শিক্ষকদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাত্র পড়ানোটা স্যারের পছন্দ হয়নি। সেটাই বুঝি কাল হয়েছিল ফয়েজ স্যারের। ফয়জুর রহমান। ঘণ্টাখানেক আগে মরহুম হয়েছেন। আমাদের প্রিয় আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রাণ পুরুষ।
ফলাফলের ভিত্তিতে যদি বিচার করা হয়, বাংলাদেশের সেরা স্কুলগুলোর মধ্যে শুরুতেই থাকবে আইডিয়াল হাইস্কুল। আর এর বিবর্তনটা তো নিজের চোখেই দেখা। স্বাধীনতার পর দায়িত্ব নিয়ে স্যার প্রাণপাত করেছেন স্কুলটাকে দাড় করাতে। ১৯৭৮ সালে যখন ভর্তি হই। এখনকার কলাভবনটা শুধুই ফাকা মাঠ। সেখানে গরু-ছাগল চড়ে। আর বিজ্ঞান অনুষদটা একতলা ভবন। আমরা সেকেন্ডারি বৃত্তি পরীক্ষার কোচিং ক্লাশ করেছি বেড়ার ঘরে। ক্লাশ টেনে এসে পাকা দোতলায় ক্লাস করার সুযোগ হয়েছিলো।
১৯৮৩ সালে ক্যাডেট কলেজগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠে এসেছিলো আইডিয়াল । বিজ্ঞান বিভাগে ২৮জন স্টারমার্ক। স্ট্যান্ড দুজন। কমার্সে প্রথম ১০জনের মধ্যে ৯জন। আর্টসে দুজন। সেটা ছিলো সূচনা। এর চেয়ে খারাপ রেজাল্ট আইডিয়াল স্কুল কখনোই করেনি। অন্যভাবে বললে, পেছনে তাকাতে হয়নি আর।
আইডিয়াল স্কুল বিখ্যাত, তার মানে স্যারদেরও রমরমা। টিউশনি মানেই লাখ-লাখ। আমি আমার কোনো শিক্ষককে ছোট না করেই বলছি, ফয়েজ স্যার এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর শুরু হয়ে যায় রাজনীতি। আমাদের প্রিয় স্যারকে ছাড়তে হয় আইডিয়াল স্কুল তহবিল তছরুপের মতো অপমানকর গ্লানি নিয়ে। স্যার ভেঙ্গে পড়েননি। তার হাতে গড়ে উঠেছে ফয়জুর রহমান আইডিয়াল স্কুল। খুব ভালো না হলেও গড়পড়তা ভালো রেজাল্ট।
গত ১ মার্চ একটা প্রাক্তন ছাত্র সম্মেলন হয়েছিলো স্কুলের। সেদিন খুব আবেগ নিয়ে সচলায়তনে একটা লেখা লিখেছিলাম যা কম্পুভূতে খেয়ে নিয়েছিলো। এটা লিখলাম তাৎক্ষণিক এক শোক থেকে। প্রার্থনা করবেন স্বর্গ বলে সত্যি যদি কিছু থাকে সেখানেই যেন অধিষ্ঠান হয় এই কারিগরের। মানুষ গড়ার এক জটিল কারিগরের।
মন্তব্য
যেখানেই যান, ভালো থাকুন।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
কষ্ট পেলাম। ওনাকে পেয়েছিলাম তিন মাসের জন্য। মরহুম স্যারের আত্নার শান্তি কামনা করি।
বামুনের দেশে বটবৃক্ষরা উপড়ে যায় শেকড়সুদ্ধ । তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ।
কমরেড পিয়াল, বেঁচেবর্তে থাকুন ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
স্যালুট...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- ছবিটার থাম্বনেইল এমন হয়ে গেলো কেনো?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছবি তো আগে ঠিকই ছিলো ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
শিক্ষককে শ্রদ্ধা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ফয়জুর রহমান স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা এই জন্য যে প্রিয় মানুষ প্রিয় শিক্ষকে নিয়ে সচলায়তনে লেখার জন্য। শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা বোধ ইদানিং কালের শিক্ষার্থীদের নেই বললেই চলে। আমরা আগে এমন গুরু জনদের পা ছুয়ে সালাম করতাম। আর এযুগের পোলাপানরা নাকি শিক্ষকদের গায়েও হাত তুলে। আমার বিশ্বাস আপনার এই শ্রদ্ধা বোধের মেসেজটি এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছাবে।
--------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
প্রথমেই ফয়জুর রহমান স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা।
প্রিয় তৃতীয় নয়ন, কিঞ্চিত দ্বিমত পোষন করতে চাই আপনার বক্তব্যর সাথে। আমাদের সবার জীবনে এমন অনেক শিক্ষক এসেছেন যাঁদের দেখলে আমরা আমৃত্যু আভূমি প্রণতঃ হব। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আমাদেরকে যথেষ্ঠ শারিরীক শাস্তিও দিয়েছেন। কিন্তু তাতে পিতার স্নেহই ছিল। তাই আমাদের কাছে সেসব প্রহারের স্মৃতি তাঁদের ভালোবাসা আর সদিচ্ছার কাছে ম্লান হয়ে গেছে।
আবার আমরা এমন শিক্ষকও পেয়েছি যাঁরা শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রতিপক্ষ বা অর্থ উপার্জনের উপায় ছাড়া কিছু ভাবতে পারেন না। যাঁরা বলেন, "আমি তোমাকে দেখে নেবো কিভাবে পাশ করো", যাঁরা কন্যাতুল্য ছাত্রীর গায়ে হাত দেন বা সুযোগ পেলে ধর্ষন করেন, যাঁরা পরীক্ষার্থীর হাতে কোরবানীর ঈদের আগে দুই হাজার টাকা দিয়ে বলেন, "আমারতো সময় নেই তুমি একটা ভালো দেখে গরু কিনে দাওতো", তাদের প্রতি কোন সুস্থ্য-স্বাভাবিক মানুষের শ্রদ্ধা থাকতে পারে না।
আমাদের মনে রাখতে হবে পেশা হিসেবে শিক্ষকতা মহান মনে করা হলেও বহু যুগ আগেই তা আর দশটা সাধারণ পেশাতে পরিনত হয়েছে। শিক্ষকরাও আর দশটা সাধারণ মানুষের মত। তাই তাঁরাও দোষে-গুণে মিলিয়ে সাধারণ মানুষ। পেশা হিসেবে আপনার সাংবাদিকতার মহত্ত্ব কোন বিচারে কম?
সমাজে 'ব্ল্যাক শীপ' সবসময়ই ছিল, তাই ছাত্র নামের কলঙ্করা এযুগে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কেউ নয়। আগে পাবলিক পরীক্ষায় দু'-চার জন ছাত্র নকলের দায়ে বহিষ্কৃত হত। আর এখন বিশটা ছাত্রের সাথে পাঁচটা শিক্ষকও নকলে সহায়তার জন্য বহিষ্কৃত হন।
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
যেন অনেক ভাল থাকেন তিনি।
--------------------------------------------------------
ধন্যবাদ ছবিটা ঠিক করে দেয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে যারা সহানুভূতি জানিয়েছেন
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
শ্রদ্ধা !
সকালে স্কুলের গ্রুপমেইলে জানলাম .... একজন মহীরুহের প্রস্থান হলো ....হেডস্যারের মতো নিয়মনীতির প্রতি এরকম অটল মানুষ আমি খুব কম দেখেছি
স্যারের পরপারে নতুন জীবন অবশ্যই সুখের হবে দোয়া করি -- শ্রদ্ধা জানাই
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমি স্যারকে হেডস্যার হিসাবে পেয়েছিলাম মাত্র ২ বছর ... মুগ্ধ হয়েছিলাম ওনার সৌম্য, অসাধারণ ব্যক্তিত্যে ... অ্যাসেম্বলিতে দেয়া ছোট ছোট ভাষণে । এরপরেই তো অন্যেরা ভেজাল করে তাকে সরিয়ে দিল । আজকের আইডিয়াল গড়ে তুলেছেন তিনিই ... সেই ১৯৭০ থেকে শুরু করে ১৯৯৬/৯৭ পর্যন্ত ... ছনের ঘর থেকে ৫ তালা দালান, কলেজ পর্যন্ত ।
গভীর শ্রদ্ধা জানাই ওনাকে । এরকম মানুষ আমাদের অনেক দরকার ।
শ্রদ্ধা
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
শ্রদ্ধা জানাই।
নতুন মন্তব্য করুন