১.
তারপর আশরাফ সাইয়েদ টিভিটা বন্ধ করে দেন এবং সোফা ছেড়ে উঠে পড়েন রান্নাঘরের পথে। সান্ধ্য খবর শেষ করার পরে এক কাপ কালো কফি, সাথে একটা সিগারেট খুবই সুস্বাদু মনে হয়। এই কালো কফি একটা নতুন সংযোজন, অথবা চায়ের অভিজাত প্রতিস্থাপন হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে, তিনি ভাবেন। কালো কফি বিষয়ে অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকা অবস্থায় তিনি জানতেন না, দুধ-চিনি পরিহার করা এই পানীয়ও একটা কষা সুস্বাদ ধারণ করতে পারে। সদ্যলব্ধ জ্ঞানের সুফল ফলাতেই হয়তো, তিনি কালো কফিকে প্রাত্যহিকতায় পরিবর্তিত করেন। সোয়া তিন ইঞ্চি ধূমশলাকার প্রান্তে তিনি অগ্নিসংযোগ করেন, এবং কফির কাপ থেকে নিয়মমতো প্রায় বর্ণহীন ধোঁয়া উঠতে দেখেন। তিনি বারান্দার বাতিটা নিভিয়ে পেতে রাখা চেয়ারটায় গিয়ে বসেন।
ধনবান হয়ে ওঠা, বেশ উপভোগ্য একটা অভিজ্ঞতা। কফিতে আলতো চুমুক দিতে দিতে আশরাফ সাইয়েদ ভাবেন, "দ্যা অ্যানসার ইজ নট ফর্টি-টু, ইটস মানি।"
টাকার কথা ভাবতে আশরাফ সাইয়েদের ভালো লাগে। প্রতিটা সফল ডিলের পর যখন বান্ডিলগুলো হাতে আসে, তখন ব্যাঙ্কে সেই স্তূপ পৌঁছে দেবার আগে তিনি সেন্টারটেবিলে রেখে কিছুক্ষণ একটা ভালোলাগা উপভোগ করেন। তখন তার হাতে ধরা থাকে এক কাপ কফি, অথবা আমদানিকৃত শিভাস রিগ্যাল কিছুটা। অনুভূতি নিয়ে ভাবতে গিয়েও আশরাফ সাইয়েদের ঠোঁটের কোণ হাসির ভঙ্গিতে ক্ষীণ বেঁকে যায়। রোমকূপে কিছুটা শিহরণ অনুভূত হয়, সেটা শীত শেষের সন্ধ্যা, অথবা আনন্দের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেকোনও কিছুই হতে পারে।
২.
খ্যাপ মারে এইরকম বহুত শামছু এখন লাইনে ঢুকছে। লাইন বিভিন্ন দিক থিকা সরগরম। ঢেউয়ের মতন লাইনে উঁচা-নিচা আছে। কোনও সময় সিএঞ্জির খ্যাপ গরম চলে, কোনও সময় মলমের খ্যাপ। ঢেউয়ে উঁচা থাকলে কয়েকদিন খ্যাপ মাইরা জমায়া রাখন যায়, নিচায় নামলে কিছুদিন চুপচাপ সেইটা ভাঙায়া খাওন লাগে।
কিন্তু আসল খ্যাপ কোনটা? যেই খ্যাপের পিছনে বেরেন থাকে। বেরেন ছাড়া কাম করলে সেই কাম বেশিদিনের হয় না; হয় মামুতে ধরে, নয়তো নতুন পোলাপাইন আইসা লাইনে মুখ দিয়া ব্যবসা নষ্ট করে। যেইটাই হউক, বেশিদিন শান্তিতে থাকনের উপায় নাই। বিজনেস করতে লাগে বেরেন দিয়া। শিক্ষিত মাইনষের বেরেন যদি বিজনেসের পিছে থাকে, তাইলে নিশ্চিন্ত।
নিশ্চিন্ত বিজনেস চালানের পরেও কিন্তু মনিরুল ইসলামের মনে হরওয়াক্ত নিশ্চিন্তি থাকে না। মধ্যে মধ্যে মনের ভিত্রে খুঁচায়। মনিরুল ইসলাম 'রিক্স' নিয়া কাম সারে, সেইটার লাভের তিন ভাগের এক ভাগ মাত্র সে নিজে ভাগে পায়। দুই ভাগ দিতে লাগে 'বেরেন'রে। বেরেন নিজে এক ভাগ রাইখা বাকিটা জায়গামতো বন্দোবস্ত কইরা দেয়। মনের মধ্যে খুঁচাইলেও কিছু করার নাই। নিশ্চিন্তে বিজনেস করতে লাগলে জায়গামতো বন্দোবস্তের দরকার আছে।
তবে টেকার কথা বাদ দিলে, বেরেন তারে দিয়া এই যে বিজনেসটা করাইতেছে, এইটার সুখ অন্য জাগায়। সেইসব বিবেচনায় আনলে তার উপর আর রাগ কইরা থাকা যায় না। লোকটা বুঝদার, এলেমদার। মনিরুল ইসলামের চাহিদা সে বুঝে। এইসব ভাইবা মনিরুল ইসলাম তারে প্রায় মাফ কইরা দেয়, অথবা মনের কোণে অল্প একটু বিরাগ পুইষা রাখে।
মনিরুল ইসলাম থলিটা বাইর কইরা একটা দুই হাত কিংবা চাইর হাত ঘুরা রঙজ্বলা মোবাইল সেট বাইর করে। সেইটাতে ব্যাটারি আর সিম লাগায়া সে সেট চালু করে। এইগুলা সব হবে একবার ফোন কইরা ফালায়া দেওনের সেট। ফোনের কোম্পানি এই মোবাইল সেট আর সিম আটকাইতে পারে, নেটোয়ার্কে নাকি এইরকম সিস্টেম আছে। বেরেনের কাছ থিকা মনিরুল ইসলাম এইসব জ্ঞান লাভ করছে। সিস্টেমরে সিস্টেম দেওনের সব তরিকা বেরেন বাইর করে, মনিরুল ইসলাম খালি সেইমতো কাজ করে। বেরেনের কথামতো কাজ করলে বিজনেস নিশ্চিন্ত।
বড়লোক শাউয়াডারে ফোন দেওনের আগে মনিরুল ইসলাম নিজের ভিত্রে কয়টা গালিগালাইজ আউড়ায়া নেয়। এইডা করলে পরে বড়লোক শাউয়ারে একটু ঝাল দেওন যায়। তারপরে যে একটার পর একটা নাম্বার চাপে এবং ফোন করে।
বড়লোকের বাচ্চা ফোন ধরে এবং মনিরুল ইসলাম তার থিকা ভদ্রভাবে নামটা মিলায়া নেয়। তারপরই খা-পো বলে সে আসল কথা পাড়ে এবং জানায়, "তুমার কচি মাইয়া আমার কাছে আছে। হেফাজত আছে, চিন্তা করবা না। শুনো, চিল্লাবা না, পুলিশরে কিছু বলবা না, তোমার পরিবাররেও কিছু বলবা না। চুপচাপ যা বলি শুনো, তাইলে কাইলকে সকালে মাইয়া পায়া যাবা।" এরপর মনিরুল ইসলাম তাকে বর্ণনা করে কীভাবে সকালে তারা মেয়েকে উঠায়া আনছে, বিকালে তাদেরকে কতো টাকা কীভাবে কী দিতে হবে না হবে, এবং পরিবারকে কীভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে যে মাইয়াটা বান্ধবীর বাড়িতে গেছে। মামুর কাছে গেলে মাইয়ার ল্যাংটা লাশ বাড়ির দরজায় দেখতে লাগবে সেইটাও সে বুঝায়া দেয়। এই কথা শেষ করে মনিরুল ইসলাম লাইন কাটে, ফোনটা বন্ধ করে, ব্যাটারি খুইলা রাখে, তারপর সেট আর সিম আলাদা বাক্সে রাইখা দেয়, পরে ফালায়া দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় এইসব কাজ শেষ করার বাদে, মনিরুল ইসলাম চেয়ার থিকা উইঠা দাঁড়ায়, এবং পাশের রুমের দিকে যায়। দরজা খুইলা ভিত্রে ডান কোনায় বসায়া রাখা মাইয়াটারে দেখে। এই মাইয়াটা তার জন্য না, এটা ভাবার পর তার কিছুটা বিরক্তি, কিছুটা বঞ্চিত ভাব এবং কিছুটা অপমানিত বোধ হয়। তবে আফসোস খুব বেশি একটা নাই, কারণ বেরেন সব মাল নিজে নেয় না, বরং অধিকাংশই তার জিম্মায় যা মন চায় করার হেফাজতে ছাইড়া দেয়। মাঝেসাঝে দুয়েকটা নিজের জন্য নিয়া যায়। বেরেন একা না খায়া মনিরুল ইসলামকে ভাগেযোগে দিয়া খাইতাছে, এইটাই বেরেনের উপর মনিরুল ইসলামরে খুশি কইরা তোলে। লোকটা এলেমদার আছে, বুঝদার আছে। সব দিকে সে খেয়াল রাখে। কোন পার্টির মাল ধরতে হবে, কখন ধরতে হবে, কতো টেকা চাইলে সময় নষ্ট না কইরা পাওয়া যাবে, এই সব কিছুই বেরেন তারে প্ল্যান কইরা দেয়; সে শুধু বিজনেসটা নিজের হাতে করে। বেরেন লোকটা এলেমদার - সন্তুষ্টির ভঙ্গি নিয়া মনিরুল ইসলাম আনমনে মাথা নাড়ে।
রাইতের জন্য মালটারে বেরেনের কাছে পৌঁছায়া দিতে লাগবে। মনিরুল ইসলাম চোখ, হাত এবং মুখ বাঁধা মাইয়াটার কাছে যায়, এবং কনুইয়ের কাছে খামচায়া ধইরা মাইয়াটারে টান দিয়া দাঁড় করায়। মাইয়াটা সুন্দর আছে। বড়লোক শাউয়ার পুতেরার মাইয়াগুলা সুন্দর হয়। মনিরুল ইসলাম আগাপাশতলা চোখ বুলায়, তারপর "এইডারে খাওন যাইতাছে না" চিন্তা করে মৃদু শ্বাস ফেলে। তারপর সেই দুঃখে হাত দিয়ে মাইয়াটার বুক খানিকটা কচলায়। মাইয়াটা ঝটকা দিয়ে পিছনে পালাইতে চায়, এবং তখন অন্য হাতে মাইয়াটারে আটক রাইখা মনিরুল ইসলাম কচলানো হাত উপরে তুইলা মাইয়াটারে একটা রাম থাপ্পড় দেয়। মাইয়াটা নেতায়া পড়ে, এবং মনিরুল ইসলাম আরও কিছুক্ষন তারে কচলায়, এবং সেই সাথে ভাবে, "একটু বাদেই মালডারে বেরেনের কাছে রাইখা আসতে হবে। শুওরের বাচ্চা।"
৩.
মুঠোফোনে লাইন কেটে যাবার পরে আশরাফ সাইয়েদ মৃদু দুঃখিত চোখে মুঠোফোনের পর্দার দিকে তাকান। নির্বোধ অপরাধীদের জন্য তার কখনোই ঘৃণা জাগে না, বরং কিছুটা দুঃখবোধ হয়। এই অন্যতম অপরাধীটিও তার কাছ থেকে এর বেশি অনুভূতি আদায় করে নিতে পারে নাই। এই ধাপের মানুষগুলোর কোনও ধারণাই নাই যে কার সাথে কীভাবে কথা বলতে হয়। আশরাফ সাইয়েদ এসব ভাবতে ভাবতে কৌটো থেকে আনমনে আরেকটা ধূমশলাকা বের করে এনে ঠোঁটে ঝোলান। আগুন জ্বলে উঠে প্রান্তভাগে লাল উজ্জ্বলতার শুরু করে।
যেটার শুরু আছে, সেটার শেষও হতে বাধ্য- আশরাফ সাইয়েদ ভাবেন।
আশরাফ সাইয়েদ টাকা নিয়ে চিন্তা করেন। তার আবারও ভালো লাগতে শুরু করে। শাকের ইমামউদ্দীন স্যারের একটা লেখা তার মনে পড়ে- "পুঁজির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পুঁজি নিজেকে সংহত করে। পুঁজি সংগঠিত হবার প্রাথমিক পর্যায়ে, কী উপায়ে এই সংগঠন ঘটছে এবিষয়ে পুঁজি চিন্তিত হয় না।..... এর পরবর্তী পর্যায়ে পুঁজি নিজের নিরাপত্তা বিধান করে এবং এই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাবলয়ের সাথে পারস্পরিক অথবা নিয়ন্ত্রক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রবণতা দেখায়।"
আশরাফ সাইয়েদ পুঁজি গড়ে তোলেন। নিজেকে তার একজন ভাস্কর বলে বোধ হয়, যে পুঁজির স্তূপকে ভাস্কর্যের মতো তিলে তিলে গড়ে তোলে। তারপর তিনি এভাবে ক্ষমতাও গড়ে তুলবেন। আশরাফ সাইয়েদ বোঝেন পুঁজি নিজেকে রক্ষার স্বার্থেই ক্ষমতা পেতে তৃষ্ণার্ত হয়ে ওঠে।
ভাবনার সুতো কেটে যায়; যদি কেউ এসে বাধা দেয়? এই পুঁজি গড়ে ওঠার সময়ে কেউ যদি এসে সেটার একটা অংশ কেড়ে নিতে চায়?
আশরাফ সাইয়েদ মাথা ঝাঁকিয়ে চিন্তাটা দূর করে দেন। এরকম চেষ্টা প্রতিহত করতে তিনি প্রস্তুত। পুঁজি গড়ে তোলার পথেই তিনি ধীরে ধীরে নিজের পাশে প্রহরাবলয়ও গড়ে তুলছেন। এই সব কিছু, তার এই সব প্রিয় সৃষ্টি, নিশ্চয়ই পরিকল্পনা মেনে চলে তাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। অগুণতি আবেগতাড়িত মানুষের ভিড়ে তিনি একজন প্রজ্ঞাবান মানুষ। আবেগ কোনওদিন কি প্রজ্ঞার সাথে যুদ্ধে জিততে পেরেছে?
আশরাফ সাইয়েদ হাসিমুখে ভাবেন, নিজের কথা ভাবেন, পরিকল্পনার কথা ভাবেন, অনাগত ক্ষমতার কথা ভাবেন।
ধূমশলাকার শেষাংশটুকু ছাইদানে গুঁজে দিয়ে তিনি উঠে দাঁড়ান। বারান্দার দরোজা ঠেলে ভেতরে এসে দাঁড়িয়ে বিছানায় বেঁধে রাখা মেয়েটার দিকে তার চোখ পড়ে, এবং কিছুটা উত্তেজনা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। পুঁজি গড়ে তোলার পাশাপাশি জাগতিক কিছু সুখানুভূতি তার পাওনা, এমনটা মনে হয়। পাওনা আদায় করার জন্য আশরাফ সাইয়েদ বিছানায় গিয়ে মেয়েটার পাশে বসেন এবং হাতের নিচে অনাবৃত ত্বক অনুভব করে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে থাকেন।
আশরাফ সাইয়েদের 'ডীল', নিখুঁত পরিকল্পনার নিশ্ছিদ্র সামরিক অভিযানের মতোই নিরাপদ। অপহৃতা, এবং এক কি দুজন আত্মীয় ছাড়া আর কেউই এসব জানবে না। উপযুক্ত সময় এলে মনিরুল ইসলামদের মতো খলনায়কদের তিনি মৃত্যুদণ্ড দেবেন, এবং তার পরে আশরাফ সাইয়েদের ইতিহাস নিষ্কলঙ্ক হয়ে উঠবে।
একটা খুন করলে খুনি, একশ'টা খুন করলে সাইকোপ্যাথ, আর দশ হাজারটা খুন করলে ফুলের মালা গলায় ঐতিহাসিক নেতা -আশরাফ সাইয়েদ খুব ভালো করেই জানেন এটা। নেতাদের ইতিহাস সবসময়েই পূতপবিত্র ইতিহাস। নবীন বয়েসের এসব দাগ থাকবে না, তিনি জানেন। ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর, আশরাফ সাইয়েদ ভাবেন; ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর পরে, তার ইতিহাসকে পবিত্র ইতিহাস বলে মনে হবে।
তবুও যদি কিছু প্রকাশ হয়ে যায়? যদি?
ভয় কী? ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরে তার দাড়ি আরও দীর্ঘ হবে, এবং শুভ্র হয়ে উঠবে। শুভ্র দাড়ির নূরানি মুখশ্রীর কোনও লোক অপরাধী হয়, এটা কেউ ভাবতেই পারবে না। ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের মধ্যেই এদেশের মানুষ ধর্ষণ এবং হত্যাকে নির্বিবাদে ভুলে যায়।
নিজের নূরানি সুরত এবং শরীরের নিচে কাতরাতে থাকা মেয়েটাকে যুগপৎ অনুভব করে আশরাফ সাইয়েদ হাসেন। পবিত্র হাসি।
মন্তব্য
অদ্ভুত আপনার লেখার ধরন ।
মনের কোথায় যেন একটা ঘা দেয় ।
শুধু বর্ণনা আর লেখনশৈলীর গুণে একটা পরিচিত গল্পও অপরিচিত হয়ে উঠল ।
ভালো থাকবেন ।
শুভেচ্ছা ।
ধন্যবাদ, প্রদীপ্তময় সাহা। ভালো থাকুন আপনিও।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
দুর্দান্ত একটা গল্প।
চরিত্রভেদে চিন্তার ধরণ পরিবর্তনগুলো চমৎকার ফুটিয়েছেন গল্পে।
একটা লাইন যদি বেছহে নিতে হয় আমি বোধ হয় এ লাইনটা বেছহে নেব-
"একটা খুন করলে খুনি, একশ'টা খুন করলে সাইকোপ্যাথ, আর দশ হাজারটা খুন করলে ফুলের মালা গলায় ঐতিহাসিক নেতা- "
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অনেক ধন্যবাদ, মর্ম।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
হ্যাটস অফ…………..
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপস'দা।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
শেষ লাইনটা "ডেথ ব্লো" অসাধারণ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
শুভ্র দাড়ির বৃদ্ধটিকে মহান বানানোর যে চেষ্টাচরিত্র দেখছি, ঘৃণায় মুখ কুঁচকে ওঠে। এই চিন্তা থেকেই গল্পটা লেখা।
অনেক ধন্যবাদ অরফিয়াস।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ডুপ্লি
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
চমৎকার লাগল ।
অনেক ধন্যবাদ, ধূসর জলছবি।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
অসাধারণ ভাইয়া! ধর্ষণ ও হত্যাকে ভুলে যায় বলেই গোলাম মুরশিদ, শর্মিলা চ গ্যাঙেরা মিথ্যা ইতিহাসের বেসাতি করার সুযোগ পায়; সফেদ শুভ্র নুরানি দাড়ির আড়ালে নরপিশাচরা আশ্রয় নেয় মনের আনন্দে!
রিকনসিলিয়েশন আর বৃদ্ধ অধ্যাপক হারামজাদার জন্য আন্তর্জাতিক মরাকান্না দেখে ত্যক্ত হয়ে গিয়েছি।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, কাজি মামুন।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
দারুন।
..................................................................
#Banshibir.
নবাবি আমলের কুর্নিশ এবং ধন্যবাদ, সত্যপীর ভাই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আমার দশটা নবাবী হাবিজাবি পোস্টও আপনার শেষ লাইনটার সমকক্ষ হতে পারবেনা। অপাত্রে কুর্নিশ করা হইতে বিরত থাকুন
..................................................................
#Banshibir.
অনেক লজ্জিত হলুম! কিন্তু গুণী লেখকের জন্যই কুর্নিশ বরাদ্দ, এই জিনিস ফিরিয়ে নেওয়ার না। আপনার লেখা খুবই ভালো পাই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
দুর্দান্ত।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অনেক ধন্যবাদ, সবুজ পাহাড়ের রাজা।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
অদ্ভুত আপনার লেখার ধরন ।
মনের কোথায় যেন একটা ঘা দেয় ।
শুধু বর্ণনা আর লেখনশৈলীর গুণে একটা পরিচিত গল্পও অপরিচিত হয়ে উঠল ।
ভালো থাকবেন ।
শুভেচ্ছা ।
ঐ
- হয়রান আবীর।
শুভঙ্করের ফাঁকির জন্য সাক্ষাতে উপযুক্ত উপায়ে ধন্যবাদ দেওয়া হবে। ততক্ষণ ভালো থাকেন।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
এক কথায় অসাধারণ !
লেখায় দশ তারা দিতে চেয়েছিলাম। সিস্টেমে নেই
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আপনি দুষ্ট মানুষ, অতিশয়োক্তি দোষে দুষ্ট!
অনেক ধন্যবাদ উচ্ছলা'পু। আপনার শব্দবর্ণন সবসময় ভালো পাই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
"ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর পর তার ইতিহাসকে পবিত্র ইতিহাস বলে মনে হবে।"- চমৎকার ডায়ালগ।
ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ অমিতাভ ভাই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ভালো লাগলো, অনেক সময় নিয়ে আপনি আপনার চিন্তাভাবনাগুলোকে লেখায় রূপ দিয়েছেন।
সচল এ অনেক দিন ধরেই আসি। কারও লেখায় এই প্রথম মন্তব্য করলাম। চালিয়ে যান
অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
দারুণ হয়েছে শেষটুকু!
facebook
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে ভাই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
██মন্তব্য লাফাঙ██
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ভালো লাগলো লেখাটা। শেষের অংশটুকু বানানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয়েছে। যদি লেখাটা এই বক্তব্য নিয়ে সাজানো হতো তবে খাপছাড়া লাগতো না। কাপ থেকে ছলকে পড়া চা যেমন পিরিচে পড়ে পরিবেশনের সৌন্দর্য নষ্ট করে তেমন গল্পের সৌন্দর্য ম্লান করে দিয়েছে শেষ অংশটি। আশা করি, লেখক পরবর্তীতে এই বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। ভালো থাকুন, এই কামনায়-
বিশেষ করে শেষের অংশটুকু বলার জন্যই, আপাত সঙ্গতিবিহীন একটা গল্প এখানে সাজিয়েছি। যে ঘটনাটা আমাদের সামনে ঘটেনি, সেটা পুরনো ঘটনা বলে আমরা নির্বিবাদে ভুলে যেতে পারছি। কিন্তু তাদের কথা চিন্তা করুন, যাদের জীবনে এরকম ঘটনা আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে ঘটেছে। তাদের জন্য ভুলে যাওয়া কি আসলে ততটাই সহজ? অথবা সেই ঘটনা ভুলিয়ে দেবার জন্য আজকের যে অপপ্রচারের মহড়া, তা কি সেই মানুষদের ভেতরে বিবমিষা ছাড়া আর কিছু জাগাতে পারে?
শেষের অংশটুকু ছাড়া বাকি পুরোটা গল্প একটা অপরাধের অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা বলেই মনে হয়। যে অপরাধটা ঘটেছিলো তার বর্ণনার চেয়েও আমি অপরাধের বিচারের আগে সেটা ভুলে যাবার যে নোংরামি, সেটাকে বেশি করে তুলে ধরতে চেয়েছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন আপনিও।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
সৌরভ, তোমার লেখার ধরন খুবই ভালো লাগল পড়ে। নিয়মিত চর্চা রেখো।
অনেক ধইন্যা, গুডিবয়।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্পটার জন্য ধন্যবাদ। আসল ঘটনাগুলো কতোটা বেদনার এটুকু পড়েই আঁচ করা যায়।
দারুণ দারুণ
এই অসাধারণ গল্পটা পড়ে বুঝলাম , আপনার কোনো লেখাই মিস্ করা যাবে না
নতুন মন্তব্য করুন