খোলস
সাপের খুব সুবিধে।
বছরে একেকটা সময় আসে যখন সাপ পুরনো খোলসটি ফেলে দিয়ে নতুন খোলসে চিকচিক করতে করতে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। যাওয়ার সময় পেছন ফিরে তাকায় কিনা জানি না, তবে এটুকু অনুভব করতে পারি, পুরনো জঞ্জাল বাদ দিয়ে নতুন একটি প্রাণীর সত্ত্বা নিয়ে সে বেড়ে ওঠে।
সাপের মতো মানুষেরও এই সুবিধাটা থাকলে বেশ হতো। বছরের কোনো একটা সময় প্রতিটা মানুষই হয়ে উঠতো নতুন। প্রাকৃতিক এই সুবিধে নেই বলে মানুষ অবশ্য এ নিয়ে হা-হুতাশ করে বসে থাকে না। অনেকে অবশ্য এ প্রশ্নও তুলতে পারেন- মানুষ কি প্রতিটা দিনই নতুন করে বেড়ে ওঠে না? হয়তো।
মানুষের যদিও শরীরের খোলস বদলানোর সুযোগ নেই, কিন্তু চাইলে মনের খোলসটা মানুষ বারেবারে পাল্টে নিতে পারে। এদিক দিয়ে মানুষ বরং সাপের চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে আছে। তাছাড়া সাপ খুব নিষ্ঠুরের মতো খোলসটাকে একবারে যে ফেলে যায়, পরে তার কোনো খোঁজও নেয় না। মানুষ কখনোই এতোটা নিষ্ঠুর নয়। জাগতিক সাধারণ বস্তুকেও যে মায়াময় মমতায় রেখে দেয় দিনের পর দিন, নিজের খোলস তো তার কাছে অমূল্য বিবচিত হওয়ার কথা!
আমার খোলসগুলো নিয়ে তাই নড়াচড়া করছি একটু একটু করে। ফেলে আসা অতীত অভিজ্ঞতামাত্রই কি খোলস নয়? যাকে আমরা স্মৃতি বলি, সেটা কি আদপে একটি খোলস নয়? আমরা কি অতীত ত্যাগ করার মধ্যদিয়ে পলে পলে খোলস পাল্টাচ্ছি না? মাঝে মাঝে স্মৃতিচারণ করার মধ্য দিয়ে কি ফেলে আসা খোলসটিকে আমরা নড়াচড়া করি না? তাই ভাবছি, মাঝে মাঝে দিনপঞ্জি লিখবো। কোনো ধরাবাধা নিয়মে নয়। জাস্ট ফেলে আসা খোলসটাকে উল্টেপাল্টে দেখার মতো। দিনপঞ্জির লেখার মাধ্যমে খোলসগুলোকে নিয়ে ঢলাঢলি করতে খুব মঞ্চাইছে।
আবার প্রতিনিয়ত খোলস ছাড়তেও ভালো লাগছে না।
মন্তব্য
আমরা ফেলি তো। ডাক্তারি মতে দিনে নাকি কয়েক লাখ ত্বক-কোষ ঝরে পড়ে
একবার এক পিকনিক শেষে ফেরার পথে কোন কিছু ফেলে যাচ্ছি কিনা খোঁজ করছিলাম। তখন একজন বলে উঠে, স্মৃতি। স্মৃতি সাথে নিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। ফেলে রেখে আসতে হয়।
খোলস ঢলাঢলি চলুক।
ধন্যবাদ, আলমগীর ভাই। হ, প্রতিদিনই কয়েক লাখ ত্বক-কোষ ঝরে পড়ে। এর বাইরেও মানুষজন আজকাল স্ক্র্যাব-ট্র্যাব দিয়ে মুখের মরা ত্বকও ঝেড়ে ফেলে। শরীরের চামড়াটা একবারে ফেলে দিয়ে নতুন চামড়ার ব্যবস্থা করতে পারলে মন্দ হতো না। মানুষ দিন দিন যে হারে গণ্ডারের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে, তাতে খোলস বদলালে কেউ গালি দিলে বলা যেতো- গণ্ডারের চামড়া আছিল কাইল, আইজ মুরগির চামড়া, গতকাল রাইতে বদলাইছি।
ধন্যবাদ। দেখি কতোদিন খোলস ঢলাঢলি চালানো যায়।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
চলুক তবে ঢলাঢলি !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
চলবে। আশা করি সাথে থাকবেন।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
Lina Fardows
আরে কি কন ভাই, আমরাওতো খোলস পাল্টাই প্রতিনিয়ত। সরকারী গদি বদলানোর সাথে সাথেই দেখবেন অনেকের খোলস পাল্টে গেছে।
Lina Fardows
তা অবশ্য ঠিক বলেছেন। তবে ওটা অন্য খোলস। মানুষের হয়তো অনেকগুলো খোলস থাকে।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
চলুক তবে...
আশা করি চলবে। ধন্যবাদ।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
আমি বোধহয় নিষ্ঠুরের পর্যায়েই পড়ি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তাই? আপনার স্বপ্নটা কিন্তু ভালো লাগলো।
অফটপিক. আপনার লেখা বিভিন্ন মন্তব্য বিভিন্ন পোস্টে পড়ি। অতিথিদের উৎসাহ দেবার ব্যাপারে কোনো পুরষ্কার থাকলে সেটা আপনিই পেতেন। ধন্যবাদ।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
কোনো কোনো খোলস যা ফেলে এসেছি তা পড়তে মন চায় খুব । কিনতু আর উপায় যে নেই । সে খোলস আর আঁটবে না গায় ।
লিখুন , আপনার ফেলে আসা খোলসের রঙ দেখি ।
লিখবো। আপনার খোলসগুলো নিয়েও লিখুন না!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
- ফেলে আসা স্মৃতিগুলোকে কেনো জানি খোলস মনে হয় না। মনে হয়, নিউরনের একেকটা কুঠুরী। সময়ের কপাটে আটকা পড়ে থাকে সেই কুঠুরীগুলো। আমরা যে স্মৃতি নাড়াচাড়া করি তা আসলে সেই সময়-কপাটকে সন্তর্পণে সরিয়ে বদ্ধকুঠুরীটায় একটু হাত বুলিয়ে যাওয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হতে পারে। ভিন্ন মন্তব্য পেলাম। ধন্যবাদ।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
খোলস তো অনেক পদের আছে।
মানুষ আসলে প্রতিদিনই খোলস পাল্টায়, সাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মন্তব্যে
প্রতিমন্তব্যেও (উত্তম)
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনাদের দুজনকেই উত্তম।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
একদিক দিয়ে আপনার কথাটা ঠিক।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
নতুন মন্তব্য করুন