গত পরশু গভীর রাতে খোমাখাতায় দেখলাম, 'শহীদ রুমী স্কোয়াড' নামে একটা ছোট্ট সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধতাকারী বেঈমান জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে।
লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে এলো, আমি এই মেরুদণ্ড ধারণ করি নাই এখনও। দিন শেষে আমি সেই নিম্নমধ্যবিত্তের একমাত্র সন্তান, যে মৃত্যুকে স্রেফ ভয় পায়, আর মরতে না যাবার জন্য একগাদা ভুবনভোলানো কথার ধোঁয়াজাল বোনে।
আমি লাঠি হাতে করে মিছিল নিয়ে শাহবাগ যেতে পারি, শাহবাগে আধো আঁধারে দাঁড়িয়ে সবার মুখের ছবি তুলতে থাকা সন্দেহভাজনের কলার চেপে ধরতে পারি, চলন্ত বাসে 'শাহবাগী'-দের নিয়ে 'বক্তব্য' পেশ করা একদল লোকের সামনে একলা দাঁড়িয়ে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে পারি, এবং হয়তো কোনও দিন, রাগের মাথার মিরপুরের কোনও অন্ধকার রাস্তার ধারে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়তে পারি মৃত্যুর মুখোমুখি, স্রেফ মৃত্যুর বিপরীতে কোনও এক দিন কোথাও 'কথা' বলেছিলাম বলে।
হঠাৎ আবেগে হঠাৎ মৃত্যু ঘটবার জন্য তৈরি হয়ে থাকা হাজার জন মানুষের মুখ আমি আন্দোলনের মাঠে দেখেছি। দেখি নাই, জানি নাই, এবং হতে পারি নাই এমন সব মানুষ; যারা প্রহরের পর প্রহর খুব ধীর একটা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই মৃত্যুটা 'হঠাৎ' এর মতো নিশ্চিন্ত কিছু না। খুব ভয়ানক, খুব ভীতিকর, খুব নির্মম, আর খুব নিশ্চিত!
_________________________
সকালে প্রতিদিনের মতো আপিসে গেলাম, কীবোর্ড পিষলাম, কান পেতে শুনলাম সহকর্মীদের মৃদু হাস্যরস, কিছু অনন্ত জলিল, কিছু চাল-নুন-তেল, এই দ্যাশের কিছু না হবার নিশ্চিত মতামত। এবং দুপুর গড়িয়ে এলো। খেতে বসে গেলাম। খাবার আমার গলা বেয়ে নেমেছে? জানা নাই। আমি নির্লজ্জের মতো আমার বোধগুলো কামড়ে খাচ্ছিলাম হয়তো।
সন্ধেতে আপিস থেকে বেরোবার ফুরসত মিলতেই গুলশান থেকে জাতীয় জাদুঘর। তখনও পর্যন্ত জানি না, এই মানুষগুলো কারা।
নিলয়! সাফি! সাথে আরও দু'জন, যাদের চেহারা চিনি, নামে চিনি না। চেহারা কী ভাবে চিনলাম? চিনলাম, কারণ পাঁচ তারিখ থেকে শাহবাগে এদের সাথে দেখা হচ্ছে। বেলায় অবেলায় দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে বাঁশের লাঠি হাতে, জ্বলন্ত মোমবাতি নিয়ে, নাম না জেনেও কুশল বিনিময় চলেছে শ্লোগান দিতে দিতে ভেঙে ফ্যাঁসফ্যাঁসে হয়ে যাওয়া কণ্ঠে।
পায়ে জোর ছিলো না। জাদুঘরের গেটে পিঠ ঠেকিয়ে বসে পড়লাম। সাফি উঠে এলো অনশনকারীদের ঐ ছাউনিটা থেকে।
"কি ভাই!"
সাফি হাসে। চিরদিন যেভাবে হাসে, তার চেয়েও অনেক বেশি নিষ্পাপ হয়ে। আমি সাফির চোখে চোখ মেলাতে পারি না।
টুকটাক কথা হয়। সাফি বলে, অনলাইনে বিভিন্ন জ্ঞানীগুণী মানুষ তাদের নিয়ে কি লিখে চলেছে। আন্দোলনের বিভক্তি, চিনা বাম, হঠকারী, ষড়যন্ত্র, হুঁহুঁ বাবা সব বুঝি কিন্তু, এবং ইত্যাদি ইত্যাদি। সাফি তবুও হাসে। বলে, মানুষ বুঝে নিবে ভাই; মানুষ অবুঝ নাকি!
আমি বসে থাকলাম। খোমাখাতা দেখা হয় নাই। অমিতাভ ভাই এসে জানালেন বিভিন্ন সুপরিচিত মানুষজনের বক্তব্য। জানলাম কতো বিচিত্র উপায়ে এই তরুণরা অপরাধী হয়ে থাকতে পারে, হতে পারে ষড়যন্ত্রকারী, নিদেনপক্ষে ষড়যন্ত্রে ব্যবহৃত! আমি সাফির মতো হাসতে পারি না, শঙ্কিত হয়ে উঠি। তারপর ভাবতে থাকি ওদের থেকে একটুখানি দূরে বসে।
তাই কি, জ্ঞানী ভাই?
পাঁচ তারিখে শাহবাগের মোড় দখল করে নেওয়া মানুষেরা কেন এসেছিলো? ষড়যন্ত্রে ব্যবহৃত হতে? ঐটা কারও ষড়যন্ত্র না তো? কোনও কূটচাল? বিদেশী গোপন অর্থ? কোন শালা নেতা আমাকে ডাক দিয়েছিলো সেদিন ঐ মোড়ে গিয়ে দাঁড়াতে? কেউ ডাকে নাই? না, ডাকে নাই কেউ। আমি নিজে গিয়েছি। গিয়েছে আমার মতো আরও পাঁচশ জন মানুষ। পর দিন গিয়েছে পাঁচ হাজার। আর তার পরেরটা ইতিহাস।
বাকিদের কথা বাদই দিলাম। প্রথম দিনের প্রতিটা মানুষ স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাদের যাবার জন্য যদি কোনও নেতা না লাগে, তাহলে আজকে যেই তরুণ দিনের পর দিন ঢিমে হতে থাকা আন্দোলন নিয়ে ক্ষুব্ধ, যে চেয়েছিলো আন্দোলনের আগুন দিন দিন বেড়ে উঠবে, আর তার বদলে পেয়েছে নেতিয়ে যেতে থাকা 'নেতৃত্ব', সাথে বোনাস হিসেবে দিনের পর দিন দেখে চলেছে বেঈমান রাজাকারদের তাণ্ডব, এবং সেই তাণ্ডবের বিপরীতে ক্রমশঃ নিস্পৃহ হয়ে উঠতে থাকা একটা শহর; সেই তরুণেরও শুধু নিজের ক্ষোভটা স্রেফ জানান দেবার জন্য আজকেও কোনও নেতার অনুমোদন দরকার নাই। যে মানুষ নিজের মাতৃভূমিতে বেঈমানের নিষিদ্ধ হবার দাবি জানায়, এবং দিনের পর দিন ধরে চোখের সামনে দেখতে থাকে কি ভাবে সেই দাবি নিষ্প্রভ হয়ে ওঠে, কিভাবে আন্দোলনকে ঘিরে পাতিপুতি চরিত্রেরা ঘোলা করতে থাকে সম্ভাব্য সব কিছু; তাদের রক্তে আলাদা আগুন জ্বলে ওঠার দায়ভারটা নেবে কে? জন্মভূমির মাটিতে বেঈমানের পা পড়তে পারবে না; যদি পড়ে, তবে আর জীবন রাখতেই চাই না; এমন পবিত্র প্রতিজ্ঞা বাংলার সন্তান নেবে না তো কে নেবে? চিনা টাকায় ষড়যন্ত্র করা বাম? হাহ!
অবশেষে বিশ্বাস করতে হবে আমার, বাংলার মাটির জন্য জীবন দিতে তৈরি হওয়াটা অপরাধ! নিজের মাটিকে নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসাটা পাপ! নিজের মাটির সাথে বেঈমানি করেছে যেসব জামাত-শিবির শুওরের বাচ্চা, তাদের অস্তিত্বের সাথে সহাবস্থান করতে ঘৃণা আর বিবমিষায় কুঁকড়ে ওঠাটা আসলে অদৃশ্য কোনও এক জুজুর ষড়যন্ত্র!
'শহীদ রুমী স্কোয়াড' বারবার বলছে, গণজাগরণ মঞ্চের সাথে সংহতি প্রকাশ করেই তারা এই অনশনে এসেছে, কোনও ভাবেই তারা এর বিরোধিতা করে নাই, করছে না, করবেও না। তাহলে কেন তাদেরকে এই অপলাপ সহ্য করে যেতে হবে? কেন্দ্রীয় কমিটি যখন বলেছে, ছোট ছোট আগুনের টুকরো নিয়ে আমরা ইতিহাস গড়ে তুলবো, আমরা তাই করেছি। কিন্তু চিঠি লিখে বেলুন ওড়ানোর কর্মসূচি যদি আমাদের কারও ফাজলামি মনে হয়ে থাকে, তাহলে সেই মনে হবার অধিকারও একান্তই আমাদের নিজস্ব। রক্তে আগুন ধরানো শ্লোগান প্রাণপণে দিয়েছি, রক্তের আগুনটা 'আপাতত' নিভিয়ে রাখতে বললেও সেটা না হয় না-ই পারলাম! 'আপাতত' করতে পারি না আমরা! কাদের মোল্লার রায়ের পর 'আপাতত' আলটিমেটাম দিয়ে আমরা কেউ ঘরে বসে থাকি নাই। নেমে এসেছি রাস্তায়। সেই রাস্তার অর্পিত নেতৃত্ব, অর্পিত আস্থা যদি ঝিমিয়ে পড়ে, তাহলেই তো আর আগুনটা নিভে যায় না!
আন্দোলন যদি প্রশ্নসাপেক্ষ আচরণ করে, তাকে প্রশ্ন করে শুদ্ধ করে তোলার দায়টাও আমাদের ঘাড়েই এসে বর্তায়।
আমার দ্বেষ পত্রিকায় সীমাহীন মিথ্যা খবর (রাজীব হায়দারের মৃত্যু, তার বাসস্থান, তথাকথিত সম্পর্ক, সাইদি রাজাকারকে বাঁচাতে কাবা শরীফের ঈমামদের ছবির বিকৃত মিথ্যা ক্যাপশন, শাহবাগে ফ্যাসিবাদ ইত্যাদি) প্রকাশিত হবার পরে মঞ্চ মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দিলো। আলটিমেটাম পেরিয়ে গেলো। মাহমুদুর কোথায়? আলটিমেটাম না মানার কারণে আমাদের প্রতিবাদ কী?
বেশ। ছাব্বিশ তারিখের মধ্যে বেঈমান জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার আলটিমেটাম। আলটিমেটাম কেউ শুনতেই পেলো না। তারপরের কর্মসূচি কবে? এপ্রিলের চার তারিখ! মার্চের উনত্রিশ তারিখ নয়? বেশ বেশ।
প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দেবো কেন্দ্রীয় কমিটির দিকে, তারপরেও সাথে থাকবো, সমর্থন যোগাবো শেষ প্রহর পর্যন্ত।
কিন্তু কি অধিকার আছে আমার; বুকের ভেতরে আগুন পুষে রাখা সেই তরুণদের সমালোচনা করার? যারা নিজের জীবন দিতে তৈরি হয়ে এসেছে আজকে, তাদেরকে অসম্মান করার ধৃষ্টতার অধিকার কাকে দিয়েছি আমরা!
___________________________________________
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, আপনার সন্তানরা আজও একইভাবে মৃত্যুকে হাসিমুখে বরণ করে নিতে ভোলে নাই।
'শহীদ রুমী স্কোয়াড', সশ্রদ্ধ সালাম।
মন্তব্য
শহীদ রুমী স্কোয়াডের ছেলেরা যে দাবীতে আমরণ অনশন করছে তা শাহবাগ গণজাগরণ-২০১৩'র একেবারে মূল দাবীগুলোর একটি। বিবেকবান মাত্রই এই দাবীকে সমর্থন করবে।
সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে এই ভেবে, যাদেরকে সবসময় জামাত-শিবিরের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখেছি, তারাই আজ শহীদ রুমী স্কোয়াডের বিরুদ্ধে অনলাইন-অফলাইনে মুখের ফেনা তুলে ফেলছে।
আমরা অনেকেই একবারো ভাবছি না, কেন ছেলেগুলো আমরণ অনশনে গেলো?
জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত আমাদের সরকারকে আলটেমেটাম দিয়েছিলাম। সরকার আমাদের কথা শুনেনি। তাই, সোজা হিসেব, ডু অর, ডাই। ৪২ বছর এই কুকুরদের ভার সয়েছি আর বইতে পারবো না। শহীদ রুমী স্কোয়াডের ছেলেরা অহিংস আন্দোলনের হার্ডলাইনে যেয়ে তো ঠিক কাজই করছে।
এখানে যারা চীনা বামের গন্ধ পাচ্ছেন কিংবা, আন্দোলন বাঞ্চালের আভাস দেখছেন, তারা আসলে একেকটা আস্ত দলীয় চামচা, হিপোক্রেট। এরা মুখেই দেশ দেশ বলে চেঁচায়। এসব হিপোক্রেটদের কাছে দলীয় রাজনীতি দেশ থেকেও বড়।
শহীদ রুমী স্কোয়াডের সদস্যদের বলব, এগিয়ে যাও ভাই। তোমাদের দাবী ও কর্মসূচীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে।
আজ আম্মার কথা বড় বেশি মনে পড়ছে। আম্মা, আপনার সন্তানরা এখনো জেগে আছে। জামাত-শিবির-রাজাকারদের শেষটুকু দেখে ছাড়বো আমরা।
শহীদ রুমী ভাইয়ের জন্মদিনে শহীদ রুমী স্কোয়াডকে জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।
শহীদ রুমী স্কোয়াডের ছেলেরা যে দাবীতে আমরণ অনশন করছে তা শাহবাগ গণজাগরণ-২০১৩'র একেবারে মূল দাবীগুলোর একটি। বিবেকবান মাত্রই এই দাবীকে সমর্থন করবে।
সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে এই ভেবে, যাদেরকে সবসময় জামাত-শিবিরের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখেছি, তারাই আজ শহীদ রুমী স্কোয়াডের বিরুদ্ধে অনলাইন-অফলাইনে মুখের ফেনা তুলে ফেলছে।
আমরা অনেকেই একবারো ভাবছি না, কেন ছেলেগুলো আমরণ অনশনে গেলো?
জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত আমাদের সরকারকে আলটেমেটাম দিয়েছিলাম। সরকার আমাদের কথা শুনেনি। তাই, সোজা হিসেব, ডু অর, ডাই। ৪২ বছর এই কুকুরদের ভার সয়েছি আর বইতে পারবো না। শহীদ রুমী স্কোয়াডের ছেলেরা অহিংস আন্দোলনের হার্ডলাইনে যেয়ে তো ঠিক কাজই করছে।
এখানে যারা চীনা বামের গন্ধ পাচ্ছেন কিংবা, আন্দোলন বাঞ্চালের আভাস দেখছেন, তারা আসলে একেকটা আস্ত দলীয় চামচা, হিপোক্রেট। এরা মুখেই দেশ দেশ বলে চেঁচায়। এসব হিপোক্রেটদের কাছে দলীয় রাজনীতি দেশ থেকেও বড়।
শহীদ রুমী স্কোয়াডের সদস্যদের বলব, এগিয়ে যাও ভাই। তোমাদের দাবী ও কর্মসূচীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে।
আজ আম্মার কথা বড় বেশি মনে পড়ছে। আম্মা, আপনার সন্তানরা এখনো জেগে আছে। জামাত-শিবির-রাজাকারদের শেষটুকু দেখে ছাড়বো আমরা।
শহীদ রুমী ভাইয়ের জন্মদিনে শহীদ রুমী স্কোয়াডকে জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।
-সাব্বির
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ভালো বলছেন
যোগ দিন নিজের অবস্থান থেকেই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
অসধারন লেখা! হয়তো আমিও যেতে পারবো একদিন ।
কিছুটা সময়ের জন্য হলেও চলে আসুন।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
স্যালুট জানাই এদের। এতটুকুই আপাতত করতে পারি।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আপনাদের সমর্থন আজ খুব প্রয়োজন। নিজের অবস্থান থেকে জানান দিন চারপাশে।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আসলেই "শহীদ রুমী স্কোয়াড", সশ্রদ্ধ সালাম!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ফেইসবুকের স্ট্যাটাসটা এখানেও প্রযোজ্য।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
এই স্কোয়াড বা আমরণ অনশন নিয়ে সেই যে ত্যানা পেঁচানো শুরু হয়েছে, তা আর শেষই হচ্ছে না! অনশন-কারীদের নেতৃত্ব যারা দিচ্ছে, তারা সন্দেহের ঊর্ধ্বে কিনা, তাদের এই প্রোগ্রাম মূল আন্দোলনকে দুর্বল করবে কিনা, এত শক্ত দাবী করা ঠিক হচ্ছে কিনা, ধাপে ধাপে এগুনো উচিত কিনা, নির্বাহী আদেশে আজ জামাত নিষিদ্ধ হলে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নির্বাহী আদেশে তো তাকে আইনসিদ্ধ করে দিতে পারে, জামাতের অপপ্রচারের জবাব না দিয়ে এই আন্দোলন করে এমন কি আর লাভ হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি!
কিন্তু কিছু ছেলে তারুণ্যের অজেয় সাহস ও শক্তির উপর ভর করে যে আমরণ অনশন কর্মসূচিটি শুরু করেছে, তা কয়জন করতে পেরেছে? কয়জন দেখাতে পেরেছে ন্যায়ের পক্ষে এমন অনমনীয়তা, দৃঢ়তা?
আজ যারা ধীরে চলতে বলছেন বা ডিপ্লোম্যাটিক হতে বলছেন, তারা নিশ্চয়ই ইতিহাসের পাঠ বিস্মৃত হননি? ইতিহাসে কিন্তু আপোষ-কামীদের জয়ের কোন রেকর্ড নেই! সবচেয়ে বড় কথা, আপোষ-কারীরা দ্রুতই জনগণের আস্থা হারাতে শুরু করে, কারণ তাদের নৈতিক দিকটি জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। অন্যদিকে, যারা আপোষহীন ন্যায় ও সত্যের পথে, সাময়িকভাবে তাদের দাবি কিছুটা বৈপ্লবিক ও অসম্ভব মনে হলেও, মানুষ কিন্তু একসময় তাদের দিকেই ঘুরে দাঁড়ায়, কারণ মানুষের চূড়ান্ত মূল্যায়নে আপোষহীনরাই জয়ী হয়, তাদের অন্তরে জায়গা হয় আপোষহীনদেরই!
অনেক প্রয়োজনীয় একটা লেখা, অন্যকেউ ভাই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
সশ্রদ্ধ সালাম
সাথে থাকুন।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
সশ্রদ্ধ সালাম!
শহীদ রুমি স্কোয়াডের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘন্টার অনশন কর্মসূচী পালন করছি আমরা। আমাদের সাথে থাকা মানুষের ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন নিচের শহরগুলোতে -
Albuquerque, NM, USA
Berkeley, CA, USA
Bisan, Korea
Boulder, CO, USA
Calgary, Canada
Charlottesville, VA, USA
Chittagong, Bangladesh
College Station, TX, USA
College Park, MD, USA
Columbia, SC
Denver, CO, USA
Dhaka, Bangladesh
Eden Prairie, MN, USA
Geneva, Switzerland
Lincoln, NE, USA
London, UK
Melbourne Australia
Montreal, Canada
New York, NY, USA
Odessa Ukraine
Oslo Norway
Salt lake city, UT, USA
San Fransisco, CA, USA
Seol, Korea
Toronto, Canada
শহীদ রুমি স্কোয়াডের বন্ধুরা, তোমরা একা নও। আমরা তোমাদের সাথেই আছি।
আমাদের ইভেন্ট পেইজের লিঙ্ক -
https://www.facebook.com/events/333646783424432/
আপনাদের উদ্যোগে আন্তরিক সাধুবাদ।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ওদের প্রতি কাদা ছুড়া দেখে প্রচন্ড বিরক্ত হয়েছি। দলীয় কমান্ডের বাইরে কিছু মানুষ কোন রকম চিন্তাই করতে পারে না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মানুষ দলের আগে কখন মানুষ চিনতে পারবে কে জানে!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
সংহতি জানাচ্ছে প্রজন্ম কানাডা।
www.projonmocanada.com
https://www.facebook.com/projonmocanada
শহীদ রুমি স্কোয়াড সরকার পতনের ডাক দেয় নাই, জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে। এই "অপরাধ" করার জন্য শহীদ রুমি স্কোয়াডকে অজস্র সালাম।
যারা এর মধ্যে চিনাবাদামের গন্ধ পাচ্ছেন, তাদের আরোগ্য কামনা করি।
Big Brother is watching you.
Goodreads shelf
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
অনশনের সাথে আছি, এই কথাটা কইতে নিজের কাছে খুবই লজ্জা লাগতেছে। বাচ্চা কয়েকটা ছেলে আক্ষরিক অর্থেই মারা যাইতে বসছে, আমি শুধু কয়েকটা টুইট আর ফেসবুক স্ট্যাটাস আর দুই-একটা ডেমোনেস্ট্রেশান করে বাসায় এসে লেবু চা খাইতে খাইতে জামাত-শিবিররে মুখ খারাপ করে গালি দিতে দিতে, মতিকণ্ঠ পড়তে পড়তে পরের দিনের কী অ্যাসাইনমেন্ট আছে এইটা ভাবতেছি। আমি রুমী স্কোয়াডের সাথে নাই, এতটা সাহস বা দেশপ্রেম কোনটাই আমার নাই, আমি একজন স্বার্থপর মানুষ, দুর্বল মানুষ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন