হাসপাতালে আমাদের রোজকার ডিউটি বারো ঘন্টার শিফটে হলেও অ্যাডমিশন ডিউটি থাকতো টানা চব্বিশ ঘন্টার। আর চব্বিশ ঘন্টা ডিউটি প্রায় সবসময়েই তিরিশ ঘন্টা ছাড়িয়ে যেতো। কারন অ্যাডমিশনের পরে দিন সকালবেলা আগের পুরো দিনে ভর্তি হওয়া সব পেশেন্ট দেখে , কোন ঝামেলা হলে সেইটা সামলে, আউটোডোরে চার ঘন্টা বসে ওখানে আসা পেশেন্ট দেখা শেষ করে তারপর ছুটি।
বৃহষ্পতিবার হাসপাতালে অ্যাডমিশন ডিউটি করার একটাই ভালো দিক ছিলো, আউটডোর বন্ধ থাকার কারণে শুক্রবার সকালবেলা নয়টা দশটার মধ্যে ছুটি হতো, সেই সারা দিন হয় ঘুমোনো যেতো নাহয় গিয়ানজাম করা যেতো। (যদি না ওই শুক্রবারটা মাসে যে একটা শুক্রবার ডিউটি করতে হয় সবাইকে পালা করে, সেই শুক্রবারটা না হয়) । আমিও কায়দাকানুন করে চেষ্টা করতাম ওইদিনের ডিউটি নেয়ার জন্য।
এইরকম এক বৃহষ্পতিবারের ডিউটি । জানুয়ারি মাসের কনকনে শীতের রাত। ক্যালেন্ডারে তখন তারিখ পার হয়ে শুক্রবার হয়ে গেছে, ভোর তিনটে টিনটে হবে। বছর ছয়েকের বাচ্চাটাকে ওর বাবা আর আরো দুইজন লোক ধরাধরি করে নিয়ে এসেছে। এক পলিটিকাল পার্টির গাড়ি নিয়ে লংমার্চ ছিলো, ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে সেইটা দেখতে গিয়ে গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়। পাজেরোটাইপ বড় কোন এসইউভি হবে। সাথে সাথে গাড়ির নিচে চলে গিয়ে ডান হাতের ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে গেছে। লোকজন সাথে সাথে ওকে লোকাল হাসপাতাল, সেইখান থেকে পরে গাড়ি ভাড়া করে এইখানে নিয়ে এসেছে।
ডানহাত একেবারে কাঁধ পর্যন্ত ব্যান্ডেজ বাঁধা। রক্ত চুইঁয়ে চুইঁয়ে পড়ছে। এইরকম ওপর দিয়ে গাড়ি চলে যাওয়া বা রানিং ওভার ইনজুরিতে অনেক রকম জায়গায় আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চেস্ট, অ্যাবডোমেন, আর মাথায় ইনজুরি অনেক সম্ভাবনা, তাই আগে চট করে সেইগুলো দেখে নিলাম। রক্তক্ষরণ আর ব্যথায় বাচ্চাটা শক এ চলে গেছে, ভাগ্যক্রমে ব্লাড ব্যাঙ্কে রাখা রক্তের সাথে ওর রক্তের গ্রুপ মিলে গেলো। আধ ব্যাগ রক্ত আর স্যালাইন এইসব দেয়ার পরে বাচ্চাটা একটু রিকভার করলো। তখন আমরা ওর ব্যান্ডেজ খুলে দেখলাম। ডান হাত কাঁধের নিচ থেকে একেবারে নেই বললেও চলে, শুধু কিছু চামড়া আর মাংস দিয়ে ঝুলে আছে। এইরকম ক্ষেত্রে একটু পরেই হাতে পচন ধরবে, আর গ্যাংগ্রীন সারা শরীরে ছড়ানোর আগেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ কেটে বাদ দিতে হবে। এছাড়া আর কোন উপায় নেই। ওর বাবাকে ডেকে পুরো ব্যপারটা ব্যখা করা হলো। আর এই সময় যা হয়, উনি হাউমাউ করে কান্না শুরু করলেন, কোনভাবে তার একমাত্র মেয়ের হাতটা টেকানো যায় কি না। কিন্তু উপায় নেই। আমরা এই কাজটা না করতে পারি, কিন্তু তাতে বাচ্চাটা সেপটিক হয়ে খুব বাজে অবস্থায় চলে যাবে। ওর বাবা বাধ্য হয়েই অনুমতি দিলেন।
যদিও অনেক সময় বাধ্য হয়েই এই কাজগুলো করতে হয়, যেমন এই ক্ষেত্রেই এইটা করা জরুরী, কিন্তু এই অ্যামপু্টেশন এর কাজটা আমি মন থেকে করতে পারি না। আমার ভালো লাগে না, এইভাবে ছাড়া আমি আসলে অন্য কোনভাবে এইটা ব্যাখা করতে পারবো না। কোন উপায় থাকলেই আমি এড়িয়ে যেতে চাই। সেইদিনও তাই করেছিলাম। আমার সাথে ছিলেন এক ভাইয়া, উনি আমার থেকে বয়সে বড়ো হলেও কোর্স এ পরে এসেছিলেন, ওনাকে অনুরোধ করলাম অপারেশনটা করার জন্য। একটু দেখিয়েও দিলাম কিভাবে কি করতে হবে।
অপারেশন করে হাত/পা কেটে ফেলা বা সার্জিক্যাল অ্যামপুটেশন শুনতে যতটা সোজা, বাস্তবে ততটাই জটিল। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ করাত দিয়ে কেটে ফেললেই হলো না। অনেক হিসেব করে অপারেশন করতে হয়, ভাল টিস্যু বুঝেশুনে রাখতে হয়। রক্তনালীগুলো ঠিকমতো বন্ধ করতে হয়, ক্ষতস্থান ঢাকার জন্য ভাল একটা চামড়ার ফ্ল্যাপ করতে হয়। পরে যাতে ব্যথামুক্ত একটা 'স্টাম্প' হয়, আর্টিফিশিয়াল লিম্ব ব্যবহার করতে পারে।
সব ব্যবস্থা করে আমি একটু ঘুমোতে গেলাম। বিশ ঘন্টার ওপরে জেগে আছি। চোখের সামনে মোটামুটিভাবে ভিবজিওর রঙ দেখতে পাচ্ছিলাম।
এরপর শুক্রবার পার হয়ে শনিবার চলে গেছে। সেইদিন ওয়ার্ডে যাওয়ার সুযোগ পাইনি। সোমবার আমাদের শিডিউলড অপারেশন করার দিন। সেটার লিস্টি করার জন্য রবিবার দিন ওয়ার্ডে ঘুরোঘুরি করছি। বাচ্চাদের ওয়ার্ডে গিয়ে সেই পিচ্চির সাথে দেখা। ডান কাঁধ আর হাতের ওপরের অংশ জুড়ে ব্যন্ডেজ। তিন চারটা বালিশে হেলান দিয়ে বিছানায় বসে বাঁ হাত দিয়ে বিরিয়ানী খাচ্ছে। পাশে ওর বাবা দাঁড়ানো। গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম 'কি অবস্থা?' মুখভর্তি বিরিয়ানি নিয়েই হাসিমুখে জানালো 'ম্মমমম ভালো অবস্থা'। 'ব্যথা নাই?' উহহহুহু। একেবারে না'। ' আর কোন সমস্যা হইতাছে নাকি? ' 'সমস্যা দ্যাখেন না, এইযে বাও হাত দিয়া বিরানি খাই - এইটা কি মানুষের খাওনের ধরন? ডান হাতটাই তো অকেজো হয়ে গেলো। আমি একটা ছোট মানুষ, একটা ভবিষ্যত আছে না' - বলেই আবার একটা হাসি।
পিচ্চির পাকা পাকা কথাবার্তা শুনে আমি আর বলার কিছু খুঁজে পেলাম না। শুধু বললাম- একটু সোজা হয়ে বোস, তোমার একটা ছবি তুলি। সে বলে, 'খাড়ান। ও আব্বা- আমার জামাটা পরায় দেওছেন। ' কিন্তু তার জামা সেই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া গেলো না। সে আবার তার বাবাকে হুকুম করলো, 'চুলটা ঠিক কইরা দেও তো আব্বা।' চিরুনী নাই। ওর বাবা মেয়ের মাথায় আঙ্গুল দিয়ে এলোমেলো চুলগুলো একটু ভদ্রস্থ করে দিলেন। পিচ্চি সেইটাতে সন্তষ্ট হলো না। পাশের বেডের পেশেন্টের কাছ থেকে একটা চিরুনী যোগাড় করা হলো। সব শেষ হলে আমি সেলফোনের ক্যামেরায় পিচ্চির একটা ছবি তুললাম। ছবি তাকে দেখালে পরে সে খুশি হলো। জিজ্ঞেস করলো- পত্রিকায় দিবেন নাকি?
নাহ। পত্রিকায় দিবো না। শুনে সে একটু মন খারাপ করলো। ছবিটা অবশ্য ফেসবুকে আপলোড করেছিলাম।
বেশ কিছুক্ষন গল্প করলাম পিচ্চির সাথে। সে আগামীকাল নতুন কয়টা জামা কিনে আনাবে। ওয়ার্ডে অনেক ঝামেলা। পাশের বেডের বাচ্চাগুলো সারাদিন খালি 'কান্দে আর কান্দে' । বিছানাপত্র নোংরা। আমরা কেনো এইদিকে নজর দেই না। হাসপাতালের খাবারে একদম 'টেশ' নাই। 'মরা মুরগিগুলারে' মনে হয় 'হইলদা পানির মধ্যে ছাইড়া দিছে'। তাই সে বিরিয়ানি খায়। ওর বাবা রাগ করে, কিন্তু কিছু বলে না ওর হাত নাই বলে, এইটা আবার সে বুঝতে পারে। তার ইশকুল ভাল্লাগেনা। সে বাজারে দোকান দিতে চায় তার বাবার মতো। এইসব নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়ে আলাপ হলো।
প্রায় বছরদেড়েক হয়ে গেলো। এখনো চোখ বন্ধ করলেই বাচ্চাটার হাসি শুনতে পাই- 'আমি একটা ছোট মানুষ, একটা ভবিষ্যত আছে না'।
আমাদের জীবনটা রূপকথা না। খুবই বাস্তব। খুবই নির্মম। খুবই কষ্টের। কত রকমের দুঃখ আছে। কতকিছু না পাওয়া নিয়ে আফসোস আছে। অনেকের মনে এতো গভীর ক্ষত আছে যেইটা হয়তো আপনি আমি কল্পনাও করতে পারবো না। ঠিক এই মুহূর্তে হয়তো একটা মানুষ তার জীবনটাকে শেষ করে দেয়ার কথা ভাবছে। তার কষ্ট বোঝার মতো ক্ষমতা আমার হয়তো নেই। তারপরেও আমি মনে করি কারো যদি জীবনের কষ্টমষ্ট নিয়া খুব বেশি আফসোস থাকে, তাহলে একবেলার জন্য হলেও আপনার আশেপাশের কোন হাসপাতালের ওয়ার্ডে গিয়ে একটু সময় কাটিয়ে আসবেন। দেখবেন কত কষ্ট নিয়েও মানুষ বেঁচে আছে।
মানুষকে ধ্বংস করে ফেলা হয়তো যায়, কিন্তু মানুষকে হারিয়ে দেয়া মনে হয় অসম্ভব একটা ব্যপার।
_____________________________________________
অগাস্ট ৮, রাত এগারোটা চল্লিশ।
মন্তব্য
স্পিরিট!
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এই পিচ্চি , আর আরেকজন আছে মামুন। - এরা আমার আইডল। এদের দেখেই এই সময়ে বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হয় ।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
কিছুই বলার নাই। বেঁচে থাকুক পিচ্চিটা
কোন সময় দেখা হলে একটা গল্প বলব আপনাকে...
ডাকঘর | ছবিঘর
আচ্ছা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
কী অমলিন হাসিখুশি একটা বাচ্চা!
একটা সময় আসবে যখন আমরা স্নায়ু নিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম অঙ্গ বানাতে পারবো। তারপর একটা সময় আসবে যখন আমরা শরীরের কোষ থেকেই হারিয়ে যাওয়া অঙ্গ পুনরায় তৈরি করে নিতে পারবো। এই শিশুদের একটা ভবিষ্যত আছে না! আমাদের কত জনসংখ্যা, এর একটা ক্ষুদ্র শতাংশ যদি বিজ্ঞানী হয়ে উঠতো।
আপনাকে আর এই শিশুকে
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমাদের বাচ্চাগুলোকে বিজ্ঞানমুখী করে তোলার কোন আগ্রহ কারো মধ্যে দেখি না। স্কুল কলেজ লেভেলে যা-ও আছে, পরে ভার্সিটি লেভেলে এখন সবচে হিট বিষয় হইলো ম্যানেজমেন্ট বা ফিনান্সের সাবজেক্ট। রিসার্চ এর কাজকর্মে কেউ যেতে চায় না।
অবশ্য আর কাকেই বা দোষ দিবো। আমাদের প্রফেশনেই তো কেউ রিসার্চের কাজে সময় দিতে চায় না। আমিও চাই না। অবশ্য হপ্তায় বাহাত্তর ঘন্টা কাজ করে রিসার্চ আর করা যায় না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মেয়েকে বলে দিয়েছি, গবেষণায় ঢুকতে হলে আগে প্রফেশনাল কোন ডিগ্রী হাসিল করে সেই ডিগ্রীর জোরে নিজের খাওয়া-পরা আর মাথার উপরে ছাদের ব্যবস্থা যদি করে নিতে পার, জানলে বেঁচে গেলে।
- একলহমা
@ ওডিন
এই কুট্টু কুট্টু মানুষগুলো যোগায় আমাদের অ্যাত্তো অ্যাত্তো সাহস!
- একলহমা
হুঁ
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এতো সুইট একটা পিচ্চি, দেখে কার না মায়া হবে!
আর অনেক বুদ্ধিমতিও। খারাপই লাগে ওর জন্য।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
কী নাম ওর?
ওর নাম নাসরীণ। মাসছয়েক আগে দেখা হয়েছিলো। ভালোই আছে। ওর বাবা নালিশ করলো, এক হাত দিয়েই নাকি গাছে চড়ে
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
১। আপনার অনুভূতি মনে ছড়িয়ে গেল। দিনাজপুর মেডিকেল, বাচ্চাদের ওয়ার্ড ও সার্জারিতে বেশ কয়েকদিন অনেকটা বাধ্য হয়ে যেতাম এবং খুব কাছ থেকে এমন কিছু দেখেছি যা আমার ভাবনা জগৎ অনেকটা বদলে দিয়েছে। যিনি আমাকে যেতে বাধ্য করতেন তিনি বা তার কলিগরা অভ্যস্থ কিন্তু আমি ভয়ানক মুষড়ে পড়তাম। একটা সময় হাসপাতালের গন্ধটাই ভালো লেগে যায়। পোকামাকড়ের মত মরতে মরতে অলৌকিকভাবে বেঁচে ওঠা মানুষগুলোর চোখেই যেন আমার আগামি জীবনের স্বপ্ন লুকানো। বেঁচে থাকার চাইতে সুন্দর আর কিছু নাই। ডাল, কাঁচা মরিচ গরম গরম ভাত খেয়ে, এক প্রস্থ কাপড় পরে সুখে জীবন পার করে দিতে পারব।
২। আমার একটাই ছোট বোন। ছবির এই পরীটার মতন বয়েসে বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। 'হাত কেটে ফেলতে হবে, আর সময় নেই' -- এই বিভীষিকা মনে হলে এখনো কান্না পায়। বোনের হাত অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিল।
৩। এই দেব শিশুর মুখের সব আলো ছিটকে এসে আমাকে শুদ্ধ করে দিচ্ছে। পাকনা পাকনা কথা বলা এই কথা পাখিটার কথা শুনে আমার নিজের কথা পাখিকে মিস করছি!
বেঁচে থাকাটা যে কত বড় একটা গিফট, এইসব লোকজনকে না দেখলে বোঝা যায় না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমাদের অল্পস্বল্প সমস্যাসংকুল জীবনের অকারণ হা-হুতাশ, অভিযোগ, ভাল্লাগেনাগুলোকে একটা চড় কষিয়ে দিলো যে পিচ্চিটা, আর বলল, দ্যাখ, এরি নাম জীবন।
হ'
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ঠিক
হ'
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
বাচ্চাটার জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি দেখে খুবই ভাল লাগলো। ওর সাথে আপনার যোগাযোগ আছে?
সি আর পি এর মাধ্যমে একটা প্রস্থেটিক হাতের ব্যাবস্থা করা যেত হয়ত সবাই মিলে। ও যদি স্কুলে যায়, ক্লাসের বাকী বাচ্চারা তো বাকী জীবন অসহনীয় করে দিবে, মোরাল ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ঠ। আমাদের দেশে শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধির প্রতি মানুষের নিষ্ঠুরতার কোন কমতি নেই।
facebook
কথা ঠিক, বাচ্চারা কেনো জানি অনেক নিষ্ঠুর হয়, নিজের থেকে আলাদা কাউকে নিয়ে নির্দয়ভাবে ঠাট্টা করতে আটকায় না। তবে এই পিচ্চি যে পরিমান রিসোর্স্ফুল আর দুষ্টু, মনে হয় না ও এইরকম কোন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাবে। তবে এইটা ঠিক, বেচারা অল্প বয়সেই একটা বিরাট অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেলো। ওর কাটা টা এমন জায়গায়, কনুই এর ওপরে, যে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত উপযুক্ত প্রস্থেটিক হাত লাগানো সমস্যা। আর উন্নত দেশে যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো উন্নত দেশের পক্ষেই অনেক এক্সপেনসিভ।
মাস ছয়েক আগে দেখা হয়েছিলো। এমনিতে বেশ ভালই আচঘে, বা হাঁতে লেখে, আর সে নাকি এক হাতেই গাছে উঠে পড়ে, একেবারে গেছো মেয়ে যাকে বলে। ওর বাবা নালিশ করলো।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
যার যার দুঃখ তার তার কাছে, আমার ফেসবুকে কিছু বন্ধু আছে যাদের জীবনে গভীর ক্ষত আছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু তাদের ২টা হাত, ২ টা পা, ২ টা চোখ অক্ষত আছে। কেউ কেউ যখন বলে আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না, আমার বলতে ইচ্ছে করে- হে বন্ধু, তোমাদের আমি ভালবাসি, কিন্তু তোমাদের এই দুঃখবিলাস দেখলে ঠাডায়ে কানের উপরে একটা চটকানা দিয়ে এই পিচ্চির ছবি দেখাতে ইচ্ছা করে।
facebook
যার যার দুঃখ তার তার কাছে। আমরা রোড একসিডেন্ট নিয়া এত কথা বলি অথচ বাংলাদেশে বছরে ২% মানুষ মারা যায় রোড একসিডেন্টে, আর ২%মানুষ কিন্তু আত্মহত্যা করেও মারা যায়।
আপনের ফেইসবুকের কোন বন্ধু রোড একসিডেন্টে মরতে বসলে, তাকে "ঠাডায়ে কানের উপরে একটা চটকানা দিয়ে" আপনের ডিপ্রেসড যেই ফ্রেইন্ড গতকালকেও সুইসাইড করেনাই, তার একটা ছবি দেখায়েন।
আমার দেওয়া তুলনাটা কি অযৌক্তিক মনে হচ্ছে? তাহলে নিজের দেওয়া তুলনাটা আরেকবার চিন্তা কইরা দেইখেন, একটু গুগল করতে পারেন টু এডুকেট ইওরসেলফ। তারপর চিন্তা কইরেন "চটকানা"টা আপনের নিজের কানের উপরেই দেওয়া উচিত কিনা, ফর বিইং সাচ এন ইনসেনসিটিভ ইনভ্যালিডেটিং প্রি*।
আমাদেরই সহসচল একজন রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে দুইমাসের কাছাকাছি হাসপাতালবাসী। ওর বেঁচে থাকারই কথা না, বেঁচে গেছে। হাঁটতে পারবে কি না জানি না। আমি তাকে বলেছি একটু সুস্থ হয়ে উঠলেই তাকে থাপ্পোড় দিয়ে সবকয়টা দাঁত ফেলে দেব। আর ওকে পিটিয়ে আরেকটা পা ভেঙ্গে আবার হাসপাতালে পাঠাবো।
আ'ম সাচ এন 'ইনসেনসিটিভ ইনভ্যালিডেটিং প্রিক' দ্যাট সামটাইমস আই ইভেন অ্যামেজ মাইসেলফ ।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
'দুঃখবিলাস' কথাটা মনে ধরলো।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
কিঞ্চিত অফটপিকঃ রাব্বানী স্যারের ল্যাবে আমাদের সহসচল রায়হান আবীর কিন্তু কৃত্রিম অঙ্গ প্রস্তুতকরণ সংক্রান্ত গবেষণাতেই যুক্ত ছিল, রায়হান বোধ হয় আরও বিস্তারিত বলতে পারত
আশা রাখি আর কয়েক বছরের মাঝে এমন দুর্দান্ত শিশুদের দুর্ভাগ্যজনক অঙ্গহানির কিছুটা হলেও যান্ত্রিক ক্ষতিপূরণ এই দেশেই হবে, হতেই হবে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আশা করি তাই। ইউনিসেফ এর একটা রিপোর্টে পড়েছিলাম আমাদের দেশের বাচ্চারা সড়ক দুর্ঘটনায় অঙ্গহানী এমনকি প্রাণহানীর সম্ভাবনায় অনেক দেশের থেকে এগিয়ে। আমাদের দেশে হাইওয়েগুলা সব গ্রাম বাজার এইসব জনপদ এর মধ্যে দিয়ে গেছে। রাস্তার দুইপাশে বসতবাড়ি, বাজার , ইশকুল, মসজিদ কি নাই! বাস ট্রাক জোরে চলে স্বাভাবিকভাবেই। রাস্তায় দোউড়ে যাওয়া বাচ্চা দেখে থামতে থামতেই তো কতদুর চলে যায়। আর বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনা তো হরদমই হচ্ছে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মন্তব্য করার ভাষা অবশিষ্ট নেই আমার -
লেখায়
পিচ্চিটাকে
ধন্যবাদ।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
খুব খারাপ লাগলো, মনটা খারাপ হয়ে গেল।
আব্দুল্লাহ এ এম
মন খারাপ এর ব্যপার অবশ্যই। তবে এই ধরনের মানুষরাই আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়- জীবনটা কত প্রেশাস।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
-আরাফ করিম
উহু এইসব নডফড না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
বাচ্চাটার জীবনটা কেমন হয়ে গেলো। কীসব আজে বাজে গল্প বানাই, ফাও বকবক করি।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
হ। গাড়ি বাড়ি নাই বলে কান্নাকাটি করি। গার্লফ্রেন্ড ছেড়ে গেছে বলে কেরোসিন খাই। পরীক্ষায় ফেল করি বলে ঘর বন্ধ করে ঘরে আগুন দিয়ে দেই।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ছবিটা দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।
হুম
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
নিজের ও পরিবারের জন্য বেশ কয়েকবার হাসপাতালে রাত যাপনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রত্যেক বার ফিরে এসে ভাবি, হাসপাতালের বিছানাগুলো অপেক্ষাকক্ষের চেয়ারগুলো খালি থাকে না কখনো। চোখ ভেজা, আতংকিত স্বজনের পায়চারি করিডোরে থাকে সারারাত।
বাসার প্রতিটা মানুষ সুস্থ আছে, এরচেয়ে স্বস্তির কিছু আর নেই। এসব ভেবে প্রায়শই বলি, ভালো আছি। ভালো আছি।
সেটাই। আমি বেঁচে আছি, বাপ মা ভাই বোন বন্ধুরা সুস্থ আছে। এই অরাজক সময়ে এর থেকে বেশি আর কিছু চাওয়ার নেই।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র 'নার্চার'-এ গিয়েছিলাম পত্রিকা অফিসের এটা এসাইনমেন্টে। আমার কাজ ছিলো এক ঘন্টার। কিন্তু প্রায় সারাদিন কাটালাম পক্ষাঘাতগ্রস্ত বিভিন্ন বয়সী রোগীদের সাথে কথা বলে। সেইদিন থেকে জীবনকে অন্যরকম করে ভাবতে শিখলাম। সেখানে গেলে আমার খুব ভালো সময় কাটে। ব্যথা নয়, প্রাণভরে মুগ্ধ হই!
লোকজনের বেঁচে থাকার যে আকুতি, সেইটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আমি এখন পর্যন্ত কোন অসুস্থ মানুষকে বলতে শুনি নাই আমাকে মেরে ফেলেন। যদিও অনেক সুস্থ স্বাভাবিক লোকজন এই কথা হরদমই বলেন।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মন খারপ হলো, আবার ভালোও লাগলো
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এই আরকি। এইটাই জীবন।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
যেইদিন এই মেয়ে বুঝবে যে ওর ভবিষ্যত আমরা খেয়ে ফেলছি তখনই ঘৃণাটা শুরু হবে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হয়তো সেইটাই আমাদের প্রাপ্য।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
পিচ্চিকে স্যালুট!!! বেঁচে তো সবাই থাকে কিন্তু কয়জন সজীব থাকে?? আপনার লিখা মন ছু্ঁযে গেলো। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
বাচ্চা একটা মানুষ, কিন্তু কি অসাধারণ তার মানুষিক শক্তি । আপনার লিখা পড়ে চোখে পানি এসে গেল ভাইয়া।
হু। বাচ্চাটা মান্সিকভাবে খুবই শক্ত ছিলো। মাসছয়েক আগে একবার দেখা হয়েছিলো, সেইরকমই তেজি। পঙ্গুত্ব ওকে একদমই কিছু করতে পারে নাই মনে হইলো।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এই ধরনের ঘটনাগুলো আসলেই খুব কষ্টকর। আমাকেও কতো যে সহ্য করতে হয়েছে!
অটঃ
আপনি বোধহয় ডাক্তার, তাই না? যদি আপত্তি না থাকে, কোথায় আছেন জানতে পারি?
-এস এম নিয়াজ মাওলা
আপত্তি নাই, তবে কিছু কথা থাক না গুপন
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এই সিরিজটা এত কম কম লিখেন কেন? অপেক্ষা করে থাকি সিরিজটার জন্য
ইয়ে মানে এই আরকি।
আরো লিখবো, তাড়াতাড়িই
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
সুন্দর লেখাটার শেষটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।
শেষ দুই প্যারার শিক্ষামূলক কথাগুলি এই মেয়ের জীবনের সাথে কিভাবে রিলেভেন্ট বোঝা গেল না। যার মনে কোন ক্ষত আছে, সেটা মানসিক/ সাইকোলজিকাল দেখেই কি তাকে বলতে হবে, দেখ তোমার তো শরীরে কোন ক্ষত নাই, সো তুমি তো অন্তত এর চেয়ে ভাল আছ। আমার তো মনেহয় এইটার চেয়ে নিষ্ঠুর আর কোন কথা বলা যাএতে পারেনা। আপনি কি কোন ক্যানসারের রুগিকে কখনও বলবেন, যে দেখ, যেই বাচ্চাটার হাত নাই, তুমি তো তার চাইতে ভাল আছ।
যাদের নিজের জীবনের কষ্টমষ্ট নিয়া খুব বেশি আফসোস আছে, তাদের মধ্যে কেউ হয়ত এমনও আছে, যার এই কষ্টের উপরে কোন হাত নাই। হয়ত তার ব্রেইনের কেমিকালগুলা আর ১০টা মানুষের মত কাজ করেনা, অন্যরা যেই কথায় সামান্য দুঃখ পায় সেই কথাটা শুনেই তার হয়ত দুঃখে মরে যাইতে ইচ্ছা করে। এইরকম কোন মানুষকে যদি আপনি একটা পঙ্গু বাচ্চার পিক দেখায়ে বলেন, তুমি তো এর চাইতে ভাল আছ, ওই ব্যক্তির জন্য তার চাইতে বেশি ইনভ্যালিডেটিং এবং অপমানজনক ব্যপার মনেহয় আর কিছু হয়না।
যেই লোক আত্মহত্যার মত অপশন কনসিডার করতেসে, তাদের নিয়ে ব্লগ লিখে বা তাদেরকে পংগু হাসপাতালের ওয়ার্ড ঘুরে আসতে বলার উপদেশ দিয়ে হিউমিলিয়েট করার চাইতে শ্রিংকের কাছে নিয়া যাওয়া মনেহয় বেশি সাহায্যকর একটা কাজ হবে।
এই অংশটা পছন্দ হয়েছে। Only the wearer knows where the shoe pinches.
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
প্রিয় ব্লাকটেবল, এইখানেই আমি আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করছি।
আপনার কাছে নিষ্ঠুর মনে হতে পারে, কিন্তু যেই লোক আত্মহত্যার মতো ইডিয়টিক কাজ কনসিডার করতেছে, আমি মনে করি তাকে অবশ্যই শ্রিঙ্কের কাছে না নিয়ে গিয়ে, সো কলড সাপোর্টগ্রুপে না ঢুকিয়ে, কোন হাসপাতালের ওয়ার্ডে একবেলা বেঁধে রাখা উচিত। শতকরা ষাট ভাগ পুড়ে যাওয়া রোগী, অসহ্য যন্ত্রনায় চিৎকার করছে, সেই মানুষটা পর্যন্ত বেঁচে উঠতে চায়। কক্ষনো বলে না- আমাকে মেরে ফেলেন। আমি আর বাঁচতে চাই না। রানা প্লাজার রাবলে আটকা পড়া এক মহিলা নিজের হাত হ্যাক স' দিয়ে নিজে কেটে বের হয়েছে, এইটা আমার চোখে দেখা। কেনো বের হয়েছে জানেন, কারণ সে এখনো মরার জন্য প্রস্তত না
মরে যাওয়া অতটা সোজা না। অবশ্যই যার যার কষ্ট তার তার কাছেই, কিন্তু এই ক্ষুদ্র পেশাগত জীবনে বেশ কিছু ফেইলড সুইসাইড অ্যাটেম্পট এর মানুষকে দেখার সুযোগ হয়েছে। হিউমিলিয়েট করে যদি এইসব বেকুব লোকজনকে সুইসাইড করা থেকে আটকানো যায়- তাহলে সেইটা করতে আমার কোন সমস্যা নাই ।
দুইজন মানুষের চিন্তাধারায় অমিল থাকতেই পারে। ব্যপার না । পড়া আর চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আপনি এতো কম লেখেন কেন?
আমি মানুষ হিসেবে বিশেষ সাহসী না। আগে খুব আশাবাদী ছিলাম। এখন সেইখানেও অবস্থা বেশি সুবিধার না। এইজন্য আমি একটা ধারকরা আশা আর সাহসের সঞ্চয় রাখি আপদকালীন সময়ের জন্য। এই পিচ্চিটার গল্প সেই সঞ্চয়ের প্রথম দিকে জুড়ে দিতে বেশি সময় নেই নাই।
আপনাকে প্রতি কৃতজ্ঞতা আপনার দেখার চোখের জন্য, গল্পটা বলার জন্য।
বাচ্চাটার জন্য কিছু একটা করতে ইচ্ছা করছে।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আমিও। পার্সোনালি আমি খুব বেশি সাহসী লোক না। এইধরনের মানুষগুলো আমার জন্য ব্যাটারি প্যাকের কাজ করে। নিজেকে চার্জ করে নিই।
এইরকম দুর্ঘটনায় পড়া বাচ্চাদের জন্য কিছু করতে চাইলে সাভারের সিআরপি বা ঢাকার শেরেবাংলানগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে সমাজকল্যান বিভাগে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
প্রথমদিনেই পড়ে গেছি। ভালো থাকুক নাসরীণ...
*মন্তব্যে কী ক্যাপচা ফিরে এসেছে?
স্যালুট পিচ্চিটাকে , পেডি ওয়ার্ডে ইন্টার্ন করার সময়টা সারাক্ষণ মনে হত যতক্ষণ আমি ডিউটিতে আছি যেন কোন বাচ্চা মারা না যায়, বাচ্চাদের কষ্ট দেখা ভয়াবহ ব্যাপার। কামনা করি বাচ্চাতা যেন সব প্রতিবন্ধিতা দূর করে জীবনে জয়ী হতে পারে
ইসরাত
মেয়েটার হাসিমাখা ছবিটা আমার অনেক বেহুদা দুঃখ কষ্টের উপর চড় কষালো
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
প্রিয় সিরিজ - ধন্যবাদ ঈদ উপহারের জন্য।
আসোলেই হারিয়ে দেয়া অসম্ভব!
নিটরের ঘটনা মনে হচ্ছে।
এদেশে কি কোনদিনই মানুষকে পিষে ফেলার বিচার হবে না?
সুপ্রিয় নীড় সন্ধানীর মন্তব্যের অনুভূতিটা আমারো হচ্ছে।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
পেশাগত কারনেই অর্থোপেডিক্স ডাক্তারদের কাছাকাছি থাকতে হয়। সেই জন্যই বোধহয় আপনার লেখা অভিজ্ঞতা গুলো চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। এ্যাম্পুটেশনের ব্যাপারে প্রায় সব অর্থোপেডিক্স ডাক্তারকেই বিমর্ষ হতে দেখি। অনেকবারই তরুন ডাক্তারদের দেখেছি শিশুদের এ্যাম্পুটেশন করবার আগে সিনিয়র ডাক্তারদের জিজ্ঞেস করছেন স্যার কিছুই করা যায়না বাচ্চাটার হাত বাঁচানোর জন্য? আপনার লেখা গুলো অদ্ভুত ভালো লাগছে।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
নতুন মন্তব্য করুন