এ ধরণের মন্তব্য ওনার এটাই প্রথম না। এর আগেও তিনি জনকণ্ঠে অভ্রকে সরাসরি "চুরি করা সফটওয়্যার" অভিহিত করেন। আমরা প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছিলাম, জনকণ্ঠ সেটা ছাপায়নি। বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের জন্য এটা স্বাভাবিক একটা অভিজ্ঞতা। উকিল নোটিশ, RAB দিয়ে আক্রমণের হুমকি এসব উপেক্ষা করেই তারা কাজ করেন। আমরাও তাই করে আসছিলাম, উনি একেকটা মিথ্যাচার প্রচার করেন, আমরা জবাব দেই আমাদের কাজ দিয়ে। জেদ নিয়ে পড়ে থাকি বাংলা লেখালিখিকে কীভাবে আরো সহজ করা যায়, আরো ব্যবহার-বান্ধব করা যায় এবং সর্বোপরি সেটা কীভাবে বিনামূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া যায় এসব নিয়ে। আমরা বিরক্ত হই, নিজেদের অসহায়ত্ব দেখে দুঃখিত হই, আবার একইসাথে মোস্তফা জব্বারের প্রতিক্রিয়া দেখে টের পাই- ঠিক পথেই এগুচ্ছি।
কিন্তু এবার একটা অভাবনীয় ব্যাপার ঘটল। বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে আমি দেখলাম শত শত মানুষ কীভাবে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদে। ব্লগ থেকে ব্লগে, ফেসবুকে, মেইলে কিভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে সেই প্রতিবাদ। বাংলা কমিউনিটি ব্লগগুলো তাদের ব্যানার পরিবর্তন করে অভ্রর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছে, ব্লগাররা যুক্তি দিয়ে মানুষের বিভ্রান্তি কাটাতে লিখে যাচ্ছেন একের পর এক ব্লগ, ফেসবুকে নতুন গ্রুপ খোলা হচ্ছে, বাংলা ফোরামগুলো নতুন নতুন থ্রেড খুলে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, মানুষ এমনকি ব্যক্তিগতভাবে মেইল করে মোস্তফা জব্বারকে বুঝাতে চেষ্টা করছেন।
একটা বিপ্লব ঘটাতে অন্তত একজনকে নেতৃত্ব দিতে হয়। সেরকম কোন নেতৃত্ব ছাড়া সব মানুষ কীভাবে এক হয়ে গেলেন? মোস্তফা জব্বার অভ্রকে পাইরেটেড না বলে গান শোনার সফটওয়্যার উইনঅ্যাম্পকে চুরি করা সফটওয়্যার বললে কি একই প্রতিক্রিয়া হত? "ঝামেলা অভ্রর টীম সামলাক, আমাদের কী?"- এই কথাটা ভেবে সবাই কেন চুপচাপ থাকলেন না? আমি তখন ঢাকার বাইরে, সাথে মোবাইলে অপেরা মিনির ভাঙাচোরা বাংলা সাপোর্ট আর একটা ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া কিছু নেই (এই লেখা দেরীতে আসার কারণও এটা)। বসে বসে সবার লেখা পড়া আর প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজা ছাড়া করার কিছু ছিল না। সে উত্তর খুঁজে পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায়, সবাই লড়ছেন একটা স্বপ্নের জন্য। যে স্বপ্নে নিজের ভাষায় লিখতে কারো কাছে হাত পাততে হবে না। যে স্বপ্নে বাংলায় লিখলে কেউ খড়্গ হাতে তেড়ে এসে জানতে চাইবে না লেখার আগে আপনি টাকা দিয়ে লেখার অধিকার কিনেছেন কিনা। মুক্ত সফটওয়্যারের ধারণাটি নতুন না, কিন্তু বাংলা ভাষার জন্য স্বপ্নটি সবাইকে প্রথমবার দেখিয়েছিল এই অভ্র। "ভাষা হোক উন্মুক্ত" কথাটা শুধু অভ্রের স্লোগান না, এটা একটা অধিকার প্রতিষ্ঠার আশ্বাস। মোস্তফা জব্বার যখন জেনে শুনে সেই অধিকারটা কেড়ে নিতে চান, মানুষ কেন চুপ করে থাকবে? স্বাধীনতার ডাক বড় খারাপ জিনিস, দাবানলের মত তার ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে না।
আমি হয়তো চুপ থাকতাম, অন্য সব সময়ের মত মোস্তফা জব্বারের হুংকারে কান না দিয়ে অভ্রর পরের ভার্শনের জন্য কাজ করে যেতাম। কিন্তু এবার কৃতজ্ঞতা থেকে লিখতে বসেছি। যেসব সাহসী মানুষ আমার অনুপস্থিতিতে চুপ করে ঘটনাটা বয়ে যেতে দেননি, কৃতজ্ঞতাটা তাদের প্রতি। সবাইকে অন্তত এটুকু তো বলতেই হবে যে তারা ঠিক পথেই আছেন।
পাইরেসীর অভিযোগের জবাবঃ
মোস্তফা জব্বার তার লেখায় ঢালাওভাবে পুরো অভ্র কীবোর্ডকেই "পাইরেটেড" হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। অভিযোগটা গুরুতর, একটা জাতীয় দৈনিকে অভিযোগটা কেউ করলে আমরা অবশ্যই ধরে নিব তিনি যা লিখছেন বুঝেশুনে লিখছেন। মজার ব্যাপার হল, মানুষজন অভ্র কীভাবে পাইরেটেড প্রশ্নটা করে তাকে চেপে ধরার পর তিনি বললেন অভ্র নিয়ে তার আপত্তি নেই, অভ্রতে ইউনিবিজয় নামে যে কীবোর্ড লেআউট আছে ঐটা তার বিজয় লেআউট থেকে চুরি করা। চমৎকার, আসুন দেখি কী করলে একটা কপিরাইটেড/পেটেন্ডেড লেআউট (অথবা সেটার প্রয়োগ) এ আমরা চুরির অভিযোগ দিতে পারি।
১) অবিকল লেআউট স্বত্বাধিকারীর অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলেঃ
অনুমতির প্রসঙ্গ যখন উঠলই তখন বলি, ২০০৩ সালে অভ্র ডেভেলপের পরিকল্পনা করার সময় আমি ফোনে মোস্তফা জব্বারের কাছে বিজয় লেআউট ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলাম। তাকে পরিষ্কার ভাষায় বলা হয়েছিল, সফটওয়্যারটা যে কেউ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবে। বিজয় তখনও ইউনিকোড সমর্থন করত না, ইউনিকোড সমর্থন দেয়ার কোন পরিকল্পনাও তার ছিল না। এই সফটওয়্যারটা ইউনিকোড সমর্থিত হবে, সুতরাং তিনি বিজয় ফন্টের অপব্যবহারের চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। শুধুমাত্র লেআউট একই, এছাড়া সফটওয়্যার দুটোতে কোন মিল থাকবে না।
তিনিও তার জবাব জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাকে টাকা না দিলে তিনি অনুমতি দিবেন না। বেশ ভালো কথা, আমিও বিজয় কীবোর্ড অভ্রর সাথে দেইনি। জ্বী মোস্তফা জব্বার, অভ্র আপনার বিজয় কীবোর্ড ব্যবহার করে না। ইউনিবিজয় আর বিজয় কোনদিনই এক কীবোর্ড লেআউট ছিল না, এখনও নেই। যেখানে একটা কী এর পার্থক্য একটা আলাদা লেআউটের জন্ম দেয়, ইউনিবিজয়ের সাথে বিজয়ের সেখানে অন্তত ৮ টি কীতে পার্থক্য রয়েছে।
কীবোর্ড লেআউট যে সমস্ত কী এর একটা সেট, যেখানে একটা কী এর পার্থক্য হলে দুইটা সেট আলাদা হয়ে যায়, এটা বুঝতে পারেন মোস্তফা জব্বার? না পারলেও পড়তে থাকুন। "ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা" যাতে বুঝতে পারেন সেজন্য খুব সহজ করে নিচে লিখেছি।
২) ফিজিক্যাল লেআউট অনুমতি ছাড়া বিতরণ করলেঃ
প্রশ্নই আসে না। অভ্র কীবোর্ড একটা সফটওয়্যার মাত্র, এর সাথে বিজয় লেআউট ছাপানো কোন কীবোর্ড আমরা বিতরণ করি না।
৩) কীবোর্ড ইন্টারফেস প্রোগ্রামের কোড অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলেঃ
আবারো বলি, এই পয়েন্টও খাটে না। বিজয় ক্লোজড সোর্স, সেটার সোর্স থেকে অভ্র ডেভেলপ করা সম্ভব না। কীভাবে বিজয় হ্যাক করে অভ্র বানানো হল তার ব্যাখ্যা আপনার কাছে দাবী করছি। জবাব দেয়ার আগে দয়া করে "ইংরেজীতে হ্যাকিং লিখে গুগলে অনুসন্ধান" করে যে "মজার মজার সব তথ্য পাওয়া যায়", সেগুলো নিয়ে একটু পড়াশোনা করবেন।
৪) ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন করলেঃ
বিজয় শব্দটি আপনার রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্ক। সেটা যাতে লঙ্ঘন করা না হয় এবং ইউনিবিজয় যে পরিষ্কারভাবে আলাদা একটা লেআউট সেটা বোঝাতেই এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা কোনদিনই অভ্রর সাথে বিজয় নামে কোন লেআউট ব্যবহার করিনি। উদাহরণ দিয়ে যদি বলি, SlideShow শব্দটা মাইক্রোসফটের রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্ক (এখানে লিস্ট দেখুনঃ http://www.microsoft.com/about/legal/en/us/IntellectualProperty/Trademarks/EN-US.aspx), অন্য একটা প্রতিষ্ঠান যখন DVD SlideShow Builder (http://www.photo-to-dvd.com/dvd-slideshow-builder.html) নামে একটা সফটওয়্যার বানায়, তখন মাইক্রোসফটের লেজে কামড় বসানো হয় না। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ইউনিবিজয় বা ইউনিজয় লেআউটগুলো বের হয়েছে ২০০৩ সাল বা তারও আগে, ১৯৮৭ সালে ডিজাইন করা হলেও আপনি বিজয়ের পেটেন্ট পেয়েছেন ২০০৮/২০০৯ সালে। সেক্ষেত্রে পেটেন্টের আগের থেকেই থাকা এই লেআউটগুলো কীভাবে পেটেন্ট বিরোধী হয়ে গেল আমাদের বোঝাবেন?
আপনি যদি এখনও কিছু না বুঝে থাকেন-
ধরুন একজন ব্যবসায়ী মঙ্গলগ্রহটা কিনতে চাইলেন, বাংলাদেশের পেটেন্ট অফিস তাকে মঙ্গলগ্রহের পেটেন্টও দিয়ে দিল। একদিন সেই ব্যবসায়ী অবিষ্কার করলেন তার গ্রহে কেউ যায় না। এদিকে বাংলাদেশের গাজীপুর নামের একটা জায়গায় গিজগিজ করে মানুষ। মঙ্গলগ্রহের মাটি লাল, গাজীপুরের মাটিও লাল। তিনি রেগে জ্ঞানশূন্য হয়ে ঘোষণা করে দিলেন, গাজীপুরে কেউ থাকতে পারবে না। কারণ গাজীপুরের মাটি মঙ্গলগ্রহ থেকে চুরি করা হয়েছে। চুরি যদি নাই করা হবে তাহলে এটা লাল কেন? তার মাথায় একবারও আসল না মঙ্গলগ্রহে থাকার পরিবেশ নেই দেখে মানুষ থাকে না, যাওয়ার খরচও অনেক। আবার গাজীপুরে লাল মাটির লোভেও কেউ থাকে না, বেঁচে থাকার জন্য সেখানে আরো উপাদেয় উপকরণ আছে। ব্যাপারটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? গাজীপুরের মানুষের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, তাদের দেখতে চাওয়ার অধিকার আছে সেই ব্যবসায়ীর পেটেন্টের কাগজ, সেখানে কোথায় লেখা আছে লাল মাটি হলেই সে জায়গা ব্যবসায়ীর হবে। সেটা যদি লেখাও থাকে, বাংলাদেশের পেটেন্ট অফিস কিভাবে দেশের সব লাল মাটি বিক্রি করে দিতে পারে সে প্রশ্ন করার অধিকারও তাদের আছে।
মোস্তফা জব্বার, আমি আপনার মত কখনই ভাবি না মানুষ সারাজীবন বিজয় বা অভ্রই ব্যবহার করে যাবে। নতুন দিনের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে অন্য প্রযুক্তির জন্য যায়গা ছেড়ে দিতে হয়, এটা ধ্রূব সত্য। বাংলা কীবোর্ড নিয়ে গবেষণা থেমে থাকবে না। আপনি আপনার পেটেন্টের কাগজ সবার কাছে প্রকাশ করুন। দেখিয়ে দিন ঠিক কোন রাস্তাগুলো দিয়ে হাঁটা আপনি বন্ধ করে দিতে চান। বারবার একেকজন কাজ করার পর আপনি বলতে পারেন না এই রাস্তায় তো বেড়া দেয়া ছিল। আবার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে দাবিও করতে পারেন না বাংলা কম্পিউটিং এর ইতিহাসে আপনার বিশাল অবদান, আপনি ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা ।
আমরা বিজয় কীবোর্ডকে প্রমোট করার জন্য মাঠে নামিনি। নেমেছি বাংলা ভাষা নিয়ে ব্যবসার শিকার হওয়া থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে। আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন অভ্রতে আপনার ডিজাইন করা বিজয় কীবোর্ড লেআউট আছে, আমি সে মুহূর্তে সেটা বাদ দিব। আর যদি প্রমাণ ছাড়া আসেন, তাহলে নতুন কিছু বলেন। এক গান এতবার শুনতে আমাদের কারোই ভালো লাগছে না আর।
নির্বাচন কমিশন ও ইউএনডিপির সাথে অভ্রর অবৈধ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের জবাবঃ
ইউএনডিপি কে, কেন, কোথায়, কীভাবে এবং তাদের সাথে অভ্রের কী সম্পর্ক এসব বিষয়ে আমার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই, আশা করি আপনি যা বলেছেন সেটা ব্যাখ্যা করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে সরাসরি ডাক পেয়েই আমি গিয়েছিলাম। অভ্রকে সেখানে ব্যবহার করাতে কোন রকম লবিং বা প্রভাব খাটানোর মত কাজ করতে হয়নি। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল দেশের টাকা বাঁচানো। যারা জানেন না তাদের জন্য বিস্তারিতভাবে বলি।
নির্বাচন কমিশন ডাটা এন্ট্রি, ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করা এসবের জন্য প্রথম যে সফটওয়্যারটা ব্যবহার করেছিল সেটায় সরাসরিই বাংলা লেখা যেত, অভ্র বা বিজয়ের মত কোন কীবোর্ড ইন্টারফেস প্রয়োজন হত না। সমস্যা হল প্রতিটা ল্যাপটপের জন্য সেটার একটা আলাদা লাইসেন্স কিনতে হত, হাজার হাজার ল্যাপটপের জন্য হাজার হাজার লাইসেন্স। বুঝতেই পারছেন, বিশাল খরচের ব্যাপার। সে খরচ কমানোর জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় এরকম একটা সফটওয়্যার তারা নিজেরাই ডেভেলপ করে নিবেন। বুয়েটের একজন শিক্ষককে সে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা সেটাই করেন, শুধুমাত্র বাংলা লেখার অংশটা ছাড়া। যেহেতু অভ্র আগের থেকেই বিনামূল্যে পাওয়া যায় এবং ততদিনে একটা স্টেবল প্রজেক্ট হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে, তারা একই চাকা আবার আবিষ্কার করে সময় নষ্ট করতে চাইলেন না। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরীতে তারা অভ্র ব্যবহার করলেন, বিনিময়ে তাদের কাছে আমি একটা জিনিসই চেয়েছিলাম- অভ্র যে নির্বাচন কমিশনে ব্যবহৃত হল তার একটা সনদ। সেটা তারা দিয়েছেন। এর বেশি কোন ঘটনা এখানে ঘটেনি।
আপনার ভাষ্যমতে আপনি যদি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভ্রর জন্য ৫ কোটি টাকার বিজয়ের লাইসেন্স বিক্রি করতে ব্যর্থ হন, এক কথায় বলি, আমাদের সমস্ত পরিশ্রম সার্থক। এ দেশের মানুষের ৫ কোটি টাকা নর্দমায় ভেসে যায়নি, বরং অন্য কোন কাজে লেগেছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আরেকবার কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য।
শেষ কথাঃ
অনেকদিন আগে আমার কম্পিউটারে একটা ভাইরাস এসেছিল। খুবই বিরক্তিকর ভাইরাস। রাইট ক্লিক করলে সেখানে মেনুতে লেখা থাকতো - "If freedom is outlawed, only outlaws will have freedom"। ভাইরাসটা কে বানিয়েছে জানিনা, তাদের এসব কাজের প্রতিও আমার কোন সমর্থন নেই। কিন্তু মেসেজটার কথা আমি কখনই ভুলিনি। ফেসবুকে আমার প্রিয় উক্তির ঘরে সেটা লিখে রেখেছি। স্বাধীনতাকে শেকলবন্দী করা যায় না, মরিয়া মানুষ সেটাকে যেভাবেই হোক ছিনিয়ে আনে- এর চেয়ে বড় সত্যি কথা আর কী হতে পারে? কথাটার মানে আপনি বুঝতে পারবেন বলে মনে হয় না। সবারই সীমাবদ্ধতা থাকে, এতে দুঃখ করার কিছু নেই। মায়ের ভাষা নিয়ে এত চমৎকারভাবে কীভাবে ব্যবসা করা যায় সেটাও আমরা আজ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারিনি।
ভালো থাকুন।
---
অভ্র টীম এর পক্ষে-
মেহ্দী হাসান খান
মন্তব্য
আসাদ ভাই, ইন্টারনেটের এই যুগে আপনি ওমিক্রন ল্যাবের সম্পর্কে খোঁজ না নিয়ে শুধু ধারণার বশে এত বড় একটা নোট লিখে ফেললেন। নোটটা লিখতে আপনার যত সময় লেগেছে, অভ্র বা ওমিক্রন ল্যাব সম্পর্কে খোঁজ নিতে এর চে অনেক কম সময় লাগত বলেই আমার বিশ্বাস। আর আপনার নোটটাতেও এই অনুমিতির কথা লেখা নেই এরকম করে স্পষ্টভাবে। তাই শুধু ফেসবুকে আপনার নোটটা পড়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হতে পারে। এবং তাদের অনেকেই সেই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য কষ্ট করে তথ্য না খুঁজে বরং অন্যদের কাছে গল্প করবে, এবং বিভ্রান্তিটা ছড়াতে থাকবে। আমি আশা করছি সেটা আপনার উদ্দেশ্য ছিলো না।
যাই হোক, আপনার অনুমানের কথায় বলছি,
১) অভ্র কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়। এখানে আমি কোন কিছু কেনার মত খুঁজে পাই নি। সব সফটওয়ারই ফ্রি।
২) যেহেতু অভ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়, তাই আপনার এই ধারণা সত্য হওয়ার প্রশ্নই আসে না। অভ্র কোন বিজনেস সফটওয়ারের সীমিত ফ্রি ভার্সন নয়। আপনি এই পোস্টটা ভালো মত পড়লেও সেই কথা জানতে পারতেন। নির্বাচন কমিশনের পাঁচ কোটি টাকার কাজের বদলে অভ্র শুধু একটা সার্টিফিকেট চেয়েছে, বিজনেস ভার্সনের নামে টাকা দাবি করে নি।
যেহেতু আমি অভ্রের সাথে জড়িত কেউ না, তাই হয় তো আমার কথা আপনার বিশ্বাস হবে না। সেক্ষেত্রে অমিক্রন ল্যাবের ওয়েবসাইটে ঘুরে আসতে পারেন।
আরো একটা কথা, এখানে যারা আছে, অভ্রের নামে হুজুগে পাগল হয়ে আছে সেটা মনে করার কোন কারণ নেই। আমার নিজের মতে সব চে সহজে বাংলা লেখা যায় গুগল ট্রান্সলিটারেশনে। কিন্তু F12 চেপে লেখার সুবিধা আর অভ্যাসের জন্য আমি অভ্রই বেশি ব্যবহার করি। এর চে সহজ কিছু পেলে সেটায় যাব। কিন্তু ভাষা নিয়ে ব্যবসা করা আর অকারণে কাউকে গালমন্দ করার প্রতিবাদ আমি করবই।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ওমিক্রনের ওয়েবসাইট আগেই দেখেছি। আমি নিজেও অভ্র ব্যবহার করি এবং অন্যদের করতে বলি।
ওয়েবসাইট আর অভ্রের লাইসেন্স আরও খুটিয়ে দেখা যেতে পারে। তার পাশাপাশি দেশে সফটওয়ার নির্মাণে জড়িত কাউকে পেলে জিজ্ঞেস করে দেখব।
আপনার যুক্তিযুক্ত কথা গুলো ভাললাগল।
অভ্র কোন ফুল ভার্সনের কাট-ডাউন ভার্সন না এটা আগেই ধারণা করেছিলাম, আপনার বক্তব্যে সেটা আরও পাকা হল। অভ্র নিয়ে মেহেদি ব্যবসা করবেন না সেটাও সত্য হতে পারে।
তাতে কিন্তু ওমিক্রন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায় না। আগে সমাজসেবা দিয়ে জনপ্রিয় হওয়া, তারপরে সেই জনপ্রিয়তাকে পুজি করে ব্যবসা করা ইদানিং বাজারে বেশ চালু পদ্ধতি।
তবে এটা মেহেদি নিজে ভাল বলতে পারবেন, সেজন্যই তার পোস্টেই প্রশ্ন করা।
তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। তাঁর ব্যক্তিগত সততা বা নিষ্ঠা নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই।
আপনার ফেসবুক নোটেই আমার মতামত যথেষ্ট বিস্তারিত ভাবে বলেছি। এখানে সেগুলোর দ্বিরুক্তি করবো না।
মেহদীর এই লেখাটা পড়ে দেখার অনুরোধ রইলোঃ
http://www.sachalayatan.com/omicronlab/11251
হাতের ডানে দেখতে পাবেন লেখাটা দেখাচ্ছে। ব্যবসা তো দূরের কথা, বরং অভ্রর পক্ষ থেকে বাংলা কম্পিউটিং বিষয়ক অন্যান্য প্রজেক্টকেও সাহায্যের কথা আছে।
আসাদ, যদি ধরে নেই যে মেহদির অনেকদিনের পরিকল্পনা ছিল মানুষকে অভ্রে অভ্যস্ত করে, আসক্ত করে তারপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করা তাহলে আমি বলবো ওর মাথায় ব্যবসাবুদ্ধি একেবারেই নেই। বাংলাদেশ সরকার ৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছে অভ্র ব্যাবহার করার জন্য। মেহদি তার জন্য ৫০ লাখ বা ১ কোটি টাকা দাবী করলেও আমার মনে হয় সরকার হাসিমুখে তা দিয়ে দিত কিন্তু এত সুদূরপ্রসারী ব্যাবহা বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ খালি একটা সনদ নিয়েই সন্তুষ্ট হল! মেহদির কোম্পানীতে তো হারিকেন জ্বালাতে হবে।
ডাক্তারী পড়া বহুত যন্ত্রণার কাজ। তার মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা দেওয়াও স্থগিত রেখে এই লোভী (!) যুবকটা অন্তর্জালের বনে অভ্রর মোষ তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। আর সেই কাজের ফসল বিতরণ করেছে বিনামূল্যে। ব্যবসাবুদ্ধি কম না হলে এটা কি করে সম্ভব?
আসাদ, যদি ধরে নেই যে মেহদির অনেকদিনের পরিকল্পনা ছিল মানুষকে অভ্রে অভ্যস্ত করে, আসক্ত করে তারপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করা তাহলে আমি বলবো ওর মাথায় ব্যবসাবুদ্ধি একেবারেই নেই। বাংলাদেশ সরকার ৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছে অভ্র ব্যবহার করার জন্য। মেহদি তার জন্য ৫০ লাখ বা ১ কোটি টাকা দাবী করলেও আমার মনে হয় সরকার হাসিমুখে তা দিয়ে দিত কিন্তু এত সুদূরপ্রসারী ব্যবসা বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ খালি একটা সনদ নিয়েই সন্তুষ্ট হল! মেহদির কোম্পানীতে তো হারিকেন জ্বালাতে হবে।
ডাক্তারী পড়া বহুত যন্ত্রণার কাজ। তার মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা দেওয়াও স্থগিত রেখে এই লোভী (!) যুবকটা অন্তর্জালের বনে অভ্রর মোষ তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। আর সেই কাজের ফসল বিতরণ করেছে বিনামূল্যে। ব্যবসাবুদ্ধি কম না হলে এটা কি করে সম্ভব?
"এত বড় একটা নোট লিখে ফেললেন?" আমি সাজিয়ে লেখালেখি কমই করি। একটা প্রতিমন্তব্য করতে গিয়ে দেখলাম ওটা অনেক বড় হয়ে গেছে, তাই ওটা নোট করে দিলাম, এর বেশি কিছু না।
আর নোট টা যদি আপনি পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতেই পারছেন, নোটের মূল উদ্দেশ্য ছিল -- ভাষা নিয়ে ব্যবসার বিরোধিতা করার ফোকাস থেকে জনমত কিছুটা হলেও সরে গিয়ে অভ্র-বনাম-বিজয়ের দলাদলির একটা লড়াই এ পরিণত হয়েছিল, সেখান থেকে লড়াই টাকে মূল জায়গায় রি-ফোকাস করা। অভ্র নিয়ে জনাব মোস্তফা জব্বারের মিথ্যাচারের বিরোধিতা আমি শুরু থেকেই করেছি। ওমিক্রণের ব্যবসা নিয়ে আমার সন্দেহটা কেবল প্রাসঙ্গিক হিসাবেই এসেছে। তবে প্রশ্নটা প্রচলিত জনমতের বিরুদ্ধে যায় বিধায় সেখানে সবার নজর পড়েছে। প্রশ্নটার সমাধান ও তাই দরকার।
ফেইসবুক নোট আর মডারেশন লগ মিলিয়ে দেখলাম আপনিই হলেন সেইই আসাদুজ্জামান। তীর্যকভাবে দেখার এই কুঅভ্যাসের কারণেই বোধহয় আপনার আতিথ্য দীর্ঘায়িত করা হয়নি। তারপরও আপনার মন্তব্য কিভাবে প্রকাশিত হয় তা ভেবে আমি অবাক।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আসলেই। এবং শুধু তাই-ই না, তার সাথে যে সুমন রহমান আর মাহবুব মোর্শেদ-এর সাথে বন্ধুতা আছে। দেখেছো তো নোটে, না? এখন আরেকজনের ওয়ালে আসাদ সাহেবের এক ফ্রেন্ডের সাথে আমার তর্ক চলছে সকাল থেকেই।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
গত এক সপ্তাহ ধরে যা ঘটলো, তার সবকিছু খুউব খিয়াল কইরা দেখেন। তারপরে চিন্তা করেন "ক্যামনে কী?"
______________________________________
লিনলিপি
______________________________________
লীন
জনাব শাহ আসাদুজ্জামান,
আপনার নোট ফেইসবুকে আমি আগেই দেখেছি সকালে। আপনার সাথে আমার যেহেতু যোগাযোগ নেই, তাই কিছু বলতে পারিনি। তবে ইশতিকে দেখলাম বলতে আর ও সঠিক প্রত্ত্যুত্তর দিয়েছে আপনার নোটে।
তাই আমি আপনার বন্ধু ফারসীম ভাই-এর পোস্টে জবাব দিয়েছি আপনাকে, সাবিহ-ও দিয়েছে। দয়া করে দেখে নেবেন।
আর, আপনার প্রশ্নের ব্যাপারে মেহদীর সাথে মাত্র আলাপ হলো। আগেই ইশতি আপনাকে বলেছে যে মেহদী আসবে না জবাব দিতে। তাই আমাদের কথোপকথন শুনে নিন (আমি খালি নাম আদ্যক্ষর দিয়ে দিয়েছি সঙ্গত কারণে):
HC: গ্রেট। আমি বুয়েটের এক প্রফেসরের ওয়ালে এই মাত্র শাহ আসাদুজ্জামানের বক্তব্যের জবাব দিলাম। তুমি কি দেখেছো ওনার লেখা তোমার পোস্টে? আমার তো রাগে গা কাঁপছিলো! আমার আব্বু সবসময় বলেন, মানুষ পড়াশুনা করলেই খালি হয় না, তাকে মানুষ হতে হয়।
তুমি যদি জবাব দেওয়ার সময় না পাও, অন্ততঃ জবাব লেখে কোনো ফ্রেন্ডকে ডিফেন্ড করতে বলো। এখন বিনয়ের অবতার হয়ো না, কিছু কিছু সময় দাঁত ভাঙা জবাব দেবার প্রয়োজন আছে। বুঝতে পারছো তো কী বলছি?
38 minutes ago ·
MHK: মন্তব্যটা দেখিনি, এখন দেখলাম। এ ধরণের কথার জবাব অভ্রর ব্যবহারকারীরাই দিয়ে দেবেন (দিয়েছেনও তারা, আপনিও দিচ্ছেন)। এর বেশি সময় নষ্ট করার প্রয়োজন দেখি না আপু। উনি কী বুঝে লিখেছেন জানিনা, কিন্তু কিছু লোক থাকে যারা শুধু মনোযোগ আকর্ষণের জন্য উলটো কথাটা বলতে পছন্দ করে। সে মনোযোগটা তাদের না দেয়াই উচিত জবাব।
22 minutes ago
HC: তুমি কি হুবুহু যা বললে, আমাকে ওখানে কোট করতে দেবে? আমার খুব ইচ্ছে করছে যা বললে, গিয়ে বলে আসি। দেবে?
17 minutes ago ·
MHK: অবশ্যই
10 minutes ago
আশা করি, আপনি ওর জবাব পেয়ে গেছেন। ওর যদি এ ব্যাপারে ফারদার বলতেই হয়, তো ও ঠিক জায়গায়, ঠিক সময়ে বলবে, জনে জনে দিয়ে সময় নষ্ট করবে না। আপাতত, আপনি ওর এই পোস্ট, অন্যান্য ব্লগ এবং টেক ফোরামগুলোতে নিয়মিত চোখ বুলাবেন আশা করি।
গ্লোবাল ভয়েসেস-এর কমেন্টগুলোও দেখে নেবেন ক্ল্যারিফিকেইশানের জন্যে, আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর এখানেও পরিষ্কার করে দেওয়া আছেঃ
http://globalvoicesonline.org/2010/04/20/bangladesh-let-language-be-free/#comment-1645020
ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
সত্য সেলুকাস!
না জেনেশুনে মন্তব্য করাটা কি ঠিক হল? সামাজিক সংগঠনের সংজ্ঞা কি? বিদেশী এনজিও থেকে টাকা এনে মাথায় পট্টি বেঁধে হাতে ব্যানার নিয়ে "বাঁচতে হলে জানতে হবে" বলে চেঁচামেচি করে মিছিল করা বা সবুজ ছাতা নিয়ে মানুষের বাসায় বাসায় দৌড়ানোই কি কেবল সমাজ সেবার মধ্যে পড়ে? যিনি মানুষকে নিজের গরজে লেখালেখির উপকরণ বিলিয়ে দিচ্ছেন তার অবদান কি সমাজ সেবা নয়? মানুষকে সহজ সাবলীলভাবে কোন ধরনের বাধ্যবাধকতা ছাড়াই বাংলা ভাষায় কম্পিউটারে লেখার সুযোগ করে দেয়াটা কি সমাজসেবার মাঝে পড়েনা?
অভ্র যেহেতু বানিজ্যিক কোন প্রতিষ্ঠানের কোন প্রোডাক্ট নয় এবং যেহেতু এটা দিয়ে অমিক্রনল্যাবের পেট চলেনা তাই এটার সম্পূর্ণ সফটওয়ারটিকেই তারা বিনামূল্যে ব্যবহারের ও বিতরণের উপযোগী করেছে, এর কোন ডেমো বা ট্রায়াল ভার্সন নেই। এবার আসি উন্মুক্ত ও মুক্ত সফটওয়ারের (FOSS-Free Open Source Software) কথায়। আপনার কি ধারনা যে সব উন্মুক্ত ও মুক্ত সফটওয়ার- উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস- সবগুলোই দানসত্র খুলে বসেছে? এরাও আয় করে। তবে সেটা অন্যভাবে। তারা সফটওয়ার বিক্রি করেনা বরং সার্ভিস, সাপোর্ট- এইসব বিক্রি করে। ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই একে ওপেনসোর্স করা হচ্ছেনা। কারণ ওপেনসোর্স হলে যে কেউ এর মধ্যে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম লুকিয়ে অন্যের কম্পিউটারের বারটা বাজাতে পারে।
আমি ব্যক্তিগত জীবনে মানুষজনকে উবুন্টু ব্যবহারে অনুপ্রাণিত করি এবং সে জন্য প্রচারণাও করি। এতে করে আমার কি লাভ? আমাকে কি উবুন্টুর প্রস্তুতকারক কম্পানি ক্যাননিকাল এজন্য বেতন দিচ্ছে নাকি আমি লোকজনের কাছে উবুন্টুর সিডি বিক্রি করে টাকা কামাচ্ছি? প্রথমত: ক্যানোনিকাল আমাকে কোন টাকা পয়সা দিচ্ছেনা, দ্বিতীয়ত: আমি লোকজনের কাছে উবুন্টুর সিডিতো বিক্রি করিইনা বরং নিজের খরচে মাগনা সিডি রাইট করে দিই। নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে এই প্রচারণায় আমার লাভ কিসে? সমস্যাটা এখানেই। সবাই সবকিছুতে আর্থিক লাভটা দেখেনা। আমি দেখি একজনকেও আমি যদি উবুন্টুর ব্যবহারকারী বানাতে পারি তাহলে দেশ থেকে একজন পাইরেটেড সফটওয়ার ব্যবহারকারী কমালাম। তখন মনে হয় দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কিছু করছি। শেষ বয়সে যখন পিছন ফিরে তাকাবো তখন যাতে মনে না হয় যে এই দেশকে দেবার মত অনেক কিছুই ছিল কিন্তু দিতে পারিনি। এটা একধরনের মানসিক প্রশান্তি। বাজী ধরে বলতে পারি অভ্র টিমের বেলায়ও এই কথাটা খাটে।
_______________
::: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! :::
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
এই মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই
______________________________________
লিনলিপি
______________________________________
লীন
মন্তব্যে লাইক! যদিও উবুন্তু ব্যবহার করি না অত। উইন্ডোজে বড় বেশি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। কোড ঘাটতে আলসেমি লাগে খুব।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
কী বলেন না বলেন! এইটা পড়েন। কোডের জমানা কী আর আছে, জমানা পাল্টাইসে না!
_______________
::: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! :::
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
বাংলা ফন্টের লেইগা অনেক ধইনা! বাসায় ধইনাপাতার গাছই আছে, আপনে আসলে আপনারে একখান গাছই ধরায়া দিব নে।
উবুন্তু ইউজ করি। বাংলাদেশে থাকতে আমার এক ছাত্র সিডি গছায়া দিসিল। কিন্তু কিসু কিসু ডিটেইল্ড কাজকর্মে কমান্ড লাগে দেখি। একটু একটু কইরা সেইটাও শিখতেসি।
wine দিয়ে chrome আর flashget লাগাইতে গিয়া এট্টু কেমন জানি লাগি দেখতে, চেহারা খারাপ হয়া যায়। তাই ফায়ারফক্স আর কেগেট লাগাইসি। crossoverটা দেখতে হবে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
গুগল ক্রোমের কথা বলতেসেন নাকি ক্রোমিয়ামের কথা বলতেসেন? দুইটাই তো উবুন্টুর জন্য আছে। ক্রোমিয়ামের জন্য এইখানে আর গুগলক্রোমের জন্য এইখানে টিপি দেন। গুগল ক্রোমের পুরানো ভার্সনগুলোতে সোলাইমান লিপি দিয়ে বাংলা দেখতে কিছুটা সমস্যা হয়, সেইজন্য এইখানে টিপেন।
আর ফায়ারফক্সে ফ্লাশগটের প্লাগিন ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি উবুন্টুতে শক্তিশালী ডাউনলোড ম্যানেজার চান তাইলে এইখানে গুঁতান।
আপনি উবুন্টু কোনটা ব্যবহার করেন? কারমিকে ফন্ট ইন্সটল করা কিন্তু জন্টির চেয়ে অনেক সোজা!
_______________
::: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! :::
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আপনার টবসুদ্ধা ধইনাগাছ দিবে নে
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বাসায় টব রাখবার জায়গা নাই, তয় বাজারে বেচবার একটা চান্স নিতে পারি
_______________
::: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! :::
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আপনাকে ধন্যবাদ দেই প্রথমেই। কারন আপনি আর দশজন এর মতো হুজুগে পাবলিক নন। open source নিয়ে আপনার প্রশ্নটি আমার কাছে যুক্তিক মনে হয়েছে। আপনি শুনে খুশি হবেন যে অভ্রকে open source করার জন্য ২০০৭ সালেই কথা হয়েছে।
আপনি নিচের লিন্কটি দেখুন। আপনার মনের ভুল ধারনাটি আশা করছি দুর হবে।
A discussion to make Avro as open source is going on since 2007 December 27.
http://www.sachalayatan.com/omicronlab/11251
সুন্দর...সাথেই আছি...
Ei comment ta ami english a korlam. Eta proman korar jonne j, ami english er j keyboard layout ta use kore type kortechi eta ki pirated???? Jodi hoi tahole to ami moha pap kortechi, according to Mostafa Jobbar. R jodi na hoi tahole er copyright kar? Ei layout er patent kar??? Ei manush take dorkar khub amar. Cholen vai keu amake help koren manush take khuje ber korte. Take to amar license fee dite hobe, nahole to ami nijei Mostofa Jobbar hoye gelam!!! Apnader karo ki mone ache j manush ta ato chillaiteche regular, she nije tar first font west bengal er akjon er ta theke copy korchilo. Font tar name ei moment a mone nai. Jai hok amar kotha aktai, chorer mar boro gola ageo chilo akhono ache. Amar really lojja lagteche akhon j ami kichu jinish bojhanor jonne bangla blog a english a likhtechi. Voi o paitechi! Bola jaina, amar keyboard er layout tar copyright abar kono Jobbar dabi kore boshe kina! Vai der jonne aktai advice amar, Eishob joghonno lok thakbei. Eta niye tension korar kichu nai. Amar mone hoi era asole amader jonne valo kaj e korteche. Manusher rag barai diye nijer bipod kinteche. Kichudin ageo to ei batar pokkhe kotha bolar manush kichu chilo. Akhon koita ache???
আপনার এই পোস্ট সবখানে শেয়ার করা শুরু করলাম বস।
অভ্রর জন্য কৃতজ্ঞতা।
কাগুরে নিয়া শুধু নেটে হুমকি দিলেই হবে না, নেটের বাইরেও যতখানে বিজয় আছে,সবখানে কাগুরে "গদাম" দিতে হবে। অনেক মানুষ অভ্রকে চিনে না, এলাকার পরিচিতদের দিয়ে শুরু করলাম, সবাইকে গণহারে অভ্রর সাথে পরিচয় করাবো এখন। আপাতত এইটাই প্ল্যান।
আবারো, স্যালুট এবং কৃতজ্ঞতা।
মেহেদী, আমি বিষয়টা সম্পর্কে জানতাম না। তবে পুরো ব্যাপারটা জানার পরে আমি খুব মর্মাহত হয়েছি। অভ্র যে ঠিক কোন ধরণের বিপ্লব ঘটিয়েছে, এটা আমরা টের পাব আরও বেশ কিছুদিন পরে। এখন যেটা উপলব্ধি করছি, সেটা হল এর সুবিধা, একটা সময় আমরা যখন বাংলা ভাষাকে নিয়ে আরো প্রযুক্তিগত ব্যবহারের দিকে যাব, তখন অভ্রের অবদানের কথাটা আরো ভাল ভাবে বোঝা যাবে।
মোস্তফা জব্বার যে কাজটি করছেন, সেটা ব্যবসায়ীক। তবে তিনি অভ্র সম্পর্কে যা বলছেন, সেটা কিসের প্রণোদনায় বলছেন আমি ঠিক বুঝলাম না। ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার বদলে তার এই ধরনের আচরন খুবই হতাশার। বিখ্যাত মানুষের পশ্চাদপদতা এক ধরনের যন্ত্রণার।
ধন্যবাদ মেহদী ভাই
অভ্র না থাকলে- আমি এত সহজে এইটুকু বাংলাওলিখতে পারতাম না।
আমার ভাষা আমার গর্ব, বন্ধ হোক ভাষা নিয়ে সকল বাণিজ্য! জয় হোক অভ্রের, বিজয় হোক পরাজিত...
"ভাষা হোক উন্মুক্ত"
মেহদী ভাই এগিয়ে যাও...
সাথে আছি আমরা.....
অভ্রর সাতে আছি সব সময়... ধ্বংস হোক বিজয়
লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার করছি...
মেহেদি ভাই, অনেক ধন্যবাদ। এই যে এখানে বাংলা লিখলাম তা আপনার অভ্র ব্যবহার করেই... কত সহজ হয়ে গেছে বাংলা লেখা... অনেক অনেক ধন্যবাদ...... ভাষা হউক উন্মুক্ত......
অভ্র'র সাথে গলা মিলাই 'ভাষা হোক উন্মুক্ত!'
মুহাম্মদ আনিসুর রহমান
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
শ্রদ্ধা রেখে গেলাম।
--------------------------------------------------------------------------------
সিরিয়াস পোস্টের সিরিয়াস কমেন্টে চোখ বুলাইতে বুলাইতে নিচে এসে দেখি "১ ২ পরবর্তী সর্বশেষ" - এত মানুষের এত কৃতজ্ঞতা যে এক পাতায় আর আটে না, এই প্রথম দেখলাম।
মেহদী, আপনার কপালে খারাবি আছে আমার সামনে পড়লে। সচলায়তন লোড হতে ঝাড়া ১ মিনিট লাগে আমার
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বাংলা লেখার সাধীনতা পেয়েছি অভ্র দিয়েই। তাই অভ্র'র প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
আমি যতদুর জানি, মোস্তাফা জব্বার এর বিজয় এর source code টাও তার নিজের development নয়, তার এক বন্ধুর কাছ থেকে চূরি করা। সূতরাং, তার মত লোকের মুখে এসব কথা কখনই শোভা পায়না। চূরির করে আবার গলাবাজী করার আগে তার মনে রাখা উচিত, ভাষার অধিকার এর প্রশ্নে বাঙলীর অবস্থান কতোটা আপোশহীন। মোস্তাফা জব্বার কে , কবে কোথায় 'ডিজিটাল বাংলাদেশ এর প্রনেতা' এর সীক্রীতি দেয়া হল বুঝলাম না।
শেষ কথা,
ভাষা এখন ঊন্মুক্ত, তবে ভাষা নিয়ে গবেষনা নয়। সূতরাং, মেহেদী হাসান খান এর প্রতি অনূরোধ, 'অভ্র' এর open source version এখন সময়ের দাবী। ব্যাপারটি বিবেচনায় রাখবেন।
মোস্তাফা জব্বার কে , কবে কোথায় 'ডিজিটাল বাংলাদেশ এর প্রনেতা' এর সীক্রীতি দেয়া হল বুঝলাম না।
আসাদ সাহেব, আপনি কি বাই এনি চান্স জব্বর কাগুর সম্বন্ধী বা শালা নন তো? নইলে সারারাত রামায়ন পড়ে 'সীতা কার দুলাভাই' জিজ্ঞেস করছেন যে বড়? এই যে এত এত মন্তব্য আসছে বিশ্বের নানা জায়গা থেকে, নানা বয়সী মানুষের কাছ থেকে, তারা কি ওমিক্রনল্যাব সম্পর্কে না জেনেই মেহেদীর প্রতি সংহতি জানিয়ে চলেছে? যাহোক, শালা হোন আর সম্বন্ধী হোন, এসব বোতলগেলা মন্তব্য করে খুব একটা সুবিধে করতে পারবেন না এখানে। আমাদের সারাদিনের ওজু আপনি এক পাদে শেষ করে দেবেন, তা হবি নাকো। আমরা বড় বেশি জেগে আছি। ব্লগিয়ে আপনার কলমের চামড়া তুলে নেব, হু হু।
আমার কেন জানি মনে হয়, এ বিরোধটা আজ হউক কাল হউক এক সময় হতো। ঘটনাটা মাইক্রোসফটের উইন্ডোজের সাথে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার অবমুক্ত করার ঘটনায় নেটস্কেপের প্রতিক্রিয়ার কথায় মনে করিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক ঘটনার যা মাত্রা তা কেবল ঐ ঘটনার সাথেই তুলনীয়।
অভ্র ফনেটিক হওয়ায় এর ব্যবহার অনেক সহজ। এ কারণে অনেকেই এখন বাংলায় লেখালেখি করতে পারছেন। জব্বার সাহেব বাংলা কি-বোর্ড তৈরি করেছিলেন, হয়ত নব্বই দশকের শুরুতে, বিশেষত যখন ইউনিকোড সাপোর্ট এভাবে ছিল না। বাংলায় লেখালেখির সূচনাকালে উনার সে কি-বোর্ড অনেক কাজেও লেগেছিল। সেটা অস্বীকার করা যায় না, করার দরকারও নেই। কিন্তু পুরো বিষয়টা ওখানেই আটকে থাকবে, এরপর কেউ আর নতুন কিছু আনতে পারবেন না, এমন ভাবনা উনার কেন হল, সেটা বোধগম্য নয়। উনি 'বিজয়' এর কথা বলতে গিয়ে, 'অভ্র' কে জড়িয়ে 'পাইরেসি'/'নকল' যেসব বিষয়ের অবতারণা করলেন, সেগুলো অমূলক।
নিত্য নতুন ধারণা এসে পুরানো ধারণা বা পণ্যকে প্রতিদ্বন্ধিতা ফেলে দিতে পারে বা পণ্যকে একেবারে ব্যবহার অযোগ্য করে দিতে পারে, এই ধারণায় বিশ্বাস না করলে, আজকের দুনিয়ায়, কারো পক্ষে ব্যবসা, বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবসা, করা মুশকিল। আশা করি, জব্বার সাহেব বিষয়টা বুঝতে পারবেন। শুধু হুমকি ধামকি, আর ক্ষিস্তি খেউর করে এ বিষয় গুলো সুরাহা করা যায় না।
অভ্র এগিয়ে যাবেই। একে রুখে দেয়া বোধ করি কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। পত্রিকায় একটা সমালোচনা প্রবন্ধ লিখে তো নয়ই।
-- খোলা জানালা
স্যালুট মেহেদীকে, স্যালুট গোটা অভ্র টিমকে।
অভ্র না থাকলে হয়তো কম্পিউটারে আমার আর বাংলা লিখাই হতো না, অভ্রকে জানাই ক্বতজ্ঞতা।
স্যালুট মেহেদীকে, স্যালুট গোটা অভ্র টিমকে।
অভ্র না থাকলে হয়তো কম্পিউটারে আমার আর বাংলা লিখাই হতো না, অভ্রকে জানাই ক্বতজ্ঞতা।
লেখাটা চমৎকার! সমুচিত জবাব দেয়া হয়েছে। পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অভ্রর সাথেই আছি। থাকবো।
মেহেদীকে অকুন্ঠ শ্রদ্ধার সাথে জিজ্ঞেষ করছি, অভ্রকে মুক্তসূত্র (Free and Open Source) করলেন না কেন? কোনও বিশেষ কারণ ছিল /আছে কি?
উত্তর পাবেন এখানে - http://www.sachalayatan.com/omicronlab/11251
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সচলের মড-লগ থেকে জানতে পাই, শাহ আসাদুজ্জামান নামের এই ব্যক্তি জ্ঞানাম্বুধিকে সচল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি এতই নির্লজ্জ এবং গণ্ডারের চামড়াধারী, তারপরও এসে মন্তব্য করেন, এবং নিজের ফেসবুকীয় মলমূত্রের লিঙ্ক দিয়ে যান।
মডারেটরদের প্রতি প্রশ্ন, আপনারা ভিন্নমত প্রকাশের ব্যাপারে সহনশীলতা পালন করছেন, ভালো কথা, কিন্তু ভিন্নমতের স্পেকট্রামের সমস্তটাই কি ধারণ করবেন?
খুউব খিয়াল কইরা
______________________________________
লিনলিপি
______________________________________
লীন
লেখাটা খুবই ভাল লাগলো। ভাষা নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ হোক। তিনি চাইলে অন্য সফটওয়্যার তৈরি করে ব্যবসায় করুক সমস্যা নেই। অভ্রকে আঘাত করে তিনি নিজেকেই ছোট করেছেন। অভ্রর কারণে প্রচুর বাংলাভাষী ইন্টারনেট ব্যবহারকারি উপকৃত হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অভ্র বিনামূল্যে পাওয়া যায় তাই ইন্টারনেট এ বাংলার প্রসার খুব দ্রুত হয়েছে। কোন ব্যক্তির বাংলা লেখা দেখলেই যারা ইন্টারনেট এ বাংলা লিখতে জানতেন না তারা প্রশ্ন করে লেখার নিয়ম জেনে নিয়েছেন। আমি নিজেও অনেকে বন্ধুদের সাথে অভ্র ডাউনলোড লিঙ্ক শেয়ার করেছি। প্রায় দিতে হত বলে bit.ly থেকে একটা কাস্টম ইউ.আর.এল করে নিয়েছি যাতে সহজে সবাইকে লিঙ্ক দেওয়া যায়। লিঙ্কটা আজ সবার সাথে শেয়ার করলাম http://bit.ly/AvroKB ছড়িয়ে দিন অভ্রকে প্রতিটি বাঙ্গালির মাঝে।
আর একটা বিষয় হল Open Office এবং Microsoft Office এর মাঝে অনেক মিল আছে লে-আউট থেকে শুরু করে শর্টকাট কমান্ডও প্রায় একই রকম। কিন্তু Microsoft কখনো Open Office এর বিরুদ্ধে কিছু বলেছে কি?
ভাষা হোক উন্মুক্ত । এই বিশ্বাসে অভ্রর পাশে ।
মেহদী হাসান খান ভাইকে অনেক ধন্যবাদ। আমি সাধারন ব্লগে লেখালেখি করিনা।কিন্তু ব্লগে ব্লগে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসি। কাজ করি বাংলা উইকিপিডিয়ায়। ভারতের কলকাতায় থেকে জব্বার সাহেবের বিভিন্ন হাস্যকর কার্যকলাপ উপভোগ করি। কয়েকদিন ধরেই সেটা আরও করছি। এই মন্তব্যগুলির পরও আমার কিছু বলতে ইচ্ছা হল তাই বলি, আজ এই যে বাংলা লিখছি তা অভ্র ছাড়া সম্ভব হত কিনা জানি না। আমি তো ফোনেটিকে বাংলা টাইপ করছি। এবার কি জব্বার সাহেব এটাও পেটেন্ট নিয়ে নেবেন? জানি না। এখান থেকে জব্বার সাহেবের কথা বার্তা হাস্যকর লাগে। আমি অভ্র ২০০৬ থেকে ব্যবহার করছি। আর উইকিপিডিয়ার জন্য অভ্রের ঋণ কোনোদিন শেষ করা যাবে না।তার আগে আমি বাংলা টাইপিং-এর জন্য সি-ড্যাকের (www.cdac.in) আই-লিপ ব্যবহার করতাম। ভারতে এটাই প্রচলিত ছিল। এখনো ভারতে মুদ্রন/প্রিন্ট মিডিয়ায় এর ব্যাপক ব্যবহার করা হয়। পুরো ব্যাপারতাই সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলে। তাই জব্বার সাহেবের মতো কোনো ব্যক্তির কুক্ষিগত কোনোদিনই বাংলা ভাষা বা ভারতীয় কোনো ভাষা থাকেনি। আমি এখন ব্যক্তিগত ভাবে যাকেই পাই অভ্র ধরিয়ে দেই।আই-লিপ কিনতে হত বা অনেকে পাইরেটেড ব্যবহার করতেন। অভ্র ফ্রি হবার জন্য সে অসুবিধা নেই। ভারতীয় বাঙ্গালিরাও এখন অভ্রে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। মেহদী হাসান খান ভাইকে একজন ভারত বাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ , শুভ কামনা , শুভেচ্ছা রইল।
কয়েক জায়গায় দেখলাম, অভ্রকে বকঝকা করতে গিয়ে জব্বার সাহেব বি.ডি.ও.এস.এন. কে টেনে এনেছেন। আমাদের বক্তব্য খুব সহজ।
১. অভ্র কখনই বি.ডি.ও.এস.এন. এর এফিলিয়েটেড কিছু ছিল না। অভ্র মুক্ত তবে মুক্ত সোর্স নয়। তবে যেটাতে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ তা হল বাংলা উইকিপিডিয়ার বেশিরভাগ তথ্য অভ্রতে টাইপ করা।
২. একটা পোস্টে দেখলাম উনি বলছেন বিডিওএসএন যদি বলে অভ্র পেটেন্ট ইনফ্রিন্জমেন্ট করেনি তাহলে উনি বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন। সেক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হল আপনার জনকন্ঠে লেখাটা দেবার আগে আমাদের সাথে আলাপ করে নেয়া উচিৎ ছিল।
৩. আমরা সবসময়ই মুক্ত সোর্স ও মুক্ত সফটওয়্যারের পক্ষে। এখন আপনি যদি বলেন পেটেন্ট ইনফ্রিন্জমেন্ট হচ্ছে তাহলে আমরা বলব সবার আগে আপনার পেটেন্ট স্টেটমেন্টটি প্রকাশ করেন। তারপর আমরা বিচার করে দেখব।
৪. আর যদি বলেন ইউনিবিজয় নামটিতে বিজয় শব্দাংশ ব্যবহার করার কারণে কপিরাইট ভায়োলেশন হচ্ছে তাহলে কপিরাইট অফিসে গিয়ে একটি চিঠি নিয়ে আসুন। পত্রিকার পাতাতে বিষয়টি মীমাংসা হবে না।
৫. একটা সফটওয়্যারের কারণে যদি আপনি গোটা ওপেনসোর্স কমিউনিটিকে গালি দেয়া শুরু করেন তবে সেটি ঠিক নয়। আর সবচেয়ে বড় কথা অভ্র তো ওপেনসোর্সই নয়।
৬. যদি অভ্রর পেটেন্ট ইনফ্রিন্জমেন্ট প্রমাণ করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অভ্র ব্যবহারকে আপনি অবৈধ বলতে পারবেন না। কারণ ৫০০০ ল্যাপটপের কোন ল্যাপটপে কখন ইউনিবিজয় কিবোর্ডটি ব্যবহার হয়েছিল সেটি আপনি বলতে পারেন না। এবং সেক্ষেত্রে সরকারের যে কয়েক কোটি টাকা বাচলো, এ টাকা বাচানোর উদ্দেশ্য নিয়েই কিন্তু বি.ডি.ও.এস.এনের জন্ম।
ইউনিবিজয় কিবোর্ড এর নাম পাল্টে "ফাতরা" কিবোর্ড রাখার অনুরোধ করছি।
অভ্র না থাকলে আমি এত সহজে এইটুকু বাংলাও লিখতে পারতাম না।
অভ্র টিমকে শ্রদ্ধা জানাই।
অভ্র টীম এবং মেহ্দী'র প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা।
মেহেদী ভাই,
এই যে আমি কমেন্ট টা লিখছি, এইটাও অভ্র দিয়ে। এর চেয়ে আর কী প্রমাণ থাকতে পারে অভ্রের বিজয়ের (!) (আসলে বিজয় শব্দটা ব্যবহার করতেও এখন ভয় লাগে, কখন না আবার টাকা চেয়ে বসে!)।
আসাদ ভাইকে বলব ইন্টারনেটটাকে আরও ভালমত ব্যবহার করতে, যাতে সত্যকে জানতে পারেন। হ্যাঁ, পল্লব ভাই ঠিকই বলেছেন, ঘুম থেকে উঠুন।
বিজয়ের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রয়েছে, কেননা এতদিন ঐ সফটওয়্যারটা দিয়েই বাংলা লিখেছি। কিন্তু যুগের সাথে তাল না মেলালে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই তারুণ্যকে তার জায়গা ছেড়ে দেয়াটাই জব্বার 'কাগু'র জন্য ভাল হবে।
সবশেষে আবারও মেহেদী ভাইকে ...................... না, তাঁকে ধন্যবাদ দেবার মতো ভাষা আমার জানা নেই, বৃথা পরিশ্রম করব না।
বিষয়টা খুবই সহজ, হাত থেকে সহজ ৫কোটি টাকা ফসকে যাওয়াতে জব্বর কাগুর মাথা কিঞ্চিত বিভ্রান্ত ছিল। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশের কারণে সেইসময়ে তিনি মুখ খুলেননি। এখন অনুকূল পরিবেশ পেয়ে তিনি বেশ একহাত নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খেলাটা তিনি ভালো খেলতে পারেন নি, ফাউল করে ফেলেছেন। এখন সময় হয়েছে তাকে তার বিজয় সহ লাল কার্ড দেখিয়ে বহিষ্কার করা!!! আর আমি এই ব্যাপারেও নিশ্চিত যে কোনো প্যাটেন্ট পেপার দেখানো বা লিগ্যাল অ্যাকশান নেওয়া - কিছুই তিনি করবেন না, শুধু উপর উপর লাফালাফি করবেন। তিনি হয়ত আইটি বিশেষ-অজ্ঞ, কিন্তু পাকা ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ীরা লাভক্ষতি খুব ভালো বোঝে। তিনিও ভালোমতই জানেন যে আইনের পথে হাটতে গেলে তার লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি। অভ্র ব্যবহারকারী কম্যুনিটিটা যে এত বিশাল তিনি আসলে সেইটা ঠাহর করতে পারেন নি। আর তার কথাতে যুবসমাজ অভ্রের বিপক্ষে ঝাপিয়ে পড়বে এই ভ্রান্ত ধারমাও তার ছিল(নিজেকে সে বিশাল আইকন মনে করে, তার ফেসবুক প্রোফাইল দেখে তা-ই মনে হয়)!! তিনি মনে হ্য় আমাদেরকেও নেতা মন্ত্রীদের মত কম্পুকানা মনে করে হাইকোর্ট দেখাচ্ছিলেন। এইভাবে ধরা খেয়ে যাবেন তিনি মনে হয় এইটা স্বপ্নেও ভাবেন নি!! তবে এই গোলযোগে লাভের লাভ কিন্তু আমাদের হল, অনেকেই জানত না অভ্র সম্বন্ধে, এখন আমরা সবাই জানতে পারব। অভ্রেরও এখন দায়বদ্ধতা আসবে এই বিশাল সমর্থকদের আরও ভালো কিছু দেয়ার বিশেষ করে মুদ্রণ শিল্পের যে সমস্যা তার থেকে মুক্তির পথ আর ১টা ভালো ফন্ট (অন্তত তার পাশে দাঁড়ানোর কৃতজ্ঞতা থেকে)। আর নাহলে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এবং জব্বারের প্রতি ঘৃণা থেকে আমাদেরই ভিতরের কেউ এগিয়ে আসবে এইগুলার সমাধান নিয়ে। একেই বলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা। আমাদের রাজশাহীতে ১টা স্থানীয় কথা আছে - "কি কইরতে কি কইরেছ বাঘের পু**কিতে ফিংগার ম্যারেছ"!! গেম ওভার মিঃ জব্বার!
মেহেদী ভাই,
এই যে আমি কমেন্ট টা লিখছি, এইটাও অভ্র দিয়ে। এর চেয়ে আর কী প্রমাণ থাকতে পারে অভ্রের বিজয়ের (!) (আসলে বিজয় শব্দটা ব্যবহার করতেও এখন ভয় লাগে, কখন না আবার টাকা চেয়ে বসে!)।
আসাদ ভাইকে বলব ইন্টারনেটটাকে আরও ভালমত ব্যবহার করতে, যাতে সত্যকে জানতে পারেন। হ্যাঁ, পল্লব ভাই ঠিকই বলেছেন, ঘুম থেকে উঠুন।
বিজয়ের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রয়েছে, কেননা এতদিন ঐ সফটওয়্যারটা দিয়েই বাংলা লিখেছি। কিন্তু যুগের সাথে তাল না মেলালে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই তারুণ্যকে তার জায়গা ছেড়ে দেয়াটাই জব্বার 'কাগু'র জন্য ভাল হবে।
সবশেষে আবারও মেহেদী ভাইকে ...................... না, তাঁকে ধন্যবাদ দেবার মতো ভাষা আমার জানা নেই, বৃথা পরিশ্রম করব না।
ভাই অসাধারণ লেখা
সাথে আছি, কমরেড।
অভ্র "Avro" তুমি এগিয়ে চল
we are with you
আমি ৯২/৯৩ থেকে বাংলা লেখার শুরু হওয়াতে আমার প্রথম বিজয়েই শেখা। পরে ২০০৩ এর পর ইউনিকোডে রূপান্তরিত হবার তাগিদে অভ্র ব্যবহার শুরু করি এবং ইউনিজয় শিখি। অভ্রের চমৎকার ইন্টারফেস ভালো লেগেছিলো। আমি পাইরেটেড এবং লাইসেন্সড উভয় প্রকারের বিজয়, লেখনী ইত্যাদি ব্যবহার করেছি। বিশেষ করে প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য কোনটি ভালো সমাধান তার অনুসন্ধান করে গেছি। এখনো পর্যন্ত প্রিন্টিংয়ে বিজয়ের বিকল্প বের হয়নি। আর অনলাইন আর ইউনিকোডের জন্য অভ্রেরও কোনো বিকল্প নেই।
২০০৮ থেকে উবুন্তু আর এ বছর থেকে ম্যাকে(ল্যাপটপে) কাজ করাতে সরাসরি অভ্র ব্যবহার করছিনা। কিন্তু ইউনিজয় লেআউট ছাড়া আমার জন্য বাংলা লেখা এখন কঠিন হয়ে যেতো।
মোস্তফা জব্বার তার অল্পজ্ঞান পুঁজি করে যেভাবে সবাইকে সফলভাবে ঘোল খাইয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর তা দেখে সবসময়ই অবাক হই।
মেহেদী ভাইকে তার অসাধারণ নিষ্ঠা এবং ত্যাগের জন্য সালাম জানাই। ৫কোটি নাহোক ৫টা হাজার টাকা যিনি চাননি তার মতো সাদা মনে মানুষ হতে পারেনা। এই লোকের মতো ডাক্তারও দেশে দরকার অনেক অনেক!
সামুব্লগে একটি পোস্টে এসংক্রান্ত আমার কিছু মন্তব্য হয়তো অনেকের কাজে আসতে পারে: কম্পিউটার কৌশলের ছাত্রছাত্রীরা কোথায়? একটা ভালো টাইপিং সফটওয়্যার কি বানাতে পারে না? তাদের অহম জাগা জরুরী।
অট: সচলায়তনে লেখালেখি'র ইচ্ছাটা এর অতিথি মুডে লেখার বাধ্যবাধকতার কারণে শেষ পর্যন্ত বহমান থাকেনা। ২০০৮/২০০৯ এ মনে হয় দু'একটা(স্বরচিত কবিতা) লিখেছিলাম কিন্তু সেগুলো প্রকাশ হয়েছিলো কি হয়নি তাও জানিনা।
জব্বর আলীর জব্বর আবদার । বাংলা ভাষা যেন তার পেটেন্ট রাইট করা । তার তথাকথিত উদ্ভাবিত(আসলে চুরি করা)বিজয় কী-বোর্ড ছাড়া অন্য কেউ কোন বাংলা কী-বোর্ড লে-আউট বানালেই তা তার ঐ চুরি করা সম্পদের নকল বলে সে চেচামেচি শুরু করে দেয়। তার ভয়ের মূল কারণ হচ্ছে, চোরের চৌর্যবৃত্তি ছাড়া আর কোন সম্পদ বা সৃষ্টিশীল মেধা থাকে না - যা তার বেলায় নির্মম সত্য। তাই অভ্র, নিকস বা জাতীয় কী-বোর্ডের প্রতি সে এতো ক্ষ্যাপা। জব্বর একটা অতি হীনমনস্ক মেঠো বক্তা আর বস্তা পচা সস্তা লেখক ছাড়া আর কিছুই নয়। যুগের প্রয়োজন আর তারুণ্যের মেধার নিকট তার পরাজয় অবধারিত। যত তাড়াতাড়ি এ সত্য সে বুঝতে পারবে তত তাড়াতাড়ি এ দেশের তথ্য প্রযুক্তি মুক্তি পাবে।
আজ শুক্রবার প্রথম আলোর প্রজন্ম ডট কম পাতায় মোস্তাফা জব্বার ও মেহ্দী হাসান খান দুইজনেরই মন্তব্য ছাপা হয়েছে..
লিংক:
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-04-23/news/58287
জব্বার কাগু তাঁর নিজের ego-র ওজনে সকালে যে ঘুম থেকে উঠতে পারেন এটাই একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
আমার এক বন্ধু এই page-এর সব comment-গুলো মন দিয়ে পড়ার পর আমাকে জিজ্ঞেস করল "কাগু" শব্দটি "কাকের গু"-এর সংক্ষিপ্ত রূপ কি না। আমার হাসি চাপতে বিশেষ বেগ পেতে হল। কিন্তু কেন জানি মনে হচ্ছে তার কথায় যুক্তি আছে।
বিজয়ের পরাজয় হোক।
কাগুরটা ইগো না ইগু।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
স্যালুট মেহদী ভাই। অভ্রের জয় হোক। কাগু শক্তি নিপাত যাক!
কাগুকে মেইল করে আস্ক করসিলাম, দেশপ্রেমিক কাগু এত যে কামান কর কত দেন??
কাগু-র রিপ্লাই করলেন Software business is tax free in bangladesh..
মানে কি দারায়?? উনার আয় কি করসীমার (Income Tax limit) নিচে??
প্রথম আলোতে নিউজ হয়েছে দেখলাম, দু'জনেরই বক্তব্য আছে। অনলাইন ভার্শনে নিউজের অর্ডার উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে যদিও।
মেহেদী সাবাস...... এবং সবাইকে।
ভাষা হউক উম্মুক্ত.....................
এই বছরের শুরুর দিকের কথা, আমার কম্পিউটার টির মাথা বলা নেই কওয়া নেই হঠ্যাৎ বিগ্রে গেলো। তারপর windows 7 আনলাম। ব্যবহার করা শুরু করলাম। কিন্তু বিপদ শুরু হল তখন ই যখন আমি প্রশ্নপত্র তৈরির জন্যে Bijoy খোজ করা শুরু করলাম। তখন আমি windows 7 এর জন্য কোন ভার্ষন পাচ্ছিলাম না। সেই মুহুর্তে অভ্র দেবদূতের মতো হাজির হলো। অভ্র ব্যবহারের পর জানতে পারলাম আমাদের সাথেই ছবি তুলেন মেহদী ভাই, এবং তার বন্ধুরা মিলে নিছক সখের বশেই বানিয়েছিলেন ''অভ্র'' নামক একটি ইউনিকোড সফটওয়ার।যার পিছনে ছিল একটা এ সপ্ন। '' ভাষা হবে উন্মুক্ত'' ... খুব ই অবাক হয়েছিলাম এবং তার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে এসেছিল। আজ কয়েকদিন ধরে অভ্র কে ঘিরে কথা গুলো পরে নিদারুন কষ্ট পেয়েছি। দেরি করে হলে ও মেহদী ভাই এর কথা গুলো পরে শান্তি পেয়েছি। এনং আমার পুর্ন সমর্থন মেহদী ভাই ও তার ওমিক্রন টীম এর প্রতি।
তাদের জন্যে রইল শুভেচ্ছা... এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, যারা ভাষা কে নিয়ে ও ব্যবসা করতে ছায়, তাদের জন্য ধিক্কার...
শুনেছি বিজয় এর মূল ডেভেলপার বুয়েট এর একদল তরুন; যাদের অক্লান্ত শ্রমের ফসল কাকুর এই সফটওয়ার। পরে তাদেরকে কাজের যথাযোগ্য সীকৃতি তো দেয়া তো হয় ই নি, বরং তাদের কিক আউট করে সফটওয়ারটির একছত্র মালিকানা নিজের করে নেন উনি। এর নাম দেন তার ছেলে বিজয় এর নামানুসারে।
আভ্র'র ভবিষ্যত আপগ্রেডে গুগল-বাংলা'র মত টাইপ করার সাথে সাথে সম্ভাব্য শব্দাবলী নিরবাচন করার জন্য পাশে ভেসে উঠবে এই রকম কোন সহজ-তর ব্যবশ্তা আশা করছি...
সাথে আছি এবং থাকব। ধন্যবাদ অভ্র ও মেহদি ভাই কে।
হ! ঠিকাছে
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
"মোস্তাফা জব্বার ভূয়া"
মোস্তাফা জব্বার পত্রিকায় মধ্যযুগীয় কলাম লেখার শেষে তার অনেকগুলো পরিচিতি এভাবে লেখে "লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান-সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা"। এসব প্রত্যেকটাই ভূয়া। একে একে ব্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে এভাবে:
(১) জব্বার কোনভাবেই একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ নয়। কারণ এ বিষয়ে তার কোন শিক্ষা, অভিজ্ঞতা এবং গবেষণা নাই।
(২) জব্বারের সব লেখার বিষয় এককেন্দ্রিক, অর্থাৎ সে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক কথাই বারবার লেখে। তাই সে কোন কলাম লেখক নয়।
(৩) আবাস নামে বাংলদেশে কোন নিউজ সার্ভিসের কোন অস্তিত্ব কোন কালে ছিল না, এখনো নাই, অর্থাৎ এটি একটি ভূয়া সংগঠন।
(৪) বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার জব্বারের নয়, এটি অন্যের কাছ থেকে চুরি করা। আর কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের প্রণেতা বলতে কিছু হয় না, এসবের উদ্ভাবক হয়। একইভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা বলতে কিছু হয় না, হতে পারে স্বপ্নদ্রষ্টা। কিন্তু জব্বার এর স্বপ্নদ্রষ্টা নয়।
অতএব জব্বারের সবকিছুই ভূয়া। তার নাম দেয়া উচিৎ "মোস্তাফা জব্বার ভূয়া"।
বাহ...
______________________________________
লিনলিপি
______________________________________
লীন
মেহেদী ভাই,
কুকুরে কামড় দিলে কুকুরের পায়ে গিয়ে কামড় দিতে হয় না; তার দাঁত ভেঙে দিতে হয়। মোস্তফা জব্বার সাহেব নিজেই একজন চোর। আর তাই সবাইকে তিনি নিজের মতো চোর মনে করেন। চোরের ভয়ে নিশ্চই আমরা ভীত থাকতে পারি না। তার মতো লোভী মানুষের কোন কথার মূল্য আমাদের কাছে নেই। আপনি এগিয়ে যান। বাংলাদেশের প্রতিটি প্রযুক্তি সচেতন আপনার পাশে পাবেন।
সাথে আছি,থাকব,সবসময়
হাটস অফ মেহেদি ভাই
শুধু বলতে চাই - অভ্র তৈরি করার জন্যে প্রাণঢালা কৃতজ্ঞতা।
সাথে আছি।
_________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আমি ঠিক জানি না যে মুনীর কী বোর্ড টা কে ডিজাইন করেছেন। এটা যদি মি জব্বারের করা হয়ে থাকে তাহলে আমার বাকী কথা গুলো পড়ার দরকার নাই। এমনটি এই পোষ্ট মুছে দিলেও কিছু মনে করবো না।
যদি না করা হয়ে থাকে তাহলে দুইটা কথা আছে। বিজয় ২০০৪ প্রো তে মুনীর কীবোর্ড আছে। সাথে ন্যাশনাল কীবোর্ডও আছে। যদি মা জব্বার মুনীর এর উদ্ভাবক না হয়ে থাকেন তাহলে কি তিনি মুনীরের উদ্ভাবকের কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন?
নীচে বিজয় ২০০৪ প্রোর হেল্প ফাইল থেকে কয়েকটা লাইণ তুলে দিলাম। ধন্যবাদ
17. What is the difference between normal & Pro Version?
Bijoy is marketed in two versions. The latest version is the Bijoy 2003 and Bijoy 2004 Pro. Bijoy 2000 has only Bijoy Keyboard. It does not have any other any extra software also. On the other hand Bijoy 2004 Pro has Spell Checker & Bijoy Mail Software. It also has extra fonts and National and Muneer Keyboards.If you want to use only Bijoy Keyboard you are all right-use Bijoy 2003. If you are looking for something extra-use Bijoy 2004 Pro.
দুনিয়ার বাংলাভাষী এক হউন । নির্লজ্জ ভাষা ব্যবসায়ী জব্বারের হাত খেকে মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসুন ।
নতুন পোস্ট আসছে। স্টিকি সরালাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভীষণ রকম দৌড়ের ওপর আছি। একদমই আসতে পারছি না সচলে। কিন্তু আর কিছু পারি না পারি, অভ্র টিমের প্রতিভূ মেহদীর লেখায় অন্তত ৩৪ নাম্বার ভোটটা তো দিতে পারি!
এটুকু না করলে যে ভীষণ লিখনহারামি হয়ে যাবে!
জয়তু মেহদী এবং অভ্র টিম!
আপনারা যা করেছেন তার তুলনা নেই, বাংলা ভাষার প্রত্যেক লিখিয়ে তার মনের ভেতরে আপনাদের সৌধ গড়ে রেখেছে। টুটাফাটা লোকজনের সাধ্য নেই তা নাড়ায়।
ভালো থাকুন।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এই পোস্ট টি দেখি ফেইসবুকে তখন আমি সুন্দরবন এর পথে। এই পোস্ট টি পড়ার কিছু সময় পর ই নেট ওয়ার্কের বাইরে চলে যাই । খুব ভালো লেগেছিল তখন।
ভাষা উন্মুক্ত হবেই
আমরা আপনার সাথে আছি ।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
না লিখে পারলাম না।
অসাধারন!
মেহেদি, আপনার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
মিছিলে শামিল হলাম আমি-ও।
ভালো থাকুন মেহেদি।
শুভেচ্ছা।
অভ্র ভালোবাসি তাই
নতুন কিছু ফন্ট ও চাই
না হলেও দাবি নাই
কিন্তু নতুন কিছু ফন্ট চাই
আমরা সবাই আপনার সাথে আছি ,থাকবো
প্রতিবাদলিপি যে এত সুন্দর গোছানো হতে পারে তা আমার জানা ছিল না। ধন্যবাদ আমাদের এরকম একটি মার্জিত, ভদ্র, তথ্যবহুল, যুক্তিপুর্ন লেখা উপহার দেয়ার জন্য। গভীর আবেগপূর্ন একটি লেখা যুক্তিতে ভরপুর। আবারও মেহদি ভাই প্রমান করলেন য়ে উনি আলাদা।
সবার প্রতিক্রিয়াটা একরকম হয়নি। হবে কিভাবে? আমাদের সবার আবেগ বা আবেগের প্রকাশ তো একরকম না। তবে মাতৃভাষা নিয়ে শিকলের ঝনঝনানি যে কারো পছন্দ হয়নি কারো সেটা বোঝা যাচ্ছে।
সকলকে একটা অনুরোধ করি। আমরা এমন কিছু না বলি/লিখি যা গালাগালির পর্যায়ে পরে। সেটা মেহদি ভাই এর এত সুন্দর লেখার ভাবের বিরুদ্ধে যায়। কেউ যেন বলতে না পারে, ব্লগে 'অকথ্য ভাষায় গালাগালি' দেওয়া হচ্ছে। গালাগালি ছাডাই মেহদি ভাই আমাদের সবার মনের কথাগুলি বলে দিয়েছেন।
ভিডিওটা দেখুন।
ভিডিওটা দেখুন।
ধন্যবাদ মেহেদী. বিজয় নিয়ে এখন আর লিখতে ইচ্ছা করেনা, বদ লোকের সাথে আর কত। মোস্তফা জব্বার একজন ব্যবসাহি লোক। কারো কি "শহীদ লিপি", "বসুন্ধরা", "বর্ণ" এর কথা মনে আছে. ১৯৮৬-৮৮ এর দিকে ডঃ আব্দুল্লাহ আল-মুতী সারের ছেলে জামিল ভাই প্রথম DOS based বাংলা user keyboard and UI বানান তারপর জব্বার সাহেব বিজয় আনেন, মনেনাই এখন কিনতু Macintos Classic এ প্রথব বিজয় শুরু হয়। তারপর windows 3 or 3.1 এ বিজয় এর windows version develop korano hoy platipus (ছদ্দনাম) কে দিয়ে যিনি এখন USA তে থাকেন.
এরপর আসে বসুন্ধরা, বর্ণ, অনির্বান। দেশে এবং বিদেশে আরো অনেকে কাজ করেছে এবং এখনো করছে বাংলা নিয়ে। জব্বার সাহেবের ব্যবসাহিক অবদান আছে কিনতু উনি একমাত্র বাংলা কম্পিউটার এর প্রবর্তক বলে দাবি করতে চান, যেটা উনার চারিত্রিক দুর্বলতা (every thing is me me and me). Font এর ২৫৬ অক্ষর এর সীমা যখন শেষ হলো double byte unicode এর মধ্যমে তখন বাংলা অনেক সহজ হয়ে গেল এবং omicron labএর তুখোর ছেলেরা সবাইকে দিল "অভ্রু" যা সবার জন্যে সহজলভ্য, এখন জব্বার সাহেবের তো লাগবেই উনি তো পারলে বাংলা ভাষা নিজের নামে petent করতে চান. তোমাকে আবারও ধন্যবাদ এখন তোমাদের সময়, থেমে থেকোনা এইরকম জব্বার রা বাংলা কে আটকে রাখতে পারবে না প্রতিটা বাঙালি ভাষা আন্দোলনের সৈনিক, তোমরা নতুন প্রজন্মের অগ্রদূত. ভালো থেক আরো অনেক ভালো ভালো কাজ কর বাংলা নিয়ে, আমরা তোমাদের সাথে সবসময় আছি.
মেহেদী ভাই, লাল সালাম।
ফ্লিকার এ TTL এর থ্রেড দেখছেন??
দুর্দান্ত হইছে মেহদী,
পাশে আছি সবসময় ...
দারুন হয়েছে। যারা নিজেদের ডোল বাজায় তাদের জন্য উচিত জবাব হয়েছে। মনে হচ্ছে নতুন শেখ মুজিব পেয়েছি আমরা 'মেহেদী' । ১৯৫২ সাল দেখিনি। ভাষা আন্দোলন দেখিনি। কিন্তু এবার ডিজিটাল ভাষা আন্দোলনে অংশ নিচ্ছি। আমার এই ছোট্ট আওয়াজ সিন্দুর বিন্দু জল হয়ে অভ্র'র সাথে থাকবে।
ভাষা হোক উম্মুক্ত...
মেহেদি ভাই,
অভ্রের সাথে আছি, আপনার সাথে আছি।
ভাষা হোক উন্মুক্ত। সাথে আছি মেহেদী।
সে দিন প্রথম আলো তে মোস্তফা জব্বারের আইনী নোটিস দেয়ার কথা পরলাম। হাসি অ পেল খুব। কিন্তু তার উক্তি পরে মেজাজ খুব খারাপ হল। ব্লগ গুলো নাকি তার মান সম্মান হানি করছে, যার মান সম্মান এ নেই, সেটা আবার হানি কিভাবে হয়???
ভাষা হোক উন্মুক্ত...
অভ্র এর সাথে আছি, থাকব ইনশাল্লাহ...
First of all i would like to express my guilty feelings about writing in english. Right now i don't have Avro with me . I would like to express my support for Avro that's all.
Reza
NSU
অভ্র আমাদের আমরা অভ্রর পাশে আছি থাকব চিরদিন
বাংলাদেশের তথ্য প্রযু্ক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় সব সাংবাদিকের ই-মেইল অ্যাড্রেস নীচে দেয়া হ’ল। যে কেউ এগুলো যার যার সুবিধামত কাজে লাগাতে পারেন। তাছাড়া, www.bijf.org ওয়েবসাইটে গিয়ে সাংবাদিকদের মেম্বার লিস্ট নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আশা করি এসব তথ্য খুব কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে ।
রহিম
* তালিকাটি শুধু মডারেটরদের জন্যে রেস্ট্রিক্ট করা হলো।
[মডারেশন নোট: ইমেইল গুলি সংরক্ষণ পূর্বক মুছে দেয়া হল। আপনাকে ধন্যবাদ।]
"সাপ্তাহিক" নামে একটি পত্রিকায় আব্দুন নূর তুষার অভ্রকে বাঁশ দিয়ে এক বিশাল কাহিনী ফেঁদেছেন। এই লিংকে লেখাটি পাওয়া যাবে.....
http://www.shaptahik.com/v2/?DetailsId=3617
এর ঠিকঠাক জবাব দেওয়া প্রয়োজন। তিনি ২৫ টি পয়েন্টে তার বক্তব্য দিয়েছেন। সবগুলোরই উত্তর দিতে হবে। আবেগে ভেসে ...গেলে চলবেনা। লেখার জবাব লেখা দিয়েই দিতে হবে।
মন্তব্যে দেয়া লিংকটিতে একটি ম্যালওয়ার উন্মুক্ত হয়। 'সাপ্তাহিক' পত্রিকা এরকম ম্যালওয়ার ছড়াচ্ছে দেখে আমি যার পরনাই বিরক্ত। লেখারটির কপি নীচে দিলাম। লিংক ক্লীক করবেন নিজ দায়িত্বে।
[প্রতিক্রিয়া] প্রযুক্তি বিতর্ক-বিজয় বনাম অভ্র
আব্দুন নূর তুষার
অভ্র-বিজয় বিতর্ক নামে সাপ্তাহিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নিয়ে একজন বাংলা ব্যবহারকারী এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী হিসেবে আমার মতামত জানাতে চাই।
১. শুরুতেই প্রতিবেদক একটি জটিল শতকরা হিসেব দিয়ে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং এদের মধ্যে অভ্র ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ে অংক ফেঁদেছেন। এটি পাঠককে বিভ্রান্ত করার কৌশল। মোট ব্যবহারকারীর ৫০-৬০ শতাংশ ব্যবহার করেন বাংলা। ৫০ থেকে ৬০ এর মধ্যে ১০% পার্থক্য। কোন অ্যাপ্রক্সিমেট বা অনুমিত হিসেবে এত বড় রেঞ্জ বা সীমানা, প্রমাণ করে হিসাবটি মনগড়া। তার পরেও ধরে নিলাম এটা ঠিক। এই ৬০%-এর মধ্যে ১৫% যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাহলে মোট ব্যবহারকারীর ৯% ব্যবহার করেন ইন্টারনেট। আবার এই ১৫% এর মধ্যে ২০% ব্যবহার করেন ইন্টারনেট বাংলা। তার মনে মোট বাংলা ব্যবহারকারী জনসংখ্যার মাত্র ১.৮% ইন্টারনেটে বাংলা লেখেন। যদি তাদের সবাইকে ধরে নেয়া হয় অভ্র ব্যবহারকারী তাহলেও বিজয়ের সঙ্গে অভ্রের কোনো তুলনা চলে না। কারণ লেখক শুরুতেই বলেছেন যে মোট ৫০-৬০ শতাংশ বাংলা ব্যবহারকারীর প্রায় সবাই বিজয় ব্যবহার করেন। এই হিসাবটি এভাবে বলা হয়েছে সুকৌশলে বিজয়ের পাশে অভ্রকে দাঁড় করানোর জন্য। অভ্রর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী বলে আসলে মিথ্যাচার করেছেন আনিস রায়হান। ১.৮% মানুষের পাশে ৬০%। অভ্র যদি আকাশ ছোয় তাহলে বিজয় তো তার চেয়ে ৩০ গুণ বেশি জনপ্রিয় প্রতিবেদকের হিসাবমতেই।
২. ভাষা সবার জন্য উন্মুক্ত। এটা স্বতঃসিদ্ধ। সফ্টওয়্যার কিন্তু সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। কারণ এটি কারো না কারো সৃজনশীলতার ফলে সৃষ্ট হয়। পৃথিবীতে যারা সফ্টওয়্যার উন্মুক্ত করে দেয়ার পক্ষপাতী তাদের পক্ষে যুক্তি আছে। কিন্তু সে যুক্তি মেনে নিলে লেখক, সাহিত্যিক, গানের শিল্পী, সুরকার কারোই কপিরাইট বা সৃজিত পণ্যের ওপর মালিকানা থাকা উচিত না। ভাষা উন্মুক্ত হলে গানও উন্মুক্ত, ছায়াছবিও উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত। কারণ এরা সবাই ভাষা ব্যবহার করেই নিজেকে প্রকাশ করেন। তাই ভাষা হোক উন্মুক্ত এই কথাটিই ভুল। বলা যেতে পারে, সফ্টওয়্যার হোক উন্মুক্ত। মোস্তফা জব্বার বাংলা ভাষার কপিরাইট দাবি করেন নাই। তিনি দাবি করেছেন বিজয় সফ্টওয়্যার ও এর কী-বোর্ড লে আউট এর ওপর কপিরাইট। ভাষা হোক উন্মুক্ত বললে দরিদ্র বাঙালির আবেগ নিয়ে খেলা যায়। তাই এটাও অভ্র তৈরিকারীদের একটি কৌশল বলেই মনে হয়।
৩. মূল্য এবং বিনামূল্য, যেভাবেই কোনো বস্তু পাওয়া যাক না কেন দুটোই সেবা। হোটেল সেবা, মোটেল সেবা, সফ্টওয়্যারও সেবা। অভ্রকে তাই আলাদাভাবে সেবা আর বিজয়কে ব্যবসা বলাটাও ভুল। অভ্রর জনক মেহেদী হাসান খান বলেছেন বিনামূল্যে সেবা কেউ দিলে তাতে কারো বাধা দেয়া উচিত নয়। কিন্তু তিনি নিশ্চয়ই মানবেন যে অন্য কারো বুদ্ধি ধার করে সেটা বিনামূল্যে দিয়ে দিলে তাতে বাধা দেয়া যেতে পারে।
৪. বিজয় কী-বোর্ডের লে আউটে কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু সারা পৃথিবীতে এটাই সবচেয়ে জনপ্রিয় লে আউট এবং বাংলা ব্যবহারকারীরা এটাতে অভ্যস্ত হয়েছেন যেটা মোস্তফা জব্বার ও তার কর্মী দলের কৃতিত্ব। এখন সেই জনপ্রিয় লে আউটটির কয়েকটি কী বদলে একটু সুবিধা বাড়িয়ে বা কমিয়ে সেটিকে ফ্রি করে দেয়া কখনোই নতুন কোনো সৃজনশীলতা না। কেউ যদি কবি নজরুলের কবিতার মহাশ্মশান কে গোরস্তান বানিয়ে পুরো কবিতার মালিকানা দাবি করে তাহলে সেই দাবি কি গ্রহণযোগ্য? কারো যদি নতুন বাংলা ফন্ট বা ওয়ার্ড প্রসেসর তৈরি করতে ইচ্ছা করে তবে তিনি সেটি মৌলিকভাবে করলেই পারেন। মোস্তাফা জব্বার সবাইকে চা বানানো এবং খাওয়া শেখালেন নিজের অর্থ, শ্রম ও বিনিয়োগের ঝুঁকি নিয়ে, তাতে দু চামচ চিনি বেশি দিয়ে সেটা ফ্রি করে দিলাম। কারণ নতুনভাবে এটা তৈরি করলে নতুনভাবে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। এতে অভ্র তৈরি যারা করেছেন তাদের কৌশলটা টের পাওয়া যায়, বিজয়ের লে আউটের ঘাড়ে চড়ে নিজেদের জনপ্রিয় করার চেষ্টা।
৫. কোনো পণ্য দীর্ঘদিন বাজারে থাকলে এবং তার পাইরেটেড কপি বাজারে থাকলে তার ওপর মানুষের অধিকার জন্মায় এটা কি যুক্তিসঙ্গত কথা? জনস্বার্থে কেউ তার ব্যবসায়িক পণ্যের লে আউট উন্মুক্ত করে দেবে এটা তো মামার বাড়ির আবদার হয়ে গেল।
৬. ডিজিটাল বাংলাদেশের কারিগর হিসেবে মোস্তাফা জব্বারকে কেউ বলেছেন বলে আমাদের জানা নেই। এটা তিনি নিজে কোথাও দাবি করেছেন বলেও আমি জানি না। করে থাকলে এটা ঠিক হয় নি। কারণ এটা কোনো একজনের কাজ না, এটা সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলাফল।
৭. মোস্তফা জব্বারের আক্ষেপ বা স্মৃতিচারণের বর্ণনা না দিয়ে প্রতিবেদকের উচিত ছিল তার সরাসরি মতামত নেয়া। বার বার লেখাটিতে মেহেদি হাসান খানকে অভ্রের জনক বলার মানেটা কি? তিনি কি নিজে একলা এটি ডেভেলপ করেছেন? আর তিনি যদি ওমিক্রনল্যাবের মালিক হয়ে থাকেন তাহলে এটা কি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাকি কোনো চ্যারিটি? এই অভ্র সফ্টওয়ারটির কোথাও লেখা নেই যে এটি চিরকালের জন্য ফ্রি। লেখা আছে এটা ফ্রি ডাউনলোড করা যায়। কালকে এটা যে পণ্যে পরিণত হবে না এ ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা কোথাও নেই।
৮. অভ্রে রোমান হরফে এ এম আই টাইপ করলে সেটা আমি হিসেবে দেখানোর সুযোগ আছে। বিষয়টি ভয়াবহ। তরুণ সমাজ আর বানান শিখবে না। ভবিষ্যতে পেপারলেস সমাজে তাকে আর বাংলা বানান লেখা বা শেখার দরকার অনুভব করতে হবে না। আমাদের বর্ণমালা টিকে আছে তার ব্যবহারে, সেটা ভুলে গিয়ে তরুণ সমাজ বানান করবে টি ইউ এম আই, তুমি। এভাবে যদি বাংলা লেখা ঠিক হয় তাহলে একসময় বাংলা ভাষার বিরোধিতাকারীরা আমাদের উর্দু হরফে বাংলা লিখতে বলেছিল আবার ইংরেজি হরফেও বাংলা লিখতে বলেছিল। তাদের ভূত দেখতে পাই আমি। কম্পিউটারে বাংলা বানান রীতি মনে রেখে কাউকে বানান করতে হবে না। ২৫ বছর পরে এর কি প্রভাব হবে সেটা কেউ ভেবেছেন?
৯. বিজয় এবং অভ্রের পার্থক্য বলতে গিয়ে কিছু অর্ধ সত্য এবং কিছু বিভ্রান্তিমূলক তথ্য লেখা হয়েছে। ইউনিজয় এবং বিজয়ে অন্তত একটি কি পজিশনে পার্থক্য আছে। এটা দিয়ে কখনো একে সম্পূর্ণ আলাদা বলা যাবে না। আর নামটি ইউনি অভ্র না রেখে ইউনিজয় রাখা হলো কেন?
১০. বিজয় উইন্ডোজ ৯৫, ৯৮ সাপোর্ট করে কারণ এটা অনেক আগে তৈরি। স্বাভাবিকভাবেই এটা অভ্রের সাপোর্ট করার কথা নয়। সমস্যা তো লে আউট নিয়ে। কে কোনটা সাপোর্ট করে সেটা তো সমস্যা নয়। কোডিং ধার করা হয়েছে কিনা সেটা বিজয় ও অভ্রের কোডিং পরীক্ষা করে বলা যাবে। তবে লে আউট এর মিল দেখে মনে হয় এখানে খানিকটা হলেও একই কোডিং থাকতেই হবে।
১১. ইউনিকোড পুরনো বিজয়ের ভার্সনে থাকবে না এটাও তো স্বাভাবিক। পুরনো টয়োটা গাড়িতে কি এখনকার মতো টিভি, ন্যাভিগেটর এসব ছিল?
১২. অভ্র ফন্ট পাইরেসি করে নাই এটা বলা যাবে যদি অভ্রের ফন্টগুলোর চেহারা বিজয়ের ফন্টগুলোর চাইতে একদম আলাদা হয়। যারা অভ্র ব্যবহার করেন তারা এটা ভালো বলবেন। ফন্ট কেবল কোডিং না, এটার চেহারাটাই আসল। ব্যবহারকারী ফন্টের কোডিং দেখেন না এর চেহারা দেখেন। ভিন্ন কোডিংএ একই চেহারার ফন্ট তৈরি করা সম্ভব। সেটাও কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন কারণ সেখানে ডিজাইন নকল করা হয়েছে।
১৩. আগে এ কার, পরে একার, দুবার চাপ, একবার চাপ এগুলো মৌলিক পার্থক্য না। মৌলিক পার্থক্য বুঝতে হলে দেখতে হবে, জে চাপলে ক হয় কিনা? কিংবা জি চাপ দিয়ে দিয়েই যুক্তাক্ষর বানাতে হয় কিনা?
১৪. অভ্রে ভুল তাড়াতাড়ি সংশোধন করা যায় এটা অবশ্যই একটি সুবিধা। কিন্তু এটা তো লে আউটের সঙ্গে সম্পর্কিত না।
১৫. এক বাটনে চাপ দিয়ে ফন্ট বদলানো এটা অনেক অনেক পেছনে পড়ে থাকার বিষয় না। যারা একসময় ওয়ার্ড স্টার আর ওয়ার্ড পারফেক্ট ব্যবহার করতেন তারা জানেন যে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে এমএস ওয়ার্ডের চেয়ে এগিয়ে ছিল। এটা ব্যবহারকারীর অভ্যাসের বিষয়। বিজয়ের ব্যবহারকারীরা অভ্যস্ত বলেই বিজয় তার ফন্ট সিলেকশন ও স্টার্টিংয়ের ব্যাপারটি একই রেখে দিয়েছে।
১৬. অভ্রের লিনাক্স ভার্সন আছে কারণ এটি ফ্রি। বিজয় যেহেতু ব্যবসায়িক পণ্য তাই এটার লিনাক্স ভার্সন না থাকাটাই স্বাভাবিক।
১৭. অভ্র বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় আর বিজয় টাকা দিয়ে কিনতে হয়। এটা অবশ্যই পার্থক্য। যেমন সাপ্তাহিকে নেট ভার্সন ফ্রি কিন্তু আমি ছাপানো পত্রিকা টাকা দিয়ে কিনি। আামি কি এখন বলতে পারি যে ছাপানো সাপ্তাহিক বের করা যাবে না অথবা এটা ফ্রি করে দেয়া উচিত? প্রতিবেদক চাকরি না করে শুধু নেটে লেখালেখি করে ফ্রি সংবাদ দিলে মানুষের অনেক উপকার হতো এতে? কিন্তু একদিন তিনি নিজেই সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতেন পেট চালাতে গিয়ে। এ কারণেই সফ্টওয়্যারও বিক্রি করতে হয় কাউকে কাউকে।
১৮. অভ্রতে নিজের কী-বোর্ড নিজে তৈরি করে নেয়া যায়। এটা যেমন সুবিধা তেমন অসুবিধাও। মনে করেন আপনি কারো বাংলা টাইপিং স্পীড পরীক্ষা করবেন। অথবা কাউকে টাইপ করার জন্য বা কম্পোজ করার জন্য চাকরি দেবেন। সবাই সঙ্গে যার যার একটা কী-বোর্ড লে আউট নিয়ে এলো। এটা পার্সোনাল ব্লগ লেখার জন্য ঠিক হতে পারে, কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য ঠিক না। কেননা এরপর সেই ডকুমেন্টটি এডিট করতে হলে সেই লোকটাকেই লাগবে আপনার। আপনার প্রতিষ্ঠানের একেকটি কম্পিউটারে থাকবে একেক লে আউটের কী-বোর্ড। সাপ্তাহিক-এর কর্তৃপক্ষ নিজে এটি তার অফিসে করতে রাজি হবেন?
১৯. অটো কারেক্ট ফিচারের সমস্যাটিও কিন্তু কোনো মৌলিক পার্থক্য না। অটো কারেক্ট অফ করে দিলে বিজয়ের অক্ষর বা শব্দ পাল্টে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
২০. মোস্তফা জব্বারকে কাবুলিওয়ালার সঙ্গে তুলনা করাটা অন্যায়। একজন মানুষ ৩০ বছর একটি খাতে শ্রম দিলেন, দেশের কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের বার বার নেতৃত্ব দিলেন, বাংলা ভাষাকে কম্পিউটারে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিলেন। এর সঙ্গে সুদে ধার দেয়া কাবুলিওয়ালার মিল কোথায়? তার নিজের ধারণাপ্রসূত সফ্টওয়্যারটির স্বত্ব নিজের কাছে থাকবে না এটা কি দাবি করা উচিত? তার মানে বিল গেটস, স্টিভ জবস কিংবা ফেসবুকের জুকারবার্গ সবাই তো কাবুলিওয়ালা। ফেসবুকের ভেতরে বিজ্ঞাপনের টাকা তো তাহলে জুকারবার্গের উচিত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করা।
২১. ২০০৩ সালে ইউনিবিজয় তৈরি করেছেন যারা, তার অনেক আগে থেকেই মোস্তফা জব্বারের বিজয় লে আউট বাজারে ছিল। তাই মাত্র ৮টা কি অদল বদল করে ১০৫ টা কী-বোর্ডের একটি লে আউটের সঙ্গে কোনো মিল নেই বলাটা কতটুকু যৌক্তিক দাবি।
২২. একজন ব্যবসায়ী যদি মনে করেন কেউ তার স্বত্ব লঙ্ঘন করেছে তিনি তো তার প্রতিকার চাইতেই পারেন। এটা নিয়ে আইনসঙ্গত লড়াই না করে, পত্রপত্রিকা, নেট কিংবা ব্লগে মোস্তাফা জব্বারকে কাবুলিওয়ালা, লোভী, কার্টুন ক্যারেকটার কিংবা তাকে নিয়ে অসম্মানজনক ছড়া কবিতা লেখা প্রকৃতপক্ষে অভদ্রতা ছাড়া আর কিছু না।
বাজারে ফ্রি থাকবে, পয়সা দিয়ে কেনার সফ্টওয়্যারও থাকবে। তবে একটি আরেকটির নকল হতে পারবে না। ভাষার স্বাধীনতার সঙ্গে একটি সফ্টওয়্যার এর বিক্রির কোনো সম্পর্ক নেই। আপনি বাংলা লিখবেন, লেখেন। যেভাবে চান সেভাবে লেখেন। যা দিয়ে পারেন তাই দিয়ে লেখেন। তবে সেটা করতে গিয়ে আরেকজনের কলমের ডিজাইন বা কনসেপ্ট চুরি করে নিজে সেই একই ধরনের কলম বাজারে ফ্রি ছেড়ে দিলে সেটা কি ঠিক হবে? ওপেন সোর্স পণ্য অনেক আছে, কিন্তু সেগুলোর সমস্যাও আছে। তাই এখনো উইন্ডোজ সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ জন্য বিল গেটসকে গালি দেয়া যেমন অন্যায়, জব্বার সাহেবকে কাবুলিওয়ালা বলাও একইরকম অন্যায়।
২৩. একটি দেশে জনপ্রিয় স্বদেশী সফ্টওয়্যার মাত্র একটি। তার নাম বিজয়। দেশে ভালো সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামাররা থাকতে চান না কারণ এই দেশের চাইতে বিদেশে তাদের কাজের দাম বেশি। এই দেশে সফ্টওয়্যার শিল্প দাঁড়ায়নি ভালোভাবে তার কারণ আমরা সবাই পাইরেটেড সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে পছন্দ করি কারণ আসলের দাম অনেক বেশি। সবাই তাদের সব সফ্টওয়্যার জনপ্রিয় হয়ে গেলেই যদি ফ্রি করে দিতে বাধ্য হন সেটা কি এই শিল্পের অভ্যন্তরীণ বিকাশের জন্য সহায়ক হবে।
২৪. প্রতিবেদকের কম্পিউটার সংক্রান্ত জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই না। তবে তার উচিত ছিল এই ব্যবসাটি সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেয়া। আর ধরা যাক তাকে কেউ বাজে কথা বলল। আমি কি সেটা এখানে উল্লেখ করে দেব? বার বার এই প্রতিবেদনটিতে মোস্তফা জব্বার সম্পর্কে কে কি বাজে কথা বলছে সেটি উল্লেখ করা কখনোই সৎ সাংবাদিকতা নয়। ভাষা উন্মুক্ত করার নামে জিহ্বা উন্মুক্ত করাটা ভদ্রতা নয়। কিছুদিন আগে ন্যাপস্টারের সঙ্গে লড়াই করেছে আমেরিকার গানের কোম্পানিগুলো। বিল গেটস এর সঙ্গে নেটস্কেপ এর লড়াই হয়েছে। এতে কি কেউ কাউকে গালাগাল দিয়েছে?
২৫. ভাষা উন্মুক্ত করার নামে সফটওয়্যার ফ্রি করে দিতে হবে এই দাবি করার আগে তাহলে দেশে সব কলম ফ্রি করে দেয়া উচিত। কারণ কলম দিয়েও তো আমরা লিখি। ওটার জন্য পয়সা নেয়াও তাহলে অন্যায়। ভাষা তাহলে বন্দি হয়ে গেল কলম বিক্রেতার কাছে?
আশা করছি আদালতে দেশের কপিরাইট আইন অনুযায়ী বিজয় ও অভ্রের এই দ্বন্দ্ব মিটবে। পত্রিকাতে যারা লিখবেন তারা যুক্তি দিয়ে লিখবেন এবং গালাগাল করে দামি নিউজপ্রিন্ট এবং ব্যান্ডউইথ খরচ করবেন না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভাষা হোক উন্মুক্ত
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-05-19/news/64569
Bangladesh Association at Saitama University, Japan; এর মত, আসুন, আমরা
আমাদের ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠান বা সংঘের হোমপেজে অভ্র'র পক্ষে মোস্তফা
জাব্বারকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
Bangladesh Association at Saitama University, Japan
মেহেদী ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পুরো বিষয়টিকে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য। আমরা আপনার সাথে আছি। বিষয়টা পরিস্কার হওয়া দরকার ছিল। নির্বাচন কমিশন এই সফটওয়্যারটা ব্যবহার করেছে জেনেও ভালো লাগলো।
শেষ খবরটা কি হলো, জানাবেন কি?
শুভ কামনা থাকলো।
প্রিয় ভাই,
উকিল নোটিশের পর জবাব এবং শেষে কি হল, অনুগ্রহ করে জানান।
...এতো কথার পর... ভাষা হারিয়ে ফেলেছি.../ স্যালুট...
প্রিয় মেহদী ভাই,
যা হবার হয়েছে। খারাপ লোকরা চিরকালই খারাপ! অভ্র ও আপনার জন্য ভালবাসা থাকবে আজ়ীবন। আপনার কারনে বাংলায় কিছু লিখতে পারছি। আমরা আপনি ও আপনার সহকর্মীদের কাছ থেকে আরো অনেক কিছু আশা করি। তবে আপনাকে বলি, আপনি নিজকে একা ভাববেন না। আমরা আপনের বন্ধু ও ভাই। আমি নিশ্চিত, সারা বাংলা একদিন আপনাকে সন্মান দিবে।
সাহাদাত উদরাজী
০৯/০৭/২০১০
০১৯১১৩৮০৭২৮
পশ্চিমবঙ্গ থেকে অভিনন্দন রইল।
আসলে এতদিন এভাবে বুঝতে পারিনি যে টাকা দিয়ে নিজের ভাষায় লিখি ৷
আজকে মাত্র অভ্র শুরু করলাম এবং অভ্রর প্রেমে পড়লাম ৷
অভ্রর সাথে আছি ৷
বিজয় শেখা এবং সহজে ব্যবহার করা আমার জন্য এক অসম্ভব। অভ্র তাই আমার মতো অসংখ্য "বিকলাঙ্গদের" একমাত্র সহায়। এতো কমেন্টের পর আমি অভ্রের জয়গান আর নাই গাইলাম। একটা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। অফিসে সবাই ব্যবহার করে "বিজয় বায়ান্নো"। আর আমি অধম আছি অভ্রের সাথে। সমস্যাটা দাঁড়ায় তখনি যখন আমার লেখা ফাইল এর উপর সহকর্মীরা কেউ কাজ করতে চায়। এক্ষেত্রে অভ্র দিয়ে লেখা ফাইল কিভাবে convert করা যায় এই বিষয়ে কেউ কি কোন সাহায্য করতে পারবেন??
সাথে আছি অভ্র'র এবং আগামীতেও থাকবো। এই সফ্টওয়্যারের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা সারা জীবনের।
ভাষা নিয়ে ব্যবসা বন্ধ হোক।সবার জন্য ভাষা হোক উন্মুক্ত।
অভ্র'র জন্য
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অন্নেকদিন পর আবার পরলাম লেখাটা । মেহেদী ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।।
মেহদি ভাই এগিয়ে চলুন, আমরা আছি আপনার পাশে
আমাদের খুব ছোট্ট একটা স্বপ্ন ছিল একটি মুক্তশিক্ষার website করব। সেটা করেছিও www.enlightenedbd.com প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। কিন্তু যদি অভ্র না থাকত, তাহলে হয়ত কোনদিনও সেটা করার চিন্তাও করতাম না, সেই চিন্তা মাথায়ও আসত না। আজ আমাদের pageview থাকে ৩০/৪০ হাজারের মত। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই সেটা ৩০/৪০ লাখ হবে। অভ্রই আমাদেরকে বাংলায় লিখতে শিখিয়েছে, আমাদেরকে লেখক বানিয়েছে, লাখ লাখ বাঙ্গালিকে নিজের ভাষায় লিখতে শিখিয়েছে।আল্লাহর কসম চোখে জল নিয়ে এই কমেন্টটা অভ্র দিয়েই লিখেছি। আল্লাহ তুমি নিজেই সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দাও।
আমাদের খুব ছোট্ট একটা স্বপ্ন ছিল একটি শিক্ষামূলক website করব। সেটা করেছিও www.enlightenedbd.com প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। কিন্তু যদি অভ্র না থাকত, তাহলে হয়ত কোনদিনও সেটা করার চিন্তাও করতাম না, সেই চিন্তা মাথায়ও আসত না। আজ আমাদের pageview থাকে ৩০/৪০ হাজারের মত। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই সেটা ৩০/৪০ লাখ হবে। অভ্রই আমাদেরকে বাংলায় লিখতে শিখিয়েছে, আমাদেরকে লেখক বানিয়েছে, লাখ লাখ বাঙ্গালিকে নিজের ভাষায় লিখতে শিখিয়েছে।আল্লাহর কসম চোখে জল নিয়ে এই কমেন্টটা অভ্র দিয়েই লিখেছি। আল্লাহ তুমি নিজেই সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন