মানুষ স্বাধীন। কিন্তু কতোটুকু? তার নিজ বলয়ের মধ্যে যতোক্ষণ আরেকটি জীবন্ত সত্ত্বা না আসছে, ততোক্ষণ সে পুরোপুরি স্বাধীন। কিন্তু যখনই আরেকটি সপ্রাণ, হোক না সেটি একটি মাছি কিংবা আরশোলা বা আরেকটি মানুষ, ওই মানুষের বলয়ের মধ্যে চলে আসে, তখন তার নিরংকুশ স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত হয় আরেক স্বাধীনতার ছোঁয়া, যৌথ স্বাধীনতা- ঠিক যেনো এই চিত্রটির গাঢ় অংশের মতো। ওই গাঢ় অংশের যৌথ স্বাধীনতার জন্যই মানুষের প্রাণ ব্যাকুল হয় বারবার। কিন্তু মানুষ বরাবরই স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতাকে গুলিয়ে ফেলে। ফলে যৌথ স্বাধীনতাকে যেমন বুঝতে পারে না, তেমনি তার অযৌক্তিক ও নির্বোধ আচরণ যৌথ স্বাধীনতাকে করে তুলে দুর্বিসহ। আর মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব, তাই সে প্রতিনিয়ত বাস করে যৌথ স্বাধীনতার মধ্যেই- ব্যক্তির নিরংকুশ স্বাধীনতা প্রবল কেবল টয়লেটে ও ব্যাচেলর হলে বিছানায়।
হিন্দুদের দেবী সরস্বতীকে বিদ্যার দেবী বলা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, বিদ্যাদেবীর চাইতে সরস্বতীর মূল পরিচয় তিনি বাকদেবী। মানুষের প্রথমে বাক, পরে বিদ্যা। তিনি মানুষকে প্রথমে বাক দেন, পরে দেন বিদ্যা। ঈশ্বর জানতেন, বাকের সাথে বিদ্যার সংযোগ না ঘটলে বাক স্বাধীনতা পরিণত হতে পারে বকবকানির স্বাধীনতায়।
এই পৃথিবীতে আমাদের কারোরই বোধহয় নিরঙ্কুশ বাকস্বাধীনতা নেই; কিন্তু বকবকানির স্বাধীনতা রয়েছে প্রচুর। অবশ্য তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমরা অনেকেই যে বকবকানির স্বাধীনতাকে বাকস্বাধীনতা মনে করে বসে আছি- তার কী হবে?
মন্তব্য
ঠিক তার উল্টো। বাকস্বাধীনতা নিরঙ্কুশ, বকবকানির স্বাধীনতা সীমিত। নীতিগত ক্ষেত্রে।
কিন্তু আমরা ভোগ করি বিপরীতভাবে। কেননা আমাদের অধিকাংশেরই বাকস্বাধীনতার যোগ্যতাই নেই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি কথাগুলো বলেছি বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে। নীতিগত বিষয়কে কেন্দ্র করে নয়।
তবে আমি আপনার কথার শেষ লাইনটির সাথে একমত। ধন্যবাদ।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
ঈশ্বরের পৃথিবী বলেন আর মানুষের পৃথিবী বলেন, "মাইট ইজ রাইট" ফর্মূলার ওপরেই সবকিছু প্রতিষ্ঠিত। 'বাকশক্তি' মাইটের অন্তর্গত। সবাই চায় তার 'মাইটটাই প্রতিষ্ঠিত হোক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
জ্বী জনাব - মিশেল ফুকো ভাই এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টেক্সটকে যারা গুরুত্ব দিই না, তাদের কাছে এই কথার গুরুত্ব কম।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
উদ্ধৃতি
এই পৃথিবীতে আমাদের কারোরই বোধহয় নিরঙ্কুশ বাকস্বাধীনতা নেই;...
ঠিক! তাইলে পৃথিবীর যাবতীয় মডুদের নির্বাসনে পাঠানো হোক।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
... হে হে মডুদের নির্বাসনে পাঠানোর ব্যাপারে আমি পুরোপুরি একমত। হে হে হে... (একমতের ইমোটিকন কই?)
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
মনে হয় ই উপযুক্ত।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আপনি যতোক্ষণ না হেলমেট খুলবেন, ততোক্ষণ কোলাকুলিতে আমি নাই
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
নতুন মন্তব্য করুন