১.ভর দুপুরেও আজ রোদের দেখা নাই। ঝির ঝির করে তুষার পড়ছে গত দু'দিন। থামাথামির বালাই নাই। সূর্যের দেখাও পাওয়া যাচ্ছে না। আর উপরি পাওনা হিসাবে আছে হাড়ে সূঁচ ফোটানো বাতাস। যেসব দিনে সূর্য ওঠে, সেদিন বাতাসের এই সূঁচালো অত্যাচারও কমে আসে। আজ সে আশার গুড়ে কড়কড়ে বালি।
শীতপোশাকের ভেতরে জড়োসড়ো গুটিয়ে থেকে, চৈতি হাঁটছে ফুটপাথের খুঁটিনাটি দেখতে দেখতে। কোথাও জমে থাকা আয়নার মতো বরফে পা পড়লেই সটান আছাড় খেতে হবে। তুষার মাটিতে জমে বরফ হয়ে গেলে তবে এই চিত্তির ঘটে। এখন এই ঝিরঝির তুষারের ভেতর সে সম্ভাবনা কম, তবু সাবধানের মার নাই।
এমন দিনে চৈতি যদ্দূর সম্ভব ঘরেই থাকার চেষ্টা করে। আজ ব্যতিক্রম। ক'দিন পরেই এ শহরের বাংলাদেশি কমিউনিটির একটা অনুষ্ঠান হবার কথা। একুশে ফেব্রুয়ারি - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন। চৈতি আপনমনে ভাবলো, বছরখানিক আগে ফাল্গুনের দুপুরে বইমেলার ভিড় আর রোদ, ঘাম আর ধুলোয় মাখামাখি হয়ে কাটানো একুশ, এখানে কেমন মন খারাপের একটা স্মৃতি হয়ে গেছে। জনহীন পথে এই কনকনে বাতাসে ডুবে যেতে যেতে, শাহবাগ থেকে টিএসসি, তারপর সেই মানবঅরণ্য, বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া আর ইচ্ছা করে পথ ভুলে যাবার সময়টাকে একটা স্বপ্নদৃশ্য বলে যেন ভ্রম হয়।
চৈতি এবারের উদযাপনের সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছে যারা, তাদের একজন। ভারিক্কি নামের সাথে বরাদ্দ কাজটুকু খুব বেশি না- সপ্তাহান্তে এই শহরে বাঙালি যারা আছে, তাদের মাঝ থেকে আগ্রহী ক'জন মঞ্চশিল্পীকে এক জায়গায় জড়ো করে নেওয়া, তাদের অনুশীলন কতোখানি হচ্ছে তার তদারকি, আর কিছু টুকটাক। আজীবন আলস্যপ্রিয় মেয়েটার জন্য এ কি কম! তবু একুশের অনুষ্ঠান বলে কথা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে এখন অনুষ্ঠান হয়; অনেক দেশের মানুষই আসবে এখানে, তার জন্য এটুকু কষ্ট গায়ে লাগতে পায় না।
পথ বেশি না। ফুটপাথে আয়না খুঁজতে খুঁজতে আর তুষারের ভারে কুঁজো হয়ে থাকা শাদা গাছের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখতে দেখতে চৈতি পৌঁছে গেলো। ক'জন চলে এসেছে ওর আগেই। বাকিরাও নিশ্চয়ই দেরি করবে না। এখানে সবাই মোটামুটি সময় মেনেই চলে। যস্মিন দেশে যদাচারের কারণেই হয়তো! চৈতি ওর শীতে জড়োসড়ো হয়ে থাকার ভাবটা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে এগোলো একটা খালি চেয়ারের দিকে। ঘরের ভেতরটা বেশ আরামদায়ক, শীতের কামড় ঐ দরোজার বাইরেই আটকে গেছে।
২.
যারা আসবার, তারা সবাই চলে এসেছে। বাচ্চাদের একটা ফ্যাশন শো হবে। সেটার অনুশীলন হয়ে গেছে দিন তিনেক আগেই। আজ গান আর নাচের অনুশীলন চলবে। তার পর আবৃত্তি।
এসব শুরু করার আগেই উল্টোদিকের এক চেয়ারে বসে থাকা মাশহুর শহীদ নড়েচড়ে উঠলেন। শহীদ ভাই প্রাক্তন বুয়েটিয়ান। এখানে স্নাতকোত্তর শেষ করে এই শহরেই স্থায়ী। চাকরি করেন। স্ত্রী গৃহবধূ। একমাত্র কন্যাটি মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে।
"শুরু হবার আগে কয়টা কথা কনফার্ম কইরা নিই।"
গলা খাঁকাড়ির সংক্ষিপ্ত বিরতি নিয়ে উনি আবার শুরু করেন।
"ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস অফিসের কিছু রুলস রেগুলেশন্স আছে। ঐগুলা মেনে চলতে হবে।"
"কী রকম, ভাই?" এক পাশ থেকে প্রশ্ন ভেসে আসে।
"কয়েক বছর আগে যে প্রোগ্রামটা হয়, ঐটা নিয়ে সেবার স্টুডেন্টস অফিসের কাছে অনেক কম্প্লেইন গেছে। বুঝছো? কমিটি আমাকে জানাইছে, এইবার যেন এইরকম কম্প্লেইন আর না যায়। নয়তো ওরা পরের বার অনুষ্ঠানের অনুমতি নাও দিতে পারে।" শহীদ বিরতি নেন।
অনুমতি না দিলে এখানকার মিলনায়তনটাও ওরা ব্যবহার করতে দেবে না। অনুষ্ঠান করাটাই তখন বাতিল হয়ে যাবে। সবার চোখে তাই কৌতূহল খেলা করে।
কণ্ঠে জমে থাকা শ্লেষ্মা গিলে ফেলে মাশহুর শহীদ আবার শুরু করলেন।
"ঐ বার প্রোগ্রামের পরে, এইখানের কয় জন পাকিস্তানের গেস্ট গিয়ে স্টুডেন্টস কমিটিতে গিয়া বলছে, দেয়ার হ্যাপেন্ড টু বি সাম হিউমিলিয়েশন টু দেম অ্যান্ড দেয়ার কান্ট্রি। ঐ আরকি, পাকিস্তান সরকারের নির্দেশে পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়, এইসব কথাবার্তা ছিলো আরকি। এজন্য তারা কম্প্লেইন করছে। কইছে যে আমরা নাকি অগোরে হিউমিলিয়েট করছি।"
চোখ পিটপিট করে সবার দিকে তাকিয়ে নিরাসক্ত কন্ঠে উনি যোগ করলেন- "এইবারের প্রোগ্রাম ওপেনিঙে দেখানোর জন্য শাওন একটা ডকুমেন্টারি বানাইছে না ? ঐটা সকালে দেখলাম। ঐসব কথাবার্তা আছে দেখি। একটু এডিট কইরা ঐ পাকিস্তান টাকিস্তান বাদ দিয়ে দিতে হবে। আর অ্যাঙ্করদের স্ক্রিপ্টটা কে দেখতেছে? ঐটা একটু দেইখো আরকি। অ্যাঙ্কররা ঐসব ওয়েস্ট পাকিস্তান, উর্দু ভাষা, এইসব বললে এইবার আবারও ঝামেলা হবে। এইবার যাতে আর স্টুডেন্টস অফিসের কাছে কোন কম্প্লেইন না যায়। এইটা খেয়াল রাইখো সবাই।"
মাশহুর শহীদের কথা শেষ হবার পরে ঘরের আরামদায়ক বাতাসে কিছু নীরবতা ঝুলে থাকলো। কয়েকজন দৃষ্টি বিনিময় করলো পরস্পর।
উল্টোদিকে বসে থাকা চৈতি অবাক সুরে প্রশ্ন করলো,
"আপনারা কিছু বলেন নাই তখন? কোনও জবাব দেন নাই? আর তারপরও এইবার ঐ পাকিস্তানিগুলাকে ইনভাইট করছেন?"
মাশহুর শহীদ ঘড়ঘড় করে বললেন, "শুনো চৈতি। এইটা ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম। সবাইকেই ইনভাইট করতে হবে। এইটা চেঞ্জ করা যায় নাকি!"
"চেঞ্জ করা না করার বিষয় না। এতো ঝামেলার ভয় থাকলে, পাকিস্তানিদের ইনভাইট করলেন কেন?"
"ইনভাইট করলাম কেন মানে? ইনভাইট তো করতেই হবে। আর, তোমার এতই যদি আপত্তি, তাহলে আগে বললা না কেন? এখন এই লাস্ট মোমেন্টে আইসা তো এসব চেঞ্জ করা যাবে না। এখন যেইটা করার আছে, সেইটা হচ্ছে আমাদেরকে ঠিক থাকতে হবে। একসাথে দেখতে হবে বিষয়টা, যাতে কোন গোলমাল না হয়।"
চৈতির মনের ভেতর কিছু কথা বুদ্বুদ তোলে।
পাকিগুলাকে বয়কট করতে পারলি না তোরা? কম্প্লেইন শুনে ঘেয়ো কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে পালিয়ে চলে আসলি? আর আজকে লেজ নাড়তে নাড়তে আবার ডেকে আনলি জারজগুলাকে?
চিবিয়ে চিবিয়ে উচ্চারণ করল চৈতি, "পাকিগুলাকে দর্শকসারিতে বসায়ে রেখে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' গাইলে ওরা মনে কষ্ট পাবে না?"
মাশহুর শহীদের কথায় চাপা ক্রোধের গজরানি এবার সবার কানেই ধরা পড়ে। উনি কারও দিকে না তাকিয়েই বললেন, "ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম এইটা। এত বাংলাদেশি মেন্টালিটি ধরে রাখলে, বিদেশে আসার দরকার কি!"
এক মূহূর্তের জন্য ভাষা হারিয়ে ফেললো চৈতি।
"বাংলাদেশি মেন্টালিটি! বাংলা-দেশি মেন্টা-লিটি! কী বললেন? বাংলাদেশি মেন্টালিটি?"
মাশহুর শহীদ খিঁচিয়ে ওঠেন। "এতো ইমোশনাল হওয়ার কি আছে? এরকম ইররেশনাল আচরণ করার তো দরকার নাই। রিয়ালিটি বুঝার দরকার আছে। আর তোমার আগের রাগ থাকতে পারে, বুঝলাম। কিন্তু, এখানে, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষজনকে তুমি কিভাবে দোষ দেও? ওদের ওপর তোমার কিসের রাগ? ওরা তো এতো কাহিনি জানে না। ওরা প্রোগ্রাম দেখার জন্য আসবে। এতো কাহিনি শুনাতে গেলে ওদের তো খারাপ লাগতেই পারে।"
নিশ্চুপ বাকি শ্রোতাদের সামনে মাশহুর শহীদের কথাগুলো শান্ত বাতাসের ভেতর পৌরাণিক চাবুকের মতো শপাং করে আছড়ে পড়লো।
"আর ইনভাইট না করতে গেলে শুধু পাকিস্তান কেন? ইন্ডিয়া কি আমাদের বর্ডারে কম মানুষ মারছে?"
চৈতি উঠে দাঁড়ালো।
চোখ বাষ্পরুদ্ধ হয়েই আসতো হয়তো। কিভাবে সেটা শীতল কন্ঠে পাল্টে গেলো, এটা হয়তো ও বলতেই পারবে না!
"পাকিস্তানি জারজগুলাকে সামনে দর্শকসারিতে বসায়ে রেখে 'সালাম সালাম, হাজার সালাম' গাওয়া, আমার পক্ষে সম্ভব না। এত বড় বেঈমান আমি হতে পারবো না।"
দরোজার দিকে হাঁটতে হাঁটতে চৈতির ঘেন্নায় গা গুলোতে থাকে।
৩.
সব চেয়ারে এতোক্ষণ হতে থাকা মৃদু খসখসানি এখন চুপ। দু'জন বোধহয় চৈতিকে ডেকে ফেরাতে যাচ্ছিলো। কিন্তু সর্বজনশ্রদ্ধেয় সিনিয়র ভাই মাশহুর শহীদের ক্ষিপ্ত মুখের দিকে তাকিয়ে সবাই চুপ করেই থাকলো। পাকিস্তানি 'ব্রাদার'-এর দোকান থেকে কেনা হালাল চিকেনের ফ্রাইয়ের সাথে গলায় ঢালা হুইস্কির ঢেঁকুর উঠলো না কারও পেট থেকে। কারও পাকিস্তানি পরিবারের সাথে পারিবারিক দোস্তি, আর সেই পরিবারের বাচ্চাটির সাথে নিজের বাচ্চা খেলতে বড়োই ভালোবাসে বলে মনে জাগা তৃপ্তির ঢেউও বাতাসে কোনও আলোড়ন তুললো না। পাকিস্তানি 'ব্রাদার'দের সাথে ফুটবল খেলার নির্মল আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবার ভয়ও হয়তো দুয়েকজনকে চুপ করিয়ে রেখেছিলো।
চৈতি বেরিয়ে যেতেই স্বয়ংক্রিয় দরোজাটা আলতো করে বন্ধ হয়ে গেলো।
চেয়ারে আলতো করে বসে থাকা বাঙালিদের মনের কথা, আমাদের আর জানা হলো না।
__________________________________________________________
পাদটীকা- না, এটা বানানো কোনও গল্প না। চার দিন আগে ঘটা একটা বাস্তব ঘটনা শুনেছি বন্ধুর জবানিতে, তাই থেকে লিখেছি। নামগুলো সঙ্গত কারণেই কাল্পনিক।
কৃতজ্ঞতা- আমার সেই বন্ধু, এবং সচল তিথীডোর।
মন্তব্য
"পাকিস্তানি জারজগুলাকে সামনে দর্শকসারিতে বসায়ে রেখে 'সালাম সালাম, হাজার সালাম' গাওয়া, আমার পক্ষে সম্ভব না। এত বড় বেঈমান আমি হতে পারবো না।"
দেবদ্যুতি
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ফরচুনেটলি গতসপ্তাহেই চমৎকার ব্যবস্থাপনায় ইউনিতে পাকমনপেয়ারবিহীন একুশে উদযাপন করলাম বলেই এই রকম অনুষ্ঠান বা ঘটনার সঙ্গে নিজেকে খানিকটা প্রত্যক্ষদর্শী গোছের মনে হয়েছে, সেটা হতে পারে।
আবার আনফরচুনেটলি এই পরশুদিনই ডিপার্টমেন্টের পাকিস্তানি ক্লাসমেটের মুখে-- কখগ (জনৈক জুনিয়র বাংলাদেশি তরুণী) তো আমার সংগে উর্দূ বলসে, তুমি এরকম খ্যাক করে উঠো কেন? শুনে বহুৎ সময় লেগেছিল মাথা ঠাণ্ডা করতে... সেটাও হতে পারে।
সব মিলিয়ে পাঁচ তারা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইটাও শুনলাম। অনেক বাঙালিই নাকি পাকিস্তানিদের সাথে আগ বাড়িয়ে সোৎসাহে উর্দূতে কথা বলতে শুরু করে দেয়। প্রায় অসুস্থ উৎসাহ।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আমাদের এখানেও প্রোগ্রামের প্রস্তুতি চলছে। সবার ভালই সহযোগিতা পাচ্ছি । খুব ভাল একটা ডকুমেন্টারি বানাচ্ছি আমরা। আগে থেকে আইডিয়া ফাঁস করছি না। এখন এডিটিং এর কাজ চলছে। ২১ তারিখের পর হয়তো সবাই দেখতে পাবে ।
মহান অতন্দ্র ।
২১ তারিখের পর লিঙ্ক পাবো তো?
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আশা রাখছি পাবেন ।
পোস্টটা দেখে আমার অনুভুতি বাকি সবার মতই৷কিন্তু একটা প্রশ্ন করতে চাই৷ যুদ্ধের সময় যে সমস্ত পাকিস্তানীর জন্মই হয়নি,তাদের সরাসরি "জারজ" বলে গালি দেওয়া কতখানি যৌক্তিক?এটা একটা নিরীহ প্রশ্ন,হঠাৎ মাথায় আসল৷ দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না৷
জাতিগতভাবে যে পাকিস্তানিরা কৃত যুদ্ধাপরাধের জন্য কখনও ক্ষমাপ্রার্থনা করে নাই, তাদের পুরো জাতিকেই গালি দেওয়াটা স্বাভাবিক, তাই না? আর এই নির্লজ্জ্ব জাতি নাকি এখনও ১৬ ডিসেম্বরের পরিচয় দেয় ঢাকা পতন দিবস হিসাবে।
তবে পাকিস্তানিদের যতোটা ঘৃণা করি, তার চেয়ে আরও বেশি ঘৃণা করি সেসব বাংলাদেশের পরিচয়ধারীদের, যারা পাকিস্তানের প্রতি অসুস্থ একটা প্রেম এবং সুপ্ত আনুগত্য ধারণ করে।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
দয়া করে আমাকে সেই ধরণের কলঙ্কিত মানুষদের কেউ ভাববেন না৷ আমিও তাদের আপনাদের মতই মন থেকে ঘৃণা করি৷তবে প্রশ্নের উত্তরটা পরিষ্কার করে দেবার জন্য ধন্যবাদ ৷
শেষ লাইনের খোঁচাটা কি আমার জন্য ছিল?না হলে খুবই ভাল৷কিন্তু যদি হয় ,তাহলে বলব আমার কথাটা ঠিকমত বুঝতে পারেননি৷ওইটা শুধু একটা প্রশ্ন ছিল,কোন মতামত না৷ এইভাবে বলার কোন দরকার ছিল না৷ তবে প্রথম প্যারায় আমার উত্তরটা পরিষ্কারভাবে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ৷
এই লাইন ক'টাই সবচেয়ে কষ্ট দিল......ফাল্গুনটা আসলেই আঁধারে ডুবে গেছে.....দেশে এসব নিয়ে উপর দিয়ে অনেক আলোচনা করা সম্ভব- কিন্তু স্বাধীনতার গভীরে যতেে শুরু করলেই অনেক দ্বিধাবিভক্ত মনের পরিচয় উন্মুক্ত হয়.....এখন দেখছি প্রবাসের অবস্থাও যথেষ্ট কঠিন হচ্ছে। এই ঘটনাটার আপডেট জানালে খুশি হব.....দেখতে ইচ্ছা করছে শ্রদ্ধেয় সিনিয়র ভাইরা টিকে থাকে নাকি সময়ের সাথে বেমানান ইমোশনাল চৈতিরা বেঁচে যায়!!!
সেই অপেক্ষা নিয়ে তো আমিও বসে আছি। তবে মাঝে মাঝেই এসব কিছু দেখে আশা ছেড়ে দিতে ইচ্ছা হয়।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
শহীদ মিনার থেকে এলাম। সকল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা। চৈতির প্রত্যয় আর দৃঢ়তা আমাদের আর আমাদের সন্তাদের ভেতর ছড়িয়ে যাক।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমি আপনার লেখনীর নীরব গুণগ্রাহী। শুভকামনা জানবেন।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
অনেক ধন্যবাদ, তানিম ভাই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আপনার লেখা আগেও পড়েছি। সবসময়ই লেখার স্টাইল টা ভাল লাগে। বিষয়বস্তু নির্বাচনে যথেষ্ঠ সচেতন। আর এই গল্পটা অসম্ভব ভাল লাগল। পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক ধন্যবাদ, মুখর।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
পাকিস্থান নামটাতে এমন একটা ঘৃনা জন্মেছে যে যারা সামান্যতম ওদের প্রতি সহানুভূতি দেখায় তাদের কেও ঘৃনা করতে শুরু করি।
-----------
রাধাকান্ত
এই অনুভূতিটুকু আমাদের নিরন্তর লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক। শুভকামনা জানবেন।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
অবশেষে অনষ্ঠানটি ভালো ভাবে হয়েছে।আগত অতিথীগন ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কিন্তু সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারীর ইতিহাস স্থান পায়নি। অনুষ্ঠানের মিনিট কয়েক পূর্বে ইতিহাসের অংশটুকু কেটে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপরে বিসিও এর প্রেসিডেন্ট কোন কথা বলছেন না। অভিযোগ পাওয়া গেছে যে, প্রেসিডেন্ট সাহেব হেলন, এই মাশহুর শহীদ ভদ্রলোকের একনিষ্ঠ অনুগত এবং বাধ্যগত।
নতুন মন্তব্য করুন