ইতিহাসপাতাল [পর্ব ৪]

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/১১/২০১৪ - ১১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইতিহাসপাতাল মানে হচ্ছে - ইয়ে মানে যাকে বলে- হাসপাতালের ইতিহাস। ইতিহাসের হাসপাতাল ও হতে পারে। । আবার হয়তো এইটা পাতালেরর ইতিহাস। মানে ইতিহাসপাতাল ওইরকমই কিছু একটা আরকি। আসলে হাড় ভাঙ্গার হাসপাতালে নিজের হাড় ভেঙ্গে অন্যের হাড় জোড়া দেয়ার কাজ করার মাঝে মাঝে অনেক মজার মজার ব্যপারস্যপার ঘটে। ইতিহাসপাতাল সেইগুলোরই টুকরো গল্প। হাসি

কোন হাড় ভেঙ্গে গেলে বেশিরভাগ সময়েই সেইটা অপারেশন ছাড়াই শুধু স্প্লিন্ট, মানে যাকে সাধারণের ভাষায় বলে প্লাস্টার, করলেই জোড়া লেগে যায়। কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন করে স্ক্রু প্লেট রড ইত্যাদি বসিয়ে সেই ভাঙ্গা হাড় জোড়া দিতে হয়। অনেক সময় তাতেও জোড়া লাগে না। তখন অন্য জায়গা থেকে হাড়ের টুকরো (বোন গ্রাফট বলি আমরা) সেই ভাঙ্গা জায়গায় দিতে হয়। অনেক সময় সেইটা রোগির শরীর থেকেই নেয়া হয়। সেইটা সবচে ভালো কাজ করে, কারণ হাড়ের সব কোষ গুলো জীবিত থাকে, নতুন হাড় ভালো হয়। আর যেহেতু পেশেন্ট এর নিজের টিস্যু, গ্রাফট রিজেকশান হয় না।

আবার ভাঙ্গা জায়গাতে দুই বা এর বেশি টুকরোর মাঝে ফাঁকা অংশ বেশি থাকলে অন্য মানুষের থেকে নেয়া হাড়ও দেয়া যায়। এইটা অবশ্য টেকনিকালি অনেক ঝামেলার একটা ব্যপার। অন্য মানুষের হাড় নিয়ে সেইটা ভালো করে স্টেরিলাইজ করে পরে গামা রেডিয়েশান দিয়ে আবার স্টেরিলাইজ করতে হয়, যাতে সমস্ত বায়োলজিকাল টিস্যু নষ্ট হয়ে যায়। শুধু হাড়ের খনিজ কাঠামো টা থাকে। এইটা অনেকটা একটা টেমপ্লেট এর মতো কাজ করে, যেইটার ওপরে রোগির হাড়ের কোষগুলো জমা হয়ে নতুন করে হাড় তৈরী হয়। যেহেতু এইটা ভালো কাজ করে না, আর টেকনিকালি অনেক ঝামেলার, তাই সম্ভব হলে অর্থোপেডিক সার্জনরা রোগির শরীর থেকেই তার নিজের হাড় নিয়ে থাকেন। এইটা নেয়াও সোজা আর ভালো কাজ ও করে।

কারো শরীর থেকে হাড় গ্রাফট করার জন্য নিতে হলে সাধারণত কোমরের পাশের ইলিয়াক বোন ওপরের অংশ, ইলিয়াক ক্রেস্ট বলে জায়গাটাকে, সেইখান থেকেই হাড় টা নেয়া হয়। এইখান থেকে নেয়ার অনেক সুবিধা আছে, যেমন এইটা একেবারে চামড়ার নিচেই, তাই অ্যাকসেস করা সোজা এবং দ্রুত, এইখানের হাড়টা দিয়ে কোনরকম ওজন ট্রান্সমিট করে না - এইরকম আরকি। এই জায়গাটা কোমরের পাশে, কিডনি ঠিক যেইখানে থাকে তার অল্প নিচেই।

বছর তিরিশেকের এক ভদ্রলোকের বাইক এক্সিডেন্টে হাতের দুইটা হাড়ই ভেঙ্গে গেছিলো। তখন সাথে সাথেই অপারেশন করা হয়েছিলো, কিন্তু সেইটা জোড়া লাগে নাই, পুরোনো স্ক্রু প্লেট খুলে ফেলে নতুন করে আবার বসাতে হবে। প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে, তাই শুধু স্ক্রু প্লেট এ জোড়া না লাগারই সম্ভাবনা বেশি, তাই বোন গ্রাফট করার প্ল্যান। অল্প একটু হাড় লাগবে, কমবয়সি স্বাস্থবান লোক, তাই স্বাভাবিকভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ওনার শরীর থেকেই হাড় নেয়া হবে।

অপারেশন ভালোয় ভালোয় হয়ে গেলো। পরের দিন সন্ধেবেলা ইন্সটিটিউটের লাইব্রেরী বসে পরের দিনের কেস প্রেজেন্টেশনের জন্য কিছু পড়ালেখার অপচেষ্টা করছি, এইসময় এক ভদ্রলোক আসলেন। গেটের বাইরের দারোয়ানকে বললেছেন উনি সেই পেশেন্টের এটেনডেন্ট, অপারেশন এর ব্যপারে কথা বলতে চান। টেবিল চেয়ার সবগুলাতেই গাদাখানিক বই খাতা স্তুপ করা, সেইগুলা সরিয়ে ভদ্রলোককে বসতে দিলাম।

বসে তাঁর প্রথম কথাই হলো- আমি সাংবাদিক।

আমি বললাম, ওহ আচ্ছা , তা সাংবাদিক সাহেব , আমি আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি।

তিনি এইবার একটা কার্ড এগিয়ে দিলেন- সেইটা নিয়ে দেখলাম। তিনি 'তোমাদের অসময়'* পত্রিকার সাংবাদিক।

আমি বললাম, তা 'তোমাদের অসময়' পত্রিকার সাংবাদিক সাহেব, আমি আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি।

উনি বললেন- আমি তিন তলার ই-এফ ওয়ার্ডের ছাব্বিশ নাম্বার বেডের* রোগীর আত্মীয়। উনি আমার চাচাশ্বশুরের ভাতিজা হন। তার তো গতকাল অপারেশন হয়েছে।

আমি বললাম, হ্যাঁ। উনি ভালোই আছেন। হাত এখনো প্লাস্টারে আটকানো, ভেতরে সাকশন ড্রেইন দেয়া আছে যাতে ভেতরে জমা রক্ত , সিরাম এইসব বের হয়ে যায়। কালকে এইটা খুলে ফেলা হবে। তারপর আরেকবার এক্সরে দেখে ওনার ছুটি। দশদিন পরে এসে উনি সেলাই কাটাবেন। প্লাস্টার আরো হপ্তাদুয়েক থাকবে।

উনি আমার সামনে অল্প ঝুঁকে এসে নিচুস্বরে বললেন- সমস্যা সেইখানে না, সমস্যা তো মনে হয় আরেক জায়গায়।

আমি একটু চিন্তিত হুয়ে পড়লাম -কি সমস্যা?

সাংবাদিক সাহেব এইবার আরো একটু ঝুঁকে এসে, আরো একটু নিচুস্বরে- গতকাল থেকে তো রোগি পেশাব অনেক কম করতেছে।

- পেশাব একটু কম হতেই পারে, অপারেশন এর আগে পরে অনেকক্ষণ না খেয়ে ছিলেন। বেশি করে পানি খেতে বলেন। ফ্রুটিকা জুস খাওয়ান। দেখবে সব ঠিক।

'তোমাদের অসময়'* পত্রিকার সাংবাদিক সাহেব এইবার আরো একটু বেশি ঝুঁকে এসে, আরো একটু বেশিই-ই নিচুস্বরে বললেন, ওনার কোমরের ডান দিকে কিডনির কাছে একটা ব্যান্ডেজ দেখলাম। নিজেই ওইটা একটু সরিয়ে দেখলাম বিরাট কাটা একটা দাগ। রোগির পেশাব ও কম হচ্ছে। আমরা সাংবাদিক। অনেকরকম খবরটবর পাই। অপারেশন করা হয় অজ্ঞান করে, অপারেশন থিয়েটার এর ভেতরে আমরা তো কেউ থাকি না, কি হয় কিছু জানি না। এমনও তো হতে পারে ওনার একটা কিডনি খুলে ফেলা হয়েছে?

আমি মাথা নেড়ে গম্ভীরভাবে বললাম- হ্যা এইটা তো খুবই সম্ভব।

'তোমাদের অসময়'* পত্রিকার সাংবাদিক সাহেব এইবার আরো বেশি ঝুঁকে এসে, আরো বেশিই নিচুস্বরে বললেন- দেখেন ডাক্তারসাহেব, এইখানে একটা ঘটনা যে ঘটেছে তা তো বুঝতেই পারছি। আমরা আত্মীয়স্বজনরা খুবই চিন্তায় পড়ে গেছি। রোগি নিজেও কিন্তু হাউকাউ শুরু করছে। এখন এইটার একটা ব্যবস্থা তো করতে হয়।

আমি কাঁপা কাঁপা ভয়ার্ত স্বরে বললাম - কি ব্যবস্থা?

সাংবাদিক সাহেব এইবার একেবারে সটান সোজা হয়ে বসে বললেন- ধরেন পত্রিকায় লেখা যদি চলে আসে তাহলে তো আর কিছু করার নাই। তবে সবকিছু ম্যানেজ করে ফেলা যাবে।

এরপরে উনি অনেক ভগিচগি করে যা বললেন তা হলো উনি পত্রিকায় ছাপাবেন যে এইখানে অসাধু চিকিৎসক কর্মচারীদের যোগসাজশে অবৈধ কিডনির ব্যবসা হয়। অপারশন থিয়েটারে অজ্ঞান অবস্থায় রোগির কিডনি খুলে নেয়া হয়। প্রমান হিসেবে ওনার কাছে ছবি, রোগির ইন্টারভিউ ইত্যাদি আছে। শেষ কথা হলো- সবকিছু "ম্যানেজ" করে ফেলা যাবে।

এইবার আমি চেয়ার টেনে অনুসন্ধিৎসু এবং বুদ্ধিমান সাংবাদিক সাহেবের সামনে ঝুঁকে এসে, আরো অনেক বেশি নিচুস্বরে বললাম-

"দেখেন ভাই। ডানদিকের একটা কিডনি খুলে নেয়া হয়েছে, এইটা পত্রিকায় ছাপাতে পারেন, সমস্যা নাই। কিন্তু খেয়াল করে দেখেন, মানুষের কিডনি কিন্তু দুইটা থাকে। আর আপনার চাচাশ্বশুরের ভাতিজা কিন্তু আরো দুইদিন এইখানে থাকবেন। এর মধ্যে ওনাকে আরেকবার অপারেশন থিয়েটারে নেয়া লাগতেই পারে। বুঝলেন তো ব্যপারটা? "

বলে একটা মিষ্টি হাসি দিলাম। হাসি

উনি কি জানি বিড়বিড় করতে করতে উঠে চলে গেলেন, একবার ফিরেও তাকালেন না, বিদায় সম্ভাষণ জানানো তো দুরের কথা।

পরের কয়েকটা দিন আমাদের কেন্টিনের ম্যানেজারকে দিয়ে 'তোমাদের অসময়' পত্রিকা আনিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তাম- একটা টারশিয়ারি লেভেলের সরকারি অর্থোপেডিক ও ট্রমা হাসপাতালে অসাধু চিকিৎসক কর্মচারীদের যোগসাজশে অবৈধ কিডনির ব্যবসা - শীর্ষক কোন খবর ছাপা হলো কি না। ওইরকম কোন খবর খুঁজে পেলাম না।

এখনো সময় পেলেই পেপারটা চেক করি। আফসোস। সেই দুর্দান্ত অনুসন্ধিৎসু রিপোর্টং এখনো দেখলাম না।

_______________________________________________________

নভেম্বর ৪, রাত সাড়ে দশটা

*পত্রিকার নাম , ওয়ার্ড এর নাম, রোগীর বেড এর নাম্বার পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

পত্রিকার নাম , ওয়ার্ড এর নাম, রোগীর বেড এর নাম্বার পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে।

অন্ততঃ পত্রিকার নামটা রাখতেন যদি।

রিপন

ওডিন এর ছবি
সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আগের পর্বগুলো পড়িনি। আজকের ইতিহাসপাতাল সাংঘাতিক লাগলো! আমি তো হাসপাতালের বান্ধা পেসেন্ট। তাই আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। আগেরগুলো পড়ে নিবো ইনশাআল্লাহ।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

ওডিন এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

আর আগেরগুলোর জন্য আগাম ধন্যবাদ। দেঁতো হাসি

সাইদ এর ছবি

বেচারাকে ম্যানেজ করার কোন সুযোগই দিলেন না গড়াগড়ি দিয়া হাসি

বাংলাদেশে সাংবাদিক খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টের। সাংঘাতিক আর খবিশ পাওয়া যায় অনেক।

ওডিন এর ছবি

সব সাংবাদিক তো আর সাঙ্ঘাতিক না। অবশ্য সব ডাক্তারই কসাই মুহুহুহুহুহুহুহুহু শয়তানী হাসি

রিক্তা এর ছবি

সাংবাদিক সাহেব তো গল্পের গরু তালগাছে উঠায়ে ফেলতে পারেন, বিরাট তালেবর! অবশ্য পৃথিবীতে তালেবর পাব্লিকের সংখ্যাই বেশি (ফেইসবুক আর পত্রিকার মন্তব্য দেখে মনে হয় আর কি)

তবে আমার একটা প্রশ্ন প্রায়ই জাগে মনেঃ চিকিতসার/অপারেশন এর আগে কি রোগী/রোগীর আটেন্ডেন্ট কে কোন ব্রিফিং দেওয়া হয়? আমার অবশ্য হাসপাতালের ব্যাপারে একমাত্র অভিজ্ঞতা আমার ছেলের ডেলিভারী। লেবার পেইনের সাড়ে আট ঘন্টার মাথায় এপিউডুরাল দিয়েছিল। সেইটা আবার দেওয়ার আগে ১০ মিনিট ব্যাখ্যা করেছে। আমার তখন ব্যথার চোটে এমন দশা যে বিষ দিলেও সমস্যা নাই। এইটা বলেও লাভ হয় নাই। সেই ডক্টর পুরো ব্যাখ্যা করে নিছেন। এমন কি episiotomy এর আগেও। এইটা অবশ্য ক্যানাডার ঘটনা।

তবে এখন থেকে অবৈধ কিডনি ব্যবসার জন্য কারে দায়ী করতে হবে জেনে গেলাম শয়তানী হাসি

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

ওডিন এর ছবি

ব্রিফিং তো অবশ্যই করা হয়, সব বুঝিয়ে বিশাল মহাভারত লেখা একটা কনসেন্ট পেপারে সাইন ও নেয়া হয়। তবে সরকারি হাসপাতাল তো, রোজ কুড়ি পচিশটা শিডিউলড অপারেশন হয়, তার আগের দিন রোগি আর রোগির একজন বা দুইজন এটেনডেন্টদের হয়তো ব্রিফ করা হয়, রোগির পুরো ফ্যামিলি কে তো আর না। আর আমাদের দেশের অবস্থা তো বোঝেনই, হাসপাতালে কেউ থাকলে অপারেশন এইসব হয়ে যাওয়ার পরে কিছু মুরুব্বি তালেবর টাইপের লোকদের আবির্ভাব হয়, আগে এদেরখবর থাকে না, রোগিত চিকিতসা হয়ে যাওয়ার পরে এসে খুব ভাব নিতে থাকে। এই ভদ্রলোক ছিলো এইরকম একজন মানুষ। পাকনামি করতে এসে ধরা খাইছে আরকি হাসি

রিক্তা এর ছবি

হেহে, তালেবরদের ব্রিফিং করে সিডি রাইট করে দিলেও লাভ নাই

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

রিসালাত বারী এর ছবি

আপনি মিয়া ভয়ংকর লুক। সাবধানে থাকতে হইবো

ওডিন এর ছবি

কিডনি জায়গামতো আছে কি না দ্যাখেন মিয়া। অজ্ঞান ছিলেন ওইসময় মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

হুহ, বললেই হল, ডাক্তার আর সাংবাদিক - এরা দেখা হইলেই কুরুক্ষেত্রে বাঁধে! সারা বাংলাদেশ জানে!

ওডিন এর ছবি
স্যাম এর ছবি

হাহাহহাহা!
কঠিন হইছে, দশে দশ।
ডাক্তার নিয়া তাদের এক্টা "দুর্দান্ত অনুসন্ধিৎসু রিপোর্ট" দেখলাম দেঁতো হাসি

ওডিন এর ছবি

খাইছে রে! অ্যাঁ

মেঘলা মানুষ এর ছবি

মনে হঠাৎ প্রশ্ণ আসলো, আচ্ছা সাংবাদিক হবার জন্য বিশেষ কোন ডিগ্রির দরকার আসলে নেই। কোন একটা পেপারে সুযোগ পেয়ে গেলেই হয়।

সাংবাদিকদের অনেকে বলে 'সাংঘাতিক', আর ডাক্তারদের বলে 'কসাই' ।
এখন যদি কেউ ডাক্তারি পাশ করে সাংবাদিকতা শুরু করেন তাহলে তিনি কি হবেন? অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ

তিথীডোর এর ছবি

যদি কেউ ডাক্তারি পাশ করে সাংবাদিকতা শুরু করেন তাহলে তিনি কি হবেন?

মাইরালা! হো হো হো

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ওডিন এর ছবি

এইরকম একজন ডাক্তারি পাশ করা সাংবাদিক এর সাথে আমার পরিচয় আছে। দেঁতো হাসি

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

কাঁপা কাঁপা ভয়ার্ত স্বরটা কি আসলেই বের করতে পারছিলেন? গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ওডিন এর ছবি

হেহেহে ওইটা ইট্টু বাড়িয়ে লিখলাম আরকি। পুরো ব্যপারটা তো তিন মিনিটের মধ্যেই ঘটে গেছে। দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

মারাত্মক ইতিহাসপাতাল হৈছে হাততালি

..................................................................
#Banshibir.

ওডিন এর ছবি

থেঙ্কস। হোপফুলি নেক্সট এর টা আরো মারাত্মক হবে হেহেহেহেহেহেহে শয়তানী হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক মজা পেলাম গড়াগড়ি দিয়া হাসি । আমি যখন ইন্টার্নী করতাম তখন এক তালেবর সাঙ্ঘাতিক আমাকে রক্ত ব্যাবসায়ী বলেছিল, আমি নাকি বিভিন্ন রোগীর থেকে সিরিঞ্জে করে রক্ত নিয়ে তারপর সব রক্ত একসাথে করে ব্লাড ব্যাগে ভরে বিক্রি করে দেই দেঁতো হাসি

ইসরাত

ওডিন এর ছবি

হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা হো হো হো

তাও ভালো আপনাকে রক্তপিপাসু ভেম্পায়ার ভেবে রসুন, শাদা ওকের ডাক আর রুপোর ক্রুশ নিয়ে আপনার ওপর হামলা করে নাই গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পের যেসব ভ্যাম্পায়ার ক্রুশকে ভয় পায়, তারা কিন্তু ভ্যাম্পায়ার হওয়ার আগে ক্রিশ্চান ছিল। ইসরাত যদি ক্রিশ্চান হয়ে না থাকেন, তাহলে কি ক্রুশকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ আছে? চিন্তিত

Emran

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হেহে সেই সাম্বাদিকের কার্ডটা কি রাইখা দিছেন না? একখান ইস্কিকশট?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ওডিন এর ছবি

এইটা দেয়া কি ঠিক হবে? নেক্সট টাইম দেখা হইলে দেখামুনে চোখ টিপি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অকা দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

বোন গ্রাফটিং মিজান, পিষে ফ্যালো

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ওডিন এর ছবি
মেঘলা মানুষ এর ছবি

"আপনি হয়ত খেয়াল করেননি, আপনি চেয়ারে বাসার পর থেকেই আপনার কোমরের দিকটা অবশ করে ফেলা হয়েছে, আমাদের অটোমটিক রোবট আপনার কিডনি খুলে নিয়েছে মিনিট পাঁচেক আগেই" -এরকম একটা ডায়লগও দিতে পারতেন। শয়তানী হাসি

ওডিন এর ছবি

আসলে এইখানে তো ধরেন অনেক ইনিয়ে বিনিয়ে লিখেছি, পুরো ঘটনাটা ধরেন মিনিট তিনেকের মধ্যেই ঘটেছে। এতোকিছু ভাবার টাইম কই হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এইরাম সাম্বাদিকগুলার পাছার হাড় খুইলা রাইখা দেওন যায় না? চিন্তিত
পরে আর্ত মানবতার সেবায় গ্রাফটিং করন যাইব, শিক্ষাও হইব। শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ওডিন এর ছবি

হ। সাভারে এটোমিক এনার্জি কমিশনের একটা সেন্টার আছে, ওইখানে মরা মানুষের হাড্ডি গামা রে দিয়ে ইরিডিয়েটেড করে বোন গ্রাফট বানানো হয়। ধরে ওইখানে পাঠায় দিতে হবে দেঁতো হাসি

খেকশিয়াল এর ছবি

হে হে হে হে জবর ছিলো!

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ওডিন এর ছবি
নজমুল আলবাব এর ছবি

কপাল ভালো, ম্যানেজ করতে চাইছে। পিটাতো আর দেয় নাই। শুক্রিয়া করে শিরনি দেয়া উচিত ছিলো তোমার।

ওডিন এর ছবি

তা ঠিক অবশ্য । এইটা ভাল বলেছেন ইয়ে, মানে...

সোহেল ইমাম এর ছবি

চলুক

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।