গত বৃহস্পতিবার সকালে আমাদেরকে শেরাটনে একটা সেমিনারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সারাদিনের সেমিনার, হাতে গোনা কিছু অতিথি ছিলেন, আলোচনা/বক্তৃতাতে ছিলেন, ভারত আর বাংলাদেশের মার্কেটিং/রিসার্চ/মিডিয়ার সাথে জড়িত কয়েকজন খ্যাতনামা ব্যক্তি।
সেখানে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি, আমার ছোটোবেলার খুব প্রিয় একজন নাট্যশিল্পী বললেন, তিনি গ্লোবালাইজেশনের বিপক্ষে। কেননা এখনকার উন্নত বিশ্বের ভবিষ্যতের প্রজন্মগুলি, কখনও আর তাদের অতীত প্রজন্মগুলির চেয়ে ভালো থাকবেনা, বরং খারাপ আছে,এবং ভবিষ্যতে আরও খারাপ হবে।
কিন্তু আমাদের দেশে, আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি, যে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, অতীতের প্রজন্মের চেয়ে অনেক ভালো থাকবে। তাই ওরা চাচ্ছে আমাদের দেশে এসে ব্যবসা করতে, আমাদের ব্যবসাগুলিতে ওদের নিজেদের লোককে ম্যানেজার হিসেবে বসাতে।
এই পর্যন্ত কথাগুলো খুব ভালো লাগছিলো শুনতে। কিন্তু এর পর পরই ধাক্কাটা খেলাম।
গ্লোবালাইজেশনের অনেক নিন্দা মন্দ করেই তিনি বলতে শুরু করলেন, তিনি মাল্টিন্যাশনালিজমের পক্ষে। এর জন্য একটাই কারণ দেখালেন তিনি। মাল্টিন্যাশনালিজম, সকল দেশকে সমান সম্মান দেয়, আর এটা তাঁর খুব ভালো লাগে।
আমার মনে একটাই প্রশ্ন এসেছিলো, মাল্টিন্যাশনালগুলি কি ওদের লাভের টাকা হোম অফিসে নিয়ে যায় না? কয় টাকা ওরা আমাদেরকে বেতন দেয়, আর কতো টাকা নিজেদের দেশে নিয়ে যায়?
কিন্তু প্রশ্নোত্তর পর্ব পর্যন্ত তিনি থাকতে পারলেননা দেখে আর কথাটা জিজ্ঞেস করা হলো না।
চরম কনফিউসড হয়ে বাড়ি ফিরলাম। ভাই কেউ কি দয়া করে আমার কনফিউশন দূর করবেন, আরেকটু বিস্তারিত ব্যখ্যা করে, কেন মাল্টিন্যাশনালিজম, গ্লোবালাইজেশনের চাইতে ভালো?
মন্তব্য
আসলে সবকিছুর ভালোমন্দই বোধহয় নির্ভর করে পারস্পরিকতার ওপরে।
উদাহরণ দিই, যৎসামান্য বীমার বিনিময়ে মুজে গিমে আমাদের যাদুঘর ঝেড়েমুছে আমাদের অমূল্য প্রত্নসম্পদ ফ্রান্সে নিয়ে গেছে প্রদর্শনীর জন্যে (এতে নাকি আমাদেরই প্রেস্টিজ বাড়বে, অ্যানাদার ফেদার আপ আওয়ার আর্স ... ), এই প্রত্নসম্পদের সাথে যারা গিয়েছিলেন তাদের ভিসা বাতিল করে দেয়া হয়েছে প্রত্নসম্পদ মুজে গিমের হাতে পড়া মাত্র, এই গ্যাঞ্জামে পড়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আমাদের একজন মেধাবী কূটনীতিক।
এর উল্টোটা কি ঘটা সম্ভব? আমরা কি মুজে গিমে থেকে সস্তা বীমায় বাংলাদেশে কোন প্রত্নসম্পদ এনে প্রদর্শন করতে পারবো? আমরা কি পারবো ফরাসী কর্তাদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাদের নিজস্ব দূতাবাসে আশ্রয় নিতে বাধ্য করতে? আমরা কি পারবো চাপে ফেলে একজন ফরাসী কূটনীতিকের মৃত্যুর কারণ হতে?
পারবো না।
যদি না পারি, তাহলে আর পারস্পরিকতা বজায় থাকছে না। অতএব এই বালের খাতিরের দরকার আমাদের নাই।
মাল্টিন্যাশনালিজমের বহু ভালো দিক আছে। কিন্তু সেখানে পারস্পরিকতার চর্চা হোক। এক লাখের ওপরে ভারতীয় কাজ করে বাংলাদেশে, বিভিন্ন সেক্টরে। ফ্যাব্রিক ম্যানুফ্যাকচারাররা এখনও পাকিস্তানী ডায়িং এক্সপার্টদের ওপর ভরসা করে আছেন। চীনা, কোরীয়, থাই, সবাই কাজ করে বাংলাদেশে। আমরাও চাই, আমাদের স্কিল্ড লোকেরা এইসব দেশে গিয়ে কাজ করবে। যেদিন সমানে সমান হবে, সেদিন মাল্টিন্যাশনালিজমের পক্ষে আমরা জয়গান গাইবো। তার একদিন আগেও না।
দেশটার পাছার কাপড় তুলে কাঠি ঢোকানোর জন্যে দুইদিন পর কনফারেন্স করে নিজের মাবাপকে বেচে দেয়ার লোকও মনে হয় পাওয়া যাবে। আই অ্যাম গেটিং সিকার বাই এভরি টিক অব দ্য ক্লক। বেশ্যায় ভরে যাচ্ছে দেশ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
দিনমজুর ছদ্মনামের একজন ব্লগারের কিছু লেখা অনেক আগে সচলায়তনে পড়েছিলাম। সেই আলোচনা থেকে মাল্টিন্যাশনাল স্পেশালি মোবাইল কোম্পানীগুলির কারণে আমাদের কী লাভ (!!) তার একটা চমৎকার ধারণা পেয়েছিলাম। সেটা খুঁজে পেলে পড়ে দেখতে পারেন।
বাদ বাকি আলোচনা পরে হবে, আপাতত ক্লাসের দিকে ছুটি।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
গ্লোবালাইজেশন আর মাল্টিন্যাশনালইজম- দুটো কি একই মুদ্রার এ-পিঠ ও-পিঠ নয়? তাহলে প্রভাবশালী ব্যক্তিটি এই কথা ক্যানো বলেন!
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
গ্লোবালাইজেশন শব্দটা আমরা নতুন বললেও প্রক্রিযাটা কিন্তু মানবজাতির প্রায় শুরু থেকেই আছে
মোটেই নতুন কিছু না
গ্লোবালাইজেশনের মূল কাজ হলো জাতি থেকে জাতিতে কিছু কমননেস তৈরি করা
অর্থনীতি- সংস্কৃতি-রাজনীতি এবং অভ্যাসে
এটা মূলত কোনো জাতির পুরোনো সিস্টেমের উপর নতুন সিস্টেম রিপ্লেস করে তাকে অন্যদের সাথে কমন করে তোলে
আমাদের ভাষা- রাজনীতি-অর্থনীতির অনেক কিছুই ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ের অন্যদের মিশন থেকে নেয়া
কিন্তু যখন গ্লোবের সাইজ যতটুকু গ্লোবালাইজেনশেনর মাত্রাও হয় ঠিক ততটুকু
যেহেতু এখন গ্লোবের সাইজ প্রায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে সেহেতু গ্লোবালাইজেশনের সাইজও বড়ো
০২
চাই বা না চাই গ্লোবালাইজ সবাইকে হতেই হয়েছে
হতেই হবে
০৩
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো কোথাও যাবার উদ্দেশ্য একেবারে পরিষ্কার
এক টাকা খাটিয়ে সে দুই টাকা নেবে
যেখানে টাকাটা খাটাচ্ছে সেখান থেকে যদি কোনো শর্ত না থাকে তাহলে সে মূলত নিতেই থাকবে
নিতে নিতে খালি করে দেবে
এটাই তার পলিসি এবং একেবারে পরিষ্কার হিসেব নিকেশ
কিন্তু সেখান থেকেও লাভ বের করা যায় যদি দেশের পলিসি (যেখানে টাকাটা খাটানো হচ্ছে) ঠিকঠাক মতো করা যায়
একটা কোম্পানি এসে প্রথমে কিছু টাকা ইনভেস্ট করে
আর কিছু টাকা রাখে মেইনটেনেন্স খাতে
(যার মধ্যে বেতন টেতনগুলো থাকে)
যদি দেশের পলিসি একেবারে উদার হয় তখন দেখা যায় স্টাফ রিক্রুট করার ক্ষেত্রে সে লোক নিয়ে এসছে তার নিরে দেশ থেকে। তার মানে প্রতিমাসে বেতনের টাকার একটা বড়ো অংশও চলে যাচ্ছে তার দেশে মানে ওই টাকাটা সে বাংলাদেশে রাখছে না। কিন্তু সিঙ্গাপুরের পলিসি যাদি দেখেন তাহলে দেখবেন ওখানে পার্সেন্টেজ করা আছে। একটা কোম্পানি বেতনের কতটাকা সিঙ্গাপুরে খরচ করতে হবে এবং কতটাকার স্টাফ বাইরে থেকে আনাতে পারবে
ভারতেও এরকম কিছু পলিসি আছে। এই পলিসির ফলে সরকার সরাসরি লাভাবান না হলেও একটা বিশাল অংশের জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হয় যা আলটিমেটলি অর্থনীতিরই পজিটিভ দিক
কিন্তু বাংলাদেশে ওরকম কিছু নেই
ফলে বেতনের টাকাগুলোও চলে যায় বাইরে
০৪
কোনো কোম্পানি টাকা খাটাবে লাভ করার জন্য
এটা একেবারে পরিষ্কার
কিন্তু কতদিন
সেইখানে আছে লাভক্ষতির একটা হিসেব
ধরা যাক একটা কোম্পানি ১০০টাকা খাটিয়ে তার মূলধন তুলতে লাগবে দশ বছর
তাহলে দশ বছর পরে সে আর কোনো টাকা খাটাবে না। শুধুই লাভ গুণবে
যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে সেই কোম্পানি ১০ বছর পরে শুধুই টাকা নিয়ে যাবে এই দেশ থেকে
তাহলে কী হতে পারি পলিসি?
এখানে পলিসিগুলো হয় ওপেন মার্কেটে শেয়ার ছাড়া
কোনো কোনো ক্ষেত্রে শর্ত হয় শুরুর দিকেই একটা পার্সেন্টেজ দেশের শেয়ার নেয়া
ধরা যাক ১০% শেয়ার দেশের আর ৯০% শেয়ার বিদেশের
তাতে প্রতি বছর ১০% লভ্যাংশ দেশেই থাকছে
আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে হতে পারে এমন যে কোম্পানির মূলধন উঠে আসার পরে দেশের বাজারে ৬০% বা ৯০% শেয়ার ছাড়তে হবে
তাতে দেশের যে লাভ হয় তা হলো দেশের ভেতরে একটা চালু কোম্পানি যেমন তৈরি হয়ে গেলো তেমনি দেশের টাকা দেশেই থাকল
০৫
গ্রামীণ ফোন যখন প্রতি বছর তাদের লভ্যাংশ দেশে পাঠায় তখন বাংলাদেশের ডলার বাজার ফাকা হয়ে যায়
এর কারণ সব টাকা সে দেশেই পাঠায়
সাম্প্রতিক কালে গ্রামীণের শেয়ার দেশে ছাড়া নিয়ে কিছু উদ্যোগের কথা শুনছিলাম
এগুলো কার্যকর না হলে এই কোম্পানিগুলো কিন্তু বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল একেবারে শূণ্য করে দেবে
০৬
ভারতে কিন্তু এরকম পলিসি আছে
এমনকি বৃটিশ কাউন্সিলের মতো প্রতিষ্ঠান যখন ভারতে টাকা নিয়ে লেঙ্গুয়েজ কোর্স করায় তখনও ভারত শর্ত দিয়ে দেয় যে ৮০% টিচার নিতে হবে ভারত থেকে
তার মানে ২০টা স্টুডেন্ট যে টাকা দেবে সেই টাকাগুলো অন্তত ভারতেই থাকবে আর কযেকজন ভারতীয় কাজ পাবে
কিন্ত বাংলাদেশের মাল্টিন্যাশনাল পলিসি এখনও পেতে দেয়া পলিসি
সব খুলে দিলাম
আসেন ভাই আসেন টাইপের...
হিমু ভাই আর লীলেন ভাইয়ের সাথে একমত। মাল্টিন্যাশনালিজমের অনেক ভালো দিক আছে, কিন্তু সবার আগে দরকার কার্যকর একটা পলিসি। সেটা না হলে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলো সব টাকা নিজের দেশেই পাঠাবে, আল্টিমেটলি আমাদের কোন লাভ হবে না। মাল্টিন্যাশনাল টেলিকম কোম্পানীতে আছি জন্য অন্তত এটুকু বলতে পারি, সরকার যখন বিভিন্ন ভেন্ডরকে এখানে বিজনেস করার অনুমতি দেয়, একটা শর্ত দিতে পারত যে প্রত্যেক ভেন্ডরকে এখানে তাদের একটা আরএন্ডডি (রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট) সেন্টার খুলতে হবে। তাহলে আজ থেকে ১৫/২০ বছর পর আমাদের দেশ প্রযুক্তিতে নিশ্চিতভাবেই অনেক স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারত। অথচ এখন যেটা দেখা যায়, বেশিরভাগ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলোতেই বেতনের নির্দিষ্ট কোন স্কেল নেই। নেই বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। সরকার এখনো চোখ-মুখ বুজে বসে থাকলে আখেরে কোন লাভই হবে না আমাদের।
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
এ এক দূরারোগ্য কনফিউশন।
মাল্টিন্যাশনালিজম এবং গ্লোবালাইজেশন, এই দুই এলিট ডাকাতের মধ্যে কে ভালো, আমাদের নানারকম ব্যাখ্যা শুনে কোনো একরৈখিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা যাবে না।
#
খেয়াল করুন, বিশ্বায়ন আন্তর্জাতিকীকরণ নয়।
বিশ্বায়ন (গ্লোবালাইজেশন) শব্দটি সুভাষিত, ইউফেমাইজ্ড। বিপণনে পটু কর্মকর্তা বা এমএনসি বণিকগণ একে "আন্তর্জাতিকীকরণ" অর্থে ব্যবহার করেন। শব্দটির আড়ালে লুকিয়ে থাকে বহুজাতিক কোম্পানির নগ্ন স্বার্থের ধারণা।
বহুজাতিক কর্পোরেট কোম্পানির স্বার্থ কী? প্রথমত এবং সর্বত্র, মুনাফা এবং মুনাফা তৈরি। বাজার ধরতে এরা নিয়ত কৌশল বদলায়। আদতে তারা একটি অভিন্ন সংস্কৃতির ছাতার তলায় নিয়ে এসে পণ্য "কিনতে" বলে। এ সংস্কৃতির নাম ভোগ-সংস্কৃতি। কেনো কেনো কেনো। অর্থাৎ বিক্রয়যোগ্য সব পণ্যই আজ আমার চাহিদা তালিকায় ঢুকে যাচ্ছে। আপনার-আমার আসল পরিচয় : ভোক্তা।
#
আপনার এই প্রশ্নে কেউ ভাবতে পারেন, বহুজাতিক কর্পোরেট কোম্পানির মালিকরা বোধহয় খুব দেশপ্রেমী। যেহেতু অন্য দেশে পুঁজি খাটিয়ে নিজ দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছেন। কর্পোরেট পুঁজির কাছে যেমন দেশ টেশ বলে কিছু নেই, তেমন মালিকদেরও কোনো 'নিজেদের দেশ' নেই। এরা কেবলই মুনাফার টাকায় আরও মুনাফা উৎপাদনের ব্যবস্থা করে।
দেশ, এদের কাছে, একটি ভূখণ্ড যার বাজারমূল্য নির্ধারণ করা যায়।
#
বর্তমান বাস্তবতা খেয়াল করুন।
যতই পলিসি বদল হোক, সরকার কিন্তু বরাবর মাল্টিন্যাশনালের অনূকূলেই থাকবে। কারণ তার ভয় আছে। ভয় বৈদেশিক বিনিয়োগ হারানোর। অন্যদিকে শহুরে ব্লগারটি কোনো প্রতিবাদ করবেন না। বড়জোর বেনামে বিপ্লবী মন্তব্য লিখে আত্মতৃপ্তি পাবেন। তার ভয় অস্থায়ী কর্পোরেট চাকুরিটি হারানোর; বা ব্যবসায় ক্ষতি হবার।
দুর্বল রাষ্ট্রের "সরকার" ধারণাও বদলাচ্ছে। কর্পোরেটের সাথে সমঝোতা না করে সরকার খোদ কর্পোরেটের হাতেই সঁপেছে তার দায়িত্ব। ফলে সমসাময়িক সমীকরণ : মাল্টিন্যাশনাল = সরকার।
এবার গ্রাফ আঁকা যাক। কর্পোরেট নির্ভরশীলতার সাথে আমাদের মেরুদণ্ডহীনতার গ্রাফ। একটি উর্দ্ধগামী তীর্যকরেখা পাওয়া যাবে। x = y।
নতুন মন্তব্য করুন