ইতিহাসপাতাল [পর্ব ২]

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: বুধ, ১৫/০৮/২০১২ - ১২:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক দিন পরে এইবারের ঈদের লম্বা ছুটিটা হাসপাতালের বাইরে কাটাচ্ছি।

এইটা ঠিক যে ষোল সতেরো ঘন্টা মারাত্মক গোলাগুলি আর খুনজখমের ভিডিও গেমস খেলে আর বাকি সময়টা 'অপাঠ্য' বই পড়ে ছুটিটা খারাপ কাটবে না। আর এমনিতে টেলিভিশন খুব একটা দেখা হয় না বলে কোন আড্ডায় আলগা ভাব নিতে পারি না, শেলডন কুপার বা ডেক্সটারের গল্প চলার সময় ব্যাক্কলের মত হা করে তাকিয়ে থাকি, এই সময় খুব করে টিভি দেখে সেই ডেফিসিটটাও কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে। তারপরেও অনেকদিন জেল খাটা দাগি আসামীদের হঠাৎ করে মেয়াদের আগেই ছাড়া পেলে যেইরকম হয়, সেইরকম একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা এখনই জোরেশোরে দেখা দিচ্ছে।

স্বীকার করতে চাচ্ছি না, কিন্তু ইনস্টিটিউশোনালাইজড হয়ে গেছি মনে হয়। এর মধ্যেই হাসপাতাল মিস করা শুরু করে দিয়েছি। যাই হোক, প্যানপ্যানানি বাদ দিয়ে মূল গল্পে আসি। গল্প মানে একটা টিভি ইন্টারভিউ এর ইতিহাস। ঠিক করে বলতে গেলে আরেকটা 'ইতিহাসপাতাল'।

এক কোরবানীর ঈদের সময়। আমার ডিউটি পড়েছে ঈদের আগের দিন রাত আটটা থেকে ঈদের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত ইমারজেন্সি অপারেশন থিয়াটারে। কিন্তু এই সুন্দর বারো ঘন্টার ডিউটি আওয়ারের মধ্যে হালকা একটু 'কিন্ত' যেটা আছে তা হলো সারারাতের অপারেশন শেষ হয়ে গেলেও আমি সকাল আটটাতেই নাচতে নাচতে বাসায় চলে যেতে পারবো না। আমাকে সকালবেলা ওয়ার্ড রাউন্ড দিয়ে, আমাদের ইউনিটের সবগুলো পেশেন্ট দেখে, কোনরকম ঝামেলা থাকলে সেইটা ট্যাকল করে, সিনিয়রকে ফোনে জানিয়ে এরপরে ছুটি। রাত তিনটার পর থেকে আর কোন অপারেশন হয়নি। আমি ও একটা মিষ্টি ছোটখাটো ঘুম দিয়ে , সকালবেলা উঠে ক্যান্টিনে গিয়ে পরোটা ভাজি চা ইত্যাদি পেটে ঠুসে, রাতের অপারেশন করা রোগীদের ঈদ মোবারক বলে ওয়ার্ড রাউন্ডে বের হলাম। চারতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত 'এ' থেকে 'জে'- প্লাস ইমারজেন্সি- এই নয়টা ওয়ার্ড। শুধু আমাদের ইউনিটের পেশেন্ট দেখলেও প্রায় আশি জন- তাই একটু খাওয়াদাওয়া করে নেয়ার দরকার ছিল আরকি।

চারতলা থেকে রাউন্ড দিয়ে দিয়ে নিচে নামছি। রোগীদের সুপ্রভাত ঈদ মোবারক হাই হ্যালো করতে করতে। মাঝে মাঝে ছোটখাটো কিছু কাজ করতে হচ্ছে, ওষুধের অর্ডার বদলে করা, ওয়ার্ডবয়কে ডেকে ড্রেসিং চেঞ্জ করানো, বেশ কয়েকটা নিজেকেও করতে হলো। এক পিচ্চির কোমর এর নিচ থেকে হিপ স্পাইকা প্লাস্টার করা ছিলো দুই পায়েই, সে কোন এক অদ্ভুত উপায়ে সে প্লাস্টারের ভেতরেই পুরো একশো আশি ডিগ্রি টার্ন নিয়ে উলটো হয়ে আছে, কেমনে কি কিছুই বুঝলাম না। ওর মা চিল্লাচিল্লি করছিলো, তাঁকে বললাম তিন চামচ ফেনারগান খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে। আরো বললাম আপনেও আধ বোতল ফেনারগান খেয়ে নেন । মাথা ঠান্ডা হবে।

এইরকম রাউন্ড দিতে দিতে নিজের মধ্যে বেশ একটা 'হসপিটাল-ডিরেক্টর ' মার্কা ভাব চলে আসলো। রোগীদের সাথে কুশল বিনিময় আর ঈদ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আর কর্মচারীদের মৃদু হুমকিধামকি দিতে দিতে নিচের তলার ওয়ার্ডে এসে দেখি টিভি চ্যানেলের লোকজন এসে পড়েছেন।

প্রত্যেক ঈদেই সকালবেলা ঈদের জামাত, বাচ্চাদের কোলাকুলি আর এরপর পলিটিকাল লোকজনের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় দেখানোর পরে পরেই আমাদের টিভি চ্যানেলের ভাইয়া-আপুরা ক্যামেরা মাইক সমভ্যিহারে ছুটে যান হাসপাতালগুলোতে। ঈদের ছুটি। ডাক্তারদের চিহ্নমাত্র নেই। পুরো হাসপাতাল খাঁ খাঁ করছে, মাছি উড়ছে, তেলাপোকা উড়ছে, বেড়াল মুখে মাছের টুকরো নিয়ে ঘুরোঘুরি করছে, রোগীরা যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে , এর মধ্যে রোগীদের সাক্ষাতকার নেয়া হবে। রোগীরা কাতরস্বরে জানাবেন তাঁদের কেউ এসে দেখছে না। কেউ কোন ওষুধপত্রও দিলো না। রোগীর অ্যাটেনডেন্টরা বলবেন সকাল থেকে একজন ডাক্তারেরও দেখা পান নাই তিনি। এরপরে একজন সবেধন নীলমনি ডাক্তারের দেখা পাওয়া যাবে। উনি গাঢ় স্বরে বলবেন কর্তব্যের খাতিরে উনি পরিবারপরিজন ঈদের পোলাওকোর্মা ছেড়ে হাসপাতালে মানবতার সেবায় নিয়োজিত। এইখানেই এই আর্তমানবতার মাঝেই তিনি ঈদের আনন্দ খুঁজে নেন। ইত্যাদি ইত্যাদি।

ওয়ার্ডে ভেতর ঢুকে দেখলাম প্রথম ফেজের সাক্ষাতকার পর্ব চলছে। পুরোনো আমলের হাসপাতাল বলে বেশ বড়সড় ওয়ার্ড, আমি ওনাদের আর বিরক্ত না করে অন্যপাশে গিয়ে নিজের কাজকর্ম- মানে কুশলাদি বিনিময় করতে থাকলাম। একটু পরে দেখি আমার আশেপাশেও ওনারা এসে পড়েছেন। আমি পাশ কাটানোর চেষ্টা করতে গিয়েও ধরা পড়ে গেলাম। বিশাল মাইক্রোফোন হাতে গুরুতরচেহারার এক সাংবাদিক ভাইয়া আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- এইযে একেবারে ডাক্তারশূন্য হাসপাতাল, 'অবহেলায়' 'অনাদরে' 'বিনা চিকিৎসায়' সব রোগীগুলো পড়ে আছে, একজন রোগীর দর্শনার্থী হিসেবে আমার প্রতিক্রিয়া কি?

এখন আপনাদের বুঝতে হবে, সাংবাদিক ভাইয়ার খুব একটা দোষ নেই। একে তো সরকারি হাসপাতালে সারাক্ষণ পাঁচরকম মানুষ হুদাহুদি ঘোরাঘুরি করতেই থাকে। আর আমাকে দেখে একরকম বিভ্রান্তিতে অনেকেই পড়েন। আমাকে দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন না যে ইতস্ত নষ্টভ্রষ্ট হয়ে ঘুরে বেড়ালেও ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। এই ভুল বোঝাবুঝির তালিকায় সাংবাদিক ছাড়াও আরো আছেন পুলিস অফিসার, র্যা বের লেফটেনান্ট, ছিনতাইকারী, রক কনসার্টে সহ- মুন্ডুঝাঁকানেওয়ালা, বিখ্যাত গায়ক জনাব গায়ক সাদি মহম্মদ, অর্থহীনের 'অর্থ'হীন সুমন ভাই [বিশাল বড়লোক হইলেও উনি আসলেই অর্থহীন, কারণ টাকা ধার চাইলেই বলতেন- তোরা তো জানিস- আমি অর্থহীন (!) ], হবু পাত্রীর খালা, জ্যোতিষী পন্ডিত দেবাচার্য- অ্যান্ড দ্য লিস্ট গোওজ অন। লোকজন ক্যানো জানি আমাকে ডাক্তার বলে ভাবতেই পারে না। নাহয় আমি একটু কালো আর একটু মোটা। নাহয় চেহারায় ধারালো বুদ্ধিমত্তার ভাবটা নাই। আর নাহয় শার্ট আর প্যান্ট টাকড ইন করে না পরে জিনস আর টিশার্ট পরে ঘুরে বেড়াই। তাই বলে আমি কি যা তা লোক নাকি?

তবে মনে মনে খেপলেও আমি লোকজনের ভুল ভাঙ্গাই না। এমনিতেও ডাক্তারদের যে বদনাম চারদিকে, কখন যে দুষ্ট ডাক্তার ভেবে লোকজন পিট্টি দিয়ে বসে, তাই চুপচাপই থাকি। এখানেও তাই করলাম। গলা একটু খাঁকারি দিয়ে গম্ভীর স্বরে বললাম যে আমাদের সামনে বহুত দুর্দিন আইতাছে। ডাক্তাররা ঠিকমতো হাসপাতালে আসে না। তারা সবাই প্রাইভেট চেম্বারে রোগী ভাগানো নিয়া ব্যস্ত। সরকারী হাসপাতালে চরম অব্যবস্থা। ওইযে দেখেন বিলাই কেমন ঘুরে হাসপাতালের ভেতর। সাথে সাথে ক্যামেরা ঘুরে ওই ওয়ার্ডের রেসিডেন্ট বিলাই 'তৈমুর' (আমার দেয়া নাম- আমার খুব ভক্ত, আমার ফেসবুকে ওর ছবিও আছে!) কে ফোকাস করলো। কোন এক রোগীর কাছ থেকে এক টুকরো ব্রেড মেরে দিয়েছে- সেইটে নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। ও এই আনওয়ান্টেড অ্যাটেনশনে বিরক্ত হয়ে চলে গেলো বেচারা। আবার আমাকে জিজ্ঞেস করলো এই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায়। আমি আরো গম্ভীর স্বরে বললাম সরকার বাহাদুরের উচিত এই দিকে নজর দেয়া। ডাক্তারদের উপযুক্ত শাস্তি আর দিনে দুইবেলা রোলকল এর ব্যবস্থা করা। আর ওয়ার্ডকে মার্জারমুক্ত করার জন্য অচিরেই কিছু হিংস্র কুকুরকে নিয়োগ দেয়া। আমার সব কথাতেই বিছানার রোগী খুব হাসিমুখে মাথা ঝাঁকালো।

সাংবাদিক ভাইয়া আমার কথাবার্তায় মহাখুশি! আমার নাম জানতে চাইলেন। আর কি করি। নাম বললাম। করি টুকটাক। সমাজসেবা বলতে পারেন। সাংবাদিক ভাইয়া হ' হ' বলে মাথা ঝাঁকালেন। ইঙ্গিতপুর্ণ হাসি দিলেন। সমাজসেবা বলতে আমি যে পলিটিকস করি এইটা উনি খুব ভালোই বুঝেছেন।

আমাকে ছেড়ে এইবার তারা ধরতে গেলেন সিস্টারদের। ওয়ার্ডের ওইপাশে সিস্টারদের কিউবিকলে। বুড়ি এক সিস্টার বসে আগুনঝরা দৃষ্টিতে এইদিকে তাকিয়ে আছেন। সাংবাদিক ভাইয়ার জন্য মায়াই লাগলো একটু। আমি এখানের কুশলবিনিময় শেষ করে অন্য ওয়ার্ডের দিকে হাঁটা দিলাম। তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে 'অমুক' টিভি দেখতে হবে। হুহুহু আমাকে টিভিতে দেখাবে। ভাবতে লাগলাম বন্ধুদের ফোন করে খবরটা জানাবো নাকি। বাসায় তো একটা টিভি কার্ডও নাই যে রেকর্ড করে রাখবো।

কিন্তু আমার সেই ঐতিহাসিক ইন্টারভিউ 'অমুক' টিভিতে আসলো না, বরং ইমারজেন্সি আউটডরে বসা আমাদের অমুক'দাকে দেখালো - একটা ময়লা অ্যাপ্রোন পরে খুব গম্ভীরভাবে বলছেন মানবসেবার মাঝেই উনি খুঁজে নেন ঈদের আনন্দ! ব্লা ব্লা ব্লা। আমি বিরক্ত হয়ে টিভি বন্ধ করে দিলাম। আমার ইন্টারভিউয়ের বারোটা নিশ্চই ওই বুড়ি সিস্টারই বাজিয়েছেন। সাংবাদিক ভাইয়া অবশ্যই ওনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ডাক্তারশূন্য ওয়ার্ডে উনি কেমনে টিকে আছেন। উনি নিশ্চয়ই বিশাল একটা ঝাড়ি দিয়ে বলেছেন ওই মোটা কালো গুন্ডাটাইপের লোকটাই একজন ক্যামোফ্লেজ করা ডাক্তার ছিলো। খুবই দজ্জাল মহিলা উনি এমনিতেও। এইরকমই হবে। অথবা এমনো হতে পারে ওদের টিভির চ্যানেলের স্ট্যান্ডার্ডে আমি একটু বেশিই কালো আর মোটা । আমার চেহারাও হয়তো ভিউয়ার-ফ্রেন্ডলি না। লোকজন ঈদের দিন সকালবেলাই আমার মতো সন্দেহজনক চেহারার কাউকে দেখতে চায় না।

নাকি ওয়ার্ডের বেড়াল সমস্যার যে সমাধান আমি ওদের দিলাম এইটা ওদের পছন্দ হয় নাই। কিন্তু

কে জানে? তবে টিভিতে নিজের চেহারা না দেখার আফসোসটা থেকেই গেলো এখনো অব্দি। ছোট্ট এই জীবনের ছোট্ট চাওয়ার তালিকায় আরেকটা চাওয়া বাড়লো। এইরকম কত আশা অপূর্ণই থেকে যাবে, একদিন বহুদূরে চলে যাব। এইটা ভাবলেই মনটা খুব উদাস হয়ে যায়। তবে আশা এখনো আছে- একদিন কেউকেটা কেউ হবো। অর্থোপেডিকসে পোস্ট গ্রাজুয়েশানের পরেই একটা এমবি এ করে ফেলবো। ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া আছে না?

দেঁতো হাসি

___________________________________
অগাস্ট ১৪, মঙ্গল‌বার, ২৩৩৫


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

'এ' থেকে 'জে'- প্লাস ইমারজেন্সি- এই নয়টা ওয়ার্ড

'এ' থেকে 'জে'- প্লাস ইমারজেন্সি- এগারোটা ওয়ার্ড হওয়ার কথা না?

ওডিন এর ছবি

মাঝখানে জোড়া দেয়া ওয়ার্ড আছে । সেইগুলো একটা করেই ধরে আরকি। যেমন এবি। আইজে। দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

রক্তচোষা ডাক্তারগুলির কাজকারবারই অন্যরকম দেঁতো হাসি

ওডিন এর ছবি

আসলে প্রাকবাংলাদেশ যুগে বানানো হাসপাতাল- তায় আবার আরেকটা ইন্সটিটিউটের সাথে পুরো একটা উইং আর আড়াইটা তলা শেয়ার করে। ওয়ার্ডগুলোর মাঝে বড় বড় লোহার গেট আছে, কয়দিন আগে পর্যন্ত বন্ধ ছিলো- এখন খুলে দিয়ে ওয়ার্ড মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার কোন একদিন আলাদা করে দেয়া হবে। বেড নাম্বারও বদলায়া যাবে, ঝামেলায় পড়বে ডাক্তার-কর্মচারিরা। সরকারি জায়গায় কিছু কিছু নিয়ম স্ত্রীচরিত্রের মতন, দেবতারাও বুঝে উঠতে পারেন না। মন খারাপ

হিমু এর ছবি

একটা মারদাঙ্গা মেডিক্যাল থ্রিলার সিনামা বানানো যাবে। সেখানে ধরেন হঠাৎ একদিন এই হাসপাতালে রোগী আসা বন্ধ হয়ে গেলো। দুই ইনস্টিটিউটে লোহার গেটের দুই পাশে ডাক্তাররা পায়চারি করে গম্ভীর মুখে। আচমকা একদিন পা মচকানো এক রোগী এসে ভর্তি হবে। তাকে নিয়ে শুরু হবে ডাক্তারদের টানাটানি। লোহার গেট গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে পাশের ইনস্টিটিউটের ডাক্তাররা রোগী চুরি করতে আসবে। মারামারি খুনাখুনি গানবাজনা ... রীতিমতো রগরগে একটা সিনামা বানানো যাবে। জলিল ভাইয়াকে আইডিয়াটা পৌছায় দিতে পারলেই হবে।

ওডিন এর ছবি

লোহার গেট গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে

হাহাহাএইটা মোক্ষম! দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

এই সিনটা শুট করতে হবে এভাবে। বিছানায় রোগী শুয়ে আছে, পাশে রোগীওলা অংশের ডাক্তাররা মুখে মাস্ক পরছে, হাতে গ্লাভস পরছে। স্মুদ ট্র্যানজিশন করে এরপর দেখানো হবে পাশের ইনস্টিটিউটের রোগীহারা ডাক্তারদের। তারা মুখে ওয়েল্ডিং গ্লাস, হাতে ফায়ারপ্রুফ গ্লাভস পরবে। এরপর দেখানো হবে রোগীর আতঙ্কিত যন্ত্রণাকাতর চেহারা, আর অক্সিএসিটিলিনের ফ্লেম। রোগী বাবারে মারে সানিলিওনরে বলে আর্তনাদ করে উঠবে, ওদিকে গ্যাস ফ্লেম জ্বলতে থাকবে। এদিকে ডাক্তাররা রোগীর ঠ্যাং সাইজ করে মাস্ক খুলে পরস্পরকে বুড়া আঙুল দেখায়ে, কোলাকুলি করে, শ্যাম্পেনের বোতল খুলে আনন্দ করবে (এই সিনটা নাসার সাম্প্রতিক কিউরিওসিটি ল্যান্ডিঙের পর কমান্ড সেন্টারের পরিবেশের হুবহু কপিপেস্ট [শ্যাম্পেন বাদে] হতে হবে, যাতে দর্শক বুঝতে পারে, প্রতিটা হাড্ডি জোড়া দিয়েই ডাক্তাররা পার্টি করে) আর ওদিকে লোহার গেট কেটে ধাক্কা দিয়ে সেটা খুলে ফেলবে রোগীহারা ডাক্তাররা (নেপথ্যে সানিলিওনের কোনো দুষ্ট সিনামা থেকে কপিপেস্ট শীৎকার বেজে উঠবে)। কোনো টিভি সাংবাদিক এসে জিজ্হাসা করবে, লোহার গেটে সফল অস্ত্রোপচারের পর এখন আপনার অনুভূতি কী? ...

ওডিন এর ছবি

হেহেহেহে দুর্দান্ত চিত্রনাট্য! শয়তানী হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এইরকম একটা সিনেমার কয়েকমিনিট দেখছিলাম। সিনেমার নাম হোস্টেল!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সত্যপীর এর ছবি

১৮+ দেখে হোস্টেল দেখতে হলে ঢুকসিলাম অনার্যদা. বিরাট মিসটেক মন খারাপ

..................................................................
#Banshibir.

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এই লোকগুলার সিরিয়াস সমস্যা আছে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

মুভিখান টাইনা টাইনা দেখছিলাম। তয় দেখার পর জীবনের প্রতি কোমল দৃষ্টিভঙ্গি আনার জন্য আরেকখান মুভি দেখোন লাগছিল!!!


_____________________
Give Her Freedom!

ওডিন এর ছবি

দেখিনাই। নাম শুনেই মনে হচ্ছে স' টাইপ কোন মুভি হবে। এইরকম সিনেমা ভাল্লাগেনা মন খারাপ

ধুসর জলছবি এর ছবি

হো হো হো চেহারা ব্যাপার না, আপনি ডাক্তারদের ঠিকমত গালিগালাজ করতে পারেন নাই, এইজন্যই দেখায় নাই। দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

ওডিন এর ছবি

আমি হতাশ ব্যপার্টা নিয়া মন খারাপ

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া আছে না?

আবার জিগায় দেঁতো হাসি
উত্তম জাঝা!

---------------------
আমার ফ্লিকার

ওডিন এর ছবি

রেজাল্টটা দিলেই ভর্তি হয়া যামু, তখন প্রফেসর ইউনূসের বদলে ওদের অ্যাডে দেখবা আমার হাস্যোজ্জ্বল ছবি দেঁতো হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

তৈমুরের বাচ্চা মার্কা লেখা হইসে !!

ওডিন এর ছবি

কিন্তু কালাতো ভাই, আমাদের কঞ্চিপার অন্যতম সভ্য আশরাফের প্রতিবেশী চ্যানেলেও যে আমার কালা বদনটা দেখাইতে পারলাম না, এইজন্য কি তুমিও ইট্টু হতাশ না? মন খারাপ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কালা কালারের আমিই তো ব্র্যান্ড এম্বাসাডর। কে রে ব্যাটা তুই ??

ওডিন এর ছবি

কে কত কালা দেখা যাইবো! কঞ্চিপায় আসিস রে সুহান। একলা আসিস না, দশজনকে নিয়াই আসি, প্লাস ক্যুল ড্যুড নিবির্ভাইকেও রেফারি হিসেবে রেগে টং

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

নিবিড় ছেলেটার কালোয় কমতি আছে! হারু পার্টির হাতে রেফারি নিহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখতেছি! হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফাহিম হাসান এর ছবি

আরে, আমার কাছে আপনারা হলেন উজ্জ্বল শ্যামলা।

ওডিন এর ছবি

হেহ! কখনো কঞ্চিপায় দেখা হইলে আমাদের কালামিটারে আপনের কালাত্ব মাইপা নিমু নে।

চরম উদাস এর ছবি

হেহ আসছে লোকজন! ম্যাঁও

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মিয়াঁ, কালা জাহাঙ্গীর ছদ্মনামে এক্সুমায় চান্দাবাজি করতাম আমি- জানেন আপ্নে রেগে টং

তাসনীম এর ছবি

এখন আপনাদের বুঝতে হবে, সাংবাদিক ভাইয়ার খুব একটা দোষ নেই। একে তো সরকারি হাসপাতালে সারাক্ষণ পাঁচরকম মানুষ হুদাহুদি ঘোরাঘুরি করতেই থাকে। আর আমাকে দেখে একরকম বিভ্রান্তিতে অনেকেই পড়েন। আমাকে দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন না যে ইতস্ত নষ্টভ্রষ্ট হয়ে ঘুরে বেড়ালেও ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক।

খালি রিকশায় আমি বসে আছি আর রিকশাওয়ালা রাস্তার ধারে বসে বাথরুম সারছে, এই পরিস্থিতে আমাকে রিকশাওয়ালা ভেবেছে এই রকম বেশ কয়েকবার হয়েছে দেঁতো হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ওডিন এর ছবি

এইরকম হয় নাই। অবশ্য আমার চশমা থাকে তো। চশমাওয়ালা রিকশাওয়ালা তেমন একটা দেখি নাই।

কিন্তু পুলিসের ব্যপারটা আমি আজ পর্যন্ত ধরতে পারলাম না। আগে তো হেঁটে গেলে ধরতোই- আজকাল গাড়িতে করে গেলেও পুলিসে আটকায়। আমার চেহারা কি এতোই সন্দেহজনক? ইয়ে, মানে...

তাসনীম এর ছবি

আমাকেও পুলিশ ধরেছে কয়েকবার। প্রতিবারই ধানমন্ডি লেকের পাড়ে চটপটি খেয়ে ফেরার সময়। প্রতিবারই প্রশ্ন করেছে এইখানে কি করেন? আমি জবাব দিয়েছি চটপটি খেতে এসেছি। শুনে পুলিশে সন্দেহ দ্বিগুন হয়েছে। এইরকম চটপটিবিরোধী পুলিশ আর বিশ্বের কোনো দেশে পাওয়া যাবে না।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ওডিন এর ছবি

আমাকে সবচে বেশি ধরেছে শ্যামলী শিশুমেলার মোড়ে হাসপাতাল থেকে মর্নিং ডিউটি (৮-৮) সেরে ফেরার সময়, আর এরপরেই পরিবাগের ওভারব্রীজের নিচে, বেইলি রোড সিদ্ধেশ্বরী বা ওইদিকে যেতে হলে ব্রিজ পেরিয়ে যেইখানে রিক্সায় উঠি ওইখানে। কিন্তু আজব ব্যপার হইলো নাইট ডিউটিতে মাঝে মাঝে শ্যামলিতে খেতে গেলে বা পুরোনো ঢাকায় রাতে হাঁটাহাটি করতে কক্ষনো কোন সমস্যা হয় নাই।

তবে আমার সাথে প্রায়সময় ব্যাগ থাকে , আর প্রায়ই ব্যাগে একটা কালো অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল থাকে- এইটা একটা কারণ হতে পারে। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

অডাক্তার চেহারার ডাক্তার ভালু পাই! মোটা লেন্সের চশমা থাকার এই এক সুবিধা।নাইলে কবে আমারেও ফেন্সি বিড়িখোর মহিলা ভেবে লোকে দৌড়ান দিত!জয়তু চশমা!!

সুবর্ণনন্দিনী

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শয়তানী হাসি
আমার প্রিয় হাড্ডিভাঙ্গা কালো ডাক্তর, চ্রম মজা পাইলাম দেঁতো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ওডিন এর ছবি

কিন্তু আমার আফসোস থাইকাই গেলো। 'অমুক' টিভিতে আমারে দেখাইলো না। তবে ওদের অফিস চিনি। আশুর বাসার ছাদ থেকে একদিন ইঁট মারতে হবে শয়তানী হাসি

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

ওডিন এর ছবি
চন্দন এর ছবি

খুব ভালো হয়েছে।

ওডিন এর ছবি

আরেকটু ভালো হইতো সাক্ষাতকারটা টিভিতে আসলে। আফসোস মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

জটিল! এখন ছুটির ফাঁকে আরও একখানা হাড্ডি ভাঙ্গা লেখার দাবী---

ওডিন এর ছবি

লাদাখ বা ভুটান, কোন একটা ঘুরাঘুরি নিয়ে কিছু লিখে ফেলতে হবে হাসি

তিথীডোর এর ছবি

হো হো হো

নাহয় আমি একটু কালো আর একটু মোটা। নাহয় চেহারায় ধারালো বুদ্ধিমত্তার ভাবটা নাই। আর নাহয় শার্ট আর প্যান্ট টাকড ইন করে না পরে জিনস আর টিশার্ট পরে ঘুরে বেড়াই। তাই বলে আমি কি যা তা লোক নাকি?

এইজন্যেই আমি সবসময় কই-- প্রোপিকে ভুলতে নেই। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ওডিন এর ছবি
ফাহিম হাসান এর ছবি

হা হা হা

ওডিন এর ছবি
সত্যপীর এর ছবি

পরেরবার ঠিকই দেখাইব চিন্তা নাই. আমগোরেও আগে ভাগে কয়া রাইখেন আমরাও টিভি খুইলা বইসা থাকুম দেঁতো হাসি

..................................................................
#Banshibir.

ওডিন এর ছবি

আচ্ছা। তবে ঠিক করছি ভালোমতো মাঞ্জা মাইরা যামু এরপর। চাল্লু

সুরঞ্জনা এর ছবি

ইতিহাসপাতাল সিরিজটা লেখা শেষ হলে আমি এইটা দিয়ে ড্রামা সিরিজ বানায় বড়লোক হব। চিন্তিত

আর হাস্পাতালের বেড়াল সমস্যাটার সমাধানের ব্যাপারটাও আমি দেখব, ও নিয়ে আপনাদের আর ভাবিত হোতে হবে না। হাসি

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

সজল এর ছবি

আপনার গল্পে কাস্টিং দিয়ে দিয়ে বেকার বিড়ালের কর্মসংস্থান করে ফেলবেন?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ওডিন এর ছবি
ওডিন এর ছবি

ডিরেকশন কি নজুভাই দিবে? ডাক্তার এর চরিত্রে কিন্তু ইন্তেখাব দিনার অভিনয় না করলে আমি কপিরাইট-ই দিমু না কইলাম।

আর বেড়ালের সমস্যার সমাধান শুনেই তো মনে কেমন একটু ভয় ধরে গেলো। তুমি তো বেড়াল পছন্দ করো না বলেই জানি। ইয়ে, মানে...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভাল্লাগতেসে হাসি

ঈদের সময় টিভি রিপোর্টে - ডাক্তার থাকে না, এই একটা।
রাজধানী যানজটমুক্ত, এই আরেকটা।

বিটিভি করে - দেশের দর্শনীয় স্থানের ওপরে।।।

ওডিন এর ছবি

এইবার ঠিক করেছি প্রাণভরে টিভি দেখবো। কত ঈদ হয়ে গেলো ঈদের প্রোগ্রাম দেখি না মন খারাপ

বিটিভিও দেখবো।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বিটিভিতে সন্ধ্যা পাঁচটা ছ'টার দিকে দেখবেন, একদল বাচ্চা কাঁধ নেড়ে নেড়ে "ঈদ এলো এলোরে গান গাইবে।" এরপর দেখবেন "ছায়াছন্দ"।

ওডিন এর ছবি

সব দেখবো এইবার। সব। লোডশেডিংও আজকাল কমে গেছে। তাই চিন্তা নাই দেঁতো হাসি

সাবেকা  এর ছবি

বিরাট মজা পাইলাম পড়ে দেঁতো হাসি

ওডিন এর ছবি

থেঙ্কু লইজ্জা লাগে

ওডিন এর ছবি

থেঙ্কু লইজ্জা লাগে

যুমার এর ছবি

আপনার চেহারা না দেখানোর হতাশায় সহমর্মী হো হো হো
লেখা হাড্ডি ভাঙ্গা চরম চলুক

ওডিন এর ছবি

এরপর যেমনে হোক টিভিতে নিজেকে দেখাবোই বলে জোর প্রতিজ্ঞা করেছি মুহাহাহাহাহহা শয়তানী হাসি

খেকশিয়াল এর ছবি

ভাল হচ্ছে! ভাল হচ্ছে! চালিয়ে যাও গুরু!

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ওডিন এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ কমরেড!

তো, আমাদের দেবদাস-চুনিলাল প্রজেক্ট শুরু হবে কবে?

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ডাক্তার সা'ব, ইতিহাসপাতাল ভালো লাগলো চলুক । আমিও কয়েকবার এমুন ইন্টারভিউয়ের ঝামেলায় পড়ছিলাম, তয় দেখায় নাই, আবার কয়েকটায় দেখাইছে- আমি দেখি নাই-শুনছি দেঁতো হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

ওডিন এর ছবি

সেই ইণ্টারভিউ এর অভিজ্ঞতাগুলো লিখে ফ্যালেন হাসি

দ্রোহী এর ছবি

আমাকেও একবার টিভিতে দেখাইছিল। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হিসাবে বসের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে। বসের হয়ে আমি যেহেতু কম্পিউটারে কারিকুরি করবো তাই আমাকে না দেখায়ে যাবে কোথায়? তাই নির্দিষ্ট দিনে সেইরকম মাঞ্জা মেরে গেলাম ইউনিভার্সিটিতে। টিভি চ্যানেলের লোক আসলো। তারা বসের সাক্ষাৎকার নিলো। আমাকে রেকর্ড করলো। কম্পিউটার নিয়ে আমার কারিকুরি রেকর্ড করলো। আমার দুইটা কথাও রেকর্ড করলো।

যথাসময়ে আমি চৌদ্দগুষ্টির সবাইকে নিয়ে টিভির খবর দেখতে বসলাম। খবরে দেখি আমার পুরা শরীর বাদ দিয়া খালি মাউস ধরা হাতের কবজি দেখাইলো। সে কী অপমান! সে কী অপমান!

সেইদিন থেকে আমি আর টিভি দেখি না।

ওডিন এর ছবি

আসলেই খুব অপমানের ব্যপার।

তবে আপনের মাউসধরা হাত তো দেখাইলো। আমার তো ইন্টারভিউটাই হাপিশ করে দিলো মন খারাপ

কৌস্তুভ এর ছবি

ডিগ্রিটিগ্রি সবই তো হল, এবার ওডিন্দার বিয়ের ভোজ খাচ্ছি কবে?

ফাহিম হাসান এর ছবি
ওডিন এর ছবি

ছোটবেলায় আমাদের পুরোনো ঢাকায় বিয়ে বা অন্নপ্রাশন বা পূজার ভোজ খেতে যেতাম। ছাতে চাটাই বিছিয়ে লাইন ধরে পঙতিভোজন যাকে বলে। খাবার সার্ভ করার সময় প্রায়ই দেখতাম কোন একজন পাশের আরেকজনকে দেখিয়ে বলছে- এইযে ভাই- এই পাতে দই দ্যান ইট্টু। ইনি কিন্তু দুটো লুচি বেশি খাবেন। এইযে এই পিচ্চিকে আরেকটা রসগোল্লা দ্যান।

কিছু কি বোঝা গ্যালো?
দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমাকে একবার টিভিতে দেখাইসে! ইয়েএএএ! দেঁতো হাসি

লেখা মজা লাগসে। সিরিজটা চলুক।

ওডিন এর ছবি

সেইটার কি ইউটিউবে তোলা আছে? বুদ্ধমূর্তি ছিলো ব্যাকগ্রাউন্ডে? নাইলে এই কথার ফায়দা নাই।

সজল এর ছবি

চরম!
সাক্ষাৎকার টিভিতে আসলে কলিগরা মেরে হাড় ভেঙ্গে দিত দেঁতো হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ওডিন এর ছবি

এই আশঙ্কা ছিলো অবশ্য। আর মানুষের রসবোধ এতো কমে গেছে আজকাল যে কি আর কমু। মাঝে মাঝে মনে হয় লোকজনকে বলি- শাঁখারি বাজারের অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারে গিয়ে মিষ্টির ট্রেতে শুয়ে থাকতে। মন খারাপ

রাব্বানী এর ছবি

ইতিহাস্পাতালু ভাল লাগতেছে হাসি

ওডিন এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

ভাল্লাগছে ইতিহাস্পাতাল - চলুক চলুক
তা 'তৈমুর' বিলাই-এর এখন কি খবর?

ওডিন এর ছবি

তৈমুর বিলাই আছে ভাল। আমি আজকাল ওইখানে যাই না দেখে মন খারাপ করে বলে শুনেছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আরে, সেইম সেইম একটা কাহিনি আছে তো।

আমি এক বাসায় খাওয়ার নিমন্ত্রনে গেলাম। তো সেইখানে এইকথা, সেইকথা, আকথা, কুকথার পরে আসল কথা উঠলো অনলাইন নিয়া। তো সেইখানে হাদুমপাদুম লিস্টে সচলায়তনের নামও উইঠা গেলো। আমি প্রথমে হা-হু-হাহা-হুহু করলাম। আমার একটা বৈশিষ্ট্য হইলো কোথাও খাওয়ার নিমন্ত্রণ থাকলে তিনদিন আগে থেকে আমি নফল রোযা রাখা শুরু করি। যাতে সময়মতো ভালো করে সাঁটানো যায়। এইবারেও কেইস একই, অর্থাৎ আলোচনার ফাঁকে ক্ষুধায় পেটের ভিত্রে 'ওয়াল্লা জেরি ইজ রানিং হিয়ার' অবস্থা। এরমধ্যে হোস্ট দেখলাম সচলায়তন এবং সচলদের উপর বিরাট খাপ্পা। তারমধ্যে গুটিকয়েকজনার সাথে মহান ধুসর গোধূলি'র নামও বেশ 'জামার হাতা গুটানো' স্টাইলে উচ্চারিত হচ্ছে। মানে পাইলেই হাড্ডিগুড্ডির বিবাদ ভঞ্জণ করা হবে, এমন অবস্থা। এই অবস্থায় ক্ষুধার তোড়ে সইতে না পেরে ধুসর গোধূলির নামে গীবতের দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই তুলে নিতে হলো। যতো তাড়াতাড়ি এই পর্ব শেষ করা যায় ততো শীঘ্রই পরের পর্ব অর্থাৎ খাওয়া পর্বের আগমন হবে।

গীবতিং-এ অন্য কাউরে চান্স না দিয়া আমি নিজেই ধুসর গোধূলির নামে এমন সব বিকঝাউজ, খাচড়া, উল্টাসিধা, অসাংবিধানিক আর কটু কথাবার্তা কইছি যে স্বয়ং ধুসর গোধূলি যদি আমারে কোনো দিন হাতের নাগালে পায় পিডায়া হাড্ডিগুড্ডি আলাদা কইরা ফেলবো নির্ঘাৎ!

ওডিন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাবধান, আয়নার সামনে দাঁড়ায়েন না তাইলে দেঁতো হাসি

লুব্ধক এর ছবি

" মাঝে মাঝে মনে হয় লোকজনকে বলি- শাঁখারি বাজারের অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারে গিয়ে মিষ্টির ট্রেতে শুয়ে থাকতে"- আপনার এই রসবোধ ভাল লাগল :)। আজকাল নির্মল মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বোধহয়। নির্মলতা না থাকলে মানুষ মানুষকে হাসাতে পারে না, রসবোধও খুঁজে পাওয়া যায়না।

লেখা চলতে থাকুক।

ওডিন এর ছবি

লেখা চলছে চলবে। হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।