স্কুলে পড়ার সময়ে আমার প্রাণের বন্ধু ছিল অনিক চাকমা। প্রথম যেদিন ক্লাসে আসল ওকে আমরা ঠেলেঠুলে ডায়াসে উঠিয়ে দিয়েছিলাম, গণদাবী - চাকমা ভাষায় কথা বলতে হবে। ধবধবে ফর্সা ছেলেটা লজ্জায় টমেটোর মত লাল হয়ে একটা কথাই বলতে পেরেছিল, “মুই ভাত হাং” (আমি ভাত খাই)। আমার ধারণা পার্বত্য চট্টগ্রাম আর আদিবাসীদের সম্পর্কে আমার সব ভালবাসা, কৌতুহল ওর কাছ থেকে পাওয়া।
সেই ভালবাসাকে কাছ থেকে ছুঁতে পেরেছিলাম সাজ্জাদের জন্য। কবে গিয়েছিলাম সালটা মনে নেই (খুব বেশি আগে না, কিন্তু আমার স্মৃতি-শক্তি একেবারে প্রশংসা করার মত)। তখন আমার ক্যামেরা ছিল না। যা-ই দেখি, নিজের একটা ক্যামেরার জন্য দীর্ঘশ্বাস বের হয়। শীতের সময়, বান্দরবান ঘাট থেকে রুমা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলো সাঙ্গু নদীর উপর দিয়ে হেঁটেই চলে গেছি, সেখান থেকে গোড়ালি সমান পানির উপর হেঁটে হেঁটে আদিম ঝিরিপথ হয়ে বগা লেক, কত রহস্য চারিদিক! বগা লেক থেকে আবার কেওকারাডং। শহুরে উচ্চতাভীতি আর একটা ভদ্রস্থ টয়লেটের অভাব প্রথমদিকে খুব ভুগিয়েছে, কিন্তু দার্জিলিংপাড়ায় প্রতিবেশি পাহাড় থেকে যখন রাশি রাশি কাশফুল উড়ে এসেছে, অবাক বিস্ময়ে ভুলে গিয়েছি সব। রাতে হয়তো আদিবাসীদের সাথে খেতে পেরেছি একবেলা, সারাদিন চলেছে লজেন্সের গ্লুকোজ আর বোতলের পানির উপর। লজেন্সের খোসাগুলো আমরা যত্ন করে ব্যাগে পুরে রাখতাম, টীম লিডার সাজ্জাদ আমাদের শিখিয়েছিল প্রকৃতিকে না ছুঁয়েও কিভাবে তার মাঝে বেঁচে থাকা যায়।
দ্বিতীয়বার বান্দরবান যাওয়ায় সুযোগ হল ফ্লিকারের বাংলাদেশী গ্রুপ – “থ্রু দ্যা লেন্স, বাংলাদেশ” এর সাথে। এবারের যাত্রা অন্যরকম, সাফারির মত গাড়িতে ঘুরে ঘুরে বান্দরবান দেখা, নীলগিরির আলিশান রিসোর্টে থাকা, সেখান থেকে আবার গাড়িতে বগা লেক। এভাবে বান্দরবান ধরা দেবে না, জানি আমি, কিন্তু সুযোগটা ছাড়লাম না।
পৌছানোর পর বুঝলাম, হাজির হয়েছি ভুল সময়ে। জুম চাষ শেষ হবার পর আদিবাসীরা ফসলের প্রয়োজনীয় অংশটা কেটে নিয়ে আসে, তারপর পাহাড়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। মাইলের পর মাইল ধূসর পাহাড়, প্রাণহীন, বাতাসে ছাই। আকাশে মেঘের চিহ্নমাত্র নেই, কাঠফাটা রোদ। ল্যান্ডস্কেপ তোলার জন্য সার্কুলার পোলারাইজার নিয়ে গিয়েছিলাম, ফেরত আসার পর দেখলাম ক্যামেরা বোঝাই শুধু আদিবাসীদের ছবি। ফ্লিকারে এখনও আপলোড করিনি সব, মুরং আদিবাসীদের পোশাক-আশাক ছাড়া কিছু ছবি কোথাও দেয়া ঠিক হবে কিনা সেটা নিয়ে আমি নিজেও বিভ্রান্ত, তার থেকে বেছেবুছে কয়েকটা এখানে দিলাম।
১. জুম ফসল কাটার পরে পাহাড়ে এভাবে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় -
২. পুরুষেরা জুম ফসল কেটে এনেছে, সেগুলো প্রস্তুত করছে মুরং কিশোরী -
৩. ফসল প্রস্তুতের আরেকটি ছবি -
৪. ব্যোম আদিবাসি। চলছে হাতেবোনা তাতের কাজ-
৫. উদাসী সন্ধ্যায় -
৬.
৭. মুরংরা একটু নিজেদের মত থাকতে ভালোবাসে, বাইরের মানুষরাও তাই তাদের খুব একটা ঘাটায় না। আমরা মুরং পাড়ায় ঢোকার পর এই বাচ্চার বিস্ময় ছিল দেখার মত -
৮. আরেকজন বিস্মিতা মুরং কিশোরী-
৯. কর্মাবসরে -
১০. দুই প্রজন্ম -
১১. শৈলপ্রপাত থেকে তোলা নিচের তিনটা ছবি-
১২.
১৩.
১৪. বগালেকে ছাগু!
------------------------------------------------------------------
বান্দরবানের একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। আমি এখনও সমুদ্র পাগল মানুষ দেখিনি (অন্তত যতটা পাগল হলে পাগল বলা যায়), কিন্তু পঁচিশ-ত্রিশবার বান্দরবানে গিয়েছে এরকম অনেককে চিনি। সাজ্জাদ চাকরীতে ঢোকার আগ পর্যন্ত যেকোন সময় ওর খোঁজ নিলে দেখা যেত ভার্সিটি পালিয়ে বান্দরবানে জ্যোৎস্না দেখতে চলে গেছে। আমরা ঈর্ষায় পুড়তাম। এবার গিয়ে বুঝলাম, সাজ্জাদের সেই দিন শেষ হয়ে আসছে, দ্রুত বদলে যাচ্ছে সব। মাত্র ক’বছর আগে দেখা বান্দরবানের সাথে এই বান্দরবানের কোন মিল নেই। বগা লেকে এখন দোতালা কটেজ, সৌরবিদ্যুৎ আছে, মাটিতে ঘাসের চেয়ে বেশি বেনসন অ্যান্ড হেজেজের ফিল্টার,পাহাড় কেটে রাস্তা হয়েছে, একেবারে কেওকারাডং পর্যন্ত ফোর হুইলারগুলো (চাঁদের গাড়ি) চলে। এখন সেখানে লজেন্সের খোসাগুলো ছুড়ে ফেলে দিতে আর বাঁধে না আমাদের।
কে জানে, বদলানোটাই হয়তো নিয়ম। বদলাক সব, ইলেক্ট্রিক পোল বসুক, মোবাইলের টাওয়ার বসুক, ইংরেজী স্কুলে ভর্তি হোক আদিবাসী ছেলেমেয়েরা, পাকা রাস্তা দিয়ে কালো ধোয়া ছেড়ে এগিয়ে যাক সভ্যতার গাড়ি।
ইলেক্ট্রিক তারে বসা পাখিদের মত এই ঘরপালানো পাগলগুলোও একদিন শিখে যাবে জানালার শিক ধরে জ্যোৎস্না দেখা, কী আসে যায়!
মন্তব্য
আমি এখনো বান্দরবন যাইনি। হয়তো টাকা জমিয়ে দেশে পৌছুতে পৌছুতে এসব নষ্টদের দখলে চলে যাবে। ছবিগুলো আগেই দেখেছি। তোমার ছবির সাথে নিজের অনুভূতি গুলোর প্রকাশ ছবির মানবিক আবেদন বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে ফেইসবু্কে এই সিরিজের সব ছবিউল একসাথে দেখে একধরনের পরিপূর্ণতার অনুভূতি পেয়েছিলাম। সংগত কারণেই তা এখানে দেয়া সম্ভব নয়।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
এখনো যখন যান নাই, এককাজ করেন, আরো কয়টা দিন পরে যান, বান্দরবনে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টও হয়ে যেতে পারে, একবারে ঐখানেই ল্যান্ড করলেন...
দেখা ছবি আবার দেখার জন্য ধন্যবাদ!
সুন্দর ছবিগুলো।
ধন্যবাদ
দার্জিলিংপাড়ায় আমরা একবার ছাগু বার্বিকিউ কৈরা খাইসিলাম! সেই স্বাদ এখনও জিভে লেগে আছে।
ছবিগুলির জন্য বিশেষণ খুঁজতেসি আপাতত। পাইলে আইসা জানাইয়া যাবো আবার।
বার্বিকিউ হৈতে না পারলে ছাগুজন্ম বৃথা!
আমরা বগা লেকে কুকুর বার্বিকিউ খাওয়ার একটা সুযোগ মিস করসিলাম অল্পের জন্য। সেইটা অবশ্য কাউরে বলি নাই, সবাই জানে আমরা চেটেপুটে খেয়ে আসছি
আপনার এবারের ছবিগুলা পুরাই । ১, ২ আর ৯ আমার খুব বেশি ভালো লেগেছে,
আর আরেকবার বলে যাই, উবুন্টুর জন্যে অভ্র বের করায় আপনার কাছে আমি এবং আমার মত অনেকেই ঋণী।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আরে ঋণী হওয়ার কী আছে সাইফ ভাই। লিনাক্সে সবাই সহযোদ্ধা, আসেন হাত মিলাই
কয়েকটি ছবি মনে হয় আগে দেখেছি। ৯ নংটা মনে আছে।
খুব ভালো লাগলো আপনার লেখার শেষ বাক্য:
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নয় নাম্বারটা ফ্লিকারে দিয়েছি আগে, ঐখানেই দেখেছেন হয়তো। মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা শোহেইল ভাই।
১ আর ১২ বেশ লাগল
১৪ নম্বরটাও বেশ
অসংখ্য ধন্যবাদ
সুন্দর ছবি, ভালো লাগলো লেখাও। আরো লেখা ও ছবির অপেক্ষায় রইলাম।
সময় করে দেখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই
অদ্ভূত। কী আর বলব !
@ বর্ষা : নষ্ট তো অনেক রকম হয়। কোন নষ্টের কথা বললা ? ইউএন পর্যন্ত ঐখানে যে নষ্টামী করতেসে তার তুলনা নাই।
: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: :
'Cinema is over' - Master Godard
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ পড়ার জন্য, মন্তব্যের জন্য
- বাহ্
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ ধুগোদা
বান্দরবানের একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে।
বান্দরবানের জোৎস্না আর জোৎস্নাজল এর তুলনা হয় না।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
একেবারে খাঁটি কথা!
অসাধারন সব ফটো। একের পর এক তীর দিয়েই যাচ্ছো
আর শেষ দু'টো প্যারাতে দীর্ঘশ্বাসের সহমত জানালাম আমিও।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নাহ, ঐটা তীরুদার কাজ
ফাটাফাটি!!!
আচ্ছা আমি ক্যানন 7D কেনার চিন্তা করছি। এটা কেনা ঠিক হবে? নাকি ফুল ফ্রেইমে যাবো? পয়সা একটা লিমিট আছে আমার। লেন্স কি নেয়া যায়?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন বের হল, এত তাড়াতাড়ি 7D কেনা মনে হয়না ঠিক হবে বস। এইটা ক্যাননের বিশাল একটা জুয়া খেলা। xD সিরিজটা ধরা হয় এক্সট্রীম লেভেল প্রফেশনালদের জিনিস, সেখানে ক্যানন এই প্রথম APS-C সাইজের সেন্সর নিয়ে এসেছে (আমার ক্যামেরা 400D, একেবারে এন্ট্রি লেভেলের এই এসএলআর-এর ভিতরও এই সাইজের সেন্সর)। এইটা নিয়ে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সবার মধ্যে (আমার ফেসবুকে শেয়ার করা লিংকটা দেখেন, কমেন্টগুলো দেখলেই বুঝবেন ফটোগ্রাফারদের প্রতিক্রিয়া)। আমার মনে হয় কয়টা দিন পরে কিনেন, যারা কিনেছে ফোরাম-ব্লগে তাদের রিভিউগুলা পড়েন, এর মধ্যে কোন বাগটাগ থাকলে ক্যাননও ফার্মওয়্যার আপডেট রিলিজ দিয়ে দিবে, দামও কিছু কমতে পারে, আর আপনার সিদ্ধান্ত নেয়াটাও সহজ হবে।
আর ফুল ফ্রেইমে যাবেন না ক্রপ ফ্রেইমে যাবেন সেইটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার অভিরুচির উপর। যদি ল্যান্ডস্কেপে আগ্রহ থাকে, যদি ফটোজার্নালিজমের বা ডকুমেন্টারীর ধারায় উৎসাহী হন অথবা যদি বোকে দেখে যদি জিভে জল চলে আসে তাহলে নিঃসন্দেহে ফুল ফ্রেইম। আর যদি টেলিলেন্সে শান্তি পান (স্পোর্টস, ওয়াইল্ড লাইফ, অ্যাকশন) তাহলে ক্রপ সেন্সর ফুল ফ্রেইমের থেকে ভাল।
কিট লেন্স সাথে তো একটা দিবেই (যদি শুধু বডি না কিনেন)। এরপরে মোটামুটি সবাই একটা 50mm প্রাইম কিনে ফেলে, অনেক সুবিধা এটার। ফুল ফ্রেইম হলে চোখের লেভেলের অ্যাঙ্গেল অফ ভিউ পাবেন, ক্রপ সেন্সর হলে পোর্ট্রেটের জন্য সস্তার মধ্যে এক নম্বর লেন্স, বোকেটাও চমৎকার আসে। এরপরে হয়তো আরো ওয়াইড বা আরো টেলিজুম কোন লেন্স কিনবেন, যেইটায় আগ্রহ বোধ করেন (আমরা পুলাপান সবাই মুস্তাফিজ ভাইয়ের ৭০-২০০মিমি-টার দিকে লোভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি সবসময়, পাষণ্ড মানুষ, পাত্তা দ্যান না!)। কেউ কেউ কম আলোতে ভালো কাজ করে এরকম বড় অ্যাপারচারের লেন্সের দিকে ঝুকে, কারো পছন্দ দ্রুত ফোকাস করতে পারে এইরকম আল্ট্রা সোনিক মোটর- শুদ্ধ লেন্স, মোদ্দাকথা দরকারে পড়লেই বুঝে যাবেন আপনার কি লাগবে। ঠিকঠাক করে কিনে ফেলেন একটা কিছু, টাকার জন্যে কি কিছু আটকায়?
৯নং ১৩নং বেশি ভালো লাগছে। সাদাকালো কেন জানি আমার ভালো না অতো।
ভাইয়া আমিতো Canon 1000D থেকে Nikon D90তে যাওয়ার কথা ভাবতেছি!! ক্যাননের এত্তো দাম
-----------------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
ছবি দেখে তবদা খায়া গেলাম!!!!!!!!
আর কমেন্ট পড়ে আমি হাহাপগে!
এইভাবে ফালায় দেয়া ঠিক না বস
১+৭ +১০+১১= মুগ্ধতা !!!
[বস, এরপর আড্ডায় আসলে ক্যামেরাটা নিয়া আইসেন। একটা ফটু তুলাইবাম আফনেরে দিয়া... ]
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
খালি একটা!?! আপনে ঋত্বিক না সালমান? একটা তুইলা একটা ভাল আসে এইরকম মডেল পাই নাই এখনো। তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করেন, আপনেরে আমার দর্কার আছে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ছবি দেখে কি আর বলব ---- মুগ্ধতা জানানোর ভাষা পাচ্ছি না৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ শব্দ দুইটায় আটকে গেছি, আর কিছু আমিও খুঁজে পাচ্ছি না। যেইটা পছন্দ নিয়ে নেন।
লন আবার যাই বান্দরবন... বগালেকে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লন যাইগা!
কবে?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
অসাধারণ ছবি! দারুণ লেখা! এতদিন কোথায় ছিলেন আপনি?
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
গত ১৫ বছর ধরে যাব যাব করছি। এবার দেখা যাক
রেনেসাঁ
মেহ্দী (এইবার ঠিকাছে ? আর তুমি নিজেই তো দেখি হ এর নিচে ্ দাও নাই ), আমি এইবার একদম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, আমার পাসপোর্ট সাইজ ছবি তোমাকে দিয়েই তোলাবো।
কবে পারবা বলো, আমি সুন্দর শার্ট প্যান্ট পইড়া চইলা আসি।
পুনশ্চ: ছবি নিয়ে কিছু বলাটা একদমই বৃথা। হা কইরা তাকায়া থাকা ছাড়া আর উপায় থাকে না...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এইটা আমার দুষ না। শুধু হসন্ত থাকলে তারপর একটা নন-জয়েনার দেয়া লাগে। সচলে ইউজারনেম হিসেবে ঐটা দেয়া যায় না। (এইটা মজা না? সচলে কারো নিকে হসন্ত নাই!)
দূর্গাপুজায় হবেখন
সচলে আরেকটা জিনিস হয় না- 'র'-এর পর 'য-ফলা' বসে না ! ওটা আপনার অভ্র দিয়ে করে নিতে হয়।
ছবির ব্যাপারে কোন মন্তব্য নাই। কেননা ওই যোগ্যতা আমার এখতিয়ারের বাইরে।
আপনাকে সচলে নিয়মিত পাচ্ছি, এজন্যে একটা বিশেষ ধন্যবাদ।
ঈদ ও শারদীয় শুভেচ্ছা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
!!!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ভাই আপনি এত ভালো ছবি কেমনে তুলেন?
বান্দরবানে গিয়েছি বেশ কয়েকবার। দিন পনের আগেও ঘুরে এলাম একবার। আপনার মতো একই অবস্থা- যতো যাই ততো হতাশ হই। মানুষের পদচারণা বান্দরবানকে দূষিয়ে তুলছে।
ছবিগুলো বেশ সুন্দর এসেছে।
অ.ট. এভাবে পরপর ক্যাপশনসহ ছবি দেওয়া যায় কীভাবে? ফ্লিকারের ছবি কি এভাবে দেওয়া যায়? নিয়মটা কী?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এইসব ছবি দেখা ঠিক না। এইসব ছবি দেখলে মেজাজ খারাপ হয়।
অতিরিক্ত সুন্দর কোন কিছু ভালো না।
খাঁটি কথা!!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার!
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
বিশেষন খুঁজে খুঁজে একদম ঠিকঠাক বসানোটা বড়ই কঠিন। তাই ঠিক করলাম একেবারে মূলে চলে যাই, "ছবিগুলো খুব সুন্দর" ।
বান্দরবানের যাবার পরিকল্পনা আছে খুব শিগগির, কিন্তু এর মাঝেই এত বদলে গেছে? আহারে আসল সৌন্দর্য আমার আর তাহলে দেখা হলো না।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
বান্দরবন ভ্রমণের স্মৃতি আমার জীবনের অন্যতম সেরা স্মৃতি। এতো সুন্দর একটা জায়গা। তবে পরে শুনসি যে আগের সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নাকি আর অক্ষত নাই। মানুষের যান্ত্রিক থাবা পড়ে গেছে। আপনার লেখাতেও দেখতে পাইলাম সেটা।
যাই হোক, ছবি নিয়া তো আগেই বলসি, এই পোস্টের চাইতে আগের পোস্টের ছবি বেশি ভালো লাগসে। আপনি দুর্দান্ত ছবি তোলেন। আরও ছবিব্লগের দাবী জানায়া গেলাম
দারুণ সব ছবি।
আবার বান্দরবান যেতে ইচ্ছে করছে!
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
চমৎকার!!!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
শেষ লাইনটা কেমন যেন থমকে দিল। মনে হয় একটা জিপিএস কিনে স্ক্রিননেমটা বদলের সময় এসেই গেছে!
ছবিগুলো প্রত্যেকটি অসাধারণ। আপনার আরো একটি গুণের সাথে পরিচিত হলাম।
তবে এই ব্লগে এসেছি ক্ষুদ্র একটি কৃতজ্ঞতা জানাতে। নজু ভাইয়ের পোষ্ট মারফত অভ্রের স্রষ্ট্রার সাথে পরিচিত হলাম। এ বছরের শুরুর দিকে অভ্রের সাথে পরিচিত হই, এবং তারপর থেকে সর্বক্ষেত্রেই অভ্র ব্যবহার করছি। লেখালেখি করার ইচ্ছে ছিল সেই ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু বাংলা টাইপ শিখতে হবে এই ভয়ে আর কখনো লেখা হয়ে উঠেনি। অভ্র আসার পর আবার লেখা শুরু করতে পেরেছি, যার জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। ইন্টারনেটে বাংলা ভাষাকে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য অভ্র একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
আমি হলাম পাহাড় প্রেমী। রাঙ্গামাটি একবার যাওয়ার পর ওখানকার অতি বাণিজ্যিকতায় আর ২য় বার যেতে ইচ্ছা করেনি। তবে বান্দরবান গিয়েছি প্রায় ৫-৬ বার। যদিও এখন গাড়ি বা স্কুটার নয়ে সব জায়গায় যাওয়া যায়, কিন্তু আমি আর রোয়েনা ঐ পাহাড় বেয়ে বেয়েই নেমে যাই আমাদের দু'জনেরি প্রিয় সাঙ্গুতে। বগা লেক যাওয়া হয়ে উঠেনি আজো, কারণ যে ক'বারই বান্দরবান যাওয়া হয়েছে গিয়েছি এক ইঁদুর কলিজা ওয়ালা লোকের সাথে। যাই হোক, খাগরাছড়ি এখনো কিছুটা আদিম আছে। দু'বার গিয়েছি, আবারো যাবো, বারবার যাবো। কারণ পাহাড়ের বিশালতা আমায় গভীর করে টানে।
তোমার ছবি নিয়ে কিচ্ছু বলবোনা। কারণটা তোমাকে বহু আগে একবার বলেছিলাম, মনে থাকলে আছে নইলে নেই।
--------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আরিফ জেবতিকের আয় লো সখি উইড়া যাই লেখায় আপনার কমেন্ট পড়ে বুঝতে পেরেছিলাম আপনি কামেল লোক। আপনার তোলা ছবি দেখে বুঝলাম আপনি কামেল না মহাকামেল। আর বিশেষণ আপাততঃ স্টকে নাই।
বাংলাদেশে আমার সবচে প্রিয় জায়গা বান্দরবান, সবচে সুন্দর নদী সাঙ্গু। সুযোগ পেলেই বান্দরবানের পাহাড়গুলো দেখতে যেতে চাই। অথচ সুযোগ আমায় দেয় না অবসর।
অনেক দেরীতে আপনার পোষ্টের সাথে দেখা হলো। অসাধারণ সব ছবি!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বগা লেক, নীল্গিরি - দুজাগাতেই গিয়েছি গত বছর। দারুন! তবে রুমা বাজার থেকে বগা লেক পর্যন্ত ল্যান্ড-রোভারে সড়ক পথে। এটাও কম মজার নয়।
পাহাড়ের একদম কিনারা ধরে হাজার ফুট উপরের অতি-সঙ্কীর্ণ ভাঙ্গাচোরা (শুধু ইট বিছানো) রাস্তা যখন হঠাৎ করে একদম অসম্ভব খাড়া উঠে যায় যখন - ব্রেক-ফেল বা ব্রেক করলেও বোধয় জিবনে আর বাড়ি ফেরা হবে না এবং সেই রাস্তা যখন সাথে সাথে আবার একই ভাবে ড্রপ খায় - তখন ঐ লক্কর-ঝক্কর ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন ল্যান্ড-রোভারের চালক-কম্পার্ট্মেন্টের পিছনে খোলা জাগায় দাঁড়িয়ে শরীরের রোমগুলি সব দাঁড়িয়ে গেছিল, শরীরে বয়ে গেছিল এড্রিনালিনের বন্যা। গাড়ি চড়ে এত মজা খুব কমই পেয়েছি! সবার হয়তো ভাল্লাগবে না - সঙ্গিদের দুয়েকজঙ্কে কাঁপতে দেখাছি, একজন আসার জন্যে নিজের উপরেই শাপশাপান্ত করছিল। বগা লেকে গিয়ে কলেজ/ভার্সিটির একটা গ্রুপকে কান্নাকাটি করতে দেখেছি ঐ পথে আর না ফিরে হাঁটাপথে ('ঝিরিপথে'?) ফেরার জন্য। তাই মনে হয় এই রাস্তাটার এখনো উন্নতি না হয়ে থাকলে এটা হয়তো সবার জন্য সুইটেবল নাও হতে পারে।
আরেকটি জায়গা কিন্তু আমার কিন্তু দারুন প্রিয়। এখনো না গিয়ে থাকলে যান - সেন্ট মার্টিন্সে। নাফ নদীর মতো এতো সুন্দর/ব্যাতক্রমী রঙের পানি বাংলাদেশের আর কোন নদীতে নেই বোধয় - পান্না/টারকোয়েজ/এ্যাকুয়ামারিন এর মাঝামাঝি কিছু বোধয় (রঙের নামটা ঠিক শিওর না)। দুইকিনার দিয়ে মালার মতো বাংলাদেশে আর বার্মার অপূর্ব সবুজ বনে ঢাকা পাহাড়ের সারি - আর মধ্যখান দিয়ে তরল পান্না/টারকোয়েজের ব্রীঢ়াচঞ্চল বিশুদ্ধ-প্রিস্টিন অবিরল ধারা। অপূর্ব! অতুলনীয়! হেভেনলি!!
এটা প্রায় ২৩ বছর আগের কথা। এখন অবশ্য টুরিস্ট-বর্জনা আর টুরিস্ট-লঞ্চের পোড়া ডিজেলের চাপে আর অত সুন্দর নেই সেই পানি। অনেক ঘোলাটে হয়ে গেছে। পাহাড় আর বনও অনেকখানিই আদৃশ্য - কেটে ফেলা হয়েছে। গত বছর গিয়েছিলাম। দারুন কষ্ট পেয়েছি! আগের সৌন্দর্য এখন অনেকটা মনের চোখে কল্পনা করে নিতে হয়। তবে সেন্টমার্টিনের একদম কাছাকাছি পৌঁছুলে ঐ রকম পানির এখনো ছিটেফোটা খানিকটা দেখা যাবে। যারা যাননি তাদের এই শেষ দশাটাও অন্তত দেখে আসা উচিৎ - কিছুদিন পরে এটাও থাকবে না!
সেন্ট-মার্টিন্সের ভেতরটা একদম বাজার এখন। বীচ ছাড়া দেখার তেমন কিছু পাইনি। তবে এটাও অনেক। এখনো কক্সবাজার হয়নি! পুরো দ্বীপটা (নিকটবর্তী ছেঁড়া-দ্বীপসহ) বীচ ধরে পায়ে হেঁটে ঘুরতে মজা লাগবে। আর এখানে মুজিব সাহেব নামের একজন প্রাক্তন ন্যাভাল-ডাইভার স্কুবা-ডাইভিং ও স্নরকেলিং গিয়ার ভাড়া দেন এবং আগে থেকে জানিয়ে গেলে যারা এগুলো জানেন না তাদের সাথে থেকে ডাইভিং ট্রেনিং দিয়ে ও করিয়ে আনেন - চাইলে নীচে নেমে প্রবাল দর্শনও। মেহদী চাইলে এখানে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফিও করতে পারবেন যদি ঐরকম ক্যামেরা থাকে। অথবা ঐ ডাইভার ভদ্রলোকের কাছে ভাড়া চেয়ে দেখতে পারেন - ওনার কাছে সবই মনে হয় আছে (উনি নিজেই নাকি প্রবাল/মেরিনলাইফের উপর আন্ডারোয়াটার ফটোগ্রাফিক ডকুমেন্টেশন করছেন অনেকদিন ধরে)। তবে দিবেন কিনা সন্দেহ।
নতুন মন্তব্য করুন