আমরা ছিলাম মোট ১৩ জন। নতুন দেশ দেখার প্রবল ইচ্ছা আর অভিযানের নেশা আমাদের এক করেছিল। আমরা এক হয়েছিলাম পাহাড়ের দেশ নেপাল ভ্রমনের স্বপ্ন নিয়ে। পাসপোর্ট-ভিসার ঝামেলা মিটিয়ে, বহু অনিশ্চয়তাকে তুচ্ছ করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম একসাথে.....
আমাদের প্রথম স্টপেজ ছিল বুড়িমারী, লালমনিরহাট, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া সীমান্ত। বর্ডারের ওপারের জায়গাটার নাম চ্যা!ড়াবান্ধা। আমার ডায়েরির শুরুটা এখান থেকেই...
২৫.০২.০৯ সকাল ১১.৫৭ (বাংলাদেশী সময়)
চ্যাংড়াবান্ধা, কুচবিহার জেলা, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া বর্ডার
একটু আগে বুড়িমারি সীমান্ত দিয়ে ইন্ডিয়ায় প্রবেশ করেছি আমরা। সীমান্তের এপারের অংশের নাম চ্যাংড়াবান্ধা। আমরা কিছু টাকা নেপালি ও ইন্ডিয়ান রুপিতে বদল করলাম। ডলার বদলাতে Loss হচ্ছে তাই ভাবছি নেপাল-ইন্ডিয়া সীমান্তে বদল করবো। মানি এক্সচেঞ্জে পরিচয় হল কালু নামের এক ভারতীয় ভদ্রলোকের সাথে। তিনি "শম্ভু-গুপ্তা মানি একচেঞ্জ"-এর কর্মচারী। তার কাছ থেকে বিভিন্ন জিনিসের দাম জানা গেল। যেমন: Lays এর দাম ২০ রুপি আর Kitkat ৩০-৩৫ রুপি। তার থেকেই জানলাম মোবাইল ফোনের (গ্রামীন ফোন) নেটওয়ার্ক এই বর্ডার থেকে তিন কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত থাকে।
আমি আর রিফাত চা খেলাম। দাম দিতে গিয়ে দেখা গেল আমার আছে ১০০ রুপির নোট। চা ওয়ালা ভাংতি দিতে না পেরে বাংলাদেশী ১০ টাকা নিলো, তিন রুপি ফেরত দিলো। ফলে প্রতি কাপ চা পড়লো দুই রুপি।
বাস বদল করে নতুন বাসে উঠলাম। আমাদের যাত্রা এখন শিলিগুড়ির দিকে।
২৫.০২.০৯ বিকাল ৫:৩০ (বাংলাদেশী সময়)
স্থান: কাঁকড়ভিটা, নেপাল (নেপাল-ইন্ডিয়া বর্ডার)
শিলিগুড়িতে হোটেল সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে বাস থামলো প্রায় আড়াই ঘন্টা পর। সেখানে ফ্লেক্সি করে নিলাম এয়ারটেল সিম এ। ৫০ রুপিতে ব্যালেন্স পেলাম ৪২ রুপি।
একটা লোকাল বাসে করে বর্ডারের দিকে রওনা দিলাম। ১৫ রুপি করে জনপ্রতি ভাড়া। আমাদের নেপালি বন্ধু নাসরুল্লাহ বলেছিল আধা ঘন্টা লাগবে, কিন্তু সময় লাগলো প্রায় ১ ঘন্টা। পৌঁছালাম রাণীগঞ্জ এর পানির ট্যাংকি নামের এক জায়গায়, সেখান থেকে হেঁটে চলে এলাম বর্ডারের কাছে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন অফিসে। ইমিগ্রেশন শেষে স্রেফ হেঁটে পার হয়ে এলাম পানিহীন "মাচি" নদীর ওপরের ব্রীজ। কোন চেকিং বা ইন্টারোগেশন হল না।
নেপালের এ জায়গাটার নাম কাঁকড়ভিটা। এখানেও ইমিগ্রেশনের অংশ পার হলাম কোন ঝামেলা ছাড়া। তারপর কাছেই "সৈনিক হোটেল" এ খেলাম দুপুরের খাওয়া। ভাতের সঙ্গে নানা পদের সবজি, ডাল, সেই সাথে কোল্ড ড্রিংক্স। এই হোটেলের লোকজন বাংলা বোঝে, বলতে পারে। ডিম খেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পাওয়া গেল না। আতপ চালের ভাত দিলো, সাথে বড় এক টুকরো মূলা, গুঁড়ো এক রকমের খাবার (বললো এটা কোন একটা মাছের পদ), শাক, শাকভাজি, লেবু, আলু আর সিমের তরকারি। জনপ্রতি খরচ হল প্রায় ৮১ নেপালি রুপি। একটু বেশিই মনে হল।
এখন বসে আছি মাইক্রোর জন্য। নাসরুল্লাহ আর লোসান গেছে ভাড়া করতে। আমরা বিকালেই কাঠমুন্ডু রওনা দেব।
২৬.০২.০৯ সকাল ৭:৩০ (বাংলাদেশী সময়)
স্থান: খাম্বুয়ান, নেপাল। কশি নদীর তীর।
বাংলাদেশী সময় থেকে নেপালি সময় ১৫ মিনিট পিছনে থাকে। অর্থাৎ এখন বাজে ৭:১৫ নেপালি সময়ে। আমরা অপেক্ষা করছি ফেরির জন্য। এটা কশি স্টেট। আমরা গতকাল বিকালে একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করে কাঠমুন্ডুর দিকে রওনা হয়েছি। মূল হাইওয়ে দিয়ে গেলে মোট সময় লাগতো ১৩-১৫ ঘন্টা, কিন্তু মাঝপথে "সপ্তরি" জেলায় ধর্মঘট হওয়ায় প্রায় ১৫০ কি.মি. ঘুরপথে যেতে হচ্ছে।
গতকাল রাত আটটার দিকে একটা হোটেলে খেয়েছি। ভাত, ভাজি, পাঁপর ভাজা আর মিষ্টি দিয়ে খাওয়াটা খারাপ হয় নি। এরপর দুই-তিন ঘন্টা ড্রাইভ, এর মাঝে আমরা মূল রাস্তা থেকে বের হয়ে পাহাড়ি পথ ধরে এগিয়েছি। রাতের আঁধারে ঐ পথে প্রথম এক ঘন্টা আর কোনও গাড়ি চোখে পড়ে নি। আঁকা-বাঁকা পথ আর দু'ধারের ঘন জঙাগল মনের মধ্যে শিহরণ জাগিয়েছে। এর মধ্যে নাসরুল্লাহ হইচই করতে বা গাড়ির মধ্যে ছবি তুলতে মানা করে দিল, বেশ বোঝা যাচ্ছিল সে দুশ্চিন্তা করছে। দুই-তিনটা গ্রাম পার হলাম, মানুষ তো দূরের কথা, কোন পশুপাখিরও দেখা নেই। এরপর একটা গ্রামে পৌঁছে দেখি অদ্ভুত ব্যাপার! সব বাড়িতে আলো জ্বলছে, রাতভর সবাই জেগে হাঁটাহাঁটি করছে, কথাবার্তা বলছে। এমনকি মহিলারাও হাতে আলো নিয়ে পথ ধরে যাতায়াত করছে। আমরা তো অবাক! তখন নাসরুল্লাহ জানালো, আসলে ডাকাতের ভয়ে গ্রামের সবাই জেগে আছে, টহল দিচ্ছে।
ড্রাইভাররা (টানা যাত্রা তাই দুইজন ড্রাইভার) এরমধ্যে পথ ভুলে অন্য পথে নিয়ে গিয়েছিল আমাদের। পরে লোকজনকে জিগ্যেস করে পথ ঠিক করে নিল। অবশেষে কশি নদীর পারে পৌঁছালো মাইক্রো। তারপর থেকে অপেক্ষাই করছি।
এই সাত সকালে নদীর দু'পাড়ে হাজার মানুষের ভিড়, অসংখ্য যানবাহন অপেক্ষা করছে, অথচ ফেরি ছাড়ার এখনও কোন নাম নাই। আমরা নদীর ধারের দোকান থেকে চা খেয়েছি, আশেপাশে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ছবি তুলেছি। ওপারে দুটো ফেরিতে লোকজন উঠে অপেক্ষা করছে দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু ফেরি কেন ছাড়ছে না তা বোঝা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ হলে এতক্ষনে মারামারি লেগে যেত-আমি নিশ্চিত , কিন্তু নেপালিরা অনেক সহণশীল জাতি দেখা যাচ্ছে। চায়ের দোকানে শুনলাম কিছু লোক তিনদিন ধরে এখানেই অপেক্ষা করছে।
আগে নাকি কশি নদী পার হওয়ার একটা ব্রিজ ছিল। কিন্তু গতবছর বাঁধ ভেঙ্গে বন্যা হয়ে ব্রিজ ভেঙ্গে গেছে। তারপর থেকে এই অবস্থা চলছে। এই তথ্য জানলাম এক নেপালি ভদ্রলোকের কাছ থেকে যিনি চট্টগ্রামে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। নদীর পারের চায়ের দোকানে তার সাথে পরিচয়। অবশ্য নাসরুল্লাহ পরে জানিয়েছিল যে কোন ব্রিজ ভাঙেনি, বরং বাঁধ ভেঙ্গে নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ায় সমস্যার সূত্রপাত।
আমরা নদী পার হয়ে প্রথমে "জানাকপুর" যাব। সেখানে নাসরুল্লাহর শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকে যাব কাঠমুন্ডু। কে জানে কতক্ষণ লাগবে! মাইক্রোটাকে অবশ্য সবকিছু বলেই ভাড়া করা হয়েছে। মোট ভাড়া ২০,০০০ নেপালি রুপি। একটু বেশী, কিন্তু তখন আমাদের এটা ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প ছিল না।
২৬.০২.০৯ রাত ১২:০০ (বাংলাদেশী সময়)
স্থান: মুগলিং, নেপাল।
মুগলিং-এর একটা রেস্টুরেন্টের সামনে বসে আছি। এখনও কাঠমুন্ডু অনেক দূর। জানাকপুর যেতে প্রায় বিকাল হয়ে গিয়েছিল। সেখানে হোটেলে খেয়ে নাসরুল্লাহ-র শ্বশুরবাড়িতে গেলাম। নাসরুল্লাহ-র স্ত্রী আর ছেলের সাথে দেখা হল। সে বাসায় চা খেলাম, ভাবীর সাথে ছবি তুললাম, তারপর ফের রওনা দিলাম।
জানাকপুরে একটা এয়ারপোর্ট আছে কাছাকাছি - এটা তখনই জানলাম। সেখান থেকে কাঠমুন্ডু যেতে ১৪০০ নেপালি রুপি লাগে। এরপর জানলাম, কাঁকড়ভিটার কাছেও নাকি একটা এয়ারপোর্ট আছে আর ২০০০ নেপালি রুপি লাগে সেখান থেকে কাঠমুন্ডু যেতে!! আফসোস! আগে জানলে সেই একই খরচে তিন দিনে কাঠমুন্ডু না গিয়ে প্লেনে একবারেই চলে যেতাম বর্ডার থেকে। দেখি ফেরার পথে চেষ্টা করবো কাঁকড়ভিটা পর্যন্ত প্লেনে ফিরতে।
জানাকপুর ছেড়ে যাওয়ার আগে দুপুরে যে হোটেলে খেয়েছি সেটার ব্যাপারে বলা যায়। খাওয়া দাওয়া নিয়ে অনেকেই বেশ খুঁতখুঁত করছিলো, তাই জানাকপুর গিয়ে বেশ ভাল মানের একটা হোটেল খোঁজা হল। অবশ্য অবশেষে যেটায় ঢুকলাম সেটা একটা মাঝারি মানের হোটেল। আমার বেশিরভাগ বন্ধু সেখানে ভাজি-ভাত খেল, আমরা চার-পাঁচজন শুধু মুরগি খেলাম। রান্না ভালই। তবে দাম অত্যন্ত চড়া। ভাজির দাম নেপালি রুপিতে ৭০, মুরগি ১৫০ সাথে ২৫ নেপালি রুপির ভাত। ড্রাইভার আর আমাদের মিলে প্রায় ২১০০ নে. রু. বিল আসলো!!
জানাকপুর যেতে আমরা মূল রাস্তা থেকে সরে গিয়েছিলাম। প্রায় ১ ঘন্টা চলে আমরা ফের মূল রাস্তায় ফিরে এলাম। আবার কাঠমুন্ডুর দিকে চলা। পথে অনেকবার চেকিং এর জন্য আমাদেরকে থামানো হল। কিছু জায়গায় থামানো হল টোলের জন্য।
পথ যেন ফুরোচ্ছেই না। আমরা টানা দুই দিন ধরে ভ্রমণ করছি। কোন গোসল নেই, কাপড় বদলানো নেই, এমনকি গন্ধের ভয়ে জুতোও খোলা যাচ্ছে না। তবে আর বেশীক্ষণ নেই। আজ রাত দু'টোর দিকে রওনা দিলে আমরা ভোরে কাঠমুন্ডু পৌঁছে যাব!! এখনও অবশ্য আমরা আমাদের উৎসাহ ও শক্তি সঞ্চিত করে রেখেছি আগামি কয়েকদিনের ভ্রমণের জন্য।
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বি.ডি.আর আর আর্মির মধ্যে নাকি তুমুল গণ্ডগোল ঘটে গেছে। এ নিয়ে আমি একটু দুশ্চিন্তায় ছিলাম। রাতে একটু আগে ফোনে কথা বলে নিশ্চিন্ত হয়েছি।
জানাকপুরের একটা দোকান থেকে ১০ নে. রু / মিনিট এ ফোন করতে পেরেছিলাম বাংলাদেশে। সেখানে ভি.ও.আই.পি সংযোগ ছিল বলে রেট কম ছিল। এখানে মোবাইল থেকে ফোন করতে ২৫ রুপি করে কাটলো। দোকানে চায় ৩৫-৪০ রুপি।
নেপালের অধিকাংশ হোটেল-মালিক হিন্দু। মুগলিং এ এসে আমরা একটা মুসলিম মালিকানাধীন হোটেলে খেলাম। এবার খেলাম ছাগলের মাংস। রান্না বেশ ভালো লাগলো। হোটেলের নাম "হোটেল আবদুল্লাহ"। মালিকের সঙ্গেও হিন্দিতে কথাবার্তা হল। খানিকক্ষণ আগেই নাকি বাংলাদেশের কোন এক মেডিকেলের কিছু ছাত্র-ছাত্রী এখান থেকে ঘুরে গেছে।
এখন এই হোটেলের সামনেই সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি।
(চলবে...)
মন্তব্য
=))
এই হচ্ছে নেট না ঘেটে কোথাও রওনা হওয়ার হ্যাপা।
ঢাকায়ও একটা এয়ারপোর্ট আছে, আর সেখান থেকে সম্ভবত ১৪/১৫ হাজার টাকায় আধঘন্টায় কাঠমুন্ডু সরাসরি যাওয়া যায়।
হুমম, এটা ঠিক যে আমরা (যারা বাংলাদেশী) তারা কাঁকড়ভিটার এয়ারপোর্টের ব্যাপারটা জানতাম না, কিন্তু আমাদের সাথে আমাদের নেপালি বন্ধু নাসরুল্লাহ ছিলো, ও ঠিকই জানতো। ও আমাদেরকে ওই পথে কেন নেয় নি তা জেনেছি পরে। প্রথমত, এয়ারপোর্টটা আসলে ঠিক বর্ডারের কাছে না এবং সেখান পর্যন্ত পৌঁছানো বেশ সময়সাপেক্ষ। দ্বিতীয়ত, আমাদের মাথাপিছু খরচ এর চেয়ে অনেক কম পড়েছে রাস্তায় ভ্রমণ করায়। আর তৃতীয়ত, আমরা তো দেশ ভ্রমণেই বের হয়েছিলাম তাই না, কাছ থেকে না দেখলে নেপালের রূপ কি বোঝা যেত?
ঢাকা থেকে নেপাল আপ-ডাউন প্লেন ভাড়া তখন জেনেছিলাম ১৬ হাজারের কিছু বেশী। আর এই পুরো যাত্রাতে আমাদের মাথাপিছু খরচই হয়েছে ১৭ হাজার টাকার মত, শুধু একটু বেশি জার্নি করতে হয়েছে। আমরা তো জার্নি করতেই চেয়েছি, তাই সর্বসম্মতিক্রমে প্লেন যাত্রা বাদ দিয়েছিলাম। এখনও আবার গেলে আমি বাই-রোড যাওয়াই বেছে নেব। বুড়ো বয়সে প্লেনে যাব না হয় একবার।
চলুক ভ্রমণ কাহিনি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
- চমৎকার
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুম....।
খুব ভাল অমি। পরীক্ষার চাপে আবার সিরিজটা বন্ধ করিস না। একটু সময় করে চালিয়ে যা।
নেপাল বা ভারতে যাব বলে পাসপোর্ট করিয়েছিলাম অনেক আগেই, ৩/১ এ থাকার সময়। নানান প্রতিবন্ধকতায় আর যাওয়া হয়ে ওঠে নি। তোদের সাথেও সেবার যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু দল ধরে সেন্টমার্টিন যাওয়ায় আর যাওয়া হয়ে উঠল না।
......................................................
পতিত হাওয়া
গত ঈদে আমাদের বন্ধুরা সবাই গেলো, বাচ্চাটা যথার্থ ভ্রমনোপোযোগি হয়নি বলে আমরা গেলাম না। এবার যাবো ভাবছি... আপনার সিরিজটা পড়ে হাত পাকিয়ে নেই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চালিয়ে যাও অমি । লেখা চমতকার হৈসে ।।
ডায়েরি স্টাইলে লেখা! দারুণ লাগলো...
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
নতুন মন্তব্য করুন