. এইখানে এই লেখার সাউন্ডট্র্যাকটা আছে। লেখাটার শুরু হয়েছিলো একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস হিসেবে- কিন্তু গানটা শুনতে শুনতে স্ট্যাটাস এক্টু বড় হয়ে গ্যালো আরকি। অসংলগ্ন কথাবার্তার জন্য লেখক মোটেও ক্ষমাপ্রার্থী না। আর গানটা অরিজিনালি রেকর্ড করা হয়েছিলো নিরানব্বই এর বিশ্বকাপের আগে- এইটা এইবার আবার রেকর্ড করা হয়েছে

মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ঠিক আছে!

ওডিন এর ছবি
সবজান্তা এর ছবি

গান্টা নামাইতেসি। কিন্তু তার আগে বইলা যাই, আপনার লেখাটা জবরদস্ত হইসে। একটু আগে ইন্টারনেটে কালকের খেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখার নিচে ভারতীয় অনেকের মন্তব্য পড়ে খুব বিরক্ত লাগতেসিলো। আপনার লেখাটা পড়ে আবার একটু ভালো লাগলো।

বাংলাদেশ জিতবেই- এমনটা আমি হার্ডকোর বিশ্বাস করি না- আমার চাওয়া শুধু একটাই, জিতলেও প্রতিপক্ষরা যেন টের পায়, খেলা কতো কঠিন হইতে পারে !

ওডিন এর ছবি

এইখানে ভারতীয় অর্থে না- সব বিদেশিদেরই মিন করছি! এই ক্রিকেট দিয়াই কিন্তু অনেকেই আমাদের চিনছে! যাই হোক কালকার জন্য আঙ্গুল ক্রস কইরা বইসা আছি। আমি হাসপাতালে থাকুম ভাবতেই বুকটা হুহু কইরা উঠতাছে রে ভাই! মন খারাপ

সবজান্তা এর ছবি

নাহ্‌, আমি আসলে জাস্ট একটু আগের বিরক্তির থেকেই কথাটা থেকেই শুধু ভারতের কথা বলেছি।

সাধারণ দর্শকদের কথা না হয় তা'ও বাদ দিলাম- ফ্যানের অবুঝ মন দেঁতো হাসি , ভারতীয় কাপ্তান ইতরটা দেখেন কী কাজ করসে !

ওডিন এর ছবি

হেহেহেহে টেনশন দেঁতো হাসি

আজকা একটু আগে জিনিউজ দেখলাম, বাংলদেশরে নিয়া পুরা গোলটেবিল বৈঠক হইতাছিলো, বিষেণ বেদীও ছিলো। সবাই বেশ চিন্তিত দেখলাম। এইরকম একটা কথাও মনেহয় শুনলাম বাংলাদেশরে ডিঙ্গাইতে পারলে কাপ জেতার খুব ভালো চান্স আছে খাইছে পচা শামুক না, পুরা ইনফেক্টেড শামুক শয়তানী হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমি পরিসংখ্যান বুঝি না, হারজিত বুঝি না, আমি খালি আমার ভাইয়েদের লড়তে দেখতে চাই। আমি জানি আমার ভাইয়েরা, আমার ছেলেরা দূরের একটা দেশে আবার আমাকে এইরকম বুক টান টান করে ঘুরে বেড়াবার সুযোগ এনে দেবে।

একজন ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে আমার কাছে আপনার সেরা লেখা।

...

বাঘের গর্জন শুনুক বিশ্ব।

ওডিন এর ছবি

এইটা কোন লেখাই না, ফেসবুকে গানটা শেয়ার করে একটা আবেগময় স্ট্যাটাস দিতে গিয়া ভাবলাম এইবার সচলবাসীদের বিরক্ত করি। শয়তানী হাসি

একটা বাঘের ইমো দর্কার!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে বাঘ বিলাই সহ নানাপ্রকার লাখখানেক ইমো চাই, দেতি হপে! শয়তানী হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

দামাল ছেলের দল বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিক!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

২০০৭ এর সেইদিনটা মনে হয় কত কাছের। শনিবার ছিলো। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হলো আমার অফিসে খেলা দেখা হবে। দুপুরে খেয়ে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে ট্রাম ধরা, অনলাইন স্ট্রিম। মাশরাফির যে অফকাটারে শেভাগ আউট হলো সেটা তার বিরুদ্ধে যেকোনো বোলারের সেরা বল। এবং ওই বলটা ১০বার করলে শেভাগ ১০বারই আউট হবে। শেকল ছেঁড়ার জন্য ছটফট করছে এ অবস্থায় অনভ্যস্ত ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানরা আর আমাদের বোলাররা পুরো অক্টোপাসের মতো নিঁখুত বল করে যাচ্ছে। চেজিং এর সময় তামিমের উড়াধুড়া মাইরে ইন্ডিয়ান বোলারদের দফারফা। এরপর একটু ঝাঁকুনি লাগলেও রহিম-সাকিবের ঠান্ডা মাথার হিসেবি ব্যাটিং কোনো 'অঘটন' ঘটায় নি।

তারপর! পার্টি!!!

এবারের দল ২০০৭এর চেয়ে শক্তিশালী, সর্বশক্তি দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে জয়ের সেই স্পিরিটটা থাকলে আবারও জয় আমাদেরই হবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তাসনীম এর ছবি

হাতে সময় নেই তবু মন্তব্য না করে পারলাম না। লেখাটা দারুণ লাগলো ভাই।

আজকে অস্টিন টাইম রাত আড়াইটার সময় বাংলাদেশের খেলা। আমরা দশ বন্ধু মিলে খেলা দেখব একজনের বাসায়। আমাদের সবার পরিবার আছে, বাচ্চা-কাচ্চা আছে, তাও সব বাদ দিয়ে অন্যের বাসায় সারারাত বসে থাকব টিভির সামনে। এই শহরের প্রায় সব বাংলাদেশি আজকে নির্ঘুম থাকবে, অস্টিনের একমাত্র বাংলাদেশি রেঁস্তোরাটাও আজ সারা রাত খোলা থাকবে, সেখানে ফ্রি খেলা দেখা যাবে। বহুদূরে থেকেও আমরা একই উত্তাপটা বোধ করছি আজকে।

আমি পরিসংখ্যান বুঝি না, হারজিত বুঝি না, আমি খালি আমার ভাইয়েদের লড়তে দেখতে চাই। আমি জানি আমার ভাইয়েরা, আমার ছেলেরা দূরের একটা দেশে আবার আমাকে এইরকম বুক টান টান করে ঘুরে বেড়াবার সুযোগ এনে দেবে।

আমারও একই চাওয়া...জান দিয়ে খেলুক ওরা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি আগেই কইয়া রাখছি কোনো হিসাব নিকাশ বুঝিনা বাংলাদেশ জিত্তাছে কাইল্কা শয়তানী হাসি
যদি হারে তাইলে ওইটা বিশেষ কোনো কারণে ইট্টুর জন্য হারবো দেঁতো হাসি
জয় বাংলা

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আমি পরিসংখ্যান বুঝি না, হারজিত বুঝি না, আমি খালি আমার ভাইয়েদের লড়তে দেখতে চাই। আমি জানি আমার ভাইয়েরা, আমার ছেলেরা দূরের একটা দেশে আবার আমাকে এইরকম বুক টান টান করে ঘুরে বেড়াবার সুযোগ এনে দেবে।

চলুক চলুক চলুক

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

হাততালি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

অনুভূতিটা আরো বেড়ে গেলো।

________________________
মেঘদুত

অমিত এর ছবি

বাঘের বাচ্চা গুল্লি

টিউলিপ এর ছবি

আইসা পড়ো বেইবে...

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চা জিনিসটাকে আমি সবসময়েই সোমরসের কাছাকাছি কিছু একটা বলে দাবী করি। তাই মিনিট পাচেকের মধ্যেই সিস্টেম পুরোপুরি ফাংশনাল।

এইটা যে তুমি কী বিশাল একটা জ্ঞানের কথা বলছো রে ভাই! এক্কেরে একশত ভাগ খাঁটি কথা!

আর বাকিটা নিয়ে কিছু বলার নাই, দারুণ লেখা। বাংলাদেশের জন্যেই বা কী বলবো, নতুন স্মাইলি দিয়েই কথা কই! কোপাও মামা...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঠিকাছে, ম্যান।

অতিথি লেখক এর ছবি

কোপাও মামা... বাঘের বাচ্চা ধরে দিবানি...
তোফায়েল৭১

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আপনার লেখাটা পড়ে শিহরিত হলাম। ক্রীড়োন্মাদ (বানাইলাম শব্দটা) নিজের মধ্যে অলরেডী খেলা শুরু হয়ে যাবার উন্মাদনা টের পাচ্ছি।
টাইগার্সরা, কাঁপায়া ফেলাও!!!

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ঠিকাছে। চলুক

সোয়া চারটা বাজে। এখনও ঘুমাতে পারছি না। হয়তো কোথাও টেনশন হচ্ছে অথবা উত্তেজনা। আগেরবার মন্দিরা বেদী তার ধৃষ্টতাপূর্ণ কথার জবাব পেয়েছিলো।

এবার ভারত জিতুক, কিন্তু বাংলাদেশ ধোনি'র ধৃষ্টতার জবাব দিয়েই তবে হারুক। ব্যস, এর বেশি কিছু চাই না।

ইখতিয়ার এর ছবি

একটু পরে খেলা দেখতে যাবো...আপনার লেখা ফেসবুক থেকে পেলাম ..অসাধারণ লিখেছেন , শেষ প্যারাটা বুকের মধ্যে কেমন মোচড় দিল ..ভালো থাকবেন

আবির আনোয়ার এর ছবি

জয় বাংলা

খেকশিয়াল এর ছবি

\m/!!!!
দৌড়া!! বাঘ আইলো!!!!!

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুরঞ্জনা এর ছবি

পড়তে পড়তে মনটা এমন ভাল হয়ে গেল যে কি বলবো হাসি
আশা করি সব বিপক্ষ দলগুলোকেই যত্ন করে কামড়ে দেয়া হবে দেঁতো হাসি
কোপাও মামা...

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

হিমু এর ছবি

আগের বার ছিলো মন্দিরা বেদী। এইবার সুমিত মুখুজ্যে।

আইতাছি খাড়া।

অতিথি লেখক এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা গুরু গুরু

ইন্ডিয়ারে নিয়া হুদাই ফাল পাইড়া লাভ নাই; শালার কুত্তার ল্যাজ কি আর সোজা হয়? হইতেও পারে, কিন্তু ইন্ডিয়ার এইসব আবাল ক্রিকেট মাতম কখনও শেষ হবে না। আগেরবার বাদ পইড়া বিজ্ঞাপন দিতেছিল কতিপয় পোলাপাইন লইয়া বড় গেঞ্জি পরাইয়া যে সামনের বার দেখে নেবে। এইবার কী করে কে জানে? হয়ত দেখা যাবে পিচ্চি পোলার হাতে হাগিস প্যাড ঝুলাইয়া কইবে, যখন এইডা পরার টাইম শ্যাষ হবে তহন আইতাছি। কিংবা আন্ডি-ব্র......থাক, আর না আগাই।

আমাদের টাইগাররা শুধু জানপ্রাণ উজাড় করে খেলুক, এই প্রত্যাশা। আমাদের প্রাণ খুলে হাসার কিংবা প্রাণ জুড়ানোর উপলক্ষ এখন আর আছে কি তেমন এই একটা ক্রিকেট ছাড়া? অন্তত এই আনন্দ থেকে যেন আমরা বঞ্চিত না হই। হার-জিত ব্যাপারনা, অন্তত দেখুক বিশ্ব আমাদের স্বতস্ফূর্ত গর্জন।

-অতীত

তিথীডোর এর ছবি

আমি পরিসংখ্যান বুঝি না, হারজিত বুঝি না, আমি খালি আমার ভাইয়েদের লড়তে দেখতে চাই। আমি জানি আমার ভাইয়েরা, আমার ছেলেরা দূরের একটা দেশে আবার আমাকে এইরকম বুক টান টান করে ঘুরে বেড়াবার সুযোগ এনে দেবে।

আমি আসলে খেলা দেখি না খুব-একটা। শুধু আমার দেশের পতাকাটার দিকে তাকালেই মন ভিজে যায়!

লেখায় গুল্লি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দ্রোহী এর ছবি

আমি পরিসংখ্যান বুঝি না, হারজিত বুঝি না, আমি খালি আমার ভাইয়েদের লড়তে দেখতে চাই। আমি জানি আমার ভাইয়েরা, আমার ছেলেরা দূরের একটা দেশে আবার আমাকে এইরকম বুক টান টান করে ঘুরে বেড়াবার সুযোগ এনে দেবে।

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"আমি পরিসংখ্যান বুঝি না, হারজিত বুঝি না, আমি খালি আমার ভাইয়েদের লড়তে দেখতে চাই। আমি জানি আমার ভাইয়েরা, আমার ছেলেরা দূরের একটা দেশে আবার আমাকে এইরকম বুক টান টান করে ঘুরে বেড়াবার সুযোগ এনে দেবে।" চলুক
খেলা আমিও দেখিনা। তাতে ভালোবাসা আটকায় না কোথাও। মনটা ভরে গেলো লেখাটা পড়ে।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লেগেছে জানিয়ে গেলাম

...........................
Every Picture Tells a Story

ওডিন এর ছবি

জবাবটা ভালই দিছে! ইট্টুর জন্য ফস্কায়া গ্যালো, যাক ব্যপার্না! হাততালি
হার-জিত-সুসময়-অসময় সব সময় টাইগারদের লগে আছি, লগেই থাকুম।! জয় বাংলা!

দৌড়া! বাঘ আইলো!!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।