(প্লিজ সুশীল সমাজ। বানানে ভুল ধরবেন না। এই ভুলচুকে কিছু আসে যায় না। আপনারা গাছের খান, তলারও কুড়ান। আপনারা যেই গণতন্ত্র তত্বকে গতকাল হাওয়াই মিঠাই আর আজ চুকা জলপাই মাখিয়ে পরিবেশন করছেন জনগনকে, তার নেপথ্য কারিগর ওই ভুলভালেই বারুদের স্তুপে দেশলাই দিয়েছিল। এই ভুলেই..)
এ এক বোকা যুবকের গল্প। কিংবা খুব এডভেঞ্চারাস কোনো স্বপ্নবাজ।
দিন বদলের নাকি সমাজ বদলের স্বপ্ন! আহ, মেরুন শার্ট কোমরে বেধে, বুকে পিঠে বর্ণমালার কাফন জড়িয়ে লাশ হবার স্বপ্ন। বোকাটা সত্যি লাশ হয়েছিল। গুলিস্তানে নুর হোসেন চত্বরের কাছে একই নামের বোকাটা গুলি খেয়ে মরে গিয়েছিল। তারপর? তারপর অনেক আগুন জ্বললো। স্বৈরাচার নিপাত গেল। গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল (!) বিএনপি এলো। আওয়ামী লিগ এলো। বিএনপি-জামাত এলো। আমরা এখন সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছি।
বোকাটার কি হলো? সেই জীবন্ত পোস্টার! তার গুলিবিদ্ধ ভৎর্সনা কেনো আমাকে তাড়িয়ে বেরায়! আমি তার কি ক্ষতি করেছি! কেনো কানের কাছে ভ্যাজর ভ্যাজর- আমি কেবলই লাশ? কেবলি শহীদ? স্রেফ আরেকজন মৃত মানুষ। আজ আমি সত্যি বলব, গলা বড় করেই বলব। হ ব্যাটা, তুই আরেকটা লাশ। তিরিশ লাখ লাশের রক্ত যখন কেবলি লাল রঙ্গা অতীত (তাও গোনাতে ভুলচুক হতে পারে বলে জানা গেছে)। তখন তুই কোন হরিদাস পাল! তোর কথা তোকেই ফিরাই। তুই কেবলি লাশ। কেবলি আরেকজন শহীদ। যার মৃত্যুতে কিছুই এসে যায় না। ভুল স্বপ্ন দেখে বোকা বনা এক জীবন্ত পোস্টারের ছবি।
মন্তব্য
দুঃখিত, নূর হোসেন।
তার বুকে সাদা হরফে লিখা ছিল
"স্বৈরাচার নিপাত যাক"
আর পিঠে লিখা ছিল
"গণতন্ত্র মুক্তি পাক"।
====
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
বাংলাদেশের সব অকৃতজ্ঞ পলিটিশিয়ান শুয়োরের বাচ্চাদেরকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা উচিত।
নুর হোসেনের আত্মত্যাগের মহিমা কখনোই ম্লান হবে না। সত্যের জয় হবেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
-----------------------------------------
'প্রিয়তম পাতাগুলো ঝরে যাবে মনে ও রাখবেনা
আমি কে ছিলাম,কি ছিলাম--কেন আমি
সংসারী না হয়ে খুব রাগ করে হয়েছি সন্ন্যাসী
হয়েছি হিরন দাহ,হয়েছি বিজন ব্যথা,হয়েছি আগুন'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
- এই লেখাগুলা হাজারদুয়ারীতে দেওন যায় না মিয়া? খালি করেন তাফালিং।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এ আমাদের পাপ।
আমরা বীরেরা আজ আমাদের অভিশাপ দেবে।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। ১৯৮৭র জুলাইতে একদফা ঝড় বয়ে গেছে। নভেম্বরে কিছু হতে যাচ্ছিল সবাই জানতো। সেটা কতটা গভীর সেটা গোড়াতে বোঝা যায়নি। নুর হোসেনের প্রেতই টেনে নামিয়ে ছিল এরশাদকে। সেদিনের মাতারিরা এরশাদের সাথে নির্বাচনী ইটিস পিটিস করেছেন। তাতে নুর হোসেন মরে না।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত
এই রক্ত কোনোদিন পরাভব মানে না!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমি এক রাজাকার বলছি-
১.
একটু ভাবুন-
আমাদের সবার হাতে একটা করে চুড়ি! ফখরুদ্দীন থেকে ইয়াজউদ্দিন , এমনকি গলির ন্যাংটা ছেলেটা সেও একটা চুড়ি পড়ে আছে। তার মা তাকে এই চুড়ি পড়িয়ে দিয়েছে। সে ওটা নিয়েই ঘুরে বেড়ায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে ১৫ কোটি চুড়ি একদিনে বিক্রি হয়ে যাওয়া উচিত। চুড়ি বিক্রেতারাও চুড়ি পড়ে করছেন বিক্রি। দাম রাখছেন একদম কম। দুইটাকার জিনিস দুই টাকাই।
এবার ভাবুন-
কারা বাদ পড়েছেন। একজনও না। একজনও বাদ পড়ার কথা নয়।
এবার বলছি আসল কথা- চুড়ি পড়ার শান-এ-নযুল। আরবি শব্দ। এটা দিয়ে লেখাটাকে পবিত্র করলাম। আসলেকি তাই! বাংলা একাডেমীর বাংলা অভিধানে একটা শব্দ আছে। অবশ্য সেটা অনেকদিন আগের অভিধান। রাজাকার- মানে স্বেচ্ছাসেবক। আরও অনেকগুলো অর্থই আছে। তবুও এই স্বেচ্ছা সেবকদের জন্যই আমাদের এই চুড়ি পড়া। মুক্তিযোদ্ধারাও তো স্বেচ্ছাসেবকই ছিল। তারাও তো দেশের স্বার্থেই গণ্ডগোল (যুদ্ধ) করেছে। গণ্ডগোল শব্দটা এখন আমি সমর্থন করি। সমর্থন করতে বাধ্য। দেশে যখন যুদ্ধাপরাধী নেই তো দেশে কোনোদিন যুদ্ধ হয়েছে সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
তবে আমাদের চুড়ি পড়ার কারণ, যে দেশে কখনো যুদ্ধ হয়নি, সে দেশে যুদ্ধাপরাধী থাকবে এটা কেমন কথা। ওই বাইনচোত(অত্যন্ত সম্মাণ নিয়ে বলছি) এটা কি বললেন। সবাই চুড়ি পড়ছে ওই কথার প্রতিবাদ জানাতেই। ওসব যুদ্ধাপরাধী সংক্রান্ত কথা বলার জন্যই।
আমি এখন একটা চুড়ি পড়ি। না স্টাইল-ফিস্টাইল নয়- লজ্জায়। সত্যি বলছি- কেউ যদি চেক করতে চান, দেখে যেতে পারেন।
২.
গণতন্ত্র এখন পাগলা জগাইদের খপ্পরে! ওসব তন্ত্র-মন্ত্র নিয়ে সবাই পেচাল পাড়ে। আর যারা আত্মত্যাগ করে তাদের একটি দিনের জন্য লাশ থেকে বানিয়ে ফেলি পোস্টার। এই আমাদের চরিত্র।
ঝিনুক থেকে স্ফুটনিক সর্বত্র এখর রাজনীতি। রাজনীতিকরা আমাদের বাপ-আমার দাদা। তাদের কথা শুনবো না তো কার কথা শুনবো। ওদেরকে তো আর শালা বলে গালি দিতে পারি না, জলপাই রঙের পোষাক এখন আমাদের চরিত্র ঢেকে দিয়েছি।
পিয়াল ভাইয়ের এই লেখাটা পড়তে গিয়ে একটা কথা মনে পড়লো। অবশ্য সেটা কিছুদিন আগের। আলী মুজাহিদ নামক এক কুলাঙ্গারের কথা। এই বিষয়টা নিয়ে বিস্তর কথা হয়েছে, হয়েছে বাক যুদ্ধ।
সেদিন আমার এক বন্ধু, কাজ করে ফ্লোরা টেলিকমে। স্মৃতি নাম তার। বললো - এখন যদি আবার আরেকটি যুদ্ধ হয় নিশ্চিন্ত তোরা সবা রাজাকার হবি। প্রগতিতে এখন আর গতি নেই। সৃষ্টিশীলতায় এখন আর শালিনতা নেই। তোরা কেন সেদিন ওই বদজ্জাৎটাকে টুটি চেপে ধরতে পারলি না।
সত্যি, খুব অসহায় মনেহচ্ছিল! একটা মেয়ে যদি এ ধরনের সাহসিকতার কথা এখনো বলতে পারে, এখনও যদি সে টুটি চেপে ধরতে চায়, আমাদের কি করা উচিত?
৩.
আমি টুটি চেপে ধরতে পারিনি। তাই একটা চুড়ি হাতে দিয়ে ঘুরি। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলি- এটা লজ্জার, এটা অপমানের, এটা প্রতিনিয়ত আমি রাজাকার হয়ে উঠছি তার-ই সিমটম!
৪.
ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে করতে হাতে কালার ব্যান্ড পড়ার একটা প্রচলন শুরু হয় ক'বছর আগে। সে হিসেবে বাংলাদেশেও যদি যুদ্ধাপরাধী সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার অভিপ্রায়ে এমন ব্যবস্থা চালু করা যেত! যারা যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি চান, যারা তাদের টুটি চেপে ধরতে চান, তাদের জন্যই হবে- লাল আর সবুজের ব্যান্ড।
*********************************************
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...
রক্তে নেবো প্রতিশোধ...
নতুন মন্তব্য করুন