আমরা ছিলাম মোট ১৩ জন। নতুন দেশ দেখার প্রবল ইচ্ছা আর অভিযানের নেশা আমাদের এক করেছিল। আমরা এক হয়েছিলাম পাহাড়ের দেশ নেপাল ভ্রমনের স্বপ্ন নিয়ে। পাসপোর্ট-ভিসার ঝামেলা মিটিয়ে, বহু অনিশ্চয়তাকে তুচ্ছ করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম একসাথে.....
"নেপালের পথে-১ (কাঠমুন্ডু কতদূর??)" পড়তে পারেন এখানে
২৮.০২.০৯ রাত ১০:৩০ (বাংলাদেশ সময়)
স্থান: হোটেল তাজ ইন্টারন্যাশনাল, বাগবাজার, কাঠমুন্ডু, নেপাল।
এখন হোটেলে । রাতের খাবার খেতে বাগবাজার মোড়ে মুসলিম হোটেলে গিয়েছিলাম আমরা ১১ জন। লোসানের জ্বর, ও যায় নি, আর নাসরুল্লাহ ওর ভাই-এর বাড়িতে আছে। এর মাঝে ঘুরে ফেলেছি বেশ কিছু জায়গা। এই অবসরে মাঝের সময়গুলোর কথা লিখে ফেলি।
২৭ তারিখ সকালে কাঠমুন্ডু পৌঁছালাম। অসাধারণ শহর। চারিদিকে পাহাড় ঘেরা, পাহাড়ের গায়ে গায়ে ঘরবাড়ি। ঘোরানো রাস্তা বেয়ে গাড়ি ধিরে ধিরে উঠে গেল পাহাড়ের ওপরের দিকে, তারপর খানিকটা নিচে, নেমে এলাম কাঠমুন্ডু শহরে। শহরের পথে দেশি বিদেশী প্রচুর লোক, রাস্তার ধারে ছবির মত সুন্দর বাড়িঘর দেখে মন ভরে যায়।
শহর দেখতে দেখতে চলেছি। একটা রাস্তার মোড় থেকে বাঁয়ে ঘোরার সময় হঠাৎ প্রচন্ড আওয়াজ করে গাড়ির পেছনের বামদিকের অংশটা নিচের দিকে নেমে গেল। কোনমতে রাস্তার ধারে গাড়িটা সাইড করে রাখতে পারলো ড্রাইভার। আমরা হুড়মুড় করে নামলাম, তারপর অবস্থা দেখে তো সবাই অবাক। গাড়ির ওই দিকের চাকাটা এক্সেল সহ ভেঙে চরে গেছে! বড় বাঁচা বেঁচে গেছি সেই দিন। পাহাড়ে ওঠার পথে এ ঘটনা ঘটলে আমাদের সবাইকে অকাল প্রয়াত মেধাবীদের দলে নাম লেখাতে হত।
আর একটা মাইক্রো তখনি ভাড়া করে আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম নাসরুল্লাহর বড় ভাই-এর বাসায়। ভাইয়া বেশ জটিল মানুষ। 'Orion Corporation' নামক একটি বহুজাতিক কোম্পানির 'Country Director' তিনি। নেপালের প্রায় জায়গা চষে বেড়িয়েছেন বরে মনে হল। আমাদের আগামী দিনগুলোর ঘোরাঘুরির প্ল্যান উনিই করে দিলেন। হোটেল 'তাজ' এ রুমও বুক করা হল ওনার সহায়তায়, বেশ সুলভ মূল্যে।
আমাদের প্ল্যানটার খসড়া এরকম:
২৭.০২.২০০৯ কাঠমুন্ডু : পশুপতিনাথ, শম্ভুনাথ, নিউরোড, হনুমানধোঁকা।
২৮.০২.২০০৯ সকাল ৪ টায় নগরকোট - ৬টার পরপর পৌঁছাবে। ভক্তপুর হয়ে কাঠমুন্ডু (বিকাল ৫টার মধ্যে)।
০১.০৩.২০০৯ সকাল ৮টায় রওনা হয়ে মনকামনা, ১টার দিকে পোখারা রওনা হব। তিন ঘন্টা লাগবে। ওখানে মহেন্দ্রপুল এ যাব।
০২.০৩.২০০৯ ফেওয়া লেক, মহেন্দ্রগুহা, ডেভি'স ফল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। রাতে পোখারা থাকবো।
০৩.০৩.২০০৯ ৮টার দিকে চিতওয়ান রওনা হব। ১টার দিকে পৌঁছাবো। ইকনোমিক লজ এ থাকবো।
০৪.০৩.২০০৯ সারাদিন চিতওয়ান থাকবো। সময় পেলে বীরগঞ্জ যাব।
০৫.০৩.২০০৯ এই দিনটা হাতে আছে। বর্ডার এ ফিরতে হবে।
০৬.০৩.২০০৯ শিলিগুড়ি থেকে ২টায় রিটার্ণ বাস।
দুরত্ব:
কাঠমুন্ডু --> নগরকোট ৪০ কি.মি.
কাঠমুন্ডু --> মনকামনা ১০০ কি. মি.
কাঠমুন্ডু --> পোখারা ২০০ কি.মি.
পোখারা --> চিতওয়ান ১৪০ কি.মি.
কাঠমুন্ডু --> কাঁকড়ভিটা ৫৪০ কি.মি.
হোটেল রুমটা বেশ সুন্দর। 'বাগবাজার' মোড়ের কাছাকাছি বেশ জনবহুল জায়গায় হোটেলটা। রুমে উঠে আমরা প্রথমে গোসল করলাম, তারপর গেলাম টাকা ভাঙাতে। প্রতি ১০০ ডলার এর বদলে পেলাম ৭৮৫০ নেপালি রুপি করে। এরপর রওনা দিলাম শম্ভুনাথ মন্দিরের উদ্দেশ্যে। লোকাল বাসে কিছূটা দাঁড়িয়ে, কিছূ সময় বসে গেলাম। বাংলাদেশের মতোই লাগলো ব্যাপারটা। সেই একই রকম ধাক্কাধাক্কি, ঝাঁকুনি আর সিট দখলের প্রতিযোগীতা।
নেপালে সবত্র মেয়েদের অবাধ পদচারণা দেখে অবাক হলাম। দোকনগুলোতে, কিংবা হোটেলে - সব জায়গায় দেখছিলাম মহিলা কর্মীদের। নেপালের আপামর জনসাধারণ ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক চোখেই দেখে। মেয়েদের পোশাক-আশাক বেশ আধুনিক ধাঁচের। বাংলাদেশের মেয়েদের চেয়ে তাদেরকে অনেক স্বাধিনচেতা মনে হলো।
শম্ভুনাথের মন্দিরটা আমি ভেবেছিলাম হিন্দুদের মন্দির। কিন্তু গিয়ে দেখি সব জায়গায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তি, আবার একই সাথে হিন্দুদের বিভিন্ন দেব-দেবতার মূর্তি ও পুজা মন্ডপ। জানতে পারলাম, এই মন্দিরটা উভয় ধর্মের লোকদের তীর্থস্থান। মূল মন্দিরটা পাহাড়ের বেশ ওপরে। মাঝে ছোট ছোট আরও মন্দির আছে। হেঁটে হেঁটে আমরা পুরোটা ঘুরে দেখলাম। অপূর্ব কারুশৈলীবিশিষ্ট চাকচিক্যময় মূর্তিগুলো দেখে বিস্মিত হলাম। একজায়গায় দেখলাম ফোয়ারার মাঝখানে একটা বৌদ্ধমূর্তি, আর স্বচ্ছ জলের নিচে অসংখ্য পযসা ডড়ে আছে। মনের বাসনা পূরণের জন্য মানুষ পয়সা ছুড়ে ফেলে সেখানে।
একদম উপরের দিকে, মূল মন্দিরে, টিকেট কেটে ঢুকতে হল। বিদেশী বলেই এই টিকেট কাটা। আমাদের দুই বন্ধু অবশ্য নেপালীদের মত ভাব ধরে টিকেট ছাড়াই চলে গেল। আমি ধরা খেলাম। ৫০ নেপালি রুপি দিয়ে টিকেট কেটে ঢুকলাম। ওপরের দিকে প্রাচীন শহরের মত এক জায়গা। সেখানে অনেক দোকানপাট যেগুলোয় পাথর, হাঁড়, ধাতু ও কাঠের তৈরী হরেক রকম মূর্তি, মুখোশ ও অলংকারের সমাহার। যা দেখি তাই কিনতে ইচ্ছা করে - এতটাই অপূর্ব এক একটা জিনিস! আর মন্দিরের মূর্তিগেলোর কথা তো বাদই দিলাম। বিভিন্ন অবস্থানে, নানান ভঙ্গিমায় ভগবান বুদ্ধের মূর্তি, আর অসংখ্য দেবদেবীর মূর্তিতে যেন ছেয়ে আছে পুরো এলাকাটা। মূল মন্দিরের ওপরভাগটা যেন সোনার পাতে মোড়া। রোদ পড়ে ঝলমল করছিল মন্দিরের চুড়োটা। এগুলো ছাড়াও একপাশে রেলিং দেওয়া উঠোনের মত একটা জায়গা আছে যেখান থেকে কাঠমুন্ডু শহরের একাংশ দেখা যায়। সন্ধ্যার আলোয় অপূর্ব লাগছিল সবকিছুই।
সেদিন রাতটা অবশ্য কিছু না করেই কাটালাম। হোটেলে ফিরতেই দেরী হল, তারপর বাসায় ফোন করতে আর রাতের খাওয়া খেতে খেতে নয়টা বেজে গেল। কাঠমুন্ডু শহর অবশ্য রাত আটটার দিকেই অন্ধকার হয়ে যায়। লোডশেডিং-এর সমস্যা এখানে প্রবল। হোটেলে বিকাল থেকেই জেনারেটর চালু হয়। রাত ১১টার দিকে তাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মোমবাতি আর টর্চই ভরসা। রাত ১০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লাম। ভোর ৪:৩০ এ আমাদের নগরকোট রওনা দেওয়ার কথা সূর্যোদয় দেখতে। আগের মাইক্রোটা ঠিক হয়ে গেছে, ওটাই আসার কথা। নাসরুল্লাহ ভাইয়ের বাসায় থাকলো রাতে, ভোরে গাড়ি-সহ আসবে।
৫:১৫ তে ঘুম ভাঙলো। নাসরুল্লাহও আসে নি। হোটেল লবিতে গিয়ে ফোন করে জানলাম গাড়িই আসেনি তখনও। যাই হোক, গাড়িতে চড়ে যাত্রা করতে প্রায় ৭টা বেজে গেল। নগরকোটে যেতে লাগলো ২ ঘন্টা। কিন্তু কি সৌভাগ্য!! দেখতে পেলাম হিমালয়ের গায়ে সূর্যের ঝিলিক! অসাধারণ এক জায়গা এই নগরকোট। আমরা প্রায় ছয়-সাতটা চুড়ো দেখতে পাচ্ছিলাম। এদের মধ্যে আছে নীলগিরি ও গণেশসীমা। এথারেস্টের অবস্থানটা এক ভদ্রলোককে জিগ্যেস করে জানলাম। ওটা অনেকদূর, দেখা যাচ্ছিল না। আমরা প্রচুর ছবি তুললাম।
নগরকোটের চুড়ো থেকে নেমে এলাম "ভক্তপুর"। আমি শুনেছিলাম ওটা কারুশিল্পের বাজার। গিয়ে দেখি "দরবার স্কয়ার"-এ পুরোনো রাজবাড়ির নিদর্শন। এক কথায় অনন্য সাধারণ! সেখানে স্থানিয় দোকানেও গেলাম। কিনরাম শাল টুপি ও ভিউকার্ড।
ভক্তপুরে কেনাকাটা আর ঘুরে দেখায় বেশ সময় লাগলো। শেষে তড়িঘড়ি করে আমরা রওনা দিলাম "নারায়ণহিটি" রাজবাড়ির দিকে। এটা কাঠমুন্ডু শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত, রাজা জ্ঞানেন্দ্রর প্রাক্তন বাসভবন। আমরা যাওয়ার মাত্র দু'দিন আগে জনগনের সামনে জাদুঘর হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা বিদেশীদের লাইনে ঢুকলাম। জনপ্রতি টিকিট ২৫০ নেপালি রুপি লাগলো। আমাদের গাইড এক সুন্দরী নেপালি তরুণী, নাম মায়া। নেপালি ভাষায় 'মায়া' শব্দের অর্থ 'ভালবাসা'। আমার কয়েকজন বন্ধু ও অন্যান্য কিছু অতিথির মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখা গেল তার সাথে কথা বলা নিয়ে। রাজপ্রাসাদটা বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ভিতরে আলিশান ব্যাপার স্যাপার। আমরা ঘুরে ঘুরে দেখলাম অভ্যর্থনা কক্ষ, খাবার ঘর, মিটিং রুম, রাজা ও রাণরি শোবার ঘর, বিদেশী অতিথিদের শোবার ঘর, অফিস রুম এবং রাজ দরবার ইত্যাদি। রাজ সিংহাসনটা দেখে চমৎকৃত হলাম। বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সাথে রাজার ছবি মধ্রে দেখলাম বেগম খালেদা জিয়া ও হু. মু. এরশাদের ছবি। এই রাজপ্রাসাদে নাকি এমনকি মন্ত্রীরাও ঢোকার অনুমতি পেতেন না। প্রাসাদটা অবশ্য তেমন পুরোনো না। ১৯৬৯ এ তৈরী করা। পুরোনো প্রাসাদটা ভেঙে ফেলা হয়েছে ২০০১ এর গণহত্যার সময়। গণহত্যার ব্যাপারটা নাসরুল্লাহর কাছ থেকে পুরোপুরি জানতে পারলাম। আমরা দেশে থেকে যে সব খবর জেনেছিলাম তার থেকে ঘটনা বেশ ভিন্ন মনে হল। এই বেলা ঘটনাটা লিখে ফেলি।
জ্ঞান্দ্রের বড়ভাই মহারাজ বীরেন্দ্রর মেয়ে 'শ্রুতি'-র সাথে এক সেনা সদস্যের প্রেম হয়। রাজা বীরেম্দ্র বেশ জনপ্রিয় রাজা ছিলেন। কিন্তু এই ঘটনা শুনে তিনি কৌশলে ওই সেনা সদস্যকে মেরে ফেলেন। ফলে সেনাবাহিনীর এক অংশে বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে ওঠে। জ্ঞানেন্দ্র এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে, এক পারিবারিক অনুষ্ঠানের সময় (যুবরাজের বিয়ে সংক্রান্ত অনুষ্ঠান), পুরো পরিবোরের সবাইকে হত্যা করান। নেপালের রাজ পরিবারের নিয়ম অনুসারে কোন রাজা মারা গেলে ওই দিনই নতুন রাজার অভিষেক হতে হয়। কিন্তু বীরেন্দ্রর পরিবারের সবাই তখন মৃত। ফলে নতুন রাজা হয় তার ছোট ভাই জ্ঞানেন্দ্রই। রাজা হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই জ্ঞানেন্দ্র পুরোনো প্রাসাদ ভেঙে ফেরেন, ফলে সকল প্রমাণ বিলোপ হয়ে যায়।
এদিকে, আমরা যেমনটা জানতাম, তা হল, যুবরাজ 'দীপেন্দ্র' এক সাধারণ মেয়ের প্রেমে পড়েন। কিন্তু তিনি জানতেন বীরেন্দ্র এটা কোনদিন মেনে নেবেন না। তাই তিনি নিজে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলেন এবং পরে নিজেও আত্মহত্যা করেন। নাসরুল্লাহ বললো, দীপেন্দ্রর হাতে যে বন্দুক পাওয়া গিয়েছে তার নলই আড়াই ফুট লম্বা। ফলে সেই বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যা করা অসম্ভব। ব্যাপারটা পুরোটাই নাকি সাজানো। নেপালের জনগন আসল ব্যাপারটা ঠিকই জেনে গেছে, জ্ঞানেন্দ্রর পতনের এটাও একটা কারণ।
রাজবাড়ি দেখা শেষ করে গেলাম 'পশুপতিনাথ' মন্দির দর্শনে। মূল মন্দিরে হিন্দু-ধর্মাবলম্বী ছাড়া প্রবেশ নিষেধ, কিন্তু কৌতুহল দমানো গেল না। আমাদের গ্রুপের একমাত্র হিন্দু মতাবলম্বী বন্ধু রতনের পিছু পিছু আমরা কয়েকজনও খালিপায়ে ঢুকে গেলাম মন্দির এলাকায়। প্রবেশ পথের সামনেই বিশাল এক গরুর মূর্তি। সঠিক আকৃতিটা মনে নেই, বন্ধুদের জিগ্যেস করে মনে হল প্রায় ১৩*৫*৮ ফুট ছিল বোধহয়। ভিতরের দিকে মূল মন্দির, সেখানে হরেকরকম দেবমূর্তির সমাহার। আরও এগিয়ে গিয়ে দেখলাম বহু মানুষ একটা রেলিং এর পাশে দাঁড়িয়ে নিচে তাকিয়ে আছে। আমরাও কৌতুহলী হয়ে তাকালাম। একটা জলস্রোত বয়ে গেছে, তার ওই পারে একজন লোক পাথর ফেলছে পানিতে, একটা শবদেহ রাখা এই পারে। কি হচ্ছে তা কিছুই বুঝলাম না অবশ্য। রতনও বলতে পারলো না। পুরো জায়গাটায় ধূপ আর প্রসাদের কড়া গন্ধ, তেমন একটা পরিষ্কারও না এলাকাটা, তবু অজস্র মানুষ খালিপায়ে হাঁটছে, দেবতাদের প্রণাম করছে। ভেতরে ছবি তোলাও নিষেধ, কেমন একটা রহস্যময় শহরের মতো লাগছিল এলাকাটা। একটা শিহরণ নিয়ে বের হয়ে এলাম।
হনুমান ধোঁকা তে গিয়ে ধোঁকা খেলাম। ওটা ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে। ওখানে পুরোনো রাজপ্রাসাদ থাকার কথা, দেখা হল না। হোটেলের কাছে ফিরে টাকা ভাঙালো কয়েকজন। ফোন করলাম বাসায়, তারপর সবজির 'মম' খেলাম। মম নেপালের ঐতিহ্যবাহী খাবার। দেখতে আমাদের দেশের একটা পিঠার মত, অবশ্য খেতে মিষ্টি নয়, বরং ঝাল। ভালই লাগলো খেতে।
এরপর তো রাতের খাওয়া শেষে হোটেল রুমে ফিরে এই লিখছি।
(চলবে...)
মন্তব্য
কাঠমান্ডু শহরের নাম কাঠমুন্ডু লেখাটা কি ইচ্ছাকৃত? এর পিছনে কোনো রসিকতা থাকলেও বোঝা গেলো না।
অনেক দেরীতে দ্বিতীয় পর্ব ছাড়লেন।
নতুন মন্তব্য করুন