কলিকালের এই পৃথিবীটা অবশেষে ছাড়তেই হলো।
হুমায়ূন আজাদের কবিতার লাইন 'মানুষের সঙ্গ ছাড়া আর সবকিছুই ভালো লাগে' ক’দিন ধরেই মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিলো। প্রথমে মনে হয়েছিলো লাইনটি নিয়ে কিছু চিন্তাভাবনা করার একটি মহান দায়িত্ব প্রয়াত আজাদ সাহেব উপর থেকে আমার ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। চিন্তাটা ভালোই লেগেছিলো। এনজিওতে কাজ করা একজনের মাথার মধ্যে যখন এ ধরনের থিমেটিক চিন্তাভাবনার দায়িত্ব এসে পড়ে, তখন নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ না মনে করার কোন কারণ নেই। কিন্তু অত্যন্ত মনোবেদনার সঙ্গে ক’দিনের মধ্যেই লক্ষ করলাম, হুমায়ূন আজাদ আমাকে নিয়ে মশকরা করছেন। থিমেটিক চিন্তাভাবনা ফালতু কথা, লাইনটি নিয়ে আমার মধ্যে মাথাব্যথা সৃষ্টি করাই ছিলো তার উদ্দেশ্য। নিজে বেঁচে থাকতে হয়তো মানুষের সঙ্গ নিয়ে তার বড়সড় মাথাব্যথা ছিলো, মরার পর কাউকে না কাউকে তো সেটা থাকতে হবে, সেটা ভেবেই তিনি তার নিজের সৃষ্টি করা দায়িত্বটি আমার ওপর চাপিয়ে দিলেন। এটা ঠিক, তাঁর লেখা আমি বেশ পছন্দ করি, কিন্তু তাই বলে তো তিনি আমার ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারেন না! অথবা এটাও হতে পারে, পরলোকের যে জায়গাতে তিনি আছেন (আমি জানি না সেটি কোথায়, তবে খুব সম্ভব বেহেশত কিংবা নরকের যে কোনোটিতে তিনি আছেন। মাঝামাঝি কোথাও যে নেই সে ব্যাপারে নিশ্চিত।) সেখানে বোধহয় সঙ্গীর অভাব পড়েছে। লাইনটি মাথায় ঢুকলে শুরু হবে মাথাব্যথা, মাথাব্যথা হলে ডাক্তার, ডাক্তারের ভুল ওষুধ, এবং সবশেষে অবধারিতভাবেই মিস্টার আজাদের বর্তমান আবাসিক এলাকায় যেতে হবে। মরেছি বটে, কিন্তু বলতে চাই, জনাব আজাদের মনে যদি এ খায়েশ থেকে থাকে, এবং এ কারণে যদি মরে থাকি, তাহলে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বলছি বটে, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, কিন্তু কোন জায়গা থেকে যে জানাচ্ছি তা তো আমি নিজেই জানি না। জায়গাটাকে কেমন যেনো প্লুটো গ্রহের মতো মনে হচ্ছে। পৃথিবীর মানুষ যুক্তি-তর্ক করে প্লুটোকে গ্রহরাজ্য থেকে বিদায় দেয়ার পর মহা-শূন্যের একমাত্র মালিক গড অলমাইটি বোধহয় প্লুটোতেই নতুন একটি সেন্টার খুলেছেন। এটা যে বেহেশত কিংবা নরক কোনোটিই নয়, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কারণ এখানে হুমায়ূন আজাদ নেই। তিনি থাকলে এটি হতো হয় বেহেশত, নয় নরক। বেহেশত আমার জন্য, নরক তেনাদের জন্য। তেনাদেরও কাউকে দেখছি না। 'ঢাকা মানে ঢাকা, ঢাকা মানে নারায়ণগঞ্জ-জয়দেবপুর নয়'- আমি পরলোকের ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-জয়দেবপুর কোথায় যে আছি, গড অলমাইটি নোজ...
আগেই বলেছি, আমি মরেছি হুমায়ূন আজাদের কারণে। সকালবেলায় অফিসে গিয়ে ডায়রিতে বড় করে মানুষের সঙ্গ ছাড়া কোন্ কোন্ প্রাণীর সঙ্গ ভালো লাগে সেগুলোর লিস্ট করে শান্তি পেলাম। দুপুরে ক্যান্টিনে কোনো মানুষের সঙ্গ নিয়ে আহার করি নি। বেশ চমৎকার লেগেছিলো সেটি। বিকেলে অফিসের গাড়িতে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নামার পরই ওষুধের দোকান থেকে ডিজোপ্যান, রিভোটভিল, ডরমিকাম, ড্যানক্সিট কিনলাম ১০টি করে। পরিচিত দোকানির চোখে অপরিচিত বিস্ময়বোধক ও পরিচিত প্রশ্নবোধক চাহনি দেখে হুমায়ূন আজাদেরই কবিতার লাইন খুঁজছিলাম মনে মনে। হঠাৎ করে বলেই ফেললাম, 'ভাই, আপনার সঙ্গ আমার খুব ভালো লাগে।' আমি জানতাম, জনাব আজাদের নাম নিলে কোন সমস্যা হবে না, হলোও না। ৪০টি ওষুধ নিয়ে মাছের শুটকি কিনে বাসায় গিয়ে রান্না করে ভাত খেয়ে ওষুধগুলো গিলে বিছানায় যখন শুলাম, কারেন্ট চলে গেলো। মনে হলো, বা! অন্ধকারময় জগতে হুমায়ূন আজাদের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ কত সহজ!
ওষুধের ফল যে কত তীব্র তা তো বুঝতেই পারছেন আপনারা। এই প্লুটো গ্রহে কাউকে খুঁজে না পেয়ে যখন ভাবছিলাম পৃথিবীতে কী হচ্ছে তা দেখা যায় কিনা একটু চেষ্টা করি, সেই মুহূর্তে একটি বড় চোঙা, তার ওপর লেন্স বসানো দূরবীন হাজির। আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, বিষয়টি মোটেই কাকতালীয় নয়।
যাদেরকে নরক কিংবা বেহেশতের কোথায় নেয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না, তাদেরকে কিছুক্ষণের জন্য পৃথিবীর রূপসুধা উপভোগের সুযোগ দেয়া হয় এই দূরবীনের মাধ্যমে। গুগল আর্থে আপনি যেভাবে কম্পিউটারেই আপনার বাসার ছাদ দেখতে পারেন, তার চেয়েও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি সবকিছু। রাজপথে মিছিল হচ্ছে, নেতা নয়াপল্টনে ভাষণ দিচ্ছেন, সিপিবি লাল পতাকা তৈরি করছে, নির্বাচন কমিশন... একটু অতীতকালের দৃশ্য মনে হচ্ছে!
আমি একটু আগেই বলেছি ওষুধের ফল কত যে তীব্র! তা না হলে যে কথাটি বলতে চাই সেটি না বলেই এই পর্যন্ত চলে এলাম। আমি আসলে বলতে চাচ্ছি, এই দূরবীন দিয়ে আমি দেখার চেষ্টা করছি আমার মৃত্যুর পর কে কী ভাবছে আমাকে নিয়ে। 'আমি জানতে চাই আমার মৃত্যুর পর কী হবে?' ভালো কথা, পৃথিবীর কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার তৈরি করেছেন যেটি মানুষের চিন্তাকে কম্পিউটারের পর্দায় সরাসরি তুলে দিতে পারে। এখানেও তেমন একটি যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি। আমি যাকে ঘিরে দূরবীন ফোকাস করবো, সে বা তিনি আমাকে নিয়ে কী ভাবছেন, তা পরিষ্কার লেখা ভাসবে এই যন্ত্রে। কে যেনো মাথার মধ্যে বলে দিচ্ছে, পৃথিবীবাসী যেদিন প্লুটো গ্রহকে পরিত্যাগ করেছে, সেদিনই প্লুটোবাসী যন্ত্রটি গড অলমাইটিকে উপহার দিয়েছে। গুড গড!
দূরবীণটি যে বেশ কাজের বুঝাই যাচ্ছে। আমার অফিসের কলিগদের দিকে ফোকাস করা মাত্রই যন্ত্রটির স্ক্রিনে লেখা ভাসলো। সাদিক ও আমি একসঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরি করছিলাম। মাঝপথে মরে যাওয়াতে বেচারার ঘাড়ে সব ঝামেলা গিয়ে চেপেছে। মানুষের সঙ্গ ছাড়া যে প্রাণীগুলোর সঙ্গ আমার ভালো লাগে, তার একটি সঙ্গে আমাকে তুলনা করে এবং অন্য একটির সন্তান বানিয়ে আমাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে সাদিক। পাশে বসা কবিতার ভাবনা সেই তুলনায় নীরস। আমার মধ্যে যে অমিত সম্ভাবনা সে দেখতে পেয়েছিলো, সেটি নিয়ে মায়াকান্না করার কোনো মানে আছে কবিতা? শোকাবহ পরিবেশের মধ্যেই মানস সিঙ্গারা নিয়ে ঢুকলো, আমি দেখতে পাচ্ছি। আহা, বেচারা আমাদের নয়জনের জন্য নয়টা সিঙ্গারা এনেছে। কিন্তু আমি যে নেই সেটা ভুলে গিয়েছিলো। যা হোক, সহকর্মীর মৃত আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উপায় হিসেবে সেটি খাওয়া ছাড়া তো আর কোনো উপায় নেই তার। টুশির সঙ্গে কি কোনো এপয়েন্টমেন্ট ছিলো আমার? সে যেভাবে ডায়েরির পাতাটা উল্টিয়ে রেখেছে, তাতে তো আমার নাম লেখাই দেখতে পাচ্ছি। আহারে, বেচারির কী বিশ্রি হাতের লেখা! আমাকে বললে তো আমি কয়েকদিন প্র্যাকটিস করিয়ে ঠিক করে দিতে পারতাম। মুখ ফুটে কেন যে বললো না একবার!
দেখুন, নারী-পুরুষ সাম্যে না হলেও সমতায় বিশ্বাস করি আমি। এর পার্থিব প্রমাণ আগের প্যারাতেই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। দুজন পুরুষ এবং দুজন নারী কলিগের নাম আমি লিখেছি। ইচ্ছে করলেই কি আমি লিখতে পারতাম না রেহানা, ঐশিলা, সুলতানা, প্রিয়াঙ্কা কিংবা সালমার কথা? কিন্তু লিখিনি। কেন? কারণ ওই হুমায়ূন আজাদ। সাদিক-মানস আমার চোখের সামনে থাকলেও হৃদয়ে যারা থাকে তাদের অনেকের নামও কিন্তু লিখিনি। কেন লিখিনি? মনের মধ্যে যা যা চিন্তা আসে তার সব নাকি বলতে হয় না, লিখতে হয় না, সেটাই নাকি শিক্ষা। মানুষের মনে নাকি যতসব কু-চিন্তায় ভরা থাকে, যে পড়ালেখা করে যত শৈল্পিকভাবে সেগুলোকে ঢাকতে পারে, সে নাকি ততবড় শিক্ষিত। হু, হু, আমি যে শিক্ষিত, তার প্রমাণ তো এই-ই যে আমি ওদের কথা লিখিনি।
ভালো কথা, মানুষ মরলে প্রাক্তন, বাঁচলে সাবেক। তাহলে আমার কাছে আমার সাবেক নারীবন্ধুটি কি সাবেক না প্রাক্তন? হুমায়ূন আজাদের সঙ্গে দেখা হলেই জেনে নেব। বাংলা ব্যাকরণের ওপর তার লেখা ঢাউস বইটি আমাদের পাঠ্য ছিলো। হুমায়ূন আজাদের মনে কোনোই সন্দেহ ছিলো না, এই বইটি যারা পড়বে, তাদের কেউ না কেউ এই বইটি লেখার জন্য তাকে গালি দিবে। হ্যাঁ, এই ‘কেউ’টি আমি। কষে গালি দিয়েছিলাম। তার প্রতিফল বোধহয় এই যে তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য আমাকে বেহেশত-নরকের ওয়েটিং প্লেস প্লুটোতে বসে দূরবীণ দিয়ে সাবেক প্রেমিকাকে দেখতে হচ্ছে। আহারে, বেচারি এই মুহূর্তে তিন হাজার টাকার জন্য কাকে যেনো ফোন করছে। আমার ক্রেডিট কার্ডটি পাঠানোর কোন ব্যবস্থা থাকলে এই মুহূর্তে সেটি পাঠিয়ে দিতাম। হোক না সে আমার চেয়ে যোগ্যতর কাউকে বেছে নিয়েছে। তাই বলে তার প্রতি মহব্বত তো কমেনি! আরে কী আশ্চর্য, আমার সাবেক (বা প্রাক্তন) প্রেমিকাও ঠিক এই কথাটিই চিন্তা করছে। এই যে যন্ত্রে ভাসছে, ...জাদা না মরলে তো টাকাগুলো চাইতে পারতাম। ওহ্ হুমায়ূন আজাদ, আপনার লাইনটি আরো দুদিন পরে যে কেনো মাথায় ঢুকলো না! টাকাগুলো দিয়েই মরতে পারতাম! .
ওহ্ আর কথা বলতে ভালো লাগছে না। বর্ণনা দিতে তো অসহ্য লাগছে। তার চেয়ে ভালো নাটকের ডায়লগের মতো বলে দিই আমাকে নিয়ে কে কী ভাবছে। ভালো কথা, অনেকেই কিন্তু এখনো সেই রহস্য বের করার চেষ্টা করছে, কেন আমি মরে গেলাম হঠাৎ করে। তাদের হাইপোথিসিসগুলোও বেশ চমৎকার।
রিপা: নাবিলার সঙ্গে সম্পর্কটা না ভাঙলে বেচারা এভাবে হঠাৎ করে মরতো না আমি শিওর।
শাহিন: হাজারখানিক টাকা ধার শোধ না করেই ব্যাটা মরে গেল! ধারদেনা বোধহয় হয়েছিলো অনেক। এতগুলো টাকার প্রেশার নিতে পারেনি।
অঞ্জলি: আমার ছোট বোনটার সঙ্গে ওকে মানাতো বেশ। কেন যে মরলো! ভালোই হয়েছে। বিয়ের পর মরলে তো বোনটা বিধবা হতো।
কফিল: বেচারার সঙ্গে গতকাল খারাপ ব্যবহার করাটা আমার মোটেও ঠিক হয়নি। সেটির কারণেই কি-না কে জানে...
লিজা: একদিন আগে মরলে তো শালার নম্বরটা মাই ইজি করতাম না।
বাবুল: সাবলেটে থেকে হাজার তিনেক টাকা বাসা ভাড়া দিতো। এইরকম পোলা কি আরেকটা পামু?
মিথি: ভাব ছিলো বেশি। ফুটানি মারতো তো! তাই গেছে।
হুমায়ূন আজাদ: আমি জানি কবিতাতে...
হুমায়ূন আজাদের লাইন চলে আসলো? হুমায়ূন আজাদ? হুমায়ূন আজাদ! হুমায়ূন আজাদ কী বলছেন? বলছেন, তার কবিতা...
আমার উদ্দেশ্য সফল। শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি সফল। আমি জানতে চেয়েছিলাম আমার মৃত্যুর পর আমাকে নিয়ে কে কী ভাবে সেটা জানা। সেখানে আমি পুরোপুরি সফল। যদিও আমি জানতাম না প্লুটো গ্রহে বসে আমি এইভাবে আমার মৃত্যুর পর মানুষের প্রতিক্রিয়াগুলো জানতে পারবো। কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিলো, ভূত হয়ে পৃথিবীতে ঘুরে ঘুরে আমার মৃত্যুর প্রতিক্রিয়াগুলো শুনবো। না হলে গড অলমাইটির কাছে রেকর্ড তো থাকবেই। আমি কাতর স্বরে চাইলে তিনি নিশ্চয়ই সেগুলো আমাকে দেখতে দিতেন, শুনতে দিতেন। বিশেষ করে যখন তিনি জানতেন আমি এ জন্যই মারা গিয়েছি, তখন তিনি কি আমাকে না করতেন? বোকার মতো বোকামিগুলো যারা করে, গডের স্নেহ তার ওপর বর্ষিত হবেই। আমি কনফার্ম। আর এই কনফার্মেশন লেটারটা না পেলে আমিই কি মরতে যেতাম?
মন্তব্য
কোন এক কারনে দুইবার পড়তে হয়েছে । অন্যরকম করে লেখা । চেনা পথে নয় ।
খুব ভাল্লাগলো ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
এই লেখাটা নিয়ে যখনই দ্বিতীয় চিন্তা করছিলাম, তখনই আপনার মন্তব্যটি দেখলাম। হ্যাঁ, একটু অচেনা পথেই হাঁটতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ভুল পথে চলে গেলাম কিনা তাই ভাবছিলাম। আপনার মন্তব্য পড়ে আশান্বিত হলাম। ধন্যবাদ।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
ইন্টারেস্টিং, ডিফ্রেন্ট, থট-প্রভোকিং।
তবে, এমন একটা ভাবনা 'গড অলমাইটি' থেকে মুক্ত থাকতে পারলে আমি বোধ হয় স্বস্তি পেতাম আরেকটু। আমারই ব্যক্তিগত সমস্যা হয়তো। আমার স্বস্তি অস্বস্তিতে নিশ্চয়ই আসবে-যাবেও না তেমন কিছু।
আর, বুঝিনি কেন আপনি 'বেহেশত' আর 'নরক' বলেছেন বারবার! কেন 'বেহেশত' আর 'দোযখ' কিংবা 'স্বর্গ' আর 'নরক' না?! এতেও পড়তে গিয়ে ভাবনার ফ্লো একটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আদারওয়াইজ, দি অ্যাপ্রোচ ইজ স্মার্ট। চালিয়ে যান।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
উৎসাহমুলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ সাইফুল আকবর খান। গড অলমাইটি, বেহেশকের সাথে নরক বা এ ধরনের শব্দগুলো আনা ইচ্ছাকৃত। কিছুটা হুমায়ূন আজাদের কথা মনে রেখেই কাজগুলো করা।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
ওকে।
ওয়েলকাম।
কিপ ইট আপ।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
পরে আবার পড়ুম, বুকমার্ক দিলাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ধন্যবাদ এনকিদু। কিন্তু আমি নিজেই কনফিউজড। মাত্র তিনটা মন্তব্য দেখে। একটা এক্সপেরিমেন্ট করতে চেয়েছিলাম। ভালো হলো নাকি কিছুই হলো না- সেটা বুঝার শখ ছিলো। কিন্তু পড়া ও মন্তব্যের সংখ্যা দেখে বুঝতে পারছি বোধহয় এটা কিছুই হয় নি। আপনাদের মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করেছে। একেবারেই নিরাশ হই নি। আবারও ধন্যবাদ।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
আমি দ্রুতপঠন করেছি একবার। সময় নিয়ে আবার পড়ার আগ পর্যন্ত নিজের মন্তব্য স্থগিত রেখেছি তাই।
পাঠক কিছু বলুক আর বলুক, পাঠক ভাবছে। এটুকু বলে গেলাম আপনার সংশয় প্রশমনের জন্য।
ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করছে।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
- দারুণ লাগলো, স্টাইলটা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ।
জগতের সকল শালী সুখী হোক। ধুসর গোধূলী নিদ্রা যাক।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
খুব অন্যরকম লেখা। মরেও লেখালেখি করছেন জেনে আনন্দ পেলাম।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ, তানবীরা। হ, এখন মৃতরাই লেখালেখি করে। চোখ টিপি
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
নতুন মন্তব্য করুন